পরিস্থিতি কখনো এতোটা বাহিরে চলে যায় যে হিতাহিত জ্ঞান তখন কাজ করেনা।কখনো কখনো ভালো কোন প্রত্যাশা মুহুর্তের মধ্য জীবনের জঘণ্যতম অভিজ্ঞতায় পরিণত হয়।
বলছিলাম ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া মুভি ‘’EDEN LAKE’’ এর কথা।
নৈতিক শিক্ষার অভাব মানুষের মস্তিষ্ককে বিকৃত থেকে বিকৃততর করে।বিকৃত মস্তিষ্কের মানুষ সমাজ ও রাষ্ট্রের জন্য ভয়ংকর।সে হতে পারে যুবক,হতে পারে বৃদ্ধ বা হতে পারে নাবালক শিশু সন্তান।
শুরু করছি ২০০৮ সালে মুক্তি পাওয়া হরোর থ্রিলার মুভি ইডেন লেক এর গল্প। লণ্ডনের এক প্রাইমারি স্কুল শিক্ষিকা জেনি,তার বয়ফ্রেণ্ড এর নাম ছিল স্টিভ।তার প্রত্যক সাপ্তাহিক ছুটিতে কোথাও না কোথাও বেড়াতে যেত বা একসাথে ভালো সময় পাড় করতো। স্টিভ ঠিক করে জেনিকে এবার ইডেন লেকে ঘুরতে নিয়ে যাবে।জায়গাটি ছিল শহর থেকে দূরে একটি নির্জন স্থান।যেখানে তারা কোলাহল মুক্ত স্বস্তির নিশ্বাস নিতে পারবে।
তারা ঐ স্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।ওইখানে যেতে যেতে পথের মধ্য রাত নেমে আসে তাই তার একটি হোটেলে ওঠার সিদ্ধান্ত নেয়।হোটেলে এসেই তারা বুঝতে পারে এখানকার মানুষ জন খুবই হিংস্র।এরা কোন কিছুই সহজ ভাবে নেয়না, একটুতেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে ।তারা যথেষ্ঠ বদ মেজাজি,তাই তাদের ছেলে-মেয়ে গুলোও উচ্ছৃঙ্খল হয়েছিল।
রাতটি তারা হোটেলে কাটিয়ে পরদিন ইডেন লেকে চলে যায়।এই লেকটি ছিল ঐ গ্রামের ভিতর এক গহীন অরণ্যে।অরণ্যের মধ্য হাটতে হাটতে হাটতে তাদের এডাম নামক এক বালকের সাথে দেখা হয়।জেনি এডামের সাথে কথা বলতে গেলে সে জানায় তার মা অপরিচত কারো সাথে কথা বলতে না করেছে।জেনি আর কথা না বাড়িয়ে চলে যায়।লেকে এসে তারা তাদের মতো করে সময় পাড় করছিল।একটু পড়ে ওখানে কিছু দুষ্টু বাচ্চা এসে এডামকে বিরক্ত করে ওখান থেকে পাঠিয়ে দেয়।
বিগড়ে যাওয়া এই বাচ্চাগুল হাই ভলিউমে মিউজিক বাজাচ্ছিল,তারা পরিবেশটাকে কোলাহল্পূর্ণ করে তোলে।জেনিরা তবুও এগুলো মেনে নেয়।
স্টিভ লেকে সাঁতার কাটতে যায়,তখন ওই ছেলেগুলোর কুকুর জেনিকে বিরক্ত করতে থাকে।স্টিভ দূর থেকে তা দেখতে পায় এবং ছেলেগুলোর কাছে গিয়ে তাদের কুকুরকে সামলে রাখতে বলে।ছেলেগুলো তো তার কথা শুনেই না উল্ট তার সাথে বাজে ব্যবহার করে।স্টিভ কোন ঝামেলায় জড়াতে চায়না,তাই সে ওখান থেকে চলে আসে।
ওখানে ছয় জন বাচ্চা ছিল,তার মধ্য শুধু একজন মেয়ে।তার নাম ছিল পেজ,আর এই গ্রুপের হেড ছিল ব্রেড।তাদের প্রত্যেকের বয়স ছিল চৌদ্দ বছর এর নিচে।তবে তাদের আবভাব বড়দের মতো এবং তারা সবাই যথেষ্ট অভদ্র।
জেনি যখন লেকের তীরে বিশ্রাম নিচ্ছিল,ওই ছেলেরা তখন জেনির দিকে বাজে নজরে তাকাচ্ছিল।জেনি তাদের আচরণে খুবই অস্বস্তি বোধ করছিল কিন্তু সে স্টিভকে কিছুই বলেনা।কিছুক্ষন পরে ঐ ছেলেগুলো ওখান থেকে চলে যায় এবং যাবার সময় স্টিভকে বিরক্ত করে যায়।
