###পরগাছা ৩য় পর্ব
###লাকি রশীদ
দেরি করে বের হওয়ায় সেদিন বাসায় ফিরতে ফিরতে বিকেল গড়িয়ে পাঁচটা বাজে প্রায়। মা বিশ্রাম নিচ্ছে ভেবে আমি কাপড় পাল্টে টেবিলে বসি। ৪/৫ টা বাটি ঢাকা দেয়া। কোপ্তার মালাই কারি, চিতল মাছের পেটির তরকারি,বাইম মাছ ভুনা, পাবদা মাছ ও টমেটো দিয়ে তরকারি আর চিকেন ভুনা। তরকারির রং দেখেই বুঝা যাচ্ছে,
খুব মজা হবে। কিন্তু ভাত কোথায় সেটাই তো খুঁজে পাচ্ছি না। এরমধ্যে হাত থেকে চামচ পড়ায়
শব্দ হয়েছে। তৎক্ষণাৎ দেখি মা উঠে এসেছে। আমি বলি কি মা, তোমার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিলাম তো? ভাত খুঁজতে গিয়ে চামচ ফেলে দিয়েছি। মা হেসে বলল,ভাত তো চুলার উপরে। নীচে তাওয়া দিয়ে রেখেছি গরম থাকবে বলে। তুই বোস, নিয়ে আসছি।
প্লেটে ভাত বেড়ে দিয়ে পাশের চেয়ারে চুপচাপ বসে আছে। আমি বলি আমার গড়ে দেয়া কোপ্তা
গুলো খুব সুন্দর হয়েছে। মা বলে তোর হাতের ছোঁয়ায় মজাও হয়েছে। এবার দুজনেই হাসছি, মনে হচ্ছে ছেলেমানুষি খেলায় মা ছেলে মেতে উঠেছি। আমি এক লোকমা কোপ্তা দিয়ে মেখে বলি হা করতো মা। মা হা করে ও খুব তৃপ্তি নিয়ে খায়। দু লোকমা খেয়ে বলে, তোর সাথে আমার অনেক জরুরী কথা আছে খোকা। বললাম আমি শুনছি, তুমি বলে যাও।
মা একমনে বলছে, নিমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে তোর ফু্পুর একজন ইংল্যান্ড প্রবাসী বান্ধবীও ছিলেন। আজকের দাওয়াতের ৭০ ভাগ কাজ ই
নীতু করেছে। ভদ্রমহিলার এসব দেখে নীতু কে ভারী পছন্দ হয়েছে। উনার ছেলে ইংল্যান্ড থাকে। বারবার বলছেন এরকম একটা লক্ষী মেয়ে আমি খুঁজছিলাম। তুই তো জানিস ই নীতু দেশের বাইরে যেতে একদম রাজি না। আমিও চাই সবাই যেন আমার পাশে থাকে। তাই বলে দিয়েছি আমি তো আমার বাচ্চারা আমার কাছাকাছি থাকুক সেটা চাই। ওদেরকে বাইরে দেবার ইচ্ছে নেই। বাইম
মাছের কাঁটা বোনপ্লেটে ফেলে বলি,হ্যা মা সেটাই তো বলবে। ঠিক ই তো আছে। মা এবার চিন্তিত স্বরে বলে, কিন্তু তোর ফুপু তো সেই থেকে রেগে অস্থির হয়ে আছে। তোর বাবা তো আজ তার বন্ধুর ছেলের বিয়েতে গেছে। উনি মনে হয় তোর আর তোর বাবার অপেক্ষায় আছেন।
এই কয়দিনের অসুস্থতার কারণে মা আরো অনেকটাই শুকিয়ে গেছে। ড্রেস পরালে কলেজ ছাত্রী লাগবে মনে হচ্ছে। আমি হেসে বলি, আমরা যে পেছনে অন্তত তিন ভাই বোন তোমার ঢাল হয়ে আছি…… সেটা মনে হয় তুমি মাঝে মাঝে ভুলে যাও মা। তিনজন বললাম কারন বিন্দুকে গণনা তে আনিনি। আমি অনেক ভেবে দেখেছি তোমার তো মোটৈই ঘুম হয়না তাই তুমি আমাদের নিয়ে এতো বেশি চিন্তা করো অথচ বাবা এতো ঘুমায় বলে এতো বছর ধরে কেমন বিন্দাস হয়ে ঘুরছে দেখো। মা এবার মাথায় টোকা মেরে বলে,
দুষ্টু ছেলে। কোন কথাকে কোন দিকে ঘুরিয়ে নিয়ে যায় দেখো।
সন্ধ্যার পর বাবা বাসায় এসেছে আর মা গরম গরম বেগুনি, পিঁয়াজু ভাজছে। বাবা তখন বুবু বুবু
বলে বড়ফুপুকে ডাকছে। গম্ভীর মুখে এসে ফুপু বললেন, কি জন্য ডাকছিস মিন্টু? বাবা বলে,বসো
একসাথে সবাই বসে নাস্তা খাই। এবার ফুপু তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন, আমি কি তোদের কাছে কোনো গুরুত্বপূর্ণ মানুষ না কি? আমার কথার কি
একপয়সার দাম আছে এই সংসারে? বাবা এবার হতচকিত হয়ে বলছে, কেন বুবু কেউ কি কিছু বলেছে না কি তোমাকে?
