#চিত্ত চিরে চৈত্রমাস পর্ব ২৩
#মম_সাহা
পর্বঃ তেইশ
(৫৯)
নিবিড়, নিশ্চুপ স্বচ্ছ জলে পরিপূর্ণ ছোট্টো একটা পুকুরের পাশের বেঞ্চিতে বসে আছে অহি এবং নওশাদ। রোদ ঝিমিয়ে বিকেল প্রায়। প্রকৃতিও বেশ চুপচাপ। নওশাদ তাকিয়ে আছে অহির দিকে, চোখেমুখে তার প্রশ্নের ছড়াছড়ি। ভেতরের অনুভূতিরা অধৈর্য্য, উৎকণ্ঠিত। কিন্তু সে অহিকে সময় দিলো, নিজেকেও প্রস্তুত করলো অপ্রস্তুত কিছু শোনার জন্য। অহি দীর্ঘক্ষণ সময় নিলো। কিছু কথা যখন বলা হয় না পরিস্থতির চাপে তখন তা যুগ যুগ ধরে স্মৃতির পাতায় থাকতে থাকতে চাপা পরে যায়। চাইলেও তখন আর তা খুব সহজে মেলে ধরা যায় না। অহির অবস্থাও ঠিক তা-ই। খুব বাজে অভিজ্ঞতা ভুলে যাওয়ার চেষ্টা চালাতে চালাতে আজ তা ধূলো পড়ে ধোঁয়াশা হয়ে গেছে। সেই ধূলো পরিষ্কার করতে কিঞ্চিৎ সময় তো লাগবেই।
প্রায় মিনিট দশ পর অহি মুখ খুললো, কণ্ঠ ধ্বনিরা প্রস্তুত হলো বিভীষিকা ময় কথা গুলো বলার জন্য। ভীষণ বিশাল এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে বলা শুরু করলো,
“ছোটোবেলা থেকেই আমার মা আমার ব্যাপারে ভীষণ উদাসীন ছিলো, সেই উদাসীনতার জন্য ছোটো বয়সে আমার সাথে ঘটে গিয়েছে বড় বিপর্যয়। আমার বয়স তখন সাত কিংবা আট হবে। বাবা-মায়ের একদিন তুমুল কথা কাটাকাটি, অবশেষে কথা কাটাকাটির অবসান ঘটলো আমাকে গৃহান্তর করার মাধ্যমে। মায়ের জেদের কারণে আমার এত বড় বাড়ি, এত সুন্দর পরিবার থাকতেও আমাকে পাঠানো হয় হোস্টেল। জীবন বোঝার আগেই যৌ* নতার লালসার শিকার হবো তা হয়তো কারোই জানা ছিলো না। হোস্টেলের পর্যবেক্ষণ করতো এক মামা ছিলো যে সব বাচ্চাদের আদর করতো। আমাদের চকলেট দিতো, কোলে নিয়ে ঘুরতো। আমি খুব কমই মামার সান্নিধ্যে যেতাম। ছোটোবেলা থেকে খুব চুপচাপ থাকার কারণেই মানুষের সাথে কম মিশতাম। তখন সময়টা শীতকাল, ডিসেম্বর বা জানুয়ারীর দিকে। হোস্টেলের বেশিরভাগ দায়িত্বরত সদস্য ছুটিতে। আমি বিকেলে হোস্টেলের পেছনের দিকে বাগানে খেলছিলাম। ফুল আমার প্রিয় ছিলো বিধায় সেটা নিয়েই নিজের আপন মনে হাবিজাবি এঁকে খেলায় মত্ত ছিলাম। এর মাঝেই সেই লোকটা এলো যে সব বাচ্চাদের আদর করতো।
তথাকথিত নিয়মে সে আমার মাথায় গালে হাত বুলিয়ে দিলো, চকলেট দিলো অথচ আমি নিলাম না। বাচ্চা হলেও বুঝতাম অপরিচিত কারো কাছ থেকে কিছু নেওয়া উচিৎ না। মামা তখন একটা সূর্যমুখী ফুল এনে আমার হাতে দিলো, আমি তো খুশিতে আত্মহারা। আমাকে হাসি-খুশি দেখে মামা কোলে নিলেন। আমিও বেশ আনন্দে কোলে উঠে গেলাম। যখন আমি ফুল নিয়ে ব্যস্ত তখন অনুভব করলাম আমার… আমার বুকে প্রচন্ড ব্যাথা হচ্ছে। ব্যাথার চোটে চোখে টলমলে অশ্রুদেরও ভীড় জমে গেলো। আমি উফ্ করে শব্দ করে উঠলাম। মামার দিকে তাকিয়ে বললাম ‘মামা, ব্যাথা’। মামা বিদঘুটে হেসে বললো, ‘আদর করলে একটু ব্যাথা লাগবেই, মামা তো তোমাকে আদর করছি।’ আমি তবুও কিছুটা মোচড়ামুচড়ি করছিলাম, অস্বস্তিতে ভরে গেছে আমার শরীর। আমার ছোটো নাজুক শরীরটা তখন মামার হাতের মুঠোয়, সে যেভাবে পেরেছে সেভাবে ছুঁয়ে দিয়েছে। তারপর বাগানের মালি কাকাকে আসতে দেখে সে আমায় ছেঁড়ে দিলো। তারপর আমি ফুলটা ছুড়ে ফেলে নিজের ঘরে চলে গেলাম।”
