- নতুন রোমান্টিক গল্পের লিংক
- ফেসবুকের নতুন নতুন গল্পের লিংক
- রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পের লিংক facebook.
- রোমান্টিক গল্পের লিংক ২০২৩
প্রত্যেক শুক্রবার নতুন নতুন গল্প উপডেট করা হবে। আমাদের এই লিংক নিয়মিত ভিজিট করুন এবং সুন্দর সুন্দর গল্প। নিজে পড়ুন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন।
১. নতুন রোমান্টিক গল্পের লিংক
মেয়েটিকে দেখেই লম্বা সময় ধরে তাকিয়ে রইলেন আনোয়ারা বেগম। এমন সুন্দরী মেয়ে হয়!
হালকা সিম রংয়ের একটা থ্রি পিস পরেছে মেয়েটা। লম্বাও তো কম না। পাঁচ ফুট পাঁচ হবে মনে হয়। গায়ের রংটাও কী সুন্দর কাঁচা হুলুদের মতো।
মনে মনে একটা পরিকল্পনা করে ফেলেছেন আনোয়ারা বেগম। ছেলেটা তার খারাপ না। এবার মাস্টার্স শেষ করেছে।
চাকরি -বাকরি এখনো হয়নি। না হলেই বা কী? তাদের কী কম আছে। ঢাকা শহরে চারটা বাড়ি। সবই তো ওই ছেলের।
মেয়েটার বিয়ে হয়েছে কি-না কে জানে? মনে হয় হয়নি। বিয়ে হলে নিশ্চয়ই বাবা -মার সাথে থাকত না।
আজই নতুন ভাড়াটিয়া আসছেন বাসায়। ভাড়াটিয়াদের দেখার জন্য আনোয়ারা বেগম বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওনাদের এমন সুন্দর একটা মেয়ে আছে কে জানত।
আনোয়ারা বেগম ঠিক করলেন। নতুন ভাড়াটিয়া কে দুপুরে বাসায় দাওয়াত দিবেন। ওরা বাসা চেঞ্জ করার ঝামেলায় নিশ্চয়ই রান্না বান্না করতে পারবেন না।
কী যেন নামটা বলেছিল লোকটা? মনে পড়েছে আসলাম। এটা তো মনে হয় মুসলমান নাম। অবশ্য আজকাল নাম দেখে হিন্দু মুসলমান বুঝা যায় না।
কিছুদিন আগে রায়হানের বাবার এক কলিগ আসল। নাম সান্তানু ধর। ধর-টর এ সব হিন্দুদের নামেই থাকে। তিনি হিন্দু মনে করেই রান্না বান্না করলেন। পরে জানা গেল উনি মুসলমান!
ধর্মটা জনা দরকার আছে। ধর্মের সাথে খাবারের একটা সম্পর্ক আছে। মুসলমান হলে গরুর মাংস খাওয়ান যায়। হিন্দু হলে বিরাট সমস্যা।
আনোয়ারা বেগম চিন্তা করলেন তিনি মুরগির মাংস করবেন তাহলে সমস্যা হবে না। মুরগির মাংস হিন্দু মুসলিম উভয়ই খেতে পারে।
সাথে কী করবেন? পোলাও না সাদা ভাত। মেহমান আসলে পোলাও করতে হয়। এক কাজ করা যায় পোলাও করল সাথে সাদা ভাতও থাকলো। অনেকে আবার পোলাও খেতে পারে না।
আনোয়ারা বেগম ভিতরে ঢুকে রহিমা কে ডাকলেন। রহিমা এ বাড়িতে কাজ করে। অবশ্য তাকে কাজের মেয়ে বলে মনে হয় না। কারণ রহিমা খুব ছোটোবেলা থেকে এ বাড়িতে বড়ো হয়েছে। আনোয়ারা বেগম কে মা বলে ডাকে। অনেকটা বাড়ির মেয়ের মতো থাকে।
আনোয়ারা বেগমের কোনো মেয়ে নাই। রহিমা কে মেয়ে মনে করে। শুধু যে মেয়ে মনে করে তা না। মানুষও করেছে মেয়ের মতো। রহিমা এবার এইচ,এস সি পরীক্ষা দিয়েছে। ছাত্রী হিসাবে সে ভালো। এস এস সি তে জিপিএ ফাইভ পেয়েছে। এবারও মনে হয় ভালো রেজাল্ট করবে।
ডাক শুনে ছুটে আসল রহিমা। ‘কী হয়েছে মা?’
‘ফ্রিজ থেকে মুরগির মাংস বের কর তো মা। আর দেখ তো বাসায় পোলাও চাল আছে কি না? না থাকলে আব্বাস কে দিয়ে পোলাও চাল আনা।’
‘পোলাও চাল দিয়ে কী করবা?’
‘বাসায় মেহমান খাবে।’
‘এ সময় মেহমান পেলে কোথায়! কে আসবে বলো তো?’
‘নতুন ভাড়াটিয়াদের দুপুরে খাওয়াব। ওরা তো এসেই রান্না করতে পারবে না। দুপুরের খাবারটা আমাদের এখানে খেল। রাতের মধ্যে রান্নার ব্যবস্থা করে ফেলবে। ‘
রহিমা একটুও অবাক হলো না আনোয়ারার কথায়। রহিমা জানে তার মার খুব মায়া।
আনোয়ারা বেগম আবার বারান্দায় এসে দাঁড়ালেন। বড়ো একটা ট্র্যাক থেকে মালামাল নামান হচ্ছে। মেয়েটাকে দেখা যাচ্ছে না।
মেয়ের বাবা আসলাম দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে নির্দেশনা দিচ্ছেন। আনোয়ারার মেয়েটা কে দেখতে ইচ্ছে করছে! মেয়েটা কী করছে? মায়ের সাথে জিনিসপত্র গোছাচ্ছে। নাকি শুয়ে পড়েছে?
অনেক মেয়ে আছে একটু জার্নি করলেই ক্লাত হয়ে যায়। এরা অলস ধরনের মেয়ে। এ মেয়েটা কেমন কে জানে?
