এক মুঠো কাঁচের চুরি
পর্ব ২৭
লেখিকা_Fabiha_bushra_nimu
আপনার লজ্জা শরম বলতে কিছু নেই।দু’দিন পরে করবেন বিয়ে,আপনি আবার আমার ননদের কাছে ফোন দিয়ে ছিলেন।কোন সাহসে চৈতালির কাছে ফোন দিয়ে ছিলেন।মেয়েটাকে তো’ অর্ধেক মেরেই ফেলছেন।এখন পুরোটা মেরে ফেলবেন।
–আরে তানহু পাখি যে,আমার রুমে এসেছিস।ভেতরে আয় বাহিরে দাঁড়িয়ে আছিস কেনো?
–আপনার সাথে আমি গল্প করতে আসি নাই।আর একবার যদি চৈতালিকে ফোন দিয়েছেন।ফলাফল ভালো হবে না।
–আমি যদি চৈতালিকে এখনই ফোন দিয়ে আসতে বলি।তাহলে চৈতালি এখনই চলে আসবে।
–কোনোদিন আসবে না।চৈতালির আত্মসন্মান আছে।
আবির তানহার কাছে এগিয়ে আসলো।তানহার হাতের দিকে তাকিয়ে বলল।
–দেখতে চাস।তোর হাতে কিসের কাগজ রে’।
–সব কৈফিয়ত কি তোমাকে দিতে হবে।
–আচ্ছা তুই আমার সাথে সব সময় রেগে রেগে কথা বলিস কেনো?
তানহা কোনো উওর না দিয়ে চলে যেতে লাগলে,আবির তানহার সামনে এসে দাঁড়ালো।
–এভাবে অসভ্যের মতো সামনে এসে দাঁড়িয়েছো কেনো?
–কাগজটা আমার হাতে না দিলে,যেতে দিব না।তোকে ইচ্ছে করে চৈতালির কথা বলেছি।কারন তুই রেগে আমার রুমে চলে আসবি।এখন লক্ষি মেয়ের মতো আমাকে কাগজটা ফিরিয়ে দে’।
–দিব না।বলেই কাগজটা নিজের পেছনে লুকালো।তানহা চলে যেতে লাগলে,আবার বারবার পথ আঁটকে দাঁড়িয়ে পড়ছে।তানহা দরজার সাথে একদম মিশে গিয়েছে।এক হাত উঁচু করে কাগজটা ধরে আছে।আবির তানহার হাত ছুঁইতে যাবে।তখনই একজোড়া শক্ত হাত এসে আবিরের হাত পেচিয়ে ধরলো।আবির ব্যথায় মৃদু আর্তনাদ করে উঠলো।
–বলে ছিলাম না।এই হাত যদি দ্বিতীয় বার তানহার দিকে উঠে,তাহলে তোর হাত আমি ভেঙে দিব।সাহস কি করে হয়।তানহার দিকে হাত বাড়ানোর।
–ইফাদ লাগছে।হাতটা ছাড়ো।আমি তোমার বয়সে বড় হই।তুই করে কথা বলছো কেনো?এটা তোমার কেমন শিক্ষা।তুমি সবটা না জেনে আমাকে ভুল বুঝছো।
–কোনটা সঠিক আর কোনটা ভুল তা’ বোঝার বয়স আমার হয়েছে।আপনি কোন সাহসে তানহার গায়ে হাত দিতে যাচ্ছিলেন।
–আচ্ছা আমার ভুল হয়ে গেছে।আমাকে মাফ করে দাও।আমি আর কখনো এমন করবো না।শেষ বারের মতো মাফ করে দাও।
–আপনি চৈতালির কাছে কেনো ফোন দিয়ে ছিলেন।দু’দিন পরে আপনার বিয়ে,আপনি নিজের বিয়েতে ফোকাস করুন।আমার বোনের মাথা নষ্ট করে দিচ্ছেন কেনো?আবির ভাই আমার ধৈর্যের পরীক্ষা নিয়েন না।
