- অবাক করা ফেসবুক স্ট্যাটাস
- স্টাইলিশ ফেসবুক স্ট্যাটাস
- ফেসবুক স্ট্যাটাস বাংলা ২০২৩
- সুন্দর ফেসবুক স্ট্যাটাস
- ছেলেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস
1. অবাক করা ফেসবুক স্ট্যাটাস
খুবই অ*সু*স্থ একটা জেনারেশন আসছে সামনে ।
এদের না আছে ধর্মীয় জ্ঞান আর না আছে ভালো আচার ব্যবহার। এরা হালাল হারামের পার্থক্য জানেনা। কোথায় আলহামদুলিল্লাহ, মাশাআল্লাহ বলতে হয় সেটা জানেনা।
এদের কাছে সকাল হচ্ছে দুপুর ১২ টায়, এরা নাস্তা করে দুপুর ২ টায়।
এরা সালাম দিতে, নামাজ পড়তে লজ্জা পায়। এদের আছে পেট ভর্তি ইগো নামক দূষিত গ্যাস। এরা পাপ কে পাপ মনে করে না। এরা গালাগালি ছাড়া কথা বলতে পারেনা।
…………………………..
…………………………………..
টাকা দিয়েই আসলে সুখ কেনা যায়। এখন শাড়ি কিনে দিলে আম্মু খুশি হবে। আব্বুকে একটা পাঞ্জাবি কিনে দিলে মুচকি হাসি দিয়ে বলবে “আমার ছেলেটা বড় হয়ে গেছে।”
ছোটভাইকে একটা জার্সি গিফট দিলে সে জড়িয়ে ধরে বলবে, “তুমি পৃথিবীর সেরা ভাইয়া।”
প্রেমিকার হাতে ফুল গুঁজে দিলে সে খুশি হয়ে জড়িয়ে ধরবে।
এই যে আব্বু-আম্মুর আনন্দ, ছোটভাইয়ের খুশি, প্রেমিকার অভিমান ভেঙে জড়িয়ে ধরা, এগুলো কি সুখ নয়? টাকা না থাকলে এই সুখ পেতাম কিভাবে? অর্থই আনন্দের মূল!
……………….
“পিথাগোরাস বলে গেছেন, তিন খুব শক্তিশালী সংখ্যা। তিন-এ আছে আমি, তুমি এবং সর্বশক্তিমান তিনি। সে জন্যেই ত্রিভুবন, ত্রিকাল এবং ত্রিসত্যি। কবুল বলতে হয় তিনবার। তালাক বলতে হয় তিনবার। পৃথিবীতে রঙও মাত্র তিনটি। লাল, নীল এবং হলুদ। বাকি সব রঙ এই তিনের মিশ্রণ।”
__ হুমায়ূন আহমেদ (আজ হিমুর বিয়ে)
………………..
মানুষ তো সবার ঘরে জন্মায়, কিন্তু মনুষ্যত্ব সবার ঘরে জন্মায় না ।
___রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
……………..
গল্প….
লাবনী আমার দিকে ঝুঁকে এসে বলল, ভাইয়া, আপনি কী খাবেন?
আমি বললাম, সিঙ্গাড়া!
লাবনী অবাক হয়ে বলল, কী খাবেন?
সিঙ্গাড়া। কিন্তু তুমি এতো অবাক হচ্ছো কেন? সিঙ্গারা কী খাওয়ার জিনিস নয়? এটা খাওয়া কী অপরাধ?
অবশ্যই খাবার জিনিস। আর ইউ সিরিয়াস?
ইয়েস।হোয়াই নট? সিঙ্গাড়া হচ্ছে আমার সবচেয়ে প্রিয় খাবার! আমার পছন্দের খাবার যে পছন্দ করবে না, আমিও তাকে পছন্দ করবো না!
বলেন কী? ও মাই গড! আপনি তো আস্ত পাগল!!