অলস মেয়ে হলে একটু সমস্যা। রায়হান অলস মানুষ পছন্দ করে না।
একবার গিয়ে দেখে আসা যায়। বাড়িওয়ালা হিসাবে সে খবর -টবর নিতেই পারে। সাথে দুপুরের দাওয়াতটাও দিয়ে এলো।
চলবে–
ভাড়াটিয়া
Nabil Mahmud
সকল পর্বের লিংক একসাথে
https://kobitor.com/category/uponas/varatia/
২.ফেসবুকের নতুন নতুন গল্পের লিংক
টেবিলের অপর প্রান্তে বসে আছে অতি সুন্দরী একজন মহিলা, ফাইলে তার বয়স ৩১ লেখা আছে বলেই মহিলা বলছি, তাকে দেখে সদ্য ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়ে মনে হচ্ছে। অতি সুন্দরী মহিলারা অপরিচিত কারো কাছে নিজেকে আরো সুন্দর করে ধরার চেষ্টা করে। এই মোটেও তা করছে না। কোন পুরুষ ডাক্তার হলে হয়ত করতো মহিলা ডাক্তার বলেই হয়ত সে আমাকে পাত্তায় দিচ্ছে না। সুন্দরী মেয়েরা অন্য মেয়েদের পাত্তা না দেওয়ার সূক্ষ্ম একটা ইগো থাকে। অজান্তেই থাকে এইটা। এইটাকে দোষ বলা যায় না। তারা এমন পরিবেশ পেয়ে থাকে বুদ্ধি বয়স থেকে।
এক মনে সে ফ্যাশন ডিজাইনের ম্যাগাজিনের পাতা উল্টাচ্ছে। গত মাসের ওটা।
এই মেয়ে দেখে রবীন্দ্রনাথ কয়েক দফা সুরের ছন্দ রচনা করে ফেলতে পারতো। কিংবা হুমায়ূন আহমেদের গল্পের ভয়ংকর সুন্দরী নায়িকার সাথে তুলনা করা যায়। আমি
আমার বয়স চল্লিশ পার হলেও আমিও মুগ্ধ না হয়ে পারছি না।
কিন্তু এই মেয়েটা ছয়টা খুনের আসামী। তার বিরুদ্ধে কোন জুতসই প্রমাণ যোগাড় করতে পারে নি তাকে আসামী বানানো ফ্যামিলি বা এত দিন রিমান্ডে রাখা পুলিশেরা।
মেয়েটাকে দেখে কেউ বিশ্বাস করছে না। ভাবছে শ্বশুড়বাড়ির লোকজন মিথ্যা ফাসাচ্ছে। তবে ওর কিছু হাবভাব দেখে আমার কলেজের ব্যাচমেট খালিদা মনে হলো ওর কাউন্সিলিং প্রয়োজন। তাই আমার কাছে পাঠানো হয়েছে। অনেক বছর যুক্তরাজ্যে থাকার পর দেশে ফিরলাম বছর তিনেক আগে। খুব একটা ইন্টারেস্টিং কেস পাই না। এইখানে যারা ভয়াবহ পাগলামী করে তাদের কাউন্সিলিং জন্য পাঠানো হয়। যাদের কারণ দেওয়াই থাকে। কেউ জম্মগত, কেউ drugs addicted. স্বাভাবিক দেখতে কোন মানুষ আসে না, যাদের সমস্যা বুদ্ধি দিয়ে খুঁজে বের করতে হয়।
আমি ওর দিকে এক গ্লাস পানি এগিয়ে দিয়ে বললাম,
– পানি খাও,
ও ম্যাগাজিন টা ভাজ করে ঠিক জায়গায় রেখে বলে,
-কেন ওখানে কিছু মিশিয়ে দিয়েছেন?
ম্যাগাজিন টা যেভাবে ছিলো সেভাবেই রেখেছে এতে বুঝা যায় ওর গুছিয়ে রাখার স্বভাব আছে। একটু বেশিই আছে। কারণ সে ছড়িয়ে রাখা কলম গুলো গুছিয়ে রাখছে।
আমি হেসে বললাম,
-মোটেও না।
সে আমার নেম প্লেট টা খুব তাচ্ছিল্যের সাথে বাকা থেকে সোজা করে বলে,
– মাহাবুবা খানম। আপনার নাম টা মোটেও আপনার সাথে যায় না। এত স্মার্ট একজন ডাক্তার আপনার নাম হওয়া দরকার ছিলো আরো আধুনিক।
আমি খুব আগ্রহ নিয়েই বললাম,
-যেমন?
ও কিছুক্ষন চিন্তা করে বলে, এখন কিছু মাথায় আসছে না।
– আচ্ছা সময় নাও। ভেবে বল কি রাখা যায় আমার নাম? তবে তোমার নাম টা সুন্দর, ময়ূরাক্ষী। তোমার শর্ট নাম কি? ময়ূ নাকি রাক্ষী?
ও খুব সুন্দর করে হাসল। হাসতেই একটা গজ দাঁত বেড়িয়ে এলো। সত্যিই সুন্দর লাগছে ওকে।
-আপনি আমাকে বাচ্চাদের মতো ইনফুলেন্স করার চেষ্টা করছেন। যা করার মোটেও কোন দরকার নেই। আপনার যা জিজ্ঞেস করার তা করতে পারেন৷ আমি উত্তর দেব আমার মতো আপনি ধরতে পারলে ধরবেন। না পারলে আবার পাঠিয়ে দেবেন।
-কোথায়? যেখান থেকে এসেছো? তোমার কি বাড়ির থেকে জেলেই বেশি ভালো লাগছে নাকি?
চুপ করে একমনে দেওয়াল ঘেঁষে রাখা বনসাইয়ের দিকে তাকিয়ে আছে ও।
– আপন মানুষ না থাকলে আপনি খোলা মাঠ কেও জেল ভাববেন। চার দেওয়াল কে ঘর।
-তুমি কি তোমার স্বামীকে মিস করছো?
ময়ূরাক্ষী আরেক দফা হাসে তবে এই হাসিতে অবজ্ঞা।
-যার খুনের চার্জ আমার উপর, তাকে মিস করব এমন ভাবছেন কেন?
– তাহলে? মা বাবা? উনারা তো মারা গিয়েছে অনেক আগে।
ওর চেহেরাটা কিছুটা শক্ত হয়ে যাচ্ছে বিশেষ করে চোয়াল টা। আমি আস্তে আস্তে ওকে পড়ার চেষ্টা করছি আর ধীরে ধীরে লিখছি।
মেয়েটা যতটা সুন্দর তত টা ভয়ংকর শক্ত মন।
সে মোটেও ঘাবড়ে যাচ্ছে না কোন কথায়। কিংবা প্রচন্ড রকম আত্মবিশ্বাসী।
– তোমার কি এমন রাগ ছিলো যে এক পরিবারের ছয় কে তুমি খুন করেছো? তাও নিজের।
।
-আমি কাউকে খুন করি নি। ওরা ওদের কর্মফল ভোগ করেছে।
– কর্ম টা কি ছিলো?
আবারো চুপচাপ সময় কাটছে। আমার পিএ সাহেলা মাথা ঢুকিয়ে দেখল। ওকে ইশারায় অন্যদের পাঠিয়ে দিতে বললাম।
-তুমি কি চা খাবে? দিতে বলব?
একটা নিশ্বাস ফেলে বলে, বলতে পারেন। অনেক দিন ভালো চা খাই না। আবার কখন বের হবো জানি না।
-তোমার কি নিজেরেই ইচ্ছে নেই মুক্তি পাওয়ার? নিজের জন্য কোন ডিফেন্স কেন করছো না?
– আমি যা করি নি তার দোষ আমি কীভাবে স্বীকার করব কিংবা কীভাবে ডিফেন্স করব?
– তাহলে তুমি সেসব খুন করো নি? কে করেছে?