দীর্ঘ বক্তব্যের পর থামলো অহি। অদ্ভুত ভাবে নওশাদের চোখে অশ্রু থাকলেও অশ্রু নেই অহির চোখে অথচ তার কণ্ঠনালী কাঁপছিলো। অহি মাথা নিচু করলো, ডান হাত দিয়ে অনবরত নিজের বাম হাত মুচড়োচ্ছিলো। তার যে সেসব অতীত মনে করে খুব কষ্ঠ হচ্ছে তা বুঝতে বাকি রইলো না নওশাদের। তাই তো সে গলা পরিষ্কার করে বিবশ কণ্ঠে বললো,
“আজ নাহয় থাক। অতীত নাহয় অতীতই থাকুক।”
অহি হাসলো, তাচ্ছিল্য করে বললো,
“ঘৃণা হচ্ছে তাই না আমার উপর! হওয়াটাই স্বাভাবিক।”
অহির কথার ধরণে হতবিহ্বল নওশাদ। তাজ্জব হয়ে বললো,
“কী বলছেন? আপনার খারাপ লাগছে বিধায় না করেছি।”
অহি হাসলো, দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললো,
“এখন আর খারাপ লাগে না। এত বছর নিজের মাকেও বলতে পারি নি এসব কথা। কেবল আমি আর আমার ঐ আল্লাহ জানতো আমি যে কি লুকিয়ে বেঁচে ছিলাম। আজ যেহেতু বলা শুরু করেছি, তাহলে বলি?”
‘তাহলে বলি’ কথাটাই যেন কেমন নিবিড় আর্তনাদ ছিলো। বিদঘুটে অতীত বের করে মন হালকা করার একটা হাহাকার ছিলো যা ছুঁতে পারলো নওশাদকে। সে ধীর কণ্ঠে বললো,
“আমি শুনছি তবে, আপনি বলুন।”
অহি পুকুরের ঝলমলে, স্বচ্ছ জলরাশির দিকে তাকিয়ে বলা শুরু করলো,
“সেইদিন আমার সাথে ঘটা বিদঘুটে ঘটনা টা কিঞ্চিৎ নাড়িয়ে দিয়েছিল আমাকে। কই, বাবা-চাচা সবাই তো আমাকে আদর করতো কিন্তু কখনো এমন ব্যাথা দেওয়া আদর তো করতো না। সন্ধ্যার দিকে যখন সব নিরিবিলি মালি কাকা এলেন আমার ঘরে। আমি তখন পড়ার টেবিলে বই নিয়ে বসেছি। কাকা এসেই আমার পাশে হাঁটু ভেঙে বসলেন, তার চোখেমুখে কি যেন একটা হাবভাব। সে আমাকে কেমন ক্ষীণ কণ্ঠে বললেন ‘তোমার সাথে ফজলু কিছু করছে?’ আমি এক ঝটকায় বুঝে ফেললাম কাকা বিকেলের সেই ঘটনার কথা বলছে। আমি ভয় পেয়ে গেলাম, অনবরত ডানে-বামে মাথা নাড়াতে নাড়াতে বললাম ‘না’। মালি কাকা আমার মাথায় হাত বুলিয়ে চলে গেলেন তখনই। আমার ছোটো মনে তখন অনাকাঙ্ক্ষিত ভয়েরা হানা দিলো।
সেই ঘটনার তিনদিন পরের কাহিনী। আমি রাতে খাবারের পর দাঁত ব্রাশ করতে করতে হোস্টেলের পিছনের বারান্দায় গেলাম যেটা আমার অভ্যাস ছিলো। সেখানেই হোস্টেলের কর্মচারীদের কোয়াটার ছিলো। আমি হঠাৎ ভীষণ হাসাহাসির শব্দ শুনলাম ঐ মামার ঘর থেকে। তার দরজাটাও হালকা খোলা ছিলো। আমি ধীরে ধীরে পৌঁছে গেলাম সেই ঘরটাতে। কিন্তু দরজা পুরোটা হাত দিয়ে খুলে দিতেই আমি হতভম্ব। ভেতরের দেখা দৃশ্যটার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। এত অপ্রত্যাশিত কিছু ছিলো। আমাদের খাবার সার্ভ করা খালা আর মামা ছিলেন সে ঘরে। আমি ভয় পেয়ে ছুটে আসতে নিলেই খালা দৌড়ে এসে ধরে ফেললেন আমায়। মামার চোখে তখন উপচে পড়া লালসা। মামার লালসাকে সাঁই দিলেন খালাও। সে আমাকে জোর করে ধরে আমার জামার পেছনের চেইনটা খুলে দিলেন। একজন মহিলা, যার কন্যার বয়সী হয়তো ছিলাম আমি, সে কিনা মামাকে খুশি করতে আমায় বলিদান করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলো। মামার এলোমেলো, নোংরা ছোঁয়ায় আমি নেতিয়ে গিয়েছিলাম। তারপর….”
