#শিমুল ফুল
পর্ব ৭
#জাকিয়া_সুলতানা_ঝুমুর
পুষ্প সেখানে দাঁড়িয়ে শিমুলের চলে যাওয়া দেখে।তারপর নিশ্বব্দে কেঁদে দেয়।তিয়াশ আর শিলা সামনে এগিয়ে আসে।তিয়াশ পুষ্পকে বলে,
“আরে কাঁদিস না।মাথা গরম হয়ে আছে,পরে ঠিক হয়ে যাবে।”
পুষ্প চুপচাপ বাড়িতে চলে আসে।রাতে সাফিন বলে,
“পুষ্প গ্রামের চাঁদের জ্যোৎস্না দেখতে নাকি আলাদা সুন্দর লাগে।চল দেখে আসি।”
পুষ্প মনে মনে মুখ ভেঙ্গচায়,কেন রে ভাই ঢাকায় কি চাঁদ নেই?নাকি চাঁদ উঠে না?গ্রামের চাঁদ দেখতে হবে কেন?তোর জন্য একজন রাগে রাগে লাল মরিচ হয়ে জ্বলেপুড়ে ছাড়খার হয়ে যাচ্ছে এখন আবার তোর সাথে জ্যোৎস্না দেখতে গেলে মেরেই ফেলবে,সুতরাং যাওয়া টাওয়া অসম্ভব।মুখে বললো,
“ভাইয়া আমার প্রচন্ড মাথা ব্যাথা করছে।আপনি আপু ভাইয়াকে নিয়ে যান।”
এটা বলে আর কাউকে কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে ঝটপট গিয়ে শুয়ে পড়ে।কিন্তু ঘুমায় না,বিছানায় শুয়ে ছটফট করে,শিমুলের রাগ কিভাবে ভাঙ্গানো যায় এই চিন্তা করে।শিমুল রাগ করে আছে পুষ্পর শান্তি লাগছে না,অনেক ভেবে রাত সাড়ে এগারোটার দিকে পুষ্পর মায়ের রুম থেকে মোবাইলটা চুপি চুপি নিয়ে আসে।পুষ্প রুমে এসে বুকে হাত দিয়ে দাঁড়ায়,তার ভাবতে অবাক লাগছে শিমুলের জন্য মোবাইল চুরি করে এনেছে!তারপর নোটবুক থেকে শিমুলের নাম্বার টাইপ করে ডায়াল করে,দুরুদুরু বুকে রিসভ হওয়ার অপেক্ষায় থাকে।
শিমুল কিছুক্ষণের মাঝেই এক প্যাকেট সিগারেট শেষ করে ফেলে।মাথাটা প্রচন্ড ব্যাথা করছে।বেয়াদব মেয়ে।এই মেয়ের জন্য শিমুল বছরের পর বছর অপেক্ষা করছে আর সে কিনা এক দিনের পরিচয়ে ওই ছেলের সাথে হাটতে যায়!কলিজা কাঁপলো না?শিমুল যে এই বয়সেও ওর পিছনে এভাবে ঘুরে এটা কি চোখে পড়ে না?তখনি মোবাইলের স্কিনে পুষ্পর মায়ের নাম্বার ফুটে উঠে।শিমুল খানিক চেয়ে থাকে।রিং হতে হতে কেটে যায়।আবার বেজে উঠে।শিমুল দম ফেলে নিজেকে শান্ত করে মোবাইলটা রিসিভ করে চুপ থাকে।
পুষ্প শিমুলের গলার স্বর শুনতে না পেয়ে নিচু গলায় ফিসফিস করে বললো,
“শিমুল ভাই!প্লিজ কথা বলেন।”
শিমুল কথা বলেনা চুপ করে থাকে।উচ্ছল শিমুলের এমন নিশ্চুপভাবে থাকা পুষ্প মেনে নিতে পারেনা,ডুকরে কেঁদে দেয়।ফুপিয়ে বলে,
“আমার উচিত হয়নি যাওয়া প্লিজ।”
শিমুল হিসহিস করে বললো,
“তাহলে গেলি কেন?”
