#ঘেউলের সংসার
পর্ব ৩
মাঝরাতে একটা মেয়েলি কণ্ঠের চিৎকারে ঘুম ভেঙে গেল আমার। জুঁইয়ের কণ্ঠ! পুরো ঘর অন্ধকার। ধড়ফড় করে বিছানা থেকে নীচে নেমে দরজার কাছে গিয়ে দাঁড়ালাম। । দরজাটা খোলা। সামান্য ধাক্কা দিয়ে ঘরের বাইরে বেরিয়ে এলাম। বুকটা কাঁপছে ধুরু ধুরু করে। ওর কিছু হয়নিতো! সেই রাতের মতো পুরো ঘরে মোম বাতির আলোয় ভরে আছে। জায়গায় জায়গায় নকশা করে মোমবাতি রাখা। মেয়েলি কণ্ঠটার গোঙানি কানে এলো সামনের ঘরটা থেকে। বাবা-মার ঘর ওটা। ভয়ে ভয়ে তাদের ঘরের দিকে এগিয়ে গেলাম। ঘরের ভেতরে ঢুকে দৃশ্যটা দেখে আমার পুরো শরীর থরথর করে কাঁপতে লাগলো। মনে হচ্ছে পায়ের নিচে থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। জুঁইয়ের লাশ পড়ে আছে মেঝেতে, তাকে ঘিরে আছে মোমবাতির সারি। সেগুলোকে ঘিরে বসে আছে বাবা আর মা। মেয়েটার বীভৎস লাশের মুখটা হা হয়ে আছে আতঙ্কে, তার করুণ চোখ দুটো তাকিয়ে আছে আমার দিকে। মেঝে ভরে আছে রক্তে। আমার ভেতরটা কেমন শূন্য শূন্য মনে হচ্ছে। বাবা-মা এক মনে মোমবাতি গুলোর দিকে তাকিয়ে ছিল। ধীরে ধীরে মুখ তুলে দুজনের চোখ দুটো আমার মুখের দিকে স্থির করলো। শিহরণ জাগানো সেই পৈশাচিক দৃষ্টি। ওই মুখ মানুষের সমস্ত মায়া মমতা বিসর্জন দেয়া মুখ।
তাদের সেই দৃষ্টি, মোমের কম্পিত ঝাপসা আলো, ঘর জুড়ে ছায়ার নৃত্য, রক্তাক্ত মেঝে আর লাশ আমার মাথা গুলিয়ে উঠল। আমি ধীরে ধীরে পিছাতে লাগলাম। মায়ের মুখটা কিছুটা কোমল হয়ে এলো হঠাৎ। ‘কথা বলতে যান তুমি। কিছু একটা বলো খোকা? ‘
এই প্রথম ক্রোধ অনুভব করলাম আমি নিজের মাঝে। চেঁচিয়ে বললাম, ‘মেয়েটা আমাকে তোমাদের চাইতে বেশি ভালোবাসতো। কত যত্ন করতো। আমিও ওকে ভালোবাসতাম। তোমরা কেন এমনটা করলে!’
