বজ্জাত বউ পর্ব ২৮
লেখিকা #বিলকিস
পর্ব ২৮
পরশ: আমি কাউকে বলিনি আমার জন্য চিন্তা করতে। আর হ্যা ভালো করে শুনে রাখো আমি বিয়ে করবো না মানে করবো না। ok ( বলে পরশ সিড়ি দিয়ে উপরে যেতেই দিশার চিৎকার শুনতে পাই)
দিশা: আম্মু কি হলো তোমার। কথা বলছো না কেনে ( কাঁদতে কাঁদতে বললো)
পরশ: আম্মুর কি হয়েছে ( সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে বললো)
দিশা: ভাইয়া আম্মু কথা বলছে না
পরশ: আম্মু আম্মু কথা বলো। এই আম্মু। আম্মুের চোখে মুখে পানি দিতে হবে তুই আম্মু এখানে থাক আমি পানি নিয়ে আসি। ( বলে পরশ পানি আনতে গেলো)
দিশা: আম্মু আম্মু চোখ খুলো আম্মু।
পরশ: আম্মু চোখ খুলো বলে ( চোখে মুখে পানি ছিটিয়ে দিলো)
দিশা: ভাইয়া আম্মু হাসপাতালে নিতে হবে। তুই গাড়ি বের কর।আমি হাসপাতালে ফোন করে একটা কেবিন বুক করছি।
পরশ: হ্যা বের করছি ( বলে পরশ গাড়ি বের করলো)
দিশা: ভাইয়া আমি হাসপাতালে ফোন করে দিয়েছি।
পরশ: তুই গাড়িতে ওঠ। আমি আম্মু কে গাড়িতে তুলছি ( বলে আম্মুকে কোলে তুলে
গাড়িতে নিয়ে দিশার কোলে উপর শুয়ে দিলো তারপর নিজের গাড়িতে বসে গাড়ি চালাতে শুরু করলো)
দিশা’ : আম্মু চোখ খুলো। ভাইয়া তারাতারি গাড়ি চালা।
পরশ: তুই আম্মুকে ডাকতে থাক আমি ৫ মিনিটের মধ্যে হাসপাতালে পৌছে যাবো।
দিশা: হ্যা ভাইয়া আম্মু আম্মু
৫ মিনিট পর
পরশ: এসে গেছি হাসপাতালে।(বলে পরশ আম্মু কে কোলে করে হাসপাতালে ভেতর ঢুকলো) ডাক্তার, নার্স আমার আম্মু
দিশা: ভাইয়া ৪২০ নাম্বার কেবিন আম্মুর জন্য বুক করা হয়েছে তুই ৪২০ নাম্বার আম্মুকে নিয়ে যা আমি ডাক্তার কে ডেকে আনছি। নার্স আপনি ভাইয়াকে সাহা্য্য করুন। বলে দিশা ডাক্তার ডাকতে চলে গেলো।
পরশ: নার্স চলুন
নার্স: আসুন আমার সাথে। আম্মু কথা বলো তোমার কিছু হতে দেবো না আমি আম্মু
দিশা: স্যার আম্মু( আহাদে রুমে ঢুকে বললো)
আহাদ: দিশা কি হয়েছে। এরকম করছো কেনো।
দিশা: আম্মু হঠ্যৎ করে মাথা ঘুরে পড়ে যাওয়ার পর আর কথা বলছে না স্যার। আমার আম্মু ( বলে কাঁদতে লাগলো)
আহাদ: দিশা আম্মুর কিছু হবে না আমি তো তুমি কান্না বন্ধ করো ( বলে চোখের পানি মুছে দিলো)
দিশা: আম্মুর ভালে হয়ে যাবে তো।
আহাদ: ইশ আল্লাহ। চলো আমার সাথে ( বলে আম্মুর কেবিনের দিকে যেতে লাগলো।
পরশ: আহাদ আমার আম্মুকে যে করে হক ভালো করে দাও।
আহাদ: ভাইয়া আপনি চিন্তা করবেন আমি দেখছি আম্মুর কি হয়েছে বলে ( কেবিনের ভেতর ঢুকলো)
পরশ: আজ আম্মু এই অব্যস্থায় জন্য আমি দায়ী। ( বলে পরশ কাঁদতে লাগলো)
নতুন নতুন রোমান্টিক গল্প পেতে ভিজিট করুন আমাদের ফেসবুক পেজ: “নিঃস্বার্থ ভালোবাসা”
অপর দিকে
অথৈ: আমি কিছুতেই বিয়ে করবো না। আমি বাড়িতে থেকে পালিয়ে যাবে। কিন্তু পালিয়ে যাবে টা কোথায়। দুর ভালো লাগে না। কতো স্বপ্ন দেখছিলান যে সালমান কে বিয়ে করছে , কতো সাংবাদিক আমাদের ছবি তুলছে। কতো মানুষ আমাকে দেখছে আহ্ কিন্তু সব স্বপ্নের পানি ঢেলে দিলো। সালমান খান আমি তোমাকে ছাড়া অন্য কারো হতে পারবো না কখনো না। তুমি সুপারম্যানের মতো উড়ে এই কারাগার থেকে নিয়ে যাও। আমি তুমি আর বল্টু এই তিনজন মিলে সুখের সাংসার পাতবো। এই চুড়ি আমাদের সমস্য চাই না এই চুড়ি । আমি শুধু তোমাকে চাই। ( বলে চুড়ি খুলে ফেললো) ।
আবির: আপি তোর স্বপ্নো স্বপ্ন থাকবে কোনো দিন পুরন হবে না।
অথৈ: তুই কখন আসলি আমার রুমে