কথা থেমে গেলো অহির। তুমুল কান্নায় ভেঙে পড়লো সে। নওশাদও আবিষ্কার করলো তার হৃৎপিণ্ড প্রয়োজনের তুলনায় বেশি বিট করছে। অস্বাভাবিক ভাবে কাঁপছে তার শরীর। ঘৃণায় ভরে উঠেছে অনুভূতিরা। ছোটো একটা মেয়েকেও কিনা ছাড় দেয় নি! সে চাইলো,অহির কাঁধে ভরসার হাত দিয়ে চোখের জল মুছিয়ে দিতে, কিন্তু সে তা করলো না। কারণ অহির মনে এখন অতীতের নোংরা ছোঁয়ার স্মৃতি কিলবিল করছে, নওশাদের সঠিক ছোঁয়াও হয়তো আরেকটা ভিন্ন ঘৃণার সৃষ্টি করতে পারে। তাই নওশাদ নিজেকে সংযত করলো। কাঁদতে দিলো অহিকে।
অহি কাঁদলো, পাহাড়ের মতন অটল অহি নিমিষেই গলে জল। কাঁদতে কাঁদতে যখন চোখের জল ফুরালো সে ভেজা কণ্ঠে বললো,
“নওশাদ, জানেন সেদিন আমি বেঁচে গিয়েছিলাম। আমার সাথে খারাপ ঘটতে গিয়েও ঘটে নি। আমার চিৎকারে মালি কাকা ছুটে এসেছিলো, হৈচৈ শুনে ছুটে এসেছিলো আমাদের হোস্টেলের কয়েকজন মেডাম। আমি ততক্ষণে নেতিয়ে পড়ে গিয়েছি। কাকার কারণে শেষ মুহূর্তে আমি বেঁচে যাই। অতঃপর মেমরা আমাকে বলে এসব নাকি খারাপ কথা, মানুষ জানলে আমায় নোংরা বলবে তাই যেন কাউকে না জানাই। আমিও তাই লুকিয়ে গেলাম সবটা। ওদের কি হয়েছিল পরে আমার জানা নেই, কেবল আমাকে পাঠিয়ে দিয়েছিল বাড়িতে। মিছে অযুহাত দেখিয়ে বলে ছিলো আমি নাকি থাকতে চাচ্ছি না আর সেখানে। তারপর থেকে সে ঘটনা আমাকে মানুষ থেকে মানসিক রোগীতে রূপান্তরিত করলো। কাউকে বলতে না পারার কারণে খুব বাজে ভাবে পোকায় খেয়ে ফেললো আমার ভেতর টা। এরপর থেকে আমি ফুল সহ্য করতে পারতাম না। মাঝে সাঝে ঐ মানুষ গুলোকে খু* ন করার তৃষ্ণাও জাগতো। এটা ধীরে ধীরে মানসিক সমস্যা হয়ে গেলো।”
নওশাদ চুপ, নিরুত্তর। অহির ক্ষণে ক্ষণে নাক টানার শব্দ পাওয়া গেলো। কিছুটা ক্ষণ দু’জনে চুপ থাকার পর উঠে দাঁড়ালো অহি। ক্ষীণ স্বরে বললো,
“বুঝলেন তো নওশাদ, মনের মাঝে যেই ঘৃণা আছে তা নিয়ে আমি আরও একজনকে ভালোবেসে ফেলেছিলাম। কিন্তু আমি জানি মানুষটা আমার না। আর আমিও তো পবিত্র না।”
“আমার কাছে কারো বিদঘুটে ছোঁয়া আপনার অপবিত্রতা হতে পারে না। আর ভালোবাসার কথা তো আপনিই বললেন, সে মানুষ যেহেতু আপনার না তবে যে মানুষ আপনাকে ভালোবাসছে তাকে নাহয় আগলে নিন।”
“হয়তো পারবো না। আমার এমন কলুষিত জীবনের সাথে আপনাকে জড়াতে চাইছি না। আপনার ভালোর জন্য বলছি, ভুলে যান ভালোলাগাকে।”
কথা শেষ করেই অহি পা বাড়ালো নিজ গন্তব্যে, নওশাদ কেমন অদ্ভুত কণ্ঠে বললো,
“কী আশ্চর্য! আপনি আমার ভালো চাইলেন, অথচ আমায় চাইলেন না!”
