নয়নে লাগিল নেশা পর্ব ২২
#WriterঃMousumi_Akter
সৈয়দ মুনসুর আলীকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেখেই আয়েশা বেগম চিন্তিত হলেন। আয়েশা বেগম ও অশ্রুসিক্ত। শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের পানি মুছেই যাচ্ছেন। মুনসুর আলীর ভারী মুখখানা দেখে এগিয়ে এল। তার সহজ সরল স্বামী মানুষের এত খারাপ কথায় যদি কোনো বাজে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেয়। একদিকে মেয়ের চিন্তা অন্যদিকে স্বামীর চিন্তা। এইভাবে যদি তার সাজানো সংসার টা নষ্ট হয়ে যায়। ভেবেই বুকটা কেঁপে উঠল তার। আয়েশা বেগম কে অবাক করে দিয়ে মুনসুর আলী বললেন, ” রজনী মা কই?”
“ঘরেই আছে। মেয়েরে কিছুই কইয়েন না। আমরা ছাড়া আর কেডায় বা আছে ওর। আমরাও যদি কিছু কই মাইয়্যাডার মরণ ছাড়া উপায় থাকব না।”
স্ত্রীর চোখের পানি মুছিয়ে দিলেন মুনসুর আলী। পানি মুছিয়ে দিয়ে বললেন, ” মাইয়্যারা বাপের মত অইলে কপালে সুখ শান্তি হয়। আমার মাইয়্যার কপালে সুখ শান্তি হইবো অনেক।তুমি ভাইব না।”
রজনী দরজায় পেছনে দাঁড়িয়ে মা- বাবার কথা শুনছিল এত সময়।এত কিছুর পরেও যে মা-বাবা তাকে এত ভালবসল বিনিময়ে সে তাদের সম্মানটুকুও রাখতে পারল না। এই মুহুর্তে ম*রে যাওয়া ই উচিৎ মনে হচ্ছে রজনীর। কিন্তু তার মা-বাবার কি হবে? সে ছাড়া তার ম-বাবার কে আছে। ভাই কে দিয়ে কোনো ভরসা নেই। রজনী ভরসা করতে পারেনা তার ভাইকে। মুনসুর আলী রজনীর রুমে প্রবেশ করে দেখল, রজনী মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে কাদছে। তার উপস্থিতি আরো বেশী জোরে কাদালো তাকে। মুনসুর আলী ও হুহু করে কেদে উঠে মেয়েকে বুকের সাথে জড়িয়ে ধরে বললেন, ” আম্মাজান আমি কোনদিন তোমার কাছে কিছুই চাই নাই। জীবনের প্রথম আর শেষ চাওয়া তুমি রাখবা আম্মাজান।”
রজনী কাঁন্নামিশ্রিত কন্ঠে উত্তর দিল, ” রাখব বাবা।”
“তুমি প্রান্তিকে রে বিয়ে করতে রাজি হও আম্মা।আমার দোয়া আছে তোমার সাথে। সুখি হইবা মা।”
রজনী নিরবে কাদছে। তার নিরবতাই সম্মতির লক্ষণ।
এরই মাঝে বাবু বাড়িতে প্রবেশ করল। দুই হাত ভর্তি বাজার। বাড়িতে খুশি মনে ঢুকেই মা-বাবাকে ডাকল। মুনসুর আলী ঘর থেকে বের হয়ে বলল, ” আজ এমন সুপাত্রর মত ডাকতাছো কাহিনী কী?”
“একমাত্র বোনের বিয়ে বলে কথা। এতদিন কুলাঙ্গার বলে ডেকেছো। আজ অন্তত বলবা ছেলের মত কাজ করেছি। “
মুনসুর আলী অবাক বদনে ছেলের দিকে তাকিয়ে বলল,
“কি কাজ?”
“তোমাদের ছেলে থাকতে চিন্তা কীসের বাবা? রজনীর বিয়ে নিয়ে ভাবতে হবেনা। আমি ওর বিয়ে ঠিক করে এসছি। এত ভাল পাত্র বাবা তুমি ভাবতেই পারবা না। এইযে দুই ব্যাগ ভরা জিনিস পত্র সব ই সেই ছেলে কিনে দিয়েছে।”
“কে তোমার সেই সুপাত্র।”
“রোমিও ভাই। “
“বাহ! কুলাঙ্গার এর বাচ্চা কুলাঙ্গার। নিজে যেমন কুলাঙ্গার তেমন আরেক কুলাঙ্গার খুইজা আনছে। দূর হ আমার বাড়ি থেইকা এই বাজার নিয়া।আমার মেয়ের বিয়া প্রান্তিক এর সাথে হইব।আর আজ ই হইব।”
বাবু রে’গে গিয়ে বলল, “প্রান্তিক আমার চরম শত্রু বাবা। ওর সাথে বোনের বিয়ে কিছুতেই দিবনা। তাছাড়া রোমিও ভাই রে কথা দিছি আমি। “
“তুই কার অনুমতি নিয়া কথা দিছোস। মাইয়্যা আমার কথা দিয়া আইছো তুমি। তাও কেডা রোমিও। যারে দ্যাখলেই ঘেন্না করে। আমার বাড়ি থেকে দূর হ এক্ষণি।”
“প্রান্তিকের চেয়ে রোমিও ভাই কম কিসে?”
