ক. অবহেলা কবিতা
খ. প্রিয় মানুষের অবহেলা কবিতা
একদিন সব অবহেলা আর অপমানের শোধ নিব….
কড়ায় গন্ডায়, হিসেব কষে,
দেখে নিও, দেখে নিও …
প্রতিটি রুঢ় শব্দের বিনিময়ে তিনটি চুমু, কপালে,
প্রতিটি না বলা কথার বিনিময়ে সাতটি,
আর দূরে দূরে থাকার বদলা ..
থাক ওটা সময়েই বলে দেব।
এই যে তুমি থেকে থেকেই হারিয়ে যাও,
চেনা কোন কোণেই পাই না খুঁজে,
তোমার কণ্ঠস্বর শুনি না,
তোমার চোখের তীব্রতা দেখি না,
তবু জানো কি, তুমি রয়ে যাও আমার মাঝেই,
বুকের ভেতর ঝড় তুলে দিক-ভ্রান্ত কর আমাকে।
হারিয়ে গিয়ে ঠিক কতটা সুখ পাও বলতো?
চাইনি তো তেমন করে কিছু,
চাইনি কোন বন্ধন, চাইনি কোন অঙ্গীকার,
না কোন অদ্ভুত আবদার।
না এক সাথে হাঁটা,
না হাতে হাত রাখা,
তবু হারিয়ে যাও, যখন যেমন চাও।
ইচ্ছেস্বাধীন তুমি,
কেবল অদৃশ্য শেকলের টানাপোড়নে বন্দী এই আমি।
#লুনা_নুসরাত
.
বি.দ্র. কথার বরখলাপ করা খারাপ জিনিস… খুব খারাপ .. হিহি…
কবিতা – কিছুটা অবহেলা দিয়ে যাও
বহুবছর হলো আমাদের
দেখা হয় না ;
কথা হয় না ;
কাছে বা দূর হতে
অভিযোগটুকুও করা হয় না।
এখানে সময় দাঁড়িয়ে নেই।
জানি,
কোত্থাও সময় দাঁড়িয়ে থাকে না।
আমরাও ছুটে চলছি ;
ছুটে চলছি -বিপরীতমুখী।
দেখা নেই,
কথা নেই,
এমনকি তোমার ছায়াটাও
চোখে পড়ে না।
পুরোটা জীবনের জন্য আসবে,
এমন আশা করাটা ভুল ;
আশাও করছি না।
তবে মনের ভুলে হলেও
একটিবার তো আসতে পারো!
ভালো না হয় না-ই-বা বাসলে ,
অবহেলাই ছুঁড়ে মারো।
বহুবছর হলো
অবহেলাটুকুও জুটছে না।
একটিবার এসে অন্তত
কিছুটা অবহেলা দিয়ে যাও।
তোমার কাছ থেকে প্রাপ্য সবকিছুতেই
তুমি থাকো।
অবহেলা,
উপেক্ষা
কিংবা
অবজ্ঞা ;
তাতে কি- ই বা যায় আসে।
আমার কাছে সবটাই মূল্যবান,
যা-ই পাই তোমার কাছ থেকে।
কেবল বসন্ত নিয়েই বেঁচে থাকবো,
এমনটা ভাবিনি।
এখানে ঋতুটাই মুখ্য ;
ঋতুহীন আবহাওয়া চোখেতে ভাসেনি।
বসন্ত না হয় না-ই-বা দিলে।
গ্রীষ্মের তাপ-দহন,
বর্ষার -এক আকাশ শ্রাবণ
অথবা
চৈতের তীব্র খড়ার ফাটল
বুকে সাজিয়ে যাও।
বহুবছর হলো –
অবহেলটুকুও জুটছে না।
একটিবারের জন্যও হলেও
কিছুটা অবহেলা দিয়ে যাও।।
কবিতা – তোমার পূর্ণাঙ্গ রচনাবলি
আমি আর তোমাতে অভস্ত্য নই।
তোমার প্রেম কিংবা অবহেলা ;
থাকা কিংবা না-থাকা
কোন কিছুতেই অভস্ত্য নই।
সত্যি বলছি,
আমি আর তোমাতে অভস্ত্য নই।
উড্ডয়নের গল্পে মিশে থাকা তুমি
উড়ে উড়ে ছেড়ে গেছ।
চোখের আর্দ্রতা সমেত বিবর্ণ মৃত্যু
বয়ে নিয়ে গেছে একদল মরাল ঠোঁট।
অবাধ্য ঢেউ অদূরে , সকরুণ সুরে ডুবে গেছে সব।
এখন এখানে চামড়ার নিচে নীলের চাষাবাদ।
হাঁড়-পাঁজরের অলিতে-গলিতে বিষণ্ন বিষাদ।
আয়ুহীন শোক আর ভুলের প্রাসাদ।
ভুল নাম, ভুল অনুভূতিতে “তুমি”
সেই তুমিটা থেকে বেরিয়ে দেখি —
আমার গল্প, কবিতা, উপন্যাস জুড়ে
এখন কোথাও তুমি নেই।
সবখানের সবটা জুড়ে নীরবতা, কেবল নীরবতা।
আফসোস–
আমার নীরবতা তোমার পূর্ণাঙ্গ রচনাবলী।
S.I ZITu