আবির: অনেক ক্ষন এসেছি তুই খেয়াল করিস নাই। ভালো কথা আমি তোর ভাই একটা উপদেশ দেই। তুই না আজে বাজে চিন্তা মাথায় থেকে দুর করে আম্মু কাছ থেকে কিছু কাজকর্ম শেখ। তাতে তোর উপকার হবে।
অথৈ: আসলেন আমার উপকারী। তুই যা এখান থেকে যা।
আবির: ফ্রিতে উপদেশ ভালো লাগলো না তো শশুড় বাড়ি গেলে বুঝবি কতো ধানে কতো চাল।
অথৈ: তুই আমার ভাই।
আবির: হ্যা মায়ের পেটের ভাই।
অথৈ: তুই যা তো আমার রুম থেকে যা বলছি। যদি না যাস তাহলে থাপ্পার দিয়ে তোকে বাংলাদেশের বাইরে পাটিয়ে দেবো।
আবির: যাচ্ছি যাচ্ছি( বলে আবির চলে গেলো)
অথৈ: আমাকে কিছু একটা করতে হবে আর সেটা আজ রাতেই করতে হবে। তোমরা ঘুঘু দেখেছো ফাঁদ দেখবো। আমাকে না জানিয়ে আমার বিয়ে ঠিক করা না। দেখে কাল কি হয়।
এদিকে
পরশ: দিশা অনেক সময় হলো আহাদ বের হচ্ছে না কেনো। আম্মু জটিল কিছু হয়নি তো।
দিশা: এই তো স্যার। স্যার আম্মু
পরশ: আহাদ আম্মু ঠিক আছে তো। কোনো কথা বলছো না কেনো আম্মু ভালো হয়ে যাবে তো।
আহাদ: দেখো ভাইয়া আমি আম্মুকে দেখছি। দেখে য়া মনে হলো ওনি অনেক কষ্ট পাওয়া জন্য এ রকম হয়েছে। এই ধরনে রোগী ক্ষেএে এদের কোনো টেনশন, হার্ট করা যাবে না। এদের কে সবসময় হাসিখুশি রাখতে হবে। আমি ইনজেকশন দিয়েছি কিছু সময় পর জ্ঞান ফিরে আসবে।
পরশ: আমি আম্মুকে দেখতে পারি।
আহাদ: পারো তবে কোনো কথা বলা যাবে না।
পরশ: ঠিক আছে। ( বলে পরশ কেবিনে ফিতরে ডুকলো ও আম্মু পাশে বসলো) আম্মু আমি তোমার কিছু হতে দেবো। আমি তোমাকে ছাড়া মরে যাবো আম্মু। ( বলে পরশ আম্মুর হাত ধরে কাঁদতে লাগলো)
আম্মু: পরশ
পরশ: আম্মু তোমার জ্ঞান ফিরেছে।
আম্মু : পরশ তুই এখানে কেনো এসেছিস। তুই বাড়ি যা। তোর আম্মু মরে গেলে তোর কি আসে যাই। তোর আম্মু তো সবসময় তোর খারাপ টাই চাই। উপর আল্লাহ আমাকে তুলে নিলেনা কেনো।
পরশ: না আম্মু এসব কথা ভুলেই মুখে আনবে না। তুমি ছাড়া আমি খুব একা। তুমি যা চাইবে আমি তাই করবো। তুমি চাওআমি বিয়ে করি ঠিক আছে আম্মু আমি প্রমিজ তুমি যে মেয়েকে বিয়ে করতে বলবে আমি সেই মেয়েকে বিয়ে করবো শুধু তুমি ভালো হয়ে আম্মু (বলে হাতে চুমু খেলো) তারপর কেবিন থেকে বের হয়ে চলে গেলো।
দিশা: আম্মু তোমার জ্ঞান ফিরেছে। তুমি এখন কেমন লাগছে।
আম্মু: আমি ঠিক আছে তোর ভাইয়া কোথায় গেলো রে।
দিশা: জানি না ভাইয়া কিছু না বলে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে গেলো।
আম্মু : দিশা একটা দারুন খবর আছে। তোর ভাইয়া বিয়েতে রাজি হয়ে গেছে।
দিশা: কি বলছো আম্মু
আম্মু: হ্যা আমি সত্যি বলছি। সামনের সোমবার তোর ভাইয়া বিয়ে তুই এক কাজ কর তোর ভাইয়া বসকে ফোন করে বলে দে।
দিশা: ঠিক আছে আম্মু এখনে বলছি বলে ফোন হাতে নিয়ে কেবিনে বাইরে চলে গেলো।
পরশ: আহ্ ( রাস্তায় মাঝখানে হাটু গেরে বসে চিৎকার করলো) আমি পরছি না মিষ্টি। আমি আর পারছি না। আমি কি করে পারবো তোমার জয়গায় অন্য একটা মেয়েকে বসাতে। আমি যে তোমাকে নিজের থেকে অনেক ভালোবাসি। তোমার প্রতিটা ছোয়া আজও আমাকে আকরে ধরে রাখে। আমাকে তুমি ভুল বুঝোনা মিষ্টি। আমি কি করবো তুমি বলে দাও। আমি আম্মুকে ছাড়া থাকতে পারবো তোমাকে ভুলতে পারবো না। এ কোন প্রশ্নের মুখে ফেললে তুমি খোদা। যা কেনো উওর পারছিনা। কেনো হচ্ছে এরকম আমার সাথে কেনো( বলে রাস্তায় মাঝখানে বসে কাঁদতে লাগলো। হঠ্যৎ করে কেউ একজন পরশের কাধের উপর হাত রাখতেই পরশ ঘুরে তাকাতেই বললো……..
..(চলবে)