পাত্র পাত্রী প্রথম দেখাতেই একজন আরেকজনকে পাগল বলতে পারে,জানা ছিল না। আমি বিভ্রান্ত হয়ে গেলাম।
আমার বিয়ের আগের ঘটনা।
আমার বিয়ের কথাবার্তা চলছে। বাড়ির লোকজন মেয়ে পছন্দ করেছে। মেয়ের পরিবারও আমার পরিচিত। তারাও আমাকে পছন্দ করেছে। আমি পছন্দ করলেই কবুল।
দুই পরিবারের সম্মতিতে আমি আর লাবনী একটা ফাস্ট ফুডের দোকানে দেখা করতে গেলাম। তখন সবেমাত্র ফাস্টফুড দোকানের চল শুরু হয়েছে। দোকানটা বেশ নিরিবিলি। আমরা একটা কর্নারে টেবিলে গিয়ে বসলাম।
লাবনী বেশ সুন্দরী। পছন্দ না হওয়ার কোন কারন নাই। বেশ স্মার্ট মনে হচ্ছে। মেয়ের তুলনায় বরং আমাকেই আনস্মার্ট লাগছে। যারা আমাকে ব্যাক্তিগত ভাবে জানেন, তারা বুঝবেন, আমি এখনো গেঁয়ো ভূত!
আমরা ধরেই নিয়েছিলাম, আমাদের বিয়েটা হচ্ছে।
আমরা দুইজন অনেকক্ষণ কথাবার্তা বললাম, একে অপরের ভালোমন্দ জানার চেষ্টা করলাম। কথাবার্তার ফাঁকে বললাম, লাবনী তুমি কী খাবে?
লাবনী বললো, আপনি যা খাবেন, আমিও তাই খাবো।
এই ফাস্ট ফুডের দোকানে আরও কয়েকবার এসেছি। ওরা খাসির কলিজা দিয়ে চমৎকার সিঙ্গাড়া বানায়। সাথে থাকে বাদাম। বাদাম এবং খাসির কলিজা দিয়ে বানানো সিঙ্গাড়া আমার কাছে বেহেস্তের খাবার মনে হয়। টমেটো সস দিয়ে গরম গরম এই সিঙ্গাড়া খাওয়ার লোভে আমি মানুষও খুন করতে পারি।
আমি সিঙ্গারা অর্ডার করলাম।
লাবনী অবাক হয়ে বলল, আপনি আসলেই কী সিঙ্গাড়া খাবেন? নাকি ফান করছেন?
ফান করবো কেন? আমি সিরিয়াস। অবশ্য তুমি চাইলে অন্য কিছু খেতে পার।
সিঙ্গাড়া আমার দু,চোখের বিষ!
তাহলে তো বিসমিল্লাহতেই ক্যাচাল হয়ে গেল!
তাই তো দেখছি!
বলাবাহুল্য, আমাদের সম্পর্ক হয়নি। বান্ধবীরা যখন জিগ্যেস করবে, কী রে লাবনী, প্রথম দেখা করতে গেলি, কী খাওয়ালো?
বেচারা কী করে বলবে,সিঙ্গারা! প্রেস্টিজ থাকে?
পৃথিবীতে আমিই একমাত্র প্রাণী, সিঙ্গারা খাওয়ার অপরাধে যার বিয়ে ভেঙ্গে গেছে!
ছোটবেলা থেকেই সিঙ্গাড়া আমার খুব প্রিয়। প্রাইমারি স্কুলে থাকতে অনেক গবেষণা করেও বের করতে পারি নাই, সিঙ্গাড়ার ভিতরে আলু ঢোকে কেমনে! সিঙ্গাড়ার ভিতরে আলু আমার কাছে নবম আশ্চর্য মনে হতো!!
