তোকে ঘিরে পর্ব ১০
#ফাবিয়াহ্_মমো
সকালে চোখ খুলে দেখি সব অন্ধকারাচ্ছন্ন দেখছি। আশ্চর্য! আমিতো রুমের লাইট জ্বালিয়ে জানালা খুলে শুয়েছি রুম এতো অন্ধকার কিভাবে? বিছানা থেকে উঠতে যাবো দেখি শরীরের উপর পর্বতপ্রমাণ ভারী কিছু লাগছে! আমি অস্থিরচিত্তে হাত নাড়াচাড়া দিতেই হঠাৎ হাতদুটো কেউ বিছানার সাথে চেপে ধরলো! আমি চিৎকার দিয়ে উঠি! চিৎকারের শব্দে পাড়ার লোক জেগে যাওয়ার কথা কিন্তু শব্দটা শুনে বাবা, মাও এলোনা। প্রচণ্ড ভয়ে শরীরের লোম দাড়িয়ে গেছে গা ছমছম করছে! হঠাৎ আমার কানের কানে একটা ফিসফিস শব্দতরঙ্গ এলো। খুবই ফিসফিস!
‘পূর্ণ আমাকে ভয় পাও কেন…’
চমকে উঠে মাথা ঘুরিয়ে শব্দ উৎসের দিকে মুখ করতেই সে আমার গলার কাছে হাত ডুবিয়ে ঘাড় চেপে কাছে আনলো! রুম এখনো অন্ধকার! আমি কাপা কাপা গলায় ঠেলেঠুলে হাত বের করে তার দিকে রাখতেই সূচের মতো খোচাখোচা অমসৃণ কিছু হাতের তালুতে লাগলো। উনার গাল! উনি আচমকা দুহাতে জড়িয়ে ধরে একহাত আমার চুলে ঢুকিয়ে পাঁচ আঙ্গুলের প্রায়োগিক দিয়ে নিজের সাথে মিশিয়ে ধরলেন। এমন ভাবে চেপে ধরেছেন যে, তার বুকের কাছে আমার ঠোঁট ছুচ্ছে। শরীরের নিচে চাপা পড়ে যাওয়া হাতটি উনার পিঠের উপর রাখতেই সে আমার চুলে ঠোঁট বসিয়ে বলে উঠলেন,
– আমাকে আসতে বলো না কেন?
স্বপ্ন না হ্যালুয়েশন কিছুই বুঝতে পারছিনা আমি। যদি পূর্ব হয়েই থাকে আমি আজ উনাকে যেতে দিবো না! খামচে, জড়িয়ে নিজের পার্সনাল ডায়েরির মতো লুকিয়ে রাখবো। উনি কোমল কন্ঠে ঠান্ডা গলায় বললেন,
– চলে যাবো?
অসম্ভব! কক্ষনো যেতে দিবোনা! এই লোক ভাবলো কি করে আমি উনাকে যেতে দিবো! গেলে আমার লাশ যাবে! আমি উনাকে আরো শক্ত করে দুহাতের দশটি আঙ্গুলের সাহায্যে লতার মতো আকঁড়ে ধরেছি।
– পূর্ণ ইউ আর ক্রায়িং…
আমি কাঁদছি? কই নাতো? চোখ থেকে কখন পানি পড়লো?উনার যাওয়ার কথা শুনেই কি বেহায়া চোখগুলা ভিজে উঠেছে? পূর্ব আমার চুল থেকে ঠোঁট সরিয়ে কানের কাছে হাত ডুবিয়ে আমার মাথা কিছুটা উচু করে বলে উঠলেন,
– কাদঁছো কেন?
অন্ধকারে উনার মুখ অদৃষ্ট! কিন্তু গলার নেশামাখা কন্ঠটা শুনে গলা জড়িয়ে ধরতে ইচ্ছে করছে। কিছুটা সময় নিরবতা কাটিয়ে অস্ফুট কন্ঠে বলে উঠলাম,
– আপনি খুব বাজে একটা লোক! এক নাম্বার নোংরা! স্বার্থপর! আপনি কখনো এসে খোঁজ নিয়েছেন, ‘পূর্ণ কেমন আছো?’ ট্রেনেও আপনি সেদিন বিদায় দিতে আসেন নি। ওইদিন রাতেও মুখ ফিরিয়ে একটা বার দেখেন নি। তো এখন কেন এসেছেন? আরো কষ্ট দিতে?
