বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২৭
অথৈ: হ্যা আম্মু চলো (বলে আমি আম্মু সাথে নিচে নামতেই আবাক ) একি দেখছি আমি এ তো সেই আন্টি। যার রাস্তায় একটা ব্যাগ পড়ে গিয়েছিলো। সাথে ওনার মেয়ে আছো দেখছি। আন্টি টা কতো সুন্দর যেখানে যাই ওনার মেয়েকে নিয়ে যাই আর আমার আম্মু আমাকে কোথায়ও নিয়ে যাই না। যাই হোক ওনারা আমাদের বাড়িতে কেনো এসেছে। ( বিড়বিড় করে বললো)
অথৈর আম্মু : দাড়িয়ে পড়লি কেনো। নিচে চল।
অথৈ: আম্মু আমি না ওনাকে
অথৈর আম্মু: তোর সব কথা শুনবো তবে এখন না।
অথৈ: শুনবে না ছাই ( মনে মনে বললো)
অথৈর আম্মু: আমার মেয়ে অবন্তী ইসলাম অথৈ। অথৈ ওনাকে সালাম করো।
অথৈ: আসসালামু ওলাইকুম আন্টি।
পরশের আম্মু: ওলাইকুম আসসালাম। আরে তুমি সেই মেয়ে না। হ্যা তো তুমি সেই মেয়ে। এদিকে এসো মা আমার কাছে এসো।
অথৈ আম্মু: যাও কাছে যাও
অথৈ: ঠিক আছে আম্মু বলে আমি ওনার কাছে গিয়ে বসলাম।
পরশের আম্মু: বাহ্ বেশ সুন্দর লাগছে তোমাকে মা। উপর আল্লাহ তোমাকে আমার ছেলে জন্য পাঠিয়েছে।
অথৈ: আরে আন্টি আপনি ভুল করছেন আমাকে আপনার ছেলে জন্য পাঠাবে কেনো আমাকে তো সালমান খানের জন্য পাঠিয়েছে।
অথৈর আম্মু: অথৈ তোমাকে না বলেছি কেনো বাড়তি কথা বলবে না। আসলে আমার মেয়ে টা একটু এ রকমি।
পরশের আম্মু: আরে আপনি ওকে বকছেন কেনো। আমার কিন্তু ওর কথা বেশ ভালো লেগেছে। তুমি বলো মা আর কি বলবে।
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
অথৈ: আন্টি আপনি না খুব ভালো।
পরশের আম্মু: তুমি ও খুব ভালো মা। ( বলে কপালে একটা চুমো খেলো)
অথৈ: আন্টি (বলে ডাকতেই আম্মু আমার দিকে চোখ রাঙিয়ে তাকাতেই আমি চুপ হয়ে যাই। কিন্তু মাথায় মধ্য প্রশ্ন ঘুরছে ওনারা কেনো এসেছে।)
পরশের আম্মু : কিছু বলবে মা।
অথৈ: না কিছু বলবো না।
পরশের আম্মু: দিশা চুড়ি জোরা বের কর।
দিশা : হ্যা এই নাও চুড়ি বলে আম্মু হাতে চুড়ি দিলো।
অথৈ: ওনি চুড়ি বের করলো কেনো। তারমানে ওনি আমাকে ওনার ছেলের জন্য দেখতে এসেছে। কিন্তু আমি তো অন্য কাউকে বিয়ে করতে পারবো না। আমি যে সালমান খান কে ভালোবাসি ( মনে মনে বললো)
পরশের আম্মু: দেখি মা হাত টা (বলে ওনি আমার হাতটা ওনার কাছে নিয়ে চুড়ি পড়তে লাগলো আর বলতে লাগলো) শোনো মা তোমাকে কিন্তু আমার ছেলেকে ঠিক করতে হবে। আমার বিশ্বাস তুমি পারবে।
অথৈ: আপনার ছেলে পাগল নাকি যে ওনাকে ঠিক করতে হবে। পাগল ঠিক করার জন্য তো পাগলা গারত আছে।
পরশের আম্মু: না মা আমার ছেলে পাগল না তবে তোমাকে আমার ছেলেটাকে পাগল বানাতে হবে।
অথৈ: আমি তো শুনেছি মানুষ পাগলকে ঠিক করতে বলে আর আপনি দেখছে সুস্থ্য মানুষকে পাগল করতে বলছেন।
পরশের আম্মু: হ্যা মা বলছি। কারন এ পাগল সেই পাগল করতে হবে না। তোমার ভালোবাসার পাগল করতে হবে। পারবে না মা তোমার ভালোবাসা দিয়ে আমার ছেলেকে পাগল করতে। আমার ছেলে যে ভালোবাসা প্রায়োজন।
