1.Funny Golpo Facebook
আমি যখন ক্লাস নাইনে সাইন্স নিছিলাম তখন ক্লাসমেটদের অনেকেই হাসি ঠাট্টা করছিলো- শুধু একটা ছেলে হাসি তামাশা করে নাই, কারন সেও সাইন্স নিছিলো।
অথচ আজ আমি কোথায় আর যারা সাইন্স নিছিলাম বলে হাসি তামাশা করছিলো তারাই বা কোথায়! তারা বড়জোর হয়তো কোনো প্রাইভেট কম্পানিতে ছোট খাটো চাকরি করে বউ বাচ্চা পালতেছে; এরচেয়ে বেশি কিছু হবে না। কিন্তু আমি? ওরা যে সব কম্পানিতে চাকরি করতেছে ঐরকম কয়েকটা কম্পানির হেড অফিস ওয়ালা আট তলা একটা বাড়ির নিচে টং দোকানে বসে বসে ম্যাচের কাঠি দিয়া দাঁত খুচাইতেছি, যখন সাইন্স নিছিলাম তখনও এই অবস্থাই ছিলো। আর ঐযে যেই ছেলেটা হাসি তামাশা করে নাই- সেই ছেলেটা এখন একজন সফল চা বিক্রেতা, ওর চায়ের খুব ট্যাশ মাইরি।
2.funny jokes family friendly
ফেইসবুকে এক ছেলের সাথে ১ মাস ধরে প্রেম করছি।
ছেলে আর্মি তে আছে,আহা আর্মি মানেই তো সরকারি চাকরি।
আর্মি তে আছে শুনেই অর্ধেক পটে গিয়েছিলাম।সরকারি চাকরি বলে কথা,এই ছেলে হাতছাড়া করা যাবে না।।
মনে মনে তো আমি অনেক খুশি, সরকারি চাকরি ওয়ালা ছেলে বিয়ে করে বন্ধুবান্ধব আর ফ্যামিলির সবাইকে একদম তাক লাগিয়ে দিবো।।
আজকে আমাদের দেখা করার কথা, যেহেতু প্রথমবার দেখা তাই একটু সাজুগুজু করলাম।।
ঠিকানা অনুযায়ী রেস্টুরেন্টে এসে বসে আছি।।
আমি একটু আগেই চলে আসলাম কারন দেরি হলে ছেলে যদি আবার রাগ করে, সরকারি চাকরি বলে কথা কিছুতেই একে রাগানো যাবে না যদি হাতছাড়া হয়ে যায়।।
ছেলেটাকে ছবি তে দেখেছিলাম, দেখতে তেমন একটা খা’রা’প না।।সবই ঠিক কিন্তু দাড়ি নাই,আমার আবার দাঁড়িওয়ালা ছেলে ভালো লাগে।তো যাই হোক আর্মি তে আছে তাই হয়তো দাড়ি রাখে নাই।। ভাবলাম এই একটা ব্যাপার নাহয় সেক্রিফাইস করলাম, সরকারি চাকরি বলে কথা কিছুতেই এই ছেলে হাতছাড়া করা যাবে না।।
একটু পরেই ছেলেটা আসলো,,
তাকে দেখে তার থেকে চোখ সরাতে পারলাম না অবশ্য এমন রঙিন জিনিস দেখলে কেউই চোখ সরাতে পারবে না।।
পড়নে একটা লাল রঙের প্যান্ট, হলুদ রঙের শার্ট আবার টাই পরেছে গোলাপি রঙের।।
কোনোমতে নিজেকে সামলে নিয়ে স্থির হয়ে বসলাম, সরকারি চাকরি বলে কথা কিছুতেই এই ছেলে হাতছাড়া করা যাবে না।।
সে এসে আমার সামনের চেয়ারে বসে ইংরেজিতে কি কি যেনো বললো আমি কিছুই বুঝলাম না,তার ইংরেজিতে ভুল নাকি আমার মাথায় সম’স্যা আমি তাও বুঝলাম না।।
তো যাই হোক সরকারি চাকরি করে তাও আবার আর্মি তার ইংরেজিতে তো ভুল থাকতে পারে না,আমি চুপচাপ বসে আছি।।
কথার এক পর্যায়ে জিগ্গেস করলাম আপনার চাকরির কি অবস্থা,??
– কিসের চাকরি?
-আপনি তো সরকারি চাকরি করেন, আর্মি তে আছেন আমাকে তো তাই বলেছেন!
-oohhh yes I am proud of my job.im proudly say that I am BTS Army.