“প্রান্তিকের পা ধোয়া পানি তুই আর তোর রোমিও ভাই মিল্লা ভাগ কইরা খাস।”
“রোমিও ভাই কিন্তু রজনীরে তুলে নিয়ে যাবে।একটা ঝামেলা পাকাবে।মান ইজ্জত হারাতে চাও ।”
“সেইডা প্রান্তিক ভাল বুঝব। আমার আর চিন্তা নাই মাইয়্যা নিয়া।তোর ও চিন্তা করা লাগব না।”
বাবু বাড়িতে তুমুল অশান্তি করে বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেল।রোমিওর একটা দল আছে যার সাথে প্রান্তিকের তীব্র শত্রুতা। রোমিওর সাথেই রজনীর ভাই এর দল।
________________________________________________________
বিকাল হতে হতেই রজনীদের বাড়ি থেকে রাস্তা ভীষণ সুন্দর ভাবে সাজানো হল।পুরা বাড়ি ডেকরেশন করা হল। গ্রামের স্কুল মাঠে কয়েক টা গরু কা’ টা হয়েছে। পুরা গ্রামের মানুষের আজ দাওয়াত। স্কুল মাঠেই খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সব আয়োজন ই প্রান্তিক করেছে। শহর থেকে ডেকরোশনের জন্য শ’খানিক মানুষ পাঠিয়েছে শুধু। পুরা গ্রাম আজ জমজমাট। প্রান্তিক চৌধুরীর বিয়ে বলে কথা এমন ই তো জমজমাট হওয়ার কথা ছিল।রজনীর জন্য শহর থেকে পার্লারের লোক পাঠানো হয়েছে। লাল লেহেঙ্গা শরীর ভর্তি ভারী গহনা, ব্রাইডাল লুকে হা করে তাকিয়ে আছে সবাই রজনীর দিকে।বড় স্টেজ করে সেখানে খাট সাজিয়ে তার উপর বসিয়ে রাখা হয়েছে রজনীকে। খাটের উপর ফুক দিয়ে রাজমহলের মত সাজানো।গ্রামের মানুষ আসছে আর দেখছে। কিছু মানুষ হিংসায় জ্বলে পুড়ে যাচ্ছে। এমন নিম্নবিত্ত ফ্যামিলির মেয়ের এত ভাল বিয়ে হচ্ছে।রজনীর কোনো হেলদোল নেই। মলিন মুখে বসে আছে। সারাদিনের কথা বার বার মনে পড়ছে। সে কখনো ভাবেনি এইভাবে হুট করে এক দিনের মাঝে বিয়ে ঠিক হবে।
প্রান্তিক সেরওয়ানি পরে রেডি। কিন্তু সকাল থেকে তুমুল অশান্তি চলছে বাড়িতে। আঞ্জুমান চৌধুরী কিছুতেই ছেলের বউ হিসাবে রজনীকে মেনে নিবেনা। যে মেয়ে তার ছেলের গায়ে অত মানুষের সামনে হাত তুলতে পারে সেই মেয়ে কত ভাল হতে পারে।তার ছেলে এত কিছু মেনে নিয়ে যখন ওই মেয়েকে বিয়ে করছে ওই মেয়ের জন্য তার ছেলের কোনো ক্ষতি হতে পারে।চৌধুরী বাড়ির অশান্তি কিছুতেই থামছেনা।আঞ্জুমান চৌধুরী প্রান্তিক কে বলেছে, ” ওই মেয়ে আনলে বাড়ি এসে আমার মরা মুখ দেখতে হবে। পারবে দেখতে?”
প্রান্তিক মৃদু হেসে বলল, ” আম্মু তোমার ছেলেকে তো জানোই তুমি। নিজের মায়ের মৃত্যু সে কখনোই চাইবে না।আবার নিজের কমিটমেন্ট ও ভাঙবে না। তাহলে বাধ্য হবে নিজের প্রাণ ত্যাগ করতে। এখন বলো আম্মু তুমি কোনটা চাও? নিজের ছেলের হাসি মুখ নাকি কাফনে মোড়ানো মুখ?”
মাহবুব চরম ভাবে রেগে গিয়ে বলল, ” আঞ্জুমান বাড়াবাড়ির সীমা আছে। এখন বলো তুমি কি বলবে?”
