#কাউন্সেলিং_টেবিলের_গল্প
All marriages are sacred, but not all are safe. (Rob Jackson).
ভদ্রলোক: “আমার স্ত্রী আমাকে প্রচন্ড সন্দেহ করেন যদি কোনদিন অফিস থেকে ফিরতে ১০ মিনিটও দেরী হয় আমাকে ফোন না করে আমার কলিগদেরকে ফোন করে, যে আমি কই! যদি জিজ্ঞেস করি, ‘ আমাকে ফোন করলে না কেন?’ স্পষ্ট বলে, ‘তোমাকে বিশ্বাস করি না!’
আমি, “এরকম ঘটনা কি প্রথম থেকেই ঘটছে নাকি নির্দিষ্ট কোনো ঘটনার সূত্র ওনাকে সন্দিহান করেছে?”
ভদ্রলোক, “বিয়ের প্রথম থেকেই! আমাদের সেটেল ম্যারেজ। দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলাম। ওর পরিবার খুবই রক্ষণশীল। বিয়ের রাতেই ও আমাকে জিজ্ঞেস করে, ‘ বিদেশে কতগুলি মেয়ের সাথে শুয়েছেন।’ এরপর একের পর এক কাজের বুয়া নিয়ে সন্দেহ! এলাকার সব থেকে বয়স্ক বুয়াগুলি আমাদের বাসায় নিয়োগ পাবে। একের পর এক বুয়া বদল হবে আমি নাকি বাজে দৃষ্টিতে তাকাই এই অভিযোগে। আমি যে টাকা উপার্জন করি আমি চাইলে শহরের সেরা হোটেলে, সেরা স্কটকে নিয়ে রাত কাটাতে পারি, আমি কেন বুয়ার দিকে নজর দেব?”
ভদ্রলোকের চোখের মধ্যে একই সাথে হতাশা আর অসহায়ত্বের ব্যঞ্জনা। হঠাৎ মনে হল একেই কি ফাটা বাঁশে লেজ আটকানো বলে?
আমি, “ঠিক কি কি আচরণ করেন আপনার স্ত্রী?” ভদ্রলোক, “কোথাও গেলে কখন ফিরব সেটা একদম ঘড়ির কাঁটা মেপে আমাকে বলতে হবে; যদি সেটা আমি বলতে না পারি তাহলেই কেল্লা ফতে! আমার কলিগ, বন্ধু, আব্বা-আম্মা, শ্বশুর শ্বাশুড়ি, ভাইবোন, শালাশালী, আত্মীয়-স্বজন, বাপের বাড়ি, শ্বশুরবাড়ি, এমন কেউ বাদ নেই যাকে ফোন করবে না আমি কোথায় জানতে চেয়ে। ঘটনাটা এখানেই শেষ হয় না এরপর যখন বাসায় ফিরি তখন বিষয়টা প্রচন্ড ঝগড়াঝাঁটি পরবর্তী মারপিটে রূপ নেয়। এই দেখেন সে কিভাবে আমাকে আঁচড়ায়, খামচে দেয়। লাথিগুলিতো আর দেখানো যায় না। আমাদের বাসার বাইরে সিসি ক্যামেরা আছে সেখানে প্রচুর ফুটেজ আছে সে কিভাবে আমাকে লাথি ঘুষি মারছে।”
আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম ভদ্রলোকের হাতের উন্মুক্ত অংশে নতুন, পুরনো খামচির দাগ।
শেক্সপিয়ারের কথা মনে পড়ল,
“The bitter clamor of two eager tongues, can arbitrate this cause betwixt us twain;”1
আমি, “আপনি হাত তুলেননি?”
ভদ্রলোক, ” তুলেছি! কিন্তু দেখলাম তাতে আরো ভয়ঙ্কর আচরণ করে, চিৎকার করে জানালা খুলে পাড়া-প্রতিবেশী ডাকতে থাকে, শাড়ি ব্লাউজ ছিড়ে দৌড়ে রাস্তায় নেমে যায়; এখন আমি মান-সম্মানের ভয়ে চুপ করে থাকি।”
আমি, ” আপনাদের আন্তঃসম্পর্কে প্রথম গায়ে হাতটা কে তুলেছেন?”
ভদ্রলোক, “আমার স্ত্রী।”
আমি, ” আমার কাছে কেন এসেছেন?”
