#ইশরাত_জাহান_জেরিন
#পর্ব_২৫
“শাড়ি খুলো।”
চিত্রা কিছুটা অবাক হয়ে ওঠে। চোখে আঙুল দিয়ে প্রশ্ন জাগে, “মানে?”
ফারাজ দাঁত পিষে বলল, “বাংলা বুঝো না? তোমাকে না বলেছি শাড়ি শুধুমাত্র আমার সামনে পড়বে? কি চাও তুমি তোমার জন্য আমার হাত র*ক্তাক্ত হোক?”
“ফারা….”
চিত্রাকে কথা বলার সুযোগ দেয় না ফারাজ। আলমারি খুলে নিঃশব্দে বের করল একখানা কালো রঙের কামিজ। নির্বিকার ভঙ্গিতে তা তার হাতে তুলে দিয়ে বলল,
“নাও বদলে ফেলো।”
চিত্রা হতবাক, “এখানে?”
ফারাজ বিদ্রূপের সঙ্গে জিজ্ঞেস করল,,”কেনো সমস্যা? লজ্জা করছে? নিচে যখন এত গুলো পরপুরুষকে পেট দেখাতে পেরেছ তাহলে এখন স্বামীকে দেখাতে অসুবিধা কোথায়?
চিত্রার কণ্ঠ কেঁপে উঠল,” আপনার কি হয়েছে? এমন করছেন কেনো?”
ফারাজ ক্ষিপ্ত হয়ে চিত্রার বাহু ধরে টেনে আনল নিজের কাছে, তার গাল চেপে ধরে নিঃসাড় চোখে বলল,
“ব্যাটি সহজ কথা বুঝো না? ইংরেজি মারতে হবে? শুনো চিত্রা তুমি কেবল আমার। কেন বুঝো না বাল? অন্য কেউ তোমাকে দেখুক,তোমার দিকে খারাপ নজর দেক আমি সহ্য করতে পারি না। শিরায় শিরায় জ্বালা ধরে। আর তুমি বলডি আগুনে ঘি ঢালো। মন তো চায় দেই দুইটা কানের নিচে লাগিয়ে। খালি আমার র*ক্তে মিশে গেছো দেখে ছাড় দিচ্ছি।”
“দেখুন শান্ত হন। কি এমন করেছি? কারা নজর দিলো?”
” এই চুপ! প্রশ্ন শুনতে চাই না। জাস্ট যা বললাম তাই যেন হয়। ফারদার আমার কথা অমান্য করলে তোমার সুন্দর পেটটায় সিগারেটের দাগ বসে যাবে। “
“আগুনকে আগুনের ভয় দেখাচ্ছেন এলাহী?”ঠোঁট বাঁকিয়ে ধীর কণ্ঠে বলল।
ফারাজ একটু থেমে, চোখের পাতা কুঁচকে গভীর দৃষ্টি মেলে বলল, “বোকা মেয়ে। আগুনের ভয় কেনো দেখাবো?মানলাম তুমি আগুন তবে আমি তো নই। আমি হলাম উত্তাল সমুদ্র। আগুনকে ধ্বংসের ক্ষমতা নিয়ে আমার জন্ম। মাইন্ড ইট।”
বলেই সে চিত্রার বাহু ছেড়ে দিলো, ওয়াইন কুলার খুলে বের করল মদের বোতল। ঢকঢক করে কয়েক ঢোক গিলে ফেলল। তারপর তার গভীর দৃষ্টি চিত্রার ওপর স্থির রেখে বলল,
“আমি নাস্তা নিয়ে আসছি। খাইয়ে দিবো আজ তোমাকে। ততক্ষণে বদলে নাও।”
চিত্রার মস্তিষ্ক যেন কিছুক্ষণের জন্য কাজ করা বন্ধ করে দিল। এ কেমন অদ্ভুত মানুষ? এ কেমন তার দ্বৈতসত্তা? এই তো একটু আগেও শক্ত কথা বলছিল। এখন আবার খাইয়ে দিবে বলছে? এই লোক নিজে খেতে পারে? হাত দিয়ে তো খেতে পারে না। অদ্ভুত ভাবে খায়। অভ্যাস তো কি সব ইংরেজদের মতো চামচ দিয়ে খাওয়ার। চিত্রার চোখে এই তো জল চলে আসবে বলে। তবুও সে শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। চোখে জল আসতে দিবে না সে। এতটাও দূর্বল নয় সে। কম্পিত গলায় সে কেবল জিজ্ঞেস করল,
“আপনি খাবেন না? খেয়েছেন?”
