লেখিকা : #Nahar_Adrita
(যারা রোমান্টিক গল্প পছন্দ করেন না, তারা দূরে থাকুন, প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তিদের জন্য উন্মুক্ত।
)
সময় থেমে থাকে না কারো অপেক্ষায়, একদিন সবাই নিজ নিজ গন্তব্যের পথে পা বাড়ায়। শেষমেশ সবাইকেই নিজস্ব গন্তব্যে পৌঁছে যেতেই হয়, যতই কাছের হোক না কেন।দেখতে দেখতে পেরিয়ে গিয়েছে আরও নয়টা দিন,নেহা আর আদনান আবারও আমেরিকা চলে গিয়েছে।সকল আত্মীয় স্বজনরা চলে গেছে নিজ গন্তব্যে।
জুন মাসে রোদ যেন তপ্ত ছুরির মতো পুড়ে যায় গায়ের চামড়া। বাতাসও যেন ঘাম ঝরায়। চারদিকে কেবল ধোঁয়া ওঠা ধুলোর রাজত্ব। গরমে হাঁসফাঁস করা মানুষ আর ক্লান্ত বিকেলের চুপচাপ শহর। আকাশ ভেঙে কখন যে নামবে মেঘের দল, কে জানে,একেক দিন রোদে ঝলসায়, পরদিনই আবার ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি।
ঈদের আগেই অর্ধ বার্ষিকী কিছু পরীক্ষা শেষ হবে হায়াতের। আদিবের কড়া আদেশ এই গরমে অযথা কলেজে গিয়ে অসুস্থ হওয়া যাবে না তার। তাই সারাদিন বাড়িতেই পড়াশোনা করে হায়াত। বিছানায় শুয়ে শুয়ে পড়ছিলো হায়াত, এমন সময় রুমে প্রবেশ করলেন মিসেস অরোরা,হাতে এক গ্লাস শরবত। এক গাল হেসে হায়াতের পাশে বসলো। গ্লাসটা হায়াতের দিকে বাড়িয়ে দিলো,হায়াতও মুচকি হেসে গ্লাসটা হাতে নিয়ে শরবত খেতে লাগলো। খাওয়া শেষ করে মিসেস অরোরার দিকে গ্লাসটা এগিয়ে দিলেন,বিনিময়ে তিনি বললেন,
– আম্মু পড়াশোনা ঠিকঠাক চলছে তো।
– হ্যা আম্মু, আল্লাহ দিলে ভালোই, আর উনি তো আমাকে সব নোটস গুলো এনেই দেন।
– আচ্ছা আম্মু মন দিয়ে পড়ো।
মিসেস অরোরা দরজাটা চাপিয়ে দিয়ে রুম থেকে বের হয়ে গেলেন। হায়াত ওঠে ঘড়ির দিকে তাকালো, বেলা এগারোটা- মনে মনে ভাবলো, নাহ অনেক পড়াশোনা হয়েছে,মাথাটা পুরো ঝিম ঝিম করছে,ধুর আর পড়বোই না বা’ল। হায়াত ওঠে বইটা টেবিলের ওপর রেখে ওয়াশরুমে চলে গেলো।
মিনিট দশেক পর-ই হায়াতের ফোনটা বেজে ওঠলো। স্ক্রিনে ভেসে ওঠলো আদিবের ছবি, তাতে লেখা আমার আদি। হায়াত ফোনটা হাতে নিয়ে মুচকি হেসে রিসিভ করলো।
– আমার জানটা কি করছে……
– পড়া শেষ করলাম,আপনি কখন আসবেন।
– কেনো জান ভালো লাগছে না তোমার ?
– উহু বাড়ি আসবেন কখন………..