ভদ্রলোক, ” ইদানিং আমি তাকে এত ভয় পাই, যেকোনো রকম বিতর্কে জড়াই না। কারণ আমার বাচ্চাদেরকে ডেকে বলে আমি এই করেছি, সেই করেছি বলে চরম অশ্লীল শব্দ উচ্চারণ করে।“
আমি, “নির্দিষ্ট কাউকে নিয়ে?”
ভদ্রলোক, “না! সব সিজনাল। কিছুদিন এর সঙ্গে কিছুদিন তার সঙ্গে। ক্ষেত্রবিশেষে একসাথে বহু জনের সঙ্গে। সবার সাথেই নাকি আমার মনোদৈহিক সম্পর্ক। আমি নিজেই জানতাম না যে নারীমহলে আমি এত জনপ্রিয়!”
তিক্ত একটা হাসি ভদ্রলোকের ঠোঁটের কোণে চিকচিক করে উঠলো।
আমি, ” আপনার স্ত্রী কি জানেন যে আপনি আমার এখানে সেশনে এসেছেন?”
ভদ্রলোক, “আপনার কাছে কাউন্সেলিং এ এসেছি শুনলে প্রথমেই একটা গালি দিয়ে বলবে, ‘তুই পাগল’, দ্বিতীয়ত বলবে, ‘তুই এত পুরুষ কাউন্সিলার থাকতো একজন মহিলা কাউন্সিলরের কাছে কেন গেলি।“
আমি, “আপনি আমার কাছ থেকে কি চাচ্ছেন?”
ভদ্রলোক, “আমি আর নিতে পারছি না! প্রতিদিনই ঘরের মধ্যে এই ঝগড়াঝাঁটি ভাল লাগে না! অফিসের কাজের প্রচন্ড প্রেসার, তার উপর বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী সবার কাছে হাস্যস্পদ হয়েছি। শুধু বাচ্চাদের মুখ চেয়ে ডিভোর্স চাই না। কারণ আমি জানি যদি আজ ডিভোর্স দেই কালকেই আমি আর একটা বিয়ে করতে পারব, কিন্তু আমার স্ত্রী তার ভাইদের সংসারে ৭ দিনও টিকবে না। আমার শ্বশুর-শ্বাশুড়ি থাকেন গ্রামে। সেখানে বাচ্চাদের পড়াশোনা হবে না। আমার একার পক্ষে অফিস সামলে বাচ্চা দুইটাকে একা বাসায় রাখা অসম্ভবের কাছাকাছি। এখনই ওদের মা যখন আমাকে মারতে তেড়ে আসে, ভাঙচুর করে বাচ্চাগুলো ভয়ে দেয়ালের সাথে নিজেকে গুটিয়ে ফেলে। আমি বাসায় না থাকলে, ভয়ে সিঁটিয়ে থাকে। যখন বাসায় ফিরি বাচ্চারা মনে হয় একটু হাপ ছেড়ে বাঁচল। কারো সাথে বাচ্চাদের মিশতে দেয় না। কথায় কথায় মাইর। আমাকে যৌতুক মামলার ভয় দেখানো। নিজেকে ইদানিং কুকুরের মতন মনে হয়।”
আমি ভদ্রলোকের দিকে তাকিয়ে থাকলাম।
তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প,
বিবিসির একটা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের প্রচুর মিথ্যা মামলা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে। বাংলাদেশে পুলিশ বলছে নারী নির্যাতনের মামলার আশি শতাংশরই কোন প্রমাণ মেলেনা। পুলিশের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক সহেলী ফেরদৌস বলছেন, “নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় জামিন পাওয়া সহজ নয় বলে অনেকে এর অপব্যবহার করছেন। যারা ফ্যব্রিকেটেড মামলা দেন তাদের জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা বড় সুবিধা হল যে এই আইনে জামিন পেতে বেগ পেতে হয়। আগে আইনটি জামিন অযোগ্য ছিল।এখন কিছু ক্ষেত্রে জামিন পাওয়া যায়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত অনেক ক্ষেত্রে আসামিকে জেলে থাকতে হয় না হয় অনেকে পালিয়ে থাকে। জামিন কঠিন হওয়ায় অনেকে এটি অপব্যবহার করেন। খুব দ্রুততম সময় এই মামলায় হয়রানি করার একটা সুযোগ রয়েছে।এর মামলা খুব দ্রুত গতিতে সম্পন্ন করতে হয়। ৯০ দিনের মধ্যে। এ জন্য মামলার সংখ্যা বেড়ে যায়। মামলা করার পর প্রতিপক্ষ যে একটা চাপে থাকে, হেনস্তা হয় সে কারণে যাদের সাথে বিবাদ তারা হয়ত আপোষ করে ফেলে।” 2
তবে সমাজে পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টিকে পুরোপুরি ফেলে দেয়া যাবে না। পুরুষতান্ত্রিক সমাজের গলায় আটকে গেছে পুরুষ নির্যাতন গন্ধম ফলের মতো। না পারছে গিলতে না পারছে উগড়াতে।
“বাংলাদেশের ৮০ শতাংশ বিবাহিত পুরুষ ‘মানসিক’ নির্যাতনের শিকার। সামাজিক লজ্জার ভয়ে অনেকেই এসব বিষয় প্রকাশ করতে চান না।” 3
