#কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প
“According to The Journal of Couples & Relationship Therapy, about 45-55% of married women and 50-60% of married men engage in extramarital sex at some time or another during their relationship.” Cyber-Sex: The New Affair Treatment Considerations. 2002
” আমার হাসবেন্ড বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহিলার সাথে শারীরিক ভাবে ঘনিষ্ঠ হয়. এখনো তিন জনের সাথে তার ওপেন রিলেশনশিপ চলছে। বাসায় প্রচন্ড মেজাজ করে। ওর বয়স ৪৫, আমাদের দুটো বাচ্চা আছে। আমি বহুবার ওর সাথে কথা বলেছি কিন্তু কোন লাভ হয়নি। ওর কাউন্সেলিং করলে কি আবার সে সংসারে ফিরে আসবে?” ভদ্রমহিলার বয়স ৪৪, মার্জিত, অভিজাত চেহারা। স্বামী-স্ত্রী উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। এই দম্পতি প্রাক্তন সহপাঠী এবং বর্তমান সহকর্মী।
” আপনি ঠিক কি চাচ্ছেন আমার কাছে?” ভদ্রমহিলার চোখে চোখ রাখলাম।
উদভ্রান্তের মত তিনি আমার দিকে একটু ঝুঁকে এলেন, ” আমি ওকে ফেরত আনতে পারব না? আমি কি করলে ও আবার আমাদের কাছে ফেরত আসবে? আমি ওকে ছাড়া থাকতে পারি না। কাউন্সেলিং করলে ফেরত আসবে না?”
মনে হল একটা তীর বেঁধা পাখি থির থির করে কাঁপছে। ইচ্ছে করছিল বুকে জড়িয়ে ধরি। কিন্তু মনস্তত্ত্ব আমাকে শিখিয়েছে স্পর্শ কখনো কখনো ব্যাক ফায়ার করতে পারে।
আমি ভদ্রমহিলার হাতের উপর আলতো করে ডান হাতটা রাখলাম। ঝর ঝর করে মুক্তার মত অশ্রুবিন্দু আমার হাতের উল্টোপিঠ গড়িয়ে পড়তে লাগল।
বেশ কিছুক্ষণ স্তব্ধ মুহূর্ত কাটলো। তারপর ধীরে ধীরে বললাম, ” আমরা বলি, অন্যকে বদলানো যায় না, শুধু নিজেকে বদলানো যায়। এখানে যেহেতু আপনার স্বামী উপস্থিত নেই। কাজেই তাকে বদলাবো এই চুক্তিতে কাজ হবে না। আপনি নিজে যদি বদলাতে চান, তাহলে আমরা কাজ করতে পারি একসাথে।”
” আমি বদলালেও আমার কাছে ফেরত আসবে না?” অদ্ভুত করুণ আকুতি ভদ্র মহিলার গলায়।
মাথা কাত করে ওনার চোখের দিকে চোখ রেখে বললাম, ” কতটুকু বদলাবেন? বিয়ে একটা চুক্তি যেখানে আপনি ৫০% আর আপনার স্বামী ৫০% এর যৌথ অংশীদার। কাজেই আপনি নিজেকে সম্পূর্ণ বদলালেও এই চুক্তিতে কার্যকর ভূমিকা রাখবেন মাত্র অর্ধেক। একটা চাকা চলবে আরেকটা চলবে না এই শর্তে কি সাইকেল আগাবে?”
ভদ্রমহিলা স্তিমিত বোবাদৃষ্টিতে আমার দিকে
তাকিয়ে থাকলেন।
” কিছুই কি করার নেই?” হাহাকার ফুটল ভদ্রমহিলার গলায়।
” হয়তো ভাবছেন কিন্তু তার জন্য ওনার ভাবনাটা জানা প্রয়োজন, কারণ এই বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানের উনি একজন শেয়ার হোল্ডার। উনি কী ফিল করছেন?”
