#বৃষ্টিময় প্রেম পর্ব ১০
#লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা
আত্মসম্মান। শব্দটা ছোট হলেও তার গুরুত্ব ব্যাপক। একজন মানুষ সবকিছু হারালেও দিনশেষে আত্মসম্মানের জোরেই মাথা উচু করে দাড়াতে পারে। ঠিক তেমনি একজন সব পেয়েও যদি আত্মসম্মানকে বিসর্জন দেয় তবে নিজের চোখে নিজেই সে ছোট হয়ে যায়! একিভাবে আজকের ঘটনায় শুধু আমার চরিত্রেই নয় বরং প্রশ্ন উঠেছে আমার আত্মসম্মানের উপরেও। এতটা বছর যাদের বাসায় থাকলাম, যাদের সাথে মিলেমিশে আপন করে নিলাম আমি দিনশেষে একটা সামান্য দূর্ঘটনায় আমাকে দোষ দিতে একবারও খারাপ লাগলোনা তাদের?
কত সহজেই না বলে দিলেন দাদি যে পরের মেয়ে কখনও আপন হয়না! তবে এতদিন তাদের সাথে আমার যে এত ভালো সম্পর্ক সেটা কি নিছক অভিনয়? ঘটনার গম্ভীরতায় আমায় সর্বদা সাপোর্টকারি আন্টিও চুপ হয়ে গেছেন আজকে। একদিকে তার ছেলে অন্যদিকে আমি। বুঝলাম উনি দ্বিধায় আছেন৷ তবে আমি কোন দ্বিধায় নেই।
আজকে দাদির বলা কথাগুলো আমার আত্মসম্মানে আঘাত হেনেছে। এই ঘটনার পরেও যদি আমি এই বাসায় থাকি তবে নিজের চোখে আমি নিজেই ছোট হয়ে যাবো। আত্মগ্লানি আমায় কুড়ে কুড়ে খাবে রোজ। তাই এত বছরেও যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সাহস পাইনি আজ কিছু মুহুর্তের মাঝেই এমন শক্তপোক্ত ডিসিশন নিয়ে ফেললাম আমি। দুই হাতে চোখের পানি মুছে আলমারি থেকে ব্যাগ বের করে গুছাতে লাগলাম। এতদিন বিভিন্ন কাজের জন্য বরাদ্দ টাকা থেকে যে কয় টাকা জমা করেছি সব বের করলাম। উদ্দেশ্য এখন একটাই। এই বাড়ি ছেড়ে বের হওয়া। কাউকে কোন জবাবদিহি করবোনা আমি, কাউকে প্রমান দিবোনা। যার যা মনে করার করুক।
আলতো হাতে রুমের দরজা খুলে বাইরে উকি দিলাম কেউ আছে নাকি দেখার জন্য। তবে সবাই বসারঘরে জটলা পেকে থাকায় রুমের এদিকে কাউকে দেখা গেলোনা। বুঝলাম এখনি সময় চলে যাওয়ার। তাড়াতাড়ি ভেতর থেকে আমার ব্যাগ নিয়ে রুম থেকে বের হয়ে আসলাম। কয়েক কদম এগিয়ে যেতেই রাইসাকে আমার দিকে আসতে দেখলাম। ওকে এই সময় আশা করিনি আমি! ভেবেছিলাম এতক্ষণে ওর বিদায় হয়ে চলে যাওয়ার কথা। তবে বেশিকিছু ভাবার আগেই ও এসে বললো,
—তুরফা, ড্রয়িংরুমে চল। তোকে ডাকছে।
—কে ডাকছে আমায়? আর কেনই বা ডাকছে? কারো কাছেই কোন জবাবদিহিতা করতে পারবোনা আমি আগেই বলে দিচ্ছি। তোরা যা ভাবার ভাব।
রাইসা আমার কথাকে পাত্তা না দিয়ে আমার হাত চেপে ধরলো শক্ত করে। প্রচন্ড বিরক্তি নিয়ে ওর থেকে নিজের হাত সরানোর চেস্টা করতেই ও মাঝপথে থামিয়ে দিয়ে বললো,
—দেখ তুরফা, অলরেডি অনেক দেরি হয়ে গেছে। এতক্ষণ শশুড়বাড়ি পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিলো আমার কিন্তু এখনও যাইনি। তারপরেও তুই যাবিনা?
