- বাবাকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস।
- বাবার মৃত্যু নিয়ে গল্প।
- বাবার মৃত্যু নিয়ে কবিতা।
- I miss you মৃত বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস।
1. বাবাকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস
যে বাবা আমাকে ছোটবেলায় কোলে নিয়েছিল, সেই বাবাকে আমি মৃত্যুর আগের দিন কোলে নিয়ে এক বিছানা থেকে আরেক বিছানায় নিয়েছি
তার পরেরদিন, পাঁজাকোলা করে কবরে নামিয়েছি
তার পরের দিন কবরের পাশে বসে কবরের মাথার অংশটা ছুয়ে দিয়েছি
… এই ৩ টা স্মৃতিই আপাতত মনে পড়ছে
আপনাদের যাদের বাবা আছে, তারা প্লিজ বছরের ৩৬৫টা দিনের প্রতিটা দিনকেই ‘বাবা দিবস’ মনে করে আগলে রাখবেন
এই সুযোগ বেশীদিন থাকবে না
আর যেদিন থেকে থাকবে না ট্রাস্ট মি, প্রতিটা সেকেন্ড মনে হবে; কেন আমি এত বোকা ছিলাম? কেন এতদিন আগ বাড়িয়ে ধরিনি হাতটা বা, চুলগুলো
পাঁজাকোলা করে জাপটে ধরলামই যখন এতদিন পর, তবে কেন তার নিথর দেহটা?
এই কষ্ট বুঝিয়ে বলা সম্ভব না
2.বাবার মৃত্যু নিয়ে গল্প।
আমরা তিন বোন মিলে আব্বার ছেঁড়া স্যান্ডো গেঞ্জির ছিদ্র গুনতাম।
আব্বার দুইটা স্যান্ডো গেঞ্জি। একটা মোটামুটি ভালো। এই ভালো গেঞ্জিটা আব্বা কোথাও বেড়াতে গেলে পরেন। ছেঁড়াটা নিয়মিত পরেন। অফিস থেকে ফিরে আব্বা জামা আর স্যান্ডো গেঞ্জিটা খুলে যখন খাটের কোণায় রাখতেন তখন আমরা তিন বোন পাল্লাপাল্লি করে এই ছিদ্রগুলো গোনা শুরু করতাম। আমাদের ছিদ্র গুনতে দেখে আব্বা হাসতেন আর বলতেন, মা জননীরা দেইখো, গুনতে গিয়া আমার গেঞ্জির ছিদ্রগুলান আরও বড় কইরো না।
বিলু ছিল বিরাট মাথা মোটা। শুধু মাথা মোটা বললে ভুল হবে। বিলু একটা ভুইত্ত্যা মারা মাইয়্যা। হা হা হা….. এটা আমার মা বলতেন। সাতের নামতা শিখতে তার লেগেছিল গোটা মাস দুয়েক। বিলু আমাদের মেজো। আমি তিথি আর ভয়ানক সব বুদ্ধি মাথায় নিয়ে ঘুরে বেড়ানো মেয়েটা হলো ছোট বোন বিথি। তিথি আমাদের সবার বড়। ছোট বোন বিথিকে নিয়ে আব্বা বলতেন, আমার এই মাইয়্যা হলো গিয়া রানী এলিজাবেথ। এই মাইয়্যার বুদ্ধি থাকব না তো কার বুদ্ধি থাকব।
