- বই পড়া নিয়ে স্ট্যাটাস।
- বই পড়া নিয়ে কবিতা।
- বই পড়া নিয়ে অনুচ্ছেদ।
- আমার প্রিয় শখ বই পড়া অনুচ্ছেদ।
1.বই পড়া নিয়ে স্ট্যাটাস
তবু বই পড়ুন /-
“আমি এ জীবনে অনেক বই পড়েছি, কিন্তু সেগুলোতে যা পড়েছি তার প্রায় কিছুই আমার এখন মনে নেই। তাহলে এত বই পড়ে আসলে আমার কি লাভ হচ্ছে , স্যার ?”
– ছাত্র তার শিক্ষককে একদিন জিজ্ঞেস করেছিল।
বিব্রত শিক্ষক নীরব রইলেন , কোন উত্তর দিলেন না।
কদিন বাদে নদীর ধারে সেই ছাত্র এবং শিক্ষকের আবার দেখা হলো , এবার প্রস্তুত শিক্ষক ছাত্রকে একটা নোংরা ফুটো বালতি দেখিয়ে বললেন –
” যাও, নদী থেকে এটাতে করে পানি নিয়ে এসো ।”
বালতিটা সেখানে ময়লার মধ্যে মাটিতে পড়ে ছিল।
ছাত্র বিভ্রান্ত , কারণ আজব নির্দেশ, একটা নোংরা ফুটো বালতি দিয়ে পানি আনা সম্ভব না , কিন্তু শিক্ষকের আদেশও মানা দরকার , তাই সে মাটি থেকে বালতি তুলে নিয়ে নদীর ধারে ছুটে গেল পানি আনার জন্যে।
বালতি ভর্তি করে সে পানি নিয়ে নদী তীর থেকে উঠে এলো, কিন্তু বেশি দূর যেতে পারলো না, কয়েক কদম যেতে না যেতেই সব পানি ফুটো দিয়ে নিচে পড়ে গেল।
কয়েকবার চেষ্টা করলো , কিন্তু ব্যর্থ এবং হতাশ হলো সে।
এভাবে কয়েকবার চেষ্টার পর ব্যর্থ, ক্লান্ত ছাত্র শিক্ষকের কাছে ফিরে বললো –
“আমি ব্যর্থ হয়েছি , এই বালতিতে পানি নিয়ে আসতে পারছি না,আমাকে মাফ করেন, স্যার।”
শুনে শিক্ষক হেসে ছাত্রকে বললেন –
“না বেটা , তুমি ব্যর্থ হওনি । বালতির দিকে দেখো , এটা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে, একদম নতুন দেখাচ্ছে। ফুটো দিয়ে যতবার পানি পড়েছে ততবারই এর ভেতর থাকা ময়লাগুলো পরিষ্কার হয়ে বের হয়ে গেছে। যখন তুমি কোন বই পড়ো তখন তোমার সাথেও একই ব্যাপার ঘটে, তোমার ব্রেইন হচ্ছে এই ফুটো বালতির মত, আর বইয়ের মধ্যে থাকা তথ্যগুলো হচ্ছে পানির মত। তাই যখন তুমি কোন বই পড়ো এর বেশীরভাগই মনে রাখতে পারো না। কিন্তু তুমি একটা বই পড়ে এর সবগুলো তথ্য মনে রাখতে পারলে কিনা সেটা তত গুরুত্বপূর্ন বিষয়ই না। কারণ বই পড়ে তুমি যেসব ধারণা, জ্ঞান, আবেগ, অনুভূতি, উপলব্ধি এবং সত্য খুঁজে পাও সেগুলো তোমার মনকে পরিষ্কার করে, যতবার তুমি একটি বই পড়ে শেষ কর ততবার তোমার সাংস্কৃতিক রূপান্তর ঘটে, প্রতিবার তোমার পুনর্জন্ম হয়, ফলে তুমি আরও বিশুদ্ধ একজন মানুষে পরিণত হও।
