বজ্জাত বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ১৮
দিশা: স্যার দরজায় খুলে গেছে বলতে দিশা আর আহাদ রুমে ভেতরে ঢুকতে
দিশা: স্যার ভাইয়া এগুলো কি করছে বলে কাঁদতে লাগলো
আহাদ: পরশ তুমি কি করছো। মিষ্টির জিনিস গুলো পুড়াছো কেনো।
পরশ:…..
আহাদ: কি হলো কথা বলছো না। পরশ তুমি পাগল হয়ে গেলে নাকি। রাখো এগুলো
পরশ: হ্যা আমি পাগল হয়ে গেছে। ওই বেইমানটা আমাকে পাগল করে দিয়ে গেছে। ও আমার ছেড়ে চলে গেছে। আমি ওর কেনো জিনিস রাখবো না। তোমরা যাও এখন থেকে। যাও
আহাদ: পরশ আমি জানি তুমি মিষ্টিকে খুব ভালোবাসো মিষ্টি তোমাকে খুব ভালো বাসতো।
পরশ: না ভালোবাসে না। ও যদি আমাকে ভালোবাসতো তাহলে ও একা আমাকে রেখে যেতো না
আহাদ: দেখে আমরা পৃথিবী চিরজীবনে জন্য আসি না। আমাদেরকে এক সময় এই পৃথিবী ছেড়ে যেতে হয়। বিধি নিয়ম অনুসারে কেউ আগে যাই কেউ পারে। মিষ্টি নয় আমাদের ছেড়ে আগে চলে গেছে।
পরশ: বলা হয়েছে এখন যাও
দিশা: ভাইয়া তুই
পরশ: আমাকে আমার মতো করে থাকতে দে। তোদের নতুন বিয়ে হয়েছে তোরা আনন্দ কর যা এখান থেকে। আর হ্যা আমাকে নিয়ে এতো ভাবনা কিছু নেই।
আহাদ: আমি জানি তুমি কখনো মিষ্টিকে ভাুলতে পারবে না। যে চলে গেছে সে আর ফিরে আসবে না। তাই বলে নিজেকে এভাবে শেষ করে দিয়ে না। নতুন করে নিজেকে সাজানো চেষ্টা করো। দিশা চলো
দিশা: হ্যা স্যার চলেন বলে দিশা আর আহাদ নিচে নেমে আসলো।
দিশার আম্মু: কি করছে পরশ রুমে ভেতর
দিশা: ভাইয়া ভাবির জিনিস গুলো পড়াচ্ছে
আম্মু: কি বলছিস বলে কাঁদতে লাগলো।
কিছু সময় পর
হঠ্যৎ পরশ রুম থেকে বের হয়ে নিচে নেমে দরজায় দিকে যেতে পরশের আম্মু পেছন থেকে বললো
আম্মু: কোথায় যাচ্ছিস বাবা
পরশ: জানি না বলে পরশ গাড়ির নিয়ে বের হয়ে গেলো।
এদিকে বাড়ির থেকে আত্নীয় স্বাজন আস্তে আস্তে সবাই চলে গেছে। মিষ্টির আম্মু বাবা সন্ধ্যায় পর চলে গেছে। আহাদ দিশাকে যেতে বারং করাতে দিশা থেকে যাই বাড়িতে
আম্মু: দিশা এতো রাত হয়ে গেলো তোর ভাইয়া তো বাড়ি ফিরলো না কোথায় গেছে কে জানে। হে আল্লাহ তুমি আমার ছেলে দেখো
দিশা: আম্মু আমি একবার ফোন করে দেখি বলে ফোন নিয়ে পরশের কাছে ফোন দিলো। কিন্তু পরশের ফোন বারবার বন্ধ বলছে
ওয়েটার: ভাইয়া আর কতো খাবেন। অনেক খেয়েছেন। এখন বাড়ি যান। আপনার জন্য আপনার পরিবার চিন্তা করবে। অনেক রাত হয়েছে।এখন রাত ২:৪৫ বাজে