মনের সমস্ত রাগ যেন পুনজিভুত আকারে বের হয়ে আসছে। দুপুরের ঘটনা বলে একদম শেষে বললেন, তোর বৌ নিজেকে কি ভাবে? এদের কে চিনে? এলাকায় গিয়ে চৌধুরীদের বাড়ি বললেই সবাই এক নামে তাদের দেখিয়ে দিবে। তোদের পক্ষ থেকে কিছু দিতে হবে না, ওরা সোনা গহনায় গা মুড়িয়ে দিবে। অন্যান্য প্রবাসী উশৃঙ্খল বদ ছেলেদের মতো এই ছেলে নয় মোটৈই। তোদের ভাগ্যই বদলে দিতে পারে সে। কি ভেবে তোর বৌ হুট করে আমার মেহমান কে মুখের উপর না করে দেয়? তোর সাথে তো পরামর্শ করতেও দেখলাম না। না কি তুই এই সংসারে এখন মুল্যহীন হয়ে গেছিস?
চিৎকার চেঁচামেচি শুনে নীতু ও বিন্দু রুম থেকে বের হয়ে এসেছে। বাবা এবার মার দিকে তাকিয়ে রাগী স্বরে বললেন, কি ব্যাপার বিনু? ঘরে আসা মেহমান বিশেষ করে বুবুর বান্ধবীকে তুমি মুখের উপর এসব বলার সাহস পাও কোত্থেকে শুনি?
মা তাদের সামনে চায়ের কাপ রেখে স্পষ্ট স্বরে বললো, তুমি তো জানোই নীতু বা আমি কেউই চাই না দেশের বাইরে ও চলে যাক। এটা ভেবেই আমি বলেছিলাম,আর কিছু নয়। কিন্তু বুবু হয়তো ভাবছেন উনার গেষ্টকে অপমান করেছি। আমি ভেবেছিলাম কথা বাড়ানোর আগেই বলে দেই। ফুপু এবার তীক্ষ্ম স্বরে বলছেন, মেয়ে না হয় ছোট মানুষ তোমার কি ঘটে বুদ্ধি নাই নাকি? স্বাভাবিক ভাবে মেয়েকে বিয়ে দিতে হলে কতো লাখ লাখ টাকা খরচ হবে জানো? এরা তো কিছুই নিবে না।
ফুপুর বুদ্ধি ভালো ছিল,এবার আমার বাবার মনে হয়েছে তাহলে তো সত্যিই এই সুযোগ হাতছাড়া করা উচিত হবে না। বাবা এবার গমগমে স্বরে বললো ঠিক আছে, বললেই তো আর বিয়ে হয়ে যায় না। ভালো ছেলে, ভালো পরিবার যখন পাওয়া গেছে দেখতে সমস্যা কি? বুবু তুমি তাদের কাছে থেকে বাড়িঘরের ডিটেলস আনো, আমি একটু খোঁজ খবর নিয়ে দেখি। মা চেয়ারে বসে ছিল সাথে সাথে দাঁড়িয়ে বলে, না এই বিষয়ে আর কোনো কথা হবে না। আমি এখানে মেয়ে বিয়ে দিবো না। বাবা চিৎকার করে উঠল,বিনু তুমি বেশি বাড়াবাড়ি করো না বলে দিলাম। মা কঠিন স্বরে বলছে, আমার মেয়ের অনিচ্ছায় বিয়ে দেয়ার প্রশ্ন
ই উঠে না। আমার জীবন টা নষ্ট করেছো এবার আর আমার মেয়ের জীবন নষ্ট করোনা দয়া করে।
বাবা মায়ের এই রুদ্ররূপ দেখে কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেছে। এই ফাঁকে আমার বড়ফুপু ভাইয়ের হয়ে হাল ধরলেন, তোমার জীবন আমার ভাই নষ্ট
