- দমফাটা+হাসির+গল্প।
- দমফাটা হাসির গল্প facebook.
- রূপকথার হাসির গল্প।
- ছোটদের হাসির গল্প।
- গ্রামের মজার গল্প।
- ছোটো ছোটো মজার গল্প।
১.দমফাটা+হাসির+গল্প
আমার শ্বশুরের চার মেয়ে। আমারটা তিন নাম্বার। রুমা, ঝুমা, কুসুম আর জবা। আমার স্ত্রীর নাম কুসুম। তারপর ছোট এক শালি জবা। শালীর এখনো বিয়ে হয় নাই। শালী কলেজে পড়ে।
বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি গেছি বেড়াতে। শ্বশুর বাড়িতে একটা ছোটখাটো পারিবারিক অনুষ্ঠান হবে। সবাই উপস্থিত।
আমার স্ত্রী সব বোনকে একত্রে পেয়ে আহ্লাদে গদগদ হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়িতে নানা পদের পিঠার আয়োজন চলছে। বাড়ির সব মহিলা পিঠা বানাতে লেগে পড়েছে।
আমরা পুরুষরা বসলাম পরিকল্পনা করতে কীভাবে অনুষ্ঠান ঠিকঠাক করা যায়। নেতৃত্ব দিচ্ছেন আমার শ্বশুর। আমার ছোট ভায়রা ভাই শ্বশুরকে উদ্দেশ্য করে বললেন, আব্বা, আপনি টেনশন নিবেন না, সব দায়িত্ব আমরা পালন করবো।
একেক জনকে দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হলো। আমার বড় ভায়রা কাঁচা বাজারের দায়িত্ব নিল। ছোট ভায়রা পেন্ডেল,বাতি সাজানো এসব দেখবে।
আমার বড় ভায়রা আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুমি মুরগির দায়িত্ব নাও। পারবে না?
আমার শ্বশুর বললেন, আহা! ছোট জামাইকে আবার এসবে টানাটানি করা কী দরকার? আমরাই সব সামলে নিতে পারবো।
আমি বললাম, আব্বা, মুরগী কেনা তো সামান্য কাজ। আপনি টেনশন নিয়েন না তো। আমি হাতে তুড়ি মারলেই বাসায় মুরগী চলে আসবে। মাত্র তো দেড়’শো পিস মুরগী।
আব্বা আমার কথায় খুশি হয়ে চলে গেলেন। ভায়রা ভাইয়েরাও নিশ্চিত মনে খোশগল্প করতে লাগল।
আমার মুখ শুকিয়ে গেল।
আমি কোন দায়িত্ব ঠিকঠাক করতে পারি না। একবার আমাদের বাসার এক অনুষ্ঠানে আমাকে বলা হয়েছিল খাসি কিনে আনতে, আমি ভেড়া কিনে নিয়ে এসেছি। সে এক কেলেঙ্কারি! তাই এসব ব্যাপারে আমাকে কেউ ঘাটায় না।
আমি মুখ কালো করে বসে আছি, বউ ঘরে প্রবেশ করল। আমার মুখ শুকিয়ে গেছে দেখে বলল, কী হয়েছে তোমার?
আমি বললাম, কিছু হয় নাই।
অবশ্যই কিছু হয়েছে। কী হয়েছে,আমাকে বল।
আমি বউকে পাত্তা না দিয়ে বড় ভায়রার দিকে তাকিয়ে বললাম, ভাইজান,আমি মুরগী চিনি না। দেখা যাবে চাইলাম দেশি মুরগি, দিয়ে দিবে ফার্মের মুরগি! তখন তো অনুষ্ঠান মাটি হয়ে যাবে।
কথা শুনে দুই ভায়রা হাসতে লাগল। এদিকে বউ কটমট করে আমার দিকে তাকিয়ে রইল।
অবশেষে বড় ভায়রা মুরগির দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিল। সে বলল, টেনশনের কিছু নাই। আমি ব্যবস্থা করে ফেলবো।
আমি বললাম, আলহামদুলিল্লাহ!