পরশ: তোর পরিবার আছে।
ওয়েটার: হ্যা ভাই আছে। মা বউ আর একটা মেয়ে আছে।
পরশ: বউ বলতে পরশ হাসতে লাগলো
ওয়েটার: হাসছেন কেনো।
পরশ: আর এক গ্লাস মদ না পুরা বোতল দে।
ওয়েটার: ভাই আপনি এর আগে দুটো বোতল খেয়েছেন।
পরশ: তোর বউ আছে না। জানিস আমারো বউ ছিলো। খুব ভালোবাসি বউকে। কিন্তু আমার বউ আমাকে একা রেখে চলে গেছে অনেক দুরে বলে বোতলে পুরা মদ খেয়ে ফেললো। আর পাগলে মতো হাসতে লাগলো। হাসতে হাসতে ৫ টার দিকে বাড়ি ফিরে আসলো।
২ বছর পর
দিশা: আম্মু আম্মু কোথায় তুমি। আমি ঠিক ভেবে ছিলাম তুমি কাঁদছো। আম্মু তোমার শরীলটা ভালো না। ডাক্তার তোমাকে কাঁদতে বারং করছে
আম্মু: আজ দু বছর হয়ে গেলো মিষ্টি চলে যাওয়া। এই দু বছরে বদলে গেছে আমার ছেলে টা। সেই পরশ আর এখন কার পরশের মধ্য কোনো মিল নেই। কোনে হলো এমন টা
দিশা: আমি জানি আম্মু এই দুবছরে ভাইয়া সূর্য আলো দেখতে ভুলে গেছে। রাতভর মদের নেশার ডুবে থাকে। শেষ রাতে বাড়ি ফিরে। আফিস যাই না। নিজের দিকে খেয়াল নেই। কারো সাথে কথা বলে না। কথা বলতে গেলো রাগ দেখিয়ে চলে যাই।
আম্মু: কি থেকে কি হয়ে গেলো।
দিশা: আম্মু তুমি এভাবে কেদো না। আমি ভাইয়া সাথে কথা বলায় চেষ্টা করবো। বলতে পরশ নিজের রুমে থেকে নিচে নামতে দিশা
দিশা: দাড়া ভাইয়া।
পরশ: কি বলবি বল( রাগ দেখিয়ে)
দিশা: দেখ ভাইয়া দু বছর হয়ে গেছে তুই না নিজের খেয়াল নিস না আম্মু: ভাইয়া আম্মু শরীলটা ভালো না। আমি আগে মতো এই বাড়িতে আসতে পারি না। শশুর বাড়ি বাপের বাড়ি এই দু বাড়ি সংসার আমি আর পারছিনা। তুই এবার নিজেকে নিয়ে ভাব। ভাইয়া আমি যতোদুর জানি এখনো তোর চাকরিটা যাই নি। তোর সিটে কেউ বসেনি তোররি আসে। আচ্ছা ভাইয়া তুই আগে মতো আফিস যা না বলতে পরশ দিশা দিকে রাগী লুকে তাকালো। পরশের চোখ দুটো লাল হয়ে গেছে
দিশা: দেখ ভাইয়া বলতে পরশ ওখন থেকে চলে গেলো তারপর গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়লো
দিশা: ভাইয়া শোন
আম্মু: এমন কেউ কি নেই যে আমার পরশকে আগে হাসিখুশি পরশসে ফিরিয়ে আনবে
দিশা: হয়তো আছে কোথাও। দেখবে আম্মু তোমার উপর আল্লাহ ঠিক ভাইয়া জন্য তাকে পাঠাবে। এবার চলো কিছু খাবে। তারপর আমরা একটু বের হবো চলো আম্মু খাবে
এ রান নে রান নে। আমাদের জিততে হবে। আমরা জিতবো দেখেনিস বলে হাসতো লাগলো………
(চলবে)