এবার ওর কথা শুনে অপরাধবোধ জাগলো আমার ভেতর। ইশ রে বেচারি। কোথায় এই সময় বাসরঘরে বসে থাকার কথা ছিলো ওর আর এইসময় বাসায় বসে তামাশা দেখতে হচ্ছে ওকে! আর কিছু না বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলে হাত ব্যাগ নিচে রেখে রাইসার সাথে চললাম ড্রয়িংরুমের দিকে।
__________
বিয়েবাড়িতে আসা বেশিরভাগ মানুষ জড়ো হয়েছে এই বিশাল ড্রয়িংরুমে। এত আলো থাকার পরেও গুমোট, থমথমে পরিবেশ। রায়হান ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে দেখি উনি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছেন এক কোণায়, উনার পাশে গোমড়া মুখে দাদি বসে আছেন। অপরপাশে প্রান্ত ভাইয়াসহ তার ফ্যামিলি। প্রান্ত ভাইয়ার পাশে তাকাতেই পূর্ণ ভাইয়ার দিকে চোখ গেলো আমার। উনি সরাসরি তাকিয়ে ছিলেন আমার দিকে, তার চাহনি দেখে বুকের মাঝে ধক করে উঠলো আমার! মুখ অন্যদিকে করলাম আমি। ভাবতে লাগলাম কেনই বা ডাকা হয়েছে আমায় এখানে? চারদিকে হালকা গুঞ্জন শুনা যাচ্ছে। তার মানে আসলে কেউই জানেনা কেন সবাইকে একত্রিত করা হয়েছে এক জায়গায়!
আমার ভাবনার মাঝেই ইষৎ কেশে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করলো প্রিয়া৷ সবার মনোযোগ ওর দিকে যেতেই কয়েক ধাপ এগিয়ে রুমের মাঝখানে এলো সে। সবাই আগ্রহ নিয়ে ওর দিকে তাকাতেই বলে উঠলো,
—আমি প্রিয়া। আশা করি সকলে চিনেছেন। জামাইয়ের একমাত্র ছোট বোন। ফটোগ্রাফি করার বহু পুরোনো শখ আমার। নিজের ভালো লাগার জন্যই বিভিন্ন ছোটখাটো মুহূর্তের ছবি তুলে রাখি..
প্রিয়ার কথার মাঝখানেই দাদি বিরক্তির সুরে বলে উঠলেন,
—তোমার ছবি তুলতে ভাল্লাগে ভালো কথা। তে সেটা এতগুলা মানুষরে ডাকে কওয়া লাগবে? বাইরে যেয়ে ছবি তুলো, ভিডিও করো। কে মানা করসে!
—ও যখন কিছু বলতে চাইছে ওকে কথাটা পুরোপুরি বলতে দিন দাদি। নিশ্চয়ই টাইমপাস করার জন্য এই সময় সবাইকে ডাকা হয়নি।
প্রান্ত ভাইয়ার কড়া আওয়াজে বেলুনের মতো চুপসে গেলেন দাদি। যতই হোক নতুন জামাই বলে কথা, তার কথার উপর দিয়ে যাওয়া দাদি ঠিক মনে করলেন না তাই চুপ হয়ে গেলেন৷ দাদিকে চুপ হতে দেখে প্রিয়া আবার বলতে শুরু করলো,
—তো যা বলছিলাম। আমার ভিডিওগুলো নেহাৎ স্মৃতি ধরে রাখার জন্যই করে থাকি আমি। সাধারণত কাউকে দেখাইনা। তবে আমার কোন কাজ যদি কারও উপকারে আসে তবে সেটা সবাইকে দেখাতে আমার কোন আপত্তি নেই।
বলেই ও রাইসার দিকে তাকাতেই দেখি সে একটি প্রজেক্টর নিয়ে আসলো। ব্যাপারটা কিছুটা আন্দাজ করতে পেরে দুরুদুরু বুকে চেয়ে দেখতে লাগলাম ওদের কাজকর্ম। পুরো ঘরজুড়ে পিনপতন নীরবতা।
প্রিয়ার ফোনের সাথে কানেক্ট করতেই ভিডিও চালু হলো। বিয়েবাড়ির বিভিন্ন ছোটখাট মুহুর্ত ভিডিও দেখা গেলো। বর-বউয়ের কবুল বলা, সাইন করা, পর্যায়ক্রমে মেহমানদের খেতে চলে যাওয়া৷ ভিডিওর শেষ পর্যায়ে দেখা গেলো আমাকে। নিজেকে স্ক্রিনে দেখতেই চোখ বড় হয়ে গেলো আমার, শুকনো ঢোক গিললাম আমি। স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে আশেপাশে তাকিয়ে দেখছি আমি কেউ আছে কি না তারপর নিরিবিলি পেয়ে নিজের শাড়ির কুচি ধরে হেটে চলছি। সামনে এগিয়ে যেতেই রায়হান ভাইয়াকে দেখে চোখ বড় করে তাকিয়ে সরে যেতে ধরলাম আমি। এরপরের ঘটনা তো সবার জানা। ঘটনাটি মনে হতেই লজ্জায় অসস্তিতে চোখ বন্ধ করে ফেললাম আমি। আর দেখতে পারবোনা আমি! ওই বাজে ঘটনা মনে করতে চাইনা আর!!