তখন আমরা সবাই প্রাইমারীতে পড়ি। আমি পঞ্চম শ্রেনীতে উঠলাম। বিলুকে তৃতীয় শ্রেনীতেই থাকতে হলো বলে বিথিও দ্বিতীয় শ্রেনী থেকে পাশ করে তৃতীয় শ্রেনীতে বিলুর সাথে যোগ দিলো। মা বলতেন এই মাইয়্যাতো ভুইত্ত্যা মারা মাইয়্যা। তারে ক্লাস থ্রিতেই মেট্রিক দেওয়া লাগবে।
তখন ঘোর বর্ষা। কাক ভেজা হয়ে সন্ধ্যার পর পর আব্বা বিরাট এক কাঁঠাল নিয়ে বাসায় ঢুকলেন। বাসায় ঢুকেই বললেন, তিথির মা আজ রান্ধন বন্ধ। আজ রাইতে কাঁঠালই আমাদের খাওন। এত বড় কাঁঠাল খাইয়া ভাত কি আর খাওন যাইবো! মা জননীরা, তোমরা পড়ালেখা তাড়াতাড়ি শেষ কর। পড়া শেষ হইলেইল এই কাঁঠাল ভাঙ্গা হইবো।
বিলু কাঁঠাল দেখে আনন্দে আত্মহারা। সে পড়ালেখা বাদ দিয়ে কাঁঠালের পাশে গিয়ে বসে আছে। কাঁঠাল বিলুর ভীষণ প্রিয়। আমাদেরও প্রিয় তবে বিলু কাঁঠাল একটু বেশিই পছন্দ করে। এত বড় কাঁঠাল আমরা আর কখনও দেখিনি। সবাই পড়ার টেবিলে থাকলেও অপেক্ষা করছিলাম আব্বা ভেজা জামা কাপড় পাল্টিয়ে কখন বলবে, আইসো দেখি মা জননীরা কাঁঠালটা খাইতে জুইত হলো কি না।
বিলু মাঝে মাঝে কাঁঠালের গায়ে হাত দিয়ে দেখছে। কাঁঠালের গায়ে হাত চেপে ধরলে খোসার ধারালো গুটি গুটি চিহ্ন হাতের তালু তে বসে যায়। বিলু খুব খুশি হয়ে হাতের সেই চিহ্ন আমাদের এসে দেখাচ্ছে।
আব্বা মেঝেতে কাঁঠাল নিয়ে বসলেন। আমরা তিন বোন আব্বাকে ঘিরে বসে আছি। আব্বা দুই হাতের তালু তে সরিষার তেল মেখে বিসমিল্লাহ বলে কাঁঠালে হাত দিলেন। আব্বা বললেন, মা জননীরা, বিসমিল্লাহ বলে কাঁঠাল ভাঙ্গলে কাঁঠালের কোয়াগুলো খুব ভালো হইবো।
আব্বা কাঁঠাল ভেঙ্গে একটার পর একটা কোয়া বাটিতে রাখতে রাখতে বললেন, মা জননীরা তোমরা খাওয়া শুরু কর।
আমরা আনন্দে কাঁঠাল খাচ্ছি। বিলু একটু বেশিই খাচ্ছে। বাটিতে রাখা কোয়া শেষ করতে না করতেই আব্বা আবার বাটি ভর্তি করে ফেলেন। আব্বা বিলুর দিকে তাকিয়ে হেসে হেসে বললেন, মা জননী কাঁঠাল কেমুন হইলো? মিষ্টি আছে তো?
