বৃষ্টিময় প্রেম পর্ব ৬৩
লেখনীতে- তাসফিয়া হাসান তুরফা
গলা ঝেড়ে প্রস্তুত হয়ে পূর্ণর দিকে তাকালো রায়হান, যে আপাতত মনোযোগী দৃষ্টিতে চেয়ে আছে তার দিকে। হালকা হেসে বললো,
—আমি জানি তুমি সোজা কথার মানুষ। ঘুর-প্যাচ পছন্দ করোনা। তাই তোমার সময় নস্ট না করে, যা বলতে এসেছি সরাসরিই বলছি। আমি তোমার বোনকে বিয়ে করতে চাই!
ধীরেসুস্থে কথাটি শেষ করে হাফ ছাড়লো রায়হান! পূর্ণ কিছুক্ষণ সূক্ষ্ম চোখে পর্যবেক্ষণ করলো তার সামনে বসা ছেলেটাকে, যার চোখেমুখে সত্যতার আভাস স্পষ্ট। অতঃপর মুখ খুলে বললো,
—আমার বোনকে ভালোবাসো?
দৃঢ় চোখে মাথা নাড়লো রায়হান। যার অর্থ “হ্যাঁ, সে ভালোবাসে প্রিয়াকে”। উত্তর পেয়ে পূর্ণ এবার শক্ত গলায় প্রশ্ন করলো,
—তো বলো, আমি কিভাব আশ্বস্ত হবো যে তুমি ওকে ভালো রাখতে পারবে?
প্রশ্ন শুনে পুনরায় হালকা হাসলো রায়হান। সে জানতো এই প্রশ্ন আসবে, আগে থেকেই প্রস্তুতিসমেত আত্মবিশ্বাসের সহিত উত্তর দিলো,
—প্রথমত আমি প্রিয়াকে ভালোবাসি, অবশ্যই সব পরিস্থিতিতেই নিজের সর্বোচ্চ চেস্টা করবো ওকে খুশি রাখার। একটা ভালো চাকরি করছি। ওর ভরণপোষণের দায়িত্ব নিতে সক্ষম, কোনোদিক দিয়ে ওর অযত্ন হতে দিবোনা। আর দ্বিতীয়ত, প্রিয়া নিজেই আমাকে ভালোবাসে। বলতে গেলে আমি ওকে ভালোবাসার আগে থেকেই ও আমাকে ভালোবাসে। মেয়েটা অনেক অপেক্ষা করেছে আমার মুখ থেকে ভালোবাসি শুনার। কিন্তু আমি তাকে এ কথা বলার সুযোগ এখনো পাইনি, তাই ও যখন আমি জানবে আমি ওকে সারাজীবনের জন্য নিজের করে নিতে চাই তখন নিশ্চয়ই সে অখুশি হবেনা!
কিছুক্ষণ পর থেমে বললো,
—আর নিজের ভালোবাসার মানুষকে আজীবনের জন্য পেয়ে গেলে যেকোন মানুষই পৃথিবীর সবচেয়ে সুখী মানুষ হয় এবং এ বিষয়ে তোমার চেয়ে ভালো উদাহরণ আর হতে পারেনা। ঠিক বলেছি না?
শ্বাস রোধ করে শেষের কথাগুলো বললো রায়হান। পূর্ণর রিয়েকশন কি হবে ভেবে ভেতরে ভেতরে অস্থির হচ্ছে সে! ভেবেছে হয়তো সর্বদার ন্যায় গম্ভীরভাবেই কিছু বলবে, কিন্তু তাকে অবাক করে দিয়ে পূর্ণর ঠোঁটের কোণে সূক্ষ্ম হাসির রেখা দেখা গেলো। সেভাবেই মাথা নাড়িয়ে সায় দিলো। রায়হান বুঝে গেলো তার উত্তরে পূর্ণ কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট! মিইয়ে যাওয়া কনফিডেন্স পুনরায় ফিরে এলো তার! ঠিক তখনি পূর্ণ আবার বললো,
—প্রিয়ার কাছে ভালোবাসা প্রকাশ করার সুযোগ পাওনি বললে যে, সেটার কারণ? তোমার মুখে বিয়ের প্রস্তাব শুনে তো ভেবেছিলাম তোমরা রিলেশনে আছো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এমনটা নয়। তাহলে হঠাৎ বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে কেন?
