আরেকটা_ভালোবাসার_গল্প
শুক্রবার। অফিস ছুটির এ দিনটায় বেশ বেলা করে ঘুম থেকে উঠা আমার পুরনো অভ্যেস। বরাবরের মতো সেদিনও মায়ের ক্রমাগত দরজা ধাক্কায় প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে বাথরুমে যেতে বাধ্য হলাম। শাওয়ার নিয়ে ভেজা তোয়ালেটা বারান্দায় রাখতে গিয়েই প্রচন্ড রকম একটা ঝাঁকুনি খেলাম।
আমাদের বাসার উল্টো পাশের মুখোমুখি ফ্ল্যাটের বারান্দায় ভয়াবহ রকমের সুন্দরী একটা মেয়ে দাড়িয়ে আছে, এ যেন সাক্ষাৎ অপ্সরী। আমার ঊর্ধ্বাঙ্গ তখনো নগ্ন, সাথে সাথেই তোয়ালের আড়ালে গিয়ে আড়চোখে মেয়েটার দিকে তাকাতেই হাফ ছেড়ে বাঁচলাম। না, মেয়েটার চোখ আমাদের বারান্দার দিকে নয়। নিঃশ্বাস বন্ধ করা অনুভূতি নিয়ে মেয়েটাকে লুকিয়ে দেখে যেতে লাগলাম।
দ্রুত রুমে ঢুকেই তাড়াহুড়ো করে জামা পড়ে পা টিপে টিপে আবারো বারান্দায় এসে তোয়ালেটাকে নাড়াচাড়া করছি আর মেয়েটাকে দেখে যাচ্ছি। যতোই দেখছি আর ততোই অবাক হচ্ছি, একটা মানুষ এতোটা সুন্দর কিভাবে হতে পারে!
এগার নম্বর সেক্টরের আমাদের এই আট নাম্বার রাস্তাটা বেশ চওড়া। রাস্তার ওপারের এই ফ্ল্যাটটা কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরে ফাঁকা ছিল। এতো সুন্দরী একটা মেয়ে এখন আমার রুমের ঠিক মুখোমুখি, প্রতিবেশী। মনে মনে সৃষ্টি কর্তার কাছে অনেক কৃতজ্ঞতা জানালাম। কেনো জানি মনে হল বিধাতা অনেকদিন পর আমার দিকে ফিরে তাকালেন। সেই থেকে এবার কিছু একটা হবে, এই ভাবনায় বিভোর।
আমি আসিফ, একটা বেসরকারি ব্যাংকে চাকুরী করছি, প্রায় বছর চারেক হতে চললো। আমার বাবা রিটায়ার্ড সরকারি চাকুরে, উত্তরা এগারতে আমাদের এই বাড়িটা বাবা বলতে গেলে নিজ হাতেই তৈরী করেছেন। নয় বছর হলো এই বাসাটায় আমরা মুভ করেছি। তবে আজ পযর্ন্ত উল্টো পাশের এই ফ্ল্যাটটায় কোন মেয়ে আমার চোখে পড়েনি। তবে নয় বছরের জমে থাকা আমার সব দুঃখ, আজ এই মেয়েটাকে দেখে এক নিমিষেই উধাও।
“লাভ এট ফার্স্ট সাইট” বলে একটা কথা আমার জানা আছে। কিন্তু সেটা যে আমার জীবনে এভাবে ঘটে যাবে, কখনোই চিন্তা করিনি। চকিত দেখার পরই মেয়েটির জন্য আমি বলতে গেলে একপ্রকার দিওয়ানা। মন সারাক্ষণ বারান্দাতেই পড়ে থাকে। সময় পেলেই বারান্দার আশেপাশেই ঘুরঘুর করি। উদ্দেশ্য মেয়েটার দৃষ্টি আকর্ষণ করা।
