এক মুঠো কাঁচের চুরি
পর্ব ২৯
লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
তানহাকে হসপিটালে দেখে বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো,ইফাদ তানহার ওপরে চিৎকার দিয়ে উঠলো।ইফাদের রাগার কারন খুঁজে পেল না তানহ।ইফাদের প্রশ্নে ভাবনা থেকে বেড়িয়ে আসলো।
–তোমার লজ্জা করে না।লজ্জা-আত্মসন্মাস সবকিছু বিসর্জন দিয়ে ফেলছো।
–তুমি এসব কি বলছো?
–যে,মেয়ে তোমাকে কালকে এতগুলো কথা শোনালো।তোমাকে যা-নয় তই বলে অভিশাপ করল।আজকে নির্লজ্জের মতো তাকে দেখতে চলে এলে,একটা স্বার্থপর মেয়ের জন্য এতটা দরদ দেখানো ভালো মনে করছি না।যতই নিজের বোন হোক না কেনো?
–ইফাদ এসব তুই কি বলছিস।চৈতালি তোর নিজের বোন হয়।
–তুমি চুপ থাকো আম্মু।চৈতালি আমার বোন হলে,তানহা-ও আমার বউ হয়।তুমি নিজের মেয়ের দিকটা দেখছো।তানহার কথা একবার ভেবেছিলে,
মেয়েটা কাল সারারাত ঘুমোয় নাই।কান্না করেছে।আমি চোখের সামনে সবকিছু দেখেছি।ওর মাথায় ভরসার হাত রাখতে পারি নাই।কিভাবে রাখবো বলো।নিজেকে অযোগ্য স্বামী বলে মনে হয়েছে।তানহা আমার থেকে ভালোকিছু ডিজার্ভ করে,কালকে নিজের বোনের কথা চিন্তা করে,আমি’ও স্বার্থপর হয়ে গিয়ে ছিলাম।চৈতালি তানহাকে এতগুলো কথা বলল আমি চুপ করে সবকিছু সহ্য করলাম।তুমিও মেয়েকে একটা কথাও বললে না।তানহা চৈতালির ভালোই চেয়েছিল।চৈতালির ভালো করতে গিয়ে তানহা হয়ে গেল,সবার চোখের বিষ।চৈতালি যেমন আমার কলিজার টুকরা।তানহা-ও তেমন আমার অস্তিত্ব।তানহার মধ্যে আমি নিজেকে খুঁজে পাই।আমার মনের মধ্যখানিতে তানহার বসবাস।চৈতালি কালকে সেখানে আঘাত করেছে।চৈতালি শুধু তানহাকেই না।কালকে আমাকে-ও টুকরো টুকরো করে ফেলছে।মেয়ের হয়ে সাফাই গাইতে আসবে না।
–ইফাদ শান্ত হ ভাই।
–এই মেয়ে বলো না কেনো?তুমি এখানে কেনো এসেছো।যার কাছে তোমার দুই পয়সার মূল্য নেই।তার মূল্যও তোমার কাছে এক পয়সার থাকা যাবে না।কোনো স্বার্থপর মেয়ের কথা তুমি ভাব্বে না।যাও বাসায় চলে যাও।তুমি না ফোন ব্যবহার করতে ভালোবাসো।আজকে সারাদিন ফোন ব্যবহার করবে,কোথাও ঘুরতে যেতে ইচ্ছে করলে ঘুরতে যাবে।টাকা লাগলে আমাকে বলবে,আমি তোমাকে টাকা পাঠিয়ে দিব।তোমার ফ্রেন্ড নেই।আজকে সারাদিন তাদের সাথে ঘুরবে।
–তানহা চৈতালির কাছে থাকতে পারবে না।তাহলে তুই আছিস কেনো?