ফোস করে এক দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে রায়হান বলতে লাগলো কেন তার ও প্রিয়ার মাঝে ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে। সাথে এও জানালো প্রিয়ার বয়সটাই অতি আবেগের, এ সময় অভিমানও হয় বেশি। তাই তাকে দোষারোপ করছেনা সে।
এতক্ষণ সবকিছু নীরব দর্শকের মতো চুপচাপ শুনে গেলো পূর্ণ। তবে সে কি আদৌ বিয়ের ব্যাপারে রাজি কি না স্পষ্ট বুঝা দায় তার গুরুগম্ভীর অভিব্যক্তির জন্য! মনে হয় যেন কিছু ভাবছে সে।
কিছুক্ষণ যাবৎ পূর্ণর জবাবের অপেক্ষা করে অবশেষে রায়হান অস্থির স্বরে জিজ্ঞেস করে ফেললো,
—তো কি ভাবলে? আমার প্রস্তবে কি তুমি রাজি?
—আমি এখনি কোন সিদ্ধান্তে আসতে চাচ্ছি না। আফটার অল, আমার একমাত্র বোনের ফিউচারের কথা। আজ তোমার পয়েন্ট অফ ভিউ শুনলাম, এরপর প্রিয়ার সাথে কথা বলবো। সবদিক বিবেচনা করে তারপর কোন ডিসিশন নিবো৷ তবে একটা কথা মাথায় রেখো, প্রিয়ার এইচএসসির আগে কোনভাবেই ওর বিয়ে দিবোনা আমি। পড়াশুনার ব্যাপারে নো কম্প্রোমাইজ। আশা করি তুমিও এ বিষয়ে সতর্ক থাকবে।
পূর্ণর কথায় ও যুক্তিতে রাজি হয়ে গেলো রায়হান। ও যে সময় নিয়ে তাদের ব্যাপারে ভাবতে চেয়েছে এতেই সে খুশি! যাক, অবশেষে মন থেকে একটা ভার হালকা হলো তার! এসব ভাবনার মাঝেই ওয়েটার কফি নিয়ে এলো টেবিলে। পূর্ণর হাতে সময় নেই বলে রেস্টুরেন্টে এসে শুধু কফিই অর্ডার দিয়ে রেখেছিলো রায়হান তাদের জন্য। কফিতে এক চুমুক দিতেই ফোন বেজে উঠলো পূর্ণর৷ এক পলক সেদিক তাকিয়ে “এক্সকিউজ মি” বলে ফোন রিসিভ করলো সে!
এদিকে তার সামনে বসা রায়হান কফি খেতে খেতেই একটা চমৎকার ব্যাপার লক্ষ্য করলো। ফোনে কথা বলা শুরু করতেই যেন এতক্ষণ ধরে রাখা কঠোর গাম্ভীর্যের বিন্দুমাত্র রেশ হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো পূর্ণর, বরং এখন তার আওয়াজে মিশে আছে এক অদ্ভুত কোমলতা। এমন নমনীয় সুরে সে কার সাথে কথা বলছে বুঝতে বিলম্ব হলোনা বিচক্ষণ রায়হানের। পূর্ণ ফোন রেখে কফিতে চুমুক দিতেই প্রশ্ন করলো,
—তুরফা ফোন দিয়েছিলো?
চকিত দৃষ্টিতে সামনে চেয়ে আলতোভাবে মাথা নাড়লো পূর্ণ। রায়হানও হালকা হেসে কফি শেষ করায় মনোযোগ দিলো। সবে শেষ চুমুক দিয়েছে মাত্র এমন সময় আচমকা পূর্ণর এক প্রশ্নে বিষম খেলো সে,
—তুমি কি তুরফাকে এখনো ভালোবাসো?
