#গল্প_নয়
তিন মাসের শিশু কন্যা স্নেহাকে নিয়ে স্বামীর পায়ে পড়ে দয়া ভিক্ষা করেছিলাম আমাকে যেন তাড়িয়ে না দেয়। সে এক ঝটকায় টান দিয়ে পা সরিয়ে নিল। তাকিয়ে দেখলাম শাশুড়ি মা কাঁদছেন, না না এই কান্না আমাকে তাড়িয়ে দেবার জন্য না বরং তার পুত্রধনটি এত দেরি করে ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছে সেই কষ্টে। যদি আরো আগেই বুঝতো তাহলে আমার শিশু কন্যাটির জন্ম হতো না।
হ্যাঁ আমারও দোষ ছিল আমিও কোনদিন তার সাথে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা করিনি। উনি যখন আমার মৃত বাবা আর বৃদ্ধা মাকে নিয়ে গালিগালাজ করতেন তখন আমি প্রতি উত্তর করতাম, মুখ বুজে সহ্য করতে পারতাম না। বাবার বাড়ি থেকে যৌতুক হিসেবে কিছুই আনতে পারিনি এই হিসেব যখন উনি বর্ণনা করতেন তখনও আমি চুপ না থেকে বলেই ফেলতাম আবার যদি এই সমস্ত প্রসঙ্গ টানে তাহলে আমি নারী নির্যাতন সহ যৌতুক মামলা করবো। মাঝে মাঝে আমার ননদ যখন তার মায়ের সাথে তাল মিলাতো সেখানেও আমি চুপ করে থাকতে পারতাম না বলেই ফেলতাম নিজের পড়াশোনায় যেন মনোনিবেশ করে। এই সব কিছুই ছিল আমার দোষ, আমি চুপ থাকতে শিখিনি, আমি প্রতিবাদ করতে শিখেছি, আমি অভিনয় করতে পারি না, আমি বুক ভরা কষ্ট নিয়ে মুখে মেকি হাসি হাসতে জানি না, ফলাফল এই দিন।
আমার স্বামী শ্রাবণ মানুষ হিসেবে কেমন তা জানার অবকাশ আমার তেমন একটা হয়নি। এরেঞ্জ ম্যারেজের সুবাদে তাকে খুব একটা কাছ থেকে জানা হয়নি। আমাদের কোন হানিমুন হয়নি এমনকি একান্ত কোন সময় আমরা কাটাই নি । সে সকালে অফিস যেতো রাতে ফিরে আসতো। আমি খাবার নিয়ে অপেক্ষা করতাম, চুপচাপ খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়তো। মাঝে মাঝে শারীরিক আকাঙ্ক্ষা মিটিয়ে নিতো ওই সময়টুকুই একান্ত ছিল। আমাদের বিয়েটা হয়েছিল আমার প্রয়াত শশুর আব্বার আগ্রহে, উনি আমার বাবার কলিগ ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর আমাদের খোঁজখবর নেয়ার জন্য উনি মাঝে মাঝে বাড়ি আসতেন। তখনই মাকে কথা দিয়েছিলেন আমার বিয়ের ব্যাপারে যেন চিন্তা না করেন এবং উনি উনার কথা রাখলেন নিজের ছেলেকে দিয়ে। আমার মাঝে মাঝে মনে হতো হয়তো খানিকটা জোর করেই শ্রাবণের উপর আমার দায়িত্ব উনি চাপিয়ে দিয়েছিলেন যার কারণে কোনদিন শ্রাবণ আমাকে ঠিকঠাক স্ত্রীর মর্যাদা দেয়নি।