এটাই হচ্ছে বই পড়ার মূল উদ্দেশ্য।”
* ( জনৈক জুবায়ের এর মূল লেখা সম্পাদিত /সংক্ষেপিত)
2.বই পড়া নিয়ে কবিতা
বই নন্দিনী
রুমকী চক্রবর্ত্তী
অামি তোমার বই হয়েছি যত
যখন খুশি পড়তে পারো
খেয়াল খুশি মত।
এ বইটা ছন্দ অার
গল্প , কথায় ভরা
মন খারাপের দিনে পড়ো
মজার যত ছড়া।
অামি তোমার বই হয়েছি গানের
যখন খুশি সুরেই না হয় পড়ে
নৌকা ভাসাও তানের।
বইটা অামি হলাম অভিমানের
সেই পাতাটা পাবেনাতো
যেথায় কথা লেখা প্রাণের।
যখন তুমি খুশিতে খুব থাকো
তখন অামায় পড়ো অল্প কথায়
ছোটো গল্পে অামাতে ডুব দাও
ছবি দেখো অামার রঙিন পাতায়।
উপন্যাস অার নাটক, পদ্য কত
প্রতি ছত্রে অামায় তুমি পাবে
ছন্দে , কথার ফুল ঝুরিতে মাতো
শেষ করেও অশেষ মনে হবে।
অামি তোমার বই হয়েছি বড়
যখন খুশি মুখ লুকোনো যাবে
ইচ্ছে যদি ধরো।
বন্ধু যদি নাইবা হলো কেউ
বাড়িয়ে অাছি হাতটা অামার ধরো
জানা, অজানার সাগর দেব পাড়ি
মন দিয়ে তাই অামায় যদি পড়ো।
অামি তোমার বই হয়েছি খুব
ইচ্ছে হলেই সব দু:খ ভুলে
অামাতে দাও ডুব।
যেদিন তোমার থাকবেনা সঙ্গতি
ভ্রমণ হবে স্বপ্ন সখের রথ!
সেদিন তুমি অামায় বাহন করো
হারিয়ে যেও তেপান্তরের পথ।।
৩.বই পড়া নিয়ে অনুচ্ছেদ
বই পড়ে কেঁদেছেন কখনো? আমি না খেয়ে ছিলাম দুইদিন।
২০২০সালের কথা। খুব সম্ভবত মার্চ মাস। পড়তে শুরু করেছি বিশিষ্ট লেখক হুমায়ূন আহমেদ স্যারের একটি বই। শুরুর দিকটা একদমই ভালো লাগেনি। তবে একটু একটু করে বইয়ের গভীরে যাচ্ছিলাম আর কৌতূহল বাড়ছিল। একটা তীব্র কৌতূহল ছিল। বারবার ভাবছিলাম, কোথায় গেল ইমনের বাবা?
বইয়ের প্রায় মাঝখানে একবার সুপ্রভার মা রাগ করে বললেন, তোর মতো মেয়ের আমার দরকার নেই। তুই একটা কাজ কর, ছাদে উঠে যা। তারপর ছাদ থেকে লাফ দিয়ে নিচে পড়ে যা।
আমি ভাবতেও পারিনি সুপ্রভা এমন করবে। সুপ্রভা যখন সত্যি সত্যি ছাদে উঠে গেল তখন আমি মনে মনে বিড়বিড় করছিলাম, সুপ্রভা, তুমি এমন করো না। প্লিজ সুপ্রভা, প্লিজ!
কিন্তু সুপ্রভা কি আমার কথা শুনতে পাবে? হুমায়ূন স্যার বহু বছর আগে যা লিখে গেছেন তা কি আমার আবদারে পরিবর্তন হয়ে যাবে? না, কখনোই যাবে না। সুপ্রভা আমার কথা শুনল না। সে সত্যি সত্যি ছাদে গেল। আমি তখনও আল্লা আল্লা করছিলাম। আল্লাহ্, সুপ্রভা যেন লাফ না দেয়!