মাঝে মধ্যে কয়েক মুহূর্তের জন্য মেয়েটার দেখা মিললে, বুকটা শূন্য হয়ে আসে। পৃথিবীটাকে অদ্ভূত রকমের সুন্দর বলে মনে হয়। অচেনা ভালো লাগার অনুভূতি নিয়ে বিছানায় গড়াগড়ি খাই। ইদানিং হিন্দি সিনেমার গানগুলোতে থাকা নায়িকাদের সাথেও মেয়েটার বেশ মিল খুঁজে পাই। বলতে লজ্জা লাগলেও বলছি, আমি কিন্তু জীবনে প্রথমবারের মতো প্রেমেই পড়ে গেলাম।
আমার বাবা সাদেক আহমেদ, এক সময়ের কর বিভাগের জাদঁরেল কর্মকর্তা। বাবার কাছে ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে কেউ কখনো পার পায়নি, আমিও প্রেমে পড়ার বিষয়টি তার কাছে লুকিয়ে রাখতে পারলাম না। আমার মধ্যে হঠাৎই আসা বিরাট এই পরিবর্তন বাবা ধরে ফেললেন। খাবার টেবিলে বাবা যখন মায়ের সামনে বলে উঠলেন “আসিফ, তোমাকে ইদানিং খুব অন্যমনস্ক লাগছে।” আমি বাবার ইঙ্গিতটা ঠিকই ধরে ফেললাম। সেই সাথে মায়ের দেওয়া হাসিটাতেও বুঝে নিলাম, বাবা ও মায়ের পর্যবেক্ষণে আছি।
আমি যথেষ্ট স্বাভাবিক আছি, তারপরও অফিস কলিগ কিংবা রাজলক্ষীর সামনে বন্ধুদের আড্ডার প্রায় সবাই আমাকে নিয়ে এখন রীতিমতো মষ্করায়। সবার একটাই কথা আমি নাকি প্রেমে পড়েছি। বিব্রত এই আমি স্বাভাবিক ভাবেই উত্তর দেই “কই নাতো?”
এরপর টানা তিন সপ্তাহ অক্লান্ত চেষ্টার পর কোন এক মাহেন্দ্র ক্ষণে ব্যাটে বলে এক হলো। অপ্সরীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হলাম। যদিও মেয়েটা প্রথম দিকে বেশ অবাক ও সন্দেহজনক দৃষ্টি নিয়েই আমার দিকে তাকাতো। দূর থেকে হলেও আমি ঠিকই বুঝি, মেয়েটা আমাকে বাজিয়ে নিচ্ছে।
তবে ঐ যে সত্যিকারের প্রেম মেয়েরা ঠিকই বুঝে নেয়। এই মেয়েটিও কিন্তু এর ভিন্ন নয়, প্রায় মাস খানেক আমার ধৈর্য্য পরীক্ষা নিল। আমি চাতক পাখির মতো ওর জন্য বসে থাকি, মেয়েটা আমাকে সম্ভবত লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেও।
চোখাচোখি হয়ে গেলে আমার ইতস্ততা, ভালোবাসার আবোল তাবোল কাজ কারবারে মেয়েটার শুধুই হাসি! তাইতো যেদিন সন্ধ্যায় প্রথম আমাকে উদ্দেশ্য করে মেয়েটা হাত নেড়েছিল, আমার শুধু চারতলা থেকে লাফ দিতেই ইচ্ছা করেছিল। ভীষণ খুশিতে।
এরপরের চারটা সপ্তাহ যে আমার জীবনের জন্য কতোটা রোমাঞ্চকর ও উত্তেজনাপূর্ণ ছিল তা বলে বোঝানো যাবে না। নাম না জানা ভালোবাসার মানুষটিও আমাকে আস্তে আস্তে আপন করে নিল। দূর থেকে শুধুমাত্র ইশারা আর আকার ইঙ্গিতেই আমাদের দুজনের তুমুল প্রেম চলছে।
