বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২৪
অথৈ: দেখুন ( বলতে রাস্তায় ওপারে চোখ যেতেই চোখ দুটো বড় বড় হয়ে গেলো) ওটা পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা না। ওনি তো এদিকে আসছেন। তাহলে কি জেনে গেলো গতো কাল আমি ওনার wife পরিচয় দিয়ে ড্রেসগুলো নিয়েছিলাম। কিন্তু জানবে কি করে। আবার জানতে পারে। যদি ৪০০০০ টাকা ভোরত চাই তখন আমি কি করবে। অথৈ তুই গেছিস। এখন কি করনো কিছু তে ওই পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল সামনে যাবো না। আমি এখন পালাবো।
পরশ: তোকে আজ আমি ছাড়বোনা। কাল আমার ৪০০০০ টাকা গিয়েছে আজ সেটা আদায় করে নেবো। ( বলে রাস্তায় পার হতে লাগলো)
অথৈ: অথৈ কাথায় আছে নিজে বাঁচলে বাপের নাম। মামা এই নিন আপনার ২০ টাকা। আরে তাড়াতাড়ি নিন। ( বলে টাকা টা দিলো) দৌড় দিবো। না না আমি এখন দৌড় দেবো না লোকে কি বলবে। দুর আমি তো লোকের কথা পরোয়া করি না বলে জোড়ে জোরে হাটা শুরু করলো।
পরশ: আরে ওই মেয়েটা তো ওতো জোড়ে জোড়ে হাটছে কেনো। ও কি পালানো চেষ্টা করছে। পালিয়ে যাবি কোথায়। আমি তোকে ছাড়বো না।
অথৈ: হে আল্লাহ তুমি আজকে মতো রক্ষা করো পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টার হাত থেকে। ওই আঙ্কেল টা আমার পিছু পিছু আসছে কিনা একবার দেখি ( বলে পেছন ফিরে তাকালো) একি পঁচা কুমড়ো আঙ্কেল টা আমার পিছু পিছু আসছে।
অথৈ: এই মেয়েটা এতো দুতো হাঁটতে পারে। একবার ডাকি অথৈ অথৈ অথৈ দাড়াও বলছি। যদি না দাড়াও তাহলে কিন্তু খুব খারাপ হবে দাড়াও বলছি।
অথৈ: একি ওনি আমার নাম ধরে ডাকছে আবার দাড়াতে বলছে। না না আমি দাড়াবো না। দাড়ালে ও আমাকে গিলে খাবে। অথৈ তুই আরো জোড়ে জোরে হাট।
পরশ: অথৈ আমি জানি তুমি শুনতে পাচ্ছো। দাড়াও বলছি।
অথৈ : না না আমি কিছুতেই দাড়াবো না। এই রে জুতা টা ছিড়ে আর সময় পেলো না। এখন কি করি।
পরশ: এই মেয়ে ডাকলে দাড়াবে না আমাকে ধরতে হবে বলে পরশ আরো জোরে হাটা শুরু করলো
অথৈ: জুতা ছেড়ে যাবো। কিন্তু জুতাটা আমার খুব প্রিয়। জুতা ছেড়ে যাবে বরং জুতা জোড়া হাতে নেই বলে জুতা জোড়া হাতে নিতেই পেছন থেকে পরশ অথৈর এর সামনে এসে দাড়ালো।
পরশ: এই মেয়ে এতো করে ডাকলাম শুনতে পাওনি।
অথৈ: আপনি ডেকেছিলেন আঙ্কেল। আমি শুনতে পাই নি।
পরশ: একদম মিথ্য বলবে না। আমার ডাক তুমি শুনতে পেয়েছো।
অথৈ: পেয়েছি বুঝি আসলে গাড়ি শব্দ ছিলো তো তাই শুনতে পাই নি।
পরশ: টাকা বের করো।
অথৈ: কিসের টাকা
পরশ: কিসের টাকা মানে শপিং মলে টাকা
অথৈ: শপিং মল কোথায়কার শপিং মল।
