কালোবউ পর্ব ১৪
লেখিকাঃ Tahmina Toma
পর্বঃ ১৪
আকাশঃ(মেঘলার দৃষ্টি অনুসরণ করে সামনে তাকাতেই মুখটা রাগে লাল হয়ে গেলো)
মেঘলাঃ আপু,,,,,,,,,
রুপঃ মেঘমনি,,,,,,,,,,,,(অনেকটা দৌড়ে মেঘলার কাছে গিয়ে জরিয়ে ধরলাম)মেঘমনি তুই এখানে?? তুই এখানে কীভাবে এলি??
মেঘলাঃ তার আগে তুমি বলো এতদিন কোথায় ছিলে?? আজ ৩ বছর পর তোমাকে দেখলাম। তুমিও কী এখন মামার মতো হয়ে গেছো?
রুপঃ না রে মেঘমনি বাবার মতো হয়নি। ফুপির মতো হয়ে গেছি।
মেঘলাঃ মানে???
রুপঃ কারো সাথে যোগাযোগ নেই আমার। ফুপির মতো আমাকেও বাবা ত্যাজ্য করেছে ( কান্না ভেজা কন্ঠে)
মেঘলাঃ কেন,,, তুমি কী করেছো??
রুপঃ একই দোষ যা ফুপি করেছে,,,। রবিনকে বিয়ে করেছি ভালোবেসে। ফুপির সাথে আমি যোগাযোগ করতাম সেটা বাবা জানতো তাই বলেছে ফুপির থেকেই নাকি এসব শিখেছি। আমার দোষের ভাগীদার ফুপিকে কেন করবো তাই তোদের সাথেও যোগাযোগ করিনি।
মেঘলাঃ মামা সবসময় বেশি বেশি করে (আমার মা আর বাবা ভালোবেসে বিয়ে করেছে। মামা অনেক ধনী সেখানে আমার বাবা গরীবের ছেলে। মামা সব জানার পর মাকে অন্য কারো কাছে বিয়ে দিতে চাইলে বাবা-মা পালিয়ে যায়। কিন্তু মামা মেনে নেইনি সে নাকি ভুলে গেছে তার কোন বোন ছিলো। নীলাঞ্জনা আর রুপাঞ্জনা আমার মামাতো বোন। নীলা আপু বড় আর একদম শান্তশিষ্ট আর রুপ আপু একদম তার বিপরীত অনেক চঞ্চল। রুপ আপু যখন ক্লাস টেনে পড়ে তখন আমাদের সাথে যোগাযোগ করে মামার অজান্তে। নানুর থেকে নাকি মার গল্প শুনেছে ছোটবেলা থেকে। টেনে ওঠার পর আমাদের বাড়িতে আসে তখন আমি ক্লাস ফাইভে পড়ি। আপু আমার পাঁচ বছরের বড়। এরপর থেকে প্রায় আমাদের বাড়িতে যেত। মাঝে মাঝে থাকতো মামাকে বান্ধবীর বাসায় থাকবে বলতো। বাবা-মার পরে যদি আমাকে কেউ ভালোবাসতো মনে হয় তাহলে রুপ আপু ভালোবাসতো। ভাইয়াও আমাকে এতটা ভালোবাসে না যতটা রুপ আপু বাসে। রুপ আপুই নানু বাড়ির সবার সাথে দেখা করিয়েছে মিথ্যা পরিচয় দিয়ে। আর আমি এতটা দুষ্টুও হয়েছি আপুর সাথে থেকে। ৩ বছর আগে হঠাৎ করে যেন আপু গায়েব হয়ে যায়। নানু বাড়িতে খোঁজ নিয়েও কিছু জানতে পারিনি।)
রুপঃ কিন্তু মেঘমনি তুই এখানে কীভাবে এলি??
মেঘলাঃ আমি,,,,,,,,,,
আকাশঃ হ্যালো মিস রুপাঞ্জনা,,,,,,,,ওহ্ সরি সরি মিসেস রবিন মির্জা,,,,,,,,
রুপঃ আ,,,,,,আকাশ ত,,,তুমি??