বিকালে স্টিভ তাবু গাড়ছিল,আর জেনি আগুন লাগানোর জন্য খড়ি জোগাড় করছিল।ওই সময় জেনি জঙ্গলের ভিতর থেকে অদ্ভত কিছু আওয়াজ শুনতে পায়,কিন্তু সে খুঁজে কিছুই পায়না।তারা লেকের তীরে রাত কাটায়।জেনির মনে হচ্ছিল তার দিকে কেউ নজর রাখছে,তাই সে কিছুটা ভয় পায়।
পরদিন সকালে নাস্তা করতে গিয়ে তারা দেখতে পায় তাদের খাবারে পোকা উঠেছে।তাই তারা খাবার আনতে বাজারে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়,কিন্তু স্টিভ দেখতে পায় তার গাড়ীর চাকা পাঞ্চার হয়ে আছে।স্টিভ বুঝতে পারে ওই বখাটে ছেলেগুলো এইকাজ করেছে।স্টিভ গাড়ির চাকা পাল্টিয়ে বাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়।পথের মধ্য স্টিভ ছেলেগুলোকে দেখতে পায়।
স্টিভ রেগেছিল,তাই সে ছেলেগুলোর পিছু ধাওয়া করে।ছেলেগুলো পালিয়ে যায়।হোটেলে স্টিভ ছেলেগুলোকে নিয়ে নালিশ করে,কিন্তু হোটেলের কর্মচারি মহিলা এতে রেগে যায় এবং বলেনঃছেলেগুলো আমার নয় তাহলে আপনি আমাকে বলছেন কেনো?
স্টিভ বুঝতে পারে বাচ্চাগুলোর এমন আচরণ নিয়ে এইখানের লোক জনের কোনো মাথা ব্যথা নেই।ওখান থেকে বের হয়ে লেকের দিকে যাবার সময় একটা বাসার পাশে সাইকেল গুলো পড়ে থাকতে দেখে।বাচ্চাগুলোর ব্যপারে নালিশ করতে স্টিভ ওই বাসার ভিতর যায়।একটু পরে স্টিভ কিছু একটার শব্দ শুনতে পায় এবং ওখান থেকে দ্রুত পালিয়ে যায়,কেননা ফাঁকা বাসায় তাকে কেউ দেখলে চোর ভাববে।
স্টিভরা লেকে ফিরে এসে ছুটি উপভোগ করছিল।একসময় তারা দেখে তাদের ব্যগটি সেখানে নেই।স্টিভ টেনশনে পরে যায়,কেননা ব্যগে ফোন,পার্স ও গাড়ির চাবি ছিল।সে তার গাড়ির জায়গায় চলে আসে কিন্তু গাড়িটি সেখানে ছিলনা।
তারা জঙ্গলের পথ দিয়ে চলে যাচ্ছিল।হঠাৎ গাড়িটি তাদের সামনে চলে আসে,স্টিভরা অল্পের জন্য গাড়ির ধাক্কা থেকে বেঁচে যায়।গাড়িতে ছিল ওই ফাযিল ছেলেরা।ওরা গাড়ি নিয়ে চলে যায়।স্টিভরা নিরুপায় হয়ে আবার জঙ্গলের ভিতর দিয়ে হাটতে থাকে।অনেক দূর আসার পর সন্ধ্যা বেলে স্টিভ শোরগোলের আওয়াজ শুনতে পায়।সেখানে গিয়ে স্টিভ ওই ছেলেদের দেখতে পায়।সে নম্রভাবেই তার গাড়ি ফেরত চায় কিন্তু ব্রেড বলে তার কাছে গাড়িটি নেই।স্টিভ আবার তার জিনিসপত্র ফিরত চায় কিন্তু ছেলে-মেয়েগুলো নানা বাহানা করছিল।এক পর্যায়ে তাদের মধ্য ধস্তাধস্তি শুরু হয়।ছেলেদের এক জনের হাতে ধারালো ছুরি ছিল,সে স্টিভকে আঘাত করতে আসে।স্টিভ ওর হাত থেকে ছুরি নিয়ে নেয়,এমন সময় ব্রেড এর কুকুর স্টীভের উপর হামলা করতে এলে ঐ ছুরির আঘাতে কুকুরটি মারা যায়।
