# এক মুঠো রোদ পর্ব ৩১
# writer :নৌশিন আহমেদ রোদেলা
# পর্ব -৩১
৫৭.
হোটেল থেকে কিছুটা দূরে উদ্দেশ্যহীনভাবে দাঁড়িয়ে আছে রোজা-তীর্থ। তাদের থেকে কিছুটা দূরে আলীর সাথে হাসিমুখে কথা বলছে মৃন্ময়। গায়ে হালকা আকাশী টি-শার্ট আর ডেনিম জিন্স। মৃন্ময়ের উজ্জল শ্যামলা রঙে আকাশি রঙটা বেশ মানিয়ে গেছে। রোজা আড়চোখে একবার তাকায়। সাথে সাথেই হাতে কুনইয়ের গুঁতো দিয়ে ফিসফিস করে বলে উঠে তীর্থ,
— “কি দোস্ত? জ্বলে নাকি?”
রোজার কপাল কুঁচকে আসে। সরু চোখে তাকায়। বিস্ময় নিয়ে বলে,
—” কি জ্বলবে?”
তীর্থ দাঁত কেলিয়ে হাসে। ডান চোখের ভ্রু নাঁচিয়ে বলে,
—” মন। মন জ্বলে বন্ধু। “
রোজা তীর্যক চোখে তাকায়। কনুই দিয়ে তীর্থের পেটে গুঁতো দিয়ে বলে,
—” তোর মাথা।”
তীর্থ দু’হাতে পেট চেপে ধরে। চোখ-মুখ কুঁচকে কিছু একটা বলার আগেই পাশ থেকে কথা ছুঁড়ে কেউ,
—” পরাণ যায় জ্বলিয়া রে। মামু এমন জিনিস দেইখ্যা পরাণ যায় জ্বলিয়া রে।”
কন্ঠটা অনুসরণ করে ডানদিকে ফিরে তাকায় রোজা-তীর্থ। তাদের থেকে দুই তিনহাত দূরেই দাঁড়িয়ে আছে দুই থেকে তিনটি ছেলে। সবকটার চেহারায় গোছানো পরিপাটি। দেখে বোঝার উপায় নেই এই ধরনের ছেলেরাও মেয়েদের দিকে এমন সব কথা ছুঁড়তে পারে। রোজা বিরবির করে বলে,”বাদাইম্যা”। রোজা তীর্থের হাত ধরে মৃন্ময়দের দিকে এগিয়ে যেতে নিলেই তাদের মধ্যে থেকে বলে উঠে কেউ,
— “ওরে মামু। জ্বলায় পুড়ায় লাভ নাই এটম বোমের সাথে মিসাইলও আছে। “
অন্যজন বলে,
— “আহ্ মামু। গরম গরম ফিল হইতাছে।”
তীর্থর মাথায় রক্ত উঠে যায়। রোজার হাত ছাড়িয়ে চোখের পলকে মাঝের ছেলেটার কলার চেপে ধরে। শুরু হয় দস্তাদস্তি। তীর্থকে এভাবে দস্তাদস্তি করতে দেখে দৌড়ে আসে মৃন্ময় আর আলী। পাশে দাঁড়িয়ে তীর্থের বাহু টেনে ধরে বলে উঠে মৃন্ময়,
—” স্টপ তীর্থ! কি করছো এসব। ছাড়ো ওদের।”
আলী আর মৃন্ময় মিলে তীর্থকে ছাড়িয়ে নিতেই এগিয়ে আসে ছেলেগুলো। রাগে চোখমুখ লাল হয়ে আছে সবার। তীর্থও রাগে ফুঁসছে। যেনো ছাড়া পেলেই সবকটাকে মাইরের ক্লাসিফিকেশন দেখাবে সে। ছেলেগুলো রাগ নিয়ে এগিয়ে এলেও মৃন্ময়কে দেখে থেমে যায়। মৃন্ময় তাদেরকে উদ্দেশ্য করে শান্ত গলায় বলে,