পুষ্প ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলে,
“এখন দেখা করবো।”
পুষ্প কাঁদলে শিমুলের ভালো লাগেনা।বুক জ্বলে।ধমকে বললো,
“কাঁদার কি আছে ভ্যা ভ্যা করে কাঁদতেছিস কেন?”
পুষ্প মাথা নাড়ে।তার এখনি দেখা করতে হবে।মনে হচ্ছে শিমুলের রাগ অভিমান যেন তার গলা চেপে ধরে রেখেছে।কান্না জড়ানো গলায় বললো,
“আমি দেখা করবো।”
শিমুল চুপ করে পুষ্পর ভেজা গলার কথাগুলো শুনে।
“রাত হয়ে গেছে।এখন দেখা টেখা করা সম্ভব না।”
“প্লিজ”
“ওইদিনের মতো কেউ দেখে নিবে।”
পুষ্প ত্যাড়া গলায় বলে,
“দেখলে দেখুক।আমি দেখা করবই।”
শিমুল নির্লিপ্ত গলায় বললো,
“আমি জানি না।”
“আমি হিজল গাছের নিচে যাচ্ছি আপনার মন চাইলে আসেন।”
“আমি আসবো না।”
পুষ্প মাথায় ওরনা দিয়ে বেরিয়ে পড়ে।ফিসফিস করে বলে,
“আমি বের হয়ে গেছি।”
এটা বলে ফোন কেটে দেয়।তারপর গুটিগুটি পায়ে এগিয়ে যায়।শিমুলের চক্করে পড়ে তার অন্ধকারের ভয় কেটে গেছে।সবারই কি এমন হয় প্রেমে পড়লে সাহস বেড়ে যায়।এই যে নিঝুম রাতের স্তব্ধতাও তাকে ভয় পাওয়াতে পারছেনা,মনটা শিমুল শিমুল জপ করে অস্থির হয়ে আছে।পুষ্পর এখন এতো অশান্তি লাগছে যে মনে হচ্ছে শিমুলকে না দেখলে,তার ভুল না ভাঙ্গালে পুষ্পর মরন হবে।হিজল গাছের নিচে দাঁড়ানোর পরে কয়েকটা পেঁচা শব্দ করে ডানা ঝাপটে উড়ে যায়,পুষ্প ভয়ে কেঁপে ওঠে।মনে মনে ভাবে শিমুল আসবে তো?পুষ্পর মন বলছে শিমুল আসবে।শিমুল যে তার জন্য কতো পাগল এটা পুষ্প বুঝতে পারে।বুঝতে পেরে মনে সুখ সুখ বাতাস বয়।গাছের উপরে নাম না জানা পাখি নড়ে উঠে সাথে ভয়ে নড়ে উঠে পুষ্পর ছোট্ট প্রাণ,মাঠে দলে দলে শিয়াল দৌড়ে যাচ্ছে।পনেরো মিনিট হয়ে গেছে শিমুল আসেনা কেন?তখনি দূরে মোবাইলের স্কিনের আলো পুষ্পর নজরে পড়ে।শিমুল খুব দ্রুত পায়ে সামনে এগিয়ে আসে।পুষ্পর সামনে এসে মোবাইল পকেটে রাখে।
পুষ্প ভয়ে ভয়ে শিমুলকে দেখে।কিছু বলেনা।
শিমুল চুপ করে চাদেঁর আলোয় সামনের মাঠে শিয়ালের দৌড়াদৌড়ি দেখে।পুষ্প বুঝতে পারছেনা শিমুল কতটুকু রেগে আছে।আস্তে-ধীরে বললো,
“আর কখনো কোন ছেলের সাথে হাটতে যাবো না।”
পুষ্পর কথা শুনে শিমুলের কোন হেলদোল নেই।অন্ধকারে এমনভাবে তাকিয়ে আছে যেন গুরুত্বপূর্ণ কিছু দেখছে।শিমুল পুষ্পর দিকে তাকাচ্ছে না এটা পুষ্পর সহ্য হলো না।ছটফটিয়ে বললো,
“এদিকে তাকান না।”
শিমুল যেন আজকে পণ করেছে তাকাবে না।পুষ্প উতলা হয়ে বলে,
“শিমুল ভাই প্লিজ তাকান।”
শিমুল পুষ্পর দিকে তাকায়।থমথমে গম্ভীর মুখে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থাকে।তারপর বলে,
“ডেকেছিস কেন?ঢাকাইয়া ছেলে চলে গেছে?”