– আচ্ছা থাকো,আমি আসছি।
আদিব গাড়ির চাবিটা হাতে নিয়ে অফিস থেকে বেড়িয়ে গেলো। ড্রাইভ করতে করতেই কিছু একটা মনে হলো আদিবের, গোলাপ গ্রাম কাছে এসে, গাড়িটা সাইডে চাপিয়ে রাখলো, এরপর কিছু ফুল কিনে নিলো আদিব। গাড়িটা আবারও চলতে শুরু করলো বাড়ির উদ্দেশ্যে।
দীর্ঘ এক ঘন্টা ড্রাইভ করে চৌধুরী বাড়ির সীমানায় এসে গাড়িটি থামালো আদিব। আঙ্গুলে চাবি ঘুরাতে ঘুরাতে সিড়ি দিয়ে ওপরে চলে গেলো সে।
এদিকে বিভোর হয়ে ঘুমাচ্ছে হায়াত। চারা হাত পা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সাড়া বিছানা জুড়ে। আদিব রুমে ঢুকতেই হায়াতকে দেখে ঢুক গিললো। নরম স্বরে ডাকতে লাগলো,
– হায়াতি ঘুমাচ্ছো, বউ…….লাজুকপাখি।
হায়াত পিট পিট করে চোখ খুললো,চোখ কুচকিয়ে আদিবের তাকালো।
– উহু ডান্স করছিলাম।
– কিন্তু আমি তো দেখলাম তুমি ঘুমাচ্ছিলে।
– তাহলে প্রশ্ন করছেন কেনো। এ্যাাা আমার শান্তির ঘুমটা আপনি এসে খেয়ে ফেললেন।
– আচ্ছা আসো আমরা একসাথে ঘুমাবো,কান্না করো না পাখি।
হায়াত চোখ ডলতে ডলতে আদিবের পেছনে রাখা ফুলের বুকেটার দিকে তাকালো। অবাক হয়ে আদিবের দিকে তাকালো ,
– আপনি ফুল নিয়ে এসেছেন আমার জন্য।
– হ্যা, তোমার না খুব পছন্দের।
– হ্যা অনেক পছন্দের।
এই বলেই হায়াত আদিবের গালে চুমু খেলো। আকষ্মিক ঘটনায় আদিব হা হয়ে গেলো, আর হায়াত লজ্জায় লাল, নীল, হলুদ, গু কালার হয়ে গেলো। চোখ নামিয়ে ফুল গুলো বুকে আঁকড়িয়ে ধরলো। চুল গুলোতে হাত চালাতে চালাতে হায়াতের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলো আদিব। ঠোঁট কামড়ে ধরে বললো,
– বউজান আরেকটা হাম্মি দাও, তাহলে আরেকটা সারপ্রাইজ দিব।
– উহু।
– আরে লজ্জার কিছু নেই,দাও না।
– না, আমার লজ্জা করছে……
– আসো লজ্জা ভেঙে দিই…………………………………আদিব আস্তে আস্তে হায়াতের কাছে আসতে লাগলো,আর হায়াত পিছিয়ে যেতে লাগলো। হালকা ঝুকে পড়লো হায়াতের দিকে। হায়াত মিটি মিটি হেসে পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে নিলো,আস্তে করে হায়াতের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ পুড়ে নিলো,মিনিট পাচেঁক পর আদিব পেছন থেকে একটা বড় চকলেট বক্স হায়াতের সামনে আনলো, হায়াত চোখ খুলতেই একটা বড় বক্স দেখতে পেলো,যেটার ওপরে ferroro rocher চকলেট লেখা ৷ হায়াত একটু অবাক স্বরে বললো,
– এটা কি কোনো নতুন চকলেট, আমি তো সবসময় ডেইরি মিল্ক চকলেট খাই।
– আচ্ছা আমি তোমাকে এসে বোঝাচ্ছি,আগে গোসল করে আসি জান।
– আচ্ছা।
আদিব ওয়াশরুমে যেতেই হায়াত চকলেটের বক্সটা খুলতে শুরু করলো, হায়াতের হাতে সোনালি মোড়কের চকলেট, আস্তে আস্তে খোসা খুলে ফেললো প্রথম কামড়েই ক্রিস্প শব্দ, ওয়েফারের ফাঁক দিয়ে হ্যাজেলনাটের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে। ভেতরের মসৃণ চকোলেট মুখে গলে যাচ্ছে, চোখ আধো বুঁজে হায়াত সেই স্বাদ উপভোগ করছে, যেন দুনিয়ার আর কিছুই এখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। পর পর নয়টি চকলেট এক নিমিষেই খেয়ে ফেললো হায়াত, পেট-টা হালকা মোচড় দিয়ে ওঠলো হায়াতের। বিছানায় থেকে ওঠে এক লাফে ডিভানে গিয়ে বসলো, আরো তিনটা চকলেট খেতেই হায়াতের মাথা ঝাঁকুনি দিয়ে ওঠে। কিছুক্ষণ চোখ টিপটিপ করে হায়াত জুড়ে জুড়ে হাসতে লাগলো, তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে নাকটা ডলে ওঠে দাড়ালো সে। আলমারি থেকে একটা শাড়ি বের করলো যেটাতে লেমন গ্রিন রঙের, সাথে ছোট ছোট ফুলের এমব্রয়ডারি করা আছে। হায়াত মিটি মিটি হেসে শাড়িটি পড়ে নিলো,এরপর টিভি অন করে গান ছেড়ে দিলো আর পাগলাটে নাচ শুরু হলো…..
tu janu vanu jo kehta hain
biwi teri hu lagta hain….
sami mor sami main sami sami…
jo kehte hoon marad mera tu lagta hain…. mor sami…….