পরিস্থিতি বিগড়ে যায়।চাবি পেয়ে স্টীভরা ওখান থেকে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায়।ফাযিল ছেলেগুলো ওদের পিছু তাড়া করেছিল।এক পর্যায়ে স্টিভের গাড়ি গাছের সাথে ধাক্কা খায়।তারা কোনমতো গাড়িটি গাছ থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে চলে যেতে চায় কিন্তু ততোক্ষণে ব্রেডরা গাড়ির কাছে পৌছে যায় এবং ঢিল মেরে গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে।স্টিভ গাড়ির সামনে কিছুই দেখতে পাচ্ছিল না।এভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে সে বড় এক গাছের গুড়ির সাথে এক্সিডেন্ট করে।স্টিভ গুড়ির সাথে আটকে যায়,কিন্তু জেনি সুস্থ ছিল।সে জেনিকে বলে এখান থেকে চলে যেতে এবং পুলিশের সাহায্য নিতে।জেনি গাছের আড়ালে লুকিয়ে পড়ে।
কোন পথ খুঁজে না পেয়ে সে আবার গাড়িটির কাছেই ফিরে আসে।স্টিভ গাড়িতে ছিলনা।জেনি ভয় পেয়ে যায়,সে ভয়ে ভয়ে পরে থাকা রক্তের পিছু করে স্টিভের কাছে পৌছে যায়।
জেনি সেখানে দেখতে পায় স্টিভের পুরো শরীর কাঁটা তার দিয়ে পেঁচানো এবং ব্রেড তাকে টর্চার করছে।এমন সময় তাদের একজন ব্রেডকে বাঁধা দেয়।সে বলে অনেক হয়েছে আর না,পুলিশ আমাদের এসে ধরে নিয়ে যাবে।ব্রেড বলে একাজে আমরা সবাই সমান দোষি।তোমাদেরকেও একাজ করতে হবে।এরপর একে একে সবাই স্টিভকে টর্চার করতে থাকে।একেক জন একেক জায়গায় ছুরি মারতে থাকে,স্টিভ আর্তনাদ করছিল।তার আর্তনাদ উপরওয়ালা ছাড়া এই গহীন অরণ্যে শুনার মতো আর কেউ ছিলনা।এসব নিয়ে তারা মজা করছিল আর পেজ নামে ওই মেয়েটি এগুলো ভিডিও করছিল
দূর থেকে জেনি এসব সহ্য করতে পারছিলনা।তার ফোনে নেটওয়ার্ক ও ছিলনা।তাই সে স্টিভের ফোনের ব্লটুথ কানেক্ট করে পুলিশকে ফোন করার চেষ্টা করে।স্টিভের ফোন ব্রেডের কাছেই ছিল।ব্লটুথ কানেক্ট করায় ফোন বেজে ওঠে।ব্রেড ,স্টিভের ফোনের সাথে জেনির ব্লটুথ কানেক্ট দেখে বুঝতে পারে জেনি আশে পাশেই আছে।তারা জেনির পিছু ধাওয়া করে।
জেনি জঙ্গলের মধ্য দিয়ে পালাতে থাকে।স্টিভও অনেক কষ্টে কাঁটা তার থেকে নিজেকে ছাড়ীয়ে নিয়ে পালাতে থাকে।
জেনি জঙ্গলের মধ্য একটি কেবিন দেখতে পায়।সে সাহায্যের জন্য সেখানে যায় কিন্তু কেবিনে কেউ ছিলনা,কেবিনের দরজা বন্ধ ছিল।জানালা দিয়ে ওকিটকি নিতে গিয়ে তা হাত থেকে পড়ে নষ্ট হয়ে যায়।ছেলেগুলো ওখানে চলে আসে এবং দরজা ভেঙ্গে কেবিনের ভিতরে প্রবেশ করে করে।তারা জেনিকে অনেক খোঁজা খুঁজি করে কিন্তু কোথাও জেনির দেখা মেলে না।ব্রেডকে তাদেরই দলের একজন ফোন করে বলে স্টীভকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা।তার আবার স্টিভকে খুঁজতে বেরিয়ে পড়ে।ছেলেগুলো চলে গেলে জেনে কেবিনের ছাদ থেকে নেমে আবার পালাতে শুরু করে।
স্টিভ পালিয়ে তার গাড়ির কাছে চলে আসে এবং ফার্স্ট এইড বক্স বের করতেই গাড়ীর এলার্ম বেজে ওঠে।এলার্ম শুনে ছেলেগুলো স্টিভ এর অবস্থান টের পেয়ে সেখানে চলে আসে।কিন্তু স্টীভ ততোক্ষনে সেখান থেকে পালিয়ে যায়।পথে স্টীভ জেনির দেখা পায়।জেনি স্টিভের অবস্থা দেখে চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।স্টিভের অবস্থা খুবই খারাপ।তাকে দ্রুত হসপিটালে না নিলে তাকে বাঁচানো সম্ভব নয়।ওই ছেলেগুলোর বনের মধ্য ছড়ীয়ে ছিল তাই স্টিভকে হসপিটালে নেওয়া সম্ভব হচ্ছিল না।