বিলুর কথা বলার সময় নেই। তার মুখ ভর্তি কাঁঠাল। বিথি বললো, খু-উ-ব মিষ্টি। একেবারে চিনির মত।
আব্বা বলল, খাও মা খাও। আজ এই পুরো কাঁঠাল তোমাগো খাওন লাগবো।
আব্বা হাসি হাসি মুখ নিয়ে আমাদের কাঁঠাল খাওয়া দেখছে। আমরা তিন বোন প্রায় অর্ধেক কাঁঠাল খেয়ে ফেলেছি কিন্তু আব্বা একটা কোয়াও মুখে দেন নি। তাকে ভীষণ খুশি দেখাচ্ছে। খুশিতে তার চোখ দুটো চিক চিক করছে। এক সময় আমি আর বিথি আর খাব না বলে উঠে যাচ্ছিলাম তখন আব্বা বললেন, মা জননীরা কাঁঠাল খাওয়া শেষ হলে একটা কাঁচা বিচি খাইয়্যা নিবা। এতে বদ হজম হইবো না।
বিলু এখনও খাচ্ছে আর আব্বা তার পাশে বসে আছে। কাঁঠাল আব্বারও ভীষণ প্রিয়। বিলুর চাইতেও বেশি। কিন্তু বিলুর খাওয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত তিনি একটা কোয়াও মুখে দিলেন না।
হ্যাঁ, আমরা বড় হয়েছি। আমাদের তিন বোনেরই বিয়ে হয়ে গেল। আব্বা মারা গেছেন তিন বছর হলো। আমরা তিন বোন সুখেই আছি। বিলু এখন সুদূর আমেরিকায় স্বামীর সাথে। বিথি খুব নাম করা ডাক্তার আর আমি স্বামী সংসার নিয়ে সুখেই আছি। এখন কেন জানি কাঁঠাল দেখলে বুকের ভেতর চিন চিন করে উঠে। চিন চিন করা বুক নিয়ে আমি কাঁঠালের দিকে তাকিয়ে থাকি। আব্বা মারা যাওয়ার পর থেকে আমরা তিন বোন কেউই আর কাঁঠাল খেতে পারি না। কাঁঠাল দেখলেই আমার ছুঁয়ে দেখতে ইচ্ছে করে। খুব ইচ্ছে করে একটু ছুঁয়ে দেখি। অথচ একটুও খেতে ইচ্ছে করে না। আব্বার হাতে ভাঙ্গা কাঁঠাল ছাড়া আমার একটুও খেতে ইচ্ছে করে না। একটুও না।
এখন বুঝতে পারি। আর বুঝতে পারি বলেই বুকের ভেতরটা কান্না জমতে থাকে। আব্বা ছোট একটা চাকরি করে আমাদের পড়ালেখা করিয়েছেন। নানা সীমাবদ্ধতার মাঝেও আব্বা চাইতেন তার মেয়েগুলো খুশি থাকুক, সুখে থাকুক। অফিস শেষ করে ফেরার সময় নানা দরদাম করে নিয়ে কিনে আনা একটা কাঁঠাল আমাদের কাছে ছিলো বিশাল কিছু। এই বিশালতার কারণ ছিলো আব্বা। আব্বার ভালোবাসার এই বিশালতা আমাদের কখনও বুঝতে দেয় নি না পাওয়ার কষ্ট। মধ্যবিত্তের টানাটানির সংসারে সন্তানের হাসি দেখে একজন বাবার চিক চিক করা চোখের জল যেন ভালোবাসার আশ্রয়।
বাবার এই ভালোবাসাটুকু সন্তানের বেঁচে থাকার অবলম্বন।
—কাঁঠাল
——রুহুল আমিন
3. বাবার মৃত্যু নিয়ে কবিতা
ওপারে কেমন আছো বাবা?
খুসখুসের ঔষধটা কে মনে করিয়ে দেয়?
তোমার ঘরে ভোর নামে?
রাতের সমাপ্তি!
আমাকে আর ভোর বেলা পানি গরম করতে উঠতে হয় না।
কেমন অনিয়মি দেখো!
প্লাস্টিকের মগটা নিতু ভেঙে ফেললো।
মা ও কে বকা দিলো না!
বললো, ভেঙেছে? ভালো হলো তো। আর কে ব্যবহার করতে আসবে।
তুমি আর আসবে না বাবা?
কুলির গড়গড় শব্দে হাসাবে না আমাকে?
দুপুর বেলা কলিং বেলের শব্দে ঘুম কেড়ে নিবে কে!
বাবা, দোলনাটা খা খা করে।
মা আমার পাশেই ঘুমোয়।
আজাদ মামার মেয়ের বিয়ের কার্ডটা?
পরশু রাতেও বলেছিলে, ডিজাইনটা দারুণ!
পড়ে আছে তোমার ড্রয়ারে।
ঘুমের ঔষধ গুলো পাঞ্জাবীর পকেটে জমা!