এদিকে ওয়াশরুম থেকে বের হয়েই অবাকের সপ্তম আকাশ পৌঁছালো আদিব। অবাক হয়ে চেয়ে রইলো হায়াতের দিকে। শাড়ির কুঁচি গুলো এলোমেলো হয়ে আছে আর সে নাচানাচিতে ব্যস্ত হয়ে গিয়েছে। আদিবকে দেখেই হায়াত দৌড়ে আসলো, হাতটা আদিবের কাধের ওপর নিয়ে বললো,
– আদি চলো আমরা ড্যান্স করবো।
– সোনা তুমি আমার নাম ধরে ডাকছো।
– কেনো আমার কি মুখ নেই,আমি কি তোমাকে ডাকতে পারি না…হ।
আদিব ভ্রু কুচকে তাকালো হায়াতের দিকে,
– জান তুমি কি চকলেট খেয়েছো,কয়টা খেয়েছো জান।
হায়াত কিছুটা ঠোঁট ফুলিয়ে বললো,
– হুসস… কোনো কথা না আদি,আমরা এখন চিকেন আউটলেট খাবো চলো।
হো হো করে হেসে দিলো আদিব, হায়াত গাল হাত রেখে কপালে পরশ একে দিয়ে বললো,
– ওটা আউটলেট না জান কাটলেট।
– চুপ আমি যেটা বলবো সেটাই ঠিক। তুমি কথা বলবে না একদম।
– আচ্ছা চলেন মহারানি। আজ আপনাকে খাবো আর চিকেন কাটলেট বানানো শিখবো।
– উহু আপনাকে শেখাবো না,আপনি একাই সব খেয়ে ফেলবেন তারপর।
– আচ্ছা তুমি বানাও তাহলে,,,,,,,,
– না চলুন ছাদে যাবো, আমাকে পিক দিব্বি আদি।
– আল্লাহ কি দিন আসলো বউ আমার নাম ধরে ডাকছে।
– বেশি কথা বলিস কেনো, আমি চকলেট খাবো আর পিক তুলবো চল।
আদিব সাত পাঁচ না ভেবে হায়াতকে পাজা কোলে তুলে ছাঁদের দিকে রওনা হলো। ছাঁদে এসেই হায়াত রেলিংয়ের ওপর ওঠে বসে পড়লো, আদিব একটু ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে হায়াতকে ডাকলো,
– বউ পড়ে যাবে তো নিচে নামো প্লিজ।
– উহু আমি মরে গেলে তোমার কি….
– মাইর দিবো নিচে আসো, পিক তুলে দিবো দোলনায় আসো।
– কিহ্ ! তুই আমাকে মারবি,আমি মরেই যাবো।
হায়াত রেলিঙের ওপর দাঁড়িয়ে গেলো,আদিব দৌড়ে গিয়ে হায়াতকে কোলে তুলে নিলো,পরম আবেশে চুমু খেলো লাজুকপাখির কপালে, আর হায়াত পা ছুড়াছুড়ি করতে শুরু করলো,
– নামাও আমাকে, নামাও বলছি, আমি আর দুষ্টু করবো না আদি,নামাও আমাকে।
– এত্তো মিষ্টি করে ডাকলে আমি কিভাবে ঠিক থাকবো জান,আগে জানলে অনেক আগেই এই চকলেট এনে দিতাম তোমাকে, উফ আমার ঢংয়ের রানী আজ শাড়ি পড়েছে।
– না না তুমি ঢং করতে জানো-ই না…..
– হু।
হায়াতকে কিছু পিক তুলে দিলো আদিব, হায়াত আস্তে আস্তে আদিবের কাছে এসে থামলো। একটু উঁচু হয়ে আদিবের ওষ্ঠে নিজের ওষ্ঠ পুড়ে দিলো । আদিব মনে মনে হেসে হায়াতের তালে তাল মিলাতে থাকলো। আস্তে করে কোলে তুলে নিল, দোলনায় বসে পরম আবেশে শাড়ির ভেতর দিয়ে কোমড়ে হাত চালাতে থাকলো, হায়াত চুপচাপ অধরের সাধ নিচ্ছে। এরপরই শুরু হলো ঝুম বৃষ্টি। হায়াত আদিবের চুল গুলোতে হাত চালাতে লাগলো, আদিব আশে পাশে তাকিয়ে দেখলো নাহ কেউ নেই আপাতত। হায়াতকে কোলে নিয়ে সাড়া ছাদেঁ ঘুরতে লাগলো,আর হায়াত তা উপভোগ করতে লাগলো। একটা সময় পাগলের মতো চুমু খেতে লাগলো আদিব,যাকে বলে পাগল প্রায় অবস্থা। ঠান্ডায় হায়াতের ওষ্ঠ কাঁপতে শুরু করলো,আদিব যেনো আরো উন্মাদ হয়ে গেলো,শাড়ির আচলটা বুকে থেকে ফেলে গলা জুড়ে অধর ছুঁয়ে দিতে লাগলো,হায়াত পরম আবেশে আদিবের চুল গুলো খাঁমচে ধরলো। আদিবের হাত আপনা আপনিই চলে গেলো হায়াতের উরঃ তে। বৃষ্টির গতি বেড়তে শুরু করলো, আদিব হায়াতকে নিয়ে চিলে কোঠায় ঢুকে পড়লো, সেখানে ছোট্ট একটা বিছানা আছে, হায়াতের শরীর বরফের মতো ঠান্ডা হয়ে গিয়েছে। আদিব হায়াতের শাড়িটা খুলে ফেললো।হায়াতের ঘুমের ভাব আসছে, আদিব দুষ্টু হেসে বললো,