আমার বউ রেগেমেগে বলল, তুমি একটা অপদার্থ! তোমার মতো কুঁড়ের বাদশাহ দ্বিতীয়টা দেখিনি! তুমি কোন দায়িত্ব নিতে চাওনা।
বলেই রাগ করে চলে গেল।
পরের দিন বারান্দায় বসে শালিকে নিয়ে গল্প করছি, একটা ফোন এলো, ভাইজান,মুরগি কত পিস লাগবে?
আমি বললাম, দেড়,শ পিস।
আমাকে তো বলা হয়েছে, এক,শ বিশ পিস দিতে?
না, আমাদের দেড়,শ পিস ই লাগবে।
ঠিক আছে ভাই,আমাকে ভালো ভাবে ঠিকানা বলেন।
আমি টেলিফোনে বাড়ির ঠিকানা দিয়ে দিলাম। তারপর আবার শালীর সাথে গল্প করতে লাগলাম।
দু,তিন ঘন্টা পর আবার ফোন,ভাই আমরা মুরগী নিয়ে আপনাদের গেটের সামনে দাড়িয়ে আছি।
আমি লোকজন পাঠালাম মুরগি রিসিভ করতে। সবাই অবাক! ঘটনা কী?
আমার শ্বশুর শুনেছেন, কুসুম আমার সাথে রাগারাগি করেছে। তিনি মেয়েকে ধমকাতে লাগলেন,জামাইয়ের সাথে রাগারাগি করলি,দেখ তো জামাই কত সচেতন! তোরা খালি বেশি বেশি করিস।
কুসুম আমার দিকে তাকিয়ে বলল, তোমাকে যতটা অপদার্থ ভেবেছিলাম, ততটা বোধহয় নও।
আমার বড় ভায়রা মুরগীর অর্ডার করেছিল, মুরগী এসেছে দেখে সে সাথে সাথে ফোন করে মুরগির অর্ডার ক্যানসেল করে দিল।
এক ঘন্টা পর দোতালার বারান্দায় বসে আছি, নীচে হইচই শুনে উঁকি দিলাম। ঘটনা কী? মুরগি ওয়ালা মুরগি ফেরত নিয়ে যেতে চাইছে! আমার ভায়রা মুরগী ফেরত দিবে না। তর্কবিতর্ক চলছে।
বউ দৌড়ে এলো,তুমি মুরগির অর্ডার করেছিল?
আমি কাচুমাচু মুখে বললাম, না।
তাহলে আমাদের বাসায় মুরগি এলো কি করে?
আমি জানি না।
তুমি জান না?
আমি ভয়ে ভয়ে বললাম, না।
বউ কটমট করে আমার দিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে রইলো, তারপর রাগ করে বেরিয়ে গেল।
ঘটনা শুনে যা বুঝলাম, অন্য একজনের অর্ডার করা মুরগি আমাদের বাসায় চলে এসেছে। মুরগিওয়ালা ফোন করার সময় একটা ডিজিট ভুল করে আমাকে ফোন দিয়ে ফেলেছে।
ভয়ে অনেকক্ষন বউয়ের কাছে ঘেঁষলাম না।
বড় ভায়রা আবার সেই মুরগিওয়ালাকে ফোন দিল। আমি বারান্দায় একা একা বসে রইলাম। বারান্দায় বসে ফেসবুকে গল্প পড়তে লাগলাম।
ভালোই লাগছিলো।
একট গল্প পড়ছি বেশ মজার, পড়ছি আর হাসছি। পড়তে পড়তে আমার রুমে ঢুকলাম। বউ একটা চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে আছে। খাটে আর কোন বালিশ নাই। আমি গিয়ে বউয়ের পিঠটাকে বালিশ বানিয়ে শুয়ে পড়লাম, তারপর পা নাচাতে নাচাতে গল্প পড়তে লাগলাম। আহ! বউয়ের পিঠটা এত নরম! শিমুল তুলা কোন ছাড়!
কিছুক্ষণ পর বড় ভায়রা তার স্ত্রীকে খুঁজতে খুঁজতে রুমে ঢুকলেন, এই হানিফ তোমার রুমা আপাকে দেখেছ?
আমি গল্প পড়তে পড়তে বললাম, না তো দুলাভাই!
