পাত্রী দেখতে গিয়ে আমরা রীতিমতো হতবাক।যাকে দেখতে গিয়েছি সেই মেয়ে কোমরে শাড়ি গুঁজে আম গাছে উঠে আম পাড়ছে।যে মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা চলছে,সে মনের সুখে গাছে গাছে চড়ে আম-জাম পেড়ে বেড়াচ্ছে!ভাবা যায়?
আমরা এই পরিস্থিতিতে যতটা বিস্মিত,তারচেয়ে মেয়ের মা বেশি বিব্রত এবং লজ্জিত।কিন্তু যাকে নিয়ে এই পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে,সে মোটামুটি নির্বিকার!
যে ছেলের সাথে তার বিয়ের কথাবার্তা অনেকদূর এগিয়েছে,বলা চলে বিয়েও প্রায় নিশ্চিত,সেই ছেলে নিজে এবং সাথে দুজন অবিভাবক নিয়ে এসে দেখলো মেয়ে গাছের মগডালে,তা নিয়ে মেয়েটা মোটেও বিচলিত না,বরং মার কড়া ধমক খেয়ে তাড়াহুড়ো করে গাছ থেকে নামতে গিয়ে টিনের স্ক্রুতে বেধে শাড়ির আঁচল সামান্য ছিড়ে গেছে,এই নিয়ে সে খুবই দুঃখিত এবং ব্যথিত।
বড়ো খালু বিরক্তিতে ফোস ফোস করছে।সম্ভবত মনে মনে নিজেকে নিজেই গালি দিচ্ছে যে,এইরকম একটা কাজে আসার মতো এতো মারাত্মক একটা ভুল তার মতো হিসেবি মানুষ করলো কিভাবে?
আমার এই খালু খুলনা পাইনিয়র কলেজের অংকের শিক্ষক।জীবনের প্রতিটি কাজই সে অংকের মতো হিসেব করে করে।উনিশ থেকে বিশ হলে তার মেজাজ বিগড়ে যায়।সেখানে বিয়ের কন্যা গাছে উঠে বসে আছে!এ তো শুধু উনিশ – বিশ না, ‘মাইনাস উনিশ’ -বিশ।খালু রাগে গজগজ করতে করতেই দুলাভাইকে বললো ; জামাই ফিরে চলো।ঘরে ঢুকে কাজ নেই।
মেয়ে দেখতে এসেছি আমরা তিনজন।আমি,দুলাভাই আর বড়ো খালু।এর আগে অন্যরা একবার এসে দেখে গেছে।আজ মোটামুটি ফাইনাল দেখাদেখি।আমাদের পরিবারে বড়ো খালু অনেক গুরুত্বপূর্ণ একজন ব্যক্তি।আব্বা- মা দুজনেই তার মতামতকে প্রাধান্য দেয় সবসময়।
দুলাভাই বললেন; খালু, এতদূর এসেছি যখন আরেকটু দেখেই যাই।কথাবার্তা বলি।আর তাছাড়া এতো পরিমাণ মিষ্টি-মুষ্টি নিয়ে এসেছি,এগুলোরই বা কী হবে ফিরে গেলে?সবচেয়ে বড়ো কথা,এভাবে চলে গেলে গ্রামে ব্যাপারটা জানাজানি হবে।ঘটনা কানাকানি হতে হতে “ক” থেকে “কলিকাতায়” রূপ নিবে।মেয়ে পক্ষ খুব বিপদে পড়ে যাবে।এই কথায় খালুকে কিছুটা নরম হতে দেখা গেলো।কিন্তু রাগ পড়লো না মোটেও।
দুলাভাই আমার খুব পছন্দের একজন মানুষ।শুধু আমার না,আমাদের বাড়ির সবাই তাকে খুব পছন্দ করে।মজার মানুষ।খুব গুছিয়ে কথা বলে লোকটা।কিছু না বলে-কয়ে পাত্রী দেখতে আসার বুদ্ধিটাও তার মাথা থেকেই আসা।
