বেপরোয়া ভালবাসা পর্ব ৩৬
লিখনীঃ মনা হোসাইন
যদিও বাসার কেউ এই আত্মীয়দের চিনে না কিন্তু আপ্যায়নের কোন কমতি করা যাবে না কারন আদির কড়া আদেশ সবাই যেন গেস্টদের সাথে ভাল আচারন করে।
আদির কথামত রান্নাবান্না করা হয়েছে আদিবার অনিচ্ছা সত্ত্বেও তাকে কাজ করতে হচ্ছে।খাওয়া দাওয়া শেষে আদি সবাইকে নিয়ে বসার ঘরে বসল আদির বাবা মাও আছে। আদি সবার সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়ে বলল তার সাথে আংকেলের ভাল সম্পর্ক তিনি তাকে ছেলের মতই স্নেহ করেন।কথার মাঝখানে আদি আদিবাকে ডাকল।
আদি কিছুটা বিরক্তি নিয়েই এগিয়ে আসল।
আদি সাইড হয়ে আদিবাকে বলল,
-“বস আদিবা…
আদিবা আপত্তি করল না এসে বসল।
-“আংকেল মেয়ে পছন্দ হয়েছে? এটাই আদিবা যার কথা ফোনে বলেছিলাম
আদির কথায় সবাই হা হয়ে তাকাল। কেউ কিছু বুঝে উঠার আগেই লোকট বলল,
-“তোমার পছন্দই আমার পছন্দ…
-“তাহলে আংটি টা পরিয়ে দাও।
আদির কথায় আদিবা পুরো ভ্যাবাচ্যাকা খেল সাথে তার পরিবারের সবাইও। আদির বাবা বলে উঠলেন,
-“এসবের মানে কি আদি..?
-“মানে আবার কি? আমার হাতে সময় নেই বাবা তাই যা করার তাড়াতাড়ি করতে হবে। আমার অফিস এতদিনে লাটে উঠে গিয়েছে । আদিবার বিয়ে না হলে আমার বিয়েটাও তো হবে না তাই না?
-“তাই বলে এমন একজনের সাথে বিয়ে? উনি ওর বাবার বয়সী,..
-“তোমাদের মেয়েও খুব গুণবতী না। ছেলেরা পছন্দ করে না তাই এই সিধান্ত নিয়েছি।যাইহোক আংকেল আংটিটা পরাও তো বলেই আদি আদিবার হাত টেনে ধরল লোকটি আদিবার হাতে আংটি পরিয়ে দিলেন আদিবা কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলল চোখ বেয়ে দুফোঁটা নোনা জল গড়িয়ে পড়ল। চোখেফ জল লুকাতে আদিবা ছুটে নিজের ঘরে চলে গেল।
-“আংকেল বিয়ের তারিখ ঠিক করে জানিয়ে দিব কেমন৷ সামনের সপ্তাহেই বিয়ে।
লোকটি আদির হ্যাতে হ্যা মিলিয়ে বিদায় নিলেন। লোকটি বিদায় হতেই ঘরে তুলকালাম শুরু হল।আদির বাবা প্রচন্ড ক্ষেপেছেন
-“তুই কি শুরু করেছিস আদি..? তুই যা বলবি তাই হবে..? আদিবার ব্যাপারে তুই এত বড় সিধান্ত নিতে পারিস না।
-“কেন পারিনা? আমি যা করছি ওর ভালর জন্যই করছি।
-“ওর ভাল তোকে বুঝতে হবে না। ও কেন এমন একটা বিয়ে করবে..?
-“কারন ওর জন্য আমার জীবন টা আটকে আছে।
-“আমি বেঁচে থাকতে এই বিয়ে হতে পারে না।আমি হতে দিব না
-“কিন্তু বাবা কেন হতে পারে না? বিশ্বাস করো এই বিয়ে হলে আদিবা রাজরানী হয়ে থাকবে..
-“এটা কোনভাবেই সম্ভব না আদিবা কিছুতেই এই বিয়েতে রাজি হবে না।
-“আমি রাজি
পিছন থেকে আদিবা শক্ত কন্ঠে বলে উঠল আদির কথা শুনে আদিসহ বাকিরা সবাই ঘুরে তাকাল আদি বলল,
-“কি বললি?
-“যা শুনেছেন ঠিকি শুনেছেন আমি এই বিয়ে করতে রাজি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ের আয়োজন করুন। পৃথিবী উল্টে গেলেও আমি এই বিয়ে করব।
-“পরে মত পাল্টাবি না তো..?
-” নাহ এই বন্দী খাঁচায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে এবার আমি মুক্তি চাই।এবার আমি আপনাদেরো মুক্তি দিব নিজেও মুক্ত হব…অনেক খেলেছেন আমাকে নিয়ে আর না।
।
।
।
চলবে…!!!