– জান এখন ঘুমিয়ে পড়লে চলবে না,আরেকটু ওয়েট করুন।
কে শুনে কার কথা, হায়াত এদিকে ঘুমে টলে পড়ছে।হায়াতের পড়নের কাপড় খুলে ফ্লুরে রাখলো, এরপর কাঁথাটা মুড়িয়ে হায়াতকে কোলে নিয়ে সিঁড়ি দিয়ে নিজ রুমে প্রবেশ করলো আদিব।
হায়াতকে বুকের ওপর নিয়ে শুয়ে আছে আদিব, আর হায়াত আদিবের বুকে কলম দিয়ে দাগা-দাগি করছে,হতকাক হয়ে চেয়ে আছে বেচারা আদিব,
– লাইক সিরিয়াসলি, এখানেই দাগ দিতে হবে বউ…. আরো অনেক জায়গা আছে সেখানে ফুল আর্ট করো।
– উহু এখানে সুন্দর হবে। চুপ করে থাকুন নাহলে গু কালার হয়ে যাবে।
– এই একটু আগে না তোমার রোমান্টিক মুড ছিলো,আর রুমে আসতেই তুমি বাচ্চামো করছো।
– হুস কথা বলবি না আদি৷
আদিব হায়াতকে ওপর থেকে এক হাত দিয়ে নিচে নামিয়ে তার ওপর ওঠে বসলো,দুষ্টুমি ভরা চোখে হায়াতকে বললো,
– আমি কিন্তু চকলেট ছাড়াই অনেক কিছু করতে পারবো,দেখবে।
– উহু আদি, আমি তোমাকে কাছে চাই……খুব কাছে।
– ওকে ফাইন জান, আজ তোমাকে অন্য ভাবে কাছে টানবো….. তুমি কি রেডি জান ?
– হু স্যার।
আদিব একটা চকলেটের কিছু অংশ হায়াতের গালে ভরিয়ে দিলো,আর তা রশনা দিয়ে পরম আবেশে লেহন করতে লাগলো, হায়াত কেঁপে ওঠে, একটু নাকে দিকে সেটাও খেতে লাগলো,এভাবের হায়াতের পুরো শরীর জুড়ে চকলেট ভরিয়ে আদিব খেতে লাগলো। হায়াত আস্তে আস্তে বেসামাল হয়ে গেলো, আদিবের অধরে কিছু চকলেট দিয়ে নিজেও লেহন করতে লাগলো,আস্তে আস্তে হায়াতের উদরে মুখ ডুবিয়ে দিলো আদিব, আর তা আরো নিচের দিকে স্পর্শ করতে লাগলো,চকলেট দিয়ে সারা শরীর মেখে নিলো আদিব, পরম যত্নে খেতে লাগলো তা, হায়াতের নিশ্বাস আছড়ে পড়ছে আদিবের বুকে। শক্ত করে জড়িয়ে ধরলো আদিব তার লাজুকপাখিকে। সারা শরীর জুড়ে অধর ছুয়ে দিতে লাগলো হায়াত। আদিব আস্তে ধীরে হায়াতকে নিজের ওপরে বসিয়ে দিলো।
আদিব হায়াতের হাত ওড়না দিয়ে বেধে নিলো,হাসফাস করতে লাগলো হায়াত, আদিব মুচকি হেসে হায়াতের সর্বাঙ্গে কোল্ড কফি ঢেলে দিলো, আস্তে আস্তে রসনা দিয়ে লেহন করতে লাগলো,খানিক সময় পরপরই হায়াত কেঁপে কেঁপে ওঠে। আদিব হাস্কি স্বরে বললো,
– I know it will be hard for you, but please bear with it — today I just feel like giving you a little extra love….বউ
হায়াত চুপ করে আছে,যার মানে সম্মতির লক্ষণ। বেশ কিছুক্ষণ আদিব আত্নার আকাঙ্ক্ষিত কামনা চালিয়ে যেতে থাকলো,আর হায়াত পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে তৃপ্তি নিতে থাকলো। এভাবেই দিনের আলো নিভে যাওয়া অব্দি তাদের আত্নার সংযোগ চলতে থাকলো।
——-
