ডাক্তারঃ কি সমস্যা? বলুন।
অনুঃ আমি এবর্শন করাতে চাই।
ঃকিইই?? কেন?
ঃএবারও মেয়ে হলে আমাকে ওরা মেরে ফেলবে।
ঃকারা?
ঃআমার শশুর বাড়ির লোকজন।
ঃআপনার কয় সন্তান?
ঃদুইটা সন্তান। দুইটাই অলক্ষী। মেয়ে।
ঃআচ্ছা। আপনার স্বামী কই?
ঃআসেনি। আমাকে জোর করে পাঠাইছে এবর্শন করতে। যদি না করি তাহলে আজ রাতেই আমাকে মেরে ফেলবে।
ঃআপনার গায়ে হাত তুলে??
ঃহাহা। শুধু আমার গায়েই না। আমার পেটের বাচ্চাকেও লাথি গুতা দেয়।
ঃআপনার স্বামী কি করে?
ঃমুদি দোকানদার। ভাবছিল একটা ছেলে হলে কিছু টাকা ইনকাম করে শেষ বয়সে খাওয়াবে। কিন্তু আমি ত অপয়া। ছেলের জন্মই দিতে পারিনি।
অনু কাঁদতে লাগল। ডাক্তার তাকে থামিয়ে বুঝাতে লাগলেন
ঃদেখুন সন্তান ছেলে হবে নাকি মেয়ে হবে এতে মায়ের কোন হাত নেই। এটা একমাত্র পুরুষের উপর নির্ভর করে।
ঃএটা উনাদের কে বুঝাবে?
ঃআপনি কালকে আপনার স্বামীকে নিয়ে আসুন। আমি কথা বলব। এবর্শন মানে খুন। এই পাপের ভাগীদার আমি হতে পারব না।
ঃআচ্ছা ঠিক আছে।
অনু বাড়ি চলে গেল। সন্ধ্যা হয়েছে কেবল। গ্রামে বিদ্যুৎ নেই। দোয়াতের আলোতে দেখতে পাচ্ছে তার শাশুড়ি উঠোনে বসে আছে। হয়ত অনু এসে বলবে এবর্শন হয়ে গেছে। আর উনি খুশিতে তাদিং তাদিং করবেন। তাই বসে আছে।
অনু বাড়িতে ডুকতেই দৌড়ে এসে জিজ্ঞেস করলেনঃ
কাজ শেষ??
ঃনা। করিনি।
ঃমা*? কেন?করিস নি কেন?
ঃবাচ্চা ছেলে না মেয়ে হবে এতে বউয়ের কোন হাত থাকে না। স্বামীর উপর নির্ভর করে এটা।
ঃওরে আমার এম বি বি এস রে!!! আমারে বুঝাস তুই??ঘাড়ে ধরে যখন কয়টা দিব না টের পাবি তখন।
ঃআমি আমার বাচ্চাকে মারব না। আপনার যা ইচ্ছা করেন।
ঃমা*র তেজ দেখে বাঁচি না। সবুর আসুক দোকান থেকে। তারপর বুঝাব তোকে।
ঃকি করবেন? গায়ে হাত তুলবেন?অভ্যাস হয়ে গেছে আমার।
ঃকি করি তখন দেখিস।
ঃআচ্ছা দেখাইয়েন।
অনু রুমে চলে গেল। একটা মেয়ে কাঁদছে আর একটা ঘুমাচ্ছে। ঠাস করে মেয়েটার গালে চড় দিয়ে বলল, মেয়ে হয়ে জন্মাইছিস আবার এত কান্না কিসের? চুপ থাক।
ঃআম্মা! দাদু আদর করে না। খাওয়াইয়া দেয়না। খিদে লাগছে। খাইতে দাও।
ঃগরীব বাপের ঘরে জন্মাইছিস এত খাওয়া খাওয়া করিস না। পেটে পাথর বেঁধে বসে থাক।
মিনিট দুয়েক পর মেয়েকে কোলে নিয়ে দোকান থেকে কিনে আনা চিপস খেতে দিল। এতেই মেয়েটা মহাখুশি। মেয়েকে বুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে লাগল সে।
রাত ১১ টা। মেয়েরা ঘুমিয়ে গেছে। সবুর আসছে দোকান থেকে। খাবার দিল। খেয়ে দেয়ে সবুর মা’র সাথে শলা পরামর্শ করে রুমে এল।
ঃকিরে, তুই নাকি আম্মার সাথে খারাপ আচরণ করছিস?