বাবা তোমার ঘুম হয়?
মাঝরাতে ঘুম না হলে ওসব খুঁজো?
বাদামী রঙের পাঞ্জাবীটা আজকেই এলো।
তুমি বলেছিলে না ওরা দেরী করবে?
নিপুর বিয়েতে একাই যাবো আমি,
পাঞ্জাবীটা আলমারিতে ভাজে রেখে!
রাজকুমারের গল্পটা কেউ শুনাবে না আর!
ফিরবে না তুমি কারো হাতে তুলে দিতে।
বাবা,
পরের বাড়ির মাছের মাথা আমার প্লেটে উঠবে কি না, সে চিন্তা করবে কে?
কেই বা এখন আমার মাথায়,
দোয়ার হাত বাড়িয়ে দিবে!
তোমার জুতোতে মাটি লেগে আছে।
শেষবার পুকুর পাড়ে ছিলে?
মা যে ভীষণ বিশ্রী কাঁদে!
এই বুঝি শেষ মতো তোমায় হারিয়ে ফেললাম।
‘মরণ’ শব্দটি এতো কাছে ছিল বুঝতে কেন দাও নি বাবা?
ও বাবা,
টিয়াকে আজ ছেড়ে দিয়েছি।
তোমার পথে সেও মুক্ত।
“কেমন আছো বাবা”
Israt Jahan Panna
4. I miss you মৃত বাবাকে নিয়ে স্ট্যাটাস
কবিতাঃ বাবা তোমায় ভীষণ মনে পড়ে
লেখাঃ এ.বি.এম.ফেরদৌস
মাথার উপর বিশাল একটা বট বৃক্ষ ছিলো,
ডালপালা ছিলো তার সীমাহীন ।
রোদ উঠলে ছায়া দিতো;
ঝড় আসলে আগলে রাখতো ।
ভাবিনি তা কখনো ভেঙে যাবে,
কিন্তু, যা হওয়ার কথা ছিলো না; তাই হলো ।
হঠাৎ ঝড় এলো; ডালপালা তার,
দুমড়ে মুচড়ে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করে দিলো;
সে ভূতলে লুটিয়ে পড়লো ।
আমি হয়ে পড়লাম ছায়াহীন;
আজ তীব্র রোদ; আমার কপালে এসে পড়ে,
প্রচন্ড মাথা ব্যথা হয়; চাইলেও লুকাতে পারি না নিজেকে।
আজ ঝড় আমাকে বিনাবাঁধায় আঘাত করে;
ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন করে দেয়,
আমি চাইলেও তা এড়াতে পারি না ।
বাবা তোমায় ভীষণ মনে পড়ে,
তুমি কি জানো,
আমি সন্ধ্যা হলে; তারা মেলায় খুঁজি তোমাকে ।
বাবা তুমি কি জানো,
একলা একা কেঁদে কেঁদে বালিশ ভেজাই রাত্রিভরে।
আচ্ছা, বাবা! তুমি কি দেখো আমায়,
যদি দেখেই থাকো; তবে কেন আড়ালে?
কেন আসো না আমাকে ভালোবাসতে,
কেন আসো না, আমার বাবা ডাকটা ফিরিয়ে দিতে।
এই যে দু- একটা শব্দ লিখছি,
আমি এখনো কাঁদছি, বালিশ ভিজে যাচ্ছে,
তোমার কি চোখে পড়ে না?
তবে, কেন আসো না? একটাবার আমার বাবা ডাকটা ফিরিয়ে দিতে,
কেন আসো না; বাবা তুমি?
কেন, এভাবে আড়াল হয়ে থাকো তুমি?
আচ্ছা, বাবা ! তুমিতো এমন ছিলে না,
যে তুমি আমার একটা ছোট একটা ব্যথাতে-
কেঁদে-কেঁদে সারা শহরটা ভারী করে তোলে ছিলে,
সেই তুমি কিভাবে এতটা বদলে গেলে?
