নবীজির ৪০ হাদিস
1.রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেন- যে ব্যক্তি আমার চল্লিশটি হাদীস আমার উম্মতের কাছে পৌঁছাবে, তার জন্য আমি কিয়ামতের দিন বিশেষ ভাবে সুপারিশ করব।
2. মানুষের মধ্যে যারা মৃত্যুকে বেশি স্মরণ করে এবং উহার জন্য প্রস্তুতি নেয় তারাই সবচেয়ে বুদ্ধিমান।
3. প্রত্যেক জিনিসের যাকাত আছে, আর দেহের যাকাত হচ্ছে রোজা।
4. যে তার সময় আল্লাহর জন্য ব্যয় করে না, তার জন্য জীবন অপেক্ষা মৃত্যু শ্রেয়।
5. যারা সবসময় ইস্তিগফার (ক্ষমা প্রার্থনা) করে তাদের সাথে উঠা
বসা করুন, কেননা তাদের হৃদয় সবচেয়ে কোমল হয়।
6. তুমি যত সিজদাহ্ দিবে, আল্লাহ তত গুনাহ মাফ করে দিবেন।
7. সুরা ফাতিহা প্রায় ১০০০ রোগের ঔষধ।
৪. হাতের তালুতে জ্বলন্ত আগুনের কয়লা রাখলে যেমন কষ্ট হবে, তার চেয়ে বেশি কষ্ট হবে শেষ জামানায় ইমান রাখতে।
৭. রোজাদারদের জন্য প্রতিদিন জান্নাত সুসজ্জিত করা হয়।
10. রাসুল (সাঃ) বলেছেন- কিয়ামতের দিন সব নবীর চেয়ে আমার উম্মতের সংখ্যা বেশি হবে এবং আমিই সর্বপ্রথম জান্নাতের দরজা খুলবো।
[সহীহ্ মুসলিম-১৯৬]
11. যে ব্যাক্তি রোজা রাখা অবস্থায় মারা যাবে আল্লাহ তাকে কেয়ামত পর্যন্ত সকল রোজার সাওয়াব দান করবেন।
12. যে ব্যাক্তি ফযরের নামাজ আদায় করল, সে আল্লাহর হিফাজাতে চলে গেলো।
13. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন- রোজা ও কোরআন কিয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে। (মুসনাদে আহমাদ: হাদিস ৬৬২৬)
14. নবীজি বলেছেন, রোজাদারদের জন্য সবচেয়ে বড় খুশির সংবাদ হলো, হাশরের মাঠে আল্লাহ সবার আগে রোজাদারদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।
15. যখন রমজান আসে, তখন জান্নাতের দরজা খুলে দেওয়া হয়।
16, রাসূল (সাঃ) বলেন, যখন কোনো বান্দা আল্লাহর দিকে দুটি হাত উঠায়, তখন তিনি তা ব্যর্থ বা শূন্য ভাবে ফিরিয়ে দেন না।
(তিরমীজি-৫/৫০২)
17. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, একটি খেজুরের অর্ধেক হলেও দান করে জাহান্নামের শাস্তি হতে নিজেকে হেফাজত করো।
(বুখারীঃ৬০২৩)
18. যদি ভালো হতে চাও তবে সর্বপ্রথম মিথ্যা বলা ছেড়ে দাও।
19. তুমি যখন রাস্তা দিয়ে যাও তখন আল্লাহর নামে জিকির কর, কারণ হাশরের দিন ঐ রাস্তা তোমার নামে সাক্ষী দিবে।
20. তোমরা সবসময় ওযু করো কারণ কিয়ামতের দিন যারা ওযুকারী তাদের হাত-পা উজ্জ্বল থাকবে।
21. যার দুঃখ বেশি তার প্রতি আল্লাহর রহমতও বেশি।
22. যখনি নামাজে দাঁড়াবেন, জীবনের শেষ নামাজ মনে করবেন।
23. যে মহিলা গর্ভাবস্থায় এক খতম কোরআন পাঠ করবে তার গর্ভের ঐ সন্তান এক জন নেককার বান্দা হিসেবে দুনিয়াতে আগমন করবে।
24. চুপ থাকার কারণে মানুষের যেই মর্যাদা হাসিল হয়, তা ষাট বছর নফল ইবাদত হতে উত্তম।
25. রাসূল (সাঃ) বলেছেন, জান্নাতের সবচেয়ে নিকটবর্তী আমল হলো সময়মতো সালাত আদায় করা।
(সহীহ মুসলিম ২৬০)
26. যে ধোকা দেয় সে আমার উম্মতের অন্তর্ভুক্ত নয়।
27. তুমি জানো তুমি সঠিক, তবুও তর্ক করোনা।
28. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, তোমরা বিপদে পড়ে মৃত্যু কামনা করবে না। বরং বলবে, হে আল্লাহ যে পর্যন্ত জীবিত থাকা আমার জন্য কল্যাণকর, আমাকে ততক্ষণ জীবিত রাখুন এবং যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর তখন আমাকে মৃত্যু দিন।
29. সূরা ইয়াসিন কে কোরআনের হৃদয় বলা হয়।
30. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, মায়ের একটি কষ্টের নিঃশ্বাস, সাতটি দোযখের চেয়েও ভয়ংকর। আর একটি সুখের হাসি আটটি বেহেস্তের সমান।
31. যে অন্যের বাবা-মা কে গালি দিলো সে যেনো নিজের বাবা মাকেই গালি দিলো।
32. রাসুল (সাঃ) বলেছেন, আমি যা জানি তোমরা যদি তা জানতে পারতে, তবে নিশ্চয়ই খুব কম হাসতে এবং খুব বেশি কাঁদতে।
33. মানুষ যদি মৃত ব্যক্তির আর্তনাদ দেখতে এবং শুনতে পেতো
তাহলে মানুষ মৃত ব্যক্তির জন্য কান্না না করে নিজের জন্য কাঁদত।
34. মহানবী (সাঃ) বলেছেন, সূরা ফাতিহা তোমরা ধীরে ধীরে পাঠ করো, কারণ মহান আল্লাহ নিজে তার জবাব দেন।
(মুসলিম-৯১০)
35. রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,কিয়ামতের দিন যে জিনিসটি মুমিনদের পাল্লায় ভারী হবে সেটি হচ্ছে সুন্দর চরিত্র।
(আবু দাউদঃ-৪১০১)
36. কবরের ভিতরের প্রথম চাপ পৃথিবীর সকল কষ্টকে হার মানিয়ে দিবে।
[হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)]
37. হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তির অন্তরে এক সরিষা দানা পরিমাণ অহংকার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না।
[সহীহ মুসলিম, হাদিসঃ ৯১]
38. কিয়ামতের দিন ঐ ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করা হবে যে প্রচুর শীত উপেক্ষা করেও ফজরের নামাজ আদায় করলো।
39. নিশ্চয় মহান আল্লাহ নম্র, তিনি নম্রতা পছন্দ করেন। তিনি নম্র স্বভাবের লোককে যা দান করেন তা কঠিন স্বভাবের লোককে দান করেন না।
(আবু দাউদ-৪৮০৭, সহীহ)
40. কবর মানুষকে দিনে ৭০ বার করে স্বরন করে।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক জ্ঞান এবং বুঝার তৌফিক দান করুন এবং আমাদেরকে এই সমস্ত হাদিসসমূহের উপর আমল করতে সাহায্য করুন।
আমিন