আত্মবিশ্বাস
পাঠক, আপনি কি হিলারি ক্লিনটনের জোকটি জানেন ?
প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও হিলারি ক্লিনটন যাচ্ছেন গাড়িতে, সামনে-পেছনে সিক্রেট সার্ভিস।
হঠাৎ একটি গ্যাস স্টেশনের (পেট্রল পাম্প) পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হিলারি গাড়ি থামাতে বললেন। সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন সন্ত্রস্ত।
হিলারি কোনো কথা না বলে গ্যাস স্টেশনের ম্যানেজারের কাছে গিয়ে বললেন, ‘জো, কত দিন তোমাকে দেখিনি!’
প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন নেমে এলেন গাড়ি থেকে।
হিলারি পরিচয় করিয়ে দিলেন, ‘বিল, এ হলো জো, আমার বন্ধু, আমার প্রথম প্রেম।’
ক্লিনটনের মুখটি লাল হয়ে উঠল। হিলারিকে একটু ঠেস দিয়ে বললেন, ‘হিলারি, তুমি আজকে আমেরিকার ফার্স্ট লেডি।যদি জোকে বিয়ে করতে, তুমি একটি গ্যাস স্টেশনের মালিক হতে।’
হিলারি উত্তরে বললেন, ‘আমি যদি জোকে বিয়ে করতাম, ও তাহলে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট হতো।’
এর নাম আত্মবিশ্বাস , নিজের ওপর বিশ্বাস। মনে রাখবেন, আপনি জীবনকে পরিচালনা করেন, জীবন আপনাকে পরিচালনা করে না।
পাঠক, আপনার যদি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি থাকে, আমি আপনাকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, এই আর্টিকলটি পড়ার পর আপনি বদলে যাবেন।
শুধু ভয় থেকে আপনার আত্মবিশ্বাসহীনতা আসে।
কিসের ভয়? পরাজয়ের ভয়, রিজেকশনের ভয়। হাস্যকর হওয়ার থেকে ভয়, অসম্মানীয় হওয়ার থেকে ভয়।
‘ভয়’ শব্দটি আপনার অভিধান থেকে কেটে ফেলুন।
আত্মবিশ্বাস এমন কিছু নয়, যেটা শেখা যায় না।
যে কোনো মানুষ চেষ্টা করলে আত্মবিশ্বাসী হতে পারে। এটা পাঁচ মিনিটে বা পাঁচ দিনে সম্ভব নয়, তবে আপনি যদি প্রতিদিন চর্চা করেন, আপনি পারবেনই।
অনেকে বলেন, সব সময় পজিটিভ চিন্তা করবেন, দেখবেন আত্মবিশ্বাস বেড়ে গেছে। এটা সত্যি নয়।
আমার মতে, পজিটিভ চিন্তা করবেন এবং সাথে সাথে সক্রিয় হবেন। তাহলে আপনার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যাবে।
আপনার যাত্রা শুরু করুন। যদি চাঁদে পৌঁছাতে না পারেন, অন্তত কাছাকাছি তো পারবেন। সবাই যদি পারে, আপনি পারবেন না কেন?
তাই পাঠক, আপনার নরম গদি থেকে বেরিয়ে আসুন। নিজেকে বলুন, ‘আমি পারবই।’ দেখবেন আপনি ঠিকই পেরেছেন।
আমাকে বিশ্বাস করুন।
তারিক হক