দেখলে বলবে আমি খোঁজ করছি।
ঠিক আছে বলবো।
দুলাভাই বেরিয়ে গেলেন।
গল্পটা অসম্ভব মজার। একমনে পড়ে যাচ্ছি। শালি রুমে ঢুকলো,হাতে পানির গ্লাস। হাসতে হাসতে বলল, কি দুলাভাই!! রোমান্টিক মুডে আছেন বোধহয়!
আমি গল্প পড়তে পড়তে বললাম, রোমান্টিক মুডের কি দেখলে?
কিছু না! বলেই হাসতে হাসতে পানির গ্লাস রেখে চলে গেল।
আমি আবার পড়ায় মন দিলাম । বউয়ের গলার আওয়াজ পাওয়া গেল,এই তোমার চা। দেখ তো এই শাড়িটা কেমন মানিয়েছে।
আমি মোবাইল থেকে চোখ না সরিয়েই বললাম, ভালো।
তার চলে যাওয়ার আওয়াজ পেলাম।
গল্পটা বেশ জমেছে। লেখকের রসবোধ প্রবল। আমি পড়ছি আর হাসছি।
দরজার দিক থেকে আবার বউয়ের গলার আওয়াজ পেলাম,এই তোমার মাথার নীচে কে?
আমি বললাম, বউ।
কার বউ?
আমার বউ।
আমি তাহলে কে?
আমি চোখ না সরিয়ে বললাম, বউ।
কার বউ?
আমার বউ।
আহ, নায়িকার কি অসাধারণ কেরামতি! নায়ককে বুদ্ধি দিয়ে ঘোল খাইয়ে ছাড়ছে! আমি এক মনে পড়েই যাচ্ছি। হঠাৎ ঠান্ডা পানির ঝাপটা পেয়ে তড়াক করে লাফিয়ে উঠলাম। বউ সামনে দাঁড়িয়ে, চোখ দুটো গোল গোল। ওমা, বউ সামনে দাঁড়িয়ে, তাহলে শুয়ে আছে কে?
আমার চিৎকার শুনে রুমা আপা নাক মুখ কুঁচকে চাদরের ভিতর থেকে মাথা বের করলেন।
আমি গল্প পড়তে পড়তে ভুল করে রুমা আপার রুমে ঢুকে পড়েছি। মাথা ব্যাথা করছে বলে রুমা আপা পেইন কিলার খেয়ে চাদর মুড়ি দিয়ে শুয়ে ছিলেন।রুমা আপাকে আমার বউ ভেবে,,,,,,,
কটমট করে তাকিয়ে থেকে বউ রাগ করে রুম ছেড়ে বেরিয়ে গেল। ভয়ে আমার গলা শুকিয়ে গেল।টেবিলের উপর রাখা পানির গ্লাসটা নিলাম, পানি খেলাম,তারপর ওমা গো! ও বাবাগো! বলে চিৎকার শুরু করলাম।
বউয়ের ভয়ে পানি মনে করে এক কাপ গরম চা গলায় চালান করে দিয়েছি!
#হানিফ_ওয়াহিদ
২. দমফাটা হাসির গল্প facebook
সাব্বির ভাইয়ের একটা পোস্ট দেখে পুরোনো এক স্মৃতি মাথায় এলো।
একটা সময় ছিলো, যখন মানুষ প্রেম করাকে বলতো – লাইন করা!
