- আধুনিক হাসির গল্প।
- সেরা হাসির গল্প।
- শিক্ষনীয় হাসির গল্প।
- প্রচন্ড হাসির গল্প।
- বিখ্যাত হাসির গল্প।
- নতুন হাসির গল্প।
আমাদের সকল হাসির গল্পের লিংক
https://kobitor.com/category/hasi/
1.আধুনিক হাসির গল্প
ব্রেকাপের পর এক্সকে ভুলে গেছি, ভুলে গেছি ওর আর আমার মেসেঞ্জারে পাতানো টোনাটুনির সংসারকে, ভুলে গেছি আমাদের দিন রাতের ভালোবাসা আর ঝগড়ায় মেশানো অনলাইন দাম্পত্যকেও।
শুধু ঐ মেসেঞ্জারের সংসারে অবন্তি আর প্রিয়ন্তি নামে আমার যে দুইটা জমজ মেয়ে হয়েছিলো, ঐ মেয়ে দুটোকে আমি আজও ভুলতে পারিনি। যদিও বাস্তবে তাদের অস্তিত্ব ছিলো না। ওদেরকে আমরা মেসেঞ্জারেই পেলে পুষে বড় করেছিলাম, তারপরও, মা তো!! কষ্ট তো লাগেই, তাই না?
পৃথিবীর সব নতুন প্রেমিক প্রেমিকার প্রতি আমার একটাই অনুরোধ, ব্রেকাপ করতে হলে আগেই করে ফেলবেন। বাট বাচ্চাকাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর দয়া করে ব্রেকাপ করবেন না।
হোক ওরা অনলাইন শিশু, তারপরও ওদের বাবা মায়ের ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করার কোনো অধিকার আপনাদের নাই!
END
……………..
আমি যখন ক্লাস নাইনে সাইন্স নিছিলাম তখন ক্লাসমেটদের অনেকেই হাসি ঠাট্টা করছিলো- শুধু একটা ছেলে হাসি তামাশা করে নাই, কারন সেও সাইন্স নিছিলো।
অথচ আজ আমি কোথায় আর যারা সাইন্স নিছিলাম বলে হাসি তামাশা করছিলো তারাই বা কোথায়! তারা বড়জোর হয়তো কোনো প্রাইভেট কম্পানিতে ছোট খাটো চাকরি করে বউ বাচ্চা পালতেছে; এরচেয়ে বেশি কিছু হবে না। কিন্তু আমি? ওরা যে সব কম্পানিতে চাকরি করতেছে ঐরকম কয়েকটা কম্পানির হেড অফিস ওয়ালা আট তলা একটা বাড়ির নিচে টং দোকানে বসে বসে ম্যাচের কাঠি দিয়া দাঁত খু’চাইতেছি, যখন সাইন্স নিছিলাম তখনও এই অবস্থাই ছিলো। আর ঐযে যেই ছেলেটা হাসি তামাশা করে নাই- সেই ছেলেটা এখন একজন সফল চা বিক্রেতা, ওর চায়ের খুব ট্যাশ মা*ইরি।
………………
প্রতিদিন বাসে উঠে দেখি প্রতিবন্ধী সীটে কেউ না কেউ বসে আছে!
– সেদিন দেখি একটা বস্তা বসানো আছে
• সকলেই ভাবছে কেউ হয়তো সীট রেখে
দিয়েছে!
৬ টা স্টপেজ যাওয়ার পর বাসটা খুব ভীর হয়ে গেছে!
সবাই খুব চেঁচাচ্ছে…”কার বস্তা হঠান সীট
থেকে”একজন ভদ্রলোক বললো “আমার। কেউ একজন বললো “আপনি নিজে দাঁড়িয়ে বস্তা
সীটে রেখেছেন কেন?”
লোকটা বললো “সীট টা কি দেখছেন তো প্রতিবন্ধীদের!
বস্তায় আম আছে!ল্যাংড়া আম!!
