রুপকথা পর্ব ৭
মাহিয়া নিহাল কে নিজের টেবিলে এনে বসালো। নিহালও ভালো ছেলের মতন পাশে এসে বসলো ওর। রাগে এখনো মাহিয়া গজগজ করে লিমার দিকে তাকিয়ে আছে। নিহাল আর তনু সামনাসামনি বসায় একে অপরের দিকে তাকিয়ে ঠোট টিপে হাসছিলো।
– কত্ত বড় সাহস মেয়েটার দেখসিশ তনু? কিভাবে কথা বললো আমার সাথে? আর তুমিও তো কম যাও না। এতো কিসের ঐ মেয়ের সাথে তোমার আড্ডা হ্যা? যত্তসব ফাজলামির কাজ কর্ম।
নিহালকে মাহিয়া বকেই গেল কিন্তু নিহাল কিছুই বললো না। এই বকা শুনতে ওর এতো ভালো লাগছিলো যা ও বলে বোঝাতে পারবে না। আজ মাহিয়া নিজের স্ত্রী হওয়ার হক জাতিয়েছে নিহালের ওপর। এই দিন কখনো আসবে তা ও চিন্তাই করে নি। মাহিয়া নিহালকে বিয়ে করতে কেন রাজি হয়েছিল তা আজও নিহাল জানে না। তবে এই বিয়েতে মন থেকে মাহিয়ার কোনো মত ছিল না এই ব্যাপারে নিহাল নিশ্চিত।
আয়েশা যে একেবারে নিহালের বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে মাহিয়াদের বাসায় চলে যাবে এই ব্যাপারে নিহাল অবগত ছিল না। ওখান থেকে বাসায় আসার পর মা জানিয়েছে ওকে। মায়ের সামনে রিয়্যাক্ট না করলেও মনে মনে ভিষণ বিচলিত হয়ে গিয়েছিল নিহাল। মাহিয়া বিষয়টা কোনোভাবেই ভালো চোখে দেখবে না জানে ও। তাই রুমে যেয়ে সাথে সাথে মাহিয়াকে ফোন দিয়েছিল ও। কিন্তু ফোন বন্ধ। পুরো সন্ধ্যা জুড়ে ওকে ফোন দিয়ে যখন পেল না, তখন তনুকে ফোন দিয়েছিল নিহাল। ওর ফোনে গেলেও নিহাল জানতে পারলো, তনু ঢাকার বাইরে আছে। যেহেতু মাহিয়াকে ও রিচ করতে পারবে না, তাই তনুকেও তখন বিষয়টা আর খুলে বলেনি ও। ভেবে রেখেছিল, রাতটা যাক। সকাল হলে যে ভাবেই হোক মাহিয়াকে রিচ করবে ও। মাহিয়ার বাসায় যাওয়াটা ঠিক হবে না এখন, কিন্তু অন্য কোনো ওয়ে ও বের করবেই।
সকালে অফিসে যেয়েও কয়েকবার ফোন দিল নিহাল কিন্তু মোবাইল তখনও বন্ধ। কি করবে চিন্তা করছিল এর মাঝেই ফোন আসলো মায়ের। জানালেন যে মাহিয়ার বাবা ফোন দিয়েছিলেন। মাহিয়া রাজি হয়েছে এই বিয়ের জন্য। নিহাল স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল শুনে। মাহিয়া এই কাজ করে নিহালকে এক্সপ্লেন করার সব পথ বন্ধ করে দিয়েছিল।
-এই কি চিন্তা করো তুমি? আমার রাগ উঠিয়ে এখন সাধু বাবার মতন বসে আছেন, তাই না?