ঃহ্যাঁ করছি। তো?
ঃযা আম্মার পায়ে ধরে মাফ চা।
ঃপারুম না।
ঃগতরাতের মাইরের কথা ভুলে গেছিস?
ঃ কোনরাতেই কি মাইর বাদ গেছে?
ঃএত কথা কইতে কইছি তোরে? যা বলছি কর।
ঃপারুম না আমি।
ঃপারতে হবেনা। বোরখা পরে আমার সাথে আয়। এক জায়গায় যাব।
ঃকই?
ঃতোর জানা লাগবে না।
ঃকি মেরে ফেলবা আমাকে? এমন কর না। আর কত মারবা?আমি বলছি তো এবর্শন করাব।
ঃএইত লাইনে এসেছিস। ডাক্তার এবর্শন করবে না। তোকে অন্য জায়গায় নিয়ে যাব।
নিরুপায় অনুর করার কিছুই নেই। এবর্শন না করালে সত্যি সত্যিই মেরে ফেলবে তাকে।ছোট ছোট বাচ্চা মেয়ে দুটোকে কে দেখবে তখন!! বোরখা পরে বের হওয়ার আগে ঘুমন্ত নিষ্পাপ মেয়ে গুলোর গালে চুমু দিয়ে বের হল সে।
অন্ধকার রাত। কোথাও জনমানব নেই। টর্চ লাইটের আলো নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে সবুর। পিছন থেকে অনুসরণ করছে অনু। আধঘণ্টা হাঁটার পর এক বাড়িতে এসে থামল তারা। বাড়ির মহিলা একজন দাই। এলাকার অনেকেই উনার কাছে এসে সন্তান প্রসব করিয়ে যায়। এর পাশাপাশি উনি এবর্শন ও করান। শর্ত একটাই মায়ের ক্ষতি হলে বা মারা গেলে উনাকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবেনা। শত হোক! নিজের জান বাঁচানো ফরজ।
ঘরের ভিতরে ডুকল তারা। সবুরকে বসিয়ে রেখে অনুকে নিয়ে অন্য ঘরে গেলেন। দরজা আটকিয়ে দিলেন। অনুকে একটা বিছানায় শুয়ানো হল। গায়ের কাপড় খোলা হল। মহিলা একা পারবেন না তাই সাথে একজন সহযোগী রেখেছেন। উনি এসব কাজে সাহায্য করছেন। সহযোগী মহিলাটা অনুর মাথায় শক্ত করে ধরে রেখেছেন।দাই হালকা সরিষার তেল নিয়ে অনুর গোপন অঙে মেখে নিলেন। তারপর একটা বাঁশের কঞ্চি বের করে সেটা জরায়ুর ভিতর দিয়ে ঢুকিয়ে দিলেন। কঞ্চি টা এদিক ওদিক নাড়াচ্ছেন যাতে বাচ্চার হাত পা যাই কঞ্চিতে লাগুক তা কেটে যায়। প্রচুর রক্তক্ষরণ হতে লাগল। ব্যাথায় চিল্লাচ্ছে অনু। সে কান্না সবুরের কানে কখনো যায়নি,এবারও গেল না। দাই যতই চেষ্টা করছেন বাচ্চার হাত পা পাচ্ছেন না।আসলে বাচ্চাটা এখনো ম্যাচিউর হয়নি। তাই উনি পাচ্ছেন না। অনু কান্না করতে লাগল। আর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে অনু অজ্ঞান হয়ে গেল। বাধ্য হয়ে দাই সবুরকে বলল সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে।
