- বউকে খুশি রাখার উপায়।
- বউকে খুশি করার কথা।
- বউকে নিয়ে ভালোবাসার স্ট্যাটাস।
- বউ নিয়ে রোমান্টিক গল্প।
- বউ নিয়ে রোমান্টিক কবিতা।
১.বউকে খুশি রাখার উপায়
১/মাঝে মাঝে স্ত্রীর ব্যাগে কিছু টাকা রেখে দিন স্ত্রীকে না জানিয়ে দেখবেন সে আপনার প্রতি খুশি হয়ে যাবে,
২/ঘরে ঢুকেই প্রথমে সালাম না পাওয়ার আশায় স্ত্রীকে আগে আগে সালাম দিন দেখবেন তিনি আপনার প্রতি খুশি হয়ে যাবে সালাম টা যেন আস্সালামু-আলাইকুম হয়,
৩/বাইরে থেকে খালি হাতে না এসে মাঝে মাঝে আম লিচু নিয়ে আসেন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
৪/ স্ত্রীকে মুখে খাবার তুলে দিন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
৫/স্ত্রীর রান্নার কাজে সহযোগিতা করুন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
৬/ স্ত্রীর কোন বিপদ আসলে মাথায় হাত রেখে সান্তনা দিন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
৭/ বাহিরে যত ভালো ব্যবহার দেখান এই ব্যবহারটা স্ত্রীর সাথেও দেখাবেন, দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
৮/ছোট ছোট বিষয়ে স্ত্রীর প্রতি রাগ না করে হাসিমুখে সমাধান করুন,দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
৯/মাঝে মাঝে স্ত্রীকে ফুল হাদিয়া দিন,
১০/ মাঝে মাঝে স্ত্রীকে বেড়াতে নিয়ে যান,
১১/ মাঝে মাঝে স্ত্রীকে থ্রি পিস কাপড় কিনে দিন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
১২/ মেয়েরা গহনা পছন্দ করেন তাই মাঝে মাঝে স্ত্রীকে আপনার সাধ্য মত কিছু গহনা বানিয়ে দিন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
১৩/ মাঝে মাঝে স্ত্রীকে আইসক্রিম চকলেট কিনে দিন দেখবেন স্ত্রী খুশি হয়ে যাবে,
১৪/বাইরে কোথাও বের হবার সময় স্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে কপালে একটা চুমু খেয়ে তারপর বের হবেন,দেখবেন স্ত্রী অনেক খুশি হবে,,
…. আল্লাহ সব স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে সুখ শান্তি দান করুক আমিন !!
২.বউকে খুশি করার কথা
বউ
আরিফ ইসলাম
________________________
বউ পেয়েছি খুব রূপসী টকটকে তাঁর রঙ,
চুলগুলো তাঁর ব্রাউন কালার দারুণ কথার ঢং।
চাল চলনে ওভার স্মার্ট সেজে কাটায় দিন,
ইচ্ছে মতো শপিং করে ভাবনা চিন্তাহীন।
সবকিছুতে ম্যাচিং খোঁজে কালার চয়েজ ডিপ,
হাতের চুড়ি, কানের দুল, শাড়ির সাথে টিপ।
রাত্রি জেগে চ্যাটিং করে ঘুমায় ভোরের বেলা,
দুপুর হলে ঘুম ভাঙে তাঁর কাজকে করে হেলা।
রাধতে গেলে ত্বক জ্বলে যায় করে নানান ছল,
কোমল হাতে ঠোসা পড়ে ঝরায় চোখের জল।
মগ্ন থাকে সন্ধ্যা রাতে হিন্দি সিরিয়ালে,
কথায় কথায় তর্ক করে জলে আগুন জ্বালে।
গুরুজনের মান বোঝেনা তাদের ভাবে পর,
শ্বশুর বাড়ির মানুষ দেখলে গায়ে আসে জ্বর।
রূপের মোহে পাগল ছিলাম গুণ খুঁজিনি মোটে,
এমন বোকার কপালেতে এমন বউ -ই জোটে।
৩.বউকে নিয়ে ভালোবাসার স্ট্যাটাস
বাসর রাইতের দিন আমি বউরে জিগাইছিলাম আমার কাছে তোমার প্রথম চাওয়া কি নয়া বউ?