আমি অফিস থেকে দেরীতে বাসায় ফিরলে, মেয়েটা ভীষণ মন খারাপ করে থাকে। ওর সেই অভিমান ভাঙ্গাতে আমাকে ঘন্টার পর ঘন্টা ঠায় দাড়িয়ে থাকতে হয়। তারপর মাঝরাতের দিকে যখন আমার ভালোবাসার মানুষটি বারান্দায় এসে ইশারায় ঘুমুতে যেতে বলে। আমার বুকটা শূন্য হয়ে আসে, ভীষণ ভালোলাগার অনুভূতি নিয়ে তখন একটা ভাবনায়। এই মেয়েটাকে যে জীবনে খুবই দরকার।
আমার একমাত্র বড় বোন শায়লা, উত্তরারই বাসিন্দা। চার নাম্বার সেক্টরে আপুর বাসায় গিয়ে যখন বিয়ে করবো, পাত্রীও পছন্দের আছে জানালাম। আপু যেন আকাশ থেকে পড়লো। গত তিন বছরে বাসা থেকে অসংখ্য পাত্রী দেখা হয়েছে, আমার বিয়ে নিয়ে পুরো পরিবারই এখন রীতিমতো চিন্তিত। ঠিক এ সময়ে আমার পছন্দের পাত্রী আছে শুনে আপু কেনো সবাই একেবারে খুশিতে বাকবাকুম।
পাত্রী আমাদের বাসার উল্টো ফ্ল্যাটের বাসিন্দা, কথাটা শুনে দুলাভাইয়ের সে কি হাসাহাসি, বাবা মায়ের সামনেই। আমি লজ্জায় ড্রয়িং রুম থেকে একপ্রকার দৌড়েই নিজের রুমে চলে এলাম। বারান্দায় এসে দেখি আমার জান পাখিটা দাড়িয়ে, ইশারায় বউ আর বিয়ের কথা বলতেই পাখি লজ্জা পেয়ে ভো দৌড়। আর আমার বুকে কাঁপন ধরিয়ে দিয়ে।
আপুর সিদ্ধান্ত। যেহেতু মেয়ে আমাদের প্রতিবেশী, মা আর আপু পরিবারটার সাথে প্রথমে পরিচিত হতে ওদের বাসায় যাবে, ইনফরমালি। মেয়ে সম্পর্কে খোঁজ খবর নিয়ে, তবেই বিয়ের আনুষ্ঠানিক কথাবার্তা শুরু করার পারিবারিক সিদ্ধান্তটায় আমিও সায় দিলাম। আগামী শুক্রবার মা আর আপু আচমকাই ওদের বাসায় যাবে। কথাটা পাকাপাকি হওয়ার পর থেকেই ধুরু ধুরু বুকে আমার ক্ষণ গননা শুরু হয়ে গেলো। মা বোন যে ওদের বাসায় যাবে, এটা গোপন রাখলাম। জান পাখিকেও ইশারা বা আকারে ইংগিতে বুঝতে দেইনি।
এর মধ্যে একবার জানপাখি আর ওর মায়ের মুখোমুখি হয়েছিলাম, ওদের বাসার গেটের সামনে। রিকশার জন্য অপেক্ষারত আমার ভালোবাসার মানুষটিকে আচমকাই কয়েক হাত দূরত্বে দেখে আমার জ্ঞান হারানোর দশা। কাছ থেকে মেয়েটাকে আরো অনেক সুন্দর লাগছে। আর আমাকে সামনা সামনি দেখে সে ও অবাক। এরপর ওর দেওয়া মিষ্টি হাসিটা নিতে পারলাম না। হোচট খেয়ে রাস্তায় পড়ে যেতে যেতে এই আমি কোনভাবে নিজেকে সামলাতে পারলাম। এরপর খানিকটা লজ্জা ও পুরোপুরি ভালোবাসা নিয়ে দ্রুতই সটকে পড়লাম। আমি নিশ্চিত জানপাখি এখন হাসছে।
আমার রাতের ঘুম হারাম করে অবশেষে আজ সেই শুক্রবার, এই কয়েকটা দিনকে মনে হল যেন কয়েক বছর। আমার মা বোনদের ব্যবহারে আজ পযর্ন্ত কেউ অসন্তুষ্ট হয়নি। তাইতো আমার বিশ্বাস ওরা ঐ বাসা থেকে আজ আমার জন্য ভালো খবর নিয়েই আসবে।