পুষ্প দু’দিকে মাথা নেড়ে বুঝানোর জন্য বললো,
“সাফিন ভাই ঘুরতে চেয়েছিলো,সবাই বললো তাই গিয়েছিলাম আর কিছু না।”
শিমুলের নাকের পাটাতন ফুলে উঠে,
“তুই কি গাইডের চাকরি নিছিস যে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে গ্রাম দেখাবি?নাকি শহুরে ছেলে পেয়ে পটে গেছিস?মনে ধরে গেছে?”
পুষ্প ফট করে কানে ধরে বললো,
“এই যে কানে ধরছি শিমুল ভাই,আর কখনো এমন কিছু হবে না।”
পুষ্প থেমে আবার বললো,
“এই যে উঠবস করছি,প্লিজ।”
এটা বলেই পুষ্প ফটাফট তিন চার বার উঠে বসে।
শিমুলের মুখ অভিমানে ছেঁয়ে আছে।পুষ্প শিমুলের দিকে তাকিয়ে হঠাৎ করেই ভিষন সুখ সুখ লাগলো।তার জন্য সামনের মানুষটার বুকের জ্বলন,অন্য কারো সাথে সামান্য হাটাতে চোখে কি রাগ,গলায় সুচালো বর্শার নিক্ষেপ।এই সবকিছু যেন পুষ্পকে বলে দিচ্ছে,”শিমুল তোকে ভীষন ভালোবাসে পুষ্প,তাইতো অন্যকাউকে সহ্য করতে পারে না।”
যেমনটা সুইটিকে দেখে তার জ্বলন অনুভব হয়েছিলো সেই জ্বলন এখন শিমুলের বুকে।পুষ্পর কান্নার দাগ শুকিয়ে পড়া মুখে আলতো মুচকি হাসির রেখা ফুটে উঠে।সেদিন শিমুলের মতো করে পুষ্প বললো,
“জ্বলছে?”
পুষ্পর কথা শুনে শিমুল চোখ কটমটিয়ে বললো,
“আমার জ্বলবে কেন?আমি কে হ্যাঁ?”
পুষ্প শিমুলের অভিমান করা চেহারার দিকে তাকিয়ে থাকে।ছেলেদের অভিমান করার দৃশ্য খুবই চমৎকার।যে না দেখেছে সে কখনো কল্পনাও করতে পারবেনা কতটা সুন্দর!এই মূহুর্তে শিমুলকে তার সবচেয়ে সুন্দর পুরুষ বলে মনে হচ্ছে।সবার কাছে সুন্দর লাগবে কিনা সেটা জানা নেই,কিন্তু শুনেছে মেয়েরা যার প্রেমে পড়ে,যাকে নিজের প্রেম কলি দিতে চায়,সেই সর্বনাশা প্রেমিক পুরুষ দেখতে যেমনি হোক মেয়েটার চোখে বরাবরই সুন্দর,সুদর্শন,একটু বেশীই সুন্দর।পুষ্প তাকিয়ে থাকে তার প্রেমিক পুরুষের দিকে,হয়তো প্রেমের কথা বলে প্রেমটা শুরু হয়নি কিন্তু দুজনের মন জানে তাদের মনের খবর,যদি নাইবা জানে তাহলে এতো রাগ,অধিকার,অভিমান কই থেকে আসে?দুজন দু’জনকে নিজের একান্ত আপন ভাবে বলেই তো।পুষ্প শিমুলকে আরো রাগিয়ে দিতে বলে,
“আসলেই তো আপনি কে?”