সে লাজুক লতার মতন মাথা নিচু কইরা কিছুক্ষন চুপ কইরা থাইকা আমারে অবাক কইরা দিয়া কইছিলো,সে সারা জীবন আমার ভালোবাসা চায় আর উপহার হিসাবে চায় একটা গাছ।
আলতা,শাড়ী, গয়না এসব না চাইয়া তার গাছ চাওনের কথা শুইনা আমার খুব হাসি পাইছিলো সেইদিন
তবুও নিজের হাসি সামলাইয়া কইছিলাম
কি গাছ চাই তোমার নয়া বউ?
সে কইছিলো,
একটা শিউলি ফুলের গাছ চাই তার
শিউলি ফুল নাকি তার খুউব প্রিয়।
পরদিন যখন তারে একটা শিউলি ফুলের গাছ আইনা দিছিলাম গাছ দেইখা তার কত্ত খুশি- অল্পকিছুতেই তার এত্ত খুশি দেইখা বুক টা ভইরা গেছিলো সেইদিন আমার
কত যত্নে সে উঠানের এক কোণে গাছটা লাগাইছিলো আর কইছিলো দ্যাখবেন এই গাছের ফুল ঝইরা পইরা পুরা উঠান ভরাইয়া দিবো।আর আমি মরলে এই গাছের নিচে কবর দিবেন।
আমার হাসি থাইমা গ্যালো
কি কও বউ,এইসব কথা আর কইবা না
নয়া বউ গাছের গোড়ার মাটি শুকনা দ্যাখলেই জল দেয়,গাছের লগে কথা কয়,আমি চাইয়া চাইয়া দেখি!
রাইত হইলেই নয়া বউ নিজের কাজ কাম সাইরা,বারান্দায় আমার গায়ে হেলান দিয়া কবিতার বই পড়তো।
আমি কাম কাজের মানুষ কিছুই বুঝিনা কবিতার।
বউ পইড়া পইড়া আমারে বুঝায়া দেয়
খুউউব ভালো লাগতো আমার!
রাইতের আন্ধারে চান্দের আলোয় বউর মুখখান আরো জ্বলজ্বল কইরা ফুইটা উঠে
চান্দের নজর না লাগে আমার ঘরের চান্দে,তাই বলি বউ ঘরে চলো ম্যালা কবিতা পড়া হইছে।
নয়া বউ আদর মাখা কন্ঠে জিদ ধরতো আর কিছুক্ষন বসেন না!
আমিও না কইবার পারতাম না।
দিন গেলো কিছু এমন কইরাই,শিউলি গাছটাও খুব দেমাক দিয়া বড় হইলো এতদিনে
একদিন রাইতে বউ আমারে কইলো তুমি বাপ হইবা।এই খবর শুইনা আমি উঠানে বাইর হইয়া চিৎকার দিয়া কইলাম আমি বাপ হমু,আমি বাপ হুমু।এতদিনে এই এতিমটার আবার বাপ- মা ডাকনের সুযোগ হইবো। ত্রিভুবন শূন্য যার,তিন কূলে যার কেউ নাই! হেয় বাপ হইবো। আহ্লাদে বউরে কোলে নিয়া উঠানে ঘুরপাক দিলাম।
সেইদিনই ঠিক করলাম নয়া বউ যেইদিন আমারে ফুটফুটে একখান বাচ্চা কোলে তুইলা দিব সেইদিন বউরে একটা কবিতার বই উপহার দিমু বউ যে আমার বড় ভালোবাসে কবিতা।
সেই দিন আকাশডা কেমন ঘন কইরা আইলোবউ আমার ব্যাথায় ছটফট করতাছে আমি পুরুষ মানুষ কি করি বুঝে কুলায় নাই
কিছুক্ষন পর বউ আমার চান্দের মতন একটা মাইয়া জন্ম দিলো।
কিন্তু এ কি! বউ আমার চোখের দিকে এমন ড্যাবড্যাব কইরা তাকায় আছে ক্যান? বউ ও নয়া বউ কি হইলো তোমার?