জেনি স্টিভকে একটা কেবিনে নিয়ে আসে।এখানে জেনি, স্টিভকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার সময় তার পকেটে আংটি দেখতে পায়।জেনি বুঝতে পারে স্টিভ এই ভ্রমন শেষেই তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিত।তা আর হয়ে উঠলো না।স্টীভ ধিরে ধিরে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হচ্ছে।কিছুক্ষনের মধ্যই ছেলেগুলো কেবিনের কাছে চলে আসে,কিন্তু সেখানে তারা স্টিভদের খুঁজে পায়না।স্টিভরা তখন কেবিনের নীচে পানিতে লুকিয়ে ছল।ছেলেগুল চলে গেলে জেনি স্টিভকে ওখান থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং বুঝতে পারে দ্রুত হসপিটালে না জাবে স্টিভ মারা যাবে।সে স্টিভকে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে দেয়,যেন কেউ তা খুঁজে না পায়।এরপর জেনে সাহায্যের জন্য দৌড়াতে থাকে।দৌড়াতে গিয়ে তার পায়ে লোহা ঢুকে পরে।জেনি চিৎকার করে কেঁদে ওঠে।তার চিৎকার শুনে ছেলেগুলো তার অবস্থান টের পায়।পায়ে আঘাত পাওয়াই জেনি দ্রুত দৌড়াতে পাড়ছিলনা।অনেক কষ্টে সে পা থেকে লোহা বের করে।এরপর আবার সে দৌরাতে থাকে।একসময় তার এডামের সাথে দেখা হয়।জেনি এডামকে তার মায়ের কাছে নিয়ে যেতে বলে।এডাম তাকে সাথে করে নিয়ে যায়।কিছুদূর সামনে গিয়ে এডাম বসে পড়ে এবং ফোন টীপতে থাকে।জেনি পুলিশের কাছে কল করার জন্য এডামের কাছে ফোন চায় কিন্তু এডাম দিতে রাজি হয়না।জেনি জোর করে এডামের কাছ থেকে ফোন নিতে যায় কিন্তু এমন সময় ওই ছেলেগুলো এসে হাজির হয়।জেনির আর বুঝতে বাকি থাকেনা একাজ এডামই করেছে।
জেনি পালাতে চেষ্টা করে কিন্তু একটা ছেলে জেনিকে আঘাত করে।জেনি সেন্সলেস হয়ে যায়।জেনি জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পায় সে আর স্টিভ একই গাছে বাঁধা।স্টিভ মারা গেছে।এখন স্টিভের সাথে তাকেও জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হবে।
ব্রেড,এডামের হাতে দিয়াশলায় দিয়ে তাকে জ্বালিয়ে দিতে বলে।এডাম এটা করতে চাচ্ছিল না কিন্তু সে বাধ্য।পেজ এগুলো ভিডিও করছিল।জেনি তাদের কাছে প্রাণ ভিক্ষা চায়।এ অমানুষ গুলো তার কথা শুনে না।
আগুনে দড়ি পুড়ে যায় আর জেনি উঠে দৌড়ে পালিয়ে যায়।ব্রেড জেনিকে হুমকি দেয় যদি সে ফিরে না আসে তবে সে এডামকে জ্বালিয়ে দিবে।এটা শুনে জেনি দৌড়াত দৌড়াতে থেমে যায় কিন্তু পেছনে তাকিয়ে দেখে এডামকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে।
জেনি পালাতে থাকে,কিন্তু পায়ে ক্ষত থাকায় সে দ্রুত পালাতে পারছিলনা।জেনি বুঝতে পারে ব্রেডরা তার কাছাকাছি চলে এসেছে।তাই সে পাশে থাকা ডাস্টবিনে লুকিয়ে পড়ে।ব্রেডরা তাকে খুঁজে না পেয়ে চলে যায়।
