স্কুল পিকনিক থেকে মেয়েকে নিয়ে ফিরে বুঝতে পারলাম স্ত্রী পালিয়েছে।আলমারির টাকা,গহনা সব সাথে নিয়ে গেছে।
মেয়ের বয়স ৮।সৎ মা যদি কষ্ট দেয়!এই ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে করলাম না।
সময় কাটতে লাগলো।মেয়ের বয়স ১৭।আশেপাশে অনেক কিছুই পরিবর্তন হলো,সঙ্গে স্ত্রীর মন ও।সে ফিরে আসতে চায়।বিষয়টা নিয়ে একরাতে মেয়ের ঘরে গেলাম।
” বাবা, এখনো ঘুমাওনি? “
” একটু কথা ছিলো “
” ওই মহিলা ফিরে আসতে চায়,সে ব্যাপারে? “
” কি করবো বুঝতে পারছি না “
” না মানে না।কক্ষনো না।ওই মহিলাকে আনলে আমি এই বাড়িতে থাকবো না “
” মানুষ তো ভুল করেই,তাই না!একটা সুযোগ যদি পেতো,বোধহয় শুধরে যেত “
মেয়ে রেগে বললো ” এ কেমন ভালোবাসা! ওনার প্রতি তোমার রাগ হয় না?অন্য জনার সাথে ভেগে গেলো,এখন ফিরে আসতে চাচ্ছে তুমিও মাফ করে দিবা? “
আর কথা বাড়ালাম না।বেড়িয়ে আসলাম।মেয়ে ঘর থেকে চেঁচিয়ে বললো ” যা ইচ্ছে করো।একটা কথা আছে না,প্রেমের ম”রা জলে ডুবে না।তোমার হইছে সে অবস্থা।আমার কথা কেন শুনবা,আমি তে এ বাড়ির তো কেউ না।আর বাড়িটাও আমার না “
জানি উচিত না।তবুও, মন তো মানে না।ভালোবাসলে যে কোনো দোষই চোখে পড়তে চায় না।তবে মেয়ের শেষ কথাটায় ভিষণ আ”হত হলাম।কে বলেছে এই বাড়ি ওর না?
পরেরদিনই বাড়ির সামনে নেমপ্লেটে লিখে দিলাম ” মেয়ের বাড়ি “।বিয়ে হলেও এই বাড়িটা মেয়েরই থাকবে।একান্ত আশ্রয়স্থল।
একদিন মেয়ে আমার হাত ধরে বললো ” আমি সারাদিন কলেজ প্রাইভেট নিয়ে ব্যস্ত থাকি।তোমার একজন সঙ্গী প্রয়োজন।তুমি চাইলে বিয়ে করতে পারো,যাকে ভালোবাসতে তাকেও করতে পারো।মানা করবো না “
বুঝলাম,মেয়েও কারো প্রেমে পড়েছে, ভালোবাসে।তাইতো ভালোবাসার মানুষটাকে হারানোর কষ্ট,সাথে ফেরত পাওয়ার খুশিটাও বুঝতে শিখেছে।
গল্প পাওয়া না পাওয়া
লেখক #জয়ন্ত_কুমার_জয়
সামাজিক রোমান্টিক গল্প পেতে পেজটা ফলো করে রাখতে পারেন।এইটা লেখকের নিজস্ব পেজ