মাহিয়ার ঝাড়িতে হেসে দিল নিহাল।
-আচ্ছা সরি। আর রাগ করাব না তোমাকে।
– এখন ক্লাসে যাচ্ছি। তোমার সাথে কথা শেষ হয় নাই আমার। ক্লাস শেষে ধরবো তোমাকে দাড়াও।
মাহিয়ার শাষানি খেয়ে চুপ করে শুধু মাথা নাড়লো নিহাল। ওরা চলে যাওয়ার পর নিজের বন্ধুদের মাঝে এসে বসলো ও।
– দোস্ত যা মজা পাইলাম আজ! মাহিয়ার মতন শান্ত স্বভাবের মেয়ে যে এইভাবে চড়াও হবে আমরা ভাবতেও পারি নাই। লিমার মুখটা এইটুক হয়ে গিয়েছিল মাহিয়ার ঝাড়িতে।
নিহাল গর্ব করে উত্তর দিল,
-দেখতে হবে না কার বউ মাহিয়া? শি ইস নিহাল’স ওয়াইফ।
– হমম। তা তো বুঝলাম। কিন্ত তোর কি হইসে বলতো? বউ এর প্রেমে এমন ডুবসিশ যে ও যা বললো তাই করলি? চুপচাপ ওর পাশে যেয়ে বসে পরলি? এইটাতো আমাদের চেনা নিহাল না।
নিহাল হেসে দিল ওদের কথায়। আসলেই নিহাল বদলে যাচ্ছে। মাহিয়াকে ভালোবেসে বদলে যাচ্ছে ও।
ক্লাস শেষে মাহিয়া বের হলে চত্বরেই নিহালকে দেখতে পেল। কাছে যেয়ে কোনো কথা না বলে নিহালের পাশ কাটিয়ে পার্কিং লটের দিকে হাটা দিল ও। নিহালও পিছে পিছে গেল ওর। গাড়িতে উঠে চুপ মেরে রইলো মাহিয়া। চেহারা একদম সোজা। নিহাল গাড়ি স্টার্ট দিল। কেউ কোনো কথা বললো না অনেক্ষণ। একসময় খেয়াল করলো মাহিয়া, ওরা বাসার দিকে যাচ্ছে না।
-আমরা কই যাচ্ছি? বাসা তো এই দিকে না।
-তাই নাকি? আমি তো জানতামই না।
-ফাজলামো কোরো না নিহাল। বলো না কই যাচ্ছি?
-একটু ধর্য্য ধরো বাবা। আসলেই দেখতে পাবা জায়গাটা।
মাহিয়া আর কিছু বললো না। একটু পর ওরা ক্যান্টনমেন্টের ভেতর প্রবেশ করলো। নির্ঝর রেসিডেনশিয়াল এরিয়ায় এসে গাড়ি পার্ক করলো নিহাল।
-এখানে কেনো আনলা?
– নামো তো আগে।
মাহিয়া নামার পর গাড়ি লক করে ব্রিজের দিকে হাটা দিল নিহাল। মাহিয়াও চললো ওর পাশে পাশে। এই জায়গাটা খুবই সুন্দর লাগে রাতের বেলায়। ব্রিজটা পুরা আলোকিত করে রাখা হয়। সুবিশাল রাস্তায় অনেক রাতেও বাচ্চাদের চিন্তামুক্ত হয়ে দৌড়াতে আর সাইক্লিং করতে দেখা যায়। বড়দের হাটারও ভালো একটা জায়গা এটা।
ব্রীজের মাঝে যেয়ে রেলিংএ হেলান দিয়ে দাড়ালো নিহাল। মাহিয়া দাড়ালো ওর পাশে। কিছু বললো না ও নিহালকে কারণ এই জায়গাটায় এসে এখন ওরও খুব ভালো লাগছে। নিহালই কিছুক্ষণ পর কথা শুরু করলো,
– এখনো আমার ওপর রাগ করে আছো?
-………
-আই এ্যাম সরি। তোমার ভালো লাগে না এমন কিছুই আমি করবো না। এইবারের জন্য কি মাফ করা যায়?
আল্তো একটা হাসি দিয়ে ওর দিকে তাকালো মাহিয়া। আবার মাথা নিচু করে ফেললো ও।
– কি হলো? অন্য কোনো সমস্যা হয়েছে নাকি?