বিয়ের মাত্র আটাশ দিনের মাথায় আমার শ্বশুর স্ট্রোক করে মারা যান। তারপরেই নেমে আসে আমার ওপর দুর্বিসহ অত্যাচার। আগেও যে আমাকে কথা শুনতে হতো না এমনটা না তবে সেটা একটা সীমার মধ্যে ছিল কিন্তু তার মৃত্যুর পর ওই বাড়িতে থাকাটাই যেন আমার জন্য দায় হয়ে গেল। শাশুড়ি মা বারবার বলতেন বিয়ের পর যৌতুক হিসেবে আমি কিছুই নিয়ে আসিনি, যেন বাবার বাড়ি থেকে তাদের চাহিদা অনুযায়ী জিনিসপত্র এনে দেই তা না হলে নাকি তার মেকি সমাজে সে মুখ দেখাতে পারছে না। যদিও শ্রাবণ কোনদিন সেসব কথা আমাকে বলেনি কিন্তু সে তার মাকেও কখনো বাঁধাও দেয়নি।
এইসবের মাঝেই আমার পেটে স্নেহা এলো। প্রথমে আমি কাউকে কিছু বলিনি ,সত্যি বলতে কি আমি জানতাম যদি পেটের বাচ্চার কথা বলি ওরা কোন না কোন ভাবে হয়তো আমার বাচ্চাটাকে শেষ করে দেবে কিন্তু সাড়ে চার মাস হয়ে যাওয়ার পর তা আর ঢেকে রাখা গেল না। আমার শাশুড়ির মরা কান্না শুরু হয়ে গেল কারণ উনি যেনতেন ভাবে আমাকে সরিয়ে উনার নিজের ভাগ্নিকে ছেলের বউ করতে চেয়েছিলেন। উনার বোনের প্রচুর সম্পত্তি সব কিছুর উত্তরাধিকার ঐ মেয়ে। হয়তোবা শ্রাবণেরও তাতে মত ছিল, জানিনা।
আমার শত আকুতি উপেক্ষা করে আমাকে প্রায় লাথি মেরে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হলো এবং সপ্তাহখানেক এর মাথায় ডিভোর্স লেটারটাও হাতে পেয়ে গেলাম। ডিভোর্স লেটার এসেছে দেখে আমার মা এই ধকল আর সহ্য করতে পারলেন না চলে গেলেন পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে, আমার মায়া কাটিয়ে। আমি তখন মায়ের মৃত্যু শোক পালন করবো নাকি নিজের ডিভোর্সের শোক পালন করবো কিছুই বুঝতে পারিনি। মায়ের দাফন শেষ করে ছোট্ট স্নেহাকে কোলে নিয়ে প্রায় ভিখারির মতো শ্রাবণের অফিসে গিয়ে উপস্থিত হলাম। আমি যতদূর জানি তিনবার উকিল নোটিশ পাঠাতে হয় তারপর ডিভোর্স সম্পন্ন হয় এটা তো প্রথমবার কাজেই সুযোগ আছে। প্রথমে সে দেখা করতে চাইল না কিন্তু পরে কি বুঝে বাইরে একটা ক্যাফেতে আমাকে বসতে বলল পিয়নের মারফতে।
প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে বসে ছিলাম । এদিকে স্নেহা কাঁদছে, ওর ক্ষুধা লেগেছে। একজন ওয়েটারকে জিজ্ঞেস করলাম এখানে বাচ্চাদেরকে খাওয়ানোর মত কোন প্রাইভেসি আছে কিনা যেহেতু ও তখনও বুকের দুধ খায় । ওয়েটার অদ্ভুত চোখে আমার দিকে তাকালো। আমার মনে তখন কি চলছে শুধুমাত্র আমার বিধাতাই জানে। আমার মেয়েটা ক্ষুধায় কাঁদছে, সবাই বিরক্ত হচ্ছে বুঝতে পারছি কিন্তু কিছু করতে পারছি না। বাধ্য হয়ে সবার সামনেই কোন রকম ভাবে ওড়না দিয়ে ঢেকে বাচ্চা মেয়েটিকে খাইয়ে শান্ত করলাম ।প্রায় দু ঘন্টা পর শ্রাবণ এলো। কাঁদতে কাঁদতে তাকে আমার মায়ের মৃত্যু সংবাদ দিলাম। কিছুটা হাই তুলে শ্রাবণ বললো,
-শুনেছি, তো আমি কি করবো?
