®রোজা রহমান
‘
শিশির ঘরে এসে একেবারে গোসল করে নিল। আজ কয়টাদিন খুবই ধকল গেছে। চিন্তা করতে করতে কিছুই ঠিকমতো করা হয়নি। নাওয়া খাওয়া সব এক করেছিল। আজ সময় নিয়ে শাওয়ার নিয়ে কালো টাউজার পড়ে বের হলো। শরীরে কিছু নেই। ভেজা চুল ভালো করে মুছতে মুছতে বিছানার কাছে এগিয়ে গেল। বিছানার উপর প্যাকেট দু’টো রেখে গোসলে গেছিল সে।
একটা প্যাকেট থেকে একটা আকাশি রঙের কলার ওয়ালা টি-শার্ট বের করল। সেখানে তিনটা টি-শার্ট আছে। একটা কালো অন্যটা গোল গলা এ্যাশ কালার। কালোটার ভি গলা। বেশ সুন্দর। তাই এখন না পড়ে রেখে দিল। এ্যাশ কালারটা হিমেলের জন্য এনেছে। সেটা আলাদা করে রাখল। অন্য প্যাকেটের মধ্যে দুইটা জেন্টস পারফিউম। ব্র্যান্ডের নাম ডানভির (হ্যামিল্টন ব্লু ডিওডোরেন্ট জেন্টস পারফিউম) অন্যটা স্পাইসবম্ব ভিক্টর অ্যান্ড রলফ জেন্টস পারফিউম। দ্বিতীয়টা হিমেলের জন্য এনেছে। সে জিনিস কিনলে হিমেলের জন্যেও আনে। তাই নিয়ম মাফিক আজও এনেছে৷ হিমের জন্য আনা টি-শার্ট ও পারফিউম আলাদা করে রাখল বিছানার পাশে৷ হিম আসলে দেবে৷
ঘাড়ের উপর থেকে তোয়ালে রেখে টি-শার্ট এবং পারফিউম টা নিয়ে মিররের সামনে দাঁড়াল৷ পারফিউমটা রেখে টি-শার্টটা পড়তে গিয়ে হঠাৎ থমকে গেল। মিররের প্রতিবিম্বতে নিজের বাম পাশের বুকের কাছটায় চোখ আটকে গেল। কামড়ের দেয়া কয়েকটা দাঁতের দাগ বসে আছে। কালোও হয়ে আছে। তা স্পষ্ট দৃশ্যমান হলো। এখানে কখনো কিছু লাগায় নি সে। আসলে সুযোগ হয়ে ওঠে নি তাছাড়া মনেও থাকে না৷
ডান হাতটা তুলে মিরের দিকে তাকিয়েই বাম পাশের সেই ক্ষত স্থানটায় হাতের আঙুল ছোঁয়াল আলতো করে। শরীর শিরশির করে উঠল তৎক্ষনাৎ। সম্পূর্ণ ঘটনা মনে উঠতেই কেমন জানি শরীর শিরশিরিয়ে উঠে মাথায় গিয়ে বাড়ি দিল চোখ বন্ধ করে নিল সাথে সাথে। একটা প্রাপ্ত বয়স্ক নারীর কামড় শরীরে! যেটা ভাবতেই শিরশিরে অনুভূতি দিচ্ছে শরীরে। এ কী অনুভূতি!! মাথা চক্কর দিল। এমন অনুভূতি কখনো হয় না। তাছাড়া মেয়েটার কামড় ছোট থেকে সে অনেকবারই পেয়েছে।