সন্ধ্যা ছয়টা, হায়াতকে বুকে জড়িয়ে ল্যাপটপে কাজ করছে আদিব,হায়াত ঘুমের রাজ্যে পাড়ি জমিয়েছে সেই কখন,অতিরিক্ত চকলেট খাওয়ার ফলে এমন ঘুম হচ্ছে তার। খানিক্ষন বাদেই দরজায় নক করলেন কেউ। আদিব হায়াতকে ভালো করে শুইয়ে দিয়ে বিছানায় থেকে ওঠে দরজা খুলে দিলো,দরজার ওপাশে দাড়িয়ে আছে রাকিব চৌধুরী। একগাল হেসে বললো,
– বাজান ভেতরে গিয়ে বসবে নাকি আমার রুমে যাবে।
– তোমার রুমে রুমে চলো, হায়াত ঘুমাচ্ছে।
– ঠিক আছে চলো।
দুজন মিলে টুকটাক কথা সেড়ে সিদ্ধান্ত নিলো আজই আদিব বিদেশ চলে যাবে প্রজেক্টের কাজে৷মিসেস অরোরা চিন্তিত হয়ে বললেন,
– হায়াত কিভাবে থাকবে, আমি আর তোমার বাবাও তো কালকে ইন্ডিয়া যাবো।
আদিব কিছুক্ষণ ভেবে বললো,
– আারাবিকে বাড়িতে নিয়ে আসবে কাল ড্রাইভার গিয়ে, আর ওকে আমি নজরে রাখবো। সাড়া বাড়িতে ক্যামেরা লাগিয়ে দাও আজই, কানাডা থেকেই আমার পাখির সব খোজ আমি রাখবো।
– আচ্ছা ঠিক আছে,হায়াতকে বলেছো আজ যে তোমার ফ্লাইট।
– না একটু পর বলবো।
আদিব রুম থেকে বেড় হয়ে গেলো,কিচেনে গিয়ে এক কাপ কফি বানিয়ে দুইতলায় ওঠে আসলো। হায়াত পিট পিট করে চোখ খুললো, মাথাটা হালকা ঝিমাচ্ছে। ওঠে বসতেই শরীরে সামান্য ব্যাথা অনুভব করলো। মুখ কুঁচকে ফেললো সাথে সাথে। আদিব দরজা খুলে ভেতরে আসলো,হায়াতকে এভাবে নাক মুখ কুঁচকে বসে থাকতে দেখে হেসে ফেললো আদিব।
– বউ খারাপ লাগছে নাকি অনেক।
– উহু একটু ব্যাথা করছে।
– ঔষধ খেয়েছ তো, একটু পরই ব্যাথা কমে যাবে কেমন।
হায়াতকে বুকে জড়িয়ে স্মিত হাসলো আদিব,
– জান আমি তোমার কি হয় ?
– কেনো হাসবেন্ড।
– না তুমি তিনদিন আমাকে তোমার পছন্দের নামে ডেকেছো আর আজ থেকে তাই বলেই ডাকবে।
– তিন দিন,পছন্দের নাম কি সব বলছেন…আমার মাথায় তো কিছুই ঢুকছে না।
– তুমি আজ আমাকে আদি বলে ডেকেছো, আর জ্বরের ঘোরেও তাই বলেই ডাকো।
– কিহ, আমি আপনাকে আপনার নাম ধরে ডাকি, ছিহ কি সব বলছেন,,,,,
– আচ্ছা বাদ দাও,আমাকে সব গুছিয়ে দাও তো লাগেজে …
– মানে কোথায় যাবেন আপনি ?
– আব্ বউজান ছয়মাস একটু কষ্ট করে থাকুন, আমি কানাডা চলে যাবো প্রজেক্টের কাজে।
হায়াত ওঠে বসে পড়লো,
– কি বলছেন,মজা করছেন তাই না !
– আমি কি মজা করার মানুষ ?
– কবে যাবেন ?
– আজই,প্লিজ রাগ করবে না জান।
– সরুন সামনে থেকে, আমি বাবার বাড়ি চলে যাবো।
হায়াত ওঠে আলমারি থেকে জামা কাপড় বেড় করতে লাগলো,আদিব এসে হায়াতের হাত ধরে থামিয়ে ফেললো। জুড়ে এক ধমক দিয়ে বললো,
– ছাগলের মতো কাহিনী করছো কেনো। কাজ শেষ হলেই তো চলে আসবো নাকি।
– বা’ল আসবেন আপনি,আমাকে ছেড়ে আপনি চলে গেলে আমি থাকবো কি করে।
– জান আমি খুব শীগ্রই আসবো, সত্যি বলছি।
– সরুন।
আদিবকে জুড়ে ধাক্কা দিলো হায়াত,কিন্তু আদিব একটু নড়লোও না। হায়াত ব্যাগে কিছু জামা ভরে বোরকা পড়তে লাগলো,আদিব হায়াতকে থামানোর চেষ্টা করছে কিন্তু হায়াতের রাগ আরো দ্বিগুণ বাড়ছে,
– সরুন বলছি,আপনিও চলে যান আমিও চলে যাচ্ছি,
– না কোথাও যাবে না।
– কেনো যাবো না,ওহ বুঝতে পেরেছি আপনার তো আবার আমার দে’হের প্রয়োজন,এছা…..