–হাতটা ছাড়ো ইফাদ সত্যি অনেক ব্যথা লাগছে।আমি আর সহ্য করতে পারছি না।
–আপনি এতটুকুতেই ক্লান্ত হয়ে গেলেন।আমি তো’ আমার স্ত্রীকে সবার সামনে অপমানিত হতে দেখেছি।ভরা রাস্তায় আমার স্ত্রীরর শরীরে আঘাত করেছেন।আমি কিছু করতে পারি নাই।আমার ছোট বোনটার মন নিয়ে খেলা করেছেন।তার চোখের পানি ঝরিয়েছেন।একটা কথা মনে রাখবেন।ক্ষমার অযোগ্য কাউকে ক্ষমা করে দিয়ে,তার দিকে পেছনে ফিরে না তাকানোই হবে শ্রেষ্ঠ প্রতিশোধ।আবির ভাই যে,কাঁদায় না,সময়ের ব্যবধানে সে,নিজেও কাঁদে অপেক্ষা শুধু সময়ের।বলেই আবিরের হাত ছেড়ে দিল।হাতটা ছাড়া পেয়ে আবিরের মনে হলো জান হাতে পেয়েছে।ইফাদ তানহার দিকে ক্রোধিত দৃষ্টি নিক্ষেপ করল।
–তোমার কি কাজ।তুমি কেনো আবির ভাইয়ের রুমে এসেছো।
–আমি আসলে,,
–আমি তোমাকে কিছু একটা বলে ছিলাম।আমার কথাটা রাখলে না।রুমে এসো কথা আছে।বলেই রুমে চলে গেল ইফাদ।তানহা এক প্রকার দৌড়ে রুমের দিকে গেল।আবির দু’জনের কাজকর্ম পর্যবেক্ষণ করে নিল।তারপরে নিজের রুমে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দিল।
তানহা রুমে আসতেই বিনা মেঘে বজ্রপাত হলো।ইফাদের একটা ধমকে কেঁপে উঠলো তানহার সারা শরীর।মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে আছে তানহা।
–এই তোমাকে বলে ছিলাম না।তুমি আবিরের থেকে দূরে দূরে থাকবে।কেনো গিয়েছো আবিরের রুমে,আজকাল আমার কথার কোনো মূল্য নেই দেখছি,এতটাই মূল্যহীন হয়ে গেলাম।এতই যখন দরকার ছিল।আমি আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারতে,কি এমন দরকার ছিল,যে আমাকে না বলেই তোমাকে যেতে হলো।
–আপনি যাবার পরে আবির ভাই আমার রুমে এসেছিল।আবির ভাই চৈতালির কাছে একটা কাগজ দিয়েছিল।আমি সেটা চৈতালির রুম গোছাতে গিয়ে পেয়েছি।আবির ভাই কাগজটা নিতে আসছিল।চেয়েছে আমি বলেছি নাই।পরে বলল চৈতালির থেকে জেনেছি তোর কাছে আছে।তাই রাগ করে অপমান করতে গিয়ে ছিলাম।
তানহার কথায় ইফাদ ভ্রু কুঁচকে তাকালো।তারপরে গম্ভীর কণ্ঠে বলল।