ছোটবেলায় একবার খালি গায়ে বাড়ির পাশের হোটেলে ঢুকেছিলাম সিঙ্গাড়া খাওয়ার লোভে। বাদাম কেন দেওয়া হয় নাই এ নিয়ে দোকানীর সাথে ঝগড়া করছিলাম। বাবা দেখে ফেলে কান ধরে বাড়ি নিয়ে এসেছিল।
তারপরই বোধহয় মনের দুঃখে একটা কবিতা লিখেছিলাম-
সিঙ্গাড়ায় নাই বাদাম,
আমি কেন উদাম!
মনে পড়ে, তখন হাইস্কুলে উঠেছি। পরিবারের সবার সাথে এক জায়গায় বিয়ের দাওয়াত খেতে গেছি। তখনও খাওয়াদাওয়া শুরু হয়নি। সময় কাটানোর জন্য কাছেই হাঁটতে হাঁটতে একটা বাজারে ঢুকে গেলাম। সিঙ্গাড়া দেখে লোভ মানলো না। পেট পুড়ে খেয়ে ফেললাম।
বলাবাহুল্য, বিয়ে বাড়ি থেকে না খেয়ে আসতে হলো। এ নিয়ে পরিবারে হাসাহাসি!
কোথায় যেন একটা কবিতা পড়েছিলাম-
ফুল দিও কলি দিও
কাঁটা দিও না।
সিঙ্গাড়ায় কলিজা দিও
বাদাম দিও না!!
বাদাম দিও না কেন লিখেছে বুঝতে পারছি না। হয়তো ছন্দ মিলানোর জন্য! বাদাম আমার ভীষণ প্রিয়।
আমি এখনো ঢাকা শহরের যেখানে যাই, চেষ্টা করি খাবারটা শাহবাগে এসে খেতে। শাহবাগের মোড়ে কয়েকটা ফাস্ট ফুডের দোকান আছে। ওরা গরুর কলিজা দিয়ে চমৎকার সিঙ্গাড়া বানায়।
যতবার শাহবাগে বসে সস দিয়ে গরম সিঙ্গারা খাই, লাবনীর কথা মনে পড়ে। ওকে বিয়ে না করে ভালোই করেছি। সে কখনোই এখানে বসে আরাম করে সিঙ্গারা খেতে দিতো না। শুধু সিঙ্গারা খাওয়ার অপরাধে সে আমাকে ডিভোর্স দিয়ে দিতো।
‘প্রথম আলু’তে খবর বের হতো,সিঙ্গারা খাওয়ার অপরাধে তালাক!
এই সিঙ্গাড়া খাওয়ার লোভে কাজ না থাকলেও মাঝে মধ্যে আমি শাহবাগ চলে যাই!
হানিফ_ওয়াহিদ
2.স্টাইলিশ ফেসবুক স্ট্যাটাস
মধ্যবিত্ত জীবনের অঙ্ক
—————————
আজকাল কেউ আমাকে দেখলে বিশ্বাসই করবেনা
আমি মেট্রিকে অঙ্কে নিরানব্বই পেয়েছিলাম।
যেকোনো আড্ডায় তখন সবাইকে বলে বেড়াতাম
-“অঙ্কে একশই পেতাম,
শুধু হাতের লেখা খারাপ বলে জ্যামিতিতে হয়তো এক নম্বর কম পেয়েছি”।
অথচ কী আশ্চর্য!
সেই আমিই কিনা জীবনের অঙ্কে
দুই যোগ দুই সমান তিন লিখে ফেলি হররোজ।
কোনোমতেই জীবনের হিসাব মিলাতে পারছিনা আজকাল!