জেনি বীভৎস অবস্থায় ডাস্টবিন থেকে বের হয়।সে ওখানে পড়ে থাকা কাঁচ দিয়ে ধারালো অস্ত্র বানিয়ে নেয়।ঐ গ্রুপের একটা ছেলে জেনিকে দেখে ফেলে,জেনি তৎক্ষণাৎ তার গলায় কাঁচের ছুরি বসিয়ে দেয়।ছেলেটি তৎক্ষণাৎ মারা যায়।জেনি এটা কখনো চায়নি,কিন্তু সে পরিস্থিতির শিকার।
রাত অনেক গভীর হয়ে যায়।ব্রেডরা ওই লাশ খুঁজে পায়।ওই দলের একজন বলে এর জন্য আমরাই দোষী।আমি আর তোমাদের সাথে থাকবো না।এসব শুনে ব্রেড রেগে যায় এবং ঐ ছেলেকে মেরে আহত করে ফেলে।এসব দেখে পেজ ওখান থেকে ভয়ে পালিয়ে যায়।দৌড়াতে দৌড়াতে জেনি একটা গাড়ির সামনে এসে পড়ে এবং সাহায্য চায়।লোকটি তাকে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়।লোকটি জঙ্গলের দিকেই যাচ্ছিল।জেনি লোকটির সাথে কথা বলতে গিয়ে বুঝতে পারে লোকটি ওই ছেলেগুলোরই কোন এক জনের ভাই।
লোকটি গাড়ি থেকে নেমে তার ভাইকে খুঁজতে যেতেই জেনি গাড়ী নিয়ে চলে যায়।রাস্তায় জেনি পেজকে দেখতে পায় এবং তার উপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দেয়।পেজ ওখানেই মারা যায়।
জেনি ওখান থেকে বেড়িয়ে গাড়ি নিয়ে মেইন রোডে চলে আসে।সে এই অভিশপ্ত যাত্র থেকে বেঁচে ফিরছে।এই যাত্রা সে আমৃত্যু ভুলবে না।সে একদল নিষ্ঠূর নাবালক দের হিংস্রতার শিকার হয়েছে।যারা তার প্রিয় মানুষ্টিকে হত্যা করেছে।
সে এর বিচার করবে।ঐ দলকে সে এর যোগ্য শাস্তি পাইয়ে দিবে।
জেনির অবস্থা একদম খারাপ ছিল।সে ঠিক মতো গাড়ি চালাতে পারছিল না।রাস্তায় একটা গাড়ির সাথে জেনির গাড়ীর ধাক্কা লেগে একটা বাড়ীর ভিতর ঢুকে যায়।জেনি ঐ বাড়ির ভিতর থাকা মানুষদের কাছে সাহায্য চায় এবং সেন্সলেস হয়ে যায়।জ্ঞান ফেরার পর জেনি দেখতে পায় তাকে সবাই ঘিরে আছে,তাকে নিয়ে কথা বলছে।সে চারপাশে তাকিয়ে দেখতে থাকে।দেয়ালে লাগানো ছবিগুলো দেখে সে বুঝতে পারে এটা ব্রেডদের বাসা।ওই সময় ব্রেড তার মাকে ফোন দিয়ে বলীক মহিলা তাদের দুষ্টুমির জন্য তাদের মেরে ফেলছে।জেনি বুঝতে পারে সে আরো বড় বিপদে ফেঁসে গেছে।সে ওখান থেকে পালানোর চেস্টা করে কিন্তু পথ খুঁজে না পেয়ে নিজেকে বার্থরুমে লক করে ফেলে।জেনি বুঝতে পারে এবার তার আর রক্ষা নেই।
জেনি জীবন বাঁচানোর শেষ চেস্টা করে।সে ওখান থেকে একটা ধারালো ক্ষুর নেয়।বাসার সবাই দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করে।তারা সবাই জেনিকে ধরে বলে,তারা তো শুধু নাবালক বাচ্চা ছিল।তারা ফাযলামো করেছে বলে তুমি তাদের মেরে ফেললে?
জেনি বলে তারা তার বয়ফ্রেণ্ড কে নিষ্ঠূর ভাবে হত্যা করেছে।তার শুধু বাচ্চা নয়,অন্য কিছুতে পরিণত হয়েছে।জেনির কথা কেউ শুনেনা।তার উপর অমানুষিক নির্যাতন করা হয়।জেনি আর্তনাদ করে কিন্তু তার আর্তনাদ বাহির থেকে শুনা যায়না। তাকেও নিষ্ঠূর ভাবে হত্যা করা হয়।
উপরের রুমে ব্রেড আসে।ফোন দিয়ে করা ওই ভিভিও গুলো ডিলিট করে দেয় চোখে সানগ্লাস পরে সে ভাবে কিছুই হয়নি।তাদের বাবা-মা তো তাদের সাথেই সাথেই আছে।তারা এসব দেখে নিবে।
Related Stories
28/09/2021
24/09/2021