আমাদের সকল হাসির গল্পের লিংক
https://kobitor.com/category/hasi/
2.সেরা হাসির গল্প
একজন লেখক বিহারে রাতের ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন। রাত বাড়তেই পাশে বসা সহযাত্রীরা ক্রমশ কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়তে লাগলেন। লেখকের ট্রেনযাত্রায় ঘুম আসে না। তিনি একটি বই খুলে পড়তে শুরু করলেন। উল্টোদিকের সিটে বসা ৫-৬ জনের মাঝখান থেকে এক যাত্রী লেখককে উদ্দেশ্য করে বললেন,
_”আপনি ঘুমোবেন না?”_
_”না ট্রেনের দুলুনিতে ঘুম আসে না। বই পড়ে রাত কাটিয়ে দেব।”_
_”তাহলে আমার একটা উপকার করতে হবে।”_
_”কী?”_
_”রাত আড়াইটায় আমাকে ঘুম থেকে তুলে দিতে হবে। তার পরেই আমার স্টেশন এসে যাবে।”_
লেখক সম্মত হলেন। যাত্রীটি অন্যদের মতোই কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমিয়ে পড়লেন।
শীতের শেষ রাতে লেখকেরও চোখের পাতা জড়িয়ে এলো। হঠাৎ সহযাত্রীর চিৎকারে সচকিত হলেন। চোখ খুলে দেখেন, সেই সহযাত্রী তাঁরই সামনে দাঁড়িয়ে চেঁচিয়ে কামরা মাথায় তুলেছেন। অন্য যাত্রীরাও জেগে গিয়েছেন। জানালার ওপাশে হালকা ভোরের আলো ফুটেছে। সময়মতো জাগিয়ে না দেবার জন্য ও নির্দিষ্ট স্টেশন পার হয়ে যাবার জন্য লোকটি লেখককে তুমুল গালাগালি দিতে লাগল। লেখক ফ্যালফ্যাল করে চেয়ে নীরবে তিরস্কার হজম করতে লাগলেন। কামরার অন্য যাত্রীরা বরং তাঁর পক্ষ নিয়ে এগিয়ে এল। ওই যাত্রীকে থামিয়ে বলল,
_”অনুরোধ না রাখতে পারা এমন কোনো অপরাধ নয় যে, ওই ভদ্র সন্তানকে এত গালাগালি শুনতে হবে। যাকে মাঝরাত পার করে নামতে হবে, জেগে থাকার দায় তারই।”_
লোকটিকে কোনোমতে থামিয়ে অন্য সহযাত্রীরা লেখককে বললেন,
_”আপনিই বা কেন নীরবে এত তিরস্কার হজম করছেন? আমরা আপনার হয়ে কথা বলছি, অথচ আপনি আগাগোড়া চুপ, আশ্চর্য তো!”_
লেখক শান্তভাবে বললেন,
**”যে লোকটাকে কম্বল মুড়ি দেওয়া অবস্থায় প্রায় জোর করে তুলে দিয়ে অন্ধকার স্টেশনে নামিয়ে দিলাম, সে না জানি কত গালাগালি করছে! তার কথা ভেবে এনার কথায় চুপ করে আছি।”**
(সংগৃহীত)
……………….
………………..
বিশ্বাস কর ভাই- এতো রাতে মেয়েটা শাড়ি শুধু তোর জন্য পরেনি। তোর মতো আরো ১২ টা ইনবক্সে একি ছবি দিছে।
এমন ১২ ব্যাটারি থেকে সাবধান।
3.শিক্ষনীয় হাসির গল্প
ইদানীং বউ ঘনঘন ফেসবুকে প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করছে। সকালে একটা, বিকেলে একটা, আবার রাতে অন্যটা।
আমি বললাম, কাহিনি কী বউ? ঘন ঘন প্রোফাইল পিকচার পরিবর্তন করছো কেন? তুমি তো আর সিনেমার নায়িকা না!!
বউ মুখ ঝামটা দিয়ে বলল, আমি তো আর তোমার মতো অকর্মার ঢেঁকি না,আমার কাজের পিছনে নিশ্চয়ই কারন আছে। ফ্যান ফলোয়ার বাড়াচ্ছি।
আমি বললাম, এমনিতেই তো তোমার প্রোফাইলে ফ্যান ফলোয়ারের বন্যা বয়ে যাচ্ছে। যেই ছবিই আপলোড দিচ্ছ,সাথে সাথে হিট৷ লাইক কমেন্ট তুফানের মতো ছুটে আসছে!
আরও চাই। আরও! আমি সেলিব্রিটি হতে চাই!!
আমি অবাক গলায় বললাম, শুধু ফেসবুকে ছবি আপলোড দিয়ে সেলিব্রিটি হয়ে যাবে! হাউ ফানি! জরিনার নানি!!
বউ বিরক্ত গলায় বলল, দূর গাধা! শুধু ছবি হবে কেন? এখন লোকজনের কাছে পরিচিত হচ্ছি। বইমেলায় বই বের করবো।
আমি বসা থেকে লাফ দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বললাম, কী বের করবে??
আরে হাদারাম! বই বের করবো বই। শুধু আমার ফ্যান ফলোয়ার আমার বই কিনলেই দেখবা বইমেলায় হৈচৈ পড়ে যাবে!! আমি হয়ে যাবো বিখ্যাত সেলিব্রিটি!!!
আমি আধা ঘণ্টা ঝিম মেরে বসে রইলাম। হায় হায়! আমার বউ লিখবে বই? যে মহিলা বাজারের ফর্দ ঠিক মতো বানান করে লিখতে জানে না, আদা লিখতে বললে গাধা লিখে, রসুন লিখতে বললে বসুন লিখে, সে লিখবে বই!!!
একদিন সত্যি সত্যি সে ফেসবুকে একটা স্টাটাস দিয়ে লিখল, হাই বন্ধুরা তোমরা কেমন আছো? তোমাদের জন্য একটা সুখবর নিয়ে এসেছি । আগামী বইমেলায় আমি আসছি তোমাদের জন্য একটা অসাধারণ বই নিয়ে। তোমরা আমার সাথে থাকবা তো?