এসব তথ্য উপাত্তের সত্যতা কতটুকু সেই বিশ্লেষণে না যাই, কিন্তু বৈশ্বিক চালচিত্রতে পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি ক্রমশ উপেক্ষিত। ঠিক যেরকম পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য। প্রতি তিনজন ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স ভিকটিমের একজন হলেন পুরুষ বাকি দু’জন নারী। এই পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নিজের পৌরুষ বজায় রাখবার ফাঁদে পড়ে গেছে! কারণ কাপুরুষ গালিটা পুরুষ নিতে পারে না।
Men who report domestic violence can face social stigma regarding their perceived lack of machismo and other denigrations of their masculinity.4 Additionally, intimate partner violence (IPV) against men is generally less recognized by society than IPV against women, which can act as a further block to men reporting their situation.5
এসব তথ্য উপাত্তের সত্যতা কতটুকু সেই বিশ্লেষণে না যাই, কিন্তু বৈশ্বিক চালচিত্রতে পুরুষ নির্যাতনের বিষয়টি ক্রমশ উপেক্ষিত। ঠিক যেরকম পুরুষদের মানসিক স্বাস্থ্য।
The relative prevalence of intimate partner violence against men to that of women is highly disputed between different studies, with some countries having no data at all. Some researchers believe the actual number of male victims may be greater than law enforcement statistics suggest due to the number of men who do not report their abuse.6 However, for both men and women, domestic violence is among the most underreported crimes worldwide.7
মানসিক নির্যাতন আইন দিয়ে আসলে কতটুকু প্রতিহত করা যায় আমি সন্দিহান!
Determining the rate of intimate partner violence against males can be difficult, as men may be reluctant to report their abuse or seek help.8
নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের নারী এবং শিশু নির্যাতন যে অনুপাতে হয় অর্থনৈতিক মানদণ্ডে পুরুষরা ক্ষমতার শীর্ষে থাকে বলেই পুরুষ নির্যাতন সেই অনুপাতে হয় না। সেই আলোচনায় যাব না।
আমরা বর্তমানে এমন একটি পরিস্থিতে রয়েছি, যেখানে সবাই নারী নির্যাতনের বিষয়ে কথা বলে, তাদের অধিকারের কথা বলে। কিন্তু পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কেউ কথা বলতে চায় না। আমাদের সমাজে শুধু নারীই নির্যাতনের শিকার হয় তা নয়, পুরুষও নারীদের নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কোনো নারী মিথ্যা মামলা (ধর্ষণ, নির্যাতন) করলে পুলিশ অভিযুক্ত পুরুষকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়৷9
যুগের সাথে সাথে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স শব্দটাকে এখন পুনরায় সংজ্ঞায়িত করা প্রয়োজন। কনফ্লিক্ট ট্যাকটিস স্কেল বা সিটিএস গোটা বিশ্বে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স মাপার একটা ইন্সট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু আধুনিকায়নের সাথে সাথে মানুষের যেমন চাওয়া-পাওয়া বদলে যাচ্ছে, আমরা অন্তর্জালিক পৃথিবীতে হোম অফিস করে ফেলছি, ঠিক সেরকম যুগের প্রয়োজনে ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স শব্দটিকে নতুন করে সংজ্ঞায়িত করা এখন সময়ের দাবি।