আবার চুপ করে রইলেন উনি। নিরবতা নিয়ে কোনো আওয়ার্ড থাকলে নির্ঘাত টপ টেনে থাকবেন উনি! আমি পাক্কা সিউর! হঠাৎ গম্ভীর সুরে উনি আস্তে করে বললেন,
– কষ্ট কিভাবে দেয়? আমি তো কেউ না।
– কে বলেছে কেউ না!
– বলতে হয়না।
– আপনাকে আমি মেরে ফেলবো! আপনি আমায় কষ্ট দিচ্ছেন! মা আমাকে পাগল বলে আখ্যা দিয়ে ফেলেছে! সবকিছু আপনার জন্য হয়েছে ! আপনি দোষী! অপরাধী! পাপী!
হঠাৎ তড়িৎ বেগে আমার পায়ের কাছে তীব্র ব্যাথায় সন্ঞ্চার হয়ে আমার সমস্ত গা ঝিমুনি দিয়ে উঠলো!আমি চোখ খুলে দেখি মা সামনে দাড়িয়ে উনার হাতে মোটা কাঠের লাঠি! উনাকে রাক্ষসীর মতো ভয়ঙ্কর লাগছে! পায়ের ব্যথা শেষ না হতেই মা শূন্যে লাঠি উঠিয়ে আরেক দফা মারলেন! কয়েকমিনিট আমি চোখ কুঁচকে দাঁতে ঠোঁট কামড়ে স্থির হয়ে আছি। কানের ভেতর শুধু ভো ভো শব্দ শুনছি। চোখের দুই প্রান্ত থেকে টপ করে পানি খসে পড়তেই বাহুতে যন্ত্রণার ঝাঁজ অনুভব করছি!
– তুই ভালো মানুষের মতো চলবি কিনা বল! যদি না পারিস আমি তোকে এখুনি মেরে কবর দিয়ে আসবো! বল কি করবি!
চোখ খুলেও অশ্রুর কারনে মায়ের চেহারা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিনা। হাতে আগুনের গোলা পরলে যেমন দাউদাউ করে ব্যথা করে ওমন করে যন্ত্রণা করছে। মা রাগে গজগজ করতেই আমার পা ধরে হেচকা দিয়ে ফ্লোরে ফেলে দিলেন। ফ্লোরের সাথে মাথা লেগে চোখমুখ অন্ধকার দেখছি! শরীর প্রবল অসারে জ্ঞানহীন হওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে! মা চেঁচিয়ে বলে উঠলেন,
– তোর মতো বের্জন্মা মেয়েকে পেটে ধরেছি ভাবতেই গা ঘিনঘিন করছে! তুই একটা পর পুরুষকে নিয়ে পাগলামো করছিস! ছিঃ! আবার জল্পনা করছিস ওই ছেলেকে নিয়ে! থু!
লাঠি ফেলে মা চলে গেলে আমি ফ্লোরে শুয়ে চোখ বন্ধ করি। একটু আগে আমি পূর্বকে নিয়ে টানা ষষ্ঠ বারের মতো হ্যালুয়েশন দেখেছি। পূর্বকে নিজের আশেপাশে ভেবে কল্পনার জগত সাজিয়ে উদ্ভট আচরন করছি। আচ্ছা আমি কি মেন্টালি ডিসঅর্ডার হয়ে গেলাম? মেন্টালি সিক?
.