করলো কিভাবে শুনি বিনু। ও আদরে আহ্লাদে বড় হয়েছে বলে কিছু করতে ওর ইচ্ছে হয় না। কিন্তু তাতে যেন তোমাদের কোনো কষ্ট না হয় সেজন্য আমরা তিন বোন তোমাদের মাসিক খাওয়া খরচ, বাচ্চাদের পড়ার খরচ সব দিয়ে খুশি রাখছি। যখন যা প্রয়োজন সব মিটিয়েছি। তারপরেও, তোমার বাচ্চাদের সামনে তুমি আমার ভাইকে এটা কেন বললে?
মা বললো, দিয়েছেন বলেই তো এই ফাঁকে শুনিয়েও ফেললেন। এটা কি কোনো সম্মানের জীবন হলো? পরমুখাপেক্ষী হয়ে সারাটা জীবন আমাকে নত করে রাখলো। প্লিজ কিছু একটা করো……. বলে বলে প্রথম প্রথম আমি মুখে ফেনা তুলে ফেলেছি। পরে বাধ্য হয়ে আর হাল ছেড়ে দিয়েছি। যে যা ই বলুক মেয়েকে বাইরে দিব না। লেখাপড়া শেষ করেছে, এবার চাকুরীজীবি দেখে বিয়ে দিয়ে দেব। গহনায় মুড়ে নিতে হবে না,
আর আমি লাখ লাখ টাকা খরচ করতে পারবো
না। প্রয়োজন পড়লে খেজুর দিয়ে বিয়ে পড়িয়ে মেয়ে তুলে দিব। শুধু কর্মঠ, ভালো একটা ছেলে ও পরিবার চাই। ইনশাআল্লাহ আল্লাহ ই মিলিয়ে
দিবেন।
বড়ফুপু এবার বলছেন, সেটাও তো মনে হয় ঠিক হয়ে আছে। মা মেয়ের যা বুদ্ধি দেখছি, সেটা খুব অসম্ভব ব্যাপার বলে তো মনে হচ্ছে না। এতক্ষণ ধরে দর্শক হয়ে থাকা নীতু এবার বললো, আপনি তো গতবার কেঁদে বলেছিলেন আপনার মেয়ে সবার অমতে পাকিস্তানি একটা ছেলে কে বিয়ে করেছে। এই বিষয়ে মা বা আমরা কখনো কেউ খোঁচা দিয়ে আপনাকে কিছু বলেছি না কি? কেন বলবো? এটা নিতান্তই আপনাদের পারিবারিক ব্যাপার। আমাদের তাতে নাক গলানো উচিত নয়। কিন্তু আপনি এখন মিথ্যে সন্দেহ করে কতো কিছু আমরা মা মেয়েকে বলে ফেললেন? বড়ফুপু এবার প্রচন্ড রেগে বললেন, তোমাদের ৪ ভাইবোন
কে সারাজীবন আমরা দেখেছি, এখন তোমাদের ব্যাপারে নাক গলাতে পারবোনা? এতো হারামী কি করে হও তোমরা? আলিশান বাড়িতে এতো বড় বড় রুমে আয়েশ করে থাকো, ভালো খাও, ভালো পরো…….. এগুলো কার বদৌলতে বলো? ঠিক আছে আমার ই ঘাট হয়েছে মা।
নীতু এবার বললো, আমি জানি আপনি আমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আদর আমাকে করেন। কিন্তু