আমি ঠোঁট কামড়ে জোর করে চোখের পানি আটকে রেখে ওকে বললাম,
– দয়া করে আমাকে ডিভোর্স দিয়ো না আর কোন ডিভোর্স লেটার পাঠিও না, আমাদের বাচ্চা মেয়েটির কথা ভাবো । তুমি তো জানোই আমার বাবা মারা গেছে অনেক আগেই সম্পত্তি বলতে তেমন কিছুই নেই , মাও চলতেন খুব কষ্ট করে কোথা থেকে তোমাদের চাহিদা মেটাবো বলো। যেখানে আমি কাল কি খাবো তাই জানিনা, শুধু দুই রুমের একটা বাড়ি ছাড়া আর কিছু নেই, কিছুই তো তোমার অজানা না।
-তুমি এসব বলার জন্য আমাকে ডেকেছো নাকি! তুমি কি জানো আমার অফিসে কত কাজ?
-শ্রাবণ তুমি আমার স্বামী একটু দয়া করো , তুমি আমার বাচ্চার বাবা আমার বাচ্চাটার উপর একটু দয়া করো
-শোন সোমা, তুমি ভেবোনা যে শুধু যৌতুকের জন্য আমি তোমাকে ছেড়ে দিয়েছি ওইসব ব্যাপারে আমার কোন ইন্টারেস্ট নেই, মোট কথা তোমাকে আমার পছন্দ নয় । তাও হতো মা যদি তোমাকে পছন্দ করতো, এমনকি আমার বোনটাও তোমাকে পছন্দ করে না আর অনেকদিন থেকেই ঐশী মানে আমার ওই খালাতো বোন ওর সাথে আমার একটা সম্পর্ক আছে বাবার কারণে যা পূরণ হতে পারেনি। বাবা সব সময় বলতো ঐশীর বাবা নাকি ঘুষখোর, ঘুষ খেয়ে এত টাকা জমিয়েছে তাই ওই ঘরে সম্বন্ধ হতে পারে না। এখন বাবা নেই আর কোন ঝামেলাও নেই। তুমি এখন যেতে পারো আর যদি চাও তো কাবিনের টাকার জন্য কেস করতে পারো এমনি এমনি আমি তোমাকে টাকা দিয়ে দিব না। আমার বাড়িতে খেয়েছো থেকেছো তার একটা দাম তো তোমাকে দিতেই হবে।
শ্রাবণ চলে গিয়েছিল আমি হা করে তার দিকে তাকিয়ে ছিলাম আমার স্নেহা আবার কেঁদে উঠেছিল। সে কি ক্ষুধার কষ্টে নাকি মায়ের এই অবস্থা দেখে তা শুধু আমার আল্লাহই জানেন।
যাক সেসব অতীতের কথা, কি বীভৎস সেই সব দিন! আমি আর তা মনে রাখতে চাইনি পার করে দিয়েছি পাঁচটি বছর। আজ আবার যাচ্ছি শ্রাবণের সাথে দেখা করতে, ফোন করে সেই আমাকে ডেকেছে।
-হ্যালো সোমা, কন্ঠটা শুনেই শিউরে উঠলাম, চিনতে পারছ আমি শ্রাবণ
-হ্যাঁ বলো
-তোমার সাথে একটিবার দেখা করতে চাই
-আমার সাথে! জানি না কেন খুব হাসি পেল, আমি অট্টহাসিতে ফেটে পড়লাম
-প্লিজ সোমা একবার এসো অনেক কিছু বলার আছে তোমাকে
-কোথায়?
-তুমি বলো
-সেই ক্যাফেতে যেখানে শেষবার তোমার সাথে দেখা হয়েছিল
-ওখানেই কেন?
