শিশিরের আদ্র পর্ব ১৪
#Neel
(শিশির আর আদ্রের রোমান্স দেখে শুধু আপনাদের হিংসে হয় না, আমার ও হয় )
আমি বললাম – একি, দূরে থাকুন। গায়ে পরে কথা বলছেন কেন? আমাকে হলুদ লাগবেন না।
তবুও এগিয়ে আসতেই, কেউ একজন হাত ধরে টান দিল । আমি বসা থেকে হেঁচকা টানে কারো বুকে যেয়ে পড়লাম। নাকে পারফিউম এর ঘ্রান নিতেই বুঝে গেলাম কে?
চোখ মেলে তাকাতেই আদ্র ভাইয়াকে আবারো কাছে পেলাম। ভালো লাগছে অনেক। মনের মাঝে হৃৎপিণ্ড বারবার বিট করছে। অজানা সেই শিহরণ শরীরের রন্ধে রন্ধে খেলা করছে। আদ্র ভাইয়ের ছোঁয়ার কেন এরকম হচ্ছে। আশেপাশে আড়চোখে তাকাতেই দেখি হলুদে আসা কিছু মেয়েরা অবাক ও রাগী চোখে তাকিয়ে আছে । অহনা আপু ও রাগী বোম হয়ে গেছে। অহনা আপু কে দেখে একটা ভেংচি কাটলাম।
আদ্র দেখছে শিশির তার বুকে মাথা রেখেই আড় চোখে আশেপাশে উঁকি যুকি মারছে।এ সুযোগ এ আদ্র হলুদের বক্স থেকে হলুদ হাতে নিয়ে শিশিরের হাতে দিল।
আমার হাতে আদ্র ভাইয়ের হাতের হলুদের ছোঁয়ায় আমি কিছুটা কেঁপে উঠলাম। একটু দূরে সরে দাঁড়ালাম। আদ্র ভাইয়া আমার হাতটা ধরে তার গাল বরাবর হলুদ লাগলো। খোঁচা খোঁচা দাড়ি হাতে লাগতেই খিলখিলিয়ে হাসতে শুরু করলাম। কিন্তু হুট করে আদ্র ভাইয়া হাত বরাবর চুমু দিল। চুমুতে আমার হাঁসি থেমে গেল। আমি অবাক হয়েছি সাথে বড় বড় চোখ করে তাকালাম।মুখ ফুটে কিছু যে বলবো, তাও ও কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল।
আদ্র মুচকি হাসছে। আদ্রের হাসি দেখে অনেকেই এখানে অবাক হচ্ছে, কেউ কেউ রেগে গেছে আর কেউ কেউ এই জুটি কে দোয়ায় পরিপূর্ণ করছে।
আদ্র ভাইয়ের হাসি দেখে বুঝলাম আমি আবারো ফেঁসে গেছি। হঠাৎ আদ্র ভাইয়া আমার কোমর ধরে তার দিকে টান দিল। সাথে সাথে আদ্র ভাইয়ের উপরে গিয়ে পরলাম। আদ্র ভাইয়ের সাথে আবারো মিশে গেছি , এক ইঞ্চি ও ফাক নেই।আদ্র ভাইয়া ঝুঁকে আমার গালে তার গাল স্পর্শ করলো।আদ্র ভাইয়ের খোঁচা খোঁচা দাড়ি আমার শরীরের শিহরণ আরো বাড়িয়ে দিল। তার বুক বরাবর পাঞ্জাবী তে খামচে ধরলাম। ফিসফিসিয়ে বলল-
……আদ্র শিশিরের হলুদ ছোঁয়া!!
………রংধনুর ঐ সাত রং…
….প্রতি রঙে সাজাবো তোকে…
…. আমার মুনাজাতে তুই আমার হ!!!
#Noor
হঠাৎ পিছন থেকে একজোটে চিৎকার করে বললো – ভাই আর কত?