এখন যদি আবার অঙ্ক পরীক্ষা দেই
নির্ঘাত শূন্য ধরিয়ে দিবে পরীক্ষক,
প্রতিদিন শুধু কমে যায় আমার জীবনের যোগফল।
প্রতিদিন দুই যোগ দুই সমান তিন লিখি,
আর একটা করে শখ বাদ দেই।
যেমন ধরুন-
সকালে চায়ের সাথে দুধ বাদ,
কাজের মানুষ বাদ,
নাস্তায় তিনটার বদলে দুইটা রুটি- এই সব।
অফিস কাছেই
তাই ঘর থেকে একটু আগে বেড়িয়ে পড়ি;
মাত্র একঘন্টার মতো লাগে হেঁটে যেতে,
শরীরটাও ভালো থাকে আর কিছু টাকাও বেঁচে যায়।
হাই প্রেসারের ওষুধ বাদ-
পত্রিকায় পড়েছি প্রেসারের ওষুধ প্রতিদিন না খেলেও এমন কিছুই হয়না।
দুপুর রাতে এখন এক তরকারিতেই চলে যায় আমাদের।
ছোট মেয়েটা অযথাই প্রতিবেলা মুরগির মাংসের জন্য আবদার করে,
আমার বুক ছিঁড়ে যায় তীব্র অসহায়ত্বে-
কেন দুই যোগ দুই সমান চার হয়না আজকাল আমার জীবনের যোগফলে?
পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়া কিন্তু একেবারেই বাদ আপাতত,
যেদিন দুই যোগ দুই সমান চার হবে সেদিন চিন্তা করা যাবে ঘোরাঘুরির কথা।
জলের বিল বেড়ে যাওয়ায় গোসলেও আগের চেয়ে অর্ধেক জল খরচ করি,
ফ্যান লাইট বন্ধ করে একটু তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়ি বিদুৎ বিল কমাতে।
হাতপাখাতে ইদানিং শরীর ভালোই ঠান্ডা হয়, আবার হাতের ব্যায়ামও হয়।
কমতে কমতে প্রায় অনেক কিছুই কমে গেছে জীবন থেকে-
এই ধরুন প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় আনন্দ, কার্বোহাইড্রেট, সুখ, প্রোটিন, ভিটামিন, মানসম্মান, মিনারেলস,
আর বেঁচে থাকার অহং সবটুকু।
এখন সময় পেলেই সারাদিন শুধু বারবার জীবনের খরচের অঙ্ক করি,
দুই যোগ দুই সমান তিনই হয় প্রতিবার,
কম হয়-হিসাব মিলেনা!
আবার জীবনের জন্য মায়ার হিসাব করলেই বেড়ে যায় মায়া-
দুই যোগ দুই সমান পাঁচ হয়ে যায়!
বেড়ে যায় মায়া- হিসাব মিলেনা!
কোনভাবেই মিলাতে পারিনা জীবনের বেঁচে থাকার অঙ্ক।
পাঠকগণ, বিশ্বাস করুন
জীবনের অঙ্কে ভুল হতে পারে আমার,
কিন্তু আমি মেট্রিকে অঙ্কে নিরানব্বই পেয়েছিলাম,
প্রমাণস্বরূপ আমার মেট্রিক পরীক্ষার মার্কশীট এখানে সংযুক্ত করা হলো।
————————
র শি দ হা রু ন
3.ফেসবুক স্ট্যাটাস বাংলা ২০২৩
রিক্সাওয়ালার সাথে দর বনিবনা হলো ২৫ টাকা। ত্রিশ টাকাও ন্যায্য ভাড়া। গন্তব্যে পৌঁছার পর এই দীন, দরিদ্র মানুষটার প্রতি মায়া হলো বেশ। কালোমতো চেহারা, সামনের নিচের সারির দুইটি দাঁত অনুপস্থিত। আধাপাকা খোঁচা দাড়ি। সময়ের অভাবে দুইদিন যাবত শেভ করতে পারেনি বোধহয়। পায়ে স্পঞ্জের স্যান্ডেল। প্রান্তিক এই শ্রেনিটার সাথে কথা বলে আরাম পাই। ২৫ টাকায় বনিবনা হলেও ৩০ টাকাই দিলাম। ভালো লাগে দিতে। মাত্র ৫ টাকাই তো!! কত টাকা কত দিকে চলে যায়! এদেরকে দিলে শান্তি লাগে দ্বীলে।
চিরায়ত স্বভাবে শুরু হলো ব্যক্তিগত পর্যায়ের বাৎচিত।
চাচা সারাদিন চালান গাড়ি?