স্তম্ভিত রায়হান কিছুক্ষণ বাকরুদ্ধ থাকলো৷ এমন সময় যে এহেন প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে কস্মিনকালেও ভাবেনি সে! আমতা আমতা করে কোনোকিছু বলার আগেই পূর্ণ আবারো বললো,
—রিল্যাক্স! ইটস ওকে। আনকম্ফোর্টেবল করতে চাইছিনা তোমায়। আমি জানি তুমি আমাদের বিয়ের আগে তুরফাকে ভালোবাসতে। তোমার চোখে ওর জন্য অনুভূতি দেখেছিলাম আমি, আর সত্যি বলতে এটাও একটা কারণ ছিলো আমার কাছে প্রিয়ার জন্য তোমাকে সিলেক্ট না করার..
—আমি এখন প্রিয়াকে ভালোবাসি। ওকেই বিয়ে করে সুখে থাকতে চাই। আমার অতীতের কিছু সুপ্ত অনুভূতির জন্য আমার বর্তমানকে নস্ট করতে চাইনা। তুমি প্লিজ এ কারণে প্রিয়াকে আমার থেকে দূরে সরিয়ে দিয়োনা, পূর্ণ। একবার ভালোবাসা হারিয়েছি দ্বিতীয়বার এ কস্টের সম্মুখীন হতে চাইনা!
রায়হানের কণ্ঠে আকুতি৷ প্রিয়াকে হারানোর ব্যাকুলতা, যে ব্যাকুলতা পৌঁছে গেলো পূর্ণর কাছেও৷ রায়হানের চোখে সে স্পষ্ট টের পেলো তার বোনকে হারানোর ভয়, ভালোবাসার মানুষকে হারানোর ভয় যে শুধু সত্যিকারের ভালোবাসাতেই থাকে এটা বুঝতে কোনোরুপ অসুবিধা হয়নি তার! কফি শেষ করে রায়হানকে আশ্বস্ত করতে এক হাতে কাধ চাপড়ে দিলো৷ নির্ভরতা পেয়ে যেন একটু শান্ত হলো রায়হান। জোরে একটা শ্বাস নিয়ে বললো,
—-তুমি যখন জানতেই চাচ্ছো তখন মিথ্যা বলবোনা। আমি হয়তো এখনো তুরফাকে ভালোবাসি, প্রথম ভালোবাসা কিনা? চলে গিয়েও মনের কোন এক কোণে থেকে গেছে সে! কিন্তু সব এখানেই শেষ, এর বেশি কিছুই আমি আশা করিনা। আমি তুরফার শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে আজীবন থাকবো, ওর ভালো চেয়ে যাবো। আর আমি জানি তোমার চেয়ে ভালো ওকে কেউ রাখতে পারবেনা, হয়তো আমিও পারতাম না। এজন্যই সৃষ্টিকর্তা ওকে তোমার হাতে দিয়েছেন৷ কিন্তু বিশ্বাস করো, আমার মনের পুরোটা জুড়ে এখন শুধুই প্রিয়ার বসবাস৷ আমি গভীরভাবে ওর মায়ায় জড়িয়ে গেছি। নয়তো কোনোদিন এভাবে এত তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রস্তাব দিতাম না।
—বুঝতে পেরেছি। বাট এজ আই সেইড, আমার টাইম লাগবে ভাবার জন্য৷ কি সিদ্ধান্ত নিয়েছি জার্নি থেকে এসে আই ইউল লেট ইউ নো। আসছি এখন!