-আমার ইচ্ছে, যদি দেখা করতেই চাও তাহলে কাল ঠিক বিকেল পাঁচটার মধ্যে চলে এসো, আমি একটু হাই তুলে ফোনটা কেটে দিলাম।
ঘড়িতে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা বাজে। শ্রাবণ ফোনের পর ফোন দিয়ে যাচ্ছে আমি চুলটা আঁচড়ে নিচ্ছিলাম। সেদিন সে আমায় দুই ঘন্টা অপেক্ষা করিয়েছিল। না একদম না আমি তার প্রতিশোধ নিচ্ছি না আসলে আমি ঘুমিয়ে গিয়েছিলাম হয়তো নিজের মনকে প্রবোধ দিলাম এই কথাটা বলে, মনের মধ্যে হয়তো প্রতিশোধ টাই জেগে ছিল। ফোনটা ধরে বললাম আসছি।
আরো প্রায় ঘন্টাখানেক পর গিয়ে উপস্থিত হলাম।
-সোমা আমার ভুল হয়ে গেছে, আমাকে ক্ষমা করো
– কেন হঠাৎ আবার কি হলো যে পাঁচ বছর পরে আমার কথা তোমার মনে পরলো?
– আমাকে মাফ করে দাও সোমা, তোমাকে ছেড়ে দিয়ে আমি ভুল করেছিলাম
-এতদিন পরে এসব কথা কেন উঠছে ,আমি বুঝতে পারছি না তাছাড়া আমি শুনেছিলাম যে তুমি তোমার সেই খালাতো বোনকে বিয়ে করেছিলে তার কি হলো? খানিকটা ভ্রু কুঁচকে বললাম
-আসলে ও বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম তাই তালাক টা দিয়ে দিলাম, মা একেবারেই পছন্দ করছে না। উনি বংশের একজন উত্তরাধিকার চান আর এটা তো দরকার তাই না তুমিই বলো শ্রাবণ খানিকটা ঝুঁকে আমার দিকে বললো
আমি খুব কষ্টে হাসি চেপে রেখে বললাম,
-মানে তুমি মায়ের ইচ্ছাতেই দ্বিতীয় তালাকটাও দিলে! আমাকে না হয় তোমার পছন্দ ছিল না কিন্তু তোমার ওই কাজিনের সাথে তো মোটামুটি বলতে গেলে প্রেম ছিল তোমার
শ্রাবণ মাথা নিচু করে বসে থাকলো
-আমাকে আরেকটা সুযোগ দাও, তাছাড়া আমাদের মেয়েটার কথাও তো ভাবতে হবে
-তুমি জানো ওর বয়স কত? পাঁচ বছরের কিছু বেশি, ও চেনেই না তোমাকে
-আমি সব ঠিক করে দেব
– আচ্ছা,আমি রাজি
-সত্যি বলছো সোমা!
-হ্যাঁ সত্যি বলছি কিন্তু একটা শর্ত আছে
-বলো আমার কোন সমস্যা নেই, আমি তোমার সব শর্ত মেনে নেব
-আগামী পাঁচ বছর তুমি তোমার মা বোন কারো সাথে কোন রকম সম্পর্ক রাখতে পারবে না, টাকা পয়সা দিতে পারবে না, মানে শুধু তুমি আমি আর আমাদের মেয়ে আর কেউ না।
-এসব কি বলছো! আমি তাদের কিভাবে ছাড়তে পারি? আমার আয়ে সংসার চলে, না খেয়ে মারা যাবে সবাই, বাড়ি ভাড়া দিবে কি করে, থাকবে কোথায়, তোমার কি মাথাটা খারাপ হয়ে গেল সোমা?