ফারাজ হেসে উঠল। ধীরচিত্তে শুধালো, “কখন খেলাম? তৈরি হও তোমার ক্লাস নেওয়া এখনো বাকি। ক্ষুধা তো আমি অবশ্যই মিটাবো বিবিজান।”
–
চিত্রা কামিজ পড়ে ওয়াশরুম থেকে বের হতেই নিচ থেকে আসা চেঁচামেচির শব্দে ঘাবড়ে যায়। এখন পর্যন্ত এমন চেচামেচি এই বাড়িতে কখনো হয় নি। চিত্রা রুম থেকে দৌড়ে বের হয়ে দোতলার বারান্দায় এসে দাঁড়ায়। নিচে উঁকি দিতেই বিষ্ময়ে তার চোখ বড় হয়ে আসে। নিচে হুলস্থুল কান্ড বেঁধেছে। চিত্রা মাথায় কাপড় দিয়ে জলদি দৌড়ে সিঁড়ি বেয়ে নিচে নামে। আয়েশার গায়ে হাত রাখতেই মেয়েটা নিচু গলায় বলে উঠল,
“আপা মাফ করবেন। আজ কাজের প্রথম দিন ছিল। এরই মাঝে যে এত বড় কান্ড ঘটে যাবে সেটা বুঝতে পারি নি। চিন্তার কিছু নেই আমি দাদিকে সামলাচ্ছি।”
আয়েশার পরিবারে তার দাদি ছাড়া কেউ নেই। সেদিন আশেয়ার পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে পেরে চিত্রার বেশ খারাপ লেগেছিল। তাছাড়া এই বাড়িতে কাজের মানুষের যদিও দরকার নেই তবুও একটা কাজের দোহাইয়ে যদি কারো জীবন চলে তাতে ক্ষতি কিসের? ফারাজকে রাজি করিয়ে চিত্রা এই বাড়িতেই আয়েশা আর তার দাদির থাকার ব্যবস্থা করে। আসলে পৌঢ়ার বয়স হয়েছে তো তাই হুটহাট নাটকীয়তা ভর করে। তা না হলে এমনিতে সে ঠিকই আছে। তবে সমস্যা হুট করে কালুর মায়ের চরিত্রে ঢুকে যাওয়া। ভুলবাল ইংরেজি বলা। এসব সে কোথা থেকে শিখেছে আয়েশা তাও জানে না। তবে সে এটা ভালোই করেই ভালো একটা কাজের তার খুব দরকার। লোকের পকেট মেরে কয়দিনই বা চলা যায়? অন্তত একটা পারমানেন্ট কাজ হলে, থাকার একটা জায়গা হলে দাদুকে ভালো একটা ডাক্তার দেখানো যাবে। কোন সমস্যার কারনে দাদু এমন পাগলামি করে তাও জানা যাবে।
“আজকে নো ছাড়িং কালুর বাপ। ইউ নো গু এনি জায়গা।”
“আরে ছাড়ুন প্লিজ। আমার তো বিয়েই হয় নি। কালুর বাপ কেমন করে হলাম?”
‘নু ইউ মিছা টক করতাছো। পিলিজ কালুর বাপ গু হাউজে। কালুর মিল্ক ফিনিস। ছু হি কানছে। মিল্ক বায় করতে হইবো।”
ফারাজ এতক্ষণ দাঁড়িয়ে তামাশা উপভোগ করছিল। এবার হাসি চেপে বলল, “আরে ওরে ছাড়ুন। ও কুদ্দুসের বাপ। ছাড়ুন বলছি ।”
বৃদ্ধা সঙ্গে সঙ্গে ক্ষেপে গেল। চোখ রাঙিয়ে ফারাজের দিকে আঙুল তুলে বলল, ” হু আর ইউ ননচেন্স হেন্ডু বয়? হুয়াই ইউ টক করতাছো আওয়ার মাঝে?
“এই বাল মাথা গরম হয়ে যাচ্ছে। থাম বুড়ি এইবার।”বলল অভ্র। ফারাজ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে মজা নিচ্ছে। খুব কষ্ট করে হাসি আটকে রেখে তামাশা দেখছে।
“ইউ চেটআপ কালুর বাপ। টাল মি হুয়াই ইউ আংগরি?
“বুড়ি তোমার চেটআপের গুষ্টি কিলাই। ছাড় কইলাম আমারে। শালী আয়েশা তোর মেন্টাল তাড় ছিঁড়া দাদিকে সামলা। তোদের দুইটারে মেরে কিন্তু যমুনায় ভাসাবো। উদ্ধার কর আমাকে শালী ডাব চোর।”
“দেখ শালা তুই আমারে ডাব চোর কইবি না? ইগোতে লাগে।”
“তোমার গুয়ে লাগে বাল। এই ফারাজ ভাই এই চোরকে কেন ঘরে জায়গা দিছেন? এই শালী তো ছ্যাচড়া পকেটমার। ঘরের জিনিসপত্র হিসাব করেন জলদি। একটা কমলেই বুঝবেন এই চুন্নী চুরি করে চোরা বাজারে সাপ্লাই করে দিয়েছে। এই ভাবী কাজটা ভালো করেন নি আপনি। দুঃখে অঙ্গে অঙ্গে যন্ত্রণা করছে।”
সবার ধৈর্যের বাঁধ যখন ভাঙতে বসেছে, ঠিক তখনই ফারাজ গম্ভীর গর্জনে ধমক দিলো, “চুপ!”
