ক্লাস টুয়ের বাচ্চাদের কে টিচার ৫টি ফুলের নাম লিখতে দিয়েছেন। এক বাচ্চা ঠিক মতই ৫টি ফুলের নাম লিখলেও টিচার তার একটি ফুলের নাম কেটে দেন। বাচ্চার মা জিজ্ঞেস করলে টিচার উত্তর দেন, এটা ফুল হলেও উনি যেগুলি পড়িয়েছেন সেগুলির মধ্যে নেই!
কাছের একজন সেদিন খুব আফসোস করে কথাগুলি বলছিলেন।
আমি প্রচণ্ড আশাবাদী মানুষ হলেও এইসব কথা শুনলে দেশের শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে খুব হতাশ হয়ে পড়ি।
আপনারা হয়ত ভাবছেন, এতে এত হতাশ হবার কি আছে!!
আছে, আছে, অনেক বেশি হতাশা আছে… এইরকম ঘটনাগুলি একদম ছোট বয়স থেকেই আমাদের বাচ্চাদের প্রতিভা, creativity সব নষ্ট করে দিচ্ছে। একটা বাচ্চাকে আপনি বলে দিচ্ছেন সে নিজের থেকে চিন্তা করে একটা ফুলের নাম লিখতে পারবে না। সে creativity দেখানোর পারমিশন তার নেই!!
এভাবে ফুলের নাম মুখস্ত করাতে করাতে আমরা একটা FOOL শিক্ষা ব্যবস্থা কায়েম করছি।
সন্তানের জন্য কিছু অপরিহার্য শিক্ষা
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে মা, বাবার এক ধরনের প্রবণতা দেখা যায়, সন্তানের শিক্ষা বলতে এরা মূলত দুই ধরনের শিক্ষাকে বোঝে। এক, একাডেমিক শিক্ষা , যেটা পুঁথিগত এবং যার একমাত্র লক্ষ্য হল জীবিকা অর্জন করা। দুই, ধর্মীয় শিক্ষা , এটাও ধর্মের মুল বা গভীরে না যেয়ে সম্পূর্ণ আচার ভিত্তিক শিক্ষা। জীবনের যতটা অংশ সন্তান, মা এবং সর্বোপরি একজন মানুষ হিসাবে কাটিয়ে এসেছি, সেই অভিজ্ঞতা থেকে, আমার মনে হয় সন্তানের শিক্ষার ব্যাপারে মা , বাবাদের যেসব ব্যাপারে খেয়াল রাখা দরকার, সেগুলো হলো
১। লাইফ স্কিল, বা দৈনন্দিন কাজ। রান্না করা, ঘর পরিষ্কার, কাপড় ধোঁয়া, বাজার করা, ছোট খাট ঘরের জিনিসের মেরামত, রোগীর সেবা এগুলো সব এর মধ্যে পড়ে।
২। অর্থনৈতিক শিক্ষা। টাকা জিনিসটা আয় করতে হয়, আয় করাটা সহজ নয় এবং আয় বুঝে কিভাবে ব্যয় করতে হয়। প্রয়োজনে স্বল্প আয়ে কিভাবে সুন্দরভাবে চলা যায়। মিতব্যায়িতা, অপচয় না করা, সঞ্চয় ইত্যাদি।
৩। শারীরিক এবং মানসিক ভাবে সুস্থ থাকার গুরুত্ব, এবং বিভিন্ন টেকনিক। সুষম খাদ্য, ব্যায়াম এগুলো সবাই জানে, কিন্তু মানে না। বাবা, মা না মানলে বাচ্চারাও মানবে না, অভ্যাসও হবে না। বাব, মায়েরা সন্তানদেরকে যথা সম্ভব যে কোন ঝড় ঝাঁপটা থেকে আড়াল করে রাখে। যার ফলে জীবনের যে স্ট্রেস এটা কিভাবে সামলাতে হয় সেই প্রস্তুতি আমাদের কারোরই থাকে না। এটা পরবর্তী জীবনে বিশাল প্রভাব ফেলে। যে বাচ্চাটা বাসায় আরামে বসে খালি লেখা পড়া করে ভালো ফলাফল করছে, আর যে হোস্টেলের বৈরি পরিবেশে থেকে টিউশানি করছে তাদের জীবনের প্রস্তুতি সমান না। এক্ষেত্রে পরেরটা অনেক বেশি কার্যকর। আরেকটা জিনিস হচ্ছে বাচ্চাদেরকে হারতে দিতে হবে, এবং পরাজিত হওয়ার পর নিজে নিজে উঠে দাঁড়ানোর ব্যাপারে উৎসাহী করতে হবে। জীবনের গল্প কিন্তু ব্যর্থতারই হয় বেশি। যে যতো সহজে সেটা মেনে নেয় জীবন তার জন্য তত সহজ।
