বজ্জাত বউ পর্ব ৪২
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ৪২
রাত ৮ দিকে অথৈর মনে হলো কেউ একজন তার কাধে হাত রাখলো অথৈ পেছন ফিরে তাকাতেই জরিয়ে ধরে বললো
অথৈ: আম্মু তুমি
অথৈর আম্মু: হ্যা আমি মা। দেখি কি হয়েছে মুখটা এতো মলিন লাগছে কেনো আমার মেয়েকে তো এমন একটু মানাই না।
অথৈ: কিছু হয়নি আমার। আম্মু তুমি কখন এসেছো আর আবির আসেনি।
আবির: আপি আমি এসেছি। ( বলে অথৈকে জরিয়ে ধরলো) আপি তুই কেমন আছিস।
অথৈ: আমি ভালো আছি ভাই। তুই কেমন আছিস।
আবির: ভালো আপি। আপি আমি তোকে খুব মিস করিরে
অথৈ: আমিও ভাই তোকে খুব মিস করি
অথৈর আম্মু: আবির তুমি নিচে যাও তোমার আপি সাথে আমার কথা আছে।
আবির: ঠিক আছে আম্মু ( বলে চলে গেলো)
অথৈ: আম্মু তোমার মনে আছে আজ আমার bir
অথৈর আম্মু: আজ তো সোমবার।
অথৈ: আম্মু তুমিও ভুলে গেছো আজ আমার birth day সবাই ভুলে গেছে। কেউ আমাকে ভালোবাসে না।
অথৈর আম্মু: কি হলো কথা বলছিস না কেনো
অথৈ: আম্মু তোমরা কেনো এসেছো বলোতো।
অথৈর আম্মু : জামাইকে দেখতি। কেনো
অথৈ: তাহলে তোমার জামাইকে দেখো এখানে বসে আছো কেনো।
অথৈর আম্মু: দেখবো আগে তুই ওঠ। কি করে রেখেছিস মুখটা ওঠ ফ্রেস হয়েনে ওঠ ওঠ বলছি
অথৈ: ওঠছি ( বলে ওঠে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ফ্রেস হয়ে ওয়াশরুম থেকে বের হয়ে আসলো)
অথৈর আম্মু: এখানে বস। এই নে এই ড্রেসটা পড়েনে।
অথৈ: পড়বো না
অথৈর আম্মু: এতো কষ্ট করে ড্রেস আনলো আর তুই পড়বি না। আমার মেয়েটা কি যে হলো য়ে নাকি নতুন ড্রেস পেলে না করেনি সেই আজ ড্রেস পড়বে না ঠিক আছে ড্রেসটা দোকানে ফেরত দিয়ে আসবো।
অথৈ: ফেরত দেওয়া লাগবে না আমি পড়ছি। তাছাড়া যেটা একবার কেনা হয় সেটা ফেরত দিতে নেই( বলে ড্রেসটা পড়লো)
অথৈর আম্মু: এবার এখানে বস ( বলে অথৈকে খাটের উপর বসিয়ে দিলো তারপর হালকা ভাবে সাজিয়ে দিলো) বাহ্ কি সুন্দর লাগছে ( বলে কানে নিচে কাজল দিয়ে টিপ পরিয়ে দিলো) নজর যেনো না লাগে। এবার চল আমার সাথে নিচে
অথৈ: না আম্মু আমি নিচে যাবো না
অথৈর আম্মু: চল চল বলছি ( বলে নিচে নিয়ে গেলো)
অথৈ: আম্মু নিচে এতো অন্ধকার কেনো। কিছুই দেখা যাচ্ছে না আমি লাইট জ্বালিয়ে দিয়ে আসছি ( বলতে পুরা বাড়ি লাইট জ্বলে উঠলো আর সবাই একসাথে বলে ওঠলো happy birth day to you. happy birthday অথৈ।
অথৈ: তারমানে তোমরা কেউ আমার birth day ভুলোনি।
মামনি: না মা কেউ ভুলে নি তোমার সারপ্রাইজ দেওয়া জন্য।