বোনেরা পাত্রী দেখতে গিয়েছে, দুলাভাই আর বাবা টিভিতে ক্রিকেট খেলা দেখতে মত্ত। আমি আর টেনশন নিতে পারলাম না। রুম বন্ধ করে নামাজে দাড়িয়ে গেলাম। নামাজ শেষে লম্বা মোনাজাতে আমার একটাই চাওয়া ” হে আল্লাহ্ তুমি আমার জান পাখিকে আমার করে দাও।”
ঘন্টা দুয়েক পর কখন যে আপু আর মা বাসায় এসেছে টের পাইনি। আমি রুম থেকে বের হয়ে ড্রয়িং রুমে আসতেই বুঝলাম, অভিভাবকদের ইতোমধ্যে এক দফা মিটিং হয়ে গেছে। পিনপতন নীরবতায় সবার মুখ কালো করে বসে থাকতে দেখে আমার মনটা খুব খারাপ হয়ে গেল। এত কষ্ট শেষ কবে পেয়েছি, মনে করতে পারলাম না। আমি কিছুতেই বিশ্বাস করতে পারছি না মেয়েটা ম্যারেড বা এনগেজড। ওর সাথে এই কয়দিনে গড়ে উঠা এতো গভীর ভালোবাসা কি তাহলে মিছে!
বাসায় হঠাৎ নেমে আসা নীরবতাটাকে আমিই ভাঙ্গলাম। দুরু দুরু বুকে আপুকে জিজ্ঞেস করলাম। “আপু কি খবর আনলে?”
“সবকিছু ঠিক ছিল। মেয়েটার ফ্যামিলিও খুব ভালো। বাবা রিটায়ার্ড ডিপ্লোম্যট। সেই সূত্রে একমাত্র মেয়েকে নিয়ে বেশিরভাগ সময় ওদের বিদেশেই কেটেছে। এমনকি ইউকে থেকে মেয়েটা আন্ডার গ্রাজুয়েশনও করা।” আপুর কথাবার্তার মাথামুন্ডু কিছুই বুঝলাম না। তাইতো সমস্যাটা বোঝার জন্য আমিই আপুকে জিজ্ঞেস করলাম।
“মেয়েটা কি এনগেজড না অন্যত্র বিয়ে ঠিক হয়েছে?” খানিকটা উত্তেজনা নিয়ে উচ্চস্বরে আপুকে করা এই প্রশ্নটা আমার আচরণের সাথে বেমানান। তাইতো দুলাভাই আমার দিকে একটু অবাক দৃষ্টি দিয়ে বললো।
“আসিফ প্লিজ বসো।” আমি অবশ্য বসতে পারলাম না। দ্বিগুন উত্তেজনা নিয়ে আপুকে জিজ্ঞেস করলাম।
“সমস্যাটা কি?”
” না রুমানা এনগেজড নয়। মেয়েটা বাক প্রতিবন্ধী, জন্মের পর থেকেই কথা বলতে পারে না। তবে অসাধারণ গুনী একটা মেয়ে, ইকোনমিকসে গ্র্যাজুয়েট। ভালো ছবিও আকে। ওর বেশ কয়েকটা ইনডিভিজুয়াল আর্ট এক্সিবিশনও হয়েছে। আর সবচাইতে বড় কথা মেয়েটা পুরোটা সময় আমাদের সাথে ছিল, আন্তরিকতা নিয়েই। সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ আর ফোন অ্যাপে আমাদের সাথে কথাও বললো। আগামী মাসে ওর একটা আর্ট এগজিবিশন আছে অ্যাপ ভয়েসে আমাদেরকে নিমন্ত্রণও করলো। আহ পরীর মতো এমন একটা মেয়ে, কথা বলতে পারে না।” আপুর মন খারাপ করা দীর্ঘশ্বাস কিন্তু আমার মনটাকে একটুও খারাপ করেনি।
“তো?”