পিঠেও কামড়েছিল কুয়াশা ক্লাস ফাইভে থাকতে। ছোট ছোট ধারালো দাঁত বসিয়ে দিয়েছিল। রক্ত বের হয়েছিল। সেই দাগ কী আছে এখনো? কখনো দেখা হয়নি আজ দেখতে ইচ্ছে করছে। ভাবতেই ঘুরল পিছন মুখো কিন্তু চোখে পড়ল না৷ অদৃশ্য জায়গায় কামড়টা। সেখানে দেখতে না পেয়ে আবার মিরর মুখো ঘুরে দুই হাত সামনের উপর মেলে ধরল৷ হাজারো, অসংখ্য আঁচড়, খামচি, কামড় দেয়া দাগ দৃশ্যমান হলো৷ ভাগ্যিস লোমের জন্য খুববেশি ধরা যায় না! নয়তো কী একটা পরিস্থিতির শিকার হতো সে বাইরে!! কিছুক্ষণ খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে এপাশ ওপাশ দেখে একসময় অজান্তেই দাঁত বের করে শব্দহীন হেসে দিল সে।
কীরকম পাগলামি করে তারা ভাবা যায়? আগে যেমন তেমন এখনো ছাড়তে পারে না। ভাবতেই আরো হাসি পেল। ভালোই লাগে বেশ ঝগড়া মা-রা মা-রি করতে। বাড়িতে নিরব থাকার চেয়ে এই কাজটাই ব্যাটার৷ তাছাড়া গোবর ঠাঁসাও অযথা লাগতে আসে সেই জন্যই আরো বাঁধে। কিছুক্ষণ ভেবে টি-শার্ট পড়ে নিল। নিউ পারফিউমটা চিবুকের নিচে গলার দুই পাশে স্প্রে করল৷ ট্রায়াল দেয়ার জন্য। সুগন্ধটা দারুণ। অবশ্য কেনার সময় চেক দিয়ে এনেছে তবুও এখন ফ্রেশ স্মেল পাওয়া গেল। ভেবে নিয়ে রেখে দিল৷ এরপর গিয়ে শুয়ে পরল৷ ক্লান্ত লাগছে৷ দুপুরে রেস্টুরেন্ট থেকে খেয়ে এসেছে। এখন একটু ঘুমিয়ে নেয়া যাক। ভেবে চোখ বন্ধ করল। কিছুক্ষণের মাঝে ঘুমও আপনাআপনি ধরা দিল।
‘
এদিকে কুয়াশা ভাবিদের সাথে খাওয়া দাওয়া করে কিছুক্ষণ গল্প করল৷ মায়েরা সকলে ঘুম গেছেন। কুয়াশা উপরের নাম করে উঠে এলো। উদ্দেশ্য তার শিশিরের হাতের ঐ দুইটা প্যাকেটে কী আছে তা দেখা৷ কী আছে অতে! তেমনকিছু হলে তো বুনো ওল আর পাচ্ছে না। কারণ সেগুলো তার নামে হবে। আহ!! ভেবেই খুশি খুশি লাগছে৷ ভাবতে ভাবতে শিশিরের ঘরের কাছে গেল। ঘর দিনে ভিড়ানো থাকে শিশিরের। তাই কসরত করতে হলো না৷
চুপিচুপি শব্দহীন পায়ে ভেতরে ঢুকে উঁকি দিল৷ দেখল শিশির উপর হয়ে ঘুমচ্ছে। ঘরে ঢুকতেই সুন্দর একটা সুগন্ধির ঘ্রাণ নাকে এসে বাড়ি দিল। মাতাল করা সেই ঘ্রাণ। আরে বাহ, বুনো ওল নিউ পারফিউম কিনে এনেছে! ভাবতেই বিছানার উপর চোখ গেল। মুখে হাসি ফুটিয়ে ধীর পায়ে কাঙ্ক্ষিত জায়গায় গিয়ে দাঁড়াল। দেখল দুইটা টি-শার্ট, একটা পারফিউম। ঘুমের আলসেমিতে তুলেও রাখেনি শিশির। টি-শার্ট দুইটা চেক করে দেখল এ্যাশ কালারটা হিমের গায়ের আর কালো টা শিশিরের গায়ের৷ অসাধারণ দেখতে। পছন্দ হলো। দুইটায়ই নিয়ে নিল। হিমের জন্য আনাটা তার হবে। হিমের আনাটা পড়তে পারলেও কালোটা পারবে না। কারণ এটার লোগো ছেলেদের অনুযায়ী দেওয়া সাথে ডিজাইনটাও পুরো ছেলেদের জন্যই তৈরি করা৷ পড়তে পারুক আর না পারুক তবুও নিয়ে যাবে৷ এটা নিশ্চয়ই এই বুনো ওলের অনেক পছন্দ করে আনা! আহ এই বুনো ওলের পছন্দ এখন তার কাছে থাকবে! ভাবতেই মনটা নেচে উঠল।