নাহ, সন্ধ্যায় বের হইলাম।
কত হলো আজ?
২০০ টাকা।
মাত্র?
আমি দিনে অন্য কাজ করি।
কী করেন চাচা?
রিক্সা সারাই, রিক্সার গ্যারেজ আছে নিজের।
রিক্সা সারিয়ে কত পান?
পাই আটশো টাকা।
ও!!
আবার রিক্সার গ্যারেজ আছে, রিক্সা ভাড়া দেই।
কয়টা রিক্সা?
৪০ টা।
(পাঠক, এটা শোনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না, তাই চোখ বড় করে ফেলসিলাম)
আচ্ছা আচ্ছা, কত করে পান প্রতিটি রিক্সা থেকে।
৪০০ টাকা করে। (এখানে আমার শোনায় কমবেশি হতে পারে) তয় প্রতিদিন ৪০টা চলে না। ২০/২৫ টা চলে।
ওহ, আচ্ছা, আচ্ছা। ( মনে মনে ২৫*৪০০=……. হিসাব করছিলাম)
চাচা আমার ধ্যান ভাঙ্গিয়ে বললো, দ্যাশে প্রায় ২০ বিঘে জমি আছে দোয়া কইরেন কাকা।
–
জিজ্ঞাসু দৃষ্টিতে অভিমান মাখা মেজাজে বললাম —এত টাকা আল্লাহ দেন তারপরও কষ্ট করেন কেন?
উত্তর দিলো- এ রিক্সাটা যে চালায় আজ ড্রাইভার আসে নাই, দ্যাখতে আসছি রিক্সাটা ঠিক আছে কিনা।
উত্তর শোনে বাকরুদ্ধ হয়ে সামনের দিকে হাঁটতে শুরু করলুম। ভাগ্য ভালো মাস্কের কারণে সামনে ৩২ পাটির দন্তমূল সবার সম্মুখে আসে নাই।
আমার উপর আর আমার দেওয়া ৫ টাকার উপর নিজেরই মায়া হলো।
সমাপ্ত
4. সুন্দর ফেসবুক স্ট্যাটাস
__শিক্ষণীয় পোস্ট
১মিনিট সময় নিয়ে পড়ুন
স্বামী-স্ত্রী আর তাদের তিন মাস বয়সের একটি
বাচ্চা রাতে বিছানায় ঘুমাচ্ছে।
:হটাৎ
:তিন মাসের বাচ্চা রাত তিনটার সময় জোরে
জোরে কান্না করতে লাগলো।
:বাচ্চার কান্না শুনে মা বাবা দুজনেরই
ঘুম ভেঙ্গে গেলো।
,,
স্বামী বললেন,
ওকে একটু থামাও…..!
আর মা বাচ্চাটিকে বুকে জরিয়ে
নিয়ে এদিক-ওদিক হাঁটতে লাগলেন।
:
কিছুক্ষন পর ,
বাচ্চাটির বাবা বিছানা থেকে
উঠে ঘর থেকে
বের হয়ে গেলেন।
:
কিছুক্ষন পর বাচ্চাটির বাবা ঘরে
ফিরে এলেন
আর
বাচ্চাটির মা তাকে জিজ্ঞাস
করলেন,
কোথায় গেছিলে ?
:
তিনি বললেন ,
:
মায়ের কবরটা দেখতে
গিয়েছিলাম।
:
বাচ্চাটির মা জিজ্ঞেস করলেন,
:
এত রাতে কেন ?