আমি আর বুবু আপত্তি করেছিলাম,কিন্তু দুলাভাই বললো আগেভাগে বলেকয়ে গেলে ওরা আপ্যায়নের জন্য অনেক জোগাড়যন্ত্র করবে।গরীব মানুষ,কী দরকার শুধু শুধু খরচ করাবার?আরেকটা কথা,জানান দিয়ে গেলে ওরা সবকিছু গোছগাছ করে মেয়ে সাজিয়ে পটের বিবি করে রাখবে।তারচেয়ে আমরা গিয়ে ওরা যা,তাই দেখবো।মানুষ চেনা যায় তার স্বাভাবিক অবস্থায়।
আমি দেখলাম কথায় যুক্তি আছে।খালুসহ আব্বাও রাজি হলো।মা আর বুবু তারপরও বলেছিলো,তবুও একটু প্রস্তুতির দরকার আছে।একবারে না জানিয়ে গেলে কেমন দেখায়?খালু হুংকার দিয়ে বললো,আমরা কি কাজী সাথে করে নিয়ে বিয়ে পড়াতে যাচ্ছি,যে বলে কয়ে না গেলেই না?এতে তারা দুইজনই মিইয়ে গেলো।
আমাদেরকে যে ঘরটাতে বসতে দেয়া হয়েছে,সেই ঘরটা অনেক গোছানো,পরিপাটি,সুন্দর।একটা চকি,তার উপর নকশা করা শীতলপাটি বিছানো।কাঠের একটা টেবিল আর তিনটা চেয়ার।চেয়ারগুলায় কভার লাগানো।তাতেও ফুল,ফল আর পাতা-লতার নকশা করা।
এরা পয়সাপাতির দিক থেকে কিছুটা গরীব,তবে রুচিশীলতায় অনেক উন্নত।এই ব্যাপারটা টের পেলাম এদের ঘরদোর দেখে বিশেষ করে বিদায় বেলায় বীণার মার কথাবার্তার ধরন শুনে।
ও হ্যাঁ,বলতে ভুলে গেছি।যে মেয়েটাকে আমরা দেখতে এসেছি,তার নাম বীণা।নামটা যেমন সুন্দর,মেয়েটা তারচেয়েও সুন্দর।ওর আর কোনো ভাইবোন নেই।বাবার ছোট্ট মুদি দোকান,মা পুরোদস্তুর গৃহিণী।ছোটো আরেকটা ভাই ছিলো ওর,সে কয়েক বছর আগে পানিতে ডুবে মারা গেছে।তার নাম ছিলো অয়ন।বীনা তাকে মিংকু বলে ডাকতো।
আমি বসেছি একটা চেয়ারে।দুলাভাই আর খালু বসেছে খাটে পা তুলে আরাম করে।বীণার মা খুব গোছানো মানুষ।একটু সময়ের মধ্যে পাশের বাড়ির এক বুড়ো ভদ্রলোককে ডেকে আমাদের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে হোস্ট হিসেবে রেখে অন্য একজনকে পাঠিয়ে দিলো বীণার বাবাকে দোকানে থেকে ডেকে আনার জন্য।
প্রতিবেশি এক ভাবি এসে বীণাকে হাত মুখ ধুইয়ে দিচ্ছে পুকুর ঘাটলায় বসিয়ে।সাজগোজ করাবে সম্ভবত এই মহিলাই।বাতাসে জানালার পর্দা সামান্য ফাঁকা হচ্ছে বারবার। আমি সেখান থেকে তার কাণ্ডকারখানা পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি।
উঠোন লাগোয়া ছোট্ট একটা পুকুর।বাঁশ আর কাঠ দিয়ে সেখানে সুন্দর একটা সিড়ি বানানো।পুকুর পাড়ে লম্বা করে পুইশাকের মাচা দেয়া।পুইশাকের ডগাগুলো যেন বীণার আঙুলের মতোই লকলক করছে।