—” ওর হয়ে আমি সরি বলছি ব্রো। ম্যাটারটা এখানেই ক্লোজ করুন প্লিজ।”
মৃন্ময়ের কথায় তীর্থ যেনো তেতে উঠলো। ফুসফুস করে বললো,
—” সরি! কিসের সরি? ওদের সাহস কেমনে হয় রোজাকে নিয়ে বাজে কথা বলার? হালার পুত গো গরম কাকে বলে কত প্রকার দেখাই দিবো আজ। ছাড়ুন আমায়! “
তীর্থ শরীর ঝাঁকিয়ে উঠে। মৃন্ময় অবাক চোখে একবার রোজার দিকে তাকায়। দস্তাদস্তির কারণটা এতোক্ষণ অজানা ছিলো তার। তারমানে ছেলেগুলো রোজার সাথে মিসবিহেভ করেছে?মৃন্ময়ের ভাবনার মাঝেই ছেলেদের মধ্যে থেকে একজন বিস্ময় নিয়ে বলে উঠলো,
—” ভাই আপনি! ভাই এইখানে ঘুরতে আসছেন? ভাই আমরা সরি। আমরা বুঝতে পারি নাই এরা আপনার লোক। ভাই একটা সেল্ফি? “
মৃন্ময় চোখ ফেরায়। ভ্রু কুঁচকে শক্ত কন্ঠে বলে,
—” রাস্তায় মেয়েদের উত্ত্যক্ত করাটা খুবই বিশ্রী একটা স্বভাব। এই ধরনের মানুষদের আমি পার্সোনালি অনেক অপছন্দ করি। “
ছেলেগুলো অপরাধী চোখে তাকায়।অনুযোগের স্বরে বলে,
—” সরি ভাই। আর হবে না। ভাই আমরা আপনার অনেক বড় ফ্যান ভাই। আপনার সব গানই ব্যাপক পছন্দ । আর আপনার করা সিরিজগুলোও মুখস্ত আমাদের। ভাই একটা সেল্ফি প্লিজ। আমরা চিন্তাও করতে পারি নাই কোনোদিন আপনাকে এমনে সামনাসামনি দেখতে পারবো। প্লিজ ভাই একটা সেল্ফি। প্লিজ ভাই। “
একদমে কথাগুলো বলে রোজার দিকে তাকায় ওরা। গদগদকন্ঠে বলে,
— “সরি আপু। আমাদের ভুল হইছে আপু। কিছু মনে করবেন না প্লিজ। ভাই মনে করে ক্ষমা করে দিয়েন। ভাই একটা সেল্ফি তুলি ভাই?”
মৃন্ময় বিরক্তমুখে হালকা হাসি টেনে নিয়ে বলে,
—” ওকে। “
ছেলেরা উৎসাহ নিয়ে ছবি তোলে। তীর্থ সেদিকে তাকায় আর বিরবির করে। এই ফাজিল ছেলেদের সাথে মৃন্ময়ের ছবি তোলাটা একদমই পছন্দ হচ্ছে না তার। ছেলেগুলো আবারও সরি বলে সেখান থেকে সরে পড়তেই রোজা তীর্থের হাত ঝাকিয়ে মৃদু হাসে। ফিসফিসিয়ে বলে,
— “কুল দোস্ত। এসব ছোট খাটো ব্যাপারে এতো ফায়ার হইলে চলে নাকি?”