সে টি-শার্ট শুধু রাতে ইউজ করে ঘুমোনোর সময়৷ টি-শার্ট আর প্লাজো পড়ে ঘুমোয়।
এরপর পারফিউমটার মুখ খুলে নাকের কাছে নিল নাহ্ এটা ঘরে পাওয়া সুগন্ধ না। তাই ড্রেসিংটেবিলের সামনে তাকিয়ে দেখল নিউ আরেকটা পারফিউম। সেখানে চুপিচুপি গিয়ে ব্র্যান্ডের নাম দেখল দু’টোই জেন্টস পারফিউম। তাতে কী? গন্ধ শুঁকে বুঝল এটাই সেটা৷ তাই ওটা নিয়ে হাতেরটা আবার বিছানার কাছে এসে রেখে দিল। টি-শার্ট দু’টো নিয়ে একটা বাঁকা হাসি দিল। শিশিরের দিকে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করল তার মুখটা৷ কিঞ্চিৎ পরিমাণ দেখতে পেল। আবার বাঁকা হাসি দিয়ে সেগুলো নিয়ে হাঁটা ধরল।
‘
সন্ধ্যার আগে ঘুম ভেঙে গেল শিশিরের। এখন এক কাপ কফি খেয়ে বাহিরে যাবে। তাই ভেবে ঘর থেকে বের হলো। মাকে কোথাও দেখতে না পেয়ে বৃষ্টিকে বলে এলো। এসে বাথরুম ঢুকে ফ্রেশ হয়ে এলো। বিছানার উপর চোখ গেল। সেখানে শুধু পারফিউম পড়ে আছে টিশার্ট নেই! গেল কোথায়? ভাবতেই তৎক্ষনাৎ মিররের সামনে তাকাল। যা বুঝার বুঝে গেছে সে। মেজাজটা এই ভর সন্ধ্যায় বিগ্রে দিল ঐ গোবর ঠাঁসাটা। এত বেছে বেছে কিনে আনল আর সব কিনা ঐ গোবর ঠাঁসার কব্জাতে? কেস জিৎতে পেরে আনন্দে সে কেনাকাটা করল আর সেগুলো সব নিয়ে গেছে। বেয়াদবটা জেন্টস টিশার্ট, পারফিউম কি করবে?
ভেবে বড় বড় পায়ে বের হলো। উদ্দেশ্য কুয়াশার ঘর৷
কুয়াশা ঘরের দরজা আটকে রেখেছে কী চালাক! ভাবা যায়? ভেবেই নক করতে লাগল কথা না বলে। কুয়াশা খুলতেই দিল এক রাম ধমক। বলল,
” এ্যাই গোবর ঠাঁসা..! তুই আমার পারফিউম, টিশার্ট কেন চুরি করে এনেছিস? ”
” এ্যাই বুনো ওল, আমি চুরি কেন করব? ভালো লেগেছে তাই নিয়ে এসেছি ”
বলে মুখ বাঁকিয়ে দরজার সামনে থেকে চলে গেল ভেতরে। শিশির মেজাজ নিয়ে ভেতরে ঢুকে বলল,
” স্বাধে কী আর বলি গোবর ঠাঁসা? এ্যাই তোর চোখ নেই ওগুলো জেন্টস পারফিউম, টিশার্ট? তুই কি করবি ওগুলো নিয়ে? ”
” তাতে আমার কী? এখন মেয়েরা ছেলেদের সব ইউজ করতে পারে। সেখানে পারফিউম না কেন? যাহ্ তো এখান থেকে জ্বালাস না। ”
” বেয়াদব ভালো মেয়ের মতো দিয়ে দে নয়তো চুল একটাও রাখব না সাথে গাল লাল হবে ”
” আমি বসে থাকব ভেবেছিস? ”