এরমধ্যে আমি মেয়েটার আঙুল দেখে ফেলেছি।আমরা ঘরে এসে বসার পর ও লুকিয়ে লুকিয়ে আমাদেরকে দেখতে এসেছিলো।দরজার চৌকাঠ ধরে পর্দার ওপাশে দাঁড়িয়ে উঁকি দিয়ে যখন দেখছিলো তখন তার হাত যে পর্দার এপাশে চলে এসেছে,তা আর খেয়াল করেনি।
বীণার বা হাতে একটা স্টিলের বাটি।সেখানে কয়টা আম আর সম্ভবত জাম।ভাবী গোছের ওই মহিলা ওর ডান হাতে সাবান ডলে দিচ্ছে।আর মেয়েটা মনের সুখে পানিতে পা দাপাচ্ছে।সেখান থেকে পানি ছিটে ছিটে বৃষ্টির মতো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিকে।কী যে অপরূপ দৃশ্য!আমার কাছে মনে হলো,আমি বীণাকে না,পল্লী কবি জসিমউদদীনের কবিতার জীবন্ত রূপকল্প দেখছি।
চা নাশতা দেওয়া হলো।আয়োজন খুবই চমৎকার।লেবুর শরবত,বেলের শরবত,নারকেল আর গুড় দিয়ে বালাম চালের মোটা মুড়ি মাখা,ঝোলা গুড় দিয়ে বানানো মুড়ির মোয়া,ঝাল-পেঁয়াজ দিয়ে চিড়া ভাজা,ডিম অমলেট।এছাড়া ফলের মধ্যে আম,কাঁঠাল,লিচু আর জামরুল।সবই এদের গাছের ফ্রেশ ফল আর আমাদের আনা দৈ-মিষ্টি।
নাশতার শেষ দিকে বীণা পান-শুপারি নিয়ে ঘরে ঢুকলো।এই পর্যায়ে একটা মজার ব্যাপার হলো।ঢোকার সময় দরজার চৌকাঠে উষ্ট্রা খেয়ে কিছু পান আর চুনের কৌটাটা নিচে পড়লো।ছোটো ছোটো করে কাটা সুপারির অনেকগুলো পড়লো খালুর কোলের উপর।এরমধ্যে কয় পিস পাঞ্জাবীর কলারের পিছন দিক দিয়ে পিঠের দিকে চলে গেলো।
দুলাভাই বললো; খালু,দাঁড়িয়ে ঝাড়া দিন,পড়ে যাবে।খালু দাঁড়ালো না।ঝাড়াও দিলেন না।ফলে কিছুক্ষণ পর থেকেই তার অস্বস্তি লাগা শুরু হলো।ফলে ক্ষুদেচত্রা লাগা মানুষের মতো অবস্থা হলো তার।খালি মোচড়ামুচড়ি করে,কিন্তু ইগোর কারণে আর দাঁড়িয়ে ঝাড়া দিতে পারে না বেচারা।
মেয়েটার আরো কয়েকটা ব্যাপার লক্ষ্য করলাম এই অল্প সময়ে।যেমন, হোচট খাওয়া নিয়ে সে তেমন বিব্রত না।ভাবটা এমন যে,হোচট সে ইচ্ছা করে খায়নি।যে কাজের পিছনে তার হাত নেই,সে কাজে লজ্জা পাওয়ার কিছু নেই।
হ্যান্ড পেইন্টেড একটা সাদা শাড়ি পরে এসেছে বীণা।পাড় আর আঁচলে পাতাসহ পদ্মফুল আঁকানো।চোখে গাড়ো করে কাজল দেয়া।এতো চমৎকার লাগছে মেয়েটাকে!মনে হচ্ছে আমি একটা মেয়েকে না,খুলনার তেরখাদার পদ্মবিলে ফুটে থাকা একটা পদ্মফুল দেখছি।কিছুক্ষণ আগে বৃষ্টি হয়েছে,বৃষ্টির স্নিগ্ধতা মাখানো পানির ছিটে ফোটা এখনো সেই ফুলের পাপড়িতে লেগে আছে।