Conflict tactics scale (CTS) as the sole measure of domestic violence, and that many of the studies used samples composed entirely of single people under the age of thirty, as opposed to older married couples.10 Although the CTS is the most widely used domestic violence measurement instrument in the world,11 it is also one of the most criticized instruments, due to its exclusion of context variables, inability to measure systemic abuse, and motivational factors in understanding acts of violence.12 National Institute of Justice cautions that the CTS may not be appropriate for IPV research at all “because it does not measure control, coercion, or the motives for conflict tactics”.13
কাজী নজরুল ইসলামের লেখা মনে পড়ছে, ” সে যুগ হয়েছে বাসি, যে যুগে পুরুষ দাস ছিল না ক’, নারীরা আছিল দাসী! বেদনার যুগ, মানুষের যুগ, সাম্যের যুগ আজি, কেহ রহিবে না বন্দী কাহারও , উঠিছে ডঙ্কা বাজি’।”
১৯৭৫ সালে ফ্যামিলি ভায়োলেন্স সার্ভেতেও বউয়ের হাতে মার খাওয়ার গল্প উঠে এসেছে যুক্তরাষ্ট্রে। “The most controversial aspect of female perpetrated intimate partner violence is the theory of “battered husband syndrome”. In reaction to the findings of the U.S. National Family Violence Survey in 1975”.14
আবার আলোচ্য ঘটনায় ফিরে আসি, ভদ্রলোক সম্ভবত ব্যাটার্ড হাজবেন্ড সিনড্রোমে ভুগছেন। একে মানসিক অসুস্থতা হিসেবে DSM -5 এ ক্লাসিফাই না করে একে পোস্ট ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিজঅর্ডারের একটা লক্ষণ বলে বিবেচনা করা হচ্ছে।
“Battered husband syndrome a type of post-traumatic stress disorder that happens when a man has been emotionally, physically, or sexually abused. Battered husband syndrome is similar to battered woman syndrome.”15
ভদ্রলোককে বললাম, “প্রথমত আপনার স্ত্রীর সাথে কথা বলতে হবে, দ্বিতীয়ত এই ঘটনাগুলো বাচ্চা দুটোর মনে যে অনুভূতি বা চিন্তা তৈরি করছে এগুলো কিন্তু ভবিষ্যতে বাচ্চাগুলার নিজেদের জীবন সঙ্গীর সাথে সম্পর্ককে দূষিত করতে পারে। শুধু তাই নয়, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে এই ধারা চলতে পারে।”
ভদ্রলোক, “আমার স্ত্রী কোনভাবেই আসবেন না।”
আমি, “আপনি ওনাকে বলে দেখেন। কারণ যে তীব্র রাগের আচরণগত বহিঃপ্রকাশ তিনি করছেন, এই ব্যবহারটা তলিয়ে দেখলে আমি নিশ্চিত এই রাগ প্রতিফলিত আচরণ এর পেছনে ওনার হয় তীব্র ভয় বা দুঃখের একটা অবচেতন অনুভূতি লুকিয়ে আছে মনের গহীনে। আপনি স্বচ্ছভাবে বলবেন, আমি একজনের কাছে গিয়েছিলাম যিনি আনন্দ, দুঃখ, ভয়, রাগ এই ৪টা অনুভূতি নিয়েই কাজ করেন।’ কারন আর সংসারের অশান্তি নিতে পারছি না। তিনিই বলেছেন, আপনার স্ত্রী যদি কখনো মনে করেন, এর মধ্যে কোন একটি তাকে খুব কষ্ট দিচ্ছে তাহলে তিনি চাইলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন। অথবা যেহেতু আপনি আমার কাছে এসেছেন আগে, তাই তিনি যদি সন্দেহ করেন যে আপনি আমাকে সেনসিটাইজ করে রেখেছেন আপনার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আগেই এসে কথা বলে, সেই ক্ষেত্রে আমি অন্য কারো কাছেও ওনাকে রেফার করে দিতে পারি। কিন্তু ওনার অবশ্যই একজন পেশাজীবীর কাছে আসতে হবে প্রয়োজনে, ওষুধ লাগতে পারে।”
অনেক পুরুষই মিথ্যাভাবে অভিযুক্ত করেন স্ত্রীকে ডিভোর্সের জন্য, নিজের পরকীয়ার নিরুপায়তা বোঝাতে সামাজিক সহানুভূতি আদায়ের জন্য। কিন্তু আলোচ্য মানুষটি ডিভোর্স চান না।
আমি শুধু আমার এই অপাংক্তেয় ক্ষুদ্র জ্ঞানে বুঝি, আমার মেয়ের জন্য যেমন একটি ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স মুক্ত নিরাপদ ভবিষ্যত চাই, ঠিক সেরকম আমি চাইনা আমার ছেলেটি ও ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের শিকার হোক। ভিকটিম নারী বা পুরুষ উভয়ই হতে পারে। এবং এই সমাজে ভিকটিম আমাদেরই সন্তান, আত্মীয়, বন্ধু, পরিজন।