ঠাসসসসসসসসসসসসস……
আদিব স্বজোড়ে চড় মারলো হায়াতকে। হায়াতের চোখ টলমল করছে পানিতে। কাঁপা কাঁপা গলায় বললো,
– আব্ আমাকে মারলেন…. আমি কি ভুল বলেছি আব্
ঠাসসসসসসসসসসসসস…………
আদিব রাগে চিৎকার করে উঠলো, হায়াতের গলা চেপে ধরলো,
– তোর ফা*কের দেহ। সর তুই হারামি, কি মনে করিস নিজেকে, তোকে না ছুয়ে আমি থাকতে পারবো না ?
– আব্ আহ্ লাগ…লাগছে।
– যা সর চোখের সামনে থেকে, আমার ত্রিসীমানায়ও যাতে তোকে না দেখি।
হায়াতকে জুড়ে ধাক্কা দিলো আদিব,হায়াত মেঝেতে ছিটকে পড়ে গেলো,ব্যাথায় রাগে রুম থেকে বের হলো হায়াত। সিড়ি দিয়ে নামতে নামতে চোখের পানি মুছতে লাগলো। হেঁচকি তুলে কান্না করছে হায়াত,জুড়ে জুড়ে চিৎকার করে উঠলো হায়াত,
– কি ভাবে কি নিজেকে,ওকে ফাইন আমিও আর আপনার সামনে যাবো না।
সদর দরজা খুলে বাড়ি থেকে বের হলো হায়াত, এখন কয়টা বাজে,এই আটটা বেজে পঁচিশ মিনিট। হালকা ঝিরি ঝিরি বৃষ্টি পড়ছে সাড়া শহড় জুড়ে,রাস্তায় দু-একটা রিকশা ছাড়া আর কিছুই নেই। হায়াত হালকা ভিজে গিয়েছে,পড়নে সাদা থ্রি পিস, যা হালকা ভিজে গায়ের মৃদুু ভাজ বুঝা যাচ্ছে,কলেজ রুডের কাছে এসে বেঞ্চের উপর বসে মুখ গুজে কান্না করতে করতে মনে মনে আওড়ালো, আর যাবো না আমি, কি ভেবেছে নিজেকে,ওনারই রাগ আছে আমি তো আর মানুষ না,আমি মুখ দিয়ে কিচ্ছু বলতে পারবো না।যান গা আপনি,আর লাগবে না আপনাকে চলে যান।
এদিকে রাগে ফুসতে ফুঁসতে স্বজোরে দেয়ালে ঘুষি দিলো আদিব। হাত কেটে কিঞ্চিত রক্ত বের হতে লাগলো,মিনিট পাচেঁক পরই মনে পড়লো হায়াতের কথা,দৌড়ে রুম থেকে বের হলো,ড্রইংরুমে খাবার বাড়ছিলেন মিসেস অরোরা, আদিবকে এভাবে ছুটে আসতে দেখে চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলেন,
– কি হয়েছে এভাবে ছুটে আসলে যে ?