—ওকে! তোমার যেহেতু সময় নেই হাতে এখন যাও। সেফলি ল্যান্ড করো চিটাগং। পরে দেখা হবে।
পূর্ণও মাথা নেড়ে হ্যান্ডশেক করে বের হয়ে এলো রেস্টুরেন্ট থেকে! রায়হানের সততা ও ম্যাচুরিটিতে আসলেই ইম্প্রেসড হয়েছে সে। ওকে একটা চান্স দেওয়া মন্দ হবেনা হয়তো, এসব ব্যাপারে ভাবতে ভাবতেই গাড়ির কাছে চলে এলো। উদ্দেশ্য এখন বাসায় যাওয়া!
______________________
পূর্ণর অপেক্ষায় প্রহর গুনতে গুনতেই তিনি চলে এলেন বাসায়৷ রুমে প্রবেশ করতেই তাকে দেখে উৎফুল্লচিত্তে এগিয়ে গেলাম। আসার সময় রাস্তায় আমার পীড়াপীড়িতে ফোন স্পিকারে রেখে ড্রাইভ করতে করতেই তিনি আমাকে বলেছেন কি কি কথা হয়েছে তার ও রায়হান ভাইয়ের মাঝে, যদিও সবকিছু বলেন নি তবুও যেটুক শুনা দরকার ছিলো তা জেনেই বেশ খুশি আমি! তার হাত থেকে অফিসের ব্যাগটা রেখেই খুশিমনে তাকে জড়িয়ে ধরলাম। তৎক্ষণাত তার আওয়াজ,
—এত খুশি কেন তুমি হুম? আমি চলে যাচ্ছি দেখে খুশি হচ্ছো নাকি? এ কয়দিন তোমায় কেউ জ্বালাবেনা, পড়তে বলবেনা।
উনার কথায় এতক্ষণের খুশি উবে গিয়ে মনে ভর করলো উদাসীনতা। কথাটা উনি কৌতুকের ছলে বললেও তিনি একটু পর চলে যাবেন শুনে বিষাদে ভরে উঠলো অন্তর। তাকে ছেড়ে দিয়ে নিচু স্বরে বললাম,
—যান ফ্রেশ হয়ে নিন। বেশিক্ষণ নেই তো আপনার ফ্লাইটের। রেডি হয়ে বের হতে হবে! আমি আপনার ব্যাগ গুছিয়ে রেখেছি।
আমি তাকে ছাড়লেও উনি ছাড়লেন না। উপরন্তু আমার মনের মধ্যে বহমান অনুভূতিগুলো টের পেয়ে আরেকটু কাছে টেনে নিলেন। থুতনিতে এক হাত রেখে মুখটা তুলে নরম গলায় বললেন,
—মন খারাপ করেনা, তুর পাখি। আমি তো মজা করছিলাম। তুমি এভাবে থাকলে কি ওখানে যেয়ে আমি শান্তিতে কাজ করতে পারবো, বলো?
তার কথায় মাথা নাড়িয়ে জোরপূর্বক হালকা হাসার চেস্টা করলাম। উনিও “গুড গার্ল” বলে আমার গাল টেনে দিয়ে চলে গেলেন ফ্রেশ হতে।
রেডি হয়ে বাসার সবার থেকে বিদায় নিয়ে গাড়ির কাছে চলে গেলেন পূর্ণ। তার পিছন পিছন গেলাম আমিও। বিষন্ন মনে জড়িয়ে ধরে বিদায় জানালাম তাকে। ব্যাগ গাড়িতে তুলে উনি নিজেও গাড়িতে উঠলেন। তা দেখে বাড়ির ভেতর চলে আসছিলাম। হঠাৎ উনি পেছন থেকে ডাকতেই পেছন ফিরলাম।
—তুরফা?
—হু!
—এদিকে এসো৷
তার কথায় তড়িঘড়ি করে গাড়ির কাছে গেলাম।
—কিছু বলবেন? ইম্পোর্টেন্ট কিছু ছাড়া পড়েছে নাকি? নিয়ে আসবো?