কিন্তু সেদিন আমার দোয়া কবুল হয়নি। সুপ্রভা সত্যি সত্যি ছাদ থেকে লাফ দিলো!
সুপ্রভা মারা যায়।
আমি কান্না করছিলাম খুব। ইচ্ছে করছিল হাতের বইটা ছিঁড়ে টুকরো টুকরো করে ফেলি। জ্বালিয়ে দেই। কিন্তু তা করিনি। ভেবেছিলাম হুমায়ূন স্যার আমাকে সান্ত্বনা দেবেন। হয়তো তিনি এমন কিছু বলবেন যাতে আমার মন ভালো হয়ে যাবে। কিন্তু না। হুমায়ূন স্যারও সেদিন আমার পক্ষে ছিলেন না। তিনি সান্ত্বনা তো দিলেনই না বরং বললেন,
ছোট্ট সুপ্রভা। তোমার প্রসঙ্গ এই উপন্যাসে আর আসবে না। কারণ তোমার জন্যে কেউ অপেক্ষা করে থাকবে না। মৃত মানুষদের জন্যে আমরা অপেক্ষা করি না। আমাদের সমস্ত অপেক্ষা জীবিতদের জন্যে। এই চরম সত্যটি না জেনেই তুমি হারিয়ে গেলে।
স্যারের কথা শুনে আমার এত এত রাগ হচ্ছিল যে, আমি উনাকে প্রচুর গালাগাল করেছিলাম। টানা দুইদিন আমি ভাত খাইনি। দিনেরাতে বিছানায় শুয়ে শুয়ে চোখের জল ফেলেছি। মাঝরাতে অন্ধকার ঘরের এক কোণে হাঁটুর ভাঁজে মুখ লুকিয়ে মেঝেতে বসে কেঁদে কেঁদে কাটিয়েছি। এরপর বহুদিন বইটির ঘোর কাটাতে পারিনি। এখনও পুরোপুরি পেরে উঠিনি। জানি না কোনোদিন পারব কি না।
একটি বইয়ের কাল্পনিক এক চরিত্র মানুষের বাস্তব জীবনে এতটা প্রভাব ফেলতে পারে তা আমাকে হুমায়ূন স্যার শিখিয়েছেন। স্যারের সেই বইটির নাম, “অপেক্ষা” আমার সবচে’ প্রিয় এবং সবচে’ ঘৃণিত একটি বই।
মো. ইয়াছিন
৪.আমার প্রিয় শখ বই পড়া অনুচ্ছেদ
(১) আমার পড়া হুমায়ুন আহমেদের প্রথম বই ‘আমি এবং আমরা’। তখন আমি ছোটো। বেশ ছোট। ক্লাস থ্রি, ফোর হবে হয়তো। আমার ছোট চাচা প্রায়ই আমাদের বাসায় আসতেন। তিনি প্রচুর বই পড়তেন । কি বই পড়তেন সেসব আমি তখনও বুঝি না। আমি পড়তাম ঠাকুরমার ঝুলি, ঈশপের গল্প কিংবা সুকুমার রায়ের কবিতা৷
আমাদের বাসায় একটা লম্বা টি-টেবিল ছিলো। বেশিরভাগ সময় সেটা সোফার সামনে রাখা হতো।
‘আমি এবং আমরা’ বইটা আবিষ্কার করি টি-টেবিলের নিচে তাকের মতো জায়গাটা থেকে। সেখানে আমার মা বিগত দিনের পত্রিকা কিংবা অপ্রয়োজনীয় কাগজ রাখতেন। মাঝে মাঝে সেখানে দুই-একটা শপিং ব্যাগ কিংবা পলিথিনের সাথেও দেখা হয়ে যেতো।
এদিকে অনর্থক ঘাঁটাঘাঁটি করার অভ্যাস নিয়ে জন্মেছি আমি । একদিন সেগুলো ঘাঁটতে যেয়ে দেখি একটা ছেঁড়া বই। অপরিচিত বই দেখে আমার কৌতূহল হলো। বইয়ের নাম যে দেখবো, সেই সুযোগ নেই। কাভারটা পর্যন্ত ছেঁড়া।