এতো বছরের আদর, ভালবাসায় এসব খাওয়ার খোঁটা, থাকার খোঁটা দিয়ে সব নষ্ট করে ফেললেন না? আমি এমনিতেই এখন বিয়ে করবো না ফুপু। আমরা ভাইবোনদের একটা লক্ষ্য আছে। সেটা পুর্ণ হলেই এসব নিয়ে ভাববো। আপনিও এসব কথা মন থেকে ঝেড়ে ফেলুন। বড়ফুপু মনে হয় এসব শোনার জন্য প্রস্তুত ছিলেন না। বোকার মতো এবার ছোট ফুপু কে বকা শুরু করলেন,
সুরাইয়ার আক্কেল দেখো কবে আমি এসেছি তবু ননদের বাড়ি রাজশাহীতে গিয়ে বসে আছে। এখন আমার আর এই বাসায় থাকতে ইচ্ছে করছে না। আগামীকাল আসার কথা,কি জানি আসছে কি না। বোনের খবর নেই,ননদ নিয়ে পড়ে আছেন। বলেই ধুপধাপ শব্দ করে রুমে চলে গেলেন।
বাবা হতবুদ্ধি হয়ে এখনো জায়গায় বসে আছে। প্রায় ঘন্টাখানেক ধরে ঘটতে থাকা এসব ঘটনায় আমি ও বিন্দু একদম নিশ্চুপ ছিলাম। এবার বিন্দু
বাবা কে বললো, ফুপু তো আর আমাদের জন্য নিজের বাসা ছেড়ে অন্য জায়গায় যেতে পারেন না। তিনি ইঙ্গিতে আমাদের ই চলে যেতে বললেন বাবা। এখন আমরা কোথায় যাবো বলো তুমি? বিন্দুর শ্লেষে ভরা প্রশ্নটা বাবা ধরতে না পেরে বলল সেটা তোমাদের এতোক্ষণ ধরে মনে ছিল না? খুব তো মা মেয়ে সবাই জোট বেঁধে বুবুর সঙ্গে ঝগড়া করছিলে। নীতু এবার তীক্ষ্ম কঠিন স্বরে বললো,ঠিক আছে বাবা সব চিন্তার মতো এটাও না হয় আমাদের চিন্তা থাকুক। তুমি বরং নিশ্চিন্তে তোমার রুমে যাও। বাবা দেখি এবার সত্যি সত্যিই চেয়ার ছেড়ে উঠে গেল।
পরেরদিন ইন্টারভিউ, ভেবে রেখেছিলাম শুধু এটা নিয়ে আজ ভাববো। কিন্তু কতো কি যে ঘটে গেল। তবে আজ মায়ের স্পষ্টভাষ্য শুনে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে। প্রচন্ড ব্যাক্তিত্বময়ী মনে হয়েছে।
রাতে ভাত খাওয়ার জন্য বাবা ফুপু কে হাত পা ধরে নিয়ে এলেন। কেউ বসছে না দেখে তাদের সাথে আমি বসে পড়লাম। বড়ফুপু মনে হয়, কেঁদে ছেন। চোখ দুটো লাল টকটকে হয়ে গেছে। না চাইতেও আমার খারাপ লাগা শুরু হয়েছে। তার প্লেট এগিয়ে ভাত বেড়ে দিলাম। পরিবেশে স্বস্তি
আনার জন্য বললাম, কোপ্তার সাইজ কি ঠিক ছিল ফুপু? এগুলো কিন্তু আমি বানিয়েছিলাম।
কিছুটা অবাক হয়েছেন বুঝতে পারছি। মৃদু হেসে বললেন,খুব ঠিক ছিল। আমি তো আরো ভেবেছি নীতু মনে হয় করেছে। বাবা অস্বস্তিতে কথা বলতে পারছে না। তাই আমি ফুপু কে জিজ্ঞেস করলাম,
এই সব মাছের মধ্যে আপনার প্রিয় মাছ কোনটি?