কি আর করা!! সবুর দৌড়াদৌড়ি করে একটা ভ্যান জোগাড় করে আনল। এই মাঝরাতে বউকে নিয়ে সদর হাসপাতালে গেল। এতরাতে প্রফেসর ডাক্তাররা থাকেন না। ইমার্জেন্সি তে ডিউটি ডাক্তার আছেন। অনুকে রিসিভ করলেন। যেহেতু বাচ্চা এখনও ম্যাচিউর হয়নি তাই বললেন এখনি সিজার করতে হবে। আর অনুকে বাঁচাতে হলে যতদ্রুত সম্ভব রক্ত জোগাড় করতে হবে। দুই ব্যাগ রক্ত প্রস্তুত না রেখে সিজার করবেন না উনারা। রক্ত ছাড়া মাকে নাও বাঁচানো যেতে পারে।
বেচারা সবুর পড়ল মহাবিপদে। একে ত সিজারের এত খরচ তাও আবার মেয়ে বাচ্চার জন্য তার উপর রক্ত জোগাড় করা। বেচারা কোণঠাসায় পরে গেল। ডাক্তারকে সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন উনি রক্ত জোগাড় করতে পারবেন না।অনু বাঁচুক আর না বাঁচুক। ইমার্জেন্সি একজন ডাক্তারের রক্তের গ্রুপের সাথে অনুর গ্রুপ মিলল। উনি এক ব্যাগ রক্ত দিলেন। আর হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক থেকে এক ব্যাগ ব্লাড নিয়ে অনুকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হল।
সাইকোসিস
১ম পর্ব
জাবেদ
চলবে….
সাইকোসিস
শেষ পর্ব
জাবেদ
অনুর সিজার হল। অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে ডাক্তার বললেন, আপনার ফুটফুটে এক রাজকন্যা হয়েছে। সবুর হাসল না,খুশিও হলনা। তার যে ছেলে যাই। কানা হোক,ল্যাংড়া হোক তার ছেলে চাই। বাড়ি থেকে সবুরের মা,বাবা,ভাই কেউ আসেনি। অনুকে পোস্ট অপারেটিভ কেয়ারে নেওয়া হল। বাচ্চাটা মাশাল্লাহ সুন্দর হয়েছে। একজন সিস্টার কোলে নিয়ে হাসতেছে। পাশের জনকে বলতেছে, ইশ,আমারও যদি এমন একটা ফুটফুটে মেয়ে হত!!
পরদিন সকাল। সবুরের মা এসেছে। আর গ্রাম থেকে অনুর বাবা,মা,বোন সবাই এসেছে। সবুর অবশ্য এটাই চেয়েছিল উনারা এসে বিল মিটাক। ছেলে হলে ও বিল দিত।পুরো এলাকায় মিস্টি বিতরণ করত। কিন্তু তার কপালে তো ছেলেই নেই। সবুরের মা অবশ্য একবার বলেছিল, আরেকটা বিয়ে করতে। এই মেয়ে ছেলে জন্ম দিতে পারবে না। অন্য মেয়ে দরকার। এলাকার মানুষ কি বলবে এই ভয়ে আরেক বিয়ে করেনি। তার উপর শশুর বাড়ি থেকে ভালো টাকা পয়সা পায়। তাই আর ব্যাপারটি নিয়ে আগায়নি সে।
কয়েকদিন পর। সবুরের বাড়িতে অনুকে নিয়ে আসা হয়েছে। অনু ছাড়া সদ্য জন্ম নেওয়া মেয়েকে কেউ দেখে না। একাই সামলাচ্ছে অনু। তার উপর আগের দুই মেয়ে। এইগুলাকেও সামলাতে হচ্ছে। তাই গ্রাম থেকে আজ ছোট বোনকে নিয়ে এসেছে। অবশ্য শাশুড়িকে বলেছিল নিজের বাড়ি চলে যেতে। শাশুড়ি দেয়নি। বলে,জমি থেকে ধান আসতেছে, কাজ ফাঁকি দেওয়া যাবে না।