নেড়েচেড়ে দেখলাম কয়েকপৃষ্ঠা পর নাম দেখা যাচ্ছে। বইয়ের নাম – ‘আমি এবং আমরা’। বই বলতে আমি তখন বুঝি রূপকথার বই। মিশরের রূপকথা, চীনের রূপকথা,জাপানের রূপকথা — বইয়ের নাম হবে এমন।
‘আমি এবং আমরা’ কীভাবে বইয়ের নাম হতে পারে সেটা আমাকে কিছুক্ষণ ভাবালো। ফ্লোরে বসে বইটা পড়া শুরু করলাম। ফ্লোর থেকে শুরু হলো আমার সীমাহীন যাত্রা – হুমায়ুন আবিষ্কার।
(২) আমাদের ক্যাডেট কলেজের লাইব্রেরিতে একটা বড় অংশ জুড়ে ছিলো হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল, সুমন্ত আসলামদের বই। সপ্তাহে একদিন, বেশিরভাগ সময়ই ফোর্থ পিরিয়ডে, আমাদের লাইব্রেরি ক্লাস থাকতো৷ কোনো ক্লাসের জন্যই আমরা এতটা অপেক্ষা করতাম না যতটা করতাম লাইব্রেরি ক্লাসের জন্য। ওইদিন ফোর্থ পিরিয়ডের বেল পড়া মাত্রই খাকি ইউনিফর্ম পড়া ২৭-২৮ টা মেয়ে ধুপধাপ করে দৌড়াদৌড়ি করে লাইব্রেরিতে যায়। এটা সিনিয়র অথবা জুনিয়র হওয়ার উপর নির্ভর করে না, সর্বকালের সর্ববয়সের ক্যাডেটদেরকেই আমরা দৌড়াতে দেখেছি।
যখনই আমরা গুচ্ছবদ্ধভাবে কাউকে করিডোর দিয়ে দৌড়াতে দেখতাম, বুঝতে কষ্ট হতো না এদের আজ লাইব্রেরি ক্লাস।
মনে প্রশ্ন আসতে পারে, দৌঁড়ায় কেনো?
আমরা দৌঁড়াতাম কারণ, লাইব্রেরিতে সবসময়ই ছিলো আগে গেলে আগে পাইবেন টাইপ অবস্থা। কয়েক মিনিট দেরী করে যাবার ফলবশত কাঙ্ক্ষিত বই হারাবার সুযোগ ছিলো অনেক বেশি। আমরা সেই একদিন বই ইস্যু করার সুযোগ পেতাম। রেজিষ্ট্রি খাতায় তারিখ, বার লিখে স্বাক্ষর দিয়ে, এবং বেশ দীর্ঘ সিরিয়ালের পর লাইব্রেরিয়ানের স্বাক্ষর নিয়ে বই ইস্যু করতাম। স্বাভাবিকভাবে সবাই চাইতো নিজের পছন্দের লেখকের দিকে ঝুঁকতে। এক সপ্তাহের জন্য সেই বইটা নিজের হয়ে যেতো। কেউ চাইলে পরের সপ্তাহেও একই বই ইস্যু করে বেশ কয়েকদিন নিজের কাছে রাখতে পারতো।
বেশিরভাগ দৌঁড় পার্টির গন্তব্যস্থল ছিলো হুমায়ুন আহমেদ, জাফর ইকবাল কর্ণার। তাই আমাদের পরিশ্রমও ছিলো বেশি। এই ইস্যু করা বই বেশিরভাগই পড়া হতো দুপুরে। একটা নির্দিষ্ট সময়ে, যাকে ডাকা হয় ‘রেস্ট আওয়ার’ নামে।