–চৈতালি আমার বোন হয় না আম্মু।আমার রক্ত।একটা টান আছে না।কিন্তু তানহার টান থাকা যাবে না।ওকে আরো কঠিন হতে হবে।যতটা কঠিন হলে,কেউ তানহাকে কথা শোনাতে পারবে না।এই পৃথিবীতে কেউ কাউকে জায়গা দেয় না আম্মু।নিজের জায়গা নিজে তৈরি করে নিতে হয়।তানহা প্রথম থেকে শক্ত হলে,চৈতালি এতদূর আসতে পারতো না।এই মেয়ে দাঁড়িয়ে আছো কেনো?রিয়াদ যা তানহাকে বাসায় পৌঁছে দিয়ে আয়।তানহা আর কোনো কথা বলল না।বাসার উদ্দেশ্য রওনা দিলো।
আজকে একমাস পরে চৈতালিকে বাসায় নিয়ে আসা হলো।মেয়েটা শুকিয়ে কঙ্কালের মতো হয়ে গেছে।ফর্সা চেহারায় কালচে দাগ পড়ে গেছে।চোখের নিচে গাঢ় কালো দাগ পড়েছে।আগের মতো চেহারায় উজ্জ্বলতা নেই।মেয়েটা কেমন জানি চুপচাপ থাকে।আস্তে আস্তে সবকিছু উপলব্ধি করতে পারছে।কার জন্য নিজেকে শেষ করতে যাচ্ছিল।যে,কি না নিজের নতুন জীবন নিয়ে,সুখে আছে।আমি কেমন আছি কখনো জানতে চায় নাই।একবারের জন্য খোঁজ নেয় নাই।আর ভাবি সে কি আমাকে কখনো মাফ করবে।আমি তাকে যে কথাগুলো বলেছি,তা কিভাবে ফিরিয়ে নিব।আমি তো কথার আঘাতে তাকে শেষ করে ফেলছি।ভাইয়াও আমার সাথে ঠিকমতো কথা বলে না।দরকার পড়লে আসে,বিনা কারনে আসে না।একমাসে তানহার দেখা পায়নি চৈতালি।ইফাদ তানহাকে চৈতালির সামনে যেতে নিষেধ করেছে।কড়া আদেশ সে,যেনো চৈতালির সাথে কথা না বলে।বাসায় আসলে দেখা করতেও যেনো না যায়।হাসিখুশি পরিবারটা নিমিষেই এলোমেলো হয়ে গেল।সবকিছু আমার জন্য হয়েছে।ভাবি একটা কথা ঠিক বলতো।মায়া কখনো সারাজীবন থাকে না।একমাস আগে যে,পাগলামিটা ভেতর থেকে আসছিল।এখন ভেতর থেকে কোনো অনুভূতি আসছে না।দীর্ঘশ্বাস ফেলে নিজের রুমের দিকে গেল চৈতালি।
ইফাদ রুমে প্রবেশ করে হাত তোয়ালে নিয়ে ফ্রেশ হতে চলে গেল।এই একমাস ইফাদ তানহার থেকে কেমন পালিয়ে পালিয়ে বেড়িয়েছে।যতদূর চেষ্টা করেছে,
তানহার থেকে দূরে দূরে থেকেছে।সেদিনের পরে তানহার চোখে চোখ রেখে কথা বলার সাহস হয় নাই।নিজেকে হতভাগা স্বামী মনে হয়।লজ্জায় তানহার সামনে দাঁড়িয়ে মন খুলে দু’কথা বলতে পারে না।তানহা ঘুমিয়ে গেলে,পরম আদুরে ভাবে বুকে টেনে নেয় ইফাদ।তানহা-ও কেমন চুপচাপ হয়ে গেছে।কাউকে নিয়ে কোনো অভিযোগ করে না।অনুভূতি শূন্য হয়ে গেছে তানহা।কাউকে আর কিছু বলতে ইচ্ছে করে না।রাত হলে,কান্না গুলো চোখের কোণে এসে হামলা দেয়।নিজেই নিজেকে শান্তনা দেয়।
