উইল ইউ ম্যারি মি?
পর্ব ৩
জেরিন হাসতে হাসতে কিছুক্ষণ লুটোপুটি খেয়ে বলল,” আমি আগেই জানতাম আশরাফ ভাইয়ের গার্লফ্রেন্ড আছে। আজ-কাল তো ভিক্ষুকদেরও গার্লফ্রেন্ড থাকে। আর এতো হ্যান্ডসাম একটা মানুষের থাকবে না? তুই বিয়ে ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালোই করেছিস।”
প্রীতি কোনো কথা বলল না। জেরিনকে ফ্লোরার ব্যাপারে সব ঘটনা বিস্তারিত জানানো শেষ। এখন সে বিচার-বিবেচনা করে রায় দিবে যে প্রীতির কি করা উচিৎ। প্রীতি বাড়ি ফিরেছে আজ সকালে। আশরাফ পৌঁছে দেওয়ার আগেই প্রমথ সাহেব হাজির হয়ে গেছেন মেয়েকে নিতে। আরোহী আর সরফরাজ আদর-আপ্যায়নে কোনো কমতি রাখলেন না। তারা আসলেই ভালো মানুষ। ভেজাল শুধু আশরাফের মধ্যেই। কিন্তু একটা অদ্ভুত ব্যাপার হলো, বাবা এখনও প্রীতিকে আশরাফদের বাড়িতে থাকা নিয়ে কিছু বলেনি। প্রীতি ভেবেছিল বাবা ভীষণ রাগারাগি করবেন। কিন্তু তিনি বেশ হাসিমুখেই ছিলেন। বাড়ি ফিরেও প্রীতিকে একটা কড়া কথা বলেননি। প্রীতির অবাক লাগল। জেরিন বলল,
” এজন্যই আশরাফ ভাইয়াকে আমি বিয়ে করতে চাইনি। কারণ আমি জানি, সুন্দর ছেলেদের ক্যারেক্টর ঢিলা হয়। “
” ক্যারেক্টর ঢিলা বলছিস কেন? আমার কাছে তার কাজটা ঠিকই লেগেছে। সে যদি গার্লফ্রেন্ডের কথা এভাবে না বলতো তাহলে জানাও হতো না। এদিকে বিয়ে হয়ে যেতো। তারপর কতবড় সর্বনাশ হতো চিন্তা কর? সেদিক থেকে তিনি ভালো মানুষ। আমাকে আগে থেকে সব জানিয়ে দিয়েছেন।”
” এটা ঠিক বলেছিস। তবে তারপরও আমি তোকে একটা কথা বলবো। পার্টনার যদি নিজের চেয়ে পারফেক্ট হয় তাহলে তার থেকে দাম পাওয়া যায় না। তাই পার্টনার হিসেবে চুজ করা উচিৎ নিজের থেকে নিচু লেভেলের কাউকে। যার কাছে তুই অপশন হবি না, প্রায়োরিটি হবি। আর সে তোকে মাথায় তুলে রাখবে।”
” জ্ঞান দেওয়া বন্ধ কর। বিয়ে আমি এমনিতেও করবো না। কিন্তু কিভাবে বিয়েটা ভাঙবো সেই আইডিয়া দে।”
” সেটাই ভাবছি। দাঁড়া ভেবে বলি।”
প্রীতি একটু থেমে বলল,” আচ্ছা তুই আশরাফকে বিয়ে করতে চাসনি মানে? তোর সাথেও বিয়ের কথা হয়েছিল নাকি?”
” হুম। কেন তুই জানিস না? আরোহী আন্টি তো প্রথমে আমাকেই পছন্দ করে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু আমার তো আতিফ আছে। তাই আমি নিষেধ করে দেই। পরেই তো আম্মু তোর কথা বলেছে ওদেরকে। আর ওরাও তোর ছবি দেখে পছন্দ করেছে।”
প্রীতি এই ঘটনা আগে জানতো না। এখন জেনে খুব অবাক হলো।
” তুই বয়ফ্রেন্ডের কথা বললি আর বিয়ে ভেঙে গেল?”