শিশির তর্ক করা দেখে রেগে উঠল দ্বিগুণ। এরে কখনো লাই দেয়া যাবে না। নয়তো পাড় পেয়ে যায়৷ কয়দিন কিছু না বলে সাহস দ্বিগুণ হয়েছে। ভেবে কুয়াশার কাছে বিদ্যুৎ বেগে গিয়ে এক হাতে কুয়াশার হাত চেপে ধরে অন্য হাতে চুল ধরল। চুল খোলা ছিল কুয়াশার সুযোগ পেয়ে ছাড়ল না। হাত ধরেছে যাতে সে উল্টে না ধরতে পারে৷ কুয়াশা এক হাত ছাড়া ছিল সেটা শিশিরের ধরা চুলের মুঠোর উপর দিয়ে ছাড়ানোর চেষ্টা করতে লাগল৷ কুয়াশা ‘আহ’ করে উঠেছে ব্যথায়। শিশির বলল,
” এবার দেখা গায়ের জোর, মুখের জোর! তোর সাথে ভালো ব্যবহার করা যাবেই না৷ তুই ভালো ব্যবহারের বান্দা না। এখন ওগুলো দে। তোর জন্য আনি নি আমি। আমার খেয়ে দেয়ে কাজ নেই তোর জন্য জিনিস কিনব। অত সস্তা আমি না ”
” ছাড় বলছি বুনো ওল, লাগছে আমার। দেব না আমি ”
আরো জোরে ধরল শিশির। কুয়াশার চোখে ইতোমধ্যে পানি চলে এসেছে। সে ব্যথা পেয়ে এবার শিশিরের টি-শার্টের কলার চেপে ধরল বুকের কাছের। টেনে ছিঁড়ে ফেলার মতো করে ধরল। শিশির সেদিকে দেখে নিয়ে কিছু বলতে যাবে এরই মাঝে সেখানে সোরগোল শুনে একে একে নীহাররা আসল। এমন দেখে নীহার, আর তুষার ছাড়াল। তুষার দুজনকে রাম ধমক দিয়ে থামাল। বলল,
” বেয়াদবির একটা সীমা থাকে। দশে পাঁচে একদিন এগুলো ভালো লাগে। রোজ রোজ এ কী শুরু করিস তোরা?
নীহার জিজ্ঞেস করল,’ কি হয়েছে? ‘ শিশির সব বললে হিমেল বলল,
” বুবু তোর এটা আমারও পছন্দ না। তুই কেন ছেলেদের জিনিসে হস্তক্ষেপ করিস? পড়িস তো না। ”
” ভাই কী চামচি, চুপ থাক নয়তো চুল একটাও রাখব না”
নীহার বলল,
” কুশু ওগুলো ছেলেদের। দিয়ে দে আমি তোকে এনে দেব সব। ”
” পারব না৷ আমার পছন্দ হয়েছে এগুলোই। ”
তুষার বলল,
” কুশু কথা শোন৷ দিয়ে দে। ”
কুয়াশা কান্না ভেজা চোখ, কন্ঠ নিয়ে বলল,
” তোমরা সকলে ঐ বুনো ওলের পক্ষ নিচ্ছ। আমাকে ভালোবাসার মতো কেউ নেই। “
বলে টিশার্ট দুটো এনে দিয়ে দিল কিন্তু পারফিউমটা দিল না। শিশির সেটার কথা বললে বলল,
” ওটা দিতে পারব না৷ ওটার স্মেল আমার পছন্দ হয়েছে। “
শিশির দাঁতে দাঁত চেপে কিছু বলতে যাবে তারআগে তুষার বলল,
” ছেড়ে দে। অন্য একটা কিনে নিস৷ পছন্দ হয়েছে রাখুক। ”
শিশির আর কথা বলতে পারল না৷ দুই ভ্রু কুঁচকে কপালে ভাজ ফেলে কুয়াশার দিকে তাকিয়ে রাগের পরিমাণটা বুঝিয়ে দিল। কুয়াশা পাত্তাও দিল না। শিশির হিমকে তার টিশার্টটা দিয়ে চলে গেল।