চা এসে গেল, চা খেতে খেতে ওর চোখের মণিটা কিছুটা খুলে যাচ্ছে। সত্যিই হয়ত ওর চা টা ভালো লেগেছে।
– আচ্ছা এইসব কথা বাদ দাও। আমাকে তোমার কথা বলো তোমার ছোট বেলা। মজার স্মৃতি। প্রেমিক দের কথা বলো। সুন্দরী মেয়েদের অনেক প্রেমিক থাকে।
আমি হাসার চেষ্টা করি, ওর চেহেরার খুশিটা চলে যাচ্ছে চোয়াল টা শক্ত হচ্ছে আবার।
– আমাদের এই দেশে কালো মেয়েদের যত টা খারাপ ভাবে ট্রিট করা হয় তারচেয়ে বেশি জঘন্য ভাবে ট্রিট করা হয় সুন্দরী মেয়েদের।
-আমি ঠিক বুঝতে পারলাম না। আমাদের দেশে তো সুন্দরী মেয়েদের অনেক কদর রীতিমতো ডিমান্ড বলা যায়।
ও আবার তাচ্ছিল্য সুরে হাসে। ম্যাগাজিন টা আমার দিকে এগিয়ে দিয়ে বলে, এই যে এই খোলামেলা পোশাকে মেয়েটা, নিসন্দেহে সুন্দরী তবে সে ভার্জিন হোক বা ডির্ভোসি, ওকে দেখে সবার চোখ শান্তি পায়, তবে অজান্তে ওদের চেহেরাটা দেখলে সবার মনে যে শব্দ টা হুড়মুড় করে৷ তা হলো মাগি, নিসন্দেহে এদের বিছানায় নিয়ে যাওয়া যায়।কালো মেয়েরা নিজেদের মন বা চরিত্র নিয়ে গর্ব করে তবে ফর্সা মেয়েদের এইসব করার কোন কারণ থাকে না।
-তোমার কি বাজে অভিজ্ঞতা আছে এইটা নিয়ে?
-আমি সুন্দরী কারণ আমার মা সুন্দরী আর সারাজীবন মাকে কান্না ছাড়া কিছুই করতে দেখি নি। কারণ বাবা মাকে সন্দেহ করতো। বাবা না থাকলে কোন আত্মীয় স্বজন বাসায় আসা মায়ের কাছে এক প্রকার আতংক। যেকোন বিল নিতে আসা ছেলেদের ও ছুটির দিনে আসতে হতো, মা দরজা খোলতো না। এমন কি নিজের ভাইয়েরাও আসতে পারতো না। বাবার বিচ্ছিরি কথা ছাড়তো না, মায়ের ভাই কিংবা বাবাকেও।
বাবার কলিগরা আসতে চাইতো বাসায়। মা ভয়ে থাকতো এই বুঝি কেউ আবার মায়ের রূপের প্রশংসা না করে দিলো। বাবা ওদের সাথে তাল মিলিয়ে প্রশংসা করলেও মধ্যরাতে মায়ের গোঙ্গানিতে আমার ঘুম হতো না। মেয়েদের বিশেষ জায়গায় আঘাত করতো যেটা তাদের বিশেষ ক্ষমতা মনে করতো পুরুষেরা।
এক রাতে মা আত্মহত্যা করলো। সেদিন আমি একটু ও কান্না করি নি। আমার মনে হলো মা মারা গিয়ে বেঁচে গেলো। মাকে স্নান করানোর দায়িত্ব আমার ছিলো, মায়ের যৌনাঙ্গের আশেপাশে প্রচুর সিগারেটের ছ্যাকা ছিলো।
আমি একটু পানি খেলাম। আমার ভীষণ রকম গলা শুকিয়ে আসছে ওর কথায়, ভয়ে না ঘৃণায়।
-এরপর তোমার বাবা বিয়ে করেন নি?
– না, মা মারা যাওয়ার ১৪ দিনের মাথায় বাবা হার্ট এট্যাকে মারা যায়।
আমি এইবার ভ্রু কুচকে তাকালাম, ওর মন টা এত শক্ত হওয়ার ব্যাপার টা ধরতে পারছি।
-এতে কি তোমার কোন হাত ছিলো?
ভীষণ নিস্পৃহ গলায় বলল,
– না, আমি তখনো মাত্র চৌদ্দ বছরের কিশোরী ছিলাম।
-চলবে
ডার্ক সাইট অফ এ বিউটিফুল লেডি
পর্ব ১
দোলনা_বড়ুয়া_তৃষা
সম্পূর্ণ গল্পের লিংক একসাথে
https://kobitor.com/category/uponas/dark/
৩.রোমান্টিক ভালোবাসার গল্পের লিংক facebook
বজ্জাত বউ .
লেখিকা বিলকিস
পর্ব ১
এতো ক্ষুন কেউ এভাবে বসে থাকে বলুন তো। তারপর আবার ঘুম পারছে। আর ওনার আসার নাম নেই। এই দেখি আমি আমার পরিচয় টা দেওয়া হলো না। আমি মিষ্টি আর আজ আমার বিয়ে হয়েছে আর আমি এখন বাসর ঘরে বসে আছে। ঘরটা সুন্দর করে সাজিয়ে। আর যার সাথে আমার বিয়ে হয়েছে মানে আমার বর কি যেনো বিয়ে পড়ানো সময় কাজি বললো ও হ্যা পরশ। ওনার এখানো আসার সময় হলো না। আর এদিকে আমার ঘুম পাড়ছে আর বসে থাকতে থাকতে মাজাও যাচ্ছে দুর ভাল লাগে না আপনারা বলুন কি করি। ওই যে এসেছে আমার বর।
মিষ্টি: দাড়ান কোথায় ছিলেন আপনি?
পরশ: কেনো
মিষ্টি: কেনো মানে আমি আপনার বউ তাই আপনি কোথায় থাকেন আমার জানার অধিকার আছে।
পরশ: দেখো
মিষ্টি: চুপ করুন তো। একে তো এতো পরে এসেছে তারপর এবার বড় বড় কথা। আপনি জানেন আমি আপনার জন্য আমার ঘুমটা বারবার তারিয়ে দিচ্ছি।
পরশ: আমি তো তারাতে বলেনি।
মিষ্টি: আবার কথা বলে চুপ করে দাড়ান। আমি আপনাকে আগে সালাম করি।
পরশ: সালাম করছো কেনো।
মিষ্টি: আমার ইচ্ছে তাই। আমাকে বলেছে তাই। এখন আমার gifts দিন
পরশ:gifts কিসের
মিষ্টি: এই শালা সাদা বাঘ বলে কিনা gifts কিসের আমার। কেনো রে তুই জানিস না বাসর রাতে বউকে gifts দিতে হয়। দেখেতো মনে ভদ্র আসলে একটা শয়তান
পরশ: খবরদার আমাকে শয়তান বলবেন না।
মিষ্টি: তো কি বলবো জান বললো( দাঁতে দাঁত চেপে) একেতো কোনো gifts নেই আবার একটা ফুলও নেই। এই শুনন gf.থাকলে মাথায় থেকে জেরে ফেলুন। ( হাই তুলে) আমার খুব ঘুম পাচ্ছে। আমি ঘুমাতে যাচ্ছি আর আপনি ওখানে মিষ্টি রাখা আছে খেয়ে নেবেন good night., বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লাম।
পরশ: কি মেয়ে বাবা। আম্মু আমার ঘাড়ে কাকে এনে বসিয়েছে এতো আমার ঘাড় মটকাবো। হে আল্লাহ তুমি আমার মতো শান্ত ভদ্র ছেলে জন্য এই মেয়ে দিলে। পরশ তুই ফেসে গিয়েছিস ( মনে মনে)
মিষ্টি: এই যে শুনুন
পরশ: কি বলুন
মিষ্টি: আমি একা একা ঘুমাতে পারি না। বিয়ে আগে আম্মু থাকতো আর এখন আপনি থাকবেন। এগুলো তারাতারি শেষ করে শুয়ে পড়ুন।
পরশ: পড়ছি। বলে পরশ মিষ্টি পাশে গিয়ে শুয়ে পড়লো।
মিষ্টি: আপনার হাতটা দেনতো ( পরশ দিকে মুখ করে)
পরশ: হাত কেনো
মিষ্টি: আমি খাবো দিন না বলে আমি ওনার হাত টা টান দিয়ে নিজের হাত দিয়ে আটকে ধরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
পরশ: এই মেয়ে যে ভাবে আমার হাতটা টান দিলো আর একটু হলে ছিড়ে যেতো। পরশ তোর কপালে আর কি আছে উপনি ওনি আর নিচে ইনি জানেন। আমারো ঘুম পাচ্ছে ঘুমিয়ে নেই বলে আমি ঘুমিয়ে পড়লাম