” ওর সাথে কথা বলাই যায় না। আমাদের বিয়ে হয়েছে ৯ বছর। বিয়ের পর থেকেই এরকম। কথায় কথায় বলে চলে যাও। তোমাকে আমার পছন্দ না। গায়ে হাত তুলে। আগে তাও বা একটু মিথ্যা কথা বলে লুকানোর চেষ্টা করত। এখন তো আর গোপন কিছুই নাই। সব ওপেন। চক্ষুলজ্জাও উঠে গেছে। স্পষ্ট বলছে মেনে নিতে পারলে থাকবো না হলে যাও।”
” আপনি কোন চিন্তাটা থেকে ওনার সাথে আছেন?” জানতে চাইলাম।
” আমার মনে হয়েছে আমি আমার পোস্ট গ্রাজুয়েশন নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে ওকে ঠিকমতো সময় দিতে পারিনি। তাই ওর জীবনে অন্য মহিলা এসেছে। এটা আমার দোষ, তাই এর প্রায়শ্চিত্ত করতে হবে আমাকেই। কারণ আমরা যখন বিয়ে করি তখন তো দুইজনেরই ভালোবাসা ছিল। আমি ওকে দায়িত্ব নিয়ে প্রপোজ করি। তারমানে ওর জীবনেও আশাভঙ্গের পেছনে আমিই দায়ী!” ভদ্রমহিলা বললেন।
” এই অন্য মহিলাকে নির্দিষ্ট একজন?” প্রশ্ন করলাম।
” না। একই সময় বহু জন। আমি বিভিন্ন সময় ওর পকেটে কনডম পেয়েছি। বিভিন্ন হোটেলের বিল ক্রেডিট কার্ডে দেখেছি।”
” আপনার ওনার সাথে থাকতে যাওয়ার পেছনে মাথায় কি কাজ করে?” আমি আবার জানতে চাইলাম।
” আমি যদি ঠিকমতো পোস্ট গ্রাজুয়েশন এর সময় ওকে সঙ্গ দিতাম, ঠিক মত রান্না করতাম, সুন্দর করে সাজতে পারতাম, গল্প করতে পারতাম তাইলে হয়তো ও চলে যেত না। আমি দিতে পারিনি দেখেই তো অন্য কারো কাছে খুঁজতে গেছে। কাজেই আমার দায়িত্ব তো আমি অস্বীকার করতে পারিনা।”
তারপর সেই কাউন্সেলিং টেবিলের গল্প।
ছোটবেলা থেকে আমাদেরকে কতগুলা বিশ্বাস দিয়ে বড় করা হয়। এই ভদ্রমহিলার পরিবার সেরকমই একটা বিশ্বাস ঢুকিয়েছিল তাঁর মনে, ” সংসার সুখের হয় রমনীর গুনে।” কিন্তু এর দ্বিতীয় অংশ ” গুণবান পতি যদি থাকে তাঁর সনে!” এই অংশটি বেমালুম গায়েব করে দিয়েছে।
ফলে ভদ্রমহিলার অবচেতন মন ভাবে, ‘স্বামীকে বেঁধে রাখতে না পারা স্ত্রীর দোষ।’ আমি যদি ভবিষ্যতে কোনদিন সত্যি সত্যি মনস্তত্ত্বের লেখক হতে পারি, তাহলে আমি একটা নতুন সিনড্রোম পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করব। সেটা হল, ‘শাবানা সিনড্রোম’।
নিজেকে উজাড় করে দেবার পরেও ভদ্রমহিলার ধারণা তিনি পর্যাপ্তভাবে স্বামীকে ধারণ করতে এবং লালন করতে পারেননি। এখানে তিনি নিজেকে যে দোষ দিচ্ছেন বা গিল্ট ফিল করছেন এটা কিন্তু একটি অস্বাস্থ্যকর অনুভূতি। এবং তার জের ধরেই তিনি তার স্বামীর পরকীয়াতে অন্যায় দেখছেন না।
কারণ ছোটবেলা থেকে তার বিলিভ সিস্টেমে ঢোকানো হয়েছে, ‘পুরুষ মানুষ একটু এদিক-সেদিক করেই থাকে’ অথবা ‘সোনার চামুচ বাঁকাও ভালো।’ সেই বিশ্বাসের জায়গা থেকে ছাড় দিচ্ছেন। তার বিশ্বাসের জায়গাটা এখানে কোনটামিনিটেড হয়ে গেছে। কন্টামিনেশন বলছি কারণ, তার সচেতন মন ভুলে যাচ্ছে, ‘Cheating is a choice not a mistake.’
ভালোবাসার মানুষের জন্য আমি প্রয়োজনে জীবন দিতে পারি, কিন্তু কন্টামিনেটেড বিশ্বাসের জায়গা থেকে নয়।
বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার জন্য সমাজবিজ্ঞানীরা তিনটা কারণ চিহ্নিত করেছেন।
প্রথমটা ইমোশোনাল অ্যাটাচমেন্ট, দ্বিতীয় টা শুধুমাত্র দৈহিক সম্পর্ক, এবং তৃতীয়টা মনোদৈহিক সম্পর্ক।
” A group of sociologists recognized three different categories of extramarital affairs as emotional involvement without sexual intercourse, only sexual without emotional involvement and both emotional and sexual involvement.” Princeton edu 20 Feb 2017.