দূর্বল হার্টের মানুষ যেমন তীব্র ঝটকা নিতে পারেনা তেমনি পূর্ণতার মতো মানুষ প্রিয় জিনিসটার দূরত্ব মানতে সক্ষম হয়না। যে জিনিসটা প্রিয়! যেটা নিজের কাছে রাখার মতো তীব্র বাসনা! সেটা হঠাৎ এভাবে দুমকা হাওয়ার মতো হারিয়ে গেলে মস্তিষ্ক ঠিক থাকেনা। মন কিছুই ভাবতে পারেনা। সবাই পূর্ণতাকে মানসিক ভাবে দূর্দাস্ত ভাবলেও পূর্ণতা জানে সে কল্পনা করছে, তার মস্তিষ্ক হ্যালুয়েশন নামক শব্দটি দ্বারা বারবার নির্যাতিত হচ্ছে। এসময় বন্ধুরা এসে সার্পোট করবে, পরিবারের সবচেয়ে মূখ্য ব্যক্তি মা পাশে দাড়াবে কিন্তু তার একটিও জীবনে হলো না। বাবা নামক মানুষটির কাছেও পূর্ণতা সব কথা খুলে বলতে পারলো না। কিছু কথা বাবা-মাকে বলা যায় না, কিছু কথা বন্ধুমহলেও বলা যায় না, কিছু কথা কাউকেই বলা যায় না। সেই ‘কিছু কথা’ আজীবন নিজের ভেতরেই থেকে যায়। যদি কখনো আর্শীবাদ স্বরূপ সেই ‘কিছু কথা’ বলার মতো একজন বিশেষ ব্যক্তি পাওয়া যায়, তখন সে হয়ে যায় সৌভাগ্যশালী। কিন্তু পূর্ণতার জীবনে কেউ এলো না। দেয়ালে টাঙানো রঙিন ওয়ালমেটের মতোই সে নির্জীব হয়ে রইলো সবার কাছে।
দুপুরের তেজবর্ণ গলে গিয়ে বিকেলের লাল আভায় পূর্ণতা মেলেছে আকাশ। খোলা চুলগুলো বাতাসে উড়ছে, কপালের উপর কিছু চুলের খেলা হচ্ছে, ঠোট জোড়া স্থির হয়ে শান্ত চোখজোড়া দিয়ে আকাশ দেখছে। বিকেলবেলার প্রকৃতি কি সুন্দর লাগে! চুপচাপ নিরবতার ভঙ্গিতে বারান্দায় দাড়িয়ে পূর্ণতা প্রকৃতি দেখছে। তার ঠিক পাশে দাড়িয়ে রেলিংয়ের উপর প্লেট রেখে আপেল কাটছে কাজের মেয়ে নূরানী। বাবা নূরানীকে পূর্ণতার দেখভালের জন্য নিয়োজিত রেখেছে। মেয়েটার গায়ের রঙ শ্যামলা, চোখদুটো ভারী ভারী, চুলগুলো খোপায় গাঁথা, পড়নে সালোয়ার কামিজ।
– আপা দোলনায় বসেন আপেল কাটছি।
পূর্ণতা ম্লান গলায় জবাব দিলো,
– আগে তুই খা। আমি একটু পর খাচ্ছি। আকাশটা দেখতে দে।
নূরানী পূর্ণতার দৃষ্টি ধরে আকাশের দিকে চোখ ঘুরালো। দুপাটি দাঁত বের করে বললো,
– আজকা আকাশটা খুউব সুন্দর লাগতাছে তাইনা পূর্ণতা আপা?