পরে দিন
মিষ্টি: পরেদিন সকালে আমার ঘুম ভাঙতে দেখি ঘড়িতে ৭ টা বাজে। অনেক দেরি হয়ে গেছে যাই ফ্রেস হয়ে নেই বলে আমি উঠতে যাবো তখন একটা টান লাগতে আবার বিছানাতে শুয়ে পরি আরে আমিতো ভুলে গিয়েছিলাম কাল রাতে আমি ওনার হাতধরে ঘুমিয়ে ছিলাম। আর আপনারা কি মনে করছিলেন যাই। এবার ওনার দিকে তাকিয়ে দেখি যে হাতটা আমি ধরে নেই ওনি আমার হাতটা ধরে আসে। হায়। আল্লাহ আমার বরটা দেখতে কি সুন্দর মুখটা মায়াবী, গায়ের রং ফসা তবে আমার রং থেকে একটু কম। মুখে খোচা খোচা দাড়ি চুল গুলো একটু বড় বড় সবমিলে যেনো হুহ্ বলতে পারছিনা। একটা নজর টিকা লাগিয়ে দেই যদি নজর লেগে যাই আমি ওনার কপালে একটা চুমো খেলাম তারপর হাতটা ছারিয়ে ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
পরশ: মনে মনে কপালে একটা সম্পশ পেলাম। তাহলে ওকি আমাকে কিস করলো। যে ধুরিবাজ মেয়ে বলতে গেলো একশোটা বাহানা বানাবে। বলে আমার মুখে কি যেনে এসে পড়লো। ভালোকরে তাকিয়ে দেখি শাড়ি
মিষ্টি: হ্যা শাড়ি ( ওয়াশরুমে সামনে দাড়িয়ে)
https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?client=ca-pub-4463208192214299&output=html&h=199&slotname=1608588385&adk=969486546&adf=4044831376&pi=t.ma~as.1608588385&w=793&fwrn=4&lmt=1675694234&rafmt=11&format=793×199&url=https%3A%2F%2Fkobitor.com%2Fbojjat1%2F&host=ca-host-pub-2644536267352236&wgl=1&adsid=ChEIgOeCnwYQvp_XwuOKla_SARI9AL0fUaHRlyOc765vrhVF1O0swol9ULTTqS81utWcKOcR2kiEJXfTPWfq7yTGdq1JhQ_JEVSp3cUe2UlieQ&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMTAuMC4wIiwieDg2IiwiIiwiMTA5LjAuNTQxNC4xMjAiLFtdLGZhbHNlLG51bGwsIjY0IixbWyJOb3RfQSBCcmFuZCIsIjk5LjAuMC4wIl0sWyJHb29nbGUgQ2hyb21lIiwiMTA5LjAuNTQxNC4xMjAiXSxbIkNocm9taXVtIiwiMTA5LjAuNTQxNC4xMjAiXV0sZmFsc2Vd&dt=1675694230870&bpp=3&bdt=446&idt=247&shv=r20230124&mjsv=m202301230101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D11be8b4de248f059-22ad72f4fcd40074%3AT%3D1656781451%3ART%3D1656781451%3AS%3DALNI_MbFcb9oN–i86LgdmMJarDS-zo3VA&gpic=UID%3D0000074e8a844608%3AT%3D1656781451%3ART%3D1675692400%3AS%3DALNI_MYSJsswPsPAbLVQBsJ69QbND3IC_A&prev_fmts=0x0%2C1200x280%2C1200x280%2C351x280%2C351x280&nras=3&correlator=2250975801166&frm=20&pv=1&ga_vid=294307878.1656781510&ga_sid=1675694231&ga_hid=211589332&ga_fc=1&rplot=4&u_tz=360&u_his=14&u_h=864&u_w=1536&u_ah=824&u_aw=1536&u_cd=24&u_sd=1.375&dmc=8&adx=109&ady=3197&biw=1381&bih=685&scr_x=0&scr_y=527&eid=44759876%2C44759927%2C44759837%2C31071812&oid=2&pvsid=2138905684121291&tmod=14059205&uas=0&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fkobitor.com%2Fcategory%2Fuponas%2Fbojjat%2Fpage%2F5%2F&eae=0&fc=1920&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1536%2C0%2C1536%2C824%2C1396%2C685&vis=1&rsz=%7C%7CoEebr%7C&abl=CS&pfx=0&alvm=r20230201&fu=128&bc=31&jar=2023-02-06-14&ifi=3&uci=a!3&btvi=3&fsb=1&xpc=kflokhdmRD&p=https%3A//kobitor.com&dtd=3172
পরশ: তুমি এভাবে দাড়িয়ে আছো কেনো।
মিষ্টি: কিভাবে
পরশ: এই যে শুধু ব্লাউজ আর পেটিকোট পড়ে। তোমার লজ্জা করছে না
মিষ্টি: না লজ্জা করছে না। কারন আমি ৬ লক্ষ ১ টাকারদেরমহর নিয়ে যাকে বিয়ে করেছি তার সামনে দাড়িয়ে আছি। তাছাড়া আমার লজ্জা টজ্জা নেই।
পরশ: শাড়ি দিয়ে করবো
মিষ্টি: পড়বেন আই মিন আমাকে পড়াবেন।
পরশ: আমি পড়াতে পারি না।
মিষ্টি: বিয়ে যখন করেছেন শাড়িটা আপনাকে পড়াতে হবে। না হলে আমি এভাবে নিচে যাবো বলে আমি দরজায় সামনে যেতে
পরশ: পড়াচ্ছি
মিষ্টি: good সোয়ামী।
পরশ: what is সোয়ামী।
মিষ্টি: সোয়ামী হলো বউয়ে স্বামী। আর আপনি আমার স্বামী। তাই আজ থেকে আমি আপনাকে সোয়ামী বলে ডাকবো।
পরশ: পরশ তুই কোন যাতা কলে ফেসেছিসরে।
মিষ্টি: আমার যাতা কলে। এখন শাড়িটা পড়ান।
পরশ: আমি খুব কষ্ট ওকে শাড়িটা পড়িয়ে দিলাম। শাড়ির পড়ানো পর ওর দিকে তাকাতে দেখি ও খুব সুন্দর। কাল রাতে অল্প আলো ভালো করে দেখি এখন দেখছি সত্যি অসাধারন। আম্মু আমার বউ এনেছে সুন্দর কিন্তু
মিষ্টি: কি দেখছেন এভাবে
পরশ: কিছু না বলে আমি ওয়াশরুমে চলে গেলাম।
মিষ্টি: ন্যাকা আমি কিছু বুঝি নাহুহ। যাই একটু সেজে গুজে নেই নতুন বউ বলে কথা । তারপর আমি চোখে মোটা করে কাজল দিলাম, হালকা লাল লিপিস্টিক পড়লাম, চুলো ছেড়ে দিলাম আর হালকা গহনা পড়ালাম।
পরশ: আমি ফ্রেস হয়ে বেড়াতো দেখি ও সামনে দাড়িয়ে আছে সেজে আরো বেশি সুন্দর লাগছে বিশেষ করে ঠোট আর চোখ যেনো ভাষা প্রকাশ করা যাবে না ( মনে মনে) সামনে দারিয়ে কেনো।
পরশ: আমাকে কেমন লাগছে। অবশ্য আমি জানি আমাকে সুন্দর লাগছে তবুও আপনার মুখ দিয়ে শুনতে ইচ্ছে করছে সোয়ামী।
পরশ: দেখো তুমি আমাকে এই সোয়ামী বলে ডাকবে না। আমার নাম আছে নামধরে ডাকবে।
মিষ্টি: আপনি পড়াশুনা করেননি।
পরশ: মানে আমি লন্ডন থেকে পড়েছি
মিষ্টি: আমার তো মনে হয় না। কারন আমাদের বইপএ আছে বড়দের নাম ধরে ডাকতে নেই সোয়ামী। আর আপনি আমার ৭ বছরে বড়। এখন বলুন কেমন লাগছে।
পরশ: ভালো
মিষ্টি: তাহলে নজর টিকা দিন
পরশ: নজর টিকা মানে…….