–তোমাকে কেউ বলেছিল আবিরকে অপমান করতে,আমি চৈতালির ভাই।চৈতালি আমার কলিজার টুকরার বোন।যে,আবির তোমাকে কষ্ট দিল।আমার বোনকে কাঁদাল।আমি নাচতে নাচতে তার বিয়েতে চলে এলাম।তুমি কি মনে করেছো।আমি খুশি হয়ে বিয়েতে এসেছি।আমি চাই আবির বিয়েটা করুক।চৈতালি মানুষ চিনতে শিখুক।কেমন মানুষকে সে, ভালোবেসেছে,সেটা নিজে অনুভব করুক।এখন চৈতালিকে কেউ কিছু বোঝালে,তা’ চৈতালির মস্তিস্ক পর্যন্ত পৌঁছাবে না।আবির যেটা করবে,সেই চৈতালির মনে,মস্তিষ্কে পৌঁছে যাবে।আবিরের বিয়েটা যেনো তাড়াতাড়ি হয়ে যায়।চৈতালির নিজের ভুলটা অনুভব করার জন্য হলে-ও আবিরের বিয়ে হওয়াটা খুবই জরুরী।মানুষ কিন্তু ভুল থেকেই শিক্ষা নেয়।আবির তোমার ভাই।তোমার রক্ত।তার জন্য তোমার মায়া হতে পারে।ভেতর থেকে টান অনুভব করতেই পারো।তার সবকিছু ভুলে তাকে মাফ করে দিতেই পারো।একটা কথা মনে রেখো তানহা। আবির কিন্তু আমার কেউ হয় না।ওকে দু’চারটা লাগিয়ে দিতে,আমার হাত একবার-ও কাঁপবে না।
–ওভাবে সংয়ের মতো দাঁড়িয়ে আছো কেনো?কাছে এসে শার্টটা খুলে দাও।তোয়ালে নিয়ে এসো।জামাকাপড় বের করো।গোসল করতে যাব।প্রচন্ড ক্ষুদা লেগেছে খাবার নিয়ে এসো।
ইফাদ কথাগুলো বলতে দেরি করলে-ও তানহা কাজ গুলো করতে দেরি করল না।ইফাদের শার্ট খুলে দিয়ে,ব্যাগ থেকে তোয়ালে আর জামাকাপড় বের করে ইফাদের হাতে দিল।
–বলছিলাম কি’ সন্ধ্যা করে গোসল না দিলে হয় না।আবহাওয়া ভালো না।যদি ঠান্ডা লেগে যায়।
ইফাদ গম্ভীর মুখে তানহার দিকে তাকালো।
–আচ্ছা আপনি গোসল দেন।আমি আপনার জন্য খাবার নিয়ে আসছি।বলেই রুম থেকে চলে গেল তানহা।ইফাদ গোসল করতে চলে গেল।
ইফাদ খাচ্ছে,তানহা চুপচাপ পাশে বসে আছে।মুখ দিয়ে টুঁশব্দ-ও করছে না।ইফাদের খাওয়া শেষ করে,উঠে চলে গেল।তানহা সবকিছু তুলে ফেলল।
রাতে পাশাপাশি দু’জন শুইয়ে আছে।ইফাদ খাওয়ার পরে আর কথা বলে নাই তানহার সাথে।ইফাদ মনযোগ সহকারে ফোনে,কিছু একটা দেখছে।তানহা উসখুস করছে,কিভাবে ইফাদের সাথে কথা বলবে।ইফাদ রাগ করে মাঝখানে আবার কোলবালিশ রেখে দিয়েছে।তানহা কোলবালিশটা আস্তে করে সরিয়ে দিল।পরম আদুরে ভাবে ইফাদকে জড়িয়ে ধরলো।ইফাদের কোনো হেলদোল নেই।আগের ন্যায় ফোনের দিকে তাকিয়ে আছে।
–আমি আর এমন করবো না।আপনার সব কথা মেনে চলবো।আপনি রাগ করে থাকবেন না।আপনি রাগ করলে আমার কোনোকিছু ভালো লাগে না।
ইফাদের থেকে কোনো উওর আসলো না।তানহা অনেক গুলো কথা বলল।ফলাফল শূন্য।তানহা রাগ করে ইফাদের হাতে কামড় বসিয়ে দিল।ইফাদ তড়িঘড়ি করে তানহার দিকে ঘুরলো।
–এভাবে বিড়ালের মতো কামড়াচ্ছ কেনো?