আমি আর আদ্র ভাইয়া চমকে দূরে সরে দাঁড়ালাম। চেয়ে দেখি মীরা ভাবী, মহিদ ভাইয়া, নাহিদ, নিজাম,আয়ান,স্বর্নালী আপু এরা গোল হয়ে কোমরে হাত দিয়ে ভুরু কুঁচকে দাঁড়িয়ে আছে। লজ্জায় চোখ বন্ধ করে মুখটা হাত দিয়ে চেপে ধরে দাঁড়িয়ে আছি। আমার সামনে ঢাল হিসেবে আদ্র ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে।
নিজাম ভাইয়া- ভাই আমাদের বিয়েতে তোর দেখি তর সইছে না, নাদান বাচ্চাটাকে, আগে থাকতেই পাকিয়ে ফেলতেছিস।
একেকজন একেকরকম কথা বলছে। লজ্জা লাগছে।ধেৎ আদ্র ভাইয়া, রঙে ছঙে আমার কাছে আসবে ই। আচ্ছা,আদ্র ভাইয়া কি আমাকে ভালোবাসেন। এগুলো ভাবার মাঝেই মীরা ভাবী আমার হাত ধরে টেনে আদ্র ভাইয়ের পাশে দাঁড়া করালো।
মীরা – অশি!! বেপার কী? আদ্র কিন্তু তোমাকে ভা…(এর আগেই শান্ত ভাইয়ার আগমন)
শান্ত ভাইয়া আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল – যা বলার আদ্র কে বলো। আমার নাদান বাচ্চা এখনো বাচ্চা। অনেক কিছু জানে না, তাছাড়া সঠিক সময়ে সঠিক কিছু হোক।চল অনি।
ভাইয়া তার সাথে আমাকে নিয়ে গেল। ভাইয়া আমাকে খাবারের টেবিলে বসিয়ে দিল। আরে, এখানে তো, বড়রা সবাই আছে।তাই তো হলুদে বড়দের দেখি নাই।
_____
অন্যদিকে, মাক্স পড়া ছেলেটি এসব দেখে রেগে হলুদের মহল থেকে চলে গেল। গাড়ি চালিয়ে বারে চলে গেল। সাথে তার বন্ধু।বারে ড্রিংক করছে তো করছে থামার নাম নেই ।নেশায় আসক্ত হয়ে বলছে – ঐ মেয়েটি আমার। আমার। শুধু ই আমার। ঐ ছেলেটিকে আমার রাস্তা থেকে সরে যেতে হবে। না হয় ওই ছেলেকে মেরে ফেলবো। ওর সাহস কতো, আমার সামনে আমার প্রিয় কে এতো রঙে স্পর্শ করে।
ছেলেটির বন্ধু ছেলেটি কে থামাতে চেষ্টা করছে। এক পর্যায়ে ও সেখানে ই হুঁশ হারিয়ে ফেলল।
___
আদ্রকে সবাই ঝুঁকে ধরছে। এটা সেটা বলে মশকরা করছে। আদ্র জয়ী হেসে বলল – তোমাদের নাদান বাচ্চাটাকে আমার চাই, যেকোনো অবস্থাতেই, সে খুব লোভনীয়।ইয়াম্মী, ঠিক ওর প্রিয় চকলেট গুলোর মতো।
হন হন করে চলে গেল।সবাই একসাথে প্রশান্তির হাসি হাসলো।
____
গায়ের হলুদে বাসায় আসতে আসতে রাত হয়ে গেছে অনেক। সকালে, চিল্লাচিল্লি আওয়াজ শুনে ঘুম ভেঙ্গে গেলো। উফ্ লেইট করে ফেললাম নাকি। আজ তো বিয়ে। তাড়াতাড়ি ফ্রেস হয়ে খেতে হবে। খুব খিদে পেয়েছে।