বাবার ক্রুদ্ধ ফ্যাকাশে মুখে পৈশাচিক হাসি ফুটলো, ‘ভালোবাসা! তোমাকে যত ছোট ভেবেছিলাম অতো ছোট তুমি নও দেখছি! আমরা যা করেছি তা তোমার এবং আমাদের সবার জন্যই মঙ্গল। মেয়েটা ৩য় পক্ষ। আমাদের মাঝে ৩য় পক্ষ বলে কেউ বা কিছু থাকতে পারে না! জানি একটা নারী যার কিনা শরীর নেই সে ৩য় পক্ষ হয়ে এতদিন তোমাকে পথভ্রষ্ট করে রেখেছিল। আমাদের সম্পর্কে তোমাকে ভুল বুঝিয়েছে। ও তোমার ক্ষতি ছাড়া ভালো আর কিছুই চায় না। আমরাই তোমার প্রকৃত বন্ধু। ও আমাদের সম্পর্কে যা বলেছে তার সবই মিথ্যা! আমরা তোমার কোনো ক্ষতি করবো না! এসো খোকা যোগ দাও আমাদের সঙ্গে। ‘
ক্রোধের সাথেই জবাব দিলাম, ‘তাতো দেখতেই পাচ্ছি! তোমরা কতো ভালো কাজ করছো! তিনিই আমাকে এতদিন রক্ষা করেছেন, এখনো করবেন! তোমাদের চাইতে অদৃশ্য সেই কন্ঠটাই আমার বেশি কাছের লোক, শুভাকাঙ্ক্ষী।’
‘হাহাহা! খোকা! ভুলে যাও ওকে তুমি। এতবছর আমাদের ভুলেই বোকাটা তোমার সাথে থাকতে পেরেছে। আমরা আন্দাজও করতে পারিনি ওর আত্মা এই বাড়ি থেকে এখনো মুক্তি পায়নি। তবে এখন ওর অবস্থা যা করেছি দুনিয়ার কোনো শক্তিই ওকে আর তোমার কাছে আনতে পারবে না। তুমি আমাদের কথামতো চলো এতেই তোমার মঙ্গল। আমরা ছাড়া তোমার আর আপন কেউ নেই।’
ভয় আর আতঙ্কে আমার মন সংকুচিত হয়ে এলো। আমি একা! কত একা! সেই অদৃশ্য নারীর কন্ঠস্বরটা আমায় বলেছিল যদি কোনোদিন ভয়ানক বিপদে আমি পড়ি এবং সাহায্য করার মতো কেউ না থাকে আমার পাশে, তখন যাতে বাবা-মার সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না করি। কারণ তাদের শক্তির কাছে আমি কিছুই না। তবে একটা সময়ে আমার ক্ষমতা তাদের থেকে বেশি হবে। সেই সময়ের অপেক্ষা করতে হবে আমাকে। তাই কন্ঠটা আমি কিছুটা নমনীয় করে মায়ের কাছে গিয়ে বসে পড়লাম। মুখটা মায়াময় করে তাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘আমি কে মা? তোমরা কারা? অদৃশ্য কন্ঠস্বরটাই বা কে?’
মা কোনো উত্তর দিলেন না। বাবা মুচকি হেসে বললেন, ‘সেসব তুমি জানতে পারবে খোকা! তবে তার আগে জেনে নাও,তুমি আমাকে, তোমার মাকে যতটা খারাপ ভাবছ আমরা ততটা খারাপ না। আমরা কেবল মানুষ হত্যা করে খাই এই যা। যার যার খাবার, সে সে খাবে। এই নিয়মটা মেনেই জগৎ চলে। বিড়াল ইঁদুর খায়, ইঁদুর শস্য, শস্য পানি খায়। মানুষও তো খাবার হিসেবে কত প্রাণ হত্যা করে। হাতে রক্ত মাখায়। আমাদের খাবারও মানুষের মাংস আর রক্ত!’
‘তোমরা মানুষ নও?’