নাশতা-যজ্ঞে তখনো আমরা ফল ফ্রুটস খাওয়া শুরু করিনি।দুলাভাই কাঁঠালের প্লেটটা বীণার দিকে এগিয়ে দিয়ে বললো,নাও কাঁঠাল খাও।সে নিঃসংকোচে কাঁঠাল নিলো।হাতে নিয়ে বসে থাকলো না,স্বাভাবিকভাবেই খাওয়া শুরু করলো।
কাঠবিড়ালির মতো চিকন করে চিরে চিরে কাঁঠাল খেলো আপন মনে।এর আগে কখনো এভাবে আমি কাউকে কাঁঠাল খেতে দেখিনি।আমি এমনিতে কাঁঠাল তেমন খাই না।কিন্তু এই মেয়েটার খাওয়া দেখে মনে হলো রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন করে এদেশের প্রতিটা নাগরিকের জন্য কাঁঠাল খাওয়া বাধ্যতামূলক করা উচিত।
দুলাভাই আমাকে টেবিলের তল দিয়ে পায়ে খোঁচা না দিলে আরো কতক্ষণ যে ওর দিকে তাকিয়ে থাকতাম কে জানে?দুলাভাই কানের কাছে মুখ এনে ফিসফিস করে বললো,এভাবে তাকিয়ে থেকো না।নজর লেগে পাছে পেট ফুলবে বেচারির।
মনে মনে বললাম,এই মেয়েটাকে যদি নিজের করে পাই তাহলে ওর কোনো এক জন্মদিনে বাজারের সবগুলো কাঁঠাল কিনে এনে দিয়ে বলবো,সবগুলো শেষ না হওয়া অব্দি কাঁঠাল খেতে থাকো।আমি দুচোখ ভরে দেখি।জন্মদিন আম কাঁঠালের সিজনে কি না,কে জানে!
নাশতা পর্ব শেষ হলে খালু কিছু প্রশ্ন করলো বীণাকে।কিসে পড়ে,কী কী রান্না জানে,কোরআন শরীফ পড়তে জানে কি না,এইসব।এরমধ্যে তার বিখ্যাত পীথাগোরাসের উপপাদ্যের প্রশ্নটাও করে ফেললো এক ফাঁকে।এই প্রশ্নটা ছাড়া বাকি সবগুলোর উত্তরই মেয়েটা বেশ সাবলীলভাবে দিলো।এই প্রশ্নের উত্তরও দিতে পারতো,আমার ধারণা তার মনটা এখনো টিনের চাল লাগোয়া আম গাছটার মগডালেই পড়ে আছে।
প্রশ্ন শেষে খালু তার হাতে দশ টাকার নতুন নোটের একটা বান্ডেল দিলো।সেখানে মোট এক হাজার টাকা।মেয়েটা টাকার বান্ডেলটা নিয়েই নাকের কাছে ধরে নতুন টাকার ঘ্রাণ শুকলো।নতুন বই আর নতুন টাকায় একটা অদ্ভুত ঘ্রাণ থাকে,এই তথ্যও মেয়েটা জানে।
আমি ছোটবেলা থেকে শহরে মানুষ হয়েছি।পরিচিত অপরিচিত শহুরে মানুষের আধুনিকতা,ফ্যাশন সচেতনতা,আধুনিক প্রসাধনী,গর্জিয়াস জুয়েলারি এইসবের ভীড়ে আমি যেন একটা ময়নাপাখিই দেখলাম।যার বাসা গাছের ডালে ডালে।সে যেন মেকি,ভান,লৌকিকতা মুক্ত প্রচুর জীবনীশক্তিতে ভরপুর এবং সতেজ একটা পুইশাকের লকলকে ডগা।
আমার মনের ভেতরবাড়ি থেকে অন্তরাত্মা বলে উঠলো,মেয়েটার সাথে গাছের ডালে ডালে,বনে বাদাড়ে ঘুরে ছোট্ট এই জীবনটা কাটিয়ে দিতে পারলে মন্দ হতো না।