তীর্থ লাল চোখে তাকায়। হাতটা ঝাড়া দিয়ে ছাড়িয়ে কপট রাগ নিয়ে বলে,
—” এটা ছোট খাটো ব্যাপার? আমার তো ইচ্ছে করতাছে পোলা তিনটারে মাটির নিচে পুইতা ফালাই। শালা ছ্যাচড়ার দল।”
রোজা হেসে ফেলে। হাসিমুখেই বলে,
—” তুই যখন করিস তখনও মানুষের এমনই লাগে।”
তীর্থ এবার ফেটে পড়ে। ফুসফুস করে বলে,
— “তুই ওগোর লগে আমার তুলনা দেস। আমারে কোনোদিন দেখছোস রাস্তায় খাড়াইয়া মাইয়াদের ডিস্টার্ব করতে? আমি ওদের সাথেই ফ্লার্ট করি যারা ওই টাইপের। “
রোজা কিছু বলবে তার আগেই মৃন্ময় পাশে এসে দাঁড়ায়। আলীকে গাড়ি আনতে বলে অপরাধী গলায় বলে,
—” সরি তীর্থ। আমি জানতাম না ব্যাপারটা এমন কিছু। যদি জানতাম তাহলে হয়তো আরো কয়েকটা মার দেওয়ার পর আটকাতাম তোমায়। তাছাড়া তিনজনের সাথে তুমি পেরেও উঠতে না। হুটহাট রেগে যাওয়াটা কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর বস। “
তীর্থ জবাব দেয় না। মৃন্ময় হেসে বলে,
—” আচ্ছা চলো সাত রঙের চা খেয়ে আসি। তাতে যদি রাগ কমে তোমার। কি যাবে?”
রোজা আগ্রহ নিয়ে বলে,
—” সাত রঙের চা?অনেক শুনেছি কিন্তু খাওয়া হয়নি কখনো। সত্যি যাবেন মিষ্টার হিরো? “
রোজার আগ্রহে মৃদু হাসে মৃন্ময়। মাথা ঝাঁকিয়ে বলে,
—” অবশ্যই যাবো। সিলেটের কাজ তো আপাদত শেষ। কাল আমরা বান্দরবানের জন্য রওনা হবো। আজ সারাদিন আর রাতটা একদমই ফ্রি টাইম। সবাই মিলে ইঞ্জয় করা যেতেই পারে।”
রোজা খুশিতে লাফিয়ে ওঠে। তীর্থের দিকে দাঁত কেলিয়ে তাকিয়ে বলে,
—” মন খারাপ করিস না দোস্ত। দুদিন তোর জন্য সব মাফ। চালিয়ে যা ফ্লার্টিং। আমি নিজে তোর জন্য সুন্দর সুন্দর মেয়ে খুঁজে দিবো। তাও রাগ করে থাকিস না। প্লিজ প্লিজ।”
রোজা ঘাড় হেলিয়ে চোখ পিটপিট করে তাকায়। তীর্থ আড়চোখে রোজাকে দেখে নিয়ে অন্যদিকে তাকায়। যার অর্থ- তার রাগ কমবে না। রোজা তীর্থের পিঠ চাপড়ে বলে,
— ” তোকে ডাবল সাত রঙের চা খাওয়াবো আজ। পছন্দ হলো না অফার? আচ্ছা! তাহলে…তাহলে, হ্যাঁ। আমি সুন্দরী সাত ননদ দেখে বিয়ে করবো। আর তাদের সাথে ফ্লার্ট করার ফ্রি পার্মিট দিমু তোরে। এখন হ্যাপি?”
রোজার কথায় হো হা করে হেসে উঠে মৃন্ময়। মৃন্ময়ের হাসির আওয়াজে চমকে তাকায় রোজা। আজই প্রথম মৃন্ময়ের শব্দযুক্ত হাসি শুনছে সে। রোজার ধারনা ছিলো মৃন্ময় শব্দ করে হাসতেই জানে না। কিন্তু তার ধারনা ভুল। এই ছেলে সবই জানে শুধু কাউকে জানতে দেয় না। রোজার চমকিত দৃষ্টি ধীরে ধীরে মুগ্ধতায় পরিণত হয়। ঠোঁটে ফুটে ওঠে স্নিগ্ধ হাসি।
৫৮.
—” কি ব্যাপার? গাড়ি থেকে নামছো না কেন? গাড়িতে থাকারই প্ল্যান আছে নাকি তোমার?”