লাইক কমেন্টের বন্যা শুরু হয়ে গেল। এক ঘন্টায় কয়েক,শ কমেন্ট পড়লো।এক ছাগল লিখল,আমরা আছি মানে? ম্যাডাম, আপনি বই বের করুন, বিক্রি করার দায়িত্ব আমাদের! বই দিয়ে মহামারী করে ফেলবো না??
আরেক ছাগল লিখল, ম্যাডাম, আমি দিব্য চোখে দেখতে পাচ্ছি আপনার বই এই মেলায় দারুণ হিট খেয়ে যাবে! লোকজন পঙ্গপালের মতো ছুটে এসে আপনার বই কিনবে!!
অন্য এক রামপাঠা লিখল, চোখের ঘুম তো হারাম করে দিলেন! খালি ভাবছি,ম্যাডামের বই কবে বের হবে! নিশ্চিত থাকেন ম্যাডাম,আপনার বই হবে মেলার বেস্টসেলার!!
তরতরিয়ে বউয়ের ফ্যান ফলোয়ার বাড়ছে। কয়েক মাসে আমার চেয়ে বউয়ের ফ্যান ফলোয়ার হাজার গুন বেশি!
বহু বছর যাবৎ ফেসবুক, পত্রপত্রিকায় লেখালেখি করি । কেউ পাত্তা দেয় না। ফেসবুকে সারাদিন কষ্ট করে লিখে নামমাত্র কয়েকটা লাইক কমেন্ট পাই।
যে কয়েকটা কমেন্ট পাই, বেশির ভাগ গালাগালি!
পত্রিকা পড়া তো লোকজন কবেই ছেড়ে দিয়েছে।
একদিন এক পাঠক লিখল,প্রোফাইল পিকচার দেখে তো মনে হয় হনুমানের মতো চেহারা! এই চেহারা নিয়ে লেখক হইলেন কেমনে? রিকশা ভ্যান গাড়িওয়ালা হলে বেশ মানাইতো!!
পাঠক মাঝে মাঝে মনে করিয়ে দেয়,আমি যদি লেখালেখির পিছনে সময় ব্যয় না করে সেই সময়টা ছাগল চড়াইতাম, তাহলে ভালো রাখাল হইতে পারতাম!!
একদিন বউ এসে বলল, কী বই লেখা যায়,বল তো? গল্প, উপন্যাস নাকি কবিতা?
আমি বললাম, লেখ যা খুশি। বই যে লিখবে, প্রকাশক পাবে কোথায়? কে তোমার বই প্রকাশ করবে?
বউ মুখ ঝামটা দিয়ে বলল, আমি কি তোমার মতো ঘাস খাওয়া বলদ? প্রকাশক অলরেডি আমার পিছনে লাইন দিতে শুরু করেছে!
বউয়ের কথা শুনে আমি তব্দা খেয়ে গেলাম। হায় হায়, বলে কি! প্রকাশক লাইন দিয়েছে মানে? আমি শালা সারাজীবন প্রকাশকের পিছনে ঘুরে একটা বই বের করতে পারলাম না, আর বউ!
আমি বললাম, দেখ বউ,জীবনে তো গল্প কবিতা দুই লাইন লিখে দেখ নাই,সারাদিন তো রূপচর্চা নিয়েই ব্যস্ত থাক, লিখবেটা কী? তাছাড়া তুমি বই বের করলে সত্যিকার লেখিকারা তো গালি খাবে। লোকজন মনে করবে,তারাও বুঝি তোমার মতো লিখে!
বউ আমার গলা জড়িয়ে ধরে আহলাদী গলায় বলল, আমার হয়ে কয়টা কবিতা লিখে দাও না! আজকাল তো কবিতার বই ভালোই হিট খাচ্ছে!!
মাথা খারাপ! আমার পেটে এটম বোম মারলেও দুই লাইন কবিতা বের হবে না, কবিতা লেখা কঠিন কাজ। প্রতিভা লাগে। যাকেতাকে দিয়ে এই কাজ হয় না। গল্প লেখাও সম্ভব না। আমি গল্প লিখলে লোকজন বকা দেয়!!
কথা শুনে বউ কান্না জুড়ে দিল। হতাশ হয়ে বলল, তাহলে কি আবার বই বের হবে না! আমি সেলিব্রিটি হতে পারবো না! প্রকাশককে কি বলবো?
আমি চোখ মোছার জন্য টিস্যু এগিয়ে দিতে দিতে বললাম, এক কাজ কর,রূপচর্চার উপর একটা বই লিখে ফেল। আজকাল এই জাতীয় বই হেভি হিট খাচ্ছে। তোমার কিছুই করতে হবে না, শুধু প্রতিদিন কীভাবে রূপচর্চা কর তার বর্ননা লিখে যাও,ওতেই কাজ হবে।
বউ লাফিয়ে উঠে বলল, গুড আইডিয়া! ভালো বুদ্ধি দিয়েছো! হায় আল্লাহ! এই বুদ্ধি আমার মাথায় আসে নাই কেন???