শিমুল রেগে লাল মরিচের গুড়ো আসমান জমিন ছিটিয়ে বললো,
“আমি কে তুই জানিস না?”
পুষ্প শিমুলের মুখ থেকে ভালোবাসার কথাটা বের করতে কায়দা করে মাথা দু’দিকে নাড়িয়ে বললো,
“কখনো কিছু বলেননি।তো কিভাবে জানবো?”
শিমুলের মনে হলো তাইতো।এতো ভালোবাসে কখনো পুষ্পকে বলাই হয়নি।কিন্তু ওই যে পুরুষ হার মানতে নারাজ অন্যজন যেন মনের কথা সব নিখুত ভাবে বুঝতে হবে,
“বলতে হবে কেন?তুই কি খুকি?দেখি নাক টিপলে কিছু পড়ে কিনা?”
শিমুল সত্যি সত্যিই পুষ্পর নাক টিপতে হাত বাড়ায়।পুষ্প এক পা পিছিয়ে বলে,
“পাগল নাকি?”
শিমুল হাত দিয়ে তার কোকড়া চুল নেড়ে দেয়।গলার স্বর আগের থেকে কিছুটা নরম করে বলে,
“সেটাও তুই’ই ভালো জানিস।”
পুষ্প মনে মনে ভাবে আমি সত্যিই জানি শিমুল ভাই।আপনার চোখের দৃষ্টিই বলে দেয় আপনি কতোটা পাগল।পুষ্প ফিক করে হাসে।পুষ্পর হঠাৎ হাসির কারনটা শিমুলের বোধগম্য হয় না।ভ্রু কুচকে বললো,
“ভুতে ধরেছে নাকি?”
পুষ্পের বলতে ইচ্ছে করে,হ্যাঁ ভুতে ধরেছে প্রেমের ভুতে।মাথা নেড়ে বললো,
“রাগ কমেছে শিমুল ভাই?”
শিমুল অবাক হয়ে খেয়াল করলো পুষ্পর সংস্পর্শে এসে তার রাগ কমে গেছে।শুধু রাগ কমেনি মনের মধ্যেও ফুরফুরে বাতাস বইতে শুরু করেছে।
নিচু গলায় বললো,
“হুম।”
“আচ্ছা!এখন তাহলে বাড়ি যাই।”
শিমুল পুষ্পর দিকে তাকায়,
“আমার রাগ ভাঙ্গানোর জন্য ডেকে এনেছিস?”
“হ্যাঁ “
“কেন আমি রেগে থাকলে তোর কি?”
পুষ্প মনের কথাই বললো,
“অশান্তি লাগে,নিশ্বাস নিতে পারিনা।”
পুষ্পর এমন সহজ উত্তর শুনে শিমুলের ইচ্ছা করছে পুষ্পর গালে ঠোঁটে টুপ টুপ করে কয়েকটা চুমু খেয়ে ফেলতে।তার প্রেমের অফুটন্ত ফুল আজকে নিজ থেকে কিছু বললো।শিমুল চাইলেই এই বড় হিজল গাছের নিচে পুষ্পর নরম ঠোঁটে নিজের পুরু ঠোঁটে মিশিয়ে দিতে পারে কিন্তু শিমুল শক্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে,সবে মাত্র প্রেম কলির উঁকি দিয়েছে,ফুলটা ফুটোক, তাহলেই শিমুল নিজেকে বেশামাল হওয়ার সুযোগ দিবে,অভদ্র হওতার তকমা না হয় তখনি লাগাবে।শিমুলের চায় এই পিচ্ছিই তার খরা লেগে মরে যাওয়া গাছে লাল লাল শিমুল ফুলে ভরিয়ে দিক।পানি ঢেলে সতেজ করে দিক আজন্ম উপোস মনটাকে।শিমুল পুষ্পর দিকে তাকায়,দুজনের চোখে চোখ মিলে যায়।শিমুলের চোখের মাতাল বন্য দৃষ্টি দেখে পুষ্প চোখ বন্ধ করে নেয়,এই দৃষ্টি তার ভেতরটা সুনামির মতো নাড়িয়ে দেয়।সইতে না পেরে কাঁপা কাঁপা গলায় বলে,