একমুহূর্ত চুপ থাকলো মাহিয়া। তারপর মাথা তুললো,
– ব্রেকের পরে ক্লাসে সবাই আমাদেরকে নিয়ে অনেক কথা বলছিলো। আমাদের বিয়ের ব্যাপারটা মুহূর্তেই ক্লাসে ছড়িয়ে পড়েছে। কেউ হাসাহাসি করেছে তো কেউ বার বার জিজ্ঞাসা করতেই নিশ্বাস ফেলাচ্ছে আমাদের ব্যাপারে।
-কি জিজ্ঞেস করছিলো?
-এই যেমন, তোমার সাথে কবে বিয়ে হলো, কেমনে হলো।
নিহাল আর প্রশ্ন আগালো না। কারণ ওদের বিয়ে কেন এবং কিভাবে হয়েছে তা ওদের দুইজনের জন্যই কষ্টের এক ইতিহাস। সেই পথে আজ আগাতে ইচ্ছা করলো না ওর।
-মাহিয়া চলো কোথাও ডিনারে যাই আজকে।
মনে মনে কথাটায় খুশি হলেও মুখে বললো মাহিয়া,
– মা বাসায় ওয়েট করছেন আমাদের জন্য। বাসায়ই ডিনার করি।
-আম্মুকে নিয়ে চিন্তা করোনা। উনি শুনলে খুশিই হবেন। তুমি যদি যেতে চাও তাহলে সেটা বলো।
মাহিয়া একটা মিষ্টি হাসি দিয়ে অন্যদিকে চেয়ে রইলো। নিহাল হাসির মানেটা বুঝেই ফোন দিল আয়েশাকে,
– হ্যালো আম্মু? কি করো? আচ্ছা আজ আমি আর মাহিয়া বাইরে থেকে খেয়ে আসবো। তুমি আর নাবিল ডিনার করে নিও। ওকে রাখলাম। আল্লাহাফেজ।
ফোন রেখে মাহিয়ার দিকে তাকালো ও,
-মা আমাদের এনজয় করতে বলেছেন। এবার তো সব ঠিক আছে নাকি আরও কেউ ওয়েট করছে বাসায় ডিনারে? বলোতো তাদেরকেও ফোন দিয়ে জানিয়ে দেই।
নিহালের কথায় হো হো করে হেসে দিল মাহিয়া। নিহাল হতবাক হয়ে গেল দৃশ্যটা দেখে। সেই আগের হাসিটা আবার ফিরে পেয়েছে মেয়েটার ঠিকানা। এসে বসে পরেছে মাহিয়ার ঠোটে। আগের সেই মাহিয়ার ঝলক দেখলো নিহাল।
নিহালের সেই মুহূর্তে এক আজব ইচ্ছা প্রবল আকারে মনে জেগে উঠলো। ও চাচ্ছিলো নিজের ঠোট দিয়ে মাহিয়ার ঠোট দুটো দখল করে নিতে। মন ভরে সেখানে আদর মেখে দিতে।
পরক্ষণেই চিন্তাটা ঝেড়ে ফেললো ও। এখনো সেই সবকিছুর অধিকারী হয়নি নিহাল।
ডিনারের জন্য তারা শেফ্স টেবিলে বসলো। মাহিয়ার হাজার মানা করার পরেও নিহাল প্রায় প্রত্যেকটা কুইসিনই অর্ডার করলো ওখানের। মাহিয়া দেখলো ছেলেটা বেশ খাবার রসিক। খাওয়ার সময় বাচ্চাদের মতন এক্সাইটেড হয়ে যাচ্ছে ও। খুব ভালো লাগলো ব্যাপারটা মাহিয়ার। নিহালকে গত কয়েকদিন ধরেই আসলে ও খেয়াল করছে। ছেলেটা যেন কেমন,মাহিয়া পুরোপুরি ঠাওর করতে পারে না। অফিসে থাকতে যখন ফোনে কথা হয় তখন এপাশ থেকেই শোনে মাহিয়া, যে নিহাল কতোটা ফর্মাল ওর ইমপ্লোইদের সাথে। খুব সিরিয়াস গমগম গলায় কথা বলে ও। ভার্সিটিতে গেলে বন্ধুদের মাঝে থাকে আরেক রুপে। সেইরকম পার্ট মেরে চলে। সেইখানেও একটু গম্ভীর থাকে তবে সেটা অন্যধরনের। আর বাসায় মা আর ভাইয়ের সাথে আবার একদমই আলাদা। বেশ মজায় থাকে ও। বাসায় যদি অফিসের কেউ এসে দেখে তাহলে মাহিয়া শিওর যে সে নিহালকে চিনতে পারবে না।
আর মাহিয়ার সাথে যখন রুমে থাকে তখন… তখনের নিহাল একটু চুপচাপ, শান্ত, কিছুটা দুষ্টুও কি? ওর চোখের চাহনিতে থাকে কিছু একটা। মাহিয়া দেখেছে সেটা প্রথম থেকেই কিন্তু দেখেই চোখ সরিয়ে ফেলেছে। বুঝেও না বোঝার মতন করে থেকেছে এতদিন। তবে এখন একটু একটু মাহিয়াও তাকায়। ওর সাথে বেডরুমে থাকা নিহালটাকেই ইদানিং খুব ভালো লাগছে মাহিয়ার।
-এই যে মিসেস রহমান, খাচ্ছেন না কেন? ঠান্ডা হয়ে গেল তো সব?