কিছুক্ষণ কোন আওয়াজ না পেয়ে আস্তে করে এক চোখ খুললাম আমি। ভিডিওটা বন্ধ হয়ে গেছে! বন্ধ স্ক্রিনের পাশে দাঁড়িয়ে আছেন পূর্ণ ভাইয়া। তার হাতে প্রিয়ার ফোন। মনে মনে ভাবলাম তবে কি তিনিই বন্ধ করে দিয়েছেন ভিডিওটা?
এতক্ষণে চারপাশে আলোচনা শুরু হয়ে গেছে। যেই আন্টিরা আমার নামে বাজে কথা বলেছিলেন উনারা নিজেদের মুখ চাওয়াচাওয়ি করছেন। হয়তো এখন কি বলবেন ভেবে পাচ্ছেন না! দাদিও থম মেরে বসে আছেন। প্রিয়া যে এমন ভিডিও দেখাবে তিনি আশা করেন নি তার চেহারা দেখেই বুঝা যাচ্ছে। সবার রিয়েকশন দেখে তাচ্ছিল্যের হাসি হাসলাম আমি। কেননা তাদের ভেতরের কুৎসিত মন তো ঠিকই দেখে ফেলেছি আমি।
আন্টি হঠাৎ এগিয়ে আসলেন আমার দিকে। আমায় জড়িয়ে ধরে বললেন,
—আমি জানতাম তোর কোন দোষ নেই এখানে। তুই কখনোই এরকম হতেই পারিস না।
আন্টির কথা শুনে চুপচাপ চেয়ে রইলাম আমি। তাদের সবার প্রতি আমার চাপা অভিমান যেন আমাকে তাদের সাথে পুনরায় সহজ হতে দিচ্ছেনা। একটু পরেই কুৎসা রটনাকারী দুই আন্টির একজন নিজেদের পক্ষে বলে উঠলেন,
—মানছি ওটা একটা দূর্ঘটনা ছিলো। তবে এই ক্ষেত্রে আমাদেরকেও দোষ দেওয়া যাবেনা। চোখের সামনে দুইজন প্রাপ্তবয়স্ক ছেলেমেয়েকে এমন আপত্তিকর পরিস্থিতিতে দেখলে যেকেউই অন্যকিছু ভাববে…
—তাই বলে না জেনে শুনে একজনের নামে এইরকম মিথ্যা অপবাদ দিতে আপনাদের বিবেকে বাধলো না? লাইক সিরিয়াসলি? আপনার নিজের মেয়ে হলে এমনটা করতে পারতেন?
আন্টির কথা শেষ না হতেই পূর্ণ ভাইয়ার গম্ভীর পুরুষালি আওয়াজে আমি সহ থমকে উঠলো পুরো ঘর। ভয়ে চুপ মেরে গেলেন সেই আন্টিটা। কিছু বলার সাহস পেলেননা নাকি ভাষা পেলেন না, সেটা ঠিক বুঝলাম না আমি। তবে তাকে চুপ করতে দেখে পাশের আন্টিটা বলে উঠলেন,
—একি বাসায় একসাথে সম্পর্কহীন দুই ছেলেমেয়ে বড় হলে তাদের মধ্যে যে কিছু থাকবেনা এটা ভাবাও কি অস্বাভাবিক বলো? তাই আমরা এমন কিছু ভাবলে ভুল কোথায় এখানে?
আন্টির কথা শুনে রাগে-ঘিন্নায় কুচকে গেলো আমার মুখ। মানুষের চিন্তাভাবনা এতটা নিচে কিভাবে হয়? একটু পরেই আবার পূর্ণ ভাইয়ার আওয়াজে মুখ তুলে তাকালাম আমি।
—তাহলে আপনার কথামতে তো তাহলে এক ছাদের নিচে ছেলেমেয়ে থাকাই যাবেনা। থাকলেই তাদের মধ্যে প্রেম হয়ে যাবে নাকি? একটু পর উনি থেমে বললেন, তবে সেটা বড় কথা না। আসল কথা হচ্ছে যে একটা মানুষ ধাক্কা লেগে আরেকজনের উপর পড়তেই পারে। এটা নিয়ে এমন কাহিনি করার কোন মানে হয়? হাউ রিডিকিউলাস!
—ঠিকই বলেছো ভাইয়া। আমার তো ভাবতেও অদ্ভুত লাগছে। কতটা লজিকবিহীন অপবাদ!