“শিমুল ভাই।প্লিজ অন্যদিকে তাকান।”
শিমুল পুষ্পর কাঁপা ঠোঁটের দিকে তাকিয়ে থাকে তার নিজের শরীরে ঝিনঝিন করে হরমোনেরা আলোড়ন তুলে।মাথাটা নিচের দিকে করে,ঠোঁট হালকা ফাকা করে একটু তাড়াতাড়ি নিশ্বাস নেয়।নিচের ঠোঁট দাত দিয়ে কামড়ে ধরে চুপ করে ভাবে”একবার ফুল ফুটে যাক পুষ্প আমার আজন্ম উত্তাপে তোকে একদম জ্বালিয়ে ফেলবো।সুখে সুখে কাঁদিয়েই ছাড়বো।”
তারপর পুষ্পর দিকে তাকিয়ে বলে, “চল,একটু এগিয়ে দেই।”
শিমুলের শরীরের বুনো ঘ্রানে পুষ্পর অন্তর পুড়ে যায়,পুষ্পর বলতে ইচ্ছে করে,শিমুল ভাই এমন সুন্দর ঘ্রান কেন আসে?আমি মরে যাচ্ছি,জ্বলে যাচ্ছি,দেখেন না?আজকাল পুষ্পর মনেও যে উতলা বাতাস দিক দিশা ভুলে ছুটে,এই উন্মাদ পাগলা বাতাসকে সামলাতে পুষ্পরও যে কষ্ট হয়।মাথা নিচু করে চুপচাপ দুজনে হাটে।প্রিয় মানুষ কাছে থেকেও যদি ছোঁয়া না যায়,তাহলে কি ভিষণ যন্ত্রনা!কি ভিষণ যাতনা।
বাড়ির কাছে এসে শিমুল পুষ্পর হাত ধরে কাছে আনে,দু’গালে হাত রেখে ভালোবাসার কাতরতার গহীনে ডুবে গলা ভিজিয়ে খুব নরম গলায় বলে,
“সন্ধ্যায় খুব জোড়ে বকা দিয়ে ফেলেছিলাম।সরি,সরি।”
পুষ্পর মুখে হাসি ফুটে উঠে।ঠোঁট নাড়িয়ে বললো,
“আচ্ছা।”
শিমুল পুষ্পকে ছেড়ে বলে,
“যা।”
পুষ্প সামনে এগিয়ে যায়।রাগ দেখিয়ে কয়জন পরে ভুলটা বুঝতে পারে?কয়জন সরি বলে আগের কষ্ট ভুলিয়ে দিতে চেষ্টা করে?এই যে শিমুল সরি বললো এই সামান্য সরিটাই অনেক শান্তি দেয়।এই সামান্য সরিটা বলতেই কেউ চায় না ইগো দেখিয়ে নিজে জিতে থাকতে চায় আর যারা পারে তাদের সম্পর্ক কখনোই শেষ হয় না।রাগ দেখানোর জন্যও একটা একান্ত ব্যক্তিগত মানুষ দরকার।শিমুলের সেই মানুষটা কিনা পুষ্প।পুষ্পর মনটা খুশীতে কানায় কানায় পূর্ন হয়ে যায়।
ঘরে এসে চুপচাপ দরজা বন্ধ করে। সাথে সাথেই তার আম্মা তার দরজায় থাপ্পড় দিয়ে ডাকে।পুষ্পর হাসিখুশি মুখ সাথে-সাথেই চুপসে যায়,আন্দাজ করা ভয়ে কলিজা শুকিয়ে যায়।পুষ্পর মা রোকসানা সমানে দরজা ধাক্কিয়ে ডাকছে।
চলবে……