একবার এমন এক রেস্ট আওয়ারে আমি পড়ে শেষ করি ‘মেঘ বলেছে যাব যাব’। সেদিনের কথা আমার স্পষ্ট মনে আছে। অঝোরে কাঁদছি আমি। প্রথমে ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে নিঃশব্দে, এরপর বাথরুমে— শাওয়ার ছেড়ে। বর্তমানে আমার বইটির ভেতরের চরিত্র কিংবা প্লট—কিছুই মনে নেই, মনে করতেও চাই না। আমার শুধু মনে আছে এক রেস্ট আওয়ারের কথা। বাইরে কড়কড়ে রোদ। জানালার পাশেই আমার বিছানা। আমি শুয়ে শুয়ে নিঃশব্দে কাঁদছি। কাঁদতে কাঁদতে আমার সাদা বালিশ ভিজে নীল হয়ে যাচ্ছে।
(৩) আজকে থেকে ৯ বছর আগে, মানে ২০১২ সালে আমি ছিলাম ক্লাস নাইনে। ১৯ জুলাই।
সম্ভবত সেদিনই, কিংবা তার আগেরদিন ক্যাডেট কলেজ থেকে বাসায় ছুটিতে আসি। সেদিন বৃষ্টি ছিলো। অবাক হয়ে শুনতে পাই লোকটা মারা গেছে। যে লোকটা আমাকে
আমাকে অকারণে হাসিয়েছে, হাসতে হাসতে কাঁদতে বাধ্য করেছে, ভালোবাসতে শিখিয়েছে—সেই লোকটা মারা গেছে।
এই সংবাদ বিশ্বাস করার ক্ষমতা আমার সেই মুহুর্তে ছিলো না। কিশোরী বুক ক্রমাগত মোচড়াতে মোচড়াতে আমি একসময় স্তব্ধ হয়ে যাই৷ কষ্টে আমার নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়। এমন কষ্ট —যার সাথে আমি তখনো পরিচিত নই। সেদিন, তার পরদিন, তার পরদিনও আমি স্বাভাবিক হতে পারিনি৷
আমাদের বাসায় তখন দুটো রুম। ছুটিতে আসলে আমি ঘুমাতাম মায়ের সাথে। আমার ক্রমাগত চোখের পানি আর বিষন্নতা দেখে আম্মা ভাবলেন আমি মনস্তাত্ত্বিক সমস্যায় ভুগছি৷ প্রেমট্রেমজনিত। উঠে পড়ে লাগলেন রহস্য উদ্ধারের আশায়।
তিনি বেশ বিরক্ত হলেন, যখন জানতে পারলেন একজন লেখকের জন্য আমি বিরহযাপন করছি। সে কি আমার প্রেমিক? তার জন্য আমি না খেয়ে বসে থাকবো কেনো? আমার কষ্ট মায়ের কাছে আদিখ্যেতা মনে হলো। কিন্তু কীভাবে বোঝাই আমার কেন এমন লাগে?
(৪) এই কাহিনীগুলো ঘুরেফিরে আমি অনেক জায়গায় লিখেছি। ভবিষ্যতেও লিখবো। এরচেয়ে বেশি কিইবা করার আছে? নয় বছর কেটে গেলো। আমি কিশোরী নেই। লাইব্রেরি ক্লাসের জন্য দৌঁড়ানো সহপাঠীরা বড় হয়ে গেছে। কেউ বিয়ে করেছে, কেউ দেশের বাইরে থাকে। কিন্তু সেই বইগুলো রয়ে গেছে আগের মতো।
এখন তাদের পড়লে কিশোর বয়সের মতো বুকে মোচড় দেয় না ঠিকই, কিন্তু ভীষণ মায়া হয়। সরস চোখে তাকিয়ে থাকি ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘প্রিয়তমেষু’ অথবা ‘নবনী’র দিকে। জানতে ইচ্ছা করে৷ এই বইগুলো কি আমাকে চিনতে পারছে?
কি অদ্ভুত ব্যাপার! এখনো চোখ ভিজে কেনো? কষ্টগুলো মেঘের মতো উড়ে না কেনো?
সে কি আমার প্রেমিক লাগে?