চলবে………..
সবগুলো পর্বের লিংক একসাথে
https://kobitor.com/category/uponas/bojjat/page/2/
৪.রোমান্টিক গল্পের লিংক ২০২৩
সাদাত দরজা খুলে ভেতরে ঢুকেতেই বুকের ভেতর ধক করে ওঠে ছোঁয়ার। একটু নরেচরে বসে ছোঁয়া। ভয় পাওয়ারই কথা। মাএ ষোলো বছর বয়স ছোঁয়ার। বিয়ে সম্পর্কে ওর কোনো ধারণা না থাকলেও ফুলসজ্জা সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে।
ছোঁয়ার চাচাতো বোন বিথির কাছে শুনেছে ছোঁয়া। বিথির হাসবেন্ড ফুলসজ্জার রাতেই খুব মেরে ছিলো বিথিকে। মারার কারণটা ছিলো সেদিন মিথির পিরিয়ড চলছিলো। এতে বেচারি বিথির কোনো দোষ ছিলো না। তবুও মার খেয়েছিলো বিথি।
সাদাতের বোন আর কাজিনরা একটু আগে ছোঁয়াকে যখন এই রুমে এনে বসিয়ে দিয়ে গেছিলো তখন বলেছে আজ ওদের বাসর রাত। বর যা বলবে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই শুনবে।
ছোঁয়া মাথা নেরে সায় জানিয়েছে।
বাবার বাড়ি থেকে আসার সময়ও মা কাকিমা দাদিমা সবাই পই পই করে বলে দিয়েছে। বর যা বলবে তাই শুনবি।
মিথি জড়োসরো হয়ে বসে। মাথায় থাকা লাল রংয়ের ঘোমটাটা আরও একটু টেনে দেয়। ভয়ে বুকটা টিপটিপ করছে।
সাদাত রুমে ঢুকে ধাপ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। বিকট শব্দে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। কেঁপে ওঠে ছোঁয়া। ঘোমড়াটার আড়াল থেকে এক পলক তাকায় সাদাতের দিকে। কেমন জানি উসকো খুশকো দেখাচ্ছে সাদাকে, ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছে না। চোখ জোড়াও খুলে রাখতে পারছে না। মনে হচ্ছে এখনই ঢলে পড়ে যাবে।
উনি কি অসুস্থ?
ছোঁয়ার মন থেকে প্রশ্নটি উদয় হয়।
দরজা বন্ধ করে সাদাত দরজায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ের সাদা শার্টটা ঘামে ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। সিল্কি চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে। কপালের রগটা ফুলে উঠেছে। চোখের সাদা আংশ টকটকে লাল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে রক্ত।
ছোঁয়া ঢোক গিলে। কাচুমাচু হয়ে বসে।
এই ভয়ংকর লোকটার সাথে থাকবে কি করে ছোঁয়া?
“আআপনি কি অসুস্থ ভাইয়া? কিছু লাগবে আপনার?
রিনরিনিয়ে প্রশ্ন করে ছোঁয়া।
সাদাত ঘাড় বাঁকিয়ে তাকায় ছোঁয়ার দিকে। সাদাতের চাহনি দেখে থেকে থমকে যায় ছোঁয়া। ভয়ে জমে যায়। লাল লাল চোখ দুটো পাকিয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার দিকে। ভ্রু দুটো আড়াআড়ি ভাবে কুচকে আছে।
মনে হচ্ছে এখুনি ছোঁয়াকে টুপ করে গিলে খেয়ে নেবে।
ছোঁয়া মনে মনে নিজেকে বকতে থাকে। কি দরকার ছিলো প্রশ্ন করার?
একপা একপা কর এগিয়ে যায় সাদাত ছোঁয়ার দিকে। ছোঁয়ার ভয় বাড়তে থাকে। হাত পা রীতিমতো কাঁপছে। মাথার ঘোমটাটা কখন পড়ে গেছে সে খেয়াল নেই ছোঁয়ার। মাথা নিচু করে আছে। ছোঁয়ারর দৃষ্টি সাদাতে পায়ের দিকে।
খাটের কাছে চলো এসেছে সাদাত জুতো না খুলেই হাঁটু মুরে বিছানায় বসে। বলিষ্ঠ হাত দিয়ে এক টানে খাটের সাথে ঝুলানো ফুল গুলো ছিঁয়ে ফেলে।
দুই হাতে কান চেপে ধরে ছোঁয়া।
সাদাত বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার দিকে।
ছোঁয়া একটু পিছিয়ে যেতে নেয়। সাদাত হাত ধরে ফেলে ছোঁয়ার। চমকে তাকায় সাদাতের দিকে।
” কককি করছেন টা কি আপনি?
ছোঁয়া ধরে আসা গলায় বলে।
সাদাত উওর দেয় না।ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ছোঁয়াকে। খাটের মাঝখানে পড়ে যায় ছোঁয়া। হকচকিয়ে ওঠে। বড়বড় চোখ করে তাকায় সাদাতের দিকে। সাদাত সেদিকে পাত্তা দেয় না।
একটা বালিশ ছোঁয়ার পেটের ওপর রেখে তাতে ভর দিয়ে ছোঁয়ার দিকে ঝুঁকে।
চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আছে ছোঁয়া। সাদাতের দুই বাহুতে হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকে ছোঁয়া। নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে সরাতে চাইছে সাদাতকে। কিন্তু এক চুলও নরাতে পারছে না।
” ককি কররছেন কি আপনি?
কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ছোঁয়া
উওর দেয় না সাদাত। ছোঁয়ার হাত দুটো শক্ত করে বিছানার সাথে চেপে ধরে। মুখটা এগিয়ে নেয় ছোঁয়ার মুখের দিকে। বিশ্রি গন্ধ বের হচ্ছে সাদাতের মুখ থেকে। নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম ছোঁয়ার। মুখ ঘুরিয়ে নেয় ছোঁয়া।
নিজেকে অসহায় লাগছে খুব। কান্না চেপে রাখতে পারছে না।
“প্লিজ ছেড়ে দিন আমায়। লাগছে আমার।
চোখ দিয়ে পানি গড়াচ্ছে ছোঁয়ার। হাতে প্রচন্ড ব্যাথা পাচ্ছে।
সাদাত একটা হাত ছেড়ে দেয়। ছোঁয়া ছাড়া পেতেই সেই হাত দিয়ে সাদাতকে সরানোর জন্য ধাক্কা দেয়। কিন্তু এক চুলও সরাতে পারে না।
” প্লিজ ছেড়ে দিন।
কেঁদে কেঁদে বলে ছোঁয়া।
সাদাত ছোঁয়ার ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে দেয় বাম হাতের তালু দিয়ে।
ছোঁয়ার বুক থেকে আঁচলটা সরিয়ে কাঁধে হাত গলিয়ে দেয়।
ছোঁয়া আর নিতে পারছে না। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।
“কেনো এমন করছেন? আমি কি করেছি?
