বজ্জাত_বউ
লেখিকা #বিলকিস
গল্প ৩৬
অথৈ: সারাদিন এটা ওটা করতে করতে ভুলেি গিয়েছি। আচ্ছা আজ পঁচা কুমড়ো বরটার সাথে কি করা যাই আইডি। এখন ওনি তো বাবার রুমে আছে ওনার আসার আগে কাজটা আমাকে সারতে হবে। যাই রান্না ঘরে গিয়ে কাজে লেগে পড়ি ( বলে অথৈ রান্না রুমে চলে গেলো) আহ্ কাজ শেষ। এখন শুধু জায়গায় মতো রেখে দিতে হবে। ( বলে নিজের রুমে চলে গেলো) বাস কাজ শেষ এখন শুধু মজা দেখার পালা। পায়ের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে তারমানে ওনি আসছে। আহ্ কি মজা দেখবো আমি যে। এই রে ওনি আমাকে এভাবে দেখলে কি বললো আমি বরং শুয়ে পড়ি ( বলে আমি লাইট অফ করে বিছানাতে শুয়ে পড়লাম)
পরশ: রুমে লাইট গুলো বন্ধ কেনো ( রুমে ঢুকে বললো) নিশ্চায় এই মেয়েটা করে ( বলে লাইটটা জ্বালিয়ে দিলো) গ্লাসটা কোথাও এইতো গ্লাস গতোদিন খেতে পারি নি আজ খাবো ( বলে বোতলটা খুলে গ্লাসে ঢেলে একটা চুমুক দিতেই) ওয়াক এটা কি এতো তিতা কেনো। ওয়াক ওয়াক থু। কি তিতা এই বিয়ার তো তিতা হয়না তাহলে আজ তিতা লাগছে কেনো। মনে হচ্ছে নিমপাতার তিতা ওয়াক। ছোটো বেলায় তিতা খেয়ে ওয়াক করতে করতে পেট ব্যাথা হয়ে গিয়েছিলো তারপর থেকে কখনো তিতা খাইনি। আজ আবার এই তিতা ওয়াক oh God কি হচ্ছে আমার সাথে। ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো)
অথৈ: কি বর কেমন লাগছে তিতা খেতে খুব দারুন না। ওনাক অবস্থা দেখে আমার তো নাচতে ইচ্ছে করছে ধিংকা চাকা ধিংকা চাকা হেহে ( বলে বিছানার উপর উঠে নাচতে লাগলো)
পরশ: আহ্ সারা মুখ তিতা হয়ে গেছে ( ওয়াশ রুম থেকে বের হয়ে) এই মেয়েটা বিছানার উপর এভাবে নাচছে কেনো। তারমানে বোতলে বিয়ারের বদলে নিমের রস অথৈর কাজ।
অথৈ: ধিংকা চা চা চা আ আ আপ আপনি ( বিছানাতে নাচতে নাচতে হঠ্যৎ করে পরশের দিকে চোখ যেতেই বললো)
পরশ: হুম আমি কেনো। আর তুমি নাচ বন্ধ করলে কেনো। নাচো আমি দেখি নাচো।
অথৈ: এইরে এখন কি হবে। আমি তো শেষ। ( বিড়বিড় করে বললো)
পরশ: বিড়বিড় করে কি বলছো নাচো। কি ভেবেছো আমাকে আমি আমি বোকা।
অথৈ: বোকা না তো। আপনি দুনিয়া মধ্য এক নাম্বার বোকা নূ না চালাক।
পরশ: নিচে নামো বিছানা থেকে। নামো বলছি( ধমক দিয়ে বললো)
অথৈ: নামছি তো এতো জোড়ে ধমক না দিলে কি হয়।
পরশ: এই নাও এটা খাও ( গ্লাসে নিমপাতার রস ঢেলে অথৈর সামনে ধরে বললো) কি হলো নাও।
অথৈ: না আমি খাবো না। আমি পেট ভারতি।( বলে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরলো)