চৈতালি ফ্রেশ হয়ে তানহার রুমের দিকে আসছিল।ইফাদ চৈতালির পথ আঁটকে দাঁড়াল।
–কোথায় যাচ্ছিস।
–ভাবির কাছে,,
–কেনো আরো কথা শোনানোর বাকি আছে।দেখ তুই আমার নিজের বোন হস।তাই ভালোই ভালোই বলছি মনের ভুলেও তানহাকে দু’কথা শোনানোর চেষ্টা করিস না।তাহলে তোর মুখ আমি ভেঙে দিব।বড় হয়েছিস।এতটাও অবুঝ নেই।মা যদি তোকে শাসন করতে না পারে,পিটিয়ে তোকে সোজা করবো।তানহার সাথে তুই দেখা করতে পারবি না।নিজের রুমে গিয়ে বিশ্রাম কর।
–আচ্ছা”।বলেই চৈতালি মাথা নিচু করে চলে গেল।চৈতালির বিধস্ত চেহারা দেখে ইফাদের মায়া হলো।কিন্তু মেয়ের কথা শুনলে মায়া লাগে না।একটা দীর্ঘশ্বাস ছাড়াল।
এর মাঝে আরো পনেরোটা দিন কেটে গেল।চৈতালি এখন মোটামুটি সুস্থ।বাড়িটা একদম মরা বাড়িতে পরিনত হয়েছে।চৈতালি ঠিক করল।নিজের সবটুকু দিয়ে বাড়িটা আবার আগের মতো করে তুলবে।
তানহা সেলাই করছিল।ইফাদ দরজার কাছে এসে বলল।
–আসবো।
–কোনোদিন অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করো না।আজকে হঠাৎ কি মনে করে,অনুমতি নেওয়া প্রয়োজন মনে করলে।
ইফাদ গিয়ে তানহা পায়ের কাছে ফ্লোরে বসে পড়ল।
–নিচে বসলে কেনো?উপরে এসে বসো।
–তোমার জন্য একটা জিনিস নিয়ে এসেছি।
তানহা ইফাদের দিকে তাকালো।ইফাদের দৃষ্টি নত।কয়েক সেকেন্ড চুপ থেকে,একগুচ্ছ লাল গোলাপ বের করে তানহার সামনে ধরে বলল।
–তোমার জন্য।
তানহা মলিন হেসে ফুল গুলো নিয়ে বলল।
–খুব সুন্দর।
–শুধু সুন্দর।
–হুম।ইফাদ হতাশ হয়ে বসে রইল।বউয়ের মনে বেশ অভিমান জমা হয়েছে।বউয়ের মন গলাতে হলে,প্রচুর পরিশ্রম করতে হবে।ইফাদ সেখানেই আসে রইল।
রোকেয়া বেগম মেয়ের রুমের এসে দাঁড়িয়ে গেল।মেয়ে এখন কিসের নামাজ পড়ছে।সন্ধ্যার আজান তো এখনো দেয় নাই।চৈতালির কান্নার আওয়াজে সেদিকে মন দিলেন রোকেয়া বেগম।দু’হাত তুলে মোনাজাত করছে চৈতালি।দু-চোখ গড়িয়ে পানি পড়ছে।