” হ্যাঁ। মা-ই আমাকে বললেন, আমার অন্য জায়গায় পছন্দ থাকলে জোর করে বিয়ে করার কোনো প্রয়োজন নেই। আসলে মা বোধহয় আমার থেকে বেশি তোর কথা চিন্তা করেছেন।”
প্রীতি আপ্লুত হয়ে গেল। নাফিসা ফুপু সত্যিই তার ব্যাপারে ভেবেছেন! মানুষটি সম্বন্ধে প্রীতি খুব খারাপ ধারণা পোষণ করে। পারিবারিক অস্বচ্ছলতার কারণে নাফিসা কখনোই প্রীতিদের সাথে ভালো ব্যবহার করেননি। তাই বড়লোক ফুপুকে তার সবসময় অহংকারী মনে হয়। পর পর লাগে। অথচ আরোহী আন্টিরা তো জেরিনদের চেয়েও আরও বেশি বড়লোক। তাদের বাড়িতে একরাত থেকে প্রীতির একবারের জন্যেও নিজেকে আলাদা মনে হয়নি। আসলে মানুষ যেমনই হোক, আচার-ব্যবহারটা হচ্ছে প্রধান বিষয়।
ফুপুর সাথে রক্তের সম্পর্ক তাও তাকে আপন মনে হয় না। আরোহী হকের সাথে প্রীতির কোনো সম্পর্কই নেই। তাও তার দিকে তাকালে মায়ের ছায়া খুঁজে পাওয়া যায়। কি আশ্চর্য! কিন্তু একটা বিষয় প্রীতি বুঝতে পারছে না। জেরিনের জন্য পাওয়া সম্বন্ধ নাফিসা ফুপু কেন ফিরিয়ে দিলেন? শুধুই জেরিনের বয়ফ্রেন্ড আছে বলে? নাকি তিনি আশরাফের কোনো দোষ-ত্রুটির ব্যাপারে জানেন? ফ্লোরার ব্যাপারটা নিশ্চয়ই জানেন। অথচ জেনেও তিনি প্রীতিকে বিয়ে দিতে চাইছেন। নিজের ফুপু সম্পর্কে এতো নিকৃষ্ট চিন্তা করার জন্য প্রীতির নিজেরই খুব খারাপ লাগল।
প্রীতির বাড়ি থেকে ফোন করে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। সরফরাজ সাহেব মারাত্মক রেগে আছেন বিষয়টা নিয়ে। হঠাৎ কেন বিয়ে ভাঙা হলো? তার ছেলের কি খুঁত আছে? এমন ছেলে লাখে একটা। তার জন্য মেয়েদের লাইন লেগে থাকে। সরফরাজ সাহেবের মনে হচ্ছে গোড়ায় গন্ডগোল। পাত্রীপক্ষ বিয়েটা ভাঙেনি। এর মধ্যে নিশ্চয়ই আশরাফের কোনো কারসাজি আছে। সরফরাজ ডাকলেন,” আশরাফুল, বাবা আশরাফুল।”
আশরাফ প্রায় ছুটে এলো। বাবাকে সে যমের মতো ভয় পায়। কণ্ঠ শুনলেও ভয়। বাবার প্রতি এতো সমীহ থাকার একটাই কারণ। ফ্লোরা। আশরাফ বাবার সব আদেশ-নিষেধ রোবটের মতো পালন করে। শুধু ফ্লোরার ব্যাপারে কোনো নিষেধাজ্ঞা মানে না। তবে তার ধারণা একদিন বাবা ঠিকই কনভিন্স হয়ে যাবেন। আশরাফ সেইদিনের অপেক্ষায়। সরফরাজ বললেন,” প্রীতির সাথে কি তুমি ওই মেয়ের ব্যাপারে আলোচনা করেছো?”