পরশ: পেট ভারতি কি করে হয় এতো নাচলে এতে তো পেট খালি হয়ে গেছে। এটুকো খেলে শক্তি পাবে খাও। খাও বলছি ( চোখ রাঙিয়ে বললো)
অথৈ: না না খাবো না কিছুই তেই না ( বলে পিছাতে লাগলো)
পরশ: তোমাকে তো খেতেই হবে ( বলে পরশ অথৈর দিকে এগিয়ে গেলো)
অথৈ: আঃ ( দেওয়ালে সাথে ধাক্কা লাগতে বললো)
পরশ: খাও বলছি ( অথৈর কাছে গিয়ে বললো)
অথৈ: না
পরশ: তুমি খাবো না। নাহ খেতে তো হবে তোমাকে ( বলে মুখ ধরে অথৈকে জোড় করে খাইয়ে দিলো)
অথৈ: আহ্ কি তিতা ( চিৎকার করে বললো) এ্যা এ্যা এ্যা তিতা ওয়াক
পরশ: কেমন লাগছে আমাকে খাওনো না। শোনো আমার সাথে লাগতে এসো না পরিনাম ভালো হবে না understand . ( বলে বিছানায় গিয়ে শুয়ে পড়লো)
অথৈ: আমাকে আঙ্গুল দেখানো না আমি ও তোকে দেখে নেবো হহ্ ( বলে অথৈ ওয়াশরুম চলে গেলো)
সকালে
অথৈ: মামনি আমি আজ একটু বাড়িতে যাবো। আমার সার্টিফিকেট আর কিছু জামাকাপুড় আনতে।
মামনি: ও কিন্তু একা যাবি কি করে। আমি পরশ কে বলছি ও তোকে নিয়ে যাবে। এই দেখ বলতে বলতে পরশ এসে গেছে। পরশ তুই অথৈ ওর বাড়িতে একটু নামিয়ে দিয়ে তারপর আফিসে যাবি।
পরশ: আম্মু আমি ও যাথা সময় নষ্ট করি না। আর আমার আফিসে অনেক কাজ আছে একটা আটো ধরে চলে যেতে বলো।
অথৈ: মামনি আমি একাই যেতে পারবো কাউকে লাগবে না। আমি আসছি ( বলে অথৈ চলে গেলো)
পরশ: আম্মু আমি আসছি ( বলে পরশে গাড়ি নিয়ে আফিসে চলে গেলো)
অথৈর আম্মু: মেয়েটার জন্য মন কেমন করছে। কি জানি মেয়েটা আমার শশুড় বাড়ি তে কি করছে ( বলতে বাড়ি কলিং বেলটা বেজে ওঠলো) কে আসলো এই সময় ( বলে দরজা খুলে দিতেই) অথৈ মা আমার( বলে জরিয়ে ধরলো)
অথৈ: কেমন আছো আম্মু। আম্মু আবির আব্বু বল্টু কেমন আছে।
অথৈর আম্মু : ওরা সবাই ভালো আছে আর বল্টু ভালো আছে।
অথৈ: আম্মু জানো আমি ভার্সিটিতে চান্জ পেয়েছি।
অথৈর আম্মু: আমি শুনেছি। দেখি বাহ্ এই কয়দিনে আমার মেয়েটা বেশ বড় হয়ে গেছে। তা তুই একা কেনো জামাই আসে নাই।
অথৈ: তোমার জামাই আসেনি তার শুধু কাজ আর কাজ। আম্মু আমি আমার রুমে যাচ্ছি ( বলে অথৈ রুমে চলে গেলো) ইশ আমার জিনিসগুলো কি ময়লা জমেছে। আম্মু আম্মু আমার ব্যাগ টা কোথায় ( চিৎকার করে বললো)
অথৈর আম্মু: এতো চিৎকার করছিস কেনো। এই যে ব্যাগ।
অথৈ: আম্মু আমার সার্টিফিকেট গুলো বের করে দাওতো। আমি ততোক্ষনে জামাকাপুর গুলো ব্যাগে ভারছি।
অথৈর আম্মু: দিচ্ছি আচ্ছা তুই কি এখনি চলে যাবি।