– হু। কিরে দোলনায় বসতে বলেছিনা? ফ্লোরে বসবি! আমি তোর পা ভেঙে দিবো।
– আপা দোলনা হইলো আপনাগোর বসোনের জায়গা। আমি বইলে নোংরা হইবো।
পূর্ণতা ‘নোংরা’ শব্দটা শুনে নূরানীর দিকে ঝট করে তাকালো। এই একটি শব্দের জন্য নিজেকে আজও খুব দোষী মনে হয় পূর্ণতার। পূর্ণতা নূরানীকে একপ্রকার জোর করে দোলনায় বসিয়ে নিজেও পাশে বসলো। নূরানীর বয়স কম। মাত্র সতের। পূর্ণতা নূরানীর মাথায় হাত রেখে বললো,
– নূরানী নিজেকে নোংরা বলবিনা পাগলী। তুই নোংরা হলে আল্লাহ্ তোকে সৃষ্টিই করতো না বুঝেছিস? নে আপেলটা খা। আর কখনো এসব বলে আমাকে কষ্ট দিস না। তুই তো জানিস এ ঘরে তোর খালাম্মা আমায় পছন্দ করেনা। এমনেতেও কষ্টে আছি।
নূরানী মন খারাপ করে পূর্ণতাকে আচমকা জাপটে ধরলো। পূর্ণতা নূরানীর মাথায় হাত বুলিয়ে কিছু বলবে তার আগেই নূরানী বলতে লাগলো,
– আপনে কষ্ট পান শুনলে আমার খুব কষ্ট হয় আপা। আপনে কাইদেন না আপা। আপনার চোখে পানি ভালো লাগেনা। আপনে আমারে যেমনে আদর করেন ওমনে আমার নিজের মা-ও কদর করেনাই। অপয়া বইলা গাইল্লাইছে। আমি বলে…
পূর্ণতা ওকে থামিয়ে বললো,
– চুপ চুপ…ওসব অতীত নিয়ে কথা বলতে যাবিনা। মেয়েদের সবসময়ই নিচু করে দেখা হয়। ওতে তোর দোষ না। তোর পরিবার যদি তোর গায়ের চামড়া মুখের সৌন্দর্য নিয়ে কটুক্তি করে দুকান দিয়ে ঝেড়ে ফেলে দিবি। ওগুলা কখনো ভালো মানুষ করেনা! চুপ কর এখন। আপেলটা খেয়ে আমায় উদ্ধার কর।
নূরানীকে ছেড়ে পূর্ণতা নিজের ওড়না দিয়ে ওর চোখ মুছিয়ে আপেল খেতে বলে। নূরানী আবদার জুরে বসে ঠান্ডা ঠান্ডা সুন্দর বিকেলে কিচিরমিচির পাখির আওয়াজে পূর্ণতা যেনো একটা গান শোনায়। পূর্ণতার গানের গলা মারাত্মক! পূর্ণতা প্রথমে রাজি না হলেও শেষে আবদার পূরণ করলো। চোখ বন্ধ করে হালকা নিশ্বাস ছেড়ে গান গাইতে শুরু করলো,
‘তোমায় ঘিরে যে ভালোলাগা হয়নি বলা ভাষায়..
হাজার ভিড়ে যে খুজেঁ পাওয়া সেই তুমি আজ কোথায়,
তোমাকে নিয়ে সেই স্মৃতিরা আজো খুজে ফেরে আমাদের,
কি যেনো কি ভেবে হারিয়ে গেলে
এসো না ফিরে হৃদয়ে…’
.
নূরানীকে নিয়ে বিকেল টাইমে একটু বাইরে বেরিয়েছি। বিষন্ন মনটাকে একটু খুশি রাখার প্রয়াসে আবাসিক এলাকার রাস্তা পেরিয়ে নূরানীকে সঙ্গে নিয়ে মেইন রোড দিয়ে রোজ গার্ডেনের দিকে যাচ্ছি। নূরানী ওর জীবনের মজার মজার ঘটনাগুলো আমাকে রসালো করে বলছে। মেয়েটার মন খুব নরম, কোমল, সরল। হেসে হেসেই সব কথা বলে। হঠাৎ একটা গাড়িকে লাগামহীন ভাবে আসতে দেখে আমার বুকটা ধব্ক করে উঠলো! কয়েক সেকেন্ডের ব্যবধানে আমি নূরানী ধাক্কা মেরে ফুটপাতের অংশে ফেলে চোখ খিচুনি দিয়ে মুখ দুহাতে ঢেকে ফেলি। বুকটা ধ্বকধব্ক করে কাপছে। আমি এক্সিডেন্টে মরে যাবো!! গাড়িটা বিকট হর্ণ বাজিয়ে আমার পায়ের কাছে থামতেই আশপাশের দোকানদারের চিৎকার শুনতে পেলাম। আমি মুখের উপর আঙ্গুল ফাঁক করে দেখি গাড়িটা আমার একদম কাছ ঘেঁষে থেমেছে! আল্লাহ্ কি ভয়ংকর এক্সিডেন্ট থেকে বাঁচলাম! লোকটা গাড়ি থেকে নেমে আমার উদ্দেশ্যে গালাগালি করবে তার আগেই রাস্তায় থাকা পাব্লিক লোকটাকে এক ধোলাই দিলো।
– মদ খাইয়া গাড়ি চালাস? এইটা তোর বাপের রাস্তা যেমনে মন চায় ওমনে চালাবি!