–আমি বিড়ালই আপনার বিড়াল।আপনি আমার জামাই বিড়াল।আমি ছোট বিড়াল।আপনি বড় বিড়াল।বড় বিড়াল রাগ করেছে।তাই ছোট বিড়াল কামড়ে রাগ ভাঙাচ্ছে।
–ফাজলামির একটা সীমা থাকে,অনেক রাত হয়েছে ঘুমাও।
–আচ্ছা ঘুমোতে পারি।আমাকে একটা বিড়ালের বাচ্চা এনে দিতে হবে।জানেন আমার একটা বিড়ালের বাচ্চা ছিল।তাকে আমি খুব ভালো বাসতাম।কিন্তু চাচি তাকে বস্তায় করে বিলের মধ্যে ফেলে দিয়ে আসছিল।আমি সারাদিন না খেয়ে ছিলাম।অনেক দিন বিড়ালটার জন্য কান্না করছি।আপনি তো’ আমার সাথে কথা বলবেন না।আমাকে একটা বিড়ালের বাচ্চা এনে দিবেন।আমি সারাদিন তাকে নিয়ে থাকবো।
তানহার কথা শুনে ইফাদ তানহার দিকে মনযোগ দিল।স্থির দৃষ্টিতে তানহার দিকে তাকিয়ে আছে।নিরবতা ভেঙে ইফাদ বলল।
–বিড়ালের বাচ্চা না নিয়ে,তুমি নিজে একটা বাচ্চা নিলেই তো’ পারো তানহা।
ইফাদের কথা শুনে,তানহা গোলগাল করে তাকালো।ইফাদ তার দিকে তাকিয়ে আছে দেখে,একহাতে ইফাদের দু-চোখ ধরে রাখলো।লজ্জায় ইফাদের বুকে মুখ লুকালো।
আজকে আবিরের গায়ে হলুদ।পুরো বাড়ি জুড়ে মেহমান গিজগিজ করছে।সবাই যে,যার কাজ নিয়ে ব্যস্ত।বাচ্চারা হৈচৈ করছে।কয়েকজন দৌড়াদৌড়ি করছে।থালাবাসন ধোয়ার ঝনঝন শব্দ ভেসে আসছে।কেউ কেউ সবাইকে খাবার দিতে ব্যস্ত।কেউ বা রান্না করায় ব্যস্ত।পা ফেলার জায়গা নেই এই ছোট বাসায়।হাঁটাচলা করতে একটু কষ্টই হচ্ছে সবার।তানহা ভির ঢেলে এক হাতে খাবার নিয়ে,নিজের রুমে আসলো।ইফাদ বিছানায় বসেছিল।তানহা ক্লান্ত মুখে বলল।
–এই নিন আপনার খাবার।আপনার জন্য খাবার নিয়ে আসতে গিয়ে মনে হলো।দ্বিতীয় যুদ্ধ জয় করে আসলাম।
–তুমি এত কষ্ট করতে গেলে কেনো?আমাকে ডাকতে আমি বাহিরে গিয়ে খেয়ে আসতাম।
–আপনার মাথা খারাপ।বাহিরে তাকিয়ে দেখছেন একবারো।এত মানুষ জনের মধ্যে আপনাকে খেতে দিব।
–তুমি যদি আপনি থেকে তুমি আসতে না পারো।তাহলে আমি’ও বাহিরে গিয়েও খেতে পারবো।
–আপনি সব কথার মধ্যে আপনি আর তুমি নিয়ে চলে আসেন কেনো?