তার কথা শুনে কানের পাশে স্টার জলসার ধুমতানানানানানানানা বাজতে লাগলো। বুকের বাঁ পাশেও চিনচিন ব্যা'”থা করছে,।।
বুকে হাত দিয়ে ধীরে ধীরে রেস্টুরেন্ট থেকে বের হয়ে বাসার দিকে রওনা দিলাম।।
আর্মি বিয়ে করার শখ আমার সারাজীবনের জন্য মিটে গেছে
3.funny jokes for friends bangla
আমার গার্লফ্রেন্ড ঐশী এস এস সি পরীক্ষায় ফেল করেছে।এই খবরটা শুনার পর থেকে তার বাড়িতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। রেজাল্ট শোনার পর থেকে তার মা ৫ বার জ্ঞান হারিয়েছে।
— কিন্তু ঐশীর এ নিয়ে কোনো মাথাব্যথা নেই। সে দিব্যি খাচ্ছে দাচ্ছে ঘুরছে ফিরছে
— ফেল করলে মানুষ কাঁদে কিন্তু আমার গার্লফ্রেন্ড ঐশীর মুখে কান্নার ছিটে ফোঁটাও নেই। তাকে দেখে মনে হচ্ছে ফেল করে সে মহা খুশি।
– ঐশীর ফেল করার কথা পাড়া প্রতিবেশীরা কেউ বিশ্বাস করছে না।তার অবশ্য যুক্তিসঙ্গত কারণ আছে। ঐশী বরাবর পড়াশোনায় খুব ভালো।
সে ৫ম ও ৮ম শ্রেণীতে টেলেন্ট পুলে বৃত্তি পাওয়া ছাত্রী। সেই ছাত্রী যদি এস এস সি পরীক্ষায় ফেল করে তাহলে তার মার ৫বার জ্ঞান হারানো খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। আমার তো মনে হয় আরো ১০ বার জ্ঞান হারানো উচিত ছিল।
যাই হোক আমি গিয়ে ওর মার্কসিট তুলে আনলাম।ওর মার্ক সিট দেখে তো আমি অবাক।
সব সাবজেক্টে ৯০+ নাম্বার পেয়েছে। এমন কি সে গনিত একটু কম পাড়তো সেটাতেও ৯৫ পেয়েছে।আর ফেল করেছে কোন সাবজেক্টে জানেন।
সে ফেল করেছে ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষায় । যেটাকে আমরা সহজ ভাষায় বলি ধর্ম। এটা কোনো ভাবেই বিশ্বাস করা যায় না। কারণ আমি চোখ বন্ধ করে বলে দিতে পারি ঐশী যদি না পড়েও ধর্ম পরীক্ষা দেয় তাহলে সে চোখ বন্ধ করে ৮০+ নাম্বার পাবে।এর মধ্যে কোন না কোন রহস্য তো অবশ্যই আছে।
আমি বিকেলে গার্লফ্রেন্ড এর বাড়ির পেছনে গিয়ে তাকে ফোন করলাম। মিনিট দুয়েক পর সে এলো।
-আমাকে দেখেই সে তার দু’পাটি দাঁত বের করে হাসতে লাগলো। এমন ভাব যেন সে ফেল করেনি এভারেস্ট জয় করে এসেছে।
সে আমার কাছে আসতেই আমি মার্ক সিট তার হাতে দিয়ে বললাম এসব কি ঐশী? তুমি সব সাবজেক্টে ৯০+ নাম্বার পেয়েছ তাহলে ধর্মে ফেল করলে কি ভাবে?
— ঐশী মার্ক সিট একবার চোখ বুলিয়ে নিন বলল ওয়াও আমি গনিতে ৯৫ পাইছি। কিন্তু ফিজিক্সে মাত্র ৯১ একটা কি করে সম্ভব। শালার বেটা স্যার নিশ্চিয় বউয়ের সাথে ঝগড়া করে আমার খাতা কেটেছে। কারণ আমরা সব প্রশ্নের উত্তর ঠিক হয়েছিল। আমার ফিজিক্সে ১০০ তে ১০০ পাওয়ার কথা। দোয়া করে দিলাম স্যার তুই জীবনেও সুখী হতে পারবি না।
–আমি একটু রাগি কন্ঠে বললাম এসব বাদ দাও তুমি ধর্মে ফেল করলে কি ভাবে সেটা আগে বলো?
— ঐশী আমার দিকে চোখ বড়বড় করে তাকিয়ে বলল অংকুর তুমি আমার সাথে এমন ভাবে কথা বলছ কেন?
– আমি আস্তে করে বললাম আচ্ছা সোনা পাখি তুমি ধর্মে ফেল করলে কিভাবে?
— এরপর ঐশী মলিন কন্ঠে বলল আমার কি দোষ বলো। আম্মু সারাদিন বলত পরীক্ষায় ফেল করলে বিয়ে দিয়ে দিব। পরীক্ষায় ফেল করলেই বিয়ে দিয়ে দিব।
আর তোমাকে ছাড়া আমার ভালো লাগে না তাই ইচ্ছে করেই ধর্ম পরীক্ষা রোল রেজিস্ট্রেশন সব ভুল করে দিয়ে এসেছিলাম।
–আমি অবাক হয়ে বললাম তুমি আমাকে বিয়ে করার জন্য ধর্মে ইচ্ছে করে ফেল করেছ?
– হুম! ঐশী ৩২টা দাঁত বের করে হাসতে হাসতে বলল আমার কতো বুদ্ধি বল?
–আমি মনে মনে বললাম এই বুদ্ধি নিয়ে চললে আমার শশুর আব্বা দু’দিনেই ফকির হয়ে যাবে।
— ঐশী বলল এই শোনো কাল সকালেই তুমি তোমার বাবা মা কে আমাদের বাসায় বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে আসতে বলবা। আমার আর কোলবালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমাতে ভালো লাগে না।
#বিয়ে_পাগলী
#Shamil_Yasar_Ongkur
4.bangla jokes sms for girlfriend
বয়ফ্রেন্ড রা-গ করে বলছিলো, তুমি জানি কেমন আমি অবাক হয়ে বললাম, কেমন? সে বললো, ভালোবাসার কথা বলো না। আবার মেসেজ পাঠাও উ-কু-ন সাইজের। আমার বন্ধুর গার্লফ্রেন্ড রীতিমত রচনা লিখে পাঠায় একেকদিন। বাট তুমি।
আমি হেসে বললাম, এই ব্যাপার? এখন থেকে আমিও রচনা লিখে পাঠাবো, নো প্রবলেম। গতকাল পাঠিয়েছি শ্রমের মর্যাদা। আজ পাঠাইলাম, অধ্যাবসায়। আগামীকালের জন্য রেখেছি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। আর কি কি রচনা পাঠানো যায়?