সুনশান নীরব রুমটায় আমার আচমকা করা প্রশ্নটায় সবাই অবাক হলো। রুমানার সাথে প্রায় দুমাস ধরে আমার নিয়মিত কমিউনেকশন হচ্ছে। আমি ওর সাইন বা বডি ল্যাঙ্গুয়েজ খুব ভালো বুঝি। আর প্রযুক্তির উন্নতিতে আমি নিশ্চিত কমিউনিকেশন দিনে দিনে আরো সহজ হয়ে উঠবে। তাইতো পরিবারকে আমার জোর সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলাম। আমি আমার ভালোবাসার মানুষ রুমানাকেই বিয়ে করবো। কিছুতেই ওকে হারাতে চাই না।
এরপর বাসায় বেশ কয়েকদিন সবাই চুপচাপ। আমি বুঝে শুনেই আমার সিদ্ধান্তে অটল। এরপর আমার পরিবার আমার মনোভাবটা বুঝে নেয়, একটা সময় পর আমার চাওয়াটাকেও মেনে নেয়।
এরপর দশ বছর আগে আজকের এই দিনে রুমানার সাথে আমার বিয়েটা জাকজমকের সাথেই হল। বিয়ের প্রতিটা অনুষ্ঠানে রুমানার উপস্হিতি সবার নজর কেড়েছিল। আত্মবিশ্বাসী রুমানা সবার সাথে কমিউনিকেটও করেছে সুন্দরভাবে। সবাই একবাক্যে রুমানার প্রশংসায় ভেসেছে।
আমাদের ম্যারেজ এনিভার্সেরির এক দশক পূর্তি উপলক্ষ্যে পরিবার, বন্ধু ও স্বজনদের নিয়ে উত্তরার একটা রেস্টুরেন্টে আজ সবাই মিলিত হয়েছি। অনেক ভীড়ের মধ্যেও রুমানা আজও দ্যূতি ছড়িয়ে আছে, ঠিক দশ বছর আগের মতো করেই। দূর থেকে আমার ভালোবাসার মানুষটিকে দেখছি আর ওর প্রতি অসীম কৃতজ্ঞতা অনুভব করছি।
গত দশ বছরে রুমানা বলতে গেলে একহাতেই স্বামী শ্বশুরের এই সংসারটাকে দেখে যাচ্ছে। সেই সাথে আমাদের আট আর ছয় বছরের দুই মেয়ে আরিশা আর নুসাইবার সব দ্বায়িত্ব রুমানার হাতেই। আমার বা বাচ্চাদের সাথে ওর কমিউনিকেশন স্বতস্ফুর্ত ও স্বাভাবিক। আর একটা কথা জানাচ্ছি সংসার কর্মের সাথে রুমানার পেইন্টিংটাও কিন্তু চলছে সমান তালে। রুমানাকে দেশের পেইন্টিং বোদ্ধারা সমীহ করে, ওর কিছু অসাধারন কাজের বদৌলতে।
আমাদের টক ঝাল মিষ্টির সংসারে মান অভিমান আর ঝগড়া ঝাটি থাকলেও ভালোবাসাটা কিন্তু হারিয়ে যায়নি এক মুহূর্তের জন্যও। সব মিলিয়ে আমার মতো সুখী মানুষ বোধ হয় খুব কম মানুষই আছে, দশ বছরের দ্রুত পর্যালোচনায় আজ আমার এই অনুভূতিটাই প্রবল।
আজকের এই বিশেষ দিনে আমার পরিবারের জন্য আপনাদের কাছে দোয়া/আশির্বাদ প্রার্থী। এ ভাবেই যেন রুমানার সাথে সারা জীবন পারি দিতে পারি, আমৃত্য। আর একটা কথা আপনাদের চুপি চুপি বলে যাচ্ছি, দুজন মানুষের মধ্যে ভালোবাসা থাকলে আর বাকি সব কিছুর প্রয়োজনীয়তা কিন্তু একেবারেই গৌন।
(শেষ।)