কাজেই সঙ্গী যখন অপর একজনের প্রতি মানসিক-শারীরিক অথবা মনোদৈহিকভাবে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হবে তখন একটা জিনিস মাথায় রাখা প্রয়োজন, আমি যে সেখানে আমার ভূমিকা কি? আমি কি তার চাহিদাগুলো পূরণ করতে পারছি না? তা চাহিদাগুলো পূরণ করার ক্ষেত্রে আমি আর কি কি বিকল্প ব্যবস্থা নিতে পারি।
এখন এতোটুকু ভাবার পরে এই রাস্তায় আমি কতটুকু হাঁটবো সেটা বোঝাটা জরুরি। এই ভদ্রমহিলা যেমন পুরো দোষটা নিজের ঘাড়ে নিয়ে ফেলেছেন। তিনি ভদ্রলোককে এই আন্তসম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কোনো ক্ষমতাই দিচ্ছেন না। কিন্তু মনে রাখা প্রয়োজন, দাম্পত্য সম্পর্কটিতে দুইজনকেই হাতে হাত না মিলালে
গাড়ি চলবেনা।
ফলে আমি কতটুকু নিজেকে অভিযুক্ত করব? কতটুকু বদলাবো এবং কখন বলব যথেষ্ট হয়েছে সেই সীমারেখা আমার মাথায় থাকা দরকার।
ভদ্রমহিলার নিজেকে বদলানোর প্রচেষ্টা ষোলআনা কিন্তু এই পরিবর্তনে ভদ্রলোকেরও যে একটা বিশাল ভূমিকা আছে সেটাকে অস্বীকার করছেন উটপাখির মতো বালিতে মুখ গুঁজে।
ফলে এই ক্ষেত্রে ভদ্রলোক আদৌ পরিবর্তিত হবেন কিনা ঘোরতর সন্দেহর অবকাশ আছে। কারণ ভদ্রমহিলা নিজেকে taken for granted হিসেবে ভদ্রলোকের পাতে তুলে দিচ্ছেন। আমার কাছে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপার হচ্ছে ভদ্রমহিলার বাচ্চারা এই জিনিসটি শিখছে। আমরা জানি না শিশুমন ভবিষ্যতে তার প্রাপ্তবয়স্ক জীবনে বাবার এই আচরণটা কপি করবে নাকি মায়ের এই অধীনস্থতাটা।
মনে রাখা প্রয়োজন যে কোন আন্তঃসম্পর্ক বজায় রাখার জন্য উভয় পক্ষকেই দায়িত্ব নিতে হবে। এক্ষেত্রে একজন গলা পানিতে নামলে অন্তত অপরজনকে হাঁটু পানিতে নামতে হবে। একজন শুধুই বদলাতে থাকবেন আর আরেকজন কিছুই করবেন না এটা কিন্তু সম্পর্কের জন্য অশনিসংকেত।
কারণ অভিমান, অনুযোগ, অভিযোগ, দোষারোপ সবই যদি একজনের নামে জমা রাখি এবং আশা করতে থাকে সেই বদলাবে তাহলে এই সম্পর্কের পরিণতি দিনে দিনে খারাপের দিকেই যাবে।
আন্তঃসম্পর্কর বিরোধ সমাধানে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো পরস্পরকে সময় দেয়া। এবং তারপর স্বচ্ছভাবে নিজের অনুভূতিগুলো উপস্থাপন করা। যেমন, তুমি ঐদিন যে সেই কথাটা বলেছিলে সেটা শুনে আমি খুব দুঃখ পেয়েছিলাম। অথবা তুমি ঐদিন যে আচরণটা করেছিলে সেটা দেখে আমি ভয় পেয়েছিলাম। কিংবা তোমার ঐ দিনকার কাজ গুলো দেখে আমার ভীষণ রাগ হচ্ছে। সঙ্গীর নির্দৃষ্ট আচরণ অথবা শব্দপ্রয়োগ কে চিহ্নিত করে বলুন সেটা আপনার মধ্যে ভয় তৈরি করছে নাকি রাগ তৈরি করছে নাকি দুঃখ তৈরি করছে নাকি আনন্দ তৈরি করছে। জেনারালাইজ করে তোমার চোখটাই খারাপ, অথবা আমি বলেই তোমার সাথে সংসার করছি এই কথাগুলো খুবই প্রাসঙ্গিক বিধায় সমস্যাকে দীর্ঘায়িত করবে।
যতদিন আমরা সঙ্গীর সাথে আন্তঃসম্পর্কের ট্রান্সপারেন্সি স্বচ্ছতার জায়গাটা নিশ্চিত করতে পারবো না ততদিন এই আন্তঃসম্পর্ক আমাদের মধ্য থেকে মানসিক শক্তি ক্ষয় করে আমাদের করতেই থাকবে।
এখানে দুটো মানুষ দুটো বিচ্ছিন্ন দ্বীপের মত একই ছাদের তলায় থাকেন। মাঝখানে কোন সংযোগ সেতু নেই, যোগাযোগের ভাষা নেই। তাঁরা কথা বলেন, কিন্তু মন খুলে না। তারা সহবাস করে, কিন্তু সহবাস করে না। এবং এভাবেই আন্তঃসম্পর্ক গুলো মারা যায় একদিন।