আকাশঃ Yes,,,,,i am Mister Akash Chowdhury,,,, son of Ashiq Chowdhury and owner of Chowdhury Group of Company. চিনতে পেরেছেন তাহলে। আমিতো ভাবলাম এত বড় বিজনেসম্যানের ওয়াইফ হয়ে আকাশ নামে কেউ ছিলো সেটা ভুলেই গেছেন।
মেঘলাঃ আপনি আপুকে চেনেন?? (অবাক হয়ে)
আকাশঃ আমার থেকে ভালো কেউ চেনে না (দাঁত কটমট করে)
মেঘলাঃ মানে???
রুপঃ মে,,,,,,মেঘমনি তুই আকাশ কে চিনিস??
মেঘলাঃ হ্যাঁ,,,,, উনিতো,,,,
আকাশঃ ওহ্ সরি সরি আমিতো পরিচয়ই করিয়ে দিলাম না। মিসেস মির্জা মিট মাই লাভলী ওয়াইফ মিসেস আকাশ চৌধুরী ওরফে মেঘলা মনি। আপনার কী পরিচয় দেই বলুনতো??বিখ্যাত বিজনেসম্যান রবিন মির্জার স্ত্রী নাকি আমার,,,,,,,,,,
রুপঃ ম,,,,,মেঘমনি আকাশ ঠিক বলছে??? (সব যেনো মিথ্যে হয়। এটা হতে পারে না। আকাশ যে প্রতিশোধ নেবার জন্য আমার দূর্বল জায়গাটা বেছে নেবে ভাবতেই পারিনি। আমার জন্য আমার মেঘমনির জীবন নষ্ট হতে পারে না। আকাশ যে প্রতিশোধের নেশায় অন্ধ হয়ে এই নিষ্পাপ মেয়েটাকে কষ্ট দেবে)
মেঘলাঃ হ্যাঁ কিছুদিন আগেই বিয়ে হয়েছে।
রুপঃ (নো নো নো আকাশ তুমি এটা করতে পারো না। কেন আকাশ কেন?? তোমার রাগতো আমার ওপর মেঘলাকে কেন মাঝে এনেছো??)
মেঘলাঃ কী হয়েছে আপু?? আর তুমি উনাকে চিনো কিভাবে??
আকাশঃ কারণ আমি তোমার আপুর এ,,,,,,,
রুপঃ আমার এক বান্ধবী আছে না বেলী?? ওর ভাইয়ের বন্ধু আকাশ। সেখান থেকেই চিনি আর বন্ধুত্বও হয়। (মেয়েটার মনটা যে বড্ড নরম। অনেক কষ্ট পাবে প্লিজ আকাশ বলো না। ওর কাচের মতো মনটা ভাঙলে কোনদিন জুড়তে পারবে না তুমি আকাশ)
আকাশঃ(কতদিন বোনকে আগলে রাখবে মিসেস রুপাঞ্জনা। প্রত্যেকটা অপমানের বদলা নেবো। আমাকে অপমান করে শান্ত হওনি তুমি আমার মা কেউ অপমান করেছিলে। এবার দেখবে মানুষের সামনে অপমান হতে কেমন লাগে আর আপনজনের অপমান দেখতে কেমন লাগে??(শয়তানি হাসি দিয়ে)
লেডিস এন্ড জেন্টেলম্যানস আপনাদের সবাইকে স্বাগতম জানাচ্ছি বিজনেস এওয়ার্ড ২০২০ এর ফাংশনে আমি রুমানা কবির। এর মধ্যেই দেশের সকল গন্যমান্য বিজনেসম্যানরা এসে উপস্থিত হয়েছেন। কিছুইক্ষণের মাঝে আমরা ফাংশন শুরু করবো,,,,,,,,৷
মেঘলাঃ আপু চলো বসি,,,,,,,
রুপঃ হ,,,,,,হুম
আকাশঃ মিসেস রপাঞ্জনা আপনি আপনার হাসবেন্ডের কাছে যান আর মেঘলা চলো(মেঘলার হাত ধরে)
মেঘলাঃ কিন্তু আপু,,,,,,,,,,,,
আকাশঃ(রাগি চোখে তাকালাম)
মেঘলাঃ(উনার তাকানো দেখে চুপ করে গেলাম। একে একে সব এওয়ার্ড দেওয়া হলো। এবার এবছরের টপ বিজনেসম্যান এওয়ার্ড দেওয়া হবে)
এবছরের টপ বিজনেসম্যানদের তালিকার শীর্ষে যার নাম আছে তা শুনে অনেকেরই অবাক হয়ে যাবেন। বিজনেস জগতে একদম নতুন মুখ। তিনি নতুন হলেও কিন্তু তার কোম্পানি এর আগে বহুবার টপ কোম্পানির এওয়ার্ড পেয়েছেন।
রবিনঃ এটা কী করে হতে পারে?? আমি ছাড়া এই এওয়ার্ড পাওয়ার যোগ্যতা নেই কারো,,,তাহলে???