সাদাত ছোঁয়ার ঘাড়ে মুখ গুঁজে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। সাদাতের পুরো নিঃশ্বাসটা ছোঁয়ার ঘাড়ে পড়ছে। ভীষণ অস্বস্তিতে পরে যায় ছোঁয়া।
https://googleads.g.doubleclick.net/pagead/ads?client=ca-pub-4463208192214299&output=html&h=199&slotname=1608588385&adk=2877118693&adf=2415307690&pi=t.ma~as.1608588385&w=793&fwrn=4&lmt=1675694365&rafmt=11&format=793×199&url=https%3A%2F%2Fkobitor.com%2Ftumi1%2F&host=ca-host-pub-2644536267352236&wgl=1&adsid=ChEIgOeCnwYQvp_XwuOKla_SARI9AL0fUaEyUKgvPfqffxeB8MbJwYDSHAj0d50MrYIQ40L1HUefWj1o9Lt7Bvp_qtotgK49oWc2Kze5iEoM3Q&uach=WyJXaW5kb3dzIiwiMTAuMC4wIiwieDg2IiwiIiwiMTA5LjAuNTQxNC4xMjAiLFtdLGZhbHNlLG51bGwsIjY0IixbWyJOb3RfQSBCcmFuZCIsIjk5LjAuMC4wIl0sWyJHb29nbGUgQ2hyb21lIiwiMTA5LjAuNTQxNC4xMjAiXSxbIkNocm9taXVtIiwiMTA5LjAuNTQxNC4xMjAiXV0sZmFsc2Vd&dt=1675694353638&bpp=14&bdt=777&idt=14&shv=r20230124&mjsv=m202301230101&ptt=9&saldr=aa&abxe=1&cookie=ID%3D11be8b4de248f059-22ad72f4fcd40074%3AT%3D1656781451%3ART%3D1656781451%3AS%3DALNI_MbFcb9oN–i86LgdmMJarDS-zo3VA&gpic=UID%3D0000074e8a844608%3AT%3D1656781451%3ART%3D1675692400%3AS%3DALNI_MYSJsswPsPAbLVQBsJ69QbND3IC_A&prev_fmts=0x0%2C1200x280%2C1200x280%2C351x280%2C351x280&nras=3&correlator=1860585131163&frm=20&pv=1&ga_vid=294307878.1656781510&ga_sid=1675694353&ga_hid=2133761145&ga_fc=1&rplot=4&u_tz=360&u_his=17&u_h=864&u_w=1536&u_ah=824&u_aw=1536&u_cd=24&u_sd=1.375&dmc=8&adx=109&ady=3304&biw=1381&bih=685&scr_x=0&scr_y=657&eid=44759876%2C44759927%2C44759837%2C31071812%2C44782817&oid=2&pvsid=1256786904824684&tmod=14059205&uas=3&nvt=1&ref=https%3A%2F%2Fkobitor.com%2Fonnorokom_tmi%2F&eae=0&fc=1920&brdim=0%2C0%2C0%2C0%2C1536%2C0%2C1536%2C824%2C1396%2C685&vis=1&rsz=%7C%7CoEebr%7C&abl=CS&pfx=0&alvm=r20230201&fu=128&bc=31&jar=2023-02-06-14&ifi=3&uci=a!3&btvi=3&fsb=1&xpc=WSrd5MpfKM&p=https%3A//kobitor.com&dtd=11905
ছোঁয়া চোখ মুখ খিঁচে কান্না করতে থাকে। সাদাতের পুরো শরীরের ভর ছোঁয়ার ওপর ছেড়ে দেয়। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ছোঁয়ার দম আটকে আসছে।
হাত ছেড়ে দেয়।
এভাবে বেশ কিছুখন কেটে যায়। তারপর হুট করে ঝড়ের গতিতে উঠল বসে সাদাত। দুই হাতে মাথা চেপে বসে থাকে।
” তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারিস না। ছাড়বো না তোকে আদি। খুন করবো তোকে আমি।
বিরবির করে বলছে সাদাত।
ছোঁয়া তারাহুরো করে উঠে শরীরে আঁচল জড়িয়ে নেয়। ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে।
এই অমানুষটা কেনো করলো এমন? আবারও এমন করবে না তো?
আতঙ্কে ওঠে ছোঁয়া।
এখানে থাকা যাবে না আর।
বিছানা থেকে নামতেই দরজায় টোকা পড়ে। নিশ্চয় বাবা এসেছে।
আমাকে এখানে পাঠানোর সময় তো বলেছিলো ছোঁয়ারে রে তুই ওনাদের সাথে যা বুঝলি আমি পরে গিয়ে তোকে নিয়ে আসবো।
এখন নিশ্চয় নিতে এসেছে। কান্নার মাঝেও হাসি ফুটে ওঠে ছোঁয়ার মুখে।
এক দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।
বাবা আমি আর এখানে থাকবো না
বলে সামনে তাকাতেই ছোঁয়ার হাসি গায়েব হয়ে যায়। কারণ দরজার কাছে ছোঁয়ার বাবা নয় বরং গম্ভীর মধ্য বয়সি এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তার খাবারের প্লেট।
এই মহিলাটি সাদাতের মা। ছোঁয়াকে এই বাড়িতে আনার পর উনিই মিষ্টি খাইয়েছিলেন।
“এখানেই থাকতে হবে তোমাকে৷ বিয়ে হয়ে গেছে তোমার।
কর্কশ গলায় বলেন উনি। মাথা নিচু করে ফেলে ছোঁয়া। ইচ্ছে করছে মুখের ওপর বলতে ” আপনার এই অমানুষ ছেলের সাথে আমি জীবনেও থাকবো না”
কিন্তু গুরুজন উনি। মুখের ওপর বলাটা ঠিক হবে না।
সালমা বেগম ছোঁয়াকে ভালোভাবে পরখ করে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে।
“বাড়ির গুরুজনদের সামনে যাওয়ার আগে আয়না দিয়ে নিজেকে একবার পরখ করে মাথায় ঘোমটা টেনে তবেই যাবে।
বুঝলে?
ছোঁয়া মাথা কাত করে বোঝায় বুঝেছি।
“এই খাবারগুলো সাদুকে খাওয়াবে। আমার ছেলে সকাল থেকে কিছুই খায় নি।
ছোঁয়ার হাতে খাবারের প্লেট দিয়েই উনি দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে চলে যায়। ছোঁয়া দীর্ঘ ফেলে।
ওর ও সারাদিন কিছু খাওয়া হয় নি। ভীষণ খিধে পেয়েছে।
এখন কি করবে? এই খাবার গুলো নিজেই খেয়ে নেবে না কি সাদাতকে ডেকে খেতে বলবে?
ডাকলে যদি আবারও ওমন করে?