নির্মলেন্দু গুণের কবিতার লাইনটি সম্পূরক এখানে, “একদিন কোথাও যাব না, শূন্যস্থানে তুমি
কিম্বা অন্য কেউ বসে থেকে বাড়াবে বয়স।
একদিন তোমাকে শাসন করা অসম্ভব ভেবে
পূর্ণিমার রাত্রে মরে যাব।”
একটা জিনিস মনে রাখা ভালো জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে আমার চাহিদা কি কি সেটা যেমন আমার স্পষ্ট বোঝা দরকার ঠিক সেরকম আমি তাকে কি দিচ্ছি সেটাও আমাকে বুঝে নিতে হবে। সবকিছুর একটি নির্দিষ্ট সীমা থাকে। কখন সীমানা অতিক্রম হবে? কিভাবে বুঝব সীমানা অতিক্রম হয়েছে? সীমা অতিক্রম হলে আমি কি করবো? কখন আমি সম্পর্কটি ভেঙে দেবো? কখন আমি সম্পর্কটি রাখবো? এই সম্পর্কটি রাখার জন্য আমি কি কি নিজের জীবন থেকে বাদ দিতে পারি এবং কি কি বাদ দিতে পারিনা; এই বিষয়গুলো সম্পর্কে জড়ানোর আগেই নিজের মাথার ভেতর ভেবে নেয়াটা খুব প্রয়োজন। কারণ সম্পর্ক যদি অস্বাস্থ্যকর হয় তখন নিজেকে ভালো রাখার দায়িত্ব আমার নিজের।
ভালোবাসা আমাদেরকে ভালো থাকতে সাহায্য করে। প্রেমের সম্পর্কে অক্সিটোসিন হরমোন তৈরি হয়। তাই একে আদর করে ‘লাভ হরমোন’ বলে। প্রেমে পড়বার প্রথম ছয় মাস এটা তুঙ্গে থাকে। কাজেই আপনাকে বুঝে নিতে হবে যে এই দিন দিন নয় আরো দিন আছে। প্রথম দিককার হানি বানি প্রেম যদি দু বছর পরেও টিকে থাকে তখন আপনি সিদ্ধান্ত নিন যে কি করবেন।
“The story of oxytocin begins right before pregnancy, continues during birth and later, travels from the brain to the heart and throughout the entire body, triggering, or modulating a full range of physiological functions and emotions: happiness, attraction, love, affection, and hatred after stress. These are all governed directly or indirectly, at least in part, by oxytocin.” Indian J Endocrinol Metab. 2011 Sep.
এক্ষেত্রে ভদ্রমহিলারও সাইকোথেরাপি প্রয়োজন কারণ তিনি জানেন না প্রত্যেকটা সম্পর্কের সীমানা থাকে। সীমার মাঝে অসীম খুঁজতে যেয়ে তিনি নিজেকে কতটুকু ক্লান্ত করছেন। আমি কিন্ত একবারও ডিভোর্স দেবেন কি দেবেন না সেই সিদ্ধান্তের কথা এখানে বলছি না। এই সিদ্ধান্তের দায়িত্ব একান্তই ব্যক্তিগত। নিজেকে উজাড় করে আরেকটা মানুষকে ভালো রাখার প্রচেষ্টায় যদি অবশ্যই খেয়াল করা দরকার আমি কোন ভাবনা থেকে এই কাজটা করছি, এবং এই প্রচেষ্টা আমার কতটুকু ক্ষতি করছে।
দিন শেষে আমরা একটা মানুষ আরেকটা মানুষের সাথে সংযুক্ত. We are not independent we are interdependent. আমরা ভালোবাসতে চাই ভালোবাসা পেতে চাই। প্রণব রায়ের সেই গানের মত,
‘হৃদয় আমার সূর্যমুখির মত
মুখ পানে তব চেয়ে রয়,
চেয়ে রয় অবিরত,
ভীরু ভালোবাসা মম
জ্বলে প্রদীপের শিখা সম
নিজেরে দহিয়া তব উজলায়।’
যারা আন্তঃসম্পর্কের মতামতের অমিল সত্বেও নিজেকে স্বচ্ছতার সাথে তুলে ধরে জীবনসঙ্গীরকে মর্যাদার সাথে বোঝার চেষ্টা করেন তাঁদের প্রতি সশ্রদ্ধ ভালোবাসা।
অধ্যাপক ডা. সানজিদা শাহরিয়া,
চিকিৎসক, কাউন্সিলর, সাইকোথেরাপি প্র্যাকটিশনার।