ফ্রেস হয়ে রুমের বাইরে বের হলাম। কাউকে দেখতে পাচ্ছি না। হাঁটছি, একটা রুমের থেকে কান্নার আওয়াজ পেলাম। কেউকি কান্না করছে? না না, কান্না করবে কেন? এটা তো নাহিদ ভাইয়ের রুম। আজ তার বিয়ে, সে কেন কান্না করবে?সে কি মেয়ে নাকি, যে কান্না করবে। নাহিদ ভাইয়ের রুমের দিকে গেলাম। আস্তে আস্তে যাচ্ছি।যত যাচ্ছি তত শব্দ টা বাড়ছে।
অন্যদিকে আদ্র শিশিরকে চুরিচুপি নাহিদের রুমের দিকে যেতে দেখে অবাক হচ্ছে। একবার ভাবছে ডাক দিবে, না পরিশেষে বেপার টা কী , দেখার জন্য এগোলো।
নাহিদ ভাইয়ের রুমের বাইরে দাঁড়িয়ে আছি। আমি শিউর ভেতর থেকে শব্দ টা আসতেছে। দরজাটা খোলা ই আছে। আস্তে করে খোললাম। খুলে যা দেখলাম, আমি তা আশা করি নাই। নাহিদ ভাইয়া হাঁটু গেড়ে বসে মুখে হাত দিয়ে কাঁদছে। আর বিরবির করে বলছে – আমাকে মাফ করে দাও স্নেহা। আমি তোমার কষ্ট গুলো দূর করতে পারলাম না। বরং আরো কষ্টকর করে দিয়েছি তোমার জীবন। আমি তোমার সাথে অন্যায় করেছি, জানি এর জন্য তুমি ও আমাকে মাফ করবে না।(মোবাইল এর ছবি টা বুকে জড়িয়ে)
পিছন থেকে আমি নাহিদ ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললাম – এগুলো কি নাহিদ ভাইয়া। তুমি কান্না করছো কেন?(নাহিদ ভাইয়া হচকচিয়ে উঠলো, মোবাইল টা নিচে পড়ে গেল। আমি মোবাইল টা হাতে নিয়ে) আপুনি টা কে? খুব সুন্দর, মায়াবী চেহারা। তুমি কি তাকে ভালোবাসো?
নাহিদ কী বলবে, ভেবে পাচ্ছে না। কিছুক্ষণ আগে স্নেহার সাথে কথা বলতে বলতে রুমে এসে দরজাটা বন্ধ করতে ভুলে গিয়েছিল। এখন অশি কে কি করে বুঝবে ।অশি ও তো ছোট নেই, বড় হচ্ছে এগুলো বুঝতে শিখছে।কথা ঘুরাতে পারবে না। বাধ্য হয়ে বলল- হ্যা, আমি ভালোবাসি। খুব ভালোবাসি। জীবনের থেকে ও বেশি ভালোবাসি।
ঠিক এই সময়ে আদ্র এলো, দরজার সামনে থেকে দাঁড়িয়ে বলল – হচ্ছে কী এখানে? ভালোবাসে? কে কাকে ভালোবাসে?(গম্ভীর কণ্ঠে)
আদ্র ভাইয়ের কথা শুনে আমি আর নাহিদ ভাইয়া চমকে উঠলাম। হঠাৎ এই মুহূর্তে আদ্র ভাইয়াকে দেখে ভালো লাগছে। আদ্র ভাইয়াকে দেখে ভরসা পেলাম। দৌড়ে আদ্র ভাইয়ের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। আদ্র ভাইয়ের হাতটা ধরলাম। টেনে নিয়ে নাহিদ ভাইয়ের সামনে এনে দাঁড়া করালাম।যা যা জানতাম সব বলে দিলাম,আরো বললাম – আদ্র ভাইয়া, নাহিদ ভাইয়া একটা মেয়েকে ভালবাসে, কিন্তু বিয়ে অন্যজায়গায় হচ্ছে। এখন?
আদ্র – এতো কিছু হয়ে গেল, নাহিদ,তুই আমাকে একটু আচ ও পেতে দিলি না কিছুর। আর শিশির তুই নাহিদ কে আগে থেকেই মন খারাপ দেখছিস, আমাকে বললি না কেন?
যাই হোক,যা হওয়ার হয়েছে। নাহিদ তুই সবকিছু খুলে বলতো কী হয়েছে, আর কীভাবে?