সেই যুগে আমি ক্লাস থ্রি তে পড়ি। পাড়ার লাইলা আপার লাইন ছিলো পাশের এলাকার রুবেল ভাইয়ের। দুইজনেই এক ঈদের দিন বাসায় ধরা পরলো। লাইলা আপার বাবা বেশ প্রভাবশালী। তিনি আপাকে বাসায় আটকে রেখেছেন। পুরা এলাকা জুরে কানাঘুষা চলছে।
রুবেল ভাই ছিলো উড়নচণ্ডী স্বভাবের। নায়ক নায়ক ভাব নিয়ে ঘুরতেন। লম্বা চুল আর দাড়িতে উনাকে মানাতো না। তারপরেও কাটতেন না। উনার একটা হিরো মোটরসাইকেল ছিলো। ভট ভট সাউন্ডে সারা এলাকা ঘুরে বেড়ানো ছাড়া তেমন আর কোন কাজ করতেন না।
বাসায় ধরা পড়ার পর দেখতাম মাঝে মধ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে তিনি নদীর পাড়ে বসে থাকতেন। ভোঁস ভোঁস করে ধূয়া ছেড়ে আকাশে তাকাতেন।
লাইলা আপার বাসা আমাদের বাসার পাশেই ছিলো। ধরা খাবার সপ্তাহের মধ্যেই উনার বিয়ের কথাবার্তা উঠানো হয়েছে। ছেলে প্রবাসী। অতি উচ্চ বংশ। এরমধ্যেই সপ্তাহে এক দুইবার লাইলা আপা আমাকে তার রুমে ডাকতেন। চোখ ফুলে থাকতো তাঁর। বালিশের নিচ থেকে খাম বের হতো। হাতে পাঁচ টাকার একটা কচকচে নোট দিয়ে বলতো – খামটা দিয়ে আয়!
আমি টাকা এবং খাম সমেত সোজা মাঠে চলে আসতাম। মাঠে আচারের ঢালি নিয়ে বসতো এক বুড়ো দাদু। তাঁর ঝুলিতে থাকতো নানা কিসিমের জিনিস। বেশিরভাগ সময়ই এক টাকা দিয়ে আচারের মশলা খেতাম। ঝাল লেগে গেলে দুই টাকায় পাইপ আইস্ক্রিম। তাও দুই টাকা বেঁচে যেতো। পেট ভরার পরেও পকেটে দুই টাকা থাকা মানে বিরাট বড় একটা ব্যাপার।
সন্ধ্যার দিকে বাসায় যেতাম। যাবার পথে সেই খাম মাঠের পাশের পুকুরে ফেলে দিতাম।
কি দরকার এত লাইনের! লাইন করা খারাপ।
কয়েক মাসের মধ্যেই লাইলা আপার বিয়ে হয়ে গেলো, চলে গেলেন বিদেশ। রুবেল ভাইও বাবার ব্যবসায় মনোযোগ দিলেন। দু’জনের জীবনই দু’প্রান্তে সেটেল্ড!
এদিকে এদের জীবন সেটেল করে দেওয়ায় আজ পর্যন্ত আমার লাইন হয়নি!
৩.রূপকথার হাসির গল্প
নাতনি’কে গল্প শোনাচ্ছিলো
এক দেশে ছিল এক রাজা, সে রাজার ছিল সাতটি রাণী…
নাতনি: রাজাটা কি প্লে*বয় ছিল দাদী?
৪. ছোটদের হাসির গল্প
বাসার সামনে মোড়ের চায়ের দোকানে বেঞ্চে বসে নেয়ামত চাচাকে বললাম-
” চাচা, এক কাপ চা দেন।”
নেয়ামত চাচা বললেন-
” এই গরমের ভিত্রে চা খাবেন? ”
চায়ের দোকানদার চা না খাওয়ার উপদেশ দিলে ক্যামনডা লাগে? উনার কথা শুনে মেজাজটা খারাপ হওয়া উচিৎ ছিলো; কিন্তু নেয়ামত চাচাকে দীর্ঘদিন চিনি বলে মেজাজ যথাসম্ভব ঠিক রেখে বললাম-
” হুম, গরমের ভেতর চা খাবো। আপনার সমস্যা?”
নেয়ামত চাচা গরম পানি দিয়ে কাপ ধুতে ধুতে বললেন-
” আমার আর কি সমস্যা? আমি বানায়ে দিতেছি; দুধ চা তো?”
আমি বললাম-
” হুম। চিনি ছাড়া।”
নেয়ামত চাচা খুব ভাব নিয়ে বললেন-
” চায়ে চিনি খান না; এইডা কি আমি জানি না?”
আমি কথা বাড়ালাম না, চুপ করে বসে রইলাম। নেয়ামত চাচা চা বানিয়ে কাপটা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললেন-
” এই নেন..”