” ওই মেয়ে কেন বলছো বাবা? শী হ্যাজ আ বিউটিফুল নেইম, ফ্লোরা।”
” চুপ করো তুমি!”
আশরাফ কেঁপে উঠল। সরফরাজ সাহেবের মাথায় আগুন জ্বলছে। শখ করে ছেলের নাম রেখেছেন আশরাফুল মাখলুকাত। ইসলামিক নাম। যেন ছেলেও ইসলামের পথে চলে। অথচ এই ছেলে বিয়ে করতে চাইছে বিধর্মী মেয়েকে। ছি, ছি!ওই মেয়ে এই বাড়িতে এলে সংসারে গজব সৃষ্টি হবে। সরফরাজ প্রায় গর্জন করে বললেন,” ওই মেয়ের সাথে তোমার সম্পর্ক আমি কোনোদিন মেনে নিবো না। জেনে রাখো। এখনি আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যাও। আর কোনোদিন আসবে না।”
আশরাফ সত্যিই বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল। যাওয়ার আগে নিজের গাড়ি নিয়ে গেল। এই গাড়ি বাবার দেওয়া না। মা আশরাফের জন্মদিনে উপহার দিয়েছিলেন। আশরাফ বের হওয়ার সময় একটা পয়সাও নেয়নি। শুধু গাড়িটা নিয়েছে। কারণ গাড়ি মায়ের দেওয়া। আশরাফ দ্রুত গাড়ি চালাতে গিয়ে এক্সিডেন্ট করল। ঘুম ভেঙে গেল মায়ের ডাকে। সে এতোক্ষণ স্বপ্ন দেখেছে। বিয়েটা এখনও ভাঙেনি। বাবাও তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি।আশরাফ হাঁপাতে লাগল। ঠান্ডার মধ্যেও সে ঘেমে গেছে।আরোহী ছেলের ভীত চেহারা দেখে বিচলিত হয়ে উঠলেন।
” পানি খা বাবা। খারাপ স্বপ্ন দেখেছিস নাকি?”
আশরাফ পানি দিয়ে গলা ভিজিয়ে নিয়ে বলল,” আবার ওই স্বপ্নটা দেখেছি মা।”
আরোহী চিন্তিত হয়ে গেলেন। ছেলেটার খারাপ স্বপ্ন দেখে ভয় পাওয়ার অভ্যাসটা যাচ্ছে না। একা ঘুমানোর জন্যই মনে হয় এটা হচ্ছে। আরোহী আশাবাদী যে বিয়ের পর সমস্যাটা ঠিক হয়ে যাবে। আশরাফ দ্রুত লেপের আয়েশ ছেড়ে বিছানা থেকে নেমে গেল।
” প্রিটি কোথায় মা?”
” সে তো চলে গেছে তার বাবার সাথে।”
” তাই নাকি? আঙ্কেল এসে প্রিটিকে নিয়ে গেছেন?”
” হুম। তুই ঘুমিয়ে ছিলি বলে আর ডাকিনি।”
আশরাফ ফোন হাতে নিয়ে করিডোরে যেতে যেতে বলল,” তাহলে আমি বরং ফোন করে একটা খোঁজ নেই। সেইফলি বাসায় পৌঁছালো কি-না।”
” অবশ্যই। খুব ভালো হবে।”
আশরাফ রুম থেকে বেরিয়ে গেল। আরোহী খুশিমনে ছেলের বিছানা গোছাতে লাগলেন। প্রীতির প্রতি আশরাফের অবসেশন আরোহীকে ভীষণ আনন্দ দিচ্ছে। এই কয়েকদিনে একবারও ফ্লোরার নাম উচ্চারণ করেনি আশরাফ৷ এটা ভালো লক্ষণ।
আশরাফ করিডোরে এসেছে যাতে মায়ের সামনে কথা বলতে না হয়। তাদের আলোচনার বিষয়-বস্তু মাকে শোনানো উচিৎ নয়।
প্রীতি বিছানায় বসে বই পড়ছিল।মোবাইলটা তার থেকে বেশ দূরে। জেরিন তখন শাওয়ার নিয়ে বাথরুম থেকে বের হয়েছে। প্রীতি বলল,” জেরিন, আমার মোবাইলটা দে তো।”
জেরিন হেসে বলল,” নে। তোর মাম্মা’স বয় ফোন করেছে।”
” মাম্মা’স বয় মানে?”