,,,দিস এওয়ার্ড গোস টু দি ওনার অফ চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানি,,,, মিস্টার আকাশ চৌধুরী।
রবিনঃ এটা হতে পারে না(রাগে লাল হয়ে)
আকাশঃ (এটাতো কেবলমাত্র শুরু মিস্টার রবিন মির্জা। আমি আশিক চৌধুরীর মতো বোকা নই তাই আমাকে দূর্বল মনে করিস না।)
মাঃ আকাশ,,,,,,, (অবাক চোখে তাকিয়ে আছে আকাশের দিকে। চাঁদ আর মেঘলারও একি অবস্থা)
চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানির কথা আমরা সবাই জানি।গত ৩ বছর আগেও টপ কোম্পানি ছিলো এই চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানি আর টপ বিজনেসম্যান ছিলেন কোম্পানির ওনার মিস্টার আশিক চৌধুরী। পর পর পাঁচবার এই এওয়ার্ড পাওয়ার রেকর্ড গড়েছিলেন তিনি। সেটা এখনো কেউ ভাঙতে পারনি। দূর্ভাগ্যবশত তিনি আর আমাদের মাঝে নেই। আশিক চৌধুরীর হঠাৎ মৃত্যুতে হুমকির মুখে পড়ে গিয়েছিলো চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানি। কিন্তু তা হতে দেয়নি তার যোগ্য পুত্র আকাশ চৌধুরী। বাবার হাতে নেওয়া বিগ প্রজেক্ট কমপ্লিট করেছেন তিনি। বিজনেস ওয়ার্ল্ডে একদম নতুন হওয়ায় এত বড় প্রজেক্ট কমপ্লিট করা তার জন্য সহজ ছিলো না। কিন্তু সে করে দেখিয়েছে। প্রমাণ করেছেন তিনি আশিক চৌধুরীর যোগ্য ছেলে এবং চৌধুরী গ্রুপ অব কোম্পানির যোগ্য ওনার। প্লিজ ওয়েলকাম মিস্টার আকাশ চৌধুরী।
আকাশঃ উত্তর পেয়ে গেছেন মিসেস মির্জা??(যাওয়ার সময় রুপের সামনে চাপা স্বরে)
রুপঃ,,,,,,,,,,,,,,
আকাশঃ এতো কেবল শুরু মিসেস মির্জা। আরো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে আপনার।
রুপঃ ( কী করবে আকাশ???)
আকাশঃ (এওয়ার্ড হাতে নিয়ে) এটার অর্জন করার পেছনে অনেকের অবদান আছে। প্রথমত আমার বাবা যে আমার আদর্শ। আর দ্বিতীয়ত আমার মা যে আমাকে সাহস জুগিয়েছে। আরো একজনের অবদান আছে অনেক বেশি। তার পরিচয় আপনাদের অজানাই থাক। আর সবশেষে আমি ধন্যবাদ দিতে চাই আমার কোম্পানির সকল সদস্যদের। তাদের সাহায্য ছাড়া এটা কখনোই সম্ভব হতো না।
(করতালিতে ভরিয়ে তুলেছে সবাই। ফাংশন শেষে মেঘলাকে পরিচয় করিয়ে দেয় সবার সাথে। মেঘলা আকাশের স্ত্রী এটা জানার পর অনেকে কানাঘুষা করছে)
,,,,,এই কালো মেয়েকে কী দেখে বিয়ে করেছে আকাশ চৌধুরী??