–হে আল্লাহ আপনি আমার সবকিছু জানেন।আমি একটা হাসিখুশি পরিবারকে নিমিষেই শেষ করে দিয়েছে।কষ্ট দিয়েছি পরিবারের সকলকে আর যাকে সব থেকে কষ্ট দিয়েছি।সেটা হলো আমার ভাবি।নিজেকে আমার অমানুষ বলে মনে হচ্ছে,যে ভাবি আমাকে মায়ের মতো বুকে আগলে রেখেছিল।সে ভাবিকে কথার আঘাতে শেষ করে ফেলছি।সবাই বলতো প্রেম মানুষকে অন্ধ করে দেয়।আমি’ও প্রেম অন্ধ হয়ে সবাইকে কষ্ট দিয়েছি।আপনি হয়তো বিচ্ছেদের যন্ত্রনা বোঝেন।তাই প্রেমকে হারাম করে দিয়েছেন।আমার অবুঝ মনটাকে বোঝাতে পারি নাই।ঠিক ভুল না বুঝে মরিচীকার পেছনে ছুটেছি।আমি জানিনা ভাবি আমাকে কখনো মাফ করবে কি না।আমি জানি ভাবির মনের ক্ষতটা কখনো ঠিক করে দিতে পারবো না।কিন্তু দিন-রাত চব্বিশ ঘণ্টা তার কাছে মাফ চাইতে থাকবো।হে আল্লাহ আমি যে-সব ভুল জেনে-বুঝে করেছি।আর সে-সব ভুল না জেনেছি করেছি।সবগুলো ভুলের জন্য আপনার কাছে মাফ চাই।অনুতপ্ত বান্দার চোখের পানি নাকি আপনার খুব প্রিয়।আজ আমি খুব করে অনুতপ্ত আল্লাহ।ভেতর থেকে শেষ হয়ে যাচ্ছি।কাউকে মুখ ফুটে কিছু বলতে পারছি না।আপনি আমাকে মাফ করে দিয়ে আমার পরিবারটাকে আগের মতো করে দিন।পৃথিবীর সমস্ত সুখ আমার পরিবারে এনে দিন।পরিবারের সবার কষ্ট উপলব্ধি করার পরে নিজেকে বড্ড অপরাধী আর স্বার্থপর মনে হচ্ছে,আমি কি করে এতটা স্বার্থপর হয়ে গেলাম।
প্রায় এক ঘন্টা চৈতালি মোনাজাত আল্লাহর কাছে মাফ চেয়েছে।অঝোরে কান্না করেছে।মনের সব কথা আল্লাহর কাছে জানিয়েছে।এখন নিজেকে হালকা লাগছে।মেয়েকে অনুতপ্ত হতে দেখে রোকেয়া বেগম-ও খুশি।
নামাজ শেষ করে চৈতালি বাহিরে আসলো।তানহাকে খুঁজছে।আজকে সাহস করে ভাবির সাথে কথা বলেই ছাড়বে সে’।লজ্জায় আর ভয়ে কথা বলা হয়ে উঠে না।বিষয়টা ইফাদ খেয়াল করেছে বেশ কিছুদিন।ইফাদ এটাই চেয়েছিল।চৈতালি তানহাকে ভয় পাক।
তানহা রাতের রান্না করছিল।চৈতালি তানহাকে কাঁপা কাঁপা হাতে পেছনে থেকে জড়িয়ে ধরলো।তানহার কাঁধে থুতনি রেখে চোখের পানি বিসর্জন দিচ্ছে।হঠাৎ কারো স্পর্শ পেয়ে চমকে উঠলো তানহা।ইফাদ সবে মাত্র বাসায় ফিরেছে।চৈতালিকে তানহার কাছে দেখে চিৎকার দিয়ে উঠলো।
–চৈতালি তোকে নিষেধ করেছি।তানহার আশেপাশে না আসতে।আমার বউটাকে পুরিয়ে মারার ধান্দা করছিস নাকি।বলেই চৈতালিকে তানহার থেকে সরিয়ে দিল।
–এসব তুমি কি বলছো ভাইয়া।
তানহা দু’জনের কান্ড দেখছে।কিছু বলছে না।কান ধরেছে।তাদের বিষয়ে কখনো কোনো কথা বলবে না।তারা যদি হ্যাঁ বলে,তাহলে হ্যাঁ।তারা যদি না বলে,তাহলে না।ইফাদ চৈতালিকে কিছু কথা শুনিয়ে রুমে পাঠিয়ে দিল।
–এই দেখো তোমার জন্য কি নিয়ে এসেছি।বলেই ঝালমুড়ি বের করে দিল।