______
সকাল সাতটা। শুক্রবার। জাহিদ মালিথা গতকাল রাতে বাড়িতে এসেছেন৷ দুই ভাই এবং তুষার, তুহিন বসে চা, কফি খাচ্ছে। কথার মাঝে জাহিদ মালিথা বললেন,
” তুষার, গ্যাংটার খোঁজ পেয়েছিস? ”
” না চাচু, ফর্স নিয়ে খোঁজ চালাচ্ছি। ইনশাআল্লাহ সকলকে উদ্ধার করতে পারব। ”
” আমি ভাবতেও পারি নি এতগুলো বছর পরে আবারও উঠে পরে লাগবে। এখন পাবনা থেকে কুষ্টিয়াতে এসেছে। ”
” এদের গ্যাং অনেক জায়গায় চাচু। ঢাকাতে অদের আসল ডেরা৷ সেখান থেকে ওরা বিভিন্ন জেলায় কাজ চালায়। আর অদের দেশ ছাড়া বিদেশেও ব্যবসা আছে।”
” আট বছর আগে পাবনা থেকে আটক করা হয়েছিল। কিন্তু সেখান থেকে কিছুই জানা যায় নি৷ তখন অদের গ্যাং ছোট ছিল। আর যে মেইন তাকে খোঁজ করেও পাওয়া যায় নি। তাই ক্লোজ করা হয়েছিল। এখন বিভিন্ন জেলায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। ”
উপস্থিত জাকির মালিথা বললেন,
” সাংঘাতিক। না জানি কত বাবা-মা সন্তান হারাচ্ছে ”
” হ্যাঁ ভাই ”
সকলে দীর্ঘ শ্বাস ফেলল৷ দেশে শান্তি নেই।
_______
শনিবার। দুপুর চারটা বেজে গেছে কিন্তু কুয়াশা এখনো বাড়ি ফিরেনি৷ আজমীরা খুবই চিন্তায় পড়ে গেছেন। মেয়ে তার কোথাও যায় না৷ বান্ধবী বলতে ঈশা, স্মৃতি। স্মৃতির বাসায় গেলে তো ফোন করে জানিয়ে দিত। ঈশা গেছিল কিনা কলেজে সেটা ইয়াসমিন কল করে জিজ্ঞেস করাতে বলেছে সে আজ যায় নি। তাই বলতে পারছে না। এখন বাকি থাকল স্মৃতি তার নাম্বার কারো কাছে নেই৷ তাই কল দিতে পারছে না৷ বৃষ্টি নিয়েছিল বিয়ের মধ্যে কিন্তু সেভ না করাতে খুঁজে পেল না৷ বাড়িতে কোনো পুরুষ নেই৷ কেউ এখনো আসেনি৷ আম্বিয়া দুপুরে এসে সব শুনে সকলেই চিন্তায় পড়েছে৷ মেয়েটা গেল কোথায়!!
হঠাৎ ইয়াসমিন বলল ঈশার কাছে স্মৃতির নাম্বার থাকবেই ওর থেকে নিচ্ছে। কথা অনুযায়ী স্মৃতির নাম্বার নিল। কিন্তু স্মৃতি জানাল কুয়াশা দুপুর দুটোতেই চলে গেছে। তারা একসাথেই বের হয়েছিল। এই কথা শুনে আজমীরা সহ সকলের হাত পা ঠান্ডা হয়ে এলো। মেয়েটার যাবার মতো কোনো জায়গা নেই তবে গেল কোথায়? সকলের মুখ চুপসে গেছে। তৎক্ষনাৎ ইয়াসমিন, বৃষ্টি তুহিন, তুষারদের ফোন করে সব জানাল। সব শুনে ভাইয়েরা দিশেহারা হয়ে উঠল৷ কারণ তাদের বোন সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছে তবুও বাড়ি ফেরে নি!!
| চলবে |
বুনো ওল বাঘা তেতুল গল্পের লিংক ( all part ) click
কয়েক পর্বের পরেই কিছু একটা হতে চলেছে।