বলেই কষিয়ে মারলো এক চড় ওই গাড়ির ড্রাইভারকে। লোকটাকে দেখে মনে হলো নেশাজাতীয় কিছু খেয়েছে। চোখ লাল, শরীরও দুলছে। একটুর জন্য যে আমি বেঁচে গেছি তা হারে হারে টের পাচ্ছি। ফুটপাত দিয়ে হাটলেও এখন দূর্ঘটনা থেকে নিস্তার নেই! কি আজব ট্রাফিক সিস্টেম!
বিকেল পেরিয়ে সন্ধ্যা ঘনিয়ে অন্ধকার হয়ে এলে নূরানীকে নিয়ে বাসার জন্য পা বাড়াই। দোকান থেকে দুইটা আইসক্রিম কিনে দুজনে খেতে খেতে বাসার সামনে আসতেই আমার চোখ থতমত খেয়ে হাত থেকে আইসক্রিমের কাপ পরে যায়। নূরানীও একই দর্শনে আশ্চর্যজনক ভঙ্গিমায় ঢোক গিলছে। আমি ও নূরানি একে অপরের দিকে তাকালে নূরানী বলে উঠলো,
– আপা এইডা হেই গাড়ি না যেইডা আপনেরে ধাক্কা মারতে নিছিলো?
আমি ওড়নায় হাত মুঠো চেপে ঠোঁট আলতো ভিজিয়ে মাথা ঈষৎ নাড়িয়ে হ্যাঁ বোঝাই। নূরানী ঝট করে আমার পিছনে লুকিয়ে উকি মেরে সামনে থাকা তছনছ ভাঙচুর গাড়িটা দেখছে। নূরানী ভয়ে চুপসে যেয়ে মৃদ্যূ কন্ঠে বলে উঠলো,
– আপা আপনের লগে জ্বিন আছে মনেহয়। নাইলে এই গাড়ি এট্টু আগে আপনেরে টক্কর দিতে লইছিলো এখন এইডা মোয়ার মতো ভাঙচুর করছে কে? জ্বিনেই করছে আপা।
আমি খুবই সর্তক দৃষ্টিতে ডানপাশ থেকে চোখ ঘুরিয়ে বামপাশে দেখছি। জ্বিন করবে বলে আমার বিশ্বাস হয়না। এইটা মানুষের কাজ! কে করেছে সেটাই ধরতে পারছিনা! ডানহাত এনে বুকের বাম পাশে রেখে চোখ দিয়ে এপাশ ওপাশ দেখেই যাচ্ছি। বুকটা কি ধরফর ধরফর করছে। কে আমাকে ফলো করছে? আমি নূরানীকে ছেড়ে গাড়িটার চর্তুপাশে ক্লু খোজার চেষ্টা করছি। যে এই গাড়িটা ভেঙেছে সে নিশ্চয়ই কোনো না কোনো ভুল করে কোনো ক্লু ছেড়েছে! বিধ্বস্ত গাড়িটার নিচে চেক করার জন্য আমি হাটু গুজে মাথা নুয়ে ফোনের ফ্ল্যাশ লাইট দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতেই হঠাৎ চাকার কাছে একটা কাঠের কি রিং দেখতে পেলাম। আমি আরেকটু চেষ্টা চালিয়ে হাত সম্পূর্ণ প্রসার করে চাকার কাছ থেকে কি রিংটা আনি। ওটা উল্টেপাল্টে চেক করতেই দেখি ছোট্ট কাঠের উপর ছাপিয়ে লিখা – ‘কমরেড পূর্ব’
-চলবে…………….
সম্পূর্ণ গল্পের লিংক
#FABIYAH_MOMO