‘না খোকা! তবে শোনো আমাদের কথা। আমাদের জগতে আমরা ঘেউল নামে পরিচিত। এই মানুষের জগতে আমাদের বলা হয় পিশাচ। কারণ আমরা মানুষের তাজা রক্ত আর মাংস খাই। আমরা এবং আমাদের রক্ত, পূর্বপুরুষ, পরবর্তী প্রজন্ম যে জগতে বাস করে সেখানে আমরা সকলেই ক্ষমতাবান। সেখানে আমরা আমাদের ক্ষুধার মাংস ও তৃষ্ণার রক্ত জোগাড় করতে এক ধরনের প্রাণী পালন করি। গুল নাম ওগুলোর। সেগুলো বিরাট আকার, কথা বলতে পারে না, লম্বা শরীর, দু পা, দুই হাত, বিশাল স্তন, মাথার উপর চুল। বুঝতেই পারছ প্রাণীগুলো দেখতে কেমন? হ্যাঁ, মানুষের মতোই। তবে ওরা এই জগতের মানুষের মতো বুদ্ধিমান কিংবা তীব্র অনুভূতি সম্পন্ন প্রাণ নয়। আকারেও বিশাল বড়।
আমাদের জগতে প্রায়ই মানুষ সম্পর্কে নানান কথা শুনতাম আমরা। আমাদের জগতের বেশ কিছু অভিশপ্ত ঘেউল মানুষের পৃথিবীতে চলে আসতো। তাদের সঙ্গে নিয়ে আসতো তাদের ক্ষমতা। কিন্তু কিছুতেই মানুষের বুদ্ধি আর উচ্চারিত কিছু শব্দের কাছে নিজেরা জিততে পারতো না। ধ্বংস হয়ে যেত। আমরা আলোচনা করতাম মানুষরা দেখতে অনেকটা গুলের মতো , শুধু আকারে ছোট আর বুদ্ধিমান। তাদের মাংস আর রক্ত নাকি গুলের চাইতে হাজার গুণ ভালো। হ্যা , এখন বলতেই পারি কথাটা সত্য! তবে আমি আর তোমার মা ঘেউলের জগৎ ছেড়ে এই জগতে এসেছি অদ্ভুত ভাবেই। আমরা প্রায় শুনতাম কিছু কিছু মানুষ নাকি ঘেউলদের উপাসনা করে। এত বুদ্ধিমান, শক্তিশালী প্রাণী মানুষ! ঘেউলের উপাসনা করে আমাদের বিশ্বাস হতো না। তারা নাকি দিন রাত সাধনা করে আমাদেরকে আহ্বান করতে থাকে তাদের জগতে।
কিন্তু একদিন আমি আমার থাকার ঘরের পেছনে অদ্ভুত একটা গর্ত দেখতে পাই। নতুন সৃষ্ট। চার কোণা খাঁজকাটা গর্তটা দেখে মনে হলো হঠাৎ মাটি ফুঁড়ে সৃষ্টি হয়েছে এটি। গর্তটায় উকি দিয়েও ওটার তল দেখতে পেলাম না। নাকে এলো এক অদ্ভুত সুঘ্রাণ। পুরো শরীর আমার গুলিয়ে উঠল নেশায়। সুস্বাদু কিছু একটা ওটার ভেতর অপেক্ষা করছে যেন আমার জন্য। ঝাঁপিয়ে পড়লাম গর্তটার ভেতর। কী করে জানবো আমার জগৎ থেকে এই একটা সিদ্ধান্তই আমাকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে! প্রায় অনেকক্ষণ ধরে নিচে নামতে শুরু করলাম। এরপর এসে পড়লাম বিশাল একটা ঘরে। আমার সামনে গুলের মতো দেখতে কিন্তু আকারে ছোট অনেক গুলো প্রাণী। বুঝলাম ওরাই মানুষ। ওরাই আমাকে আহ্বান করে নিয়ে এসেছে।
নিজের চোখের সামনে দুটো মানুষের মাথা-কাটা শরীর দেখতে পেলাম। আমার কাছে উৎসর্গ করেছে তারা। ভুল করলাম আমি। জিহ্বায় পানি চলে এলো ওগুলো দেখে। ঝাঁপিয়ে পড়লাম লাশ দুটোর উপরে। ওগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে খাবার মাধ্যমে গ্রহণ করলাম তাদের উৎসর্গ। বন্ধ হয়ে গেল আমার জগতে ফেরার পথ। তবে গুলের তুলনায় মানুষ অসাধারণ খেতে। আটকে গেলাম এই জগতের মায়ায়।