থাক আর রিক্সা নেবে না ছোঁয়া।
ডানপাশ থাকা সোফার পেছনে বসে পড়ে ছোঁয়া। এখানে বসেই খাবারটা খেয়ে নেবে এবং রাতে এখানেই ঘুমবে৷ যাতে ওই লোকটা ওকে দেখতে না পায়।
প্লেটের ঢাকনা সরাতেই ছোঁয়ার খাওয়ার ইচ্ছেটাই মরে যায়। খুব সামান্য পরিমাণ ভাত আর তার পাশে করলা ভাজি, করলা ভর্তা, করলা দিয়ে মাছের ঝোল।
“আচ্ছা ওই দজ্জাল শাশুড়ী কি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলো না কি? যে আমি ওনার ছেলেকে খাবার না দিয়ে আমিই খেয়ে নেবো?
কি ধরি বাজ শাশুড়ীরে? এটাও জেনে গেলো।
একটুখানি খাবো বলে করলার গোডাউন দিয়ে গেলো।
কাঁদো কাঁদো ফেস করে আবার খাবারটা ঢেকে রাখে ছোঁয়া। এবার আস্তে আস্তে পা ফেলে খাটের দিকে এগোয়। খাবারটা কোনোরকমে খাটের পাশে থাকা টেবিলে রেখে আবার দৌড়ে গিয়ে সোফার পেছনে লুকিয়ে পড়বে।
নিশ্বাস বন্ধ করে প্লেটটা টেবিলের ওপর রাখে ছোঁয়া। আর তখনই একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। সাথে সাথে ভয় পেয়ে চেঁচিয়ে ওঠে ছোঁয়া।
#অন্যরকম তুমি .
#সূচনা পর্ব
#তানিশা সুলতানা
সাদাত দরজা খুলে ভেতরে ঢুকেতেই বুকের ভেতর ধক করে ওঠে ছোঁয়ার। একটু নরেচরে বসে ছোঁয়া। ভয় পাওয়ারই কথা। মাএ ষোলো বছর বয়স ছোঁয়ার। বিয়ে সম্পর্কে ওর কোনো ধারণা না থাকলেও ফুলসজ্জা সম্পর্কে খুব ভালো ধারণা আছে।
ছোঁয়ার চাচাতো বোন বিথির কাছে শুনেছে ছোঁয়া। বিথির হাসবেন্ড ফুলসজ্জার রাতেই খুব মেরে ছিলো বিথিকে। মারার কারণটা ছিলো সেদিন মিথির পিরিয়ড চলছিলো। এতে বেচারি বিথির কোনো দোষ ছিলো না। তবুও মার খেয়েছিলো বিথি।
সাদাতের বোন আর কাজিনরা একটু আগে ছোঁয়াকে যখন এই রুমে এনে বসিয়ে দিয়ে গেছিলো তখন বলেছে আজ ওদের বাসর রাত। বর যা বলবে কোনো প্রশ্ন ছাড়াই শুনবে।
ছোঁয়া মাথা নেরে সায় জানিয়েছে।
বাবার বাড়ি থেকে আসার সময়ও মা কাকিমা দাদিমা সবাই পই পই করে বলে দিয়েছে। বর যা বলবে তাই শুনবি।
মিথি জড়োসরো হয়ে বসে। মাথায় থাকা লাল রংয়ের ঘোমটাটা আরও একটু টেনে দেয়। ভয়ে বুকটা টিপটিপ করছে।
সাদাত রুমে ঢুকে ধাপ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। বিকট শব্দে দরজা বন্ধ হয়ে যায়। কেঁপে ওঠে ছোঁয়া। ঘোমড়াটার আড়াল থেকে এক পলক তাকায় সাদাতের দিকে। কেমন জানি উসকো খুশকো দেখাচ্ছে সাদাকে, ঠিক মতো দাঁড়াতে পারছে না। চোখ জোড়াও খুলে রাখতে পারছে না। মনে হচ্ছে এখনই ঢলে পড়ে যাবে।
উনি কি অসুস্থ?
ছোঁয়ার মন থেকে প্রশ্নটি উদয় হয়।
দরজা বন্ধ করে সাদাত দরজায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। গায়ের সাদা শার্টটা ঘামে ভিজে শরীরের সাথে লেপ্টে আছে। সিল্কি চুলগুলো এলোমেলো হয়ে আছে। ফর্সা মুখটা লাল হয়ে গেছে। কপালের রগটা ফুলে উঠেছে। চোখের সাদা আংশ টকটকে লাল হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে রক্ত।
ছোঁয়া ঢোক গিলে। কাচুমাচু হয়ে বসে।
এই ভয়ংকর লোকটার সাথে থাকবে কি করে ছোঁয়া?
“আআপনি কি অসুস্থ ভাইয়া? কিছু লাগবে আপনার?
রিনরিনিয়ে প্রশ্ন করে ছোঁয়া।
সাদাত ঘাড় বাঁকিয়ে তাকায় ছোঁয়ার দিকে। সাদাতের চাহনি দেখে থেকে থমকে যায় ছোঁয়া। ভয়ে জমে যায়। লাল লাল চোখ দুটো পাকিয়ে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার দিকে। ভ্রু দুটো আড়াআড়ি ভাবে কুচকে আছে।
মনে হচ্ছে এখুনি ছোঁয়াকে টুপ করে গিলে খেয়ে নেবে।
ছোঁয়া মনে মনে নিজেকে বকতে থাকে। কি দরকার ছিলো প্রশ্ন করার?
একপা একপা কর এগিয়ে যায় সাদাত ছোঁয়ার দিকে। ছোঁয়ার ভয় বাড়তে থাকে। হাত পা রীতিমতো কাঁপছে। মাথার ঘোমটাটা কখন পড়ে গেছে সে খেয়াল নেই ছোঁয়ার। মাথা নিচু করে আছে। ছোঁয়ারর দৃষ্টি সাদাতে পায়ের দিকে।
খাটের কাছে চলো এসেছে সাদাত জুতো না খুলেই হাঁটু মুরে বিছানায় বসে। বলিষ্ঠ হাত দিয়ে এক টানে খাটের সাথে ঝুলানো ফুল গুলো ছিঁয়ে ফেলে।
দুই হাতে কান চেপে ধরে ছোঁয়া।
সাদাত বড়বড় চোখ করে তাকিয়ে আছে ছোঁয়ার দিকে।
ছোঁয়া একটু পিছিয়ে যেতে নেয়। সাদাত হাত ধরে ফেলে ছোঁয়ার। চমকে তাকায় সাদাতের দিকে।
” কককি করছেন টা কি আপনি?
ছোঁয়া ধরে আসা গলায় বলে।
সাদাত উওর দেয় না।ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় ছোঁয়াকে। খাটের মাঝখানে পড়ে যায় ছোঁয়া। হকচকিয়ে ওঠে। বড়বড় চোখ করে তাকায় সাদাতের দিকে। সাদাত সেদিকে পাত্তা দেয় না।
একটা বালিশ ছোঁয়ার পেটের ওপর রেখে তাতে ভর দিয়ে ছোঁয়ার দিকে ঝুঁকে।
চোখ মুখ খিঁচে বন্ধ করে আছে ছোঁয়া। সাদাতের দুই বাহুতে হাত দিয়ে ধাক্কা দিতে থাকে ছোঁয়া। নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে সরাতে চাইছে সাদাতকে। কিন্তু এক চুলও নরাতে পারছে না।
” ককি কররছেন কি আপনি?