নাহিদ – আমি পুলিশ এ জয়েন দেওয়ার পর একটা কেইস স্টাডি করি। তখন একটা অনাথ আশ্রমে ঐ কেইসটার সম্পর্কে ডিটেইলস জানতে যাই। সেখান আমার সাথে স্নেহার দেখা। স্নেহা সেখানে বাচ্চাদের সাথে খেলছিল। সেখান থেকেই স্নেহার সাথে আমার দেখা। সেদিন ভালো লেগেছিল স্নেহাকে।স্নেহার সব ডিটেইলস বের করি। জানতে পারি ,স্নেহাও ঐ বাচ্চাদের মতো অনাথ। শুধু মাত্র দাদি আছে। ছোট খাটো একটা চাকরি করে, অনার্সে পড়ে। এমন টুকটাক অনেক কিছু। স্নেহার সাথে কথা বলা শুরু করলাম। আস্তে আস্তে ভালোবাসা পর্যন্ত রূপ নিল আমাদের বন্ধুত্ব।
আদ্র – ভালো।তা বিয়ে ঠিক হওয়ার আগে একথা বলিস নি কেন? বড়দের। নিজাম বলতে পারলে ,তার ভালোবাসার কথা, তুই কেন বললি না?(গম্ভীর কণ্ঠে)
নাহিদ – এটাই তো ভুল করেছি। যেদিন বড়রা বিয়ে নিয়ে কথা বলছিল আমি বাসায় ছিলাম না। মেয়ে দেখার সময় আমি যা শুনি , তাতে চমকে যাই।এখানে শুধু বিয়ে হচ্ছে না, আমার বিয়ের সাথে অনেক কিছু জুড়ে আছে।বড় বাবার সম্মান ও।এই বিয়ে, হচ্ছে মির্জা আর চৌধুরী বংশের পুরোনো সেই ভেঙে যাওয়া সম্পর্ক এক করতে। নতুন করে বন্ধুত্ব আর আত্মীয় গড়তে। এগুলো আমি বড় বাবা আর মির্জা আব্বাস কে বলতে শুনেছি। এছাড়া ও একটা বড় ডিল আমাদের কম্পানিকে দিচ্ছে মির্জা কম্পানিরা। শুধু মাত্র এই বিয়ের জন্য। কি করে এই বিয়ে আমি বন্ধ করবো, তুই বল আদ্র।
আমি বললাম – তাহলে তুমি স্নেহা আপুনি কে ভুলে যাবা, ঐ পাঙ্কু (অতি আধুনিক মির্জা আব্বাস এর মেয়ে, বাবা রে, কী ভাব, অহংকারী, কথা ও বলে নাই আমার সাথে, কেমন গম্ভীর চোখে তাকিয়ে ছিল) মেয়েকেই বিয়ে করবে। করো না প্লিজ।
আদ্র- খুব পেকে গেছিস মনে হয় তুই শিশির। বুদ্ধির বিকাশ হচ্ছে, দেখা যায়।
আমি আদ্র ভাইয়ের দিকে ভুরু কুঁচকে তাকালাম। এই আদ্র ভাইয়াকে একদম ই আমার বুঝে আসে না। বেটা, কখনো খুব ভালো, কখনো খুব ই বদমেজাজি।হু । একটা মুখ ভেংচি কাটলাম।
নাহিদ – ভাই , কিছু কর। না হয় স্নেহা বাঁচবে না, আমি ও বাঁচবো না।
আদ্র – মরে যা তোরা দুইজন। ভালোবাসতে জানো , ভালোবাসার পূর্নতা দিতে জানো না? এমন জীবন রেখে লাভ নেই, তুই মরে যা।(বলেই আদ্র ভাইয়া হনহন করে চলে গেল)
আদ্র ভাইয়া এগুলো কি বললো। আমার মাথার উপরে দিয়ে গেল। নাহিদ ভাইয়ের জন্য কষ্ট হচ্ছে। নাহিদ ভাইয়ের দিকে তাকাতেই নাহিদ ভাইয়া মুচকি হেসে ঠোঁট দিয়ে বাঁশি বাজাতে বাজাতে ওয়াসরুমে চলে গেল। ধেৎ ।কি যে হচ্ছে, কিছুই বুঝতে পারছি না। নাহিদ ভাইয়ের রুম থেকে দৌড়ে বের হলাম। আদ্র ভাইয়া শিড়ি দিয়ে নিচে নামছে। দৌড়ে আদ্র ভাইয়ার কাছে শিড়িতে গেলাম। হাঁপিয়ে গেছি। জোরে জোরে নিঃশ্বাস নিচ্ছি। আদ্র ভাইয়া আমার দিকে তাকালো। চোখের ইশারায় বলল – কী?