অনুর ঘা তখনও শুকায় নি। জমি থেকে ধান এসেছে। শাশুড়ির হুকুম ফেলা যাবে না। বাধ্য হয়ে এই শরীরেই কাজ করছে সে।
কিছুদিন যাবত অনুর সবকিছু অসহ্য মনে হচ্ছে। কোন কিছু করতেই ভাল লাগছে না। এমনকি মেয়ের যত্নও নিতে পারছেনা ভাল মত। তার মনে হচ্ছে এভাবে অযত্নে অবহেলায় তার মেয়ে মারা যাবে। আর ইদানিং বেশি পরিশ্রম করায় ব্যাথাও হচ্ছে খুব। মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে। সারাদিন এত পরিশ্রম করার পরেও রাতে যখন সবুর কথা শুনায় তখন তার আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে না। সে বুঝতেছে সে মানসিকভাবে ভেংগে পড়ছে। ঠিকমত দুধ পাচ্ছে না কোলের মেয়েটা। আর পাবেই বা কি করে? সে নিজেই তো ভাল খাবার পাচ্ছেনা। বাচ্চা পাবে কোথা থেকে??
কয়েকদিন যাবত সে বাড়ি যাবার জন্য সবুরের কাছে অনুনয় বিনুনয় করছে। লাভ হলনা। উল্টো ঝগড়া হল। আবার গায়ে হাত দিচ্ছে সবুর। কোলের মেয়েটার জন্য মায়াও লাগে না তার। একবার মেয়েটাকে কোলেও নেয়না। আশেপাশের সবার কাছ থেকেই এমন খারাপ আচরণ পেতে পেতে অনুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠছে।
আজ মেয়েটার এক মাস পূরণ হল। বুকের দুধ পাচ্ছে না সে। সকাল থেকে অনবরত কান্না করছে। শেষ বারের মত শাশুড়ির কাছে গিয়েছিল বাবার বাড়ি যাওয়ার অনুমতি নেওয়ার। উনি অনুর বাবা মা কে তুলে গালিও দিতে ছাড় দিলেন না। রুমে এসে দরজা বন্ধ করে দেয় অনু। মেয়েটার কান্না থামে নি। ছোট বোনের কাছে দুই মেয়েকে দিয়ে বলে বাইরে থেকে ঘুরে আসতে। ছোট বোন ঘুরতে চলে যায়। অনু অনেক চেষ্টা করে কোলের মেয়েটার কান্না থামাতে। কিন্তু থামছেই না। অনুর প্রচন্ড খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে মেয়েটা না খাইতে পেয়ে মারা যাবে। স্বামীর, শাশুড়ির সব অত্যাচার চোখের উপর ভেসে উঠে। বেঁচে থাকার ইচ্ছাটাও মরে গেছে। কোল থেকে মেয়েটাকে বিছানায় রাখল সে। মাথা কাজ করছে না। ছোট কাথা দিয়ে মেয়েটার গলায় চাপ দিয়ে ধরে থাকে কিছুক্ষণ। চিরদিনের জন্য মেয়েটার কান্না বন্ধ হয়ে যায়। এবার অনু সিলিং ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচিয়ে নিজেও আত্নহত্যা করে। জগতের সকল অন্যায়,অনাচারের সমাপ্তি ঘটায় অনু।
বিকেলে পুলিশ এসে সবুর আর তার মা’কে ধরে নিয়ে যায়।
কিছু কথাঃ
ডাক্তারি ভাষায় একটা রোগ আছে। নাম পোস্ট পারটাম সাইকোসিস। মানে হল বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর মায়ের মানসিক বিকারগ্রস্থতা। এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার বেশকিছু কারণ আছেঃ