” মানে আশরাফুল মাখলুকাত। মাম্মা’স বয়।”
জেরিন নিজের কথায় নিজেই হেসে ফেলল। প্রীতি মোবাইল হাতে নিল। সাইকোটা তাকে কেন ফোন করেছে? গতকালও আশরাফের ফোন পেলে সে মুচকি হাসতো। আর এখন বিরক্তিতে কপাল কুচকাচ্ছে। জেরিন পাশে বসতে বসতে বলল,” স্পিকার অন কর। কি বলে আমিও শুনি একটু।”
প্রীতি স্পিকার অন করেই কথা বলল,
” হ্যালো।”
” প্রিটি, কেমন আছো?”
” প্রিটি না। আমার নাম প্রীতি।”
” তোমাকে যা বলেছিলাম মনে আছে? তুমি কি আঙ্কেলের সাথে কথা বলেছো?”
” এখনও বলিনি। কিন্তু আপনি টেনশন করবেন না। এই বিয়ে আমি যেকোনো উপায়ে ভাঙবোই।”
” থ্যাংকস। তুমি খুব ভালো প্রিটি। আমার ইচ্ছে করছে তোমাকে কফি খাওয়াতে। আমরা কি কোথাও মিট করতে পারি?”
প্রীতি জেরিনের দিকে তাকালো। জেরিন হাত নেড়ে নিষেধ করছে। প্রীতি শক্ত হয়ে বলল,” আমার আপনার সাথে কফি খেতে ইচ্ছে করছে না।”
” কেন?”
” এমনি।”
” তোমার কি মনখারাপ প্রীতি?”
প্রীতি আবারও জেরিনের দিকে তাকালো। জেরিন মুখ টিপে হাসছে। প্রীতি রাগান্বিত কণ্ঠে বলল,” আমার কেন মনখারাপ হবে? কি কারণে? আমার মন যথেষ্ট ভালো আছে।”
” কথা শুনে তো সেটা মনে হচ্ছে না। তুমি যদি আমার সাথে কফি খেতে না আসো তাহলে ধরে নিবো তোমার মনখারাপ।”
প্রীতি রাগ সামলাতে জোরে জোরে নিশ্বাস ফেলল। জেরিনের হাসিটাই তাকে রাগিয়ে দিচ্ছে বেশি। প্রীতি দাঁতে দাঁত পিষে বলল,” আপনার যা ইচ্ছা ভাবতে পারেন। আই ডোন্ট কেয়ার।”
এই বলে প্রীতি ফোন কেটে দিল। সাথে সাথেই জেরিন কথা বলল,” আরে, আরে, তুই এমন ব্যবহার করলি কেন? এখন তো সে ভাববে তুই তাকে পছন্দ করিস। তাই বিয়ে ভাঙায় তোর মনখারাপ হয়ে গেছে। তুই বিরহে মরে যাচ্ছিস।”
” কিন্তু তুই-ই তো আমাকে যেতে নিষেধ করলি।”
” হ্যাঁ। কিন্তু তোর উচিৎ ছিল কোনো বাহানা দেখিয়ে ভালোভাবে না করা। এমন রাগ দেখালে তো সে এটার ডাবল মিনিং বের করবে।”
প্রীতি হতাশমুখে বলল,” ধ্যাত, এতো রাগ উঠে গিয়েছিল যে কন্ট্রোল করতে পারিনি৷ এবার কি হবে?”