– আম্মু হায়াতকে দেখেছো…আব হায়াত রুম থেকে বের হয়েছে কিছুক্ষণ হলো।
– না দেখলাম না তো।
আদিব ব্যাপারটা বুঝতে পেরে কপাল স্লাইড করে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলো। মনে মনে নানান কথা ভাবতে লাগলো সে।
হায়াত বেঞ্চের কোণে মুখ গুঁজে বসেছিল।
অশ্রুর টুকরোগুলো তার হাতের পিঠ ভিজিয়ে দিচ্ছিল,
আর ঠাণ্ডা বাতাসে নিঃশ্বাস হয়ে বেরোচ্ছিল দীর্ঘশ্বাস,বৃষ্টি থেমেছে বেশ কিছুক্ষণ হলো,,,,
হঠাৎই, অন্ধকারের গলিপথ থেকে কয়েকটা ছেলে এগিয়ে এলো,একজন ছেলে হায়াতের দিকে তাকিয়ে বিকৃত হাসি দিলো,একজন মোটা ছেলে হাতে তালি দিয়ে বললো,
– ভাই মা’লডারে দেখ কি সুন্দর মাইরি।
আরেকজন হো হো করে হেসে বললো,
– আজ এইডারে সবাই মিলে খাবো,,
এই বলেই বখাটে ছেলেগুলো হায়াতের দিকে আসতে লাগলো। হায়াত পেছাতে শুরু করলো, ভয়ার্ত চেহারা নিয়ে ছেলে গুলোর পানে তাকালো,কি চাইছে ছেলে গুলো,তা বুঝার চেষ্টা করছে হায়াত। হায়াত দৌড় দিতে গেলো কিন্তু সেখানকার মোটা ছেলেটা হায়াতের হাত ধরে ফেললো,চুলের মুঠি ধরে বললো,
– আরে মামুনি পালাচ্ছো কেনো, আমরা তো তোমাকে কিছু করবো না শুধু আদর করবো।
– আহ্ ছাড় বলছি আমাকে,আমার হাসবেন্ড জানলে তোদের মেরেই ফেলবে।
আদেকটা লম্বা করে কালো ছেলেটা বাজে ভাবে হায়াতের সাড়া শরীরে চোখ বুলিয়ে বললো,
– উফ কড়া মা*ল সেই মস্তি হবে আজ।
– ভাই এইডারে কি এখানেই খাবো নাকি আস্তানায় নিবো।
– এতো প্যারার দরকার নেই, এখানেই ফুর্তি করি চল।
এদের কথা শুনে হায়াতের গা গুলিয়ে আসলো,জুড়ে জুড়ে চিৎকার করতে লাগলো সে, বাঁচান….. কেউ আছেন,হায়াতের চিৎকার শুনে একটা ছেলে জুড়ে হায়াতকে চড় মারলো, ঠোঁট থেকে সামান্য রক্ত বের হলো।তিন নাম্বার ছেলেটা হায়াতের বুকে থেকে ওড়না টেনে নিজের হাতে পেচিয়ে নিলো।হায়াত এবার হাউ মাউ করে কান্না করে দিলো,মনে মনে আওড়ালে সব দোষ আদিবের,কখনো তাকে ক্ষমা করবে না।
হায়াতের কামিজের ওপরেই পেটে হাত দিলো একটা ছেলে,হায়াত কিছুটা থুতু ছেলেটার মুখে দিলো। ছেলেটা রাগে মুখ মুছে হায়াতকে ঠাটিয়ে এক চড় মারলো। গাল ফেটে রক্ত বের হচ্ছে হায়াতের। মোটা ছেলেটা হায়াতের ঠোঁটে আঙ্গুল দিলো, হায়াত নিজের সর্বোচ্চ দিয়ে জুড়ে এক কামড় দিলো,ছেলেটা ব্যথায় হায়াতকে ছেড়ে দিতেই হায়াত দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করতে লাগলো কিন্তু বাকি দুই ছেলে হায়াতকে পেছন থেকে ধরে ফেললো,লম্বা ছেলেটা হায়াতের বুকে হাত দিতে গেলো, এমন সময় হায়াত নিজের সবটুকু শক্তি দিয়ে অন্য ছেলেটাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড় দিল। সামনে পেছনে না তাকিয়ে হায়াত দৌড়াচ্ছে। পড়নের কামিজের হাতা হালকা ছেঁড়া, বুকের ওড়নাটা সেই বখাটে ছেলেগুলোর কাছেই,হায়াতের গাল বেয়ে রক্ত ঝড়ছে, চোখে পানি গুলো দলা পাকিয়ে ঝড়ে পড়ছে। হঠাৎ করেই এক গাড়ির সাথে ধাক্কা লাগলো হায়াতের। ধপাস করে পড়ে গেলো গাড়ির সামনে, অর্ধ জ্ঞান হারালো সে, এদিকে আদিব তার গাড়ির সামনে দৌড়ে আসতে দেখলো এক রমনীকে, গাড়ি থামাতে থামাতেই মেয়েটা গাড়ির সাথে ধাক্কা খেলো, গাড়ি থেকে নেমে হায়াতকে দেখে চিৎকার করে উঠলো আদিব। দৌড়ে হায়াতকে বুকে জড়িয়ে ধরলো আদিব, হায়াতের এই অবস্থা দেখে কিছুটা ভয় পেয়ে গেলো আদিব।
– কি হয়েছে জান,এই পাখি কি হয়েছে কথা বলো,ত্ তোমার এই আবস্থা কেনো। জান…
হায়াত এখনো আধো আধো করে চেয়ে আছে দূরে দৌড়ে আসা ছেলেগুলোর পানে। নিজের কাঁপা কাঁপা তর্জনী আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে কাঁপা গলায় বললো,
– ওরা আব্ আমাকে…আমাকে শেষ করে দিবে…..