বিদায়ের সময় বীণার মার কথায় চমকে উঠলাম।যদিও বিনা নোটিশে আসার পরও এমন আতিথেয়তা,রুচিশীলতাসহ প্রায় সবকিছুই ছিলো চোখে পড়ার মতো।ভদ্রমহিলা বললেন,আপনারা এতো কষ্ট করে এলেন আমাদের বাড়ি,কিন্তু সেইভাবে সমাদর করতে পারলাম না।এইটা ক্ষমাসুন্দর চোখে দেখবেন।
আপনারা আমাদের বাড়ি এসে শুরুতেই যে পরিস্থিতির মুখমুখি হয়েছেন,তা শুধু আপনারাই না,কোনো পাত্র পক্ষের জন্য দৃষ্টিনন্দন কিছু না।সুতরাং আপনারা নিঃসংকোচে যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।আমরা আপনাদের বাড়িতে গিয়েছি,আপনারা এসেছেন কয়েকবার,এর কোনো কিছুই যেন সেই স্বাধীন সিদ্ধান্তে প্রভাব বিস্তার করতে না পারে।
বাড়ি আসলে বুবু জিজ্ঞেস করলো,কেমন দেখলি মেয়েটাকে?আমি বললাম পল্লী কবি জসিম উদ্দিনের নকশিকাঁথার মাঠ পেরিয়ে সেজন বাদিয়ার ঘাট থেকে একটা ডিঙি নৌকা করে পদ্মবিলে গিয়ে বৃষ্টি ভেজা একটা কবিতার রূপকল্প দেখে এলাম।মা আর বুবু বললো আলহামদুলিল্লাহ।
এরা সবাই আগে একবার দেখেছে।সবারই পছন্দ।বাকি ছিলো আমার দেখা।আমি আগেই বলেছিলাম বুবু-দুলাভাই পছন্দ করলেই হবে,আমার দেখা লাগবে না।বুবু আর দুলাভাই-ই শুধু না,সবারই পছন্দ হয়েছে মেয়েটাকে।মা পছন্দ করেছে সবচেয়ে বেশি।
বাড়ি এসে কাপড়চোপড় ছেড়ে সহসাই আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম।চিল্লাপাল্লার শব্দে ঘুম ভাঙলো।খালু চিৎকার করছে,গাছে গাছে চড়ে বেড়ানো একটা বান্দর মেয়েকে তোমাদের এতো পছন্দ হয় কিভাবে,আমার তো মাথায়ই ধরে না।
মা বললো;দুলাভাই,গ্রামের একটা মেয়ে বাড়ির উঠোনের গাছে উঠলেই সে বান্দর হয়ে যায় না।এটা নিতান্তই একটা আপেক্ষিক বিষয়।আমাদের জেসমিন স্কুটি চালায়।এখন এইটাকে যদি একজন গ্রামের মানুষ অন্যভাবে দেখে,তাহলে সেই দৃষ্টিভঙ্গির যেমন কোনো যৌক্তিকতা নেই,তেমন অজপাড়াগাঁর একটা মেয়ে গাছে উঠলেই তাকে বান্দর বলা যায় না।উল্লেখ্য,জেসমিন আমার বড়ো খালা খালুর ছোটো মেয়ে।
খালুর কথার পিঠে মা এমন শক্তিশালী একটা কাউন্টার দিবে, খালু ঘুণাক্ষরেও তা কল্পনা করেনি।অনেক কষ্টে সে নিজেকে সামলে নিয়ে বললো,এই বিয়েটা হলে তাকে যেন কোনভাবেই তাতে না জড়ানো হয়।শুধু এই বিয়েতেই না,ভবিষ্যতে এই বাড়ির অন্য কোনো আচার অনুষ্ঠানেও যেন না ডাকা হয়।এই বলেই সে ঘর থেকে বেরিয়ে গেলো।
পদ্মপরী
S Tarik Bappy
পপদ্মকুঞ্জ,সোনাখালী,
ফকিরহাট, বাগেরহাট।