শব্দটা বজ্রপাতের মতো পড়ল। মুহূর্তেই চারপাশ স্তব্ধ হয়ে গেল। বৃদ্ধার অদ্ভুত পাগলামিও নিমেষে উবে গেল। সে কয়েক মুহূর্ত চারপাশে তাকিয়ে, ধীরে হাত ছেড়ে দিলো। তারপর কুঁকড়ে গিয়ে লজ্জিত স্বরে বলল,
“মাফ করবেন তবে আমি আপনারে এমন কইরা ধরছি ক্যান?”
অভ্র মুখ বাঁকিয়ে বলল,”লাভিং করতে।”
“ওইডা কি?”
“আপনার জানার দরকার নেই। আপনি নিজের ঘরে যান বিশ্রাম নেন।” অভ্রর হয়ে ফারাজই জবাব দিয়ে দিল। আয়েশা তড়িঘড়ি করে দাদিকে নিয়ে চলে গেল। অভ্র একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল। তবে কি এখন থেকে রোজ এসব সহ্য করতে হবে? অভ্র গলার শিরা টান করে বলল,
“বাপরে বউ না থেকেও এত যন্ত্রণা, থাকলে না জানি কি হতো!”
–
মারিয়া রান্নাঘরে একা। ঘরের শ্যাওলা ধরা দেয়ালে আঁচল ঠেকিয়ে ঘাম মুছে অস্ফুট স্বরে আপনমনে বকবক করে চলেছে। সংসারের প্রতি তার ক্ষোভ জমছে দিনকে দিন। ক্ষোভ থাকবেই না বা কেন? চিত্রা থাকাকালীন সব কাজ সে-ই করেছে, আর মারিয়া ও বাকিরা ছিল ভোগের আসনে। কিন্তু চিত্রা বিদায় নেওয়ার পর থেকে গোটা সংসারের বোঝা তার কাঁধে এসে পড়েছে। সোহাগের আচরণও ইদানীং রহস্যময় হয়ে উঠেছে। রাতের অন্ধকারে কোথায় যায়, কী করে, কারও জানা নেই। দিনে ফিরে আসে, ঘুমায়, আর বাজার-সদাই করে। কথায় আছে, সংসারে যার স্বামীর আয় বেশি, তার সুখও বেশি। এখন মারিয়া এসব করায় গন্ডায় উপলব্ধি করছে। মাহদী এক সামান্য মিলে কাজ করে, মাইনের অঙ্ক হাস্যকর রকমের কম। ফলে সংসারে তার গুরুত্বও ততটাই নগণ্য। আর মার্জিয়া? সদ্য বিবাহিত এক নববধূকে নিয়ে আহ্লাদের শেষ নেই তার। সারা জীবন মারিয়ার পাশে থেকেও এক নবাগত নারীর স্নেহে সে ইদানীং মোহাবিষ্ট হয়ে পড়েছে।
মারিয়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে। কড়াইয়ে ঢাকনা চাপা দিয়ে আঁচল দিয়ে ঘাম মুছতে যায়। এমন সময় হঠাৎ পেছন থেকে একজোড়া বাহু তাকে জড়িয়ে ধরে। আতঙ্কে তার বুক ধক করে ওঠে। চিৎকার করতে যাবে এমন সময় শক্ত একটি হাত তার মুখ চেপে ধরে। মারিয়ার মুখ থেকে গোঙানির শব্দ বেরোয়। এক ঝটকায় ঘাড় ফিরিয়ে তাকাতেই চোখ বিস্ফারিত হয়ে যায়।
“এমন করে চেঁচাও কেন?”
মাহদী মার্জিয়ার মুখ থেকে হাত সরিয়ে নেয়।”পিরিত দেখাইতে আইসো?এগলা ভালো লাগে না। ক্যান যে করো।”
মাহদীর কণ্ঠ নির্বিকার,”পেটে বহুত ক্ষুধা। রানদা হইছে? হইলে খাওন দাও।”
“হয় নাই। শাক বসাইছি কেবল। এক হাতে মানুষ কত কি করে? জান্নাতরে তো আম্মা কামই করতে দেয় না।”
মাহদী মার্জিয়াকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“সব ছাইড়া তুমি আমার কাছে আসছো। তবুও তোমারে আমি সুখ দিতে পারলাম না।”
স্বামীর কন্ঠস্বর বদলে যায়। সেই কন্ঠস্বর শুনে মারিয়া বিচলিত হয়ে তার দিকে চেয়ে বলল,
“এইভাবে কেন বলতাছো?”
