কোটিপতি বাবা টাকা কম দেওয়াতে, জন্মদিনে তার ছেলে তূর্য বন্ধুদের নিয়ে ফাইভ স্টার হোটেল শেরাটনের বদলে থ্রি স্টার হোটেল পূর্বানীতে ডিনার করে !! বাবা জন্মদিন উপলক্ষে টাকা কম দেওয়াতে তার মনে অনেক দুঃখ, ফাইভ স্টার হোটেলে পার্টি করতে না পারায় বন্ধুদের কাছে তার প্রেস্টিজ কমে গেছে।
নিশিতা চেয়েছিল তার ভালোবাসার বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বন্ধুদেরকে কেএফসিতে ট্রীট দিবে! মার থেকে টাকা খসাতে না পারায়, সে বান্ধবীদের শুধু হাজীর বিরিয়ানি দিয়েই কাজ চালায়। নিশিতার মনও খুবই খারাপ, সে সবাইকে কেএফসিতে মুরগীর রান খাইয়ে নিজের সম্মান রক্ষা করতে না পারায়!
বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া যুবক সুমন চেয়েছিল, দুপুরে হোটেল থেকে ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেয়ে টিউশনিতে যাবে। কিন্তু পকেটে টাকা কম থাকায় সে ডিমের তরকারি দিয়ে ভাত খেতে পারে না। শুধু কলা আর এক পিস পাউরুটি খেয়েই টিউশনিতে যায়। একটা আস্ত ডিম দিয়ে দেড় প্লেট ভাত খেতে না পারায় তার মনও খুব খারাপ।
আর ফুটপাথের ছেলে রাজু চেয়েছিলো দুইটা টোস্ট বিস্কুট আর রেল ষ্টেশনের বেসিনের কলের পানি খেয়ে রাতে স্টেশনে ঘুমাবে। কিন্তু গরীবের কপাল বলে কথা, রেলের পুলিশের মাইর থেকে বাচতে গিয়ে যে দৌড় দিয়েছে, সেই দৌড়ের কারনে পকেটের দুইটা ৫ টাকার কয়েন হারিয়ে গেছে। তাই সে আর টোস্ট বিস্কুট কিনতে পারে নি। শুধু পানি খেয়েই ঘুমানোর চেষ্টা করে। তারও মন খারাপ, দুইটা শক্ত টোস্ট বিস্কুট খেতে না পারার জন্য!
এদিকে যা বলেছি বা লেখেছি তা মোটেই মিথ্যা বা ফাও না। এই ৪ টা ঘটনাই আমি আমার জীবনের কোন না কোন পর্যায়ে নিজের চোখের সামনে দেখে এসেছি, অনুভব করেছি। একেবারে বাস্তব ঘটনা।
এবার আপনি চিন্তা করেন তো, ঠিক কোন কারনে আপনার মন খারাপ হয়, কেন আপনার মনে হয় আপনি খারাপ আছেন? আসেন এই ব্যাপার নিয়ে একটু ভাবি। আমি কিছুই বলবো না, শুধু এটুকুই বলছি, নিজের উপড় মন খারাপ বা অভিমান করা বা নিজের ভাগ্যকে দোষারোপ করার আগে একটু আশেপাশে দেখেন, দেখবেন মনতো খারাপ হবেই না উলটো ভালো হয়ে গেছে। কারণ তখন স্পষ্ট বুঝতে পারবেন, আপনি আমি কত শত শত মানুষ থেকে, শতগুনে ভালো আছি!
কষ্ট
বিল্লাল হোসাইন
টোকিও, জাপান।