কথার মাঝে কি যেন একটা ছিলো যা থামিয়ে দিলো অহির পা। পিছুটান তো অহির জন্য না, তবে আজ কেন থামিয়ে দিলো তাকে সে পিছুটান!
(৬০)
চিত্রার কোচিং শেষ হতে হতে সন্ধ্যা নামলো প্রকৃতিতে। সোডিয়ামের আলোয় রাস্তাঘাট উজ্জ্বল। চিত্রা খুশি মনে এক প্যাকেট ঝালমুড়ি কিনলো আর হেলতে দুলতে হাঁটা ধরলো নিজের বাড়ির পথে। কিছুদূর যেতেই তার চোখ আটকালো পরিচিত মানুষটার দিকে, অথচ মানুষটার এখানে থাকার কথা না। যেই মুহূর্তে চিত্রা তাকে ডাক দিতে নিবে মানুষটা তখনই হাঁটতে হাঁটতে পাশের একটা আঁধার গলিতে ঢুকলো। চিত্রারও কি যেন মনে হলো, সেও ধীর পায়ে হাঁটতে হাঁটতে মানুষটার পিছে পিছে আঁধার গলিতে প্রবেশ করলো। বেশ কত গুলো নোংরা গলি, ভূতুড়ে প্রকৃতি পাড় হয়ে রঙিন এক দুনিয়ায় প্রবেশ করলো চিত্রা। কেমন অদ্ভুত এক দুনিয়া। চিত্রা হতভম্ব আশপাশের মানুষ গুলোর দিকে তাকিয়ে। সভ্য সমাজে অসভ্যের স্থান দখল করা প* তিতালয়ে এসে পড়েছে সে। ধানমন্ডির রাস্তা পার হয়ে অনেকটা দূরেই যে চলে এসেছে সে, তা আর বুঝতে বাকি রইলো না তার। চিত্রা বেশ অবাক হয়েছে অমন মানুষকে এইরকম একটা জায়গায় আসতে দেখে। ঘেমে-নেয়ে একাকার হয়ে গেছে তার শরীর। মৃদু কম্পন দেখা দিয়েছে তার শরীরের শিরায়-উপশিরায়। তন্মধ্যে কেমন বিদঘুটে হাসি দিয়ে একটা লোক বলল,
“কি সুন্দরী, দাম কত তোর?”
কিশোরী চিত্রা আরও ক্ষাণিকটা ভয় পেয়ে যায়। সে আর কোনো কথা না বলে যে রাস্তা দিয়ে এসেছে, সে রাস্তাতেই ছুট লাগায়। পেছন থেকে ম* দ খেয়ে নেশায় বিভোর হওয়া লোকটার বিদঘুটে হাসির শব্দ ভেসে এলো। চিত্রা চোখ-মুখ বন্ধ রেখেই যেন ছুটে চললো। কতটা দৌড়িয়েছে তার জানা নেই, তার দৌড়ানোর সমাপ্তি হলো একটা শক্ত সামর্থ্য দেহের সাথে ধাক্কা খাওয়ার পর।
“কি ব্যাপার, দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবে নাকি? এভাবে চোখ-মুখ বন্ধ রেখে কোথায় যাচ্ছো!”
সামনের পুরুষটির কথায় চোখ মেলে তাকালো চিত্রা। গলা শুকিয়ে কাঠ প্রায়। তবুও বেশ কষ্টে সে উচ্চারণ করলো,
“একটু পানি দেন, বাহার ভাই।”
চিত্রার এমন উত্তেজিত মুখমন্ডল দেখে অবাক হলো বাহার। দ্রুত পাশের দোকানটা থেকে পানির বোতল কিনে আনলো। চিত্রার দিকে বাড়িয়ে দিলো সে পানির বোতল। চিত্রা ডান-বামে না দেখেই ঢকঢক করে বেশ খানিকটা পানি পান করলো। অতঃপর জোরে জোরে শ্বাস নিতে লাগলো।
বাহার ভ্রু কুঁচকালো, অবাক কণ্ঠে বললো,
“কোথায় গিয়েছিলে? হাঁপাচ্ছো কেনো?”
চিত্রা বেশ কতক্ষণ চুপ থেকে নিজেকে ধাতস্থ করলো। তারপর বেশ ভাবুক স্বরে বললো,
“বাহার ভাই, সব রহস্যের সমাধান হচ্ছে না কেনো জানেন? ধূলো পড়েছে চেহারায় আর আমরা মুছছি আয়না। আসলে আমরা রহস্যের সঠিক রাস্তায় এখনো হাঁটাই ধরি নি।”
#চলবে…….