যারা আমার কাছে মানুষের রক্ত আর শরীর উৎসর্গ করতো তাদের নানান ইচ্ছা পূরণ করতে লাগলাম। এই জগতে মানুষের তুলনায় অলৌকিক ক্ষমতা ঘেউলদের অনেক বেশি। কিন্তু আমার কথা ছড়িয়ে পড়তেই মানুষের একটা দল বিদ্রোহ করলো। তাদের স্বজাতি হত্যা কিছুতেই তারা মেনে নেবে না। ভাবতে পারো খোকা, এই ছোট্ট মানুষের দলের সাথে আমি সর্বশক্তি নিয়েও পেরে উঠিনি। বিশেষ করে এরা যখন বিশেষ কিছু শব্দ উচ্চারণ করতো তখন আমার সমস্ত শক্তি বিলুপ্ত হয়ে যেত। আমাকে বন্ধি করার ক্ষমতাও তাদের আছে। আমি পালিয়ে বেড়াতে লাগলাম। মানুষের রক্ত এবং মাংস দরকার ছিল আমার বেঁচে থাকার জন্য। এই জগতে থাকা অন্য কোনো প্রাণীরই রক্ত বা মাংসের গন্ধ সহ্য করতে পারতাম না। নানান কিছুর রূপ নিয়ে, ছল করে মানুষকে পথভ্রষ্ট করে নিজের শিকারে পরিণত করতে লাগলাম।
কিন্তু যেখানেই আমি যাই সেখানেই ঘেউলদের নিয়ে সতর্ক একটা গোষ্ঠীকে দেখতে পাই। তারা আমার উপস্থিতি টের পেয়েই তাদের তন্ত্র-মন্ত্র আর সাধনা বল দিয়ে ধ্বংস করার জন্য ছুটে ছুটে খোঁজ করে আমার। তাদের সম্মিলিত শক্তির তুলনায় নিজেকে এক নগন্য প্রাণ মনে হয়। কত বছর লুকিয়ে লুকিয়ে পার করে দিয়েছি এই জগতে। একটা সময় পর অনুধাবন করলাম আমাদের থাকা উচিত আমাদের দুনিয়ায়, আর মানুষের তাদের দুনিয়ায়। দুই দুনিয়ার মিশ্রন ভয়ানক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। কিন্তু কী করে ফিরে যাব জানা ছিল না আমার।
তখনই দেখা হয় একটা মেয়ে ঘেউল এর সাথে। তোমার মা! সেও আমার মতো করেই এই জগতে চলে এসেছিল। এবং তান্ত্রিকদের ভয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে। সে আমাকে জানায় কেবল একটাই উপায় আছে আমাদের জগতে ফিরে যাওয়ার। একটা মানুষ সন্তানই তন্ত্র বলে আমাদেরকে আবার আমাদের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু সন্তানটা আমাদের নিজেদের হতে হবে। কিন্তু আমরা ঘেউল। আমরা দুজন কী করে মানুষের সন্তানের জন্ম দেব! তখনই একমাত্র পথটা খুলে গেল আমাদের সামনের। আমাদের সমস্ত পৈশাচিক শক্তি বিসর্জন দিতে হবে। এর মাধ্যমে মানুষের ভেতর থেকে একজন নারী ও একজন পুরুষের আত্মা দখল করতে পারবো আমরা। মিলিত হবো দুজনে মানুষের শরীর থেকে। মেয়েটার গর্ভ থেকে যে সন্তানটা জন্ম গ্রহন করবে সেই আমাদের আবার ঘেউলদের জগতে ফিরিয়ে নিয়ে যাবে।
প্রায় দীর্ঘদিন অনেক জায়গায় ঘুরে, অনেক মানুষ শিকার করে টিকে থাকতে হয়েছে আমাদের। কিন্তু দখল করতে পারিনি কারো শরীর। এরপর এক রাতে একটা গাড়ির পিছু নিয়ে এই বাড়িতে আশ্রয় নেই আমরা। প্রাণ কেরে নেই বাড়িতে থাকা একমাত্র দম্পতি দুজনের। এরপর থেকে এই যে দেখছ আমি আর তোমার মা রয়েছি এই দুটো চেহারার শরীর নিয়ে। বাস করতে থাকি মানুষের মতো। জন্ম দেই তোমায়। অপেক্ষা করতে থাকি তোমার বড় হওয়ার আমাদের মুক্তির জন্য। তুমি বড় হলে কিন্তু কথা বলতে পেরেও এতদিন অভিনয় করে গেছ। আমাদের ফেরা হয়নি তাই আর আমাদের দুনিয়ায়! এতদিনে বেঁচে থাকার জন্য আমরা দুজন যত জন মানুষকে হত্যা করেছি এর দায় তোমার উপর পড়ে খোকা! যোগ দাও আমাদের সাথে। মুক্ত করো আমাদের! শান্তিতে থাকতে দাও এই দুনিয়ায় মানুষদের! তুমি এই ঘেউলের সংসারের একমাত্র পুত্র। ‘
দীর্ঘ কাহিনীটা শুনতে শুনতে চমকে উঠছিলাম বার বার। মাও মাথা ঝাঁকালো, মানে বাবা যা বলল সব সত্যি। আমি বললাম, ‘ যে নারী কন্ঠটা এতদিন আমার সঙ্গে কথা বলতো সে কে?’