৪। নৈতিক এবং মানবিক শিক্ষা। এটা ধর্ম ভিত্তিক হতে পারে, কিন্তু ধর্মের মানবিক সৌহার্দ্য, সমাজ, পৃথিবী, মানুষের প্রতি মানুষের আচরণ, দায়িত্ব, সমান অধিকার, নারী পুরুষের সম্পর্ক, অধিকার, এবং ন্যায় অন্যায়ের পার্থক্য এই বিষয়গুলো ফোকাস করতে হবে।
৫। একাডেমিক শিক্ষা যেন খালি পুঁথিগত শিক্ষা বা জীবিকা অর্জনের লক্ষ্যে না হয়। আনন্দের সাথে জ্ঞান অর্জন না হলে সেটা এক বিরাট বোঝা। জীবিকার দরকার অপরিহার্য। কিন্তু জীবিকার প্রয়োজন জীবনের জন্য। এটা সামগ্রিক জীবনের একটা অংশ।
৬। এই শেষ ব্যাপারটায় হয়তো অনেকে দ্বিমত হবেন। আমি সন্তানদেরকে কিছু দার্শনিক এবং ভাবগত শিক্ষা দেওয়ার পক্ষে। যেমন জীবনে সফল হওয়ার চেয়ে সুখী হওয়াটা অনেক বেশি জরুরি। অল্পে সন্তুষ্টি হওয়া সুখী হওয়ার জন্য দরকার। পরিবারের চেয়ে ভালো বন্ধু কেউ নাই। পারিবারিক বন্ধন এবং সম্প্রীতি জীবনের অন্যতম বড় সুখ। ছোট সুখগুলো গভীর। প্রকৃতি মানুষের বিশ্বস্ত, ভালো বন্ধু। সহজ, সরল জীবন যাপন জীবনের এক বিশাল আশীর্বাদ। সৃষ্টির আনন্দ এক গভীর আনন্দ। আরেক আনন্দ হলো সমাজ, পৃথিবী, মানুষ যে কারো জন্য কিছু করতে পারা, বিশেষ করে যে কোন দুঃসময়ে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। ক্ষমা করতে পারা নিজের জন্য শান্তিদায়ক। মানুষের জীবনে ভালো বন্ধু দরকার, তবে খুব অল্প কয়েক জন এবং এটা দুর্লভ। যে কোন অবস্থায় নিজের মেরুদণ্ড সোজা রাখতে হবে। নিজের সাথে মানুষ কখনো প্রতারণা করতে পারে না। লাইফ ইজ নট এ ফেয়ার গেম। লাইফ ইজ অল এবাউট ব্যালান্স। জীবনের সব ক্ষেত্রে এটা প্রয়োজন। যে কোন কিছুর অতিরিক্ত খারাপ। মাত্রারিক্ত ভোগ আত্মার মৃত্যু ঘটায়।
আমি নিজে যেহেতু স্রষ্টার অস্তিত্বে বিশ্বাস করি এবং পরকালে বিশ্বাস করি, সেহেতু আমি মনে করি এই দুটো জিনিসও শিক্ষা দেওয়া অপরিহার্য। তবে তার আগে জানতে হবে কেন করি। যুক্তি আর বিশ্বাস যে দুটো সম্পূর্ণ আলাদা জিনিস এবং পৃথিবীর সব কিছুতেই সাদা, কালো আইডেন্টিফাই করার ক্ষমতা আমার নাই, ধূসর অংশটার অস্তিত্ব অনস্বীকার্য সেটা শুরুতে পরিষ্কার করে নেওয়া ভালো। নাহলে, হিতে বিপরীত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
“হ্যালোইনের রাতে একটা শিশুর দেয়া এক মহৎ শিক্ষা” ( সত্য ঘটনা)
হ্যালোইনের ঠান্ডা শীতের রাত। ভদ্রলোকের বাসায় আছে চকলেট মাত্র এক প্যাকেট। একেতো প্রচণ্ড ঠান্ডা তার ওপর বৃষ্টি। ভদ্রলোক ভাবছেন- এই এক প্যাকেট চকলেটেই হয়ে যাবে। আর এতো ঠান্ডার রাতে হয়তোবা তেমন কেউ আসবেনা।
উনার ধারণা ভুল । কিছুক্ষণ পরই কলিং বেলের শব্দ। নানা সাজে ছোট ছোট শিশুরা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
ভদ্রলোক চকলেট রাখা লাল-বাক্সটা এগিয়ে দেন।
একটা অথবা দুটোর বেশি চকলেট কেউ নেয় না।
একদল আসে। আরেক দল যায়।
ভদ্রলোক একসময় খেয়াল করলেন- উনার বাক্সের তলায় আর মাত্র তিনখানা চকলেট পড়ে আছে।
রাত হয়ে গেছে বেশ।
উনি দরজা বন্ধ করে চেয়ারে বসতে না বসতেই আবার ক্রিং ক্রিং।
ভদ্রলোক ভাবছেন- এই হীম শীতল রাতে শিশুরা দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। দরজা না খোলে চুপ করে থাকেন কেমন করে?
