আপনি কি কর্মক্ষেত্রে আপনার নারী সহকর্মী কে ছাড় দেন, কারণ
তিনি দেরী করে আসেন, আগে যান।
তিনি মা, তিনি নারী তার সংসার সামলাতে হয়
তিনি শারিরীক ভাবে দূর্বল
তিনি অসহায়,কম বোঝেন।
তার ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি কম।
প্লিজ, নারী হিসেবে আপনি তাকে কোন ছাড় দিবেন না। তিনি আপনার সহকর্মী, সমান বেতন পান, তার আর আপনার দায়িত্ব সমান। নারী বলে তাকে দয়া দেখানোর কিছু নেই।
কিন্তু আপনি যখন গর্ব ভরে বলবেন, অফিসের নারী সহকর্মীদের আমরা অনেক ছাড় দেই,
তখন মনে রাখবেন, ঘরে তারা আপনাকে কতখানি ছাড় দেয়, আপনি নিজের রান্না করে খেতে পারেন না, কারণ আপনি অসহায় আপনি পারেন না, নিজের কাপড় এর খেয়াল রাখতে পারেন না, নিজের বাচ্চা দেখাশোনা করতে পারেন না।এইসব অক্ষমতা আপনাকেও শারিরীক ভাবে দূর্বল বানায়!!!!! আপনি ঘর গোছাতে জানেন না, আপনার ম্যানেজমেন্ট ক্যাপাসিটি কম! এই সব জায়গায় আপনি ছাড় পেয়ে আসছেন।
এই ছাড় আপনাকে না দিতে হলে তারাও আপনার মত ফুলবাবু সেজে অফিস খোলার আগে এসে অফিস বন্ধ হবার পরে আড্ডা দিতে দিতে বাড়ি ফিরত। সে কিন্তু অফিসে আসার সময় বলেনা, আমার মানিব্যাগ কই,মোবাইল কই, টিফিন কই, নাস্তা কই! নিজের টা করে, বাচ্চার টা করে আপনাকে ফুলবাবু সাজিয়ে দেয়। এবং কাউকে বলে না যে বাসায় খুব ছাড় দেই পুরুষদের।
হিসাব সহজ, আপনি ছাড় নিবেন না, আপনাকে ছাড় দিতে হবেনা৷
জেন্ডার ইকুয়ালিটি ইজ সো সিম্পল।
আজকের দিনেও যদি মহিলাদের কে কর্মক্ষেত্রে জেনারালাইজড ভাবে crucial position এ অদক্ষ মনে করা হয়, তাহলে আমি দুঃখিত।লুক এরাউন্ড, Our females are everywhere.. From prime minister to rickshaw puller.
ইট ভাঙার শ্রমিক, ধান ভানার শ্রমিক এখন পর্যন্ত মহিলারাই বেশি, তো বাহুর জোড়ের কথা বলেও লাভ নেই।
আর মহিলারা আপনারা কর্মক্ষেত্রে অযাচিত সুবিধা আশা করবেন না, বলবেন না আমার শাশুড়ি অসুস্থ তাই আসতে পারিনি,বাচ্চা খায় না তাই আসতে দেরি হয়, এসব বলে সুবিধা চাইবেন না কারণ আপনি সমান বেতন নিচ্ছেন, আপনার শাশুড়ি, আপনার বাচ্চার দায়িত্ব আপনার পাশাপাশি আপনার স্বামীর,আপনার মেইল কলিগের না। So ask favour where you should!
লেখাঃ Sultana Zahura Afrin Kumu