‘তোমার মা যেই শরীরটা দখল করে আছে সেই শরীরের পূর্বের মালিক। এখন প্রেতাত্মা। বোকাটা বিশ্বাস করে তুমি আমাদের নয়, ওর সন্তান! তাই এতদিনেও তোমাকে ছেড়ে যায়নি!’ বিদ্রুপের সুরে বললেন বাবা।
কেমন এক অজানা অচেনা অনুভূতিতে মনটা কাঁপছে আমার। সেই নারীকণ্ঠটার অনুভব খুব করে আরেকবার পেতে ইচ্ছা করছে! যে আমাকে এই পরিস্থিতিতে একটু সাহস দেবে। আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘তোমাদের মুক্ত করতে আমাকে কী করতে হবে?’
‘সেসব পরে। আগে শেষবারের মতো একবার এই মেয়েটার শরীরের মাংস আর রক্ত চেখে দেখ। বিশ্বাস করো এমন স্বাদ তুমি দুনিয়ার আর কিছুতেই খুঁজে পাবে না! তুমি মানব সন্তান হলেও তোমার অর্ধেকটা পিশাচ! এটা তোমার পেটে হজম হবে। হাহাহা!’
আমার প্রচণ্ড ঘৃণা আর রাগ জন্মালো লোকটার উপর। মায়ের মুখটাও এবার লাশটার উপর স্থির হয়ে গেল। হঠাৎ আমার মনে পড়লো কথাটা, অদৃশ্য কণ্ঠস্বরের সতর্ক বার্তা। আমি কথা বলতে পারি জানতে পারলে বাবা-মা আমাকে খুন করে ফেলবে। তাদের যখন তাদের জগতে ফিরে যেতে আমাকে দিয়ে কথা বলানোর এতই দরকার ছিল তখন তারা আমাকে খুন করবে কেন! আমার মাধ্যমে তারা কী করে ফেরত যাবে তাদের দুনিয়ায়! আমাকে খুন করে! শিউরে উঠলাম আমি!
বাবা-মা দুজনেই বুভুক্ষুর মতো ঝাঁপিয়ে পড়লো জুঁইয়ের লাশের উপর। আমি ধীরে পিছাতে লাগলাম দরজার দিকে। প্রচণ্ড দিশেহারা আর উত্তেজনা বোধ করছি আতঙ্কে। হঠাৎ আমার শরীর শিউরে উঠল একটা চিরচেনা স্বত্তার অস্তিত্বের উপস্থিত অনুভব করে।
আমরা তিন জন ছাড়াও ঘরে আরেকজন প্রবেশ করেছে বুঝতে পারলাম। অদৃশ্য কেউ! আমার ঘাড়ে আলতো স্পর্শ পেলাম। সেই সাথে সেই চিরচেনা নারীর অদৃশ্য কন্ঠ স্বরটা কানে এলো, ‘ভয় নেই খোকা! আমি এসে গেছি! ……………………………….
……………………………….
.
.
. . . . চলবে . . . .
.
.
লেখা: #Masud_Rana
.