নিহালের আওয়াজে ফিরে এলো মাহিয়া,
নিহাল ওকে এই নিয়ে কয়েকবার মিসেস রহমান ডেকেছে। ভালো লাগে নাই ব্যাপারটা। মিসেস রহমান তো ওর শাশুড়ি। তাহলে নিহাল ওকে কেন এই নামে ডাকে? তবে মুখ ফুটে এটা বলার সাহস হলো না মাহিয়ার।
খেতে খেতে নিহাল বললো,
-আরে দেখসো, আজ এতো কিছুর মাঝে তোমাকে বলতে ভুলেই গিয়েছি। আমাদের ব্যাচ আগামী সপ্তাহে একটা ট্যুরে যাচ্ছে। পিকনিক টাইপ আর কি। প্লাস ওয়ান নেওয়া যাবে। তোমার যদি কোনো কাজ না থাকে তাহলে যেতে পার আমার সাথে। কি বলো?
মাহিয়া হেসে দিল নিহালের প্রশ্নে।
– এভাবে জিজ্ঞেস করছো কেন? আমি যাবো। কোথায় যাচ্ছো তোমরা?
– কক্সবাজার।
-ওহ ওয়াও। আমার খুবই ভালো লাগে ওখানে। অনেকদিন যাওয়া হয় না। তবে আগামী সপ্তাহ মানে ডিসেম্বর। সো ঠান্ডা পরতে পারে।
-সমুদ্রের ওখানে ঠান্ডা থাকে না অতো। তবে তুমি চাইলে কিছু শীতের কাপড় নিয়ে নিতে পারো।
-আচ্ছা আমরা ওখানে উঠবো কোথায়?
মাহিয়ার এক্সাইটমেন্ট নিহালের খুব ভালো লাগলো। মিনিটের তফাতেই “তোমরা” থেকে “আমরা” তে পরিণত হয়ে গেল ব্যাপারটা।
-আমরা সায়মান বিচ রিসোর্টে উঠবো। কক্সবাজারের মধ্যে ওটাই বেস্ট হোটেল। আমাদের মাঝে তিন চারটা কাপল আছে রিসেন্টলি বিয়ে হয়েছে। ওদের জন্যই আসলে এই হোটেলটা বুক করা হয়েছে। একটা ছোট খাটো হানিমুন টাইপ হয়ে যাবে ওদের।
মাহিয়া হানিমুন শব্দটা শুনে ভিষণ লজ্জা পেল। কিন্তু তার সাথে একটু মন খারাপও হলো কি? নিহাল অন্যদের হানিমুন নিয়ে ঠিকই কথা বলছে, তবে নিজেদেরটা নিয়ে কোনো কথাই বললো না। আগে একবার মা বলেছিলেন, সেই সময় মাহিয়ারই কোনো ইচ্ছা ছিলো না যাওয়ার। কিন্তু এখন তো অন্তত নিহাল ওকে জিজ্ঞেস করতে পারতো?