বলেই সম্পূর্ণ জ্ঞান হারালো হায়াত। নিস্তেজ হয়ে গেলো সে,আদিব হায়াতের দেখানো দিকে তাকিয়ে রইলো, হ্যা কিছু ছেলে এদিকেই আসছে,একটা ছেলের হাতে হায়াতের ওড়না পেঁচানো। আদিব হায়াতকে কোলে তুলে গাড়িতে শুইয়ে দিল, একপর গাড়ির ডিকি থেকে একটা মাঝারি সাইজের রড বের করে আনলো,ছেলেগুলো আদিবকে দেখে বললো,
– একটা মালকে পালাতে দেখেছেন।
আদিব সজোরে ছেলেটার অন্ডকোষ বরাবর ঘুষি দিলো। আদিব রাগে গলা ফাটিয়ে চিৎকার দিলো,
– সয়ো**বাচ্চা, আমার ওয়াইফের গায়ে হাত দিয়েছিস। জুড়ে জুড়ে ঘুষি দিলো তিনটা ছেলেকেই,ছেলে গুলো যেনো আদিবকে বাঘের মতো ভয় পেতে শুরু করলো,রড-টা এনে ওড়না পেচানো ছেলেটার হাতে মারলো,ছেলেটা ব্যাথায় ছটফট করতে লাগলো, আদিব বাকা হাসলো,একটুপর পুলিশ এসে ছেলেগুলোকে নিয়ে গেলো।এদিকে হায়াত নিস্তেজ হয়ে গাড়িতে পড়ে আছে। আদিব গিয়ে হায়াতকে কোলে বসালো, বোতল থেকে পানি নিয়ে মুখে ছিটিয়ে দিলো,
– জান চোখ খুলো, স্যরি জান আর কখনো তোমাকে কষ্ট দেবো না চোখ খুলো প্লিজ।
হায়াত আস্তে আস্তে চোখ খুললো, মাথায় হাত রেখেই আদিবের দিকে তাকালো , সঙ্গে সঙ্গে ঠোঁট ভেঙে কান্না করে দিল হায়াত। আদিব আরেকটু শক্ত করে বুকের মাঝে চেপে ধরলো হায়াতকে। অধরে নিজের অধর মিশিয়ে রাখলো বেশ কিছুক্ষণ, হায়াতের হেঁচকি কিছুটা থেমেছে, নাক টেনে মুখ ফিরিয়ে গাড়ির সাইডে গিয়ে বসলো,আদিব ব্যাপারটা আন্দাজ করতে পেরে ধমক দিলো হায়াতকে।হায়াত আবারো কান্না করে দিল।
– আব্ আপনি খালি আমাকে বকা দেন,একটু ভালোবাসেন না,আমাকে ওই ছেলে গুলো নিয়ে গেলেই ভালো হতো।
ঠাসসসসসসসসসসসসস……
এইবার হায়াত গাড়ির দরজা খুলে বের হতে চাইলো,কিন্তু আদিব ততক্ষণে হায়াতকে নিজের বাহুতে চেপে ধরলো, গলায় মুখ ডুবিয়ে দিলো আদিব। পরম আবেশে চোখ বন্ধ করে ফেললো হায়াত।
– জান স্যরি… আর বকবো না এবার থেকে খালি মারবো তোমাকে, কেমন।
– আপনি খারাপ,খুব খারাপ আপনি মাস্টার মশাই। আপনি আমাকে একটু ও ভালোবাসেন না,,,
– আচ্ছা এরপর আরো বেশি করে ভালোবাসবো কেমন।
– দরকার নেই,আপনি কানাডা চলে যান, ওখানে বিয়ে করে বউ বাচ্চা নিয়েই থাকবেন।
– নাহ দরকার নেই #আমার_হায়াতি আছে তো,আর কাউকে আমার দরকার নেই,প্লিজ আর রাগ করে না, আমি কাল যাবো, আজ যাবো না আমি সত্যি বলছি।
– না গেলে হয় না……….
– হুস কোনো কথা না,আগে চলো তোমার গালে রক্ত জমে গিয়েছে বাড়ি গিয়ে ট্রিটমেন্ট করতে হবে।
– গু করতে হবে,ওই ছেলে গুলো আমাকে নিয়ে গেলেই ভালো হতো,আপনি দেরি করে এসেছেন।
– ওদের পুলিশ নিয়ে গেছে পাখি, আর ভয় নেই।
হায়াতকে বুকে জড়িয়ে এক হাত দিয়ে ড্রাইভ করছে আদিব।
মনে মনে আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া আদায় করলো হায়াতের সাথে বাজে কিছু হয় নি বলে।
আর হায়াত পরিকল্পনা আঁটছে কিভাবে আদিবের কানাডা যাওয়া বন্ধ করা যায়।
#চলবে
না মানে লিখতে ইচ্ছে করে না 
৫০০ লাইক করে দিও আমি গল্প লিখবো নি।কারেন্ট গেলো গা ধুর,

আরেকটু বড় করে লিখতে গেছিলাম কিন্তু কারেন্ট গেলো গা, বকা দিও না কেউ।
নিয়মিত গল্প দেব সুস্থ থাকলে। 