অথৈ: ওনি কি বলছে কিছু বুঝতে পারছিনা। একবার বলছে পাগল করতে হবে। আর একবার বলছে ভালোবাসার পাগল করতে হবে। ভালোবাসা কি হাটের মুয়া যে কিনে এনে খাইয়ে দিয়ে পাগল করবো ( মনে মনে বললো)
পরশের আম্মু: আপনার মেয়েকে আমার খুব পছন্দ। আমি চাই শুভ কাজ তাড়াতাড়ি করতে। আর অথৈকে আমার বাড়িতে নিয়ে যেতে। কি মা যাবি তো আমার বাড়ি।
অথৈর আম্মু: হ্যা যাবে তো। তাই না অথৈ।
অথৈ: এ্যা না মানে
পরশের আম্মু: আজ তাহলে ওঠি। আর আমরা বাড়ির গিয়ে কথা বলে বিয়ের তারিখ টা ঠিক করে জানাবে। দিশা চল মা।
অথৈর আব্বু: কিছু মুখে দিলেন না।
পরশের আম্মু : আজ না আর একদিন ছেলে বউ সাথে করে নিয়ে এসে পেট ভরে খেয়ে যাবো। আস আসি ( বলে ওনারা চলে গেলো)
অথৈ: আম্মু তুমি কেনো আগে আমাকে বলোনি যে ওনারা এসছেন আমাকে দেখতে কেনো বলোনি।
আম্মু: কারন বললে তুই রুম থাকতি না তাই।
অথৈ: আম্মু আমি বিয়ে করবো না।
আম্মু: বিয়ে তো তোমাকে করতে হবে আর এই বিয়ে করতে হবে।
অথৈ: আব্বু তুমি আম্মু সাথে এক হলে।
আব্বু: দেখ মা ছেলে খুব ভালো।
অথৈ: আমার ভালো ছেলে চাই না। আমি সালমান খানকে চাই। বলে আমি নিজের রুমে এসে রুমের দরজায় বন্ধ করে দিলাম। না আমি কিছুতে ই বিয়ে করবো না। আমি সালমান খানকে বিয়ে করবো। এছাড়া ওই ছেলেটা কেমন হবে জানি না। না না না আমি কিছুতেই এই বিয়ে করতে পারবো না। আমি বাড়ির থেকে পালাবো হ্যা পালাবো কিন্তু পালিয়ে যাবো কোথায়। দুর এখন মাথায় বুদ্ধি আসছে না।
অপর দিকে সন্ধ্যায় পরশ আফিস থেকে বাড়ির ফিরে নিজের রুমে যেতেই পেছন থেকে পরশের আম্মু ডাকলো।
পরশ: কিছু বলবে আম্মু
পরশের আম্মু: হ্যা বলবো।
পরশ: কি বলবে বলো
পরশের আম্মু: আমি আজ তোর জন্য মেয়ে দেখে এসেছি। আর মেয়েটাকে আমার খুব পছন্দ হয়েছে।
পরশ: what? আম্মু আমি তোমাকে অনেক বার বলেছি আমি আর বিয়ে করবো না। তারপরে তুমি কেনো মেয়ে দেখতে গেলে।( রাগী গলায়)
পরশের আম্মু: কারন আমি আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে তিল তিল শেষ হয়ে যেতে দেখতে পারছিনা।
পরশ: তুমি কি ভেবেছো আম্মুঅন্য একটা মেয়ে এসে আমার সব কষ্ট দুর করে দেবো ভুল ভেবেছো আম্মু। আমি কখনো আর বিয়ে করবো না করখনো শুনতে পেয়েছো। না মানে না।
দিশা: কেনো বিয়ে করবি না তুই ভাইয়া। তোর জন্য আম্মু চিন্তা করতে করতে নিজেকে শেষ করে দিচ্ছি। তাছাড়া আম্মু শরীলটা ভালো নয়। আমি কিছুদিন পর ওই বাড়িতে চলে যাবে। দেখ ভাইয়া আমি আর আম্মু চাই তুই বিয়ে কর।
পরশ: আমি কাউকে বলিনি আমার জন্য চিন্তা করতে। আর হ্যা ভালো করে শুনে রাখ আমি বিয়ে করবো না। ok বলে সিড়ি দিয়ে উপরে যেতেই দিশা আম্মু বলে চিৎকার দিতেই পরশ ঘুরে তাকাতেই দেখলো…( চলবে)