একটা অপরিচিত মেয়ের কাছে ফোন নাম্বার চাইলাম,জবাবে মেয়েটা বলল,”আমি আপনাকে ৫টা প্রশ্ন করব যদি ঠিকঠাকমতো উত্তর দিতে পারেন তাহলে ভেবে দেখব। তবে না পারলে নাম্বার দিব না। তবে প্রশ্নগুলো জাস্ট নাও তে উত্তর দিতে হবে আপনি গুগল করতে পারবেন না। আমার রাজী না হওয়া ছাড়া উপায় ছিল না তাই রাজী হয়ে গেলাম। মেয়েটা আমাকে প্রশ্ন করা শুরু করল।
“আচ্ছা বলেন তো লিপ ইয়ার কত বছর পরপর হয়?
আমি বললাম ৪ বছর পরপর হয়।
তারপর আবার প্রশ্ন করল,”বলেন তো সুবর্ণ জয়ন্তী কত বছর পরপর হয়?” আমি বললাম ৫০ বছর পরপর হয়।
তারপর আবার প্রশ্ন করলেন “বলেন তো সাকিব আল হাসান কত তারিখে বিয়ে করেন?” আমি বললাম ১২ তারিখে।
মেয়েটা আবার প্রশ্ন করল,বলল।
“বলেন তো,২০২১ সালে মোট কতটি শুক্রবার ছিল?
আমি বললাম ৫৩টি।
মেয়েটা আবার প্রশ্ন করল।
” বলেন তো ফেসবুক কত তারিখে সৃষ্টি হয়?”
আমি বললাম ৪ তারিখে।
আমি খুশিতে গরগর করতে করতে বললাম।
“এখন নাম্বার দিন,সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিছি।”
তখন মেয়েটা বলল,”আমার মতো সুন্দরী মেয়ের নাম্বার পাওয়া এত সহজ না। আপনি ভাবলেন কি করে আপনাকে আমি নাম্বার দিব? আমার ভালো লাগছিল না তাই আপনার সাথে মজা করলাম। আর মেসেজ করবেন না। ভালো থাকবেন,বাই।”
আমার মন খারাপ হয়ে গেল। খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে দিলাম। মেয়েটা এভাবে আমাকে ধোঁকা দিতে পারল? কি দোষ ছিল আমার? নাম্বারই তো চেয়েছিলাম,প্রেম তো আর করতে চাইনি। ভবিষ্যতে না হয় প্রেম করতে চাইতাম। হঠাৎ করে একদিন মেয়েটার করা প্রশ্নের উত্তর গুলো সাজিয়ে দেখলাম ৮ ডিজিটের একটা নাম্বার হয়। বেশির ভাগ মানুষই জিপি সিম ব্যবহার করে তাই ৮ ডিজিটের আগে জিপিসিমের ৩ টা ডিজিট লাগিয়ে কল দিলাম। কল দেওয়ার পর অসম্ভব রকমের সুন্দর কোকিলা কন্ঠের একটা মেয়ে ফোন ধরে বলল।
“আপনি নিশ্চয় আমিনুর রহমান? আইয়াম ইম্প্রেসড। I love you so mach.
আমি কিছু বলার আগেই মেয়েটা কয়েক ডজন ফ্লায়িং কিস দিল। আমি লজ্জায় ফোনটা রেখে দিলাম। পরে আবিষ্কার করলাম মেয়েটা আমাকে ধোঁকা দেয়নি,নাম্বার সে ঠিকই দিয়েছিল আমিই বুঝতে পারিনি।