আরু ভেতরে ভেতরে ফুঁসতে থাকে। রাফিন এবার ধমকে উঠে। আরু রাগ নিয়ে থাকলেও অবাধ্য হওয়ার সাহস করে উঠতে পারে না। গাড়ি থেকে নেমে গাড়ির দরজাটা খুব জোরে বন্ধ করে। রাফিন ভ্রু কুঁচকে তাকায়। খানিক নিরব থেকে বলে,
— “ভেতরে চলো।”
রাফিনকে অনুসরণ করে বাড়ির ভেতর ঢুকে আরু। রাফিন বাড়িতে ঢুকতেই কয়েকজন লোক সিরিয়াসলি দাঁড়ায়। সবাই কাজের লোক গোছের মানুষ। তবুও কাপড়-চোপড় পরিষ্কার, ঝকঝকে। এদের মধ্যে একজন শুধু মধ্যবয়স্ক মহিলা আর সবাই পুরুষ। রাফিন মহিলাটিকে উদ্দেশ্য করে বলে,
— বুয়া? ও হচ্ছে আরু। আমার বউ। ওর যেন কোনো সমস্যা না হয় তা দেখার দায়িত্ব আপনার। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে মেয়েলি প্রয়োজনে ওকে সাহায্য করবেন আপনি। জায়গাটা ওর জন্য সম্পূর্ণই নতুন।
মহিলাটি মাথা নাড়া। মৃদু গলায় বলে,
— জে আচ্ছা।
রাফিন এবার সোফায় গিয়ে বসে। শরীরটা এলিয়ে দিয়ে আরুর দিকে তাকায়। শান্ত গলায় বলে,
— দাঁড়িয়ে আছো কেন? বসো।
আরু বসে না। রাফিন বলে,
— বসতে ইচ্ছে না করলে দাঁড়িয়েই থাকো। ইচ্ছের উপর কথা নেই। দেখো আরু, উপরের তলার দুই নম্বর রুমটি তোমার। আর তার পাশের রুমটি আমার।এখানে থাকতে কোনরকম অসুবিধায় হবে না তোমার। তুমি যদি ভেবে থাকো ডেবিল হাজবেন্ডদের মতো তোমায় আমি অত্যাচার করবো তাহলে সেটা সম্পূর্ণই তোমার ভুল ধারনা । এখানে সম্পূর্ণই স্বাধীনভাবে থাকবে তুমি। কলেজে যেতে চাইলে আসিফকে বলবে তোমাকে নিয়ে যাওয়া আর নিয়ে আসার দায়িত্ব আসিফের। কলেজে না গেলেও সমস্যা নেই সন্ধ্যার মধ্যে কলেজ নোটস হাতে পেয়ে যাবে তুমি। কোনো কিছুর প্রয়োজন হলে আসিফকে বলবে আসিফ এরেঞ্জ করে দিবে। কি খাবে, কি পড়বে, কিভাবে থাকবে সবকিছুই তোমার ইচ্ছের উপর ডিপেন্ড করবে। কিন্তু দুটো কাজ একদমই করবে না। এক. তোমার ফ্যামিলির সাথে যোগাযোগ। আর দুই. আমার ব্যাপারে অযথা খবরদারি। এক নম্বর কাজটা করলে তোমাকে কিছুই করবো না আমি কিন্তু তাদের সাথে যোগাযোগ করার কয়েক মিনিট পর তারা আর দুনিয়ায় থাকতে পারবে বলে আমার মনে হয় না।
আরু সরু চোখে তাকায়। পাশের সোফায় বসে পড়ে মাথা নিচু করে। রাফিন আবারও বলে,