অথৈ: thank you মামনি।
দিশা: thank you টা আমাদের নয় যে এটার আয়োজন করেছে তাকে thank you দাও।
অথৈ: কে করেছে।
দিশা: কে আবার আমার একমাএ ভাই আর তোমার বর।
অথৈ: তাই বুঝি। তা ওনি কোথায়। ওনাকে তো দেখছি না।
মামনি: ঠিক তো পরশ কে কোথাও দেখছি না কেনো। একটু আগে আমাদের সাথে ছিলো।
দিশা: অথৈ তুমি বরং কেকটা কাটো ভাইয়া হয়তো কাজ পড়ে গেছে। তুমি কেক কাটো।
অথৈ: কিন্তু
মামনি: দিশা ঠিক বলেছে তুমি কেক কাটো।
অথৈ: ঠিক আছে ( বলে কেকটা কাটলো তারপর সবাইকে খাইয়ে দিলো হঠ্যৎ করে অথৈর ফোনে একটা sms আসতে অথৈ বললো) মামনি আম্মু আমি আসছি ( বলে বাড়ি বাইরে চলে আসলো) এখানে তো আসতে বললো কিন্তু এখানে তো কেউ নেই ( বলতে আবার একটা sms আসলো) সামনে দিকে হাটতে থাকো। ইশ অনেকটা হাটলাম কিন্তু ওনি কউ ( বলতে কেউ একজন পেছন থেকে অথৈ চোখটা বেধে দিলো) কে চোখ বাধলো। দেখুন ভালো হবেনা বলছি আমি কিন্তু আপনার মাথা ফাটিয়ে দিবো চোখ খোল বলছি। আরে কোথায় নিয়ে যাচ্ছে। চোখ খোল ( বলতে পেছন থেকে চোখ খুলে দিলো) ইশ চোখটা ব্যাথ ওয়াও কি সুন্দর। চারদিকে কতো আলো লাল নীল বেগুনি অনেক ধরনে আলো জ্বলছে নিভছে ( বলে অথৈ চারদিকে ঘুড়ে ঘুড়ে দেখছিলো)
পরশ: পছন্দ হয়েছে।
অথৈ: হ্যা thank you. ( বলতে পেছন থেকে অনেকগুলো পথোশিশু বলে ওঠলো শুভ জম্মদিন আপু) তোমরা
পরশ: ওরা তোমার জম্মদিন পালন করতে এসেছে।
অথৈ: এসো এসো আমার কাছে এসো ( বলে অথৈ ওদেরকে জরিয়ে ধরলো তারপর কেক কেটে সবাইকে খাইয়ে দিলো। এক টুকরো কেক হাতে নিয়ে পরশের কাছে এসে বললো) আগে gift দেন তারপর কেক দিবো।
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
পরশ: gift এতোকিছু করলাম তারপর gift. gift এই নাও( বলে একটা বক্স দিলো)
অথৈ: gift. thank you ( বলে বক্স টা খুলতে লাগলো। ) বক্স তো খালি।
পরশ: দেখি তাই তো দেখছি । আমার মনে হয় দোকানদার gift টা ভরতে ভুলে গেছে। ( বলে মুছকি হাসলো)
অথৈ: দুর ( বলে মন খারাপ করলো) আচ্ছা আপনি আমার সাথে মজা করছেন না তো।
পরশ: মজা মোটেই না তোমার সাথে মজা করবো না না। অনেক রাত হয়েছে এবার চলো বাড়ি যাই ( বলে দুজন বাড়ি চলে আসলো)
সকালে
অথৈ: ঘুম থেকে ওঠে ফ্রেস হয়ে নিচে নামতেই বাড়ির কলিং বেল বাজলো) এতো সকালে কে আসলো ( বলে দরজায় খুলে দেখলো) কেউ নেই তাহলে বেল বাজালো কে (বলতে সামনে দিকে চোখ পড়তে অথৈ মুখে হাসি ফুটলো) সাইকেল আমার ( বলে সাইকেলে কাছে যেতেই দেখলো সাইকেলে সাথে একটা চিরকুট। চিরকুটে লেখা গতোরাতে gift টা আজকে দিলাম) ওনি দিয়েছে ( বলে দৌড় দিয়ে রুমে এসে পরশকে বললো) ওঠুন ওঠুন