আমি নিঃশ্বাস নিতে নিতে বললাম – এখন কি করবে? এভাবেই নাহিদ ভাইয়া কে নিজের রাস্তায় ছেড়ে দিবে? যদি উল্টা পাল্টা কিছু হয়ে যায়? তখন?
আদ্র – তোর এতো মাথা ব্যথা কেন? মাথা মোটা। আগে আগে দেখো, হোতা হে কেয়া?
বলেই দ্রুত শিশ বাজাতে বাজাতে চলে গেল।
আমি হতবাক হয়ে গেলাম ওখানে ই দাঁড়িয়ে আছি। দাদি আমাকে দেখে বলল- মহারানী খেতে আসেন। আপনার মহারাজের আদেশ, আপনার খেয়ালের যেন কমতি না হয়। না হয় গর্দান চলে যাবে আমার। আসুন,আমারে ধন্য করুন, আপনি খাবার গুলো গিলে।
আমি চেঁচিয়ে বললাম – ঐ মাথা মোটা,শকুনি বুড়ি, আমার মহারাজা কোথায় থেকে এলো? এতো বলি, বিয়ে করিয়ে দে, বিয়ে করিয়ে দে, বলে বিয়ে দেওয়া যাবে না। প্রেম করতে ও দেও না। দেইখো, আমি প্রেম করে পালাবো।
মা পিছন থেকে চেঁচিয়ে বলল – তুই ঐ খানে দাঁড়া, মেজ তুই কই? আমার খুন্তি আর ঝাড়ু টা দিয়ে যা তো ওরে লোক ভর্তি মানুষের সামনে পিটিয়ে নেই। তাহলে, প্রেম পিরিতি মাথা থেকে ছুটবে।
ওরে বাবা রেএএএ, দৌড়াই , মা এসেছে রে। দৌড়ে খাবার এর টেবিলে বসলাম। খাচ্ছি। দাদি পাশে বসে বলল – মহারাজা পাস না, চোখ মেলে দেখ, মনের চোখ। পেয়ে যাবি।
ধেৎ বুড়ি চুপ কর। বুইড়া বয়সে ভিমরিতি ধরছে। খাইতে দে। খিদা লাগছে। এমনিতেই আমার চকলেট গুলো শেষ হওয়ার পথে। মন খারাপ লাগছে।
অহনা আপু যে কোথায় থেকে টপকে পড়লো জানি না। বলল- আমি তোমাকে চকলেট দিব, যত চাও তত। তবে একটা শর্ত আছে, আদ্র থেকে দূরে দূরে থাকতে হবে। কি পারবে। চকলেট বেশি না কি আদ্র।
অহনা আপুর এই কথাটা মনে খুব কষ্ট লাগলো। আদ্র ভাইয়া যে ভালো তা বলব না। তবে আমার আদ্র ভাইয়াকে ভালো লাগে। বললাম – তোমার চকলেট আমার লাগবে না। তোমার মনে যে বিষ, চকলেট না তিতা লাগে। আর হলো আদ্র ভাইয়ের কথা, আদ্র ভাইয়ার কাছে আমি যাই না, বরং আদ্র ভাইয়া আমার পিছু পিছু ঘুরে। যাও আদ্র ভাইয়াকে যেয়ে বলো আমার থেকে দূরে থাকতে।
অহনা আপু রেগে গেল। রেগে কিছু বলতে যাবে, তখনই দাদি বলল- এই ছেমরি, নাম কি জানি তোর গহনা নাকি অহনা। শোন ছেমরি, আমার নাতি আর নাতিন থেকে দূরে থাকবি। যা সর এন্তে, আমার নাতনি টা রে খেতে দে।
অহনা আপুর দিকে তাকিয়ে একটা বোকা মার্কা হাসি দিলাম। হাসি বন্ধ করে একটা ভেংচি কাটলাম। অহনা আপু রাগে চলে গেল। ইদানিং যারে তারে ভেংচি কাটতে ভালো লাগে। ইশ্ কি মজা রেএএ।
সন্ধ্যার আগে ই কমিউনিটি সেন্টারে উপস্থিত থাকতে হবে। বিকাল থেকে রেডি হচ্ছি।আজ আমি একা ই রেডি হচ্ছি। গ্রাউন তো।রেডি হয়ে নিচে নামতেই….
চলবে…