–তা তোমার ভাই কি কাগজ নেওয়ার জন্য তোমার রুমে আসছিল।কাগজটা আমাকে দেখালে না তো’।নাকি আমাকে-ও দেখাবে না।
–ওমা আপনাকে দেখাবো না কেনো?এখনই দেখাচ্ছি বলেই কাগজটা বের করে নিয়ে এসে,ইফাদের দিকে এগিয়ে দিল।ইফাদ কাগজটার দিকে চোখ বুলিয়ে অবাক হয়ে তানহার দিকে তাকালো।এমন ভাবে তাকালো,মনে হয়।আগে কখনো তানহাকে দেখে নাই।ইফাদ দীর্ঘশ্বাস ছেড়ে বলল।
–তাহলে এই তোমার আবিরের ভাইয়ের ভালোবাসা।তাই তো’ বলি ছেলেটা এতটা ভালোবাসে কোনো আমার বউকে,আমি কি কম ভালোবেসে ফেললাম নাকি।তোমার আবির ভাইয়ের নাটক আমার মনকে-ও গলিয়ে ফেলছিল।এই ছিল তোর মনে আবির ভাই।
ইফাদের বোকা বোকা মুখ দেখে তানহা হেসে দিল।তানহাকে হাসতে দেখে ইফাদ বলল।
–তুমি খেয়েছো বউজান।
–আমি খাবার সময় পাই নাই।সময় করে খেয়ে নিব।আপনি খেয়ে প্লেটটা ফাঁকা করে দিন।আজকে প্লেট এখানে ওখানে ফেলে রাখা যাবে না।সেকেন্ডে সেকেন্ড প্লেট লাগছে।চাচিরা প্লেট ধুইয়ে উঠতেই পারছে।এত এত প্লেট এসে জমা হচ্ছে।
–আজকে কাজের দিন।এমন একটু হবেই তুমি আমার পাশে বসো।
–বসার সময় নেই।খাওয়া শেষ হলে,ডাক দিবেন।আমি এসে প্লেট নিয়ে যাব।
–আমি তোমাকে বসতে বলেছি।তুমি আমার ওপরে কথা বলছো।ইফাদের রাগ দেখে বাধ্য মেয়ের মতো বসে পড়ল তানহা।ইফাদ একবার নিজে খাচ্ছে,আরেকবার তানহাকে খাইয়ে দিচ্ছে।
সন্ধ্যায় আবিরের গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান শুরু হলো।সবাই আবিরকে গায়ে হলুদ দিয়ে যাচ্ছে।রোকেয়া বেগম আর চৈতালি আবিরদের বাসায় মধ্যে প্রবেশ করল।বাসার মধ্যে প্রবেশ করতেই প্রথমে চোখে পড়ল আবিরের দিকে।সাদা রংয়ের লুঙ্গি,সাদা রংয়ের সেন্ডো গেঞ্জি,কাঁধে লাল রংয়ের গামছা পড়া।সামনে নানান রকমের মিষ্টি।সবাই আবিরকে হলুদ দিয়ে মিষ্টি খাইয়ে দিচ্ছে।সবাই যে,যা পারছে হলুদ দেওয়ার পরে টাকা দিচ্ছে।আবিরের চোখে-মুখে খুশির রেখা বিদ্যমান।চৈতালির দু-চোখ ছলছল করে উঠলো।নিজকে সামলে নিল।সবার সামনে নিজেকে শক্ত রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে চৈতালি।রোকেয়া বেগম আবিরকে গিয়ে হলুদ লাগিয়ে দিল।চৈতালি ধীর পায়ে আবিরের দিকে এগিয়ে গেল।হাতে কিছুটা হলুদ নিয়ে আবিরের দু’গালে মাখিয়ে দিল।আবির স্থির দৃষ্টিতে চৈতালির দিকে তাকালো।মেয়েটা কেমন জানি হয়ে গেছে।মুখটা মলিন হয়ে আছে।চুলগুলো এলোমেলো।চোখের নিচের কালো দাগ প্রমাণ করে দিচ্ছে,মেয়েটা রাতে ঘুমায় না।দু’জন দু’জনের মুখোমুখি।চৈতালি কি চেয়েছিল।ভাগ্য তাকে কি এনে দিল।আর এক মুহুর্ত দাঁড়াতে পারলো না।আবিরের থেকে দূরে সরে এলো চৈতালি।
চলবে…..