” কি আর হবে? যা হওয়ার তা তো হয়েই গেছে। আবার ফোন দিলে স্যরি বলে দিস। বলবি তোর মেজাজ খারাপ ছিল।”
আশরাফ আর ফোন দিল না। প্রীতি জেরিনকে বলল,” আচ্ছা তুই উনাকে মাম্মা’স বয় বলিস কেন?”
” কারণ সে আসলেই মাম্মা’স বয়। তোকে যেদিন আরোহী আন্টি দেখতে এসেছিল সেদিনের কথা মনে নেই? এক মিনিটের জন্যেও ছেলেকে একা ছাড়েনি। আশরাফ ভাই কত চেষ্টা করেছে তোর সাথে আলাদা কথা বলার জন্য। কিন্তু আন্টির জন্য পারেনি। সবসময় ছেলেকে পাহাড়ায় রাখে৷ তোদের বিয়ে হলে জুটিটা ভালোই মিলতো। তুই ডেডি’স প্রিন্সেস। আর আশরাফ ভাই মাম্মা’স বয়।”
প্রীতি একটু গম্ভীর হয়ে চিন্তা করে বলল,” আচ্ছা এমনও তো হতে পারে যে আরোহী আন্টি ফ্লোরার ব্যাপারে সব জানেন। তাই তিনি আশরাফকে আলাদা কথা বলতে দেয়নি। পাহাড়া দিয়ে রেখেছে।”
” হুম। হতেও পারে।”
প্রীতির ফোন টুং করে বেজে উঠল। আশরাফ ম্যাসেজ করেছে,” আমি বাড়ি থেকে বের হচ্ছি। তোমার জন্য কফিশপে ওয়েট করবো। যদি না আসো, তাহলে মনে করবো বিয়ে ভাঙায় তোমার মনখারাপ হয়েছে। আমার ধারণা নিশ্চয়ই সত্যি না।”
প্রীতি স্তম্ভিত হয়ে গেল। লোকটা তো ভালোই শেয়ানা!
কথার প্যাঁচে ফেলে প্রীতিকে বাসা থেকে বের করতে চাইছে। জেরিন ম্যাসেজটা পড়ে হাসতে হাসতে বলল,” প্রীতি তুই যা প্লিজ। গিয়ে প্রমাণ করে দে যে ওর মতো দশটা পাত্র তোকে রিজেক্ট করলেও তোর মনখারাপ হবে না। তুই কোনো ফেলনা জিনিস না।”
” সত্যি যাবো?”
” হুম অবশ্যই।”
” কিন্তু একটা প্রবলেম। আমার মনে হয় উনি অন্য কারণে দেখা করতে চাইছেন।”
” অন্য কারণটা আবার কি?”
প্রীতি ফ্লোরার বাবা-মায়ের ডিভোর্সের ঘটনাটা বলল। জেরিন ভ্রু কুচকে বলল,” আজব তো! এই ছেলে তোকে ভালোই বোকা পেয়েছে। মগের মূলুক নাকি? তার হেল্প করা ছাড়া তোর আর কোনো কাজ নেই? তুই কি উত্তর দিয়েছিস?”
” আমি বলেছি চেষ্টা করে দেখবো।”
জেরিন কয়েক মুহূর্ত তাকিয়ে থেকে বলল,” গাঁধী!”
চলবে
[গত পর্বে সবাই অনেক রেসপন্স করেছেন। তাই আবেগে আপ্লুত হয়ে আজকেই একটা বোনাস লিখে ফেললাম। সবাইকে ধন্যবাদ এতো সাপোর্ট করার জন্য। আমি খুব খুশি। পজেটিভ হোক বা নেগেটিভ৷ আমার সব ধরণের মন্তব্য ভালো লাগে। এক কথায় মন্তব্য পড়তে আমি ভালোবাসি।]
® Fareen Ahmed