পরশ: আরে অথৈ please ডিস্টাপ করোনা।
অথৈ: ওঠুন না
পরশ: কি হয়েছে
অথৈ: thank. you. gift. এর জন্য।
পরশ: পছন্দ হয়েছে
অথৈ: অনেক পছন্দ হয়েছে। আমি কতোবার আব্বুকে বলেছি সাইকেল কিনেদিতে কিন্তু আব্বু খালি বলেছে সাইকেল চলাতে গিলে নাকি হাটু কেটে যাবে এটা ওটা কতো কি। কিন্তু আজ আমি সাইকেল চালাবো ( বলে রুমে ভেতরে আনন্দে নাচতে লাগলো)
পরশ: পাগলি মেয়ে একটা।
এভাবে অথৈ আর পরশ কথা বলা ঘুরতে যাওয়া হাসি মজা করতে করতে দেড় মাস কেটে গেলো। এই দেড় মাসে অথৈ মনে পরশের জন্য ভালোবাসা বাসা বেধেছে। অথৈ পরশ কে ভালোবাসে। পরশের কথা বলা হাসা য়েনো অথৈকে পাগল করে দেই। অপর দিকে পরশ অথৈ সাথে অনেকটা ফ্রি হয়ে গেছে অথৈর প্রতি জ্বালানো সহ্য করতে করতে পরশের আর কিছু মনে হয় না এভাবে দেড় মাস পাড় হয়ে গেলো)
অথৈ: দিশা দিশা আপু আমি প্রেমে পড়েছি আমার পঁচা কুমড়ো প্রেমে পড়েছি।
দিশা: এতোদিন তাহলে বুঝতে পেরেছো যে তুই ভাইয়াকে ভালোবাসিস।
অথৈ: হ্যা দিশা আপু খুব ভালো বাসি। কিন্তু ওনিকি আমাকে ভালোবাসেন না কখনো বাসবেন। ওনি তো ওনার মিষ্টিকে ভালোবাসে খুব ভালোবাসে। ( বলতে চোখের কোনার পানি জমে ওঠলো)
দিশা: আমি জানি ভাইয়া মিস্টি ভাবিকে ভালোবাসে। ভাইয়া একমুহুড়তের জন্য মিষ্টি ভাবিকে ভুলতে পারে না। কিন্তু দেখবি এক সময় ভাইয়া তোকেও ভালোবাসবে হয়তো মিষ্টি ভাবির মতো এতোটা ভালেবাসতে পারবে না কিন্তু তোকে ভালোবাসবে দেখিস।
অথৈ: বাসবে তো
দিশা: বাসবে আমি আসি রে স্যার আমার জন্য অপেক্ষা করছে আর তুই রেডি হয়ে কলেজে যাই ভাইয়া অনেক আগে আফিসে চলে গেছে। আমি আসি ( বলে দিশা চলে গেলো)
অথৈ: জানো মিষ্টি আপু তোমার প্রতি আমার খুব হিংসা হয় খুব হিংসা হয়। তোমার প্রতি ওনার ভালোবাসা দেখে হিংসা হয়। তোমার চলে যাওয়ার দুই বছর পার হয়ে গেছেঅনেক কিছু বদলেগেছে শুধু বদলেনি ক
তোমার প্রতি ওনার ভালোবাসা একটু বাদলাই নি। ওনি আগে যেমন তোমাকে ভালোবেসেছে এখনো তেমনটাই ভালোবাসে। বিশ্বাস করো আমি তেমার ভালোবাসার ভাগ বাসাতে চাই না শুধু চাই ওনি একটু আমাকেই ভালোবাসুক। ( মিষ্টির ছবির সামনে দাড়িয়ে বললো) এই দেখো তোমার সাথে কথা বলতে বলতে আমার দেড়ি হয়ে যাচ্ছে আমি আসি ( বলে রেডি হয়ে ভার্সিটিতে চলে গেলো। ভার্সিটি ক্লাস শেষ করে ক্লাসরুম থেকে বের হয়ে নিচে নামতে অথৈ বললো)আপনি……. (চলবে)