আমরা যতটুকুক্ষন অন্যের দিকে তাকাই, অন্যের ভুল ধরতে সময়ের অপব্যবহার করি ততটুকু সময় কি নিজের কলারের দিকে তাকাই? ইদানিং আমি নিজে কত কম বুঝি সেটা দিনে দিনে যেন আরো স্পষ্টতর হয়ে উঠছে।
স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে প্রতিদিন ঠোকাঠুকি লাগবে এটা স্বাভাবিক। কখনো কখনো সম্পর্কটি ভেঙে যায় সেটাও স্বাভাবিক। কিন্তু সব থেকে যেটা বেশি জরুরি, স্বচ্ছতার সাথে নিজের মত একে অন্যের সামনে প্রকাশ করতে পারা যায় কিনা।
যারা নিজের জীবন সঙ্গীর সামনে পারস্পরিক স্বচ্ছতার সাথে মতপ্রকাশের জায়গাটা তৈরি করতে পেরেছেন তাদের জন্য সশ্রদ্ধ ভালোবাসা।
তথ্যসূত্র:
1. William Shakespeare, Richard II (1595).
2. শাহনাজ পারভীন, বিবিসি বাংলা, ঢাকা, ৩০ জুন ২০১৮
3. নির্যাতনের শিকার’ দেশের বেশির বিবাহিত পুরুষ: কালের কণ্ঠ ডেস্ক ৯ নভেম্বর, ২০২০
4. Lupri, Eugene; Grandin, Elaine (2004). “Intimate partner abuse against men” (PDF). National Clearinghouse on Family Violence. Archived from the original (PDF) on January 4, 2009. Retrieved June 21, 2014.
5. Das Dasgupta, Shamita (November 2002). “A Framework for Understanding Women’s Use of Nonlethal Violence in Intimate Heterosexual Relationships”. Violence Against Women. 8 (11): 13641389.
6. Concannon, Diana (July 11, 2013). Kidnapping: An Investigator’s Guide. Newnes. p. 30.
7. Strong, Bryan; DeVault, Christine; Cohen, Theodore (February 16, 2010). The Marriage and Family Experience: Intimate Relationships in a Changing Society. Cengage Learning. p. 447.
8. Robertson, Kristen; Murachver, Tamar (July 2009). “Attitudes and Attributions Associated with Female and Male Partner Violence”. Journal of Applied Social Psychology. 39 (7): 1481–1512.
9. পুরুষ নির্যাতন নিয়ে কেউ কথা বলে না! বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম নভেম্বর ১৯, ২০২১
10. Kimmel, Michael S. (November 2002). “‘Gender symmetry’ in domestic violence: a substantive and methodological research review”. Violence Against Women.8(11):1332–1363.
11. Straus, Murray A.; Douglas, Emily M. (October 2004). “A short form of the revised conflict tactics scales, and typologies for severity and mutuality”. Violence & Victims. 19 (5): 507–520.
12. Dobash, Russell P.; Dobash, R. Emerson (May 2004). “Women’s Violence to Men in Intimate Relationships: Working on a Puzzle” (PDF). British Journal of Criminology. 44 (3): 324–349.
13. “Measuring intimate partner (domestic) violence”. National Institute of Justice. May 12, 2010. Retrieved June 28, 2014.
14. Fontena Vera, Carol; Gatricia Duhart, Andrés. “La Violencia Doméstica hacia el Varón: factores que inciden en el hombre agredido para no denunciar a su pareja”. Archived from the original on October 23, 2018.
15. Is There Such a Thing as Battered Husband Syndrome? Dan Brennan, MD. 9/28/2021
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া
চিকিৎসক, কাউন্সেলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাক্টিশনার