উনি দরজা খোললেন । বেশ কয়েকজন দাঁড়িয়ে।
চকলেট আর নেই বলে -ওদের সামনে এবার দরজাটা কি বন্ধ করে দিবেন।
কী একটা দুঃখ নিয়ে ওরা চলে যাবে।
এই ঘরের সামনে দিয়ে ওরা যতবার যাবে-ততবার মনে করবে- ওদের মুখের সামনে দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো।
উনি চকলেটের বাক্সটা এগিয়ে দেন।
প্রথম জন একটা চকলেট নিলো। ২য় জন দুটো।
এবার ৩য় জন এগিয়ে এলো। ছোট শিশু। মুখে মুখোশ। শুধু চোখ আর ঠোঁট দুটো খোলা।
বললো- তোমার বাক্সতো একেবারে খালি। একটি চকলেটও নেই।
হ্যাঁ, আমি খুবই দুঃখিত। আমার আর নেই।
এরপর ঘটলো এক অবাক কাণ্ড । যেটা দেখার জন্য ভদ্রলোক তৈরি ছিলেন না।
শিশুটি কী যেন ভাবলো। তারপর-তার চকলেট রাখার ব্যাগে হাত ঢুকিয়ে এক মুঠো চকলেট বাক্সে রাখলো। এরপর আরেকমুঠো। তারপর উনাকে বিস্ময়াবিভূত করে দিয়ে পুরো চকলেটের ব্যাগ উপুর করে উনার বাক্সে ঢেলে দিয়ে বললো- এই নাও। এগুলো সব তোমার। আমরাতো আরো অনেক ঘরে যাবো। সেখান থেকে নিয়ে নিবো।
কিন্তু তোমার ঘরে কেউ এসে কেউ যদি চকলেট না পেয়ে ফিরে যায় তবে -তুমিও কষ্ট পাবে, ওরাও কষ্ট পাবে।
শিশুটা তার মুখও দেখালো না। নামও বললো না । সে নিজেকে দেখাবার জন্য কিংবা নিজের প্রসংশা পাওয়ার জন্যও কিছু করলোনা। শুধু দেখালো তার – একটা মহৎ হৃদয়। প্রচণ্ড শীতের রাতে ঘরে ঘরে গিয়ে সংগ্রহ করা তার সব চকলেট সে অজানা , অচেনা এক মানুষকে কী অবলীলায় দিয়ে দিলো। যেন অন্য কোনো শিশু এসে খালি হাতে ফিরে না যায়।
এই যে শিশুর বিশাল হৃদয় এর এক কণাও যদি প্রচন্ড দেশপ্রেমিক এই আমাদের থাকতো- তবে একশটি গাছ লাগাতে এগারো কোটি টাকা খরচ হতোনা, বিশ টাকায় পিঁয়াজের দাম দুশত বিশটাকা হতোনা, ব্যাংক, শেয়ার বাজারে হরিলুট হতোনা, লোহার বদলে ভবনে বাঁশ ঢুকতনা , একটা বালিশ ভবনের ওপরে ওঠাতে সাড়ে তোরো হাজার টাকা খরচ হতোনা।
কাউকে দয়া করে আপনাদের একটা চকলেটও দেয়ার দরকার নেই । শুধু আরেকজনের যে অধিকারটুকু আছে তার সে অধিকারটুকু হরণ করে না নিলেই হলো। মনে রাখবেন- প্রতিটি দূর্নীতির সাথে কোনো না কোনো মানুষের অধিকার হরণ জড়িয়ে আছে।
Arif Mahmud
নৈতিক শিক্ষা।
ছোট বেলায় শিখেছিলাম, খাবার সময় একটা ভাত ও ফেলা যাবেনা।ফেল্লে তুলে খেতে হবে,না হলে কিয়ামত এর দিন একটা ভাত বিরাট চাল কুমড়া হবে।সেই চাল কুমড়া এক কামড়ে খেতে হবে।।এক কামড়ে চাল কুমড়া খাবার ভয়ে তাড়াতাড়ি ভাত তুলে খেয়ে ফেলতাম।
এই গল্প বলে আমার সন্তান দের ও ভাত খাওয়াতাম।
ছোট বেলায় মা বলেছিলেন, আমাদের দুই কাধে দুই ফেরেশতা আছেন।একজন ভাল কাজের হিসাব আরেক জন খারাপ কাজের হিসাব লিখে রাখছেন।মৃত্যু র পরে এই হিসাবের খাতা আল্লাহর কাছে জমা৷ হবে।ভাল মন্দের বিচার হবে।আল্লাহ সব দেখছেন।
দিনে দিনে বড় হচ্ছি,মাঝে মাঝে কাধের দিকে তাকিয়ে দেখতাম,ভাবতাম সত্যি ই কি সব লিখে রাখছেন।, আল্লাহ তো সব দেখছেন।