তোমার লাইগা একটা উপহার আছে নিবা না বউ ও বউ!
দুধের শিশু ঘরে রাইখা নয়া বউরে আমি কপাট নাই,জানলা নাই শিউলি গাছের তলে এমন একটা ঘরে যত্নে শোয়াইয়া দিলাম!
তার তিন দিন পর মাইয়াডাও ফাঁকি দিলো আমারে। মা নাই,নিষ্পাপ শিশুটার খুব কষ্ট হইছে তিন দিনে। তারেও তার মায়ের পাশে রাইখা দিছি বুকে পাথর বাইন্দা।
পরদিন দেখি কবর দুইডা শিউলি ফুলে ভইরা গেছে। কবিতার বই খান বারান্দার এক কোণে অবহেলায় পইড়া আছে!
শুধু নয়া বউ নাই! নাই নয়া বউ আর নাই!
নয়া বউ দ্যাখো নয়া বউ তোমার কবিতার বই ধূলা মাইখা পইরা রইছে,তোমার শিউলি গাছের ফুলে ভইরা আছে উঠান তুমি দ্যাখবা না নয়া বউ?
উঠো নয়া বউ বেলা কইরা মাইয়ারে লইয়া ঘুমায় থাকলে চলবো? উঠো না নয়া বউ,উঠো..!
গদ্য কবিতা: নয়া বউ
-স্বপন কুমার
৪.বউ নিয়ে রোমান্টিক গল্প
_তোমাকে এত সুন্দর লাগছে কেন?
_সেজেছি তাই|
_আগেও তো সেজেছো এতটা সুন্দর লাগেনি!
_এভাবে আগে সাজিনি|
_কেন?
_এভাবে একবারই সাজতে হয়|
_মানে?
_গাধা আমি বউ সেজেছি!
_কার?
_একটা গাধার!
_কে সে?
_উফ্, রাত কয়টা বাজে?
_২ টা ৭
_তুমি এখন এখানে কেন?
_তাই তো! আমার মাথা কাজ করছে না,খুলে বলবে প্লিজ!
_আইনত আমরা এখন স্বামী-স্ত্রী|
_সত্যি!!
_হুম…
_তার মানে তুমি আর কখনো আমাকে ছেড়ে যাবে না…
কথাটা শেষ না হতেই দমকা হাওয়ায় বাতি নেভার মত আঁধারে মিলিয়ে গেল সে| হাত বাড়িয়ে কোথাও পাওয়া গেল না আর|
শুরু হলো স্বপ্ন দেখা…
——-সোহান ইসলাম——
৫.বউ নিয়ে রোমান্টিক কবিতা
বৃষ্টি
সকাল টা আজ কাটলো ভালোই
জড়িয়ে তোমায় ধরে,
এমন সকাল রোজ কি আসে?
একটু আদর করে।
নেই যে আফিস নেই যে তাড়া
নেই যে কেউই,তুমি ছাড়া
আর একটু খন থাকলে পাশে
ঠোঁট টা তোমার একটু হাসে।
জানিনা রোমান্স কেনো যে তুমি
বৃষ্টি দিনে আসো?
সারাজীবন তো গালিই দিলে
আজকে ভালোবেসো।
বৃষ্টি তো আজ সঙ্গে আছে
করছো কেনো লাজ?
খাওয়া দাওয়া বন্ধ থাকুক
পড়েই থাকুক কাজ।
ভেবেছিলাম হয়তো আজ
অনেক কিছুই হবে
হায় যা! ভুলেই গেছি
বিয়ে করলাম কবে?
(কমল মান্না)