পরক্ষণেই আবার নিজেকে বকলো মাহিয়া,
– কি যা তা চিন্তা করছিশ মাহি? নিহাল তোকে কেনোই বা হানিমুনের জন্য বলবে? কাগজ কলমের সই ছাড়া তোদের মাঝে স্বামী স্ত্রী হওয়ার আর কোনো চিন্হই তো নেই। যেখানে নিজেদের বিছানায় এখনো একেঅপরের হতে পারিস নাই, সেখানে হানিমুনের প্রশ্ন আসে কোথা থেকে? থাম্ মাহি। অনেক বেশী আসা করছিশ তুই। নিহাল ডাসন্ট লাভ ইউ।
শেষের চিন্তায় হালকা কেঁপে উঠলো মাহিয়া। নিজেকে একটু সামলে খাওয়াতে মনোযোগ দিল ও।
খাওয়া শেষ করে বাসায় ফিরে আসলো ওরা। শাশুড়ির সাথে কিছুক্ষণ বসলো মাহিয়া। গ্লপগুজব শেষ করে নিজের রুমে চলে গেল ও।
হঠাৎ মাহিয়ার ঘুম ভেঙে গেল। পানির পিপাসা লেগেছে। ঘড়ি তে দেখলো রাত তিনটা ছুই ছুই। উঠতে যাবে তখনি ফিল করলো কাপড় আটকে আছে ওর যেটার কারণে উঠতে পারছে না। পাশ ফিরে তাকালো ও। নিহাল গভীর ঘুমে অচেতন। মাহিয়ার কাপড় ওর হাতের নিচে দেবে আছে। ছেলেটার মায়া ভরা চেহারাটা দেখে ঘুম থেকে ওঠাতে ইচ্ছা করছিল না ওকে। খুব আস্তে করে নিজের কাপড়টা টান দিল মাহিয়া। কিন্তু শেষ টানে ঘুমটা ভেঙেই গেল নিহালের। উঠে বসলো ও,
-ঘুমাওনি এখনো?
– না ঘুমিয়েছিলাম। পানির পিপাসায় ঘুম ভেঙেছে। সরি তোমার ঘুমটাও নষ্ট করলাম।
-আরে না না। আমার ঘুম যেভাবে ঝট করে ভাঙে আবার সেভাবে ঝট করে চলেও আসে। দাড়াও আমি পানি এনে দিচ্ছি।
এই বলে মাহিয়াকে রেখে নিহাল পানি আনতে বাইরে গেল। পানির বোতল এনে মাহিয়ার হাতে দিল ও। মাহিয়া পানি খেতে খেতেই নিহাল নিজের ল্যাপটপ নিয়ে একটু বসলো।
-এতো রাতে আবার ল্যাপটপে কি কাজ করবা?
-না তেমন কিছু না। কালকে সকাল সকাল একটা মিটিং আছে। ওটার প্রেসেন্টেশন টা লাস্ট বার চেক করে নিচ্ছি। তুমি শুয়ে পড়ো। আমার জাষ্ট ফিফটিন মিনিটস লাগবে।
মাহিয়া আর কথা না বাড়িয়ে বরাবরের মতন ওপাশ ফিরে শুয়ে পড়লো। নিহাল পাওয়ার পয়েন্টের কাজ শেষ করে একবার নিজের ইভেন্টস ক্যালেন্ডারটা খুললো দেখার জন্য যে এই সপ্তাহে কি কি কাজ আছে ওর। পরশুর তারিখটার দিকে চোখ পড়লো ওর। মাহিয়ার জন্মদিন। আগেই নোট করে রেখেছিল নিহাল।
পাশে শোয়া মাহিয়ার দিকে তাকালো ও। ঘুমিয়ে গেছে মেয়েটা। ওর দিকে তাকিয়েই নিজের মনে মনে বললো নিহাল,
-এই বারের জন্মদিনটা আপনার জন্য মেমোরেবল করে দিব আমি মাহিয়া। আই প্রমিস।
চলবে….