—ছাড়া পড়েছে তো। তোমাকেই রেখে যাচ্ছি। এর চেয়ে ইম্পোর্টেন্ট কিছু আছে আমার কাছে? নিজের খেয়াল রেখো তুমি তাহলেই হবে।
উনার কথায় আবগে চোখ দুটো টলমল করে উঠলো। তবুও মেকি রাগ দেখিয়ে মুখে বললাম,
—দেরি হয়ে যাচ্ছে না? দেখেশুনে যান। ফি আমানিল্লাহ!
—আই ইউল মিস ইউ, বউ।
—আমিও। আল্লাহ হাফেজ।
মলিন হেসে বলতেই মাথা নেড়ে গাড়ির কাচ তুলে দিলেন তিনি। চলে গেলেন এয়ারপোর্টের উদ্দেশ্য!
_____________________
তিনদিন পেরিয়ে গেলো চোখের পলকে। এ কয়দিন পূর্ণর সাথে কথা বলার সময়টুকু বাদে বাকি সময় পড়াশুনায় ডুবে থেকেই কাটিয়েছি একপ্রকার। কাল বিকেলে তার ফেরার কথা! আজ সকালে প্রিয়া বায়না ধরেছে মার্কেট যাবে। বড়াম্মু বাসায় একা থাকবেন তাই রাইসা থেকে গেলো তার সাথে। আমি বেশ কয়দিন বাইরে বের হইনি তাই অগত্যা প্রিয়ার সাথে যেতে হলো আমায়! দুজন মিলে ঘুরেফিরে শপিং শেষ করে বাইরেই লাঞ্চ সারলাম। সবমিলিয়ে বিকেল হয়ে এলো প্রায়। রেস্টুরেন্টের বাহিরে এসে গাড়ির অপেক্ষায় দুজন দাঁড়িয়ে আছি এমন সময় আমার ফোনে কল এলো। স্ক্রিনে তার নাম দেখে দুস্টু হেসে আমার থেকে ফোনটা কেড়ে নিলো প্রিয়া। ফোন কানে নিয়েই কিছু একটা বলতে যেয়ে থেমে গেলো সে, চুপ করে শুনতে লাগলো পূর্ণর কথা! কৌতুহলী দৃষ্টিতে সেদিক চেয়ে রইলাম, খেয়াল করলাম প্রিয়ার মুখশ্রী ধীরে ধীরে ফ্যাকাশে হয়ে আসছে! ওকে চুপ থাকতে দেখে বারকয়েক ঝাকালাম আমি, জিজ্ঞেস করলাম কি হয়েছে?
আমাকে আকাশ পরিমাণ অবাক করে দিয়ে হঠাৎ করেই বিকট শব্দে ডুকরে কেদে উঠলো প্রিয়া। চিন্তায় অস্থিরতায় ঘাবড়ে গিয়ে ফোনটা ওর হাত থেকে কেড়ে নিয়ে কানে লাগাতেই অপরপাশে অন্য এক লোকের আওয়াজ ভেসে এলো কানে,
—হ্যালো, ম্যাম শুনছেন? উনাকে সিটি হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ আপনি তাকে চিনলে প্লিজ চলে আসুন এখানে…
—ভাই, আপনি কে? কি বলছেন আমি কিছুই বুঝতে পাচ্ছিনা। আমার স্বামী কোথায়? উনার ফোন আপনার কাছে এলো কিভাবে? প্লিজ বলবেন?
—এটা যার ফোন তার গাড়ির এক্সিডেন্ট হয়েছে ম্যাম, আপনার নাম্বার কলার লিস্টের প্রথমে ছিলো তাই ফোন দিয়েছি৷ জলদি আসার চেস্টা করুন, অবস্থা খুব একটা ভালো না…
ব্যাস! আর কিছু শুনার শক্তি অবশিষ্ট রইলোনা ভেতরে! মন-মস্তিষ্ক দুটোই যেন অবশ হয়ে এলো ক্রমাগত! মনে হলো যেন পৃথিবী ঘুরছে আমার! যে পৃথিবীতে আমার পূর্ণ ভালো নেই, সে নিষ্ঠুর পৃথিবীতে কি আমি ঠিক থাকতে পারি?
চলবে…………….