আমি চায়ের কাপ হাতে নিয়ে অভ্যাসবশত দুই-তিনবার ফুঁ দিয়ে চা ঠান্ডা করার প্রচলিত রীতি অনুসরণ করে চায়ে চুমুক দিলাম। এক ঢোক চা খাওয়ার পর কিছুটা বিরক্ত হলাম; এবং বিরক্তির মূল কারণ উদ্ভাবনের জন্য দ্বিতীয় চুমুক দিয়ে আরেক ঢোক চা গিলে বললাম-
” চায়ে চিনি দিতে মানা করছি; কিন্তু লবণ দিতে তো বলি নাই। চায়ে লবণ দিছেন ক্যান?”
নেয়ামত চাচা নির্লিপ্ত ভঙ্গিতে বললেন-
” লবণ দেই নাই; দোকানে তো লবনই নাই। তিন-চার ফোঁটা ঘাম পড়ছে; তাই নোনতা লাগতেছে।”
আমি নির্বিকার এক বলদের মতো নিয়ামত চাচার দিকে তাকালাম…… খালি গা, কুচকুচে কালো; বুকভর্তি পাকা লোম – ঘন, পুরু ও বেশ লম্বা। ঘামে লোমগুলো ভিজে জবজবে অবস্থায়।
কিংকর্তব্যবিমুঢ় কিছুক্ষণ বসে থেকে চায়ের কাপ নেয়ামত চাচার দিকে দিয়ে বললাম-
” চা খাবো না, কাপ নেন।”
নেয়ামত চাচা আশ্বাস দিয়ে বললেন-
” আরে খান; শরীর তো অপরিষ্কার না। দুপুরে গোসল করছি তো..”
আমি ঝাড়ি দিয়ে বললাম-
” কাপ নেন তো..”
নেয়ামত চাচা কাপ নেওয়ার জন্য যখন হাত বাড়ালেন তখন তাঁর বগল থেকে দু ফোঁটা ঘাম আমার পায়ের কাছে মাটিতে পড়লো। মুহুর্তের ভেতর মাটি নেয়ামত চাচার বগলের ঘাম চুষে নিলো। লক্ষ্য করলাম- নেয়ামত চাচার বুকের লোম থেকে বগলের লোম আরও বেশী ঘন; উচ্চতাও বেশী।
বাসায় ফেরার পর ক্যামন যেনো লাগতেছে; বমি বমি ভাব আর মাথা ঘুরছে..
৫. গ্রামের মজার গল্প
অতীতে বালতি ভর্তি কাপড় ধুইলেই বৃষ্টি আসতো… রুমমেট তার বাইক ওয়াশ করায়ে নিয়ে আসলে, পরদিন ই বৃষ্টি আসতো…
ছাতা বাসায় রেখে বাহিরে চলে গেলে, ঐদিন ই বৃষ্টি আসতো…
প্রায় সবকিছুই ট্রাই দেয়া হয়ে গেছে… কিন্তু, স্টিল তাপমাত্রা ৪১ ডিগ্রি…
এখন বাকির খাতায় আছে শুধু ঈদের দিনটাই
#সাইকো_পান্ডা
৬. ছোটো ছোটো মজার গল্প
টিউশনি তে গেলাম, স্টুডেন্ট একটা খাম দিল খুলে দেখি টাকা৷ টাকা গুলো মানিব্যাগে রাখতে যাবো এমন সময় দেখি আমার বেতনের চেয়ে ৩০০০ টাকা বেশি!
যেই গার্ডিয়ান বেতন দিব দিব বইলা ও বেতন দেয় না সে কি না না চাইতে’ই বেতন দিল তাও ৩০০০ বেশি৷
এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঈদ বোনাস পেয়ে আমার চোখে জল চলে আসলো!
তাই আজকে ১ ঘণ্টার জায়গায় ২.৩০ ঘণ্টা পড়ালাম।
পড়ানো শেষ করে উঠবো এমন সময় স্টুডেন্ট এর মা ডাক দিয়ে স্টুডেন্ট কে বললো “টাকা গুলো গেলো কই? এত খুঁজলাম!
দেখ তো স্যারের খামে ৩০০০ টাকা বেশি গেছে মনে হয়”
আমি তখন মনে মনে: আমার লাভ লস কিছু নাই, আমার জীবনডাই লস! 🙂
©রাফি