ফুপু এবার বলছেন,বাইম মাছ। তোর ফুপা আর বাচ্চারা কেউ খায় না বলে আমি ওখানে খেতে পারিনা। একার জন্য আর আনি না। দেশে এলে যা খাওয়া হয়। আমি এবার বলি, ঠিক আছে
আপনি যতদিন দেশে আছেন,আপনার প্রিয় মাছ
শেষ হলে আমি নিয়ে আসবো ইনশাআল্লাহ।
খেয়ে রুমে যেতেই বিন্দু বললো, উনার সাথে এতো বাধ্যছেলের মতো কথা বললে কেন? ভুলে গেলে এতো তাড়াতাড়ি কি ব্যবহারটা না করলেন
আমাদের সাথে? আমি হেসে বলি, উনিও কেঁদে চোখ লাল করে ফেলেছেন। একটা মানুষের সব দিক খারাপ হয়না বিন্দু। দোষে গুনে মেলানো থাকে। আমরা কেউ ই ফেরেস্তা নই। আমি এসব আর মনে করতে চাই না। এবার তার স্বভাবসুলভ
কন্ঠে বিন্দু হিসহিসিয়ে বললো, তুমি তোমাকে খুব মহান দেখাতে চাও ছোট ভাই? আসলে তো বাসা যেন ছাড়তে নাহয় সেজন্য ফুপু কে তেল দিচ্ছিলে
আমাকে কি তোমার এতো বোকা মনে হয়? যা ইচ্ছে তাই দিয়ে বুঝাও। আমি এবার দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলি, না তুই আমাদের পরিবারের সবার মধ্যে চালাক। এটা মনে রাখিস একমাত্র বোকারা ই মনে করে, তারা সবচেয়ে বড় বুদ্ধিমান। সে চলে যেতেই ভাবি, আসলেই কি আমার মনের কোণে কোথাও এরকম কথা বাসা বেঁধেছিল? চোখ বুজে
ভাবতে ভাবতে একসময় নিশ্চিত হই, না বিন্দুর ধারণা সঠিক নয় মোটেই।
ভালো একটা ইস্ত্রি করা শার্টপ্যান্ট গুছিয়ে, জুতা মুছে শুয়ে পড়ি। এলার্ম দিয়ে রেখেছি, মা কামিনী
ফুলের গাছ উঠোনে লাগিয়েছে। জানালা দিয়ে তার সুগন্ধ ভেসে আসছে। এই বাড়িতে মা অনেক গুলো গাছ লাগিয়েছে। বাসা বেশ বড় বলে সারি বেঁধে অনেক কৃঞ্চচুড়া গাছ লাগিয়েছে। নির্দিষ্ট ঋতুতে আগুন রঙা ফুলের দিকে তাকাতে খুব ভালো লাগে। অনেকেই বলেছে মাকে, কামিনী ফুলের সুগন্ধে না কি সাপ চলে আসে। মা কানে তুলেনি। তপ্ত দিনের শেষে মৃদুমন্দ বাতাস বইছে। তাপমাত্রা আস্তে আস্তে এখন কমতে থাকবে। আমি শুধু ভাবছি আমাদের জীবনটা কবে এমন
শীতল হবে?
আজ পূর্ণিমা নয়, আকাশ দেখা যাচ্ছে না। কালো
সে আকাশের দিকে তাকিয়ে আপনমনে বলি,চক্র
তো ইনশাআল্লাহ একবার ঘুরাবে আল্লাহ। একই রকম তো সারা জীবন রাখবে না মাবুদ। আমার মায়ের অপমানে জর্জরিত মুখ আর দেখতে ভালো লাগে না। আমাদের জীবনটা এভাবে স্বস্তির, শান্তির শীতল হাওয়া দিয়ে ভরিয়ে দাও মাবুদ। সবকিছু আমি তোমার হাতে ছেড়ে দিয়ে
নিশ্চিন্তে ঘুমোতে গেলাম। আমার পুরো ভরসা আছে ইনশাআল্লাহ তুমি আমাদের সাথে আছো।
(চলবে)
### ৪র্থ পর্ব under