বউ তক্ষুনি দৌড়ে চলে গেল বই লিখতে!
আমি মন খারাপ করে বসে রইলাম। বউ বই বের করে ফেলছে, আর আমি,,,
একদিন শালী ফোন দিয়ে বলল, দুলাভাই, আপা নাকি বই লিখছে?
আমি হতাশ গলায় বললাম, তাই তো দেখছি!
সে আবার কী বই লিখবে? সে তো এসএসসিতে বাংলায়ই ফেল করেছিল। ওকে গরু রচনা লিখতে বললে ছাগলের রচনা লিখে বসে থাকতো!!ওর মাথায় এই ভূত চাপলো কীভাবে?
জানি না রে বোন !
বইমেলার আগে আগে বউ বলল, বই লেখা শেষ। কি নাম দেওয়া যায় বল তো?
যেহেতু রুপচর্চা নিয়ে লিখেছো, এই জাতীয় একটা নাম দিয়ে দাও।
আমার মাথায় নাম আসছে না, তুমি একটা নাম দিয়ে দাও।
‘আয় রুপচর্চা করি’ নামটা কেমন হবে বলো তো? একটা অন্য রকম জোস আছে না নামটার মধ্যে ?
ফাইন নাম হইছে। তোমার মাথায় সেই লেভেলের বুদ্ধি আছে,,,
তা অবশ্য আছে। কথা হচ্ছে এই বই কে কিনবে? তোমার তো পুরুষ ফলোয়ার বেশি। লিখেছো তো রূপচর্চা বই।পুরুষরা এই বই কিনবে?
আরে কি বল! এখন পুরুষরাও লাইন দিয়ে রূপচর্চা করে! তুমি দেখ, এই বই বেস্টসেলার হবে।
বউ কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে বইয়ের বিজ্ঞাপন চালিয়ে গেলো। একদিন শুনলাম দ্বিতীয় এডিশন চলছে। রকমারিতে এই বই লিস্টে এক নাম্বার!
প্রকাশককে ফোন দিয়ে বললাম, ভাই এখনো বইমেলা শুরু হয়নি, এরই মধ্যে দ্বিতীয় এডিশন আসলো কীভাবে? আপনারা তো দেখি ফাটিয়ে দিয়েছেন! এরিমধ্যে প্রথম এডিশন শেষ?
প্রকাশক ধমক দিয়ে বলল, ধুর মিয়া! প্রথম এডিশন বের করলে তো!! আমরা শুরুই করেছি দ্বিতীয় এডিশন থেকে!!!
আমি অতি নিরীহ গলায় বললাম, ভাই, আমার একটা বই বের করা যায় না? আমি তো অনেক দিন যাবৎ লেখালেখি করি,,,,
প্রকাশক বিরক্ত গলায় বলল, দূর মিয়া! আমরা আজেবাজে লেখকের লেখা ছাপি না। আমরা আগে লেখকের কোয়ালিটি দেখি!
কথা শুনে নিজের অজান্তেই বুক চিঁড়ে একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে এলো!
বইমেলা শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ পর আবার বিজ্ঞাপন দেখলাম, দ্বিতীয় এডিশন শেষের পথে।
প্রকাশক বিজ্ঞাপন দিয়েছে, বন্ধুরা, ‘আয় রূপচর্চা করি’ বইয়ের দ্বিতীয় এডিশন শেষের পথে। অনলাইনে প্রচুর পাঠক অর্ডার করছেন। আর কয়েকটি বই মাত্র অবশিষ্ট আছে। আপনারা কি চান তৃতীয় এডিশন বের হউক? আমাদের বিন্দু পরিমাণ আগ্রহ নাই,যা চলছে আলহামদুলিল্লাহ! তবে আপনারা যদি চান তবে তৃতীয় এডিশন বের হবে!!
প্রতিদিন বউ সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠেই সাজুগুজু শুরু করে দেয়।কোনরকমে নাস্তা করে ছুটে বইমেলায়। সারাদিন কাটিয়ে রাতে বাড়ি ফিরে। প্রতিদিনই একটা করে শাড়ি পাল্টায়।
আগে সে আমাকে সমীহ করতো, এখন আমি করি। সেলিব্রিটি বলে কথা!
একদিন আমি বললাম,ঘটনা কী বউ? বই বেঁচতে যাও নাকি ফ্যাশন শো করতে যাও? মনে হয় বিউটিপার্লারে গিয়ে সাজুগুজু করে এসেছো?
বউ মুখ বাঁকা করে বলল, তোমার মতো বেকুব জীবনে দেখি নাই! কত টিভি ক্যামেরা ঘোরাঘুরি করে, কখন কার সামনে পড়ে যাই,এক শাড়িতে মান ইজ্জত থাকবে ? শত হলেও আমি তোমার বউ না? ইজ্জত গেলে কার যাবে?
অকাট্য যুক্তি। এরপর আর কথা চলে না।
ফেসবুকে নানা মানুষের সাথে বউয়ের ছবি দেখি। বই হাতে পাঠক বউয়ের সাথে সেলফি তুলতে পেরে খুশি। সেলফি তোলার লোভে বুড়ো হাবড়া টাইপ লোকজনও রুপচর্চার বই কেনে!
কয়েকদিন পর আবার প্রকাশক বিজ্ঞাপন দেয়, অজস্র পাঠকের কথা বিবেচনা করে আমরা ‘আয় রুপচর্চা করি’ বইয়ের তৃতীয় এডিশন বাজারে আনতে বাধ্য হইলাম!!
এক শুক্রবার আমি সেই বইয়ের স্টলে হাজির হলাম। প্রকাশক হাসি হাসি মুখে বসে আছে। বউ নায়িকাদের মতো সাজ দিয়ে এসেছে। পাঠকের সাথে সেলফি তুলছে। ক্ষুধার্ত বাঘ যেমন হরিন খুঁজে, বউও পাঠকের খোঁজে এদিকওদিক ঘুরছে। কেউ সেলফির লোভে বই কিনলেই তাকে সুন্দর করে না চাইতেও অটোগ্রাফ দিচ্ছে। আর এদিকে ভালো ভালো, নামকরা লেখিকারা মুখ কালো করে বসে আছে। কেউ কেউ গল্প করছে।
তাদের বই বউয়ের কাছে পাত্তা পাচ্ছে না। নতুন লেখকদের তো বেইল ও-ই নাই!
আমার মনে হল, আরে শালা, বউকে তো হেভি সুন্দর লাগছে। আমার বউকে তো আমিই চিনতে পারছি না!
আমি বউয়ের উপর নতুন করে ক্রাশ খেলাম। প্রকাশককে বললাম, কেমন চলছে বই?
প্রকাশক গালভরা হাসি দিয়ে বলল, ফাটাফাটি ভাই। হেভি চলছে!
এক ছেলে তার মায়ের সঙ্গে এসেছে। ‘আয় রূপচর্চা করি’ বইটা দেখিয়ে বলল, আম্মু এইটা কিনবো।
আমি বললাম, বাবু, তুমি এই বইটা কিনবে কেন?
এই বইটা সুন্দর!
বুঝলাম সে প্রচ্ছদ পছন্দ করেছে!
এক বুড়ো মতো লোক বই কিনে বউয়ের সাথে সেলফি তুলছে। আমি বললাম, চাচা কী বই কিনলেন?
চাচা বললেন, উপন্যাস।
চাচা এইটা তো উপন্যাস না। রূপচর্চার বই!
চাচা একগাল হাসি দিয়ে বলল, ও আচ্ছা, এইটা রূপচর্চার বই? সমস্যা নাই। লেখিকা অনেক সুন্দরী। তার লেখা নিশ্চয়ই ভালো হবে! কী সুন্দর করে আমার সাথে ছবি তুললো!!
বউ আমাকে কাছে ডাকলো। কাছে যেতেই বলল, আমার সাথে বই হাতে একটা সেলফি তোল।
আমি বই হাতে দাঁড়ালাম।
বউ বিরক্ত গলায় বলল, মুখটা এমন হনুমানের মতো করে রাখছো কেন? মনে হয় যেন চুরি করতে এসে ধরা খাইছো!
আমি ক্যাবলাকান্তের মত বই হাতে নিয়ে দেঁতো হাসি দিয়ে দাঁড়ালাম।
বউ সেই ছবি ফেসবুকে আপলোড দিয়ে লিখল, এইমাত্র বিখ্যাত তরুন লেখক (অলরেডি অর্ধেক চুল পেকে গেছে ) হানিফ ওয়াহিদ সাহেব আমার একটা বই কিনলেন।
উনি জানিয়েছেন শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও শুধু আমার বইটি কেনার জন্য উনি মেলায় ছুটে এসেছেন!
#সুন্দরী_লেখিকা
#হানিফ_ওয়াহিদ
4.প্রচন্ড হাসির গল্প
আমার বউ একটু বেশি ঝগড়াটে।তাকে প্রথমে সহজ সরল ভেবে আমার সারাজীবনের কুকীর্তি-সুকীর্তির কথা বলেছিলাম। সেটাই যে আমার জন্য পরিবর্তী কালের কঞ্চিসহ বাঁশ হবে তা বুঝতে পারিনি।মাঝে মাঝে সে আমাকে এমনভাবে অ্যাটাক করে,বুঝে উঠতে পারিনা এটা আমার বউ না র্যাবের মহাপরিচালক।
বউকে বলেছিলাম,প্রথম যার সাথে প্রেম করেছিলাম সে ছিল দুধের মতো ফর্সা।আর নামটাও ছিলো কত সুন্দর, প্রেমা।
তারপর প্রেমার সাথে ব্রেকাপ হওয়ার পর জান্নাতের সাথে প্রেম করলাম।তুমি জানোনা বউ, মেয়েটাকে প্রথমে আমি চিনতেই পারিনি।কয়েকদিন বাদে বুঝলাম, মেয়েটা ধানী লংকা।উঠতে- বসতে , সাতবেলা আমার সাথে বাজে ব্যবহার করতো।তাই ওটাকে বিয়ে করার আগেই তালাক দিয়েছিলাম।
আর তোমার সাথে বিয়ে হবার আগে রুম্পার সাথে প্রেম করেছিলাম।মেয়েটার ব্যবহার এতো ভালো যে তোমাকে বলে বুঝাতে পারবো না।তোমার সাথে বিয়্র হয়ে গেলো বলে রুম্পাকে ছেড়ে দিতে হলো।মেয়েটা ছিলো একদম মধুর মতো।
আরো কয়েকটা প্রেমের কথা বলেছিলাম।এ জীবনে প্রেম তো আর কম করিনি।খাতা-কলম নিয়ে সেদিন বসেছিলাম বউয়ের সাথে,মোট ১৭ টা হয়েছিলো।
এই কথাগুলো আপন ভেবে বউকে বলেছিলাম।কিন্তু বউ যে এমন একটা কাজ করবে আমি জানতাম না।আমাকে প্রতিদিনের মতো সেদিন ও বাজারের লিস্ট হাতে দিয়েছে। কিন্তু আমি লিস্ট পড়তে গিয়ে অবাক।
১.প্রেমা-১ কেজি,
২.সুরাইয়া-১০০ গ্রাম
৩.জান্নাত- ৫০০ গ্রাম
৪.রুম্পা-২৫০ গ্রাম
৫.ববি-২০ টাকার
আমি লিস্টের নাম পড়েই বউকে ডাক দিলাম।বউ সকাল সকাল মদ কি বেশি খাইছো নাকি।উলটাপালটা ভালোই তো লিখেছো দেখছি!
বউ-আমি ঠিকই লিখেছি।
আমি- তুমি কিভাবে ঠিক লিখেছো।আমার প্রাক্তনদের নাম লিখেছো কেন?
বউ-আরে তুমি সেদিন বললা না প্রেমা দুধের মতো ছিল।তার মানে প্রেমার নাম আর দুধ একই কথা।
আর সুরাইয়া বলে তোমার জীবনটা তেজপাতা বানাইয়া ফেলেছিল, সেজন্য তেজপাতার জায়গায় সুরাইয়ার নাম লিখেছি।
আর মরিচের জায়গায় জান্নাতের নাম,মধুর জায়গায় রুম্পার নাম।আর তুমি সেদিন বললা ববিরে দেখলে তোমার এলাচের কথা মনে পড়ে যায়।তাই এলাচের নামের জায়গা ববির নাম।
তুমি যে আমারে এভাবে খোটা দিবা জানতাম না।
-আমার কি দোষ বলো।বাজার করতে দিলেই তুমি ভুলে যাও।লিস্ট করে দিলে সেটা হারিয়ে ফেল।তাই এটা তোমার শাস্তি।
-তাই বলে এভাবে?
-ও প্রেম করার সময় মনে ছিল না,তুমি করলে দোষ নাই আর আমি বললেই দোষ।যত দোষ নন্দ ঘোষ।
যাও বাজার করে আনো।নাইলে বাপের বাড়ি চলে যাবো কিন্তু!
#গল্পসমগ্র
Written By-MD Rashed Hasan
বাসার ৪ তালায় একটা ভাইয়া থাকে দেখতে মাশাআল্লাহ!’
ওনার উপর সেই লেভেল কেরাস খেয়ে ফেলছিলাম!’ উনি সবসময় ১১ টা আর বিকাল ৪/৫ টার দিকে ছাদে যায় সি-গা-রে-ট খাইতে!’
আমিও সকালে জামা কাপড় ধুয়ে নিয়ে যাই ছাদে মেলে দিতে!’আবার বিকালে উনি গেলে আমিও যাই জামাকাপড় নিয়ে আসতে!’এগুলা শুধু বাহানা ওনারে দেখার জন্য!’
মাঝেমধ্যে ধোয়া জামাকাপড় ও আবার ধুই ছাদে দেওয়ার জন্য!’তো উনি আজকে সকালে যথারীতি সি-গা-রে-ট খাইতেছে আর আমি জামা কাপড় মেলে দিতেছি!’হুট করে আমার সামনে এসে বলে “নাম কি?” ভয়ে ভয়ে উত্তর দিলাম!’আর কিছু জিজ্ঞেস না করে ঠাস করে বলে ফেলছে আমি আগামী সাপ্তাহ জবে জয়েন্ট করবো,ছাদে আসা হবেনা শুক্রবার ছাড়া!’তো আপনি জামাকাপড় নিয়ে কষ্ট করে ছাদে না এসে বারান্দায় মেলে দিয়েন!’
লে আমি :
5.বিখ্যাত হাসির গল্প
ছোটবেলায় একটা মিচকা অভ্যাস ছিল
ঠিক ছোটবেলায় না… যখন দেশে প্রথম প্রথম মোবাইল আসলো তখন
হুট করে ৭ টাকা পার মিনিটের অফার আসলো… মানুষ ধুমায়ে মোবাইল কেনা শুরু করল
কারো মোবাইল হাতের কাছে পেলে, সেই ফোনের কন্টাক্ট লিস্টে ঢুকে রেন্ডম ১/২ জনের নাম চেইঞ্জ করে দিতাম
হয়তো লেখা আছে আব্বাস সাহেব… 0171019235
আমি হয়তো ‘আব্বাস সাহেব’ এডিট করে লিখে রাখলাম “জুয়েল আইচ”
বা, সালমা আপার নাম চেইঞ্জ করে রুনা লায়লা লিখে রাখলাম
অমিতাভ বচ্চন, কিলার আব্বাস, সুইডেন আসলাম, সুব্রত বাইন, ডিবি প্রধান আজমল, শেখ হাসিনার পিএস, বিসিবি সভাপতি পাপন … যখন যে নাম মনে আসত, সেই নামে সেইভ করে রাখতাম
এই অভ্যাসটা অনেকদিন ছিল
মনে মনে ভাবতাম সেই নম্বর থেকে ফোন আসলে বান্দা ফোনের স্ক্রিনে সেই নাম দেখে কি করত? …সিনটা ভেবে হাসতাম একা একা
সেদিন খালা ফোন করে বলছে, ‘গতকাল তোর খালুর ফোন ঠিক করে দিলি, তার পর থেকে সমানে স্বয়ং ‘দুদক মহাপরিচালক’ একটার পর একটা ফোন করে যাচ্ছে… কেন যে ফোনটা ঠিক করলি… ছাতার ফোন নষ্ট ছিল ভালই ছিল… সকাল থেকে তোর খালুর বিপি হাই…’
আমি বললাম “এখন কি অবস্থা?”
“সে অবাক হয়ে ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে… একটু আগে করণ জোহর এসএমএস দিসে স্বপ্নের সদরঘাট আউটলেটে নাকি পাতি হাঁসে ৩০০ টাকা ছাড়”
‘বিনা কারণে তো করণ জহরের এরকম এসএমএস পাঠানোর কথা না…আমার তো সন্দেহ হচ্ছে এটা দুদকের মহাব্যবস্থাপকের কাজ… নাম চেইঞ্জ করে খালুর পকেটের অবস্থা যাচাই করছে। তুমি খালুকে বলো উনাকে কনফিউজ করে দিতে। খালুকে হিন্দিতে হাঁসের দরদাম শুরু করতে বলো। তাহলে তারা বুঝবে তোমার টানাটানির সংসার… পাতি হাঁসের হিন্দি কি জানো তো?’
“তুই তাড়াতাড়ি বাসায় আয়”
…সেই অভ্যাস এখনও যায়নি
আজ সকালে নাস্তার টেবিলে আমার বউ বলছে, “বুঝলাম না বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আমাকে সমানে কেন জানি মিসড কল দিচ্ছে”
আমি চায়ের কাপে চুমুক দিতে দিতে বললাম, ‘ইশারা তো ভালো ঠেকছে না…দেশের অর্থনীতির অবস্থা আসলেই খারাপ …খরচপাতি কমাও’
………………………..
……………………………
ভুঁড়ি বাড়ছে বাড়ুক
কোনোদিন শুনেছেন রাজা বাদশাদের সিক্স প্যাক ছিলো ?সিক্স প্যক থাকে প্রহরীদের এগুলা সবাই বুঝবেনা সবাইতো আর আমার মতো রাজবংশ না !
6.নতুন হাসির গল্প
ঘুম ধরছে না৷ আননোন নম্বর দিয়ে বাড়িওয়ালার নম্বরে চল্লিশটা মিসডকল দিলাম ৷ ব্যাক করে বলে, কে রে ব’দমাশ?
কল কেটে দিলাম৷ রাত দেড়টার সময় কল ব্যাক করে কেউ এভাবে কথা বলে ! সামান্য ভদ্রতা জ্ঞান নাই ৷
মেসেজ দিলাম, আপনার বাড়ির গেটে লোকজন ফিসফিস করছে ৷
একটু পর বাড়িওয়ালার দরজা খোলার আওয়াজ পেলাম৷ দৌড়ে উনি গেটে গেলেন ৷ খটরমটর করে গেট খুললেন৷
আজব মানুষ৷ এত রাতে কেউ গেট খুলে এমন শব্দ করে?
এমনি আমার ঘুম ধরছে না৷ তার ওপর শব্দ৷ কেমন যে বির’ক্ত লাগে এসব অভ’দ্রতা দেখলে?
এখন বাজে রাত দেড়টা ৷ গার্লফ্রেন্ডকে মেসেজ দিলাম আননোন নম্বর থেকে – তুমি সোহানের যে গোপনে প্রেম করছো তা আমরা জেনে ফেলেছি৷ তোমার আব্বাকে বলে দিব সকালেই ৷ আর তাছাড়া সোহানও ভাল না৷ আরো ছয়টা মেয়ের সাথে প্রেম করে৷ চাইলে ছবি পাঠাবো প্রমাণ স্বরুপ৷
কি যন্ত্রণা! গার্লফ্রেন্ড আমাকে টেক্সট দিল ৷ সোহান তোমার নামে এসব কি শুনছি ৷ তুমি নাকি ছয়টা মেয়ের সঙ্গে প্রেম করছো ৷ তুমি এতবড় বদ’মাস? চরিত্রহী’ন?
আমি আমার নম্বর থেকে টেক্সট দিলাম, জানু কি বলছো এসব ৷ আমিতো ছয়টা প্রেম করি না ৷ তবে আমি রিনুকে ছাড়া বাঁচবো না ৷ রিনু তোমার ক্লাসমেইট৷ সরি তোমাকে সত্যটা বলতেই হলো ৷ ক্ষমা করে দিও ৷
এই মেসেজ পাওয়ার পর থেকে গার্লফ্রেন্ড সমানে কল দিয়ে যাচ্ছে আমাকে ৷ এতরাতে কথা বলা পছন্দ করি না আমি ৷ কল ধরবো না৷ এমনিতেই আমার ঘুম ধরছে না ৷
এবার রিনুকে মেসেজ দিলাম ৷ রিনুতো আবার প্রেম করে সাজুর সঙ্গে ৷ আননোন নম্বর থেকে মেসেজে লেখলাম, রিনু তোমার বয়ফ্রেন্ড সাজু কাল সকাল দশটায় বিয়ে করবে তার এক্স প্রেমিকাকে৷ সে তোমাকে ঠকিয়েছে৷ যত দ্রুত পারো সকাল সকাল শাহবাগ কাজি অফিসে যাও ৷ তাদের বিয়ে ঠেকাও ৷ আমাকে তুমি চিনবে না ৷ আমি তোমার শুভাকাঙ্খি৷
এখন তোরা সারারাত টেনশন কর বাপু ৷ আমাকে ঘুমাতে হবে৷ এমনিতে আমার ঘুম ধরছে না ৷
লেখা :আলী ইমরান
………………..
…………………………
নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের পাশাপাশি পশুখাদ্যেরও দাম বেড়ে গেছে।
ফলে আমার বন্ধু তার শখের ঘোড়াকে ঠিকমতো খাওয়াতে পারছিলো না। তাই ঘোড়াটি দিন দিন জীর্ণ শীর্ণ অবস্থার দিকে যাচ্ছিলো। আমি তাকে বুদ্ধি দিলাম…
– খামখা ঘোড়া রেখে খরচা বাড়িয়ে লাভ নেই। বিক্রী করে দে।
– আমার এই হাড় জিরজিরে ঘোড়া কেউই কিনতে রাজী হবে না।
– কিনবে.. কিনবে.. হাটে নিয়ে যা.. দেখবি বাজারে BAL এ ভর্তি। দামাদামি করলে বলবি ….(আমি কানে কানে বলে দিলাম)।
ও আমার দেয়া বুদ্ধি শুনে খুশি মনে ঘোড়াটিকে পশুহাটে নিয়ে গেলো। কিছুক্ষন বাদেই হাজির এক আওয়ামীলীগ নেতা আর তার চামচা।
সেই নেতা ভাব নিয়ে বলে…
– কত দাম তোর ঘোড়ার?
– ৫০ হাজার।
– এমন রুগ্ন ঘোড়ার এতো দাম?
– এই ঘোড়ার পিঠে বসলে মক্কা-মদিনা দেখা যায়। (কানে কানে বলে দেয়া বুদ্ধি)
নেতা চমকে উঠে বলে…
– বলিস কি..? মক্কা মদিনা দেখা গেলে আমি ঘোড়ার দাম ১লাখ টাকা দেবো।
লীগের নেতা তার চামচাকে ঘোড়ার পিঠে চড়তে বলল। আমার বন্ধু চামচাকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলল…
– সৎ মানুষ না হলে কিন্তু মক্কা-মদিনা দেখতে পাবে না।
চামচা ভয় পেয়ে যায়। নেতার সামনে অসৎ প্রমাণিত হলে ইজ্জত যাবে। সে ঘোড়ার পিঠে চড়ে বলে..
– ঐ তো স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে মক্কা-মদিনা। সুবহানাল্লাহ।
নেতা চামচার কথায় বিস্মিত হয়ে নিজেই ঘোড়ার পিঠে চড়ে বসে। কিছুই দেখতে পাই না। কিন্তু ততক্ষণে গোটা বাজারের লোক সেখানে উপস্থিত।
এতো লোকের সামনে নিজে অসৎ প্রমাণিত হওয়ার ভয়ে উনি বলল..
– কি আশ্চর্য্য! কি আশ্চার্য্য!! সত্যিই তো মক্কা মদিনা দেখা যাচ্ছে।