আজ কিভাবে তুমি সহ্য করছো; আমার চোখের জল,
বুক ফেটে যাওয়া; তীব্র ব্যথা;
কিভাবে সহ্য করে; এভাবে আড়াল হয়ে থাকছো,
আজ তোমার কি একটুও কষ্ট হচ্ছে না?
যদি কষ্ট হয়েই থাকে;
তবে কেন আসো না?
আমাকে আমার বাবা ডাক ফিরেয়ে দিতে ।
জানো আমি প্রতটা সেকেন্ড তোমার অপেক্ষায় থাকি;
তবুও, তুমি আসো না, কান্না করি,
তুমি আসো না। কেউ শান্তনা দেয় না,
একাই শান্ত হই;
বাবা তুমি কি জানো, কতটা কান্নায় মানুষ একাই শান্ত হয়?
নিশ্চয়ই তুমি জানো না,
জানলে কি আর দূরে থাকতে…
চোখে জল; মনে তীব্র ব্যথা ছাড়া,
আজ আর কিছু নেই বেঁচে ।
আমিও মরেছি;
যে মৃত্যুতে শুধুই ব্যথা আসে; সে মৃত্যু আমারও হয়েছে;
কিন্তু, ভূমন্ডলে চষে বেড়াচ্ছি; জীবন্ত লাশের নামে,
বাবা তোমায় মনে পড়ে; ভীষণ মনে পড়ে ৷
তবু, তুমি কেন দূরে আমাকে একা করে।
কেন?
5. বাবাকে নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস।
বাবা
রুদ্র কিশোর
প্রিয় বাবা,
কেমন আছো?
নতুন শহরে কেমন কাটছে তোমার দিন।
জানি ভালোই কাটছে।
কাটবেই না কেন,
নতুন শহরে তোমার তো আমাদের জন্যে চিন্তা করতে হয় না।
কাউকে বকা দিতেও হয় না।
আচ্ছা বাবা,
নতুন শহরে কি আমাদের মত কেউ তোমার সাথে গল্প করে?
কেউ আমাদের মত আবদার করে?
এটা কিনে দাও ওটা কিনে দাও।
কেউ কি বাবা বলে জড়িয়ে ধরে?
কারো জন্যে কি খুব চিন্তা করা লাগে।
তুমি কি কাউকে আদর করে বকা দাও?
কেউ কি তোমার উপর রাগ করে??
জানো বাবা,
আমাদের শহর খুব এক ঘেয়ে– যে যার মত হয়ে গেছে।
এখন না খেয়ে থাকলেও কেউ বকে বকে ভাত খাওয়ায় না। কেউ শাসন করে না।
কেউ রিক্সায় করে স্কুলে দিয়ে আসে না।
কারো কাছে আবদার করা হয় না।
সব কিছুই কেমন অগোছালো হয়ে যায়।
ছোট ভাইটাও খুব শান্ত হয়ে গেছে!
শুধু বলে বাবা কখন আসবে, বাবা কখন আসবে?
ওর কথা তোমার মনে আছে??
মাও অন্য রকম হয়ে গেছে। তোমার ছবির সামনে দাড়িয়ে লুকিয়ে কাঁদে।
তুমি জানো বাবা,
নিজেদের খুব একা লাগে এখন। বারবার মনে হয় হৃদয় থেকে কি যেনো হারিয়ে গেছে।
আচ্ছা,
নতুন শহর কি খুব সুন্দর।
সে সুন্দর কি আমাদের ভুলিয়ে দিয়েছে।
বাবা খুব ইচ্ছা করে তোমার কাছে যেতে খুবই ইচ্ছা করে।
বাবা বলোতো
কি করে বুঝাই ছোট ভাইটাকে, আমি আর মা না হয় মানিয়ে নিয়েছি। ও তোমার আদর খোঁজে, তাকে কি করে বুঝাই আমাদের বাবা নেই আমাদের বাবা নেই।
বাবা আকাশে তারা হয়ে গেছে।