১.দারিদ্র্যতা
২.শশুড়বাড়ির অত্যাচার
৩.বাচ্চার জন্মত্রুটি
৪.প্রসব ব্যাথা( প্রসবকালে কেমন ব্যাথা হয় তা একজন মা ছাড়া কেউ বলতে পারবে না। এই অসহ্য ব্যাথা অনেকে সহ্য করতে পারেনা। মানসিকভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ে। তখন তারা বাচ্চার আদর যত্ন করে না।মনে মনে বাচ্চাকে বলে, তোর জন্য এত কষ্ট সহ্য করতে হইছে আমার।তাই তোকে বাঁচতে দিবনা। এমন আরও অনেক কিছু)
৫.সাংসারিক কলহ
৬.মায়ের যদি মনে হয় সে বাচ্চার যত্ন নিতে পারছে না। আশেপাশের কেউ বাচ্চার যত্ন নিচ্ছে না। কেউ বাচ্চাকে একটা জামা দিলেও তখন সে ভাবে আরও জামা কেন দেয়নি।
মূলত এগুলাই এই রোগের কারণ।
কিছুদিন আগে একজন রোগী আসছিল। উপরের ঘটনার মতই অনেকটা তার সাথে ঘটেছে। মহিলাটা বাচ্চাকে মেরে রান্নাঘরে গিয়ে গায়ে আগুন দিয়ে মারা যায়।
ব্রাক্ষনবাড়ির হাসপাতাল থেকে মেয়ে রাস্তায় ফেলে মায়ের আত্নহত্যার কথা মনে আছে?? মূলত মহিলার স্বামীর সাথে বনিবনা হচ্ছিল না। সংসারে অশান্তি লেগেই থাকত। স্বামী হাসপাতালের বিল পরিশোধ করতে রাজি হয়নি। মহিলা অনেক ঝগড়া করে স্বামীর সাথে। উনার মনে হচ্ছিল মেয়েকে নিয়ে এই সংসারে সুখী হতে পারবে না। উনারও মূলত পোস্ট পারটাম সাইকোসিস হয়ে যায়। এটা বাচ্চা প্রসবের পরেই শুরু হয়। আর তাই উনি বাচ্চাকে মেরে নিজেও আত্নহত্যা করে।
আমরা এই বিংশ শতাব্দীতে এসেও ছেলের জন্য কত হাহাকার আমাদের। মেয়েদের এখনও আমরা বোঝা ভাবি। কিন্তু এটাই সত্যি একজন বাবা,মা অসুস্থ্য হলে ছেলেরা শুধু ফোন দিয়ে খোঁজ টাই নিতে পারে আর পাশে থেকে সেবা শুশ্রূষা করে কিন্তু মেয়েরা। একজন মেয়ে বাবা মায়ের যে যত্ন নিতে পারে ২ জন ছেলেও কখনো পারবে না।
কখনো কি শুনেছেন কোন মেয়ে তার বাবা মা কে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়েছে?
কোন মেয়ে বাবা/মায়ের গায়ে হাত তুলেছে??
কোন মেয়ে বাবাকে মেরে ফেইসবুকে ভাইরাল করেছে??
কখনো শুনেন নি তো?
তাহলে কেন আমাদের একজন মেয়ে হলে এত অগ্রাহ্যতা?
সমাজের কি বোধোদয় হবে না??
আমরা কি মানুষ হব না?
আমরা যারা সচেতন নাগরিক আমরা আমাদের বাবা মায়ের যত্ন নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করি। গর্ভাবস্থায় আমাদের ওয়াইফ কে যত্ন নেওয়ার প্রতিজ্ঞা করি। আমি চাই আমার প্রথম সন্তান মেয়ে হোক। আপনি চান তো??
সমাজের বোধোদয় হোক!!