পরশ: বুঝতে পারছো কোথাকর শপিং মল। এক থাপ্পার দিলে সব মনে পড়ে যাবে।
অথৈ: অথৈ তুই আজ গেছিস ( বিড় বিড় বললো)
পরশ: কি বলছো বিড় বিড় করে। দেখো আমার ত্যাড়া আছে টাকা গুলো তাড়াতাড়ি ভেরত দাও।
অথৈ: আপনার ত্যাড়া তো যান না এখানে সময় নষ্ট করছেন কেনো।
পরশ: টাকা বের করো।( দাঁতে দাঁত রেখে বললো)
অথৈ: দেখুন আঙ্কেল আমার কাছে কোনো টাকা নেই।
পরশ: কোনো অজুহাত শুনতে চাচ্ছি না। বের করো টাকা( ধমক সুরে)
অথৈ: বললাম তো আমার কাছে কোনো টাকা নেই ( কাদো কাদো গলায়)
পরশ:কেনো আমার নাম ভাঙ্গী না না স্বামী পরিচয় দিয়ে ড্রেসগুলো নিয়েছো। কেনো ওখানে আমাকে ছাড়া আর কাউকে পেলে না। ( রাগী গলায়)
অথৈ: এই আঙ্কেল তো দেখছি নাছোড় বান্দা( মনে মনে) আপনার লজ্জা করছে না। একটা মেয়ে কে রাস্তায় দাড় করিয়ে টাকা চাইছেন।
পরশ: না একটু লজ্জা করছে না।
অথৈ: এভাবে হবে না অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। আশ পাশে মানুষ অনেক আছে। অথৈ তুই কর তোর আসল ড্রামা ( মনে মনে) ও গো আমার স্বামী তুমি কেনো এমন করছো। কি দোষ আমার বলো। তুমি এভাবে আমাকে ছেড়ে যেও না স্বামী। (কাঁদো কাঁদো গলায়)
পরশ: এই মেয়ে একদম নাটক করবে না।
আচেনা লোক: কি হয়েছে মা। তুমি এভাবে কাঁদছো কেনো।
অথৈ: দেখুন না চাচা আমার স্বামী আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে এ্যা এ্যা।
পরশ: কে তোমার স্বামী।(ধমক দিয়ে)
অথৈ:কেনো করছো এমন স্বামী গো। দেখেছেন চাচা আমার স্বামী আমাকে ভুলে গেছে।
আচেনা লোক: কি ভাই আপনি এতো সুন্দর বউ ছেড়ে চলে যাচ্ছেন। আপনারদের মতো লোকদের পুলিশে দেওয়া উচিত।
পরশ: আপনারা ভুল করছেন আমি এই মেয়ে স্বামী না।
অথৈ: কেনো মিথ্য কথা বলছেো স্বামী। তুমি আমাকে মরো বকো তবুই আমাকে ছেড়ে যেও না।এই আকাশ বাতাস রাস্তা স্যাক্ষী আছে তুমি আমার স্বামী।
পরশ: এই মেয়ে ভালো হবে না বলছি।( রাগী গলায়)
অচেনা লোক: এ ভাই ভালো এবার আপনার হবে না। কি ভাবেন নিজেকে ঘরে বউ রেখে অন্য মেয়ে মানুষ কাছে য়াওযা না।
পরশ: মুখ সামলিয়ে কথা বলুন।
অচেনা লোক: কি করবেন আপনি বলে পরশকে ধাক্কা দিলো
অথৈ: এবার সামলাও পাচু। অথৈর পেছনে লাগলে এমনি হয়। এখন আমাকে এখান থেকে ভাগ তে হবে। এই আটো সামনে দিকে চলো বলে আটোতে উঠে পড়লো।
পরশ: দেখুন ওই চরম অভস্য। গতো কাল আমাকে স্বামী পরিচয় দিয়ে ৪০০০০ টাকার শপিং করে নিয়ে গেছে।
অচেনা লোক: আপনার কোনো কথা শুনা যাবে না।
পরশ:অথৈ অথৈ যা চলে গেলো। যাবে বা কোথায়। আমি ঠিক তোমাকে খুজে বের করবো। আর তোকে দেখে নেবো…….
(চলবে)