:
সে উত্তর দিল ,
আমাদের বাচ্চাটি যখন
কাঁদতেছিলো
তখন আমার খুব বিরক্ত লাগছিল।
:
কিন্তূ
:
তুমি ওকে কাঁধে নিয়ে আদর করতে
করতে
হাটতেছ।
কারন,
তুমি তার মা।
:
তখনি মনে পরে গেলো।
:
হয়তো , আমি যখন ছোট ছিলাম
তখন
আমার মা ও আমাকে এভাবেই যত্ন
করেছিলেন।
:
তাই মাকে দেখতে গেছিলাম।
:
আজ আমি মায়ের যত্নে এত বড়
হয়েছি। কিন্তু
জানি না মা আমার সেখানে
কতটুকু যত্নে
আছেন।
:
পৃথিবীতে মা একমাত্র আপন।
:
হে আল্লাহ্ আপনি আমাদের মা
বাবার
সেবা করার তৌফিক দিন।
যাদের মা বাবা পৃথিবী তে নেই
তাঁদের কে জান্নাত বাসি করুন।।(আমিন)
৫.ছেলেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস
রাতে গোসল করতে ঢুকে দেখি সিগারেটের প্যাকেট প্যান্টের পকেটে। বের হয়ে আবার রুমে আসতে ইচ্ছা করলো না। তাই বাথরুমে জানালার পাশে প্যাকেট রেখে গোসল শেষ করি। গোসল করে বের হলাম কিন্তু প্যাকেট নিতে আর মনে নাই।
কিছুক্ষণ পরে হুট করে মনে পড়লে দৌড়ে বাথরুমে যাই। গিয়ে দেখি প্যাকেট নাই।
হুট করে মনে পড়লো আমার পরে মনেহয় আব্বা বাথরুমে গিয়েছিলেন।
দেখলাম ভদ্রলোক তসবিহ ছড়া গুনতেছেন আর আমার দিকে ট্যাড়া ট্যাড়া চোখে তাকাচ্ছেন।
উনি শিওর প্যাকেট মেরে দিছেন। কী বলবো বুঝতেছি না। বুকটা ফেটে যাচ্ছে! এক প্যাকেট সিগারেট। ব্যাক পেইনের কারণে এমনেই ফ্লোরে পড়ে থাকি। এই রাতে আর নিচে নামা সম্ভব না।
আম্মারে বললাম, আব্বারে জিজ্ঞেস করেন বাথরুমে কিছু পাইছে আমার?
আম্মা বললেন, বাথরুমে আবার কী রাখছোস? টাকা?
বললাম, ওই এমনই কিছু। জিজ্ঞেস করেন কিছু পাইছে কিনা।
আম্মা আব্বাকে জিজ্ঞেস করলেন, কিছু পাইছো রায়হানের?
আব্বা তসবিহ গুনতে গুনতে সুরা পড়তেছেন আর চোখ বন্ধ করে মাথা নাড়িয়ে হ্যাঁ বা না কী বললেন কিছুই বুঝলাম না।
চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা করতেছে! এ কেমন বাপ? ওনার দরজার সামনেই ওনাকে দেখায়া দুই হাত তুলে দাঁড়িয়ে আছি। বুঝাচ্ছি, আমি আল্লাহর কাছে বিচার দিচ্ছি!
ভদ্রলোক আমার দেখাদেখি নিজেও দুই হাত উপরে তুলে ফেললেন!
মানে কী!
উনি হাত তুলছেন কেন? উনি কি ছেলের সিগারেট চুরির জন্যে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছেন?
এমন বাপই কি চেয়েছিলাম আমি?
রাতে ভদ্রলোকের রুম থেকে সিগারেটের গন্ধ ভেসে আসলে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে শুনি, আম্মা বলতেছেন, ছেলের সিগারেট মাইরা খাও তোমার লজ্জা করে না? আব্বা বললেন, ওমা তুমিইতো আমারে বাথরুম থেকে প্যাকেটটা আইনা দিলা!
আমি জাস্ট মেঝেতে বসে পড়লাম! বুকটা চাপড়াচ্ছি আর ভাবতেছি আমি এই কাদের সাথে বাস করি? ওরা কারা??