তখন বয়স নয়,দশ,এখনো স্পষ্ট মনে আছে, আমাদের বাসা আর মামার বাসা একই শহরে। হেটেই যাওয়া যায়।একদিন মামার বাসায় গেলাম।মামাতো বোনের পড়ার টেবিলের পাশে সাজিয়ে রেখেছে ছোট ছোট বেতের খেলনা।কূলা,ডোলা আরও কত কি।বেতের ছোট্ট কূলাটি এত সুন্দর, মনে হচ্ছিল এই কূলাটি না পেলে আমার চলবেইনা।।লোভের কাছে পরাজিত হয়ে গেল আমার ছোট্ট মন।কূলাটি জামার নীচে প্যান্টের মধ্যে গুজে বাসায় চলে এলাম।
বাসায় এসে ভয়ে আনন্দ সব উবে গেল।আমার আরো কটা বোন আছে,তাদের সামনে জিনিস টি বের করতে পারছিনা, না না প্রশ্ন করবে। আম্মা জানলেতো খবর ই আছে। তাছাড়া দুই কাধের ফেরেশতারাতো এতক্ষণে আমার চুরির ঘটনা লিখে ফেলেছেন।হায় আল্লাহ, আমার কি শাস্তি হবে।চিন্তায় সারা রাত ঘুম হলনা।বিবেক কি জিনিস তখনও জানিনা।তবে সেই প্রথম বিবেকের যন্ত্রণা অনুভব করলাম।
পরদিন আবার মামার বাসায় গেলাম।চুপিচুপি মামাতো বোনের ঘরে নির্দিষ্ট জায়গায় কূলাটি রেখে দিলাম।মনের সমস্ত যন্ত্রণা দূর হয়ে স্বস্তির নিশ্বাস ফেল্লাম।
ভিকারুননিসার মুল প্রভাতী জুনিয়র শাখায় শিক্ষকতা করি।আমার পড়ানোর ধরন ই ছিল ছোট ছোট গল্প বলে বাচ্চাদের মোটিভেট করা।ক্লাশ টু বা থ্রীর অংক ক্লাশ করাচ্ছি।ক্লাশ শেষে আমার ছোট বেলার কূলা চুরির ঘটনাটি বল্লাম।বলার কারন ছিল।প্রায়ই অভিযোগ আসতো।অমুকে আমার পেন্সিল চুরি করেছে,তমুকে রাবার চুরি করেছে।যার নামে বিচার আসতো সে তারস্বরে প্রতিবাদ করতো।বিচার করবো না ক্লাশ করাব।
আমার গল্পটা বলেছিলাম এই জন্য যেন ওরা আমাকেও ওদের সমগোত্রীয় ভাবে। আমার মনেও লোভ ছিল এবং আমি সেই লোভ টাকে পরাজিত করেছিলাম। গল্পটা বলে আর বলেছিলাম,বন্ধুরা এত সুন্দর সুন্দর রাবার, পেন্সিল , রং পেন্সিল দিয়ে লিখে,।অন্যেরটা নিতে লোভ জাগতেই পারে।চুপ করে নিতে ইচ্ছে হতে পারে।কিন্তু অন্যের জিনিস নেয়াটাতো চুরি।আমাদের দুই কাধের ফেরেশতা রা সব লিখে রাখছেন। আল্লাহ সব দেখছেন।লোভ হলেও সেটা কন্ট্রোল করতে হবে।মনের লোভের কাছেতো আমরা পরাজিত হতে পারিনা তাইনা।সবাই মাথা হেলিয়ে সায় দেয়।
আবার বল্লাম, অনেক বন্ধু রা পেন্সিল রাবার হারিয়ে ফেলতে পারে।সেটা পেলেও জমা দিতে হবে।কারন আল্লাহ ভাল কাজের পুরস্কার দেন।
এরপর থেকে দেখতাম খুজে পাওয়া রাবার পেন্সিল এ আমার টেবিলে জমা দেয়ার হিড়িক পড়তো।অনেকে লোভ করে তুলে নিলেও ফেরত দিয়ে বলতো এটা ডেস্কের নীচে পেয়েছি।
নৈতিকতা র শিক্ষাটা ঘর থেকেই শুরু হয়।একজন বাচ্চার প্রথম শিক্ষক বাবা মা,পরিবারের গুরুজন তারপর বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
আজকাল নৈতিকতা র অবক্ষয় দেখে কষ্ট হয়।যে যেখানে আছি চলুন শিশুদের নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেই,নিজেরাও পালন করি।