মাহদী চোখ নামিয়ে নেয়। “জানো মারিয়া, মানুষ যখন অভাবে পড়ে, তখন তার ভালো-মন্দের বোধও লুপ্ত হয়। সে বুঝতে পারে না কোথায় পা দিচ্ছে, কার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছে। তার মাথা ঠিক থাকে না, লোভ তারে অন্ধ করে ফেলে। কিন্তু একদিন হুট কইরাই সে অনেক টাকার মালিক হয়ে যায়।”
মারিয়া চোখ কুঁচকে তাকায়,”এসব কি যে কও?”
মাহদী ধীর পায়ে এগিয়ে আসে। তার কপালে আলতো করে চুমু খেয়ে ফিসফিস করে,
“তোমারে আমি সব দিমু মারিয়া। রানি কইরা রাখমু। সেইদিন বেশি দেরিতে নাই।”
মারিয়া ধীরে ধীরে মাথা রাখে স্বামীর বুকে। কিন্তু কেন জানি বুকের গভীরে এক আশঙ্কা ঘনায়মান হয়ে উঠেছে। তার ভয় হচ্ছে……খুব ভয়।
–
দুপুর গড়িয়ে বিকেল। ফারাজ এই সময়ের পুরোটাই নিচেই কাটিয়েছে। উপরে ওঠার প্রয়োজন অনুভব করেনি। চিত্রাকে খাবার খাইয়ে দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সে তা করেনি। সকালবেলার দৃশ্য বারবার তার মনের আয়নায় ভেসে উঠছিল। সেই অস্বস্তি ও ক্রোধ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে সে সারাদিন হলরুমে বসেই কাজে নিমগ্ন ছিল। মিতালিকে দিয়ে সে চিত্রার রুমে নাশতা পাঠিয়েছিল, কিন্তু চিত্রা একবারের জন্যও নিচে নামেনি। এমনকি ফারাজ কী করছে, কোথায় আছে তা জানার বিন্দুমাত্র কৌতূহলও প্রকাশ করেনি। তার এই নির্লিপ্ততা, এই উদাসীনতা প্রমাণ করে কতটা বেইমান সে। তবে আশ্চর্যের বিষয়, এখন আর ফারাজের মনে কোনো ক্রোধ নেই। মন হালকা হতেই সে কিচেনে যায়। আজ সে নিজ হাতে রান্না করবে চিত্রার জন্য। বিদেশি খাবার। ডেনমার্কের পরিচিত একটা স্যুপ। নাম “গ্রোনসাকসুপে।” রান্নাঘর থেকে বাকিদের বের করে দিয়েছে ফারাজ। শুধু নিরুকে নিজের পাশে রেখেছে। তবে মিতালি মাঝে মাঝেই উঁকি দিচ্ছে রান্নাঘরের ফাঁক দিয়ে। নিরুকে তার একদমই সুবিধার মনে হচ্ছে না। যদি সে খালুর সঙ্গে অতিরিক্ত সখ্যতা গড়ে তোলে? যদি অনাহূত ঘনিষ্ঠতা তৈরি হয়? তাহলে চিত্রা আপার কী হবে? না, তাকে পাহারা দিতে হবে, কড়া পাহারা। অভ্রও তার পেছনে উঁকি দিচ্ছে, সে-ও এই ঘটনা নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখছে। এমন সময় হঠাৎ অভ্র গরম নিশ্বাস অনুভব করে কানের পাশে। শিউরে উঠে পেছনে তাকাতেই দেখে আয়েশা তার ঘাড়ের কাছে মুখ এনে রান্নাঘরের ভেতরে উঁকি দেওয়ার চেষ্টা করছে। অভ্র দাঁত পিষে বলল,
“এই বাল! আমার পেছনে কি? দূরে গিয়ে মর। কাছে মরলে লেমন ফ্লেবারের গন্ধ বেরোবে।”
“তুই শালা দূরে যা। দেখতাছিস না ফারাজ সাহেবের ওপর নজর রাখতাছি?”
“কেন রে তোর এত নজর কেন রাখতে হবে না? আমি কি মরে গেছি? গুওয়ালি তুই গিয়ে গুয়ের ব্যবসা কর। এখানে তোর কাজ নেই। যা ভাগ।”
“সঙ্গে তোরে নিয়েই যামু।”
“মারা খা।”
“তুই খা।”
“বাল।”
“তুই একটা মাল।”
” আসো শালী বাথরুম থেকে তোমারে একেবারে মাল উঠাইয়া খাওয়াই। খাচ্চর ডাব চোর।”
চলবে?