পূর্ণ ভাইয়ার কথায় সায় দিয়ে উঠলেন প্রান্ত ভাইয়া।
এদিকে তাদের দুই ভাইয়ের কথা শুনে দুই নাম্বার আন্টিটাও আর কিছু বলতে পারলেন না। মুখ কালো করে চেয়ে রইলেন। অন্যদিকে দাদি চারদিক চেয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বলে উঠলেন,
—হয়েছে এখন, থামো সবাই। এসব হইচই-ঝগড়াঝাটি বিয়েবাড়িতে হইতেই থাকবো। এগুলা কোন ব্যাপার নাহ। কেউ কিচ্ছু মনে করেনি। তাইনা রায়হান,তুরফা?
দাদি আমাদের দিক চেয়ে থাকলেও আমি কোন জবাব দিলাম না। একিভাবে রায়হান ভাইয়াও দেখি চুপ হয়ে আছেন, তার মুখ দিয়েও কোন কথা বের হচ্ছেনা। হয়তো ঘটনার গাম্ভীর্যে আমার মতোই হতভম্ব হয়ে গেছেন তিনিও! যাই হোক, আমার ও রায়হান ভাইয়ার কাছে থেকে কোন জবাব না পেয়েও দাদি গায়ে মাখলেন না ব্যাপারটা। খুব স্বাভাবিক ভাবেই সবাইকে বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে তাড়া দিতে লাগলেন যেন এতক্ষণ কিছুই ঘটেনি বাসায়! একজন মানুষ এতটা স্বার্থপর কিভাবে হয় আমি বুঝলাম নাহ!
___________
ড্রয়িংরুম থেকে আস্তেধীরে বের হয়ে রাইসার রুমে চলে গেলাম আমি। কারণ ওখানে রাইসার সাথে প্রিয়াও আছে। আমার উদ্দেশ্য ওকে থ্যাংকস বলা। রুমে ঢুকতেই দেখি রাইসা ও প্রিয়া কথা বলছে। আমাকে ঢুকতে দেখে চুপ হয়ে গেলো ওরা। আমি মলিন হেসে বিছানায় গিয়ে বসলাম ওদের পাশে।
—থ্যাংক ইউ, প্রিয়া। আজ তোমার জন্য মানুষের সামনে আমার নির্দোষিতা প্রমাণ হয়েছে।
আস্তে করে বললাম। আমার কথায় প্রিয়া মুচকি হেসে ওয়েলকাম বললো। কিছুক্ষণ পর নিরবতা কাটিয়ে হঠাৎ বলে উঠলো,
—ভিডিও ক্রেডিট আমার হলেও ধন্যবাদটা কিন্তু বড় ভাইয়ার প্রাপ্য আপু। আমি তাকে ভিডিওটা দেখানোর পর আমাকে সবার সামনে কথা বলার সাহস ও-ই দিয়েছে আর এসব প্ল্যান-সেটাপ বড় ভাইয়াই করেছে আমাদের তিনজনকে নিয়ে!
প্রিয়ার কথায় অবাক হয়ে তাকিয়ে রইলাম আমি! দেখলাম ওর কথায় মাথা নাড়লো রাইসা। অর্থাৎ ও আর প্রান্ত ভাইয়াও এর মাঝে শামিল ছিলো?
মুহুর্তের মধ্যেই যেন চোখ অস্পষ্ট হয়ে আসলো আমার। পূর্ণ ভাইয়া আমার জন্য এতকিছু করলেন আর আমি জানলামও না? ওই রাগী-গম্ভীর লোকটার প্রতি হঠাৎ করেই শ্রদ্ধা ও সম্মানে ভরে উঠলো মন। যেখানে আমার এতদিনের সম্পর্কের মানুষগুলোই আমার উপর বিশ্বাস করলো না, আমার পক্ষে একটা কথা বলার সাহস পেলোনা সেখানে উনি মাত্র কয়েকদিনের পরিচয়ে আমার জন্য এই কাজটি করলেন! সত্যিই জীবন বড়ই অদ্ভুত। কখন কোন মানুষ এসে জীবনে কোন ভূমিকা রাখে কেউ ভাবতেও পারেনা!!
মনে মনে কৃতজ্ঞ হয়ে ভাবলাম উনাকে ভদ্রতার খাতিরে হলেও সরাসরি একবার ধন্যবাদ জানানো উচিত আমার। পরক্ষনে মনে হলো, উনার সামনে গেলেই যেখানে আমার মনের মধ্যে ভয়ের উথাল-পাতাল ঢেউ সৃষ্টি হয়, সেখানে তাকে নিজ থেকে ধন্যবাদ কিভাবে দিবো? ভ্রু কুচকে বসে বসে ভাবতে লাগলাম আমি।
#চলবে
কেমন লেগেছে লেখিকাকে জানাতে ভুলবেন না। অপেক্ষা করানোর জন্য দুঃখিত, পাশে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।