— আমার জন্য বিয়ে করা বা না করা দুটোই সমান আরু। সো,বিয়ে নিয়ে এতো চিন্তা করতে হবে না তোমায়। তোমার বয়ফ্রেন্ড থাকলে আমায় জানাতে পারো বা যেকোনো ছেলেকে চুজ করতে পারো। আমি নিজ দায়িত্বে তোমাদের বিয়ের ব্যবস্থা করে দিবো । কিন্তু বিয়ের আগে তার সাথে ঘুরে বেড়ানো চলবে না। যেহেতু, আপাতত তুমি আমার ওয়াইফ সো আমার বিহেভিয়ার সম্পর্কে কিছু জানা থাকা উচিত তোমার।
এটুকু বলে থামে রাফিন। সোজা হয়ে বসে সরাসরি আরুর দিকে তাকিয়ে বলে,
— তোমার বর ফিল্মের মাফিয়া হিরোদের মতো নয় আরু। মাফিয়ারা এতো ভালো হয় না। আমার মধ্যে সব খারাপ গুণ আছে। আমি ড্রিংকস করি,স্মোক করি,মেয়েদের সাথেও টাইম স্পেন্ড করি,মার্ডার,কিড
ন্যাপিং সবই করি। তবে একদিকে কমতি আছে আমার আর তা হলো, আমি মেয়েদেরকে অসম্মান করতে পারি না।আর ভদ্রঘরের মেয়ের সাথে অকারণে কথাও বলি না আমি। এই জীবনে দুজন ভালো মেয়ের সাথে অযথা কথা বলেছি, তারমধ্যে একজন তুমি অন্যজন রোজা।
রাফিন দীর্ঘশ্বাস ফেলে। বাম হাতে ঘাড় ঘষতে ঘষতে বলে,
— আমার বাবা খুবই ভালো মানুষদের কাতারে ছিলেন। মেয়েদের প্রতি শ্রদ্ধাটা তার বাড়াবাড়ি রকম ছিলো। তাই এই পঁচে যাওয়া মনটাতেও মেয়েদের অসম্মানটা সহ্য হয় না। এই বাজে অভ্যাসটাই আমি নিজেও বিরক্ত। এছাড়া বাকিসব ধরনের খারাপ কাজই করি আমি। এভ্রিথিং। আমার নামে কিছু এতিমখানা আর বৃদ্ধাশ্রম আছে। কিন্তু ওগুলোর প্রতি মমত্ববোধ একদমই নেই আমার। আমি শুধু টাকায় দিই আর কিছুই করি না। এদেরকে দেখলেই বিরক্ত লাগে আমার। মনে হয় শুধু শুধু দুনিয়ায় বোঝা হয়ে আছে তারা। তবুও জমিয়ে রেখেছি কারণ….থাক সেসব কথা। জার্নি করে এসেছো রুমে যাও ফ্রেশ হও। আমার খোঁজ তুমি নিবে না জানি আর নেওয়ার প্রয়োজনটাও নেই। বিরক্ত জিনিসটাও বিরক্তিকর লাগে আমার। তাই আশেপাশে ঘুরঘুর করে অযথা বিরক্ত করবে না আমায়। আর অযথা টেনশন করারও কারণ নেই। তুমি উল্টাপাল্টা কিছু না করলে তোমার ফ্যামিলির কোনো ক্ষতি করবো না আমি। এবার যাও…জুয়েল? তোর ভাবিকে রুম দেখিয়ে দে।
আরু ওঠে দাঁড়ায়। গোপনে দীর্ঘশ্বাস ফেলে সিঁড়ির দিকে হাঁটা দেয়। গাড়িতে বসে বসে কতোকিছু প্ল্যান করেছিলো সে। রাফিন তাকে টর্চার করবে আর সে শক্ত থেকে উচিত জবাব দিবে। অথচ সবই যেন উল্টে গেলো। অত্যাচারের জায়গায় একরাশ স্বাধীনতা ছুড়ে দিয়ে আরুকেই বেকুব বানিয়ে দিলো রাফিন। কি অদ্ভুত! আরু কয়েক সিঁড়ি ডেঙোতেই আসিফকে উদ্দেশ্য করে বলে উঠলো রাফিন,
— রোজাদের খবর পেয়েছিস? কাহিনীটা কি আসলে?
# চলবে…