,,,,,এই মেয়েতো আকাশ চৌধুরীর কাজের লোক হওয়ারও যোগ্য না।
,,,,,,,,দেখো গিয়ে হয়তো ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে।
মেঘলাঃ( ইচ্ছে করছে এখান থেকে ছুটে পালিয়ে যাই। এসব কথাও শোনার বাকি ছিলো?? হে খোদা আর কত অপমান আমার কপালে লিখে রেখেছো?? কেন করছেন এমন আকার ?? কী ক্ষতি করেছি আমি আপনার ??)
আকাশঃ ( এটাইতো চেয়েছিলাম আমি। তাহলে এখন সয্য হচ্ছে না কেন এসব কথা? মেঘলার চোখে পানি টলমল করছে। আমার দিকে তাকিয়ে আছে। হয়তো ভাবছে প্রতিবাদ করবো বা ভাবছে এই অপমান করার জন্যই এনেছি কিনা। কিছু বলতে যাবো আবার মনে পড়ে গেলো মেঘলা আর রুপের কোন পার্থক্য নেই। তাই চোখ ফিরিয়ে নিলাম মেঘলার চোখের পানি সয্য করতে কষ্ট হচ্ছে। এবার চোখ গেলো রুপের দিকে। মেঘলার দিকে তাকিয়ে আছে ছলছল চোখে। রুপের চোখের পানি যেন আমার বুকের আগুন ঠান্ডা করছে। ওর চোখে পানি দেখে খুব শান্তি লাগছে।) কেমন লাগছে রুপ আপনজনের অপমান?? (শয়তানি হেসে)
রুপঃ আ,,,আকাশ মেঘমনি শুধু আমার আপনজন নয় তোমার স্ত্রী,,,,,,, (করুনসুরে)
আকাশঃ মেঘলা আমার কাছে প্রতিশোধ নেবার একটা গুটি মাত্র। আর তোমার বোন তোমার থেকে কম নয়।
রুপঃ ওতো তোমাকে চিনতোও না ও তোমার কী ক্ষতি করেছে??
আকাশঃ আমার ক্ষতি করেনি,, করেছে অন্যকারো। তোমার মতো তোমার বোনও কারো মন ভেঙেছে আর আমার বিশ্বাস।
রুপঃ তুমি ভুল করছো আকাশ। মেঘমনি কারো মন ভাঙতে পারে না। ওকে চিনতে ভুল করেছো আকাশ।
আকাশঃ ওকেতো ঠিকই চিনেছি ভুল চিনেছিলাম তোমাকে।
রুপঃ এমন কিছু করো না আকাশ যার জন্য পরে পস্তাতে হয়।
আকাশঃ কেন পস্তাবো মেঘলার জন্য। হাহাহা ও আমার কাছে শুধু তোমার দূর্বলতা ছাড়া আর কিছুই না।
রুপঃ আমার দূর্বলতা যেন তোমার দূর্বলতায় পরিণত না হয় (রহস্যময় হেসে)। মেঘমনি যদি তোমার কাছে শুধুমাত্র আমার দূর্বলতায় হয়ে থাকে তাহলে ওর অপমান দেখেতো তোমার খুশী হওয়ার কথা। কিন্তু তোমার চোখে আমি খুশী নয় কষ্ট আর রাগ কেন দেখতে পাচ্ছি?? যারা আজে বাজে কথা বলছে তাদের দিকে রাগী চোখে কেন তাকাচ্ছো??
আকাশঃ তু,,,,,,তুমি ভুল দেখেছো। আমার কষ্ট হচ্ছে না তৃপ্তি হচ্ছে। যতটা না মেঘলার অপমান দেখে তার থেকে বেশী তোমার চোখের পানি দেখে হাহাহা।(চলে এলাম রুপের সামনে থেকে। সত্যি আমি খুশী হতে পারছি না। যারা বাজে কথা বলছে ইচ্ছে করছে তাদের জিহ্বা কেটে ফেলতে কিন্তু কেন??)