আঞ্জুমান মুখ ঘুরিয়ে বলল, ” আমার ছেলের জীবন আগে আমার কাছে। পরে অন্যসব। আমার ছেলের খুশি এনে দাও।”
ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে আঞ্জুমান ঠান্ডা হল।
বিকাল চারটায় সারিবদ্ধ অনেকগুলা প্রাইভেট কার গ্রামে প্রবেশ করল। প্রান্তিক এর মুখে মৃদু হাসি লেগেই আছে। সে জানা দিয়ে মুখ বের করে মৃদু হাওয়া খাচ্ছে। আজ তার সাধনার নারী তার জীবনে আসতে চলেছে। সব কিছু আজ অন্যরকম সুন্দর লাগছে। অন্ত আর শ্রাবন দুজন দুজনের দিকে তাকাচ্ছে আর প্রান্তিক কে দেখাচ্ছে।প্রান্তিক নিজের মাথার টুপি ঠিক করতে করতে বলল, “তোদের ভাবিকে পাওয়ার আনন্দে অন্য কোনদিক নজর নেই তা যেন ভুলেও ভাবিস না দু’জনে।কি বলছিস দু’জনে।”
অন্ত বলল, ” ভাই আজ সিগারেট খাবেন না?”
” আজ বিশেষ একটা দিন, এই দিনে সিগারেট খাবোনা।”
” ভাই তাহলে কি খাবেন?”
শ্রাবন বলল, ” তোর বিয়ে হলে বাসর ঘরে কি খাবি।”
” কি আর খাবো তুই যা খেতি আমি ও তাই খাবো।”
” আমি তো ভাই যা খাবে তাই খাবো।”
প্রান্তিক বলল, ” আমি বউ এর ঠোঁটে জলন্ত সিগারেট রেখে নিজের ঠোঁটে আ’গু’ন চেপে ধরে আ’গু’নে’র স্যাকা খাবো। তোরাও খাবি?”
অন্ত বলল, ” ভাই দুনিয়ায় এত কিছু থাকতে এই অদ্ভুত জিনিস মাথায় আসল ক্যানো?”
“কারণ আমি আর আমার বউ এর প্রেম, রোমাঞ্চ কোনোকিছুই কাউকে কপি করতে দিবনা তাই।”
“ভাই দুনিয়ার সব মানুষ তো বউকে চুমু খায় আপনি কি তাহলে খাবেন না?”
“আমি ভিন্নভাবে ট্রাই করব।ওটা সিক্রেট বলা যাবেনা।তোরা বেয়াদব এর মত প্রশ্ন করছিস ক্যান?”
“বুঝেন তো ভাই। বয়সের দোষ। আমার একার না শ্রাবনের ও। ওর তাও জিএফ আছে।”
“জিএফ আছে?”
শ্রাবন হালকা কেশে বলল, ” না ভাই ঢপ দিচ্ছে। তবে ভাই ভাবিকে কিন্তু আজ দারুণ লাগছে?”
” তুই তাকিয়েছিস কেনো? অত গভীর ভাবে তাকাবিনা। আমার যে যে বন্ধুর নজর খারাপ বিয়েতে আনিনি।”
শ্রাবন মাথায় হাত দিয়ে বলল,
“এইবার ই খাইছে। ভাই আপনি তো মহিলাদের মত হিংসুটে হয়ে যাচ্ছেন।”
” প্রেম ভালবাসায় হিংসা না থাকলে তা সত্য নয় সেই প্রেমে ঘাপলা আছে।”
অন্ত বলল, ” ভাই জেলাসি কি বাধ্যতামূলক। “
“কাউকে ভালবাসলে জেলাসি অটোমেটিক চলে আসবে। এত উদার কেউ হয়না নিজের ভালবাসার মানুষ অন্য কারো পাশে দেখবে আর মন পুড়বেনা। প্রেম ভালবাসা সম্পূর্ণ হৃদয়তান্ত্রিক ব্যাপার।”
“ভাই যদি বিশ্বাস থাকে যে সে লয়্যাল আছে কারো সাথে কথা বললেও আমাকে ছেড়ে যাবেনা তাহলে?”
“মন বড় অদ্ভুত! মহাপুরুষ, মহানারীদের ও মন বদলে গিয়েছে। সেই সুযোগ ই যদি না দিই তাহলে বদলালোনা। নিজের সম্পত্তি নিজের আয়ত্তে রাখায় উত্তম। “
অন্ত শ্রাবনের কানে কানে বলল, ” প্রিয়তাকে নিয়ে কি তোর হিংসা হয়?”