-এক্স্যাক্টলি, আমি এই ধরনের একটা প্রশ্নই তোমার কাছ থেকে আশা করছিলাম। আমাকে যখন তাড়িয়ে দিয়েছিলে তখন কি তোমার মনে একবার আসেনি আমি এই দুধের বাচ্চাটাকে নিয়ে কোথায় যাব, কি খাব, কি করে আমার দিন কাটবে, যদিও বা কোন কাজ ম্যানেজ করে নেই তারপরেও এই দুধের শিশুকে রেখে আমি কিভাবে কাজে যাব? না একবারও তোমার মনে পড়েনি। আমার মা মারা গেলে ভিখারির মতো তোমার দুয়ারে গিয়েছি আর তুমি দূর দূর করে আমাকে তাড়িয়ে দিয়েছো। একটিবার নিজের বাচ্চাটার কথাও তুমি চিন্তা করো নি। আমাকে তোমার অপছন্দ ছিল সেটা আমার জীবনটা নষ্ট করার আগেই অন্তত চুপিসারে আমাকে জানিয়ে দেয়া উচিত ছিল। আমি নিজেই না হয় বিয়েটা ভেঙে দিতাম।
-আমাকে মাফ করো সোমা
-অসম্ভব ক্ষমা তাকে করা যায় যে ভুল করে কিন্তু যে অপরাধ করে সে ক্ষমার অযোগ্য
-প্লিজ সোমা একটু বোঝো
– শর্ত মেনে নাও কয়েকজন সাক্ষীর উপস্থিতিতে, আমি রাজি , তোমার মা বোনকে পাঁচ বছরের জন্য একলা ছেড়ে দাও, আমি স্মিত হেসে ব্যাগটা নিয়ে আর একবারও পেছনে না তাকিয়ে হেঁটে চলে এলাম।
জানি শ্রাবণ কখনোই সেটা পারবে না। একজন প্রকৃত মানুষ হিসেবে আমারও উচিত নয় এই ধরনের অযৌক্তিক কোন চাওয়া শ্রাবণকে দিয়ে পূরণ করানো কিন্তু তখনই আমার চোখে ভেসে আসে সেই দুঃসহ দিনরাত গুলোর কথা। মা মারা যাবার পরে ঘরে এমন কোন সঞ্চিত অর্থ ছিল না যা দিয়ে আমি দিন পার করতে পারি। আমার আয়ের কোন ব্যবস্থা ছিল না। নিজে খেতে পেতাম না, বুকে দুধ আসতো না স্নেহা কাঁদতেই থাকতো। সেই দুঃসহ দিনগুলোতে আত্ম*হত্যা করতে ইচ্ছে হতো কিন্তু তারপর স্নেহার মুখের দিকে তাকিয়ে পাশের বাড়ির এক কাকা আর কাকিমার পরামর্শে তার অফিসে ফুড ডেলিভারির কাজ শুরু করলাম । প্রথম পুজিটা কানের একজোড়া দুল বিক্রি করে শুরু করেছিলাম। আমি রান্না করতাম কাকার ছেলে সেগুলো ডেলিভারি দিয়ে আসতো। এখন আলহামদুলিল্লাহ ছয়জন ডেলিভারি ম্যান আমার আন্ডারে কাজ করে। সড়ক দুর্ঘটনায় কাকার মৃত্যুর পর আমিই ঐ পরিবারের দায়িত্ব নিয়েছি, ছেলেটিও অনার্সে ভর্তি হলো এই বছর। সময় বদলায় আজ অথবা কাল আমি বরং ভুল ছিলাম হাতে পায়ে ধরে মিনতি করেছিলাম যেটা একদমই উচিত না।
হ্যাঁ জীবনসঙ্গী দরকার কিন্তু টক্সিক রিলেশনশিপে থাকার কোন অর্থই হয় না যেখানে বিন্দুমাত্র আত্মসম্মানবোধ থাকেনা। আর শ্রাবনের মতো স্বার্থপর জীবনসঙ্গী তো আমার একেবারেই চাই না যে কিনা আরও একটি মেয়ের জীবন নষ্ট করে এসেছে তাই তাকে “যে কোন একটা বেছে নাও” এর কাঠগড়াতে আমি তাকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছি, হয়তো আমি খারাপ হয়তো আমি ক্ষমা করতে শিখিনি হয়তো আমি উদার নই হয়তো আমিই পৃথিবীর সেরা নিকৃষ্ট মানুষ। কিন্তু আমার কাছে আমিই সেরা, এই আমাকেই আমি ভালবাসি, খুব ভালবাসি।