মেঘলাঃ( উনার নিরবতা আরো বেশী কষ্ট দিচ্ছে। নিজে অপমান করে সেটা কী কম ছিলো যে এখানে এনে অপমান করতে হতো)
,,,,,,,,এইসব মেয়েরা ছেলেদের ভালোই বস করতে পারে।
চাঁদঃ কেন আন্টি আপনার সুন্দরী বউমা পারে না?? সে তো নিজের স্বামী বস করেছে সাথে পরের স্বামীও। কী লাভ চেহারা সুন্দর হয়ে যদি মন সুন্দর না হয়?? এনেছিলেন তো সুন্দরী বউমা, ছেলে রেখে পরকিয়া করে।(মহিলা মাথা নিচু করে ফেলেছে। কোন মতে সেখান থেকে চলে যায়) আর আন্টি আপনি কী বলেছেন যেন?? আকাশ চৌধুরী কী দেখে এমন কালো মেয়ে বিয়ে করেছে?? আসলে হয়েছে কী আকাশ চৌধুরীর কালো রঙটা একটু বেশি পছন্দ। গাড়ী কিনে কালো, ড্রেস পরে কালো, রুমের রং কালো তাই বউটাও কালোই এনেছে। আপনাদেরতো আবার কালো রঙে সব ভালো লাগে। এই দেখেন না আকাশ চৌধুরীর ব্লাক কারটা দেখে সবাই ওয়াও ওয়াও করছিলেন, দামী কালো ড্রেস দেখলে বলেন ওয়াও কী সুন্দর?? কিন্তু কালো মানুষ দেখলে নাক ছিটকান। আপনারা সুন্দর বলতে বুঝবেন শুধু সাদা চামড়া। সৌন্দর্যের মানে জানেন আপনারা? আর আপনি কী বলেছেন আকাশ চৌধুরীর কাজের লোক হওয়ারও যোগ্য না। গায়ের রং দিয়ে যোগ্যতা যাচাই করা যায়?? আপনার গায়ের রং ছাড়া আর কী যোগ্যতা আছে আঙ্কেলের স্ত্রী হওয়ার। লেখাপড়া কতটা করছেন আপনার বেশ দেখলেই বুঝা যায়। দেখে মনে হয় এওয়ার্ড ফাংশন না বিয়ে বাড়িতে এসেছেন। আর আপনার মেয়েকেতো শিখিয়ে দিয়েছিলেন ছেলেদের কীভাবে ফাঁসাতে হয়?? তাইতো বড়লোকের ছেলে ফাঁসিয়ে বিয়ে করেছে যার আগে বউ আছে। সবাইকে নিজের মতো ভাবেন।
,,,,,,,,,আকাশ চৌধুরীর বোনটাতো খুব বেয়াদব। ছোট একটা মেয়ে বড়দের সাথে কীভাবে কথা বলছে।।
চাঁদঃ এই যে দেখেছেন এতক্ষন এতগুলো মানুষ মিলে একজনকে অপমান করছিলেন তাতে কিছু হলো না। আমি যেই প্রতিবাদ করেছি অমনি বেয়াদব হয়ে গেলাম। অদ্ভুত না ব্যপারটা??
রুপঃ যার স্ত্রী সেই প্রতিবাদ না করে চুপ করে আছে। তুমি বলে কী করবে চাঁদ ?? কিন্তু মেঘমনি কোথায়??
চাঁদঃ সত্যি তো ভাবি কোথায়?? মা ভাবি কোথায়??
মাঃ আমিতো খেয়াল করিনি। কোথায় বউমা??
রুপঃ মেঘমনি,,,,,,,,,,,, (মেয়েটা যে বড্ড অভিমানী। কিছু করে বসবে নাতো??)
আকাশঃ (সত্যি তো মেঘলা কোথায়??)
রুপঃ মিস্টার আকাশ চৌধুরী আমার বোনের যদি কিছু হয় আপনাকে আমি বুঝাবো প্রতিশোধ কাকে বলে??(আকাশের সামনে গিয়ে চাপা স্বরে)
চলবে,,,,,,,,,
.