অথৈ : হুম শাশুরি মামনি বাড়িতে একাই আছে তাই তারাতাড়ি ফিরতে হবে তুমি তাড়াতাড়ি বের করো।
অথৈর আম্মু : এই নেই সার্টিফিকেট।
অথৈ: আম্মু আমি আচ্ছি ( বলে ব্যাগটা নিয়ে বের হলো) আম্মু ভালো থেকো আর আব্বু আবিরে খেয়াল রেখো।
অথৈর আম্মু: সাবধানে যাচ। পাগলি মেয়ে আমার।
অথৈ: মামা ( আটোওয়ালা) ওই দোকানে সামনে একটু দাড়াবেন।
আটোওয়ালা: আচ্ছা ( বলে থামালো)
অথৈ: দোকাদার মামা ওইটা দিন তো। আর এই নিন টাকা।
দোকানদার: এই নিন।
অথৈ: thank you. মামা চলুন
পরশের আম্মু: আজ মাথা টা ধরেছে। এককাপ চা বানিয়ে খেলে হয়তো কমবো ( বলতে দরজায় কলিং বেল বাজলো) কে আসলো( বলে দরজায় খুলে দিলো) অথৈ তুই এতো তাড়াতাড়ি চলে এলি যে।
অথৈ: কারন আমার মামনি একা একা বাড়িতে থাকবে তাই আমি চলে এসেছি। মামনি তোমার মুখটা এমন লাগছে কেনো। নিশ্চায় মাথা ব্যাথা করছে। এসো বসো এখানে আমি তোমার মাথা টিপে দিচ্ছে।
মামনি: অথৈ আমি
অথৈ: একটাও কথা বলবে না। ( বলে মাথা টিপতে থাকলো)
রাতে
অথৈ: এই জামাকাপুড় গুলো আলমারি তে রাখতে হবে ( বলে আলমারি খুললো) ইশরে পঁচা কুমড়ো আলমারি কি অবস্থা করে রেখেছে। মনে হচ্ছে সবগুলো পোকাশ ওনার গায়ে উপর ফেলে দেই। ইশ জামাগুলো কি গন্ধ বের হচ্ছে কতোদিন পরিষ্কার করে না ছি ছি। ( বলে জামাকাপুড় গুলো নিচে ফেলে দিলো) এই গুলো কাল ধোপাকে দিতে হবে। আমার গুলো এখানে রাখি ( বলে আলমারিতে নিজের জামাকাপুর গুলো রাখলো) হয়ে গেছে আলমারি সাজানো। এখন মামনি কে রান্নার একটু help করি ( বলে রান্না ঘরে চলে গেলো)
মামনি: কি রে মা ভার্সিটিতে ভর্তি কবে হবি।
অথৈ: ৫ তারিখে হবে। মামনি আজ মেনু কি।
মামনি: মুরগির মাংস আর আলু ভাজি।
অথৈ: তাই আমার আলু ভাজি খুব পছন্দ মামনি। মামনি আমি আলু গুলো কেটে দেই।
মামনি: তুই পারবি
অথৈ: পারবো ( বলে আলু গুলো কাটতে লাগলো)
পরশ: একটু ফ্রেস হওয়া দরকার ( বলে ওয়াশরুমে চলে গেলো। ওয়াশ রুম থেকে বের আলমারি খুলতে বললো) আলমারিতে এই মেয়েটা সাহস দিন দিন বেরে যাচ্ছে। আমার জামাকাপুড়ে হাত দিয়েছে। কিন্তু ওই পোকাশটা কোথায়। ফেলে দেইনি তো ( বলে সারা আলমারি পাগলে মতোখুজতে লাগলো) কোথাও পারছিনা।
অথৈ: আহ্ কি করেছিন আপনি…….. (চলবে)
Just wow ami sob golpo pori bur comment kori na
NICE STORY. BUT STILL WAITING FOR PART 32 MISSING WILL YOU PLEASE RESEND PART 32 WHICH IS VERY IMPORTANT TO SEE MARRIAGE OF COUPLE.
THANK YOU AGAIN.
sorry please check now