–রাখো পরে খেয়ে নিব।
–তুমি আমার সাথে এমন করছো কেনো?কালকে ঘুরতে যাবে।
–না।
–এখনো রেগে আছো আমার ওপরে।
–না।
–আমাকে ভালোবাসো।
–না।একটু জোরেই বলল।
–বাবা রে কি রাগ।এখন সে,আমাকে ভালোও বাসে না।এই কথা পাড়া প্রতিবেশিরা জানলে লজ্জায় আমি কারো সামনে মুখ দেখাতে পারবো না।সবার সামনে দাঁড়াতে আমার কতটা শরম করবে।
–তাহলে ঘর থেকে বের হবে না।তাহলেই আর শরম করবে না।মানুষটা কতদিন পরে তার শরমের কথা বলল।তানহা মনে মনে হাসলো।কিন্তু বাহিরে প্রকাশ করলো না।তানহার মুখে গম্ভীর্য ভাব বিদ্যমান।
–আমি তোমাকে আলু কেটে দেই।
–না।
–তাহলে পেঁয়াজ কেটে দেই।
–এই আমি তোমাকে বলেছি আলু,পেঁয়াজ কেটে দিতে।নিজের কাজ করো গিয়ে,আমাকে একদম বিরক্ত করবে না।এতদিন পরে নাটক করতে আসছে।
–আমার কোনো কাজ নেই।আমার তোমাকে কাজ করে দিতে ইচ্ছে করছে।
–এতই যখন কাজ করতে ইচ্ছে করছে।পুরো সপ্তাহের কাপড় জমা করে রেখেছো।পারলে সেগুলো ধুইয়ে ফেলো যাও।
–আচ্ছা বলেই ইফাদ চলে গেল।তানহা নিজের কাজে মনযোগ দিল।আধাঘন্টা পরে ওয়াশরুম থেকে কাপড় কাঁচার শব্দ ভেসে এলো।তানহা দৌড়ে ওয়াশরুমের দিকে গেল।ইফাদ সত্যি সত্যি কাপড় ধুইতে শুরু করেছে।তানহার চোখ বড় বড় হয়ে গেল।মানুষটার মাথায় সমস্যা আছে নাকি।না হলে এই রাত করে কেউ কাপড় কাঁচে।তানহা ওয়াশরুমে গিয়ে সবকিছু নেড়েচেড়ে দেখতে লাগলো।সবকিছু দেখে তানহার মাথায় হাত।দৌড়ে রুমে গেল।রুমে কয়টা কাপড় বাদে সবগুলো ইফাদ ভিজিয়ে দিয়েছে।তানহা হাত দিয়ে নিজের কপালে দু’বার বারি মারলো।রেগে মুখ দিয়ে বলল।ইফাদের বাচ্চা।আমার কাজ কমিয়ে দেওয়া বদলে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।বলেই ওয়াশরুমের দিকে আসলো।এক বালতি পানি পুরোটাই ইফাদের মাথায় ঢেলে দিল।এবার তানহার শান্তি।ইফাদ বোকা বোকা মুখ করে তানহার দিকে চেয়ে রইল।
–এত কাপড় আমি কোথায় মেলে দিব।
–কেনো ছাঁদে।
তানহা রাগী দৃষ্টিতে ইফাদের দিকে তাকালো।ইফাদকে সরিয়ে দিয়ে কাপড় গুলো ধুইতে শুরু করলো।তানহার দিকে তাকিয়ে ইফাদ নিজের ওপরে রাগ হলো।বউয়ের কাজ কমাতে গিয়ে বাড়িয়ে দিলাম।বলে সে-ও তানহার সাথে কাপড় ধুইতে শুরু করলো।ভেজা কাপড় ফেলে রাখা যায় না।ভিজিয়ে রাখলে,সকাল হতে হতে গন্ধ হয়ে যাবে।তানহা মুখ ভার করে রেখেছে।
চলবে…..
.