কাঁপা কাঁপা গলায় বলে ছোঁয়া
উওর দেয় না সাদাত। ছোঁয়ার হাত দুটো শক্ত করে বিছানার সাথে চেপে ধরে। মুখটা এগিয়ে নেয় ছোঁয়ার মুখের দিকে। বিশ্রি গন্ধ বের হচ্ছে সাদাতের মুখ থেকে। নিশ্বাস বন্ধ হওয়ার উপক্রম ছোঁয়ার। মুখ ঘুরিয়ে নেয় ছোঁয়া।
নিজেকে অসহায় লাগছে খুব। কান্না চেপে রাখতে পারছে না।
“প্লিজ ছেড়ে দিন আমায়। লাগছে আমার।
চোখ দিয়ে পানি গড়াচ্ছে ছোঁয়ার। হাতে প্রচন্ড ব্যাথা পাচ্ছে।
সাদাত একটা হাত ছেড়ে দেয়। ছোঁয়া ছাড়া পেতেই সেই হাত দিয়ে সাদাতকে সরানোর জন্য ধাক্কা দেয়। কিন্তু এক চুলও সরাতে পারে না।
” প্লিজ ছেড়ে দিন।
কেঁদে কেঁদে বলে ছোঁয়া।
সাদাত ছোঁয়ার ঠোঁটের লিপস্টিক মুছে দেয় বাম হাতের তালু দিয়ে।
ছোঁয়ার বুক থেকে আঁচলটা সরিয়ে কাঁধে হাত গলিয়ে দেয়।
ছোঁয়া আর নিতে পারছে না। হাউমাউ করে কেঁদে ওঠে।
“কেনো এমন করছেন? আমি কি করেছি?
সাদাত ছোঁয়ার ঘাড়ে মুখ গুঁজে চোখ বন্ধ করে জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে। সাদাতের পুরো নিঃশ্বাসটা ছোঁয়ার ঘাড়ে পড়ছে। ভীষণ অস্বস্তিতে পরে যায় ছোঁয়া।
ছোঁয়া চোখ মুখ খিঁচে কান্না করতে থাকে। সাদাতের পুরো শরীরের ভর ছোঁয়ার ওপর ছেড়ে দেয়। ভীষণ কষ্ট হচ্ছে ছোঁয়ার দম আটকে আসছে।
হাত ছেড়ে দেয়।
এভাবে বেশ কিছুখন কেটে যায়। তারপর হুট করে ঝড়ের গতিতে উঠল বসে সাদাত। দুই হাতে মাথা চেপে বসে থাকে।
” তুই আমার সাথে এমনটা করতে পারিস না। ছাড়বো না তোকে আদি। খুন করবো তোকে আমি।
বিরবির করে বলছে সাদাত।
ছোঁয়া তারাহুরো করে উঠে শরীরে আঁচল জড়িয়ে নেয়। ফুঁপিয়ে কাঁদতে থাকে।
এই অমানুষটা কেনো করলো এমন? আবারও এমন করবে না তো?
আতঙ্কে ওঠে ছোঁয়া।
এখানে থাকা যাবে না আর।
বিছানা থেকে নামতেই দরজায় টোকা পড়ে। নিশ্চয় বাবা এসেছে।
আমাকে এখানে পাঠানোর সময় তো বলেছিলো ছোঁয়ারে রে তুই ওনাদের সাথে যা বুঝলি আমি পরে গিয়ে তোকে নিয়ে আসবো।
এখন নিশ্চয় নিতে এসেছে। কান্নার মাঝেও হাসি ফুটে ওঠে ছোঁয়ার মুখে।
এক দৌড়ে গিয়ে দরজা খুলে দেয়।
বাবা আমি আর এখানে থাকবো না
বলে সামনে তাকাতেই ছোঁয়ার হাসি গায়েব হয়ে যায়। কারণ দরজার কাছে ছোঁয়ার বাবা নয় বরং গম্ভীর মধ্য বয়সি এক মহিলা দাঁড়িয়ে আছে। হাতে তার খাবারের প্লেট।
এই মহিলাটি সাদাতের মা। ছোঁয়াকে এই বাড়িতে আনার পর উনিই মিষ্টি খাইয়েছিলেন।
“এখানেই থাকতে হবে তোমাকে৷ বিয়ে হয়ে গেছে তোমার।
কর্কশ গলায় বলেন উনি। মাথা নিচু করে ফেলে ছোঁয়া। ইচ্ছে করছে মুখের ওপর বলতে ” আপনার এই অমানুষ ছেলের সাথে আমি জীবনেও থাকবো না”
কিন্তু গুরুজন উনি। মুখের ওপর বলাটা ঠিক হবে না।
সালমা বেগম ছোঁয়াকে ভালোভাবে পরখ করে দীর্ঘ শ্বাস ফেলে।
“বাড়ির গুরুজনদের সামনে যাওয়ার আগে আয়না দিয়ে নিজেকে একবার পরখ করে মাথায় ঘোমটা টেনে তবেই যাবে।
বুঝলে?
ছোঁয়া মাথা কাত করে বোঝায় বুঝেছি।
“এই খাবারগুলো সাদুকে খাওয়াবে। আমার ছেলে সকাল থেকে কিছুই খায় নি।
ছোঁয়ার হাতে খাবারের প্লেট দিয়েই উনি দরজা বাইরে থেকে আটকে দিয়ে চলে যায়। ছোঁয়া দীর্ঘ ফেলে।
ওর ও সারাদিন কিছু খাওয়া হয় নি। ভীষণ খিধে পেয়েছে।
এখন কি করবে? এই খাবার গুলো নিজেই খেয়ে নেবে না কি সাদাতকে ডেকে খেতে বলবে?
ডাকলে যদি আবারও ওমন করে?
থাক আর রিক্সা নেবে না ছোঁয়া।
ডানপাশ থাকা সোফার পেছনে বসে পড়ে ছোঁয়া। এখানে বসেই খাবারটা খেয়ে নেবে এবং রাতে এখানেই ঘুমবে৷ যাতে ওই লোকটা ওকে দেখতে না পায়।
প্লেটের ঢাকনা সরাতেই ছোঁয়ার খাওয়ার ইচ্ছেটাই মরে যায়। খুব সামান্য পরিমাণ ভাত আর তার পাশে করলা ভাজি, করলা ভর্তা, করলা দিয়ে মাছের ঝোল।
“আচ্ছা ওই দজ্জাল শাশুড়ী কি আগে থেকেই আঁচ করতে পেরেছিলো না কি? যে আমি ওনার ছেলেকে খাবার না দিয়ে আমিই খেয়ে নেবো?
কি ধরি বাজ শাশুড়ীরে? এটাও জেনে গেলো।
একটুখানি খাবো বলে করলার গোডাউন দিয়ে গেলো।
কাঁদো কাঁদো ফেস করে আবার খাবারটা ঢেকে রাখে ছোঁয়া। এবার আস্তে আস্তে পা ফেলে খাটের দিকে এগোয়। খাবারটা কোনোরকমে খাটের পাশে থাকা টেবিলে রেখে আবার দৌড়ে গিয়ে সোফার পেছনে লুকিয়ে পড়বে।
নিশ্বাস বন্ধ করে প্লেটটা টেবিলের ওপর রাখে ছোঁয়া। আর তখনই একটা বাচ্চার কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। সাথে সাথে ভয় পেয়ে চেঁচিয়ে ওঠে ছোঁয়া।
অন্যরকম তুমি .
সূচনা পর্ব
তানিশা সুলতানা
সকল পর্ব একসাথে