শ্রাবন অন্তকে ফিসফিস করে বলল, “চুপ শালা।হিংসা আগে না হলেও এখন তো হচ্ছে। ভাই এর কথা গুলো মন দিয়ে শুনে। তুই যেন আর প্রিয়তার আশপাশে না যাস।”
“বন্ধুর বউ ভাবি হয়। তা নিয়ে ভাগব না।”
গাড়ি এসে রজনীদের বাড়ির সামনে থামল। প্রান্তিক গাড়ি থেকে নামল। গেটে কিছু নিয়ম কানুন আছে। সেগুলা শেষ করে ভেতরে প্রবেশ করল সবাই। প্রান্তিক কে নিয়ে রজনীর পাশে বসানো হল। ব্যবস্থা সেভাবেই করা আছে।বেলা প্রায় শেষ। আগেই বিয়ে পড়ানো শুরু হল। কাজি বিয়ে পড়াচ্ছেন প্রান্তিক এক নজরে তাকিয়ে আছে রজনীর দিকে। রজনী আড়চোখে তাকিয়ে দেখল প্রান্তিক তাকিয়ে আছে। এত মানুষের মাঝে এইভাবে হা করে কেউ তাকিয়ে থাকে। এই মানুষটার কি টোটাল লজ্জা বলে কিছুই নেই। রজনীর অস্বস্তি হচ্ছে।কাজীর সব আয়োজন শেষ হলে বিয়ে পড়ানো শেষ প্রায় এইবার কবুল বলার পালা। কাজী প্রান্তিক কে কবুল বলতে বললে প্রান্তিক বলল,
” কয়বার বলতে হবে?”
“তিনবার।”
“আমি একশ বার বললে প্রব্লেম নেই তো?”
সবাই হেসে দিল কাজী সহ। কাজী হাসতে হাসতে বলল, ” না সমস্যা নেই।”
প্রান্তিক কবুল তিনবার বলার পর আরো কতবার বলল হিসাব নেই। কিন্তু রজনীর লজ্জা লাগছে। আস্তে বলল। প্রান্তিক কান এগিয়ে ফিসফিস করে বলল,
” আরে এখন এত লজ্জা পাচ্ছো ক্যানো? কয়েকঘন্টা পর ফুলসজ্জা একটু বাকি রাখো।”
রজনী প্রান্তিকের দিকে তাকিয়ে অগ্নিচোখে তাকিয়ে জোরে কবুল বলল।
ওদের বিয়ে সম্পন্ন হয়ে গেল। স্যযোগ পেয়ে প্রিয়তা আর শ্রাবন আড়াকে আবডালে দাঁড়িয়ে গল্প করছে।প্রিয়তা বলছে, “এইবার আমাদের বিয়ে পাক্কা হয়ে যাবে। রজনী ভাইয়াকে পটিয়ে আমাদের বিয়ে দিয়ে দিবে।”
“তাই যেন হয় ম্যাডাম।”
মুনসুর আলী আর আয়েশা বেগম আজ অনেক খুশি। এই খুশির মাঝে আয়েশা বেগম বলল, ” পোলাডা একমাত্র বোনের বিয়াতে আইলোনা।”
“কারণ কুলাঙ্গার যে।”
প্রান্তিক আর রজনীর জন্য খাবার আনা হল।সবাই বলল বর কনের প্রথন খাবার খাওয়া দুজন দুজন কে খাইয়ে দিতে হবে। প্রান্তিক মহাখুশি। খাবার রজনির মুখে পুরে দিয়ে চোখ মেরে বলল,
” খাও।”
রজনী ভীষণ লজ্জা পেল।এইভাবে কেউ চোখে টিপতে পারে।
এইবার রজনী প্রান্তিকের মুখে খাবার দিতেই প্রান্তিক রজনীর আঙুল আলত ভাবে কামড়ে ধরে রাখল।রজনি হাত আর বের করতে পারছেনা।বাইরের কেউ বুঝছেনা ক্যানো হাত বের করছেনা।সবাই বলছে কীরে রজনী হাত এইবার বের কর।সিনেমার মত আর কতক্ষণ রাখবি?
রজনী কাজলকালো বড় চোখে তাকাল প্রান্তিকের দিকে। ওই চোখের দৃষ্টি দেখে প্রান্তিক এলোমেলো হয়ে গেলো।রজনীর হাত অনায়সে ছেড়ে দিয়ে বলল, ” ওই চোখের ভয়ানক দৃষ্টিতে একবার আমাকে এলোমেলো করে দিয়েছিলে। এমন ভাবে এলোমেলো করে দিয়েছিলে পৃথিবীর কোথাও তুমি ছাড়া শান্তি পাইনি তুমি ছাড়া। আজ আরেকবার তাকালে এইবার আমার কি হবে রজনীগন্ধ্যা। এত নেশা ওই চোখে। আমাকে বাজে ভাবে এলোমেলো করে দেয়। “
চলবে?…..
(বানান শব্দ চয়নের ভুল আমি পরে এডিট করব।আপনারা রেসপন্স করুন আপাতত। জয়েন করুন মৌ-এর গল্পStory of Mou