- অসাধারন শিক্ষনীয় ছোট গল্প।
- নীতি কথার ছোট গল্প।
১.অসাধারন শিক্ষনীয় ছোট গল্প।
সাদা ফুল আর রঙিন ফুলের মধ্যে খুব ইন্টারেস্টিং একটা ব্যাপার আছে।
খেয়াল করে দেখবেন, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা বা বেলি ফুলসহ বেশিরভাগ সুগন্ধিযুক্ত ফুলেরই রং সাদা।
অন্যদিকে গোলাপ, জবা বা কৃষ্ণচূড়াসহ যে সকল ফুলের গায়ের রং তীব্র, তাদের আবার সাদা ফুলের মতো তীব্র সুগন্ধ থাকে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই হালকা একটা ঘ্রাণ থাকে বা একেবারেই থাকে না।
এর পেছনের সায়েন্সটা খুবই সহজ এবং সুন্দর।
ফুলের পরগায়ন হয় মূলত পোকা মাকড়ের মাধ্যমে, অর্থাৎ কোন ফুলে যদি পোকা টোকা আইসা না বসে, তাহলে ঐ ফুলের পরাগায়ন হবে না, সোজা কথায় বংশবৃদ্ধি হবে না।
আবার এই পোকা মাকড়ও কিন্তু ফ্রিতে ফ্রিতে আসবে না। তাদের আকর্ষিত করার জন্য কিছু একটা লাগবে।
রঙিন ফুলগুলোকে এক্ষেত্রে কোন কষ্ট করতে হয় না, কারণ তাদের লাল, নীল রং দেখে পোকার দল চলে আসে।
বাট সাদা ফুলগুলো এক্ষেত্রে একটু পিছাইয়া পড়ে কারণ তাদের গায়ের রং সাদা। এবং ফুলদের যেহেতু মেকাপ করার সিস্টেম নাই, সো, সাদা ফুলগুলো সেজেগুজে সুন্দরও হতে পারে না।
তাহলে সাদা ফুলগুলোর পরাগায়ন কেমনে হয়?
ঐ যে ঘ্রাণের মাধ্যমে। তাদের তীব্র সুগন্ধিই পোকা মাকড়কে তাদের দিকে টাইনা আনতে সাহায্য করে, পরাগায়ন হয়, এবং বেলি, হাসনাহেনারা টিকে থাকে।
তো, এখান থেকে খুব সহজ একটা দর্শন আমরা পাইতে পারি।
আল্লাহ তাআলা সবাইকে সবকিছু দেন না। সবার সবকিছুর দরকারও নাই। গোলাপকে দেখে বেলি ফুল আফসোস করে না, গন্ধরাজকে দেখে জবাও তো খোদার কাছে বিচার দেয় না।
ন্যাচারটাকে আল্লাহ তাআলা খুব সুন্দর করে সাজাইয়া দিসেন। যার রঙ দরকার তারে রঙ দিসেন, যার স্মেল দরকার তারে স্মেল দিসেন, যার কাটা দরকার তারে কাটা দিসেন।
আমাদের উচিত, সেই নিয়ামতটুকু নিয়ে সন্তুষ্ট থাকা, আরেকজন জবা হইলো কেন, আমি কেন গোলাপ হইলাম সেই অভিযোগটা না করা।
গোলাপ সুন্দর বইলা কৃষ্ণচূড়া কি কম সুন্দর? নাকি জবা সুন্দর বইলা গন্ধরাজের সৌন্দর্য কমে গেসে? মানুষও তো সেইম, আমরা সবাই তো ন্যাচারেরই অংশ।
আরেকটা ব্যাপার হইলো, ইভেন একটা ফুলের চিন্তাও আল্লাহ পাক করসেন, তারে টিকে থাকার যোগ্যতা দিয়েই ন্যাচারে পাঠাইসেন। মানুষ তো ধরেন তার করা সেরা সৃষ্টি। মানুষরে নিশ্চয়ই তিনি অচল করে দুনিয়াতে পাঠান নাই?
একটা ফুলের জন্য যার এতো আয়োজন, এতো বিকল্প, মানুষের জন্য তাঁর আয়োজনে নিশ্চয়ই কমতি থাকার কথা না? তাহলে আমরা কেন নিজেরে ভ্যালুলেস, ইউজলেস টাইপের ভাবি? কেন অচল ভাবি? হইতে পারে আপনি বেলি ফুল নন, তবে আপনার শিউলি হতে সমস্যা কী?
সাদা ফুল আর রঙিন ফূলের এই চিন্তাটুকু আমারে আবারও সূরা আর রাহমানের সাথে রিলেট করাইয়া দিলো।
আমি বিশ্বাস করি, পৃথিবীর সমস্ত মানুষকে এক বছরের জন্য বাধ্যতামূলক বায়োলজি এবং ন্যাচারাল সায়েন্স পড়ানো দরকার। আল্লাহ পাক তাঁর ন্যাচারটাকে এতো সুন্দর করে, এতো নিখুঁত করে সাজাইসেন যে, এইসব নিয়ে চিন্তা করলে চরম অবিশ্বাসীও মুগ্ধতার সাথে বইলা উঠবে, “অতঃপর হে মানুষ, তুমি তোমার রবের কোন কোন নিয়ামতকে অস্বীকার করবে?
লেখা:সাদিকুর রহমান খান
………….
ছোটবেলায় সাইকেল এর জন্য কত কান্নাকাটি করসি।এখন বাসায় পরে পরে নষ্ট হচ্ছে,ঘুরেও তাকাই না।
প্রত্যেকটা শখের একটা বয়স আছে বস!
মানুষ বলে না?!বড় হয়ে নিজের টাকায় করিস!!তখন টাকা থাকলেও শখ আর থাকবে না।
2.নীতি কথার ছোট গল্প
“পাশার দান ঘুরে যায় একদিন … অন্যের প্রতি যে অন্যায় আচরণকে কখনো অন্যায় মনে হয় নাই, সেই একই আচরণ যখন নিজের সাথে হলো, আত্ম-উপলব্ধিটা চলেই এলো তোমার ভেতর … এখন অভিযোগও করতে পারছো না; কারণ যে হাত রক্তমাখা, সেই হাত দিয়ে কি খুনের সাধারণ ডায়রি লেখা যায়? … আবার ক্ষমাও চাইতে পারছো না, কারণ অনেক বেশি দেরি হয়ে গেছে … আফসোস! খুব নীরবে প্রায়শ্চিত্তের রাস্তা খুঁজে নিতে হচ্ছে তোমাকে !!
অনেকে বলে ‘কারমা’ কিংবা প্রকৃতির প্রতিশোধ … আসলে ওসব কিচ্ছু না … এটা বোধহয় স্বাভাবিক নিয়মে জীবনের মোড় ঘুরে যাওয়া … ইউ টার্ন নিলেই যেমন বাম আর ডান উল্টে যায়; অমন করে উল্টে যায় চিন্তা, বোধ, বিচার, বিবেক আর গলার সুর !!
অথচ রাস্তার ওপাশে থেকে এপাশের কথা একটু ভাবলেই হয়তো বহুকাল আগের সেই অন্যায়টা হতো না … হয়তো তোমাকে এক বিন্দু প্রায়শ্চিত্তও করতে হতো না … হয়তো কারো জীবন আরেকটু সুন্দর হতো … হয়তো ভয়াবহ তিক্ত একটা অভিজ্ঞতা নিয়ে কাউকে বাঁচতে হতো না !!
হয়তো স্রষ্টার দুয়ারে জমা হওয়া কারো করুণ আর্তি মর্ত্যের বুকে তোমার জন্য অভিশাপের বৃষ্টি হয়ে নেমে আসতো না !!”