ফেসবুকে ঢুকে দেখি আব্বা লাইভে আসছে। ভিডিও ওপেন করে দেখি সর্বনাশ অবস্থা। তাড়াতাড়ি দৌড়ে গেলাম আব্বার রুমে।বাথরুমের দরজা ধাক্কা দিয়ে বললাম, আব্বা বাথরুমের দরজা খুলেন।
– রিফাত দেখতেছ না, আমি ভিতরে। দরজা ধাক্কা দেও কেন?
~আব্বা আপনি বাথরুমে ফোন নিয়ে ঢুকছেন কেন?
– কেন? কি হইছে তাতে? সময় কাটে না,তাই ফোন নিয়ে ঢুকছি।
~আপনি তো ফেসবুকে লাইভে আব্বা। আব্বা আপনি তাড়াতাড়ি ফোন বন্ধ করেন । মানুষ দেখলে কি বলবে আব্বা?
– ও কও কি? এটা বন্ধ করমু কিভাবে?
~ আব্বা, আপনি ফোন বন্ধ করে ফেলেন। তাহলে সব বন্ধ হয়ে যাবে।
– তুমি জানো না, আমার ফোনের পাওয়ার বাটন নষ্ট। ফোন বন্ধ করা যায় না।
~ আব্বা তাইলে আপনি ওয়াইফাই অফ করে দেন।
– রিফাত আমি ফোনে গেম অফ থ্রোনস ডাউনলোড দিচ্ছি। ওয়াইফাই অফ করা যাবে না।
~ আব্বা, আপনার পা ধরি। মানসম্মান বলে একটা বস্তু আছে। সেটা তো অক্ষত রাখেন।
– রিফাত, কে যেন হা হা দিছে।
~ আব্বা,আপনি লাভ রিএক্ট দেওয়ার মতো লাইভ দেখাচ্ছেন না।
– রিফাত, আমি কি লাইভে গান গাবো এখন?
~ আব্বা,প্লিজ থামেন এবার। ফেসবুকে বাথরুমে থেকে লাইভে গান গাইলে আইডি ব্যান করা হয়। আপনি জানেন না। জুকার মামার বাপ আছিল বাথরুম সিঙ্গার। তার বাপের প্রতি শ্রদ্ধা থেকে এই ডিসিশন নেওয়া হয়েছে। আব্বা আপনি বের হন।
– রিফাত, তুমি জানো না৷ আমাদের বংশে কোষ্ঠকাঠিন্য আছে। আরো সময় লাগবে।
~ ঠিক আছে। আমি আম্মাকে গিয়ে সব বলতেছি দাঁড়ান।
– যাস না বাপ তোর মায়ের কাছে। এর আগের আইডিটা তোর মায়ের জন্য গেছে। লাস্ট মোমেন্টে আছি। একটু দাঁড়া।
~ আব্বা, তাড়াতাড়ি।
অবশেষে আব্বা, বাথরুমে থেকে বের হতে পেরেছে।
~আব্বা, এবার তাড়াতাড়ি পোস্ট দেন।
– কি পোস্ট দিমু?
~ পোস্ট দেন, “বন্ধুরা আইডি হ্যাক হয়েছিল। আবার ফিরে পেলাম। আশাকরি পাশেই থাকবেন”।
– ঐ মিছা কথা কমু কেন?
~ আব্বা ফেসবুকে এটাই নিয়ম। উল্টাপাল্টা কিছু করলে এটাই লিখতে হয়।
অবশেষে আব্বা পোস্ট দিয়েছে। বন্ধুরা কিছুক্ষণ আগে আমার আইডি হ্যাক হয়েছিল। আশাকরি আপনার যা